বাচ্চাকে শুয়ে দুধ খাওয়ালে কি হয় বিস্তারিত জানুন

বাচ্চাকে শুয়ে দুধ খাওয়ালে কি হয় জানতে চান? তাহলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন। তার থেকে বেকার তাদের দুধ খাওয়ালে বাচ্চার এতে বাচ্চার জিবনঝুকি রয়েছে তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে বাচ্চাকে শুয়ে বুকের দুধ খাওয়ালে কি হয়, বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম , নবজাতকের গলায় দুধ আটকে গেলে কি হয় এবং বাচ্চাকে শুয়ে দুধ খাওয়ালে কি হয় এই সমস্ত বিষয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।
বাচ্চাকে শুয়ে দুধ খাওয়ালে কি হয়
আপনি যদি আজকের এই পোষ্টটি সম্পূর্ণ পড়েন, তাহলে বাচ্চাকে শুয়ে দুধ খাওয়ালে কি হয় এবং বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়মগুলো সম্পর্কে বুঝতে পারবেন। প্রথম প্রথম মা হওয়ার অনুভূতিটা খুবই আলাদা এবং এটি একটি নতুন অভিজ্ঞতা। তবে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন আপনার কাজে আসবে।

পেজ সূচিপত্র

       ভূমিকা       

আপনি কি প্রথমবার মা হয়েছেন? তাহলে তো আপনার ঘাড়ে প্রচুর রেসপন্সিবিলিটি অথবা দায়িত্ব চলে এসেছে তাই না? আমাদের আজকের এই পোস্টটি আপনার জীবনকে একটু সহজতর করে তুলবে। হ্যাঁ বন্ধুরা আমরা আজকের এই পোস্টে বাচ্চাকে বুকেই দুধ খাওয়ানোর নিয়ম এবং কি খেলে বুকের দুধ আসে সাথেই বাচ্চাকে শুয়ে দুধ খাওয়ালে কি হয় এই সমস্ত বিষয়ে আলোচনা করতে চলেছি।বাচ্চাকে মায়ের বুকের দুধ পান করানো খুবই জরুরী।

অন্তত ছয় মাস পর্যন্ত বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করানো আবশ্যক বাচ্চা শরীরে বুকের দুধ হিসেবে কাজ করে এটি বাচ্চার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে এবং বাচ্চার রোগ বালায়কে দূর করে। জন্মের পর বাচ্চা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশে কম থাকে এই সময় বাচ্চার যত্ন নেওয়া খুবই জরুরী অনেক রয়েছে যারা বাচ্চাকে কৌটা দুধ পান করায় কিন্তু আমার মতে বাচ্চাকে কৌটা দুধ পান না করিয়ে সবচেয়ে সেরা হবে আপনি যদি আপনার বুকের দুধ পান করান।

বুকের দুধ পান করানোর ফলে একদিকে যেমন আপনার বাচ্চা সুস্থ থাকবে তেমনি আরেক দিকে আপনার ফুল দ্রুত পড়ে যাবে এবং রক্তক্ষরণও কম হবে এতে আপনিও সুস্থ থাকবেন। ইসলামে বলে বাচ্চাকে যখন বা তার বুকের দুধ পান করায় তখন বাচ্চার সাথে মায়ের সম্পর্ক যেন আরও বেশি গভীর হয় এজন্য এখন থেকে বেশি বেশি বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করাবেন। এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং কোন প্রকার সাইড ইফেক্ট ছাড়া আপনার সঠিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। তবে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে যে বাচ্চাকে শুয়ে দুধ খাওয়ালে কি হয় তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব যে বাচ্চাকে শুয়ে দুধ খাওয়ালে কি হয়।

বাচ্চাকে শুয়ে দুধ খাওয়ালে কি হয়

আপনি কি জানেন বাচ্চাকে শুয়ে দুধ খাওয়ালে কি হয়? এই সময় আমরা কাজ কাম শেষে টায়ার্ড হয়ে বাচ্চাকে বিছানায় শুয়ে দুধ খাওয়াই কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে এটি বাচ্চার জন্য কতটা ক্ষতি করে এমনকি বাচ্চা বিশ্বাস আটকে বাঁচানোর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে তাই এখন থেকেই আপনারা যারা বাচ্চাকে শুয়ে দুধ খাওয়ান তারা এই অভ্যাসটি বাদ দিন এবং বাচ্চাকে কখনো হেলিয়া দুলিয়ে বেড়া করে দুধ খাওয়াবেন না তাকে তার মাথা বরাবর কাঁধ রেখে সোজা করে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন।

থেকে যখন শুয়ে দুধ খাওয়ানো হয় তখন বাচ্চার অজান্তেই বাচ্চার মুখে এবং নাকে বুকের দুধ প্রবেশ করে এতে বাচ্চার দম আটকে যায় এবং বাচ্চা হাঁসফাঁস করে নিঃশ্বাস নিতে পারে না এই অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব বাচ্চাকে উল্টো করে পিঠে তিন চারবার থাবা দিতে হবে। আপনারা যারা বাচ্চাকে সুয়ে দুধ খাওয়ান তারা এই ভুল আর দ্বিতীয়বার কখনোই করবেন না এটি বাচ্চার জন্য খুবই মারাত্মক বাচ্চাকে শুয়ে দুধ খাওয়ালে বাচ্চার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এছাড়াও শুয়ে দুধ খাওয়ানোর পরে বাচ্চার মুখের ওপর দুধ পড়ে,

এতে বাচ্চার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় সাথেই বাচ্চা দম আটকে আসে এবং বাচ্চা হজম করতে পারেনা সেটি বমি করে তুলে দেয়। এইজন্য বাচ্চাকে কখনোই শুয়ে দুধ খাবেন না। চেয়ে ভালো হবে আপনি যদি একটি চেয়ারে অথবা বিছানায় বসে বাচ্চাকে কোলে নিয়ে দুধ খাওয়ান। হ্যাঁ বাচ্চা কি দুধ খাওয়ানোর সময় এক কাধ করে দুধ খাবেন অর্থাৎ সোজা করে শুয়ে নিয়ে দুধ খাওয়াবেন না।

প্রিয় পাঠক আশা করছি উপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে বাচ্চাকে শুয়ে দুধ খাওয়ালে কি হয় বাচ্চা কে শুয়ে দুধ খাওয়ালে বাচ্চার নাকের ছিদ্রে এবং মুখে বুকের দুধ প্রবেশ করে এতে বাচ্চার দম আটকে যায় এবং বাচ্চার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে এজন্য এমন ভুল আর দ্বিতীয়বার কখনোই করবেন না সবসময় চেষ্টা করবেন বসে কোথাও বাচ্চাকে ভালোভাবে কোলে নিয়ে সঠিক পজিশনে দুধ খাওয়ানোর। অনেকেই মনে করে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো খুবই সহজ।

 কিন্তু বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো কিন্তু এতটা সহজ নয় আর প্রথম অবস্থায় যেটা প্রথম প্রথম মা হচ্ছে তাদের জন্য এই অভিজ্ঞতাগুলো সম্পূর্ণ আলাদা এর জন্য প্রয়োজন হলে একটি নার্স অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। উপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন যে বাচ্চাকে শুয়ে দুধ খাওয়ালে এটি যার জীবনের জন্য কতটা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম গুলো।

বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম

বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম খুঁজছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন আমরা আজকে এই পোস্টে আপনাদের জন্য বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সঠিক নিয়ম গুলো আলোচনা করব প্রথম প্রথম মা হলে এই অভিজ্ঞতাগুলো সম্পূর্ণ আলাদা অনেকেই এই নিয়মগুলো সম্পর্কে জানে না যে বাচ্চাকে বুকের দুধ কিভাবে খাওয়াতে হয় কিভাবে বাচ্চাকে সঠিক পজিশনে নিতে হয়। এগুলোর প্রথম অবস্থায় না জেনে স্বাভাবিক। তবে চিন্তার কিছু নেই আমরা আজকের এই পোস্টটা আপনাদের সাথে শেয়ার করব যে বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম কি।

  • বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানোর আগে নিপল কে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে নিপল অপরিষ্কার থাকলে বাচ্চা দুধ খেতে চায় না।
  • তারপর বাচ্চাকে সঠিক পজিশনে নিতে হবে ভুল পজিশনে দুধ খাওয়ালে এতে বাচ্চা দুধ পাবে না। এইজন্য সবার প্রথমে আগে বাচ্চাকে ভালো পজিশনে নিন।
  • বাচ্চাকে কোলে জড়িয়ে নিয়ে ভালো পজিশনে নিতে হবে তারপর ধীরে ধীরে দুধ খাওয়াতে হবে।
  • বাচ্চার মুখে নিপল সহ এক ইঞ্চি পর্যন্ত ঢুকিয়ে রাখবেন এতে বাচ্চা ঠিকভাবে দুধ পাবে।
  • বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় কখনো হেলে দুলে চলবেন না কিংবা নড়াচড়া করবেন না এতে বাচ্চা ঠিকভাবে দুধ পাবে না।
  • বাচ্চা কে কখনো জোর করে বাচ্চার মুখে ঢুকিয়ে দিবেন না এতে বাচ্চার নিঃশ্বাস আটকে যেতে পারে।
  • বাচ্চাকে যতটা সম্ভব বাচ্চার মুখে নিপল ছেড়ে দিয়ে রাখবেন বাচ্চাদের ইচ্ছা অনুসারে চুষে চুষে দুধ খাবে।
  • বাচ্চা কি দুধ খাওয়ানোর সময় বাচ্চার কাঁধ মাথা বরাবর সোজা করে রাখবেন।
  • বাচ্চাকে কখনোই শুয়ে থেকে দুধ খাওয়াবেন না।
  • অথবা বুকের ওপর নিয়ে দুধ খাওয়াবেন না।
  • একটি চেয়ারে অথবা বিছানার উপর শুয়ে বাচ্চাকে এক সাইডে নিয়ে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন।

প্রিয় পাঠক আশা করছি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম গুলো। প্রথমবার মা হলে সবার জন্যই এই এক্সপেরিয়েন্স অথবা অভিজ্ঞতাগুলো একটু আলাদা হয়। তবে উপরের এই উপায় গুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি আপনার বাচ্চাকে সহজেই দুধ খাওয়াতে পারবেন। আর হ্যাঁ কখনোই ভুল করেও বাচ্চাকে শুয়ে থেকে দুধ খাওয়াবেন না শুয়ে থেকে দুধ খাওয়ালে দুধ বাচ্চার গলায় আটকে যেতে পারে।

এইজন্য কখনোই এই ভুল দ্বিতীয়বার আর করবেন না। আশা করছি উপরের আলোচনার মাধ্যমে বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম গুলো সম্পর্কে আপনি বুঝতে পেরেছেন এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি নবজাতকের গলায় দুধ আটকে গেলে কি করব।

নবজাতকের গলায় দুধ আটকে গেলে

নবজাতকের গলায় দুধ আটকে গেলে প্রাথমিক অবস্থায় কি করব জানতে চান তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন আমরা আজকের এই পোষ্টের নবজাতকের গলায় দুধ আটকে গেলে কি করব এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চাকে জোর করে দুধ খাওয়াতে যেয়ে অথবা উল্টো করে দুধ খাওয়ালে নবজাতকের গলায় দুধ আটকে যায় এই সময় আপনাকে জানতে হবে যে কি করা উচিত কারণ এই সময় ছোটখাটো একটি ভুলের কারণে আপনার সোনামনির প্রাণ পর্যন্ত চলে যেতে পারে।

এইজন্য এই পোস্টটি সম্পূর্ণ দেখতে থাকুন কারণ এই পোস্টে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি।দুধ খাওয়ানোর সময় কিন্তু অনেক সাবধানতার সাথে দুধ খাওয়াতে হবে কারণ ছোটখাটো একটি ভুলের জন্য সোনামণির প্রাণ পর্যন্ত চলে যেতে পারে এজন্য আপনাকে প্রথমে জানতে হবে বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম সম্পর্কে আপনি যদি বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সঠিক নিয়ম গুলো জানতে চান তাহলে উপরে দেখুন আমরা আলোচনা করেছি বাচ্চাদের আমরা জেনে আসি নবজাতকের গলায় দুধ আটকে গেলে করণীয় কি 

  • নবজাতকের গলায় দুধ আটকে গেলে সবার প্রথমে বাচ্চাকে উল্টো করে নিন।
  • উল্টো করে পিঠের চার থেকে পাঁচ বার থাবা দিতে থাকুন।
  • তবে হ্যাঁ অতিরিক্ত জোরে কিন্তু থাবা দেওয়া যাবে না এতে বাচ্চা আঘাত পাবে ধীরে ধীরে বাচ্চার পিঠে বারবার থাবা দিতে থাকুন।

  • অনেকে রয়েছে গলায় দুধ আটকে গেলে ঘাড়ের উপর নিয়ে পিঠের উপর থাবা দিতে থাকে কিন্তু এই উপায়টি সম্পূর্ণ ভুল।
  • বাচ্চাকে উল্টো করে মাথা নিচু করে পিঠে ৪-৫ ব্যথা দিতে হবে।
  • এতে বাচ্চার মুখ দিয়ে দুধগুলো বেরিয়ে আসবে,
  • তবে যদি এই উপায়টি কাজ না করে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব হসপিটালে ভর্তি করতে হবে।

বাচ্চার গলায় দুধ আটকে গেলে এটি খুবই মারাত্মক হতে পারে দেখা যায় হসপিটালে ভর্তি করতে কোনা করতেই বাসাতেই এই বাচ্চার মৃত্যু হয়ে যায়। এইজন্য বাচ্চা কি দুধ খাওয়ানোর সময় অনেক সাবধানতার সাথে দুধ খাওয়াতে হবে কখনো একসাথে অনেকগুলো দুধ বাচ্চার মুখের মধ্যে ঢেলে দেওয়া যাবে না এতে বাচ্চার শ্বাসনালীতে দুধ চলে যায় এবং দুধ সেটি গলাতে আটকে যে বাচ্চার মৃত্যু হয়। এজন্য এখন থেকে এই ভুল আর দ্বিতীয়বার কখনোই করবেন না।

আশা করছি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে নবজাতকের গলায় দুধ আটকে গেলে করণীয় কি। এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করণীয় কি।

বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করনীয়

বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করণীয় কি আমাদের অনেকের মনে এই প্রশ্ন থাকে যে বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করণীয় কি তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব যে বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করনীয় কি। অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চা হওয়ার সময় আমাদের মায়েদের অবস্থা অনেক বেশি সিরিয়াস হয়ে যায় এই সময় পরিবারের সদস্যরা বাচ্চার ক্ষুধা নিবারণের জন্য কৌটার দুধ পান করাই।

পরবর্তী সময়ে যখন বা তার বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করাতে চাই এই অবস্থায় বাচ্চা কিন্তু কোনভাবেই বুকের দুধ খেতে চায় না কারণ সে কৌটা দুধের প্রতি অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। এইজন্য তাকে এই সময় বুকের দুধ খাওয়াতে চাইলে নিচের উপায় গুলো অনুসরণ করুন

  • বাচ্চাকে দুধ পান করানোর আগে প্রথমে নিপল ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন।
  • নিপল অপরিষ্কার থাকলে বাচ্চারা দুধ মুখে নিতে চায় না।
  • বাচ্চা খেতে না চাইলে তাকে কখনোই জোর করে মুখে দুধ ঢুসে দিবেন না এতে তার নিঃশ্বাস আটকে যেতে পারে।
  • বাচ্চা কে প্রথমে ভালো পজিশনে নিয়ে ধীরে ধীরে দুধ খাওয়াতে থাকবেন সে খেতে না চাইলে এভাবেই ছেড়ে দিবেন।
  •  বাচ্চার ক্ষুধা লাগে তাকে কখনোই কৌটার দুধ পান করাবেন না।
  • বাচ্চার ক্ষুধা লাগলে তাকে চেষ্টা করবেন ধীরে ধীরে বুকের দুধ পান করানোর এতে সে আপনার দুধের প্রতি আকৃষ্ট হতে থাকবে।
  • আপনার সোনামণি কান্না করলেও তাকে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন।
  • বাচ্চাকে ঠিক পজিশনে নিয়ে দুধ খাওয়াতে হবে।

এভাবে ধীরে ধীরে সে আপনার দুধের প্রতি অভ্যস্ত হতে থাকবে এবং সে বুকের দুধ খাওয়া শুরু করবে জন্মের প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত চেষ্টা করবেন বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর কারন এই সময় বুকের দুধ খাওয়ানো খুবই জরুরী বুকের দুধে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আপনার সোনামণির শরীরে রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে। বাচ্চাদেরকে দুধ খাওয়ার সময় প্রথমে তাকে ভালো পজিশনে নিয়ে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। আর হ্যাঁ দুধ খাওয়ানোর সময় কিন্তু কখনো হেলে দুলে দুধ খাওয়াবেন না এতে বাচ্চা ঠিকভাবে দুধ পাবে না।

চেয়ারে অথবা কোথাও বসে বাচ্চাকে ভালো পজিশনে নিয়ে ধীরে ধীরে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। আর হ্যাঁ মনে রাখবেন বাচ্চাকে শুয়ে দুধ খাওয়াবেন না এতে বাচ্চার নিঃশ্বাস আটকে যেতে পারে। আটক আশা করছি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে বাচ্চা দুধ না খেলে করনীয় কি এবার চলুন আমরা জেনে আসি বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়সীমা সম্পর্কে

বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়সীমা

বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়সীমা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন । বাচ্চার জন্মের প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করানো আবশ্যক এই সময়টি বুকের দুধ বাচ্চার জন্য খুবই জরুরী জন্মের পর বাচ্চা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম হয় এই জন্য এই সময় বাচ্চাকে বেশি বেশি বুকের দুধ পান করাতে হবে একটু পর পর ক্ষুধা না লাগলেও বাচ্চাকে জোর করে বুকের দুধ পান করাবেন। এতে বাচ্চা সুস্থ থাকবে এবং বাচ্চা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

তবে আমাদের অনেকের মনের প্রশ্ন থাকে যে বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়সীমা কত অর্থাৎ কত বছর পর্যন্ত বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো যায় ইসলামে দেওয়া আছে বাচ্চাকে দেড় থেকে দুই বছর পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ানো যায়। তবে ১.৫ থেকে দুই বছরের বেশি সময় পর্যন্ত বাচ্চাকে কখনোই বুকে দুধ পান করাবেন না। জন্মের প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করানো খুবই জরুরী এই সময় বাচ্চাকে শুধুমাত্র আপনার বুকের দুধ পান করাবেন তাছাড়া আর কিছু খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই। 

আপনি যত বেশি বা আপনার বাচ্চাকে দুধ পান করাবেন আপনার সাথে আপনার সোনামণি সম্পর্ক ঠিক ততটাই গভীর হবে এই জন্য চেষ্টা করবেন সবসময় বেশি বেশি দুধ পান করানোর মায়ের বুকের দুধ পান করার ফলে একদিকে যেমন বাচ্চার শরীর সুস্থ থাকবে এতে এমনি আরেকদিকে আপনার ফুল দ্রুত পড়ে যাবে এবং রক্তক্ষরণও কম হবে। প্রথম ছয় মাস শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ পান করাবেন তারপর থেকে একটু একটু করে ফলের রস সুজি খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন।

এতে বাচ্চা হেলদি হবে বাচ্চাকে বেশি বেশি পুষ্টিকর শাকসবজি গুলো সিদ্ধ করে অল্প অল্প করে খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। বাচ্চা এক-১.৫ বছর হলে তাকে ভাত অনেক চেষ্টা করবেন।সাথেই ফলমূল খাওয়াবেন। ফলমূলের চেয়ে বেশি পুষ্টিকর আর কিছুই নেই। এর জন্য বাচ্চাকে বেশি বেশি ফলমূল খাওয়াতে হবে আশা করছি ও পরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়সীমা কত। আমাদের অনেকের মনেই এই বিষয় নিয়ে সংশয় থাকে আশা করছি এই পোস্টের মাধ্যমে আপনার মনের সংশয় দূর হয়েছে। এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি বাচ্চাদের বুকের দুধ ছাড়ানোর উপায় কি।

বাচ্চাদের বুকের দুধ ছাড়ানোর উপায়

বাচ্চাদের কে দুধ ছাড়তে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য আমরা আজকের এই পোস্টে বাচ্চাদের বুকের দুধ ছাড়ানোর উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব ইসলামে রয়েছে বাচ্চার বয়স যখন ১.৫ থেকে ২ বছর হবে তখন দুধ ছেড়ে দিতে হবে। এইজন্য আপনারা যারা মায়েরা রয়েছেন তারা চেষ্টা করবেন বাচ্চাকে দেড় বছর থেকেই ছাড়ানোর চেষ্টা করতে দুধের পাশাপাশি শাকসবজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন পুষ্টিকর খাদ্য তাদের খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন।

এবং ধীরে ধীরে দুধের অভ্যাস তাদের কাটিয়ে দিতে হবে। বাচ্চাদের নিষ্পাপ হয় ওদেরকে আপনি যা শিক্ষা দিবেন তারা ঠিক সেটাই শিখবে তাদেরকে আপনি যেভাবে করে তুলতে চাইবেন তারা সেভাবেই গড়ে উঠবে। বাচ্চা জন্মের প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো আবশ্যক। প্রথম ছয় মাস বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়াও খুবই জরুরী এই সময় বাচ্চার শরীরে মায়ের দুধ ঔষধ হিসেবে কাজ করে। বাচ্চার শরীরে যাবতীয় রোগবালাকে দূর করে।

এবং বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে এর জন্য এই সময় বাচ্চাকে মায়ের বুকের দুধ পান করাতে হবে তবে এক বছরের পর থেকে বাচ্চাকে ধীরে ধীরে কলা, নরম ভাত, সাবু, খিচুড়ি, শুজি খাওয়াবেন এতে বাচ্চার মুখের রুচি হবে এবং বাচ্চার শরীরে পুষ্টি যোগাবে বাচ্চাদের বেশি বেশি সবজি দিয়ে নরম খিচুড়ি বানিয়ে খাওয়াবেন। আর হ্যাঁ এই সময় ধীরে ধীরে বুকের দুধ দেওয়া কম করে দিবেন। তার যদি ক্ষুধা লাগে সেসময় তাকে শাকসবজি দিয়ে নরম খিচুড়ি বানিয়ে খাওয়াবেন।

এভাবে এসে ধীরে ধীরে আপনার বুকে দুধ খাওয়া বাদ দিবে এবং বাসায় তৈরি খাবার খাওয়া শুরু করবে। যদি নতুন মা হয়ে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য উপকারী হতে পারে কারণ আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সুবিধার্থে নবজাতক বাচ্চার যত্ন নিয়ে আলোচনা করেছি আশা করছি উপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে বাচ্চাদের বুকের দুধ ছাড়ানোর উপায় কি। চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা যা খাবেন না।

শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা যা খাবেন না

শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় এমন অনেক খাদ্য রয়েছে যেগুলো মায়েদেরকে এড়িয়ে চলতে হয়। এই সময় আপনি যা খাবেন সেই পুষ্টি আপনার দুধ থেকে আপনার সোনামণি পাবে। এই সময় যেকোনো একটি ভুল আপনার সোনামণি জীবনের ঝুকি হয়ে আসতে পারে এইজন্য আমরা আজকের এই পোস্টে শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ার সময় মাকে কি খেতে পারবে এবং কি কি খেতে পারবে না সেই সম্পর্কে আলোচনা করব চলুন তাহলে আর দেরি না করে এবার আমরা ঝটপট জেনে আসি শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা যা খাবেন না।

কলা
বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় মা কখনোই কলা খাবেন না বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানর সময় আপনি যদি কাচা অথবা পাকা কলা খান তাহলে এটির ইফেক্ট আপনার দুধ হতে আপনার বাচ্চা শরীরে দিবে। এতে বাচ্চার পেটে সমস্যা হবে এজন্য বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় কখনোই কলা খাবেন না। কলা কাঁচা হোক অথবা পাকা এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ রয়েছে তবে এটি বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় খেলে বাচ্চার পেটে সমস্যা হতে পারে।

 বাচ্চা কোষ্ঠকাঠিন্যের মধ্যে সমস্যা দেখা দিতে পারে যেহেতু বাচ্চাদের শরীর খুবই দুর্বল হয় এইজন্য চেষ্টা করবেন বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় কলা এড়িয়ে চলতে। তবে বাচ্চার যদি ডায়রিয়া অথবা পাতলা পায়খানার সমস্যা থেকে থাকে তাহলে বাচ্চাকে ঔষধ না দিয়ে আপনি বেশি বেশি কাঁচা সিদ্ধ কলা খাবেন এতে বাচ্চার সমস্যা দূর হবে।

কমলা
বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় কখনোই কমলা খাবেন না কমলা থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায় এটি আপনার বাচ্চার শরীরে ব্যাড ইফেক্ট দিতে পারেন এইজন্য কখনোই বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানো অবস্থায় কমলা খাবেন না। এছাড়াও গবেষণা দ্বারা জানা গেছে যে বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানোর সময় অতিরিক্ত কমলা খাওয়ার পরে বুকের দুধের হার অনেকাংশে কমে যায় এতে বাচ্চা ঠিকভাবে দুধ পান করতে পারিনা এবং ক্ষুধার্ত অবস্থায় থেকে যায়। এইজন্য এখন থেকে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় কখনোই কমলা খাবেন না।।
লেবু
লেবু থেকে ভরপুর ভিটামিন সি পাওয়া যায় যার বাচ্চা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে এছাড়াও গবেষণা দ্বারা জানা যায় যে আচ্ছা দুধ খাওয়ানোর সময় ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে বুকে দুধের হার অনেকাংশে কম হয় এইজন্য বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় কখনোই লেবু খাবেন না লেবু থেকে ভরপুর ভিটামিন সি পাওয়া যায় আপনি চাইলে গর্ভকালীন সময়ে যত ইচ্ছা তত টক খাবার খেতে পারেন এছাড়াও গর্ভকালীন সময়ে বেশিরভাগ মেয়েদের খাবারের প্রতি বেড়ে যায়।

তাই আপনি চাইলে এই গর্ভকালীন সময়ে ইচ্ছা অনুসারে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারগুলো খেতে পারেন। তবে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় কখনো এই সমস্ত খাবার গুলো খাবেন না। চেষ্টা করবেন যতটা সম্ভব ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাদ্য এড়িয়ে চলতে।

ধূমপান
গর্ভকালীন সময় থেকে শুরু করে থেকে দুধ খাওয়ানোর সময় পর্যন্ত কখনোই ধূমপান করবেন না এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সাথে এটি আপনার বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি করে এই জন্য বাচ্চা সুষ্ঠু বিকাশের জন্য এখন থেকেই ধূমপান বাদ দিন ধূমপান আর্ট এর জন্য ক্ষতিকর এটি হার্টের কার্যক্ষমতা থেকে নষ্ট করে সাথে বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এর জন্য এখন থেকে চেষ্টা করুন ধূমপান এড়িয়ে চলতে।আশা করছি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে,

শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় কি কি খাওয়া যায় না। শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় খাবার সেভাবে কোন বাধা বিপত্তি না থাকলেও বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় কখনোই ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাদ্য খাওয়ানো যাবে না।শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা যা খাবেন না সেই বলছি আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন এবার চলুন আমরা জেনে আসি শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা কি কি খেতে পারবে।

শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা কি কি খেতে পারবে

অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে যে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা কি কি খেতে পারবে? কি খেলে বাচ্চা সুস্থ থাকবে? বাচ্চার সুষ্ঠু বিকাশ হবে? আজকে আমরা সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করব যে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ার সময় কি কি খেতে হবে। অনেক সময় দেখা দেয় মায়েদের বুকে সেভাবে দুধ হয় না এতে বাচ্চাটা পরিমাণমতো দুধ খেতে পায় না ফলে ক্ষুধার্ত অবস্থায় থেকে যায় এতে বারবার কান্না করে এবং বাচ্চার ওজন ধীরে ধীরে কমতে থাকে এই অবস্থায় কোন খাবার গুলো খেলে মায়ের বুকের দুধ কিভাবে এবং বাচ্চা সঠিক বিকাশ হবে জানতে দেখুন

পেঁপে
শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ার অবস্থায় বেশি বেশি পেঁপে খেতে হবে পেটে এতসব পুষ্টিগুণ ভিটামিন রয়েছে যা আপনার শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকার সাথে এটি আপনার বাচ্চা শুয়রের জন্য অনেক বেশি উপকারী নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার ফলে আপনার পেট সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর হবে সাথে বাচ্চার গায়ের রং পরিষ্কার হবে। ভরপুর এন্টিঅক্সিডেন্ট প্রোটিন ভিটামিন এ ভিটামিন বি ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম সোডিয়াম সহ আরো বিভিন্ন প্রকার খনিজ উপাদান ও ভিটামিন পাওয়া যায় যা

বুকের দুধ উৎপন্ন হতে সহায়তা করে এবং বাচ্চার সুষ্ঠু বিকাশে সাহায্য করে। এজন্য এখন থেকে নিয়মিত বেশি বেশি পেঁপে খাবেন।এছাড়াও আপনি যদি নিয়মিত পেঁপে খান তাহলে আপনার ত্বক সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর হবে এবং উজ্জ্বল। গর্ভকালীন সময় থেকে তাকে বিভিন্ন প্রকার সমস্যা দেখা দেয় যেমন ব্রণ কালচে দাগ এই সমস্ত সমস্যা থেকে রেহাই পেতে নিয়মিত পেঁপে খেতে হবে।

সবুজ শাক সবজি
শিশুকে দুধ খাওয়ানোর সময় বেশি বেশি শাকসবজি খেতে হবে শাকসবজি থেকে এত পরিমানে পুষ্টিকর ও ভিটামিন পাওয়া যায় যা আপনি আর অন্য কোথাও পাবেন না।  আপনি নতুন নতুন মা হয়েছেন? তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য উপকারী হতে চলেছে । বাচ্চা কি পৃথিবীতে আনার পর মায়েদের শরীর আগের তুলনায় আরো বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এই সময় শরীরের শক্তি ও এনার্জি ফিরিয়ে আনার জন্য বেশি বেশি শাকসবজি খেতে হবে শাক সবজি খাওয়ার ফলে শরীর সুস্থ থাকবে।

এবং এ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও যাদের বুকে দুধের হার অনেকাংশে কম তারা বেশি বেশি সবুজ শাকসবজি খাবেন এতে দুধের হার দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকবে এবং শরীরও সুস্থ থাকবে । নিয়মিত বাটিতে সিদ্ধ শাকসবজি নিয়ে কাটা চামচের সাহায্যে খাওয়া শুরু করুন। যেমন:  পুই শাক, লাল শাক, কলমি শাক, শান্তি শাক,ব্রকলি, সজনে ডাটা।

ফলমূল
ফলমূল আল্লাহর দেওয়া অপূর্ব এক নেয়ামত এজন্য এখন থেকে বেশি বেশি ফলমূল খেতে হবে এটি যেমন আপনার শরীরের জন্য উপকারী তেমনি আপনার বাচ্চার শরীরের জন্য উপকারী। ভিটামিন এ ভিটামিন বি ভিটামিন কে ভিটামিন সি প্রোটিন ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম সোডিয়াম লোহো ফসফরাসহ আরো বিভিন্ন প্রকার খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন রয়েছে। যা আপনার শরীরে এনার্জি ও শক্তি যোগাবে সাথে বিভিন্ন রোগবালাইকে দূর করবে।

এবং আপনার বাচ্চার শরীরের জন্য খুবই উপকারী এর জন্য এখন থেকে বেশি বেশি ফলমূল খাবেন। ফলমূলের চেয়ে বেশি উপকারী আর কিছুই নেই। নিয়মিত খাদ্য তালিকায় ফর্মুলা রাখবেন ফলমূল খেলে যেমন শরীর ভালো থাকবে তেমনি মন মেজাজও ভালো থাকবে।এইজন্য এখন থেকে বেশি শাক সবজি ও ফলমূল খেতে হবে।

প্রিয় পাঠক আশা করছি উপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় কি কি খেতে হবে। বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় বেশি বেশি শাকসবজি খাবেন এবং ফলমূল খাবেন শাক সবজি ও ফলমূল থেকে ভরপুর ভিটামিন ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায় এগুলো আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী সাথে আপনার বাচ্চার সঠিক বিকাশের সহায়তা করবে আশা করছি এতক্ষণে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় কি কি খেতে হবে।

পাঠকদের কিছু প্রশ্ন 

কি খেলে বুকের দুধ আসে?
বেশি বেশি পানি পান করতে হবে আপনি যত বেশি পানি পান করবেন আপনার বুকে ঠিক ততটাই দূর আসবে। সাথেই বুকে দুধ আসার জন্য বেশি বেশি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।

নবজাতকের গলায় দুধ আটকে গেলে কি করবো?
নবজাতকের গলায় দুধ আটকে গেলে তাকে প্রথমে উল্টো করে মাথা নিচের দিকে করে পিঠে বারবার থাবা দিতে থাকুন এতে তার মুখ দিয়ে গলায় আটকে যাওয়া দুধগুলো বেরিয়ে আসবে তবে এর পরেও যদি বাচ্চার কন্ডিশন ভালো না হয় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব সোনামণিকে হসপিটালে ভর্তি করার চেষ্টা করুন।

বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম কি?
বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম জানতে চাচ্ছেন তাহলে ওপরে দেখুন আমরা বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু আলোচনা করেছি।

কোন মাছ খেলে বুকের দুধ বাড়ে? 
সামুদ্রিক মাছ খেলে বুকের দুধ বাড়ে। বুকের দুধ কম থাকলে বেশি বেশি সামুদ্রিক মাছ খেতে হবে সাথে একটু নামাজ চিংড়ি মাছ, শামুক, অক্টোপাস।

বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়সীমা কত?
বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়সীমা হল ১.৫ থেকে ২ বছর। দুই বছরের মধ্যে বাচ্চাকে দুধ ছাড়ানোর চেষ্টা করবেন।

ইসলামে মেয়ে বাচ্চাদের দুধ ছাড়ানোর সময় কত?
মেয়েদের ক্ষেত্রেও একই সময়সীমা ১.৫ থেকে ২ বছর।

বাচ্চাদের বুকের দুধ ছাড়ানোর উপায় কি?
বাচ্চাদের বুকের দুধ ছাড়তে চাইলে উপরের উপায় গুলো দেখে আসুন আমরা আজকের এই পোস্টটা আপনাদের সুবিধার্থে বাচ্চাদের বুকের দুধ ছাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি।

বাচ্চাকে শুয়ে দুধ খাওয়ালে কি হয়?
থেকে শুয়ে দুধ খাওয়ালে বাচ্চার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে জন্য আর কখনো এই ভুলটি করবেন না বাচ্চাকে শুয়ে শুয়ে কখনোই দুধ খাওয়াবেন না।

বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করনীয় কি?
বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে তাকে জোর করে খাওয়াবেন না। বাচ্চাকে জোর করে দুধ খাওয়ালে সে বমি করে দিতে পারে। বাচ্চাকে সঠিক পদ্ধতিতে দুধ খাওয়াতে চাইলে উপরের উপায় গুলো অনুসরণ করুন।

শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা যা খাবেন না
বুকের দুধ খাওয়ার সময় মা কখনোই কাঁচা কলা পাকা কলা অথবা ভিটামিন খাবেন না চেষ্টা করবেন যতটা এই সমস্ত খাদ্য থেকে এড়িয়ে চলতে।

লেখকের শেষ কথা

পাঠক আমরা আজকের এই পোস্টে বাচ্চাদের শুয়ে দুধ খাওয়ালে কি হয় বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করণীয় কি এবং বাচ্চাকে বুকে দুধ খাওয়ানোর নিয়ম কি সেই সমস্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আপনারা যারা নতুন নতুন মা হয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে এই অভিজ্ঞতাটি একদমই নতুন কারণ এই সমস্ত বিষয়ে না জানাই স্বাভাবিক তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমরা আজকের এই পোস্টে আলোচনা করলাম যে বাচ্চাকে শুয়ে দুধ খাওয়ালে কি হয়। 

বাচ্চাকে শুয়ে দুধ খাওয়ালে বাচ্চার নাকের ছিদ্র এবং মুখের মধ্যে দুধ চলে যেতে পারে এতে বাচ্চার বিশ্বাস আটকে যাবে এইজন্য কখনই বাচ্চাকে শুধু দুধ খাওয়াবেন না চেষ্টা করবেন কোথাও বসে বাচ্চাকে এক সাইডে কোলে নিয়ে দুধ খাওয়ানোর। অনেকে মনে করেন বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো খুবই সহজ তবে প্রথম অবস্থায় সত্যি এটি খুবই কঠিন। ছোটখাটো একটি ভুলের জন্য বাচ্চার জীবন পর্যন্ত চলে যেতে পারে এই জন্য এই সময় খুবই সাবধানতার সাথে দুধ খাওয়াতে হবে।

আমরা আজকের এই পোস্টটি আরো আলোচনা করলাম বাচ্চারা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করনীয় কি। অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চা জন্ম দেওয়ার সময় মায়ের শারীরিক অবস্থা ভালো থাকে না। এই সময় পরিবারের সদস্যরা বাচ্চার ক্ষুধা নিবারণের জন্য বাচ্চাকে কৌটা দুধ পান করায়। তে পরবর্তী সময়ে বাচ্চা আর মায়ের বুকের দুধ পান করতে চায় না কারণ সে কৌটার দুধের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় আপনি যা করবেন বাচ্চাকে প্রথমে ভালো পজিশনে নিবেন ।তারপর বাচ্চাকে ধীরে ধীরে দুধ খাওয়ার চেষ্টা করবেন তাকে কখনো জোর করে দুধ খাওয়াতে যাবেন না এতে সে নাক দিয়ে তুলে ফেলতে পারে কিংবা বমি করে দিতে পারে।

বাচ্চাকে প্রথমে ভালো পজিশনে নিয়ে ধীরে ধীরে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে সে যদি খেতে না চায় তাহলে তাকে এভাবেই ছেড়ে দিতে হবে পরবর্তী সময়ে তার তখন ক্ষুধা লাগবে তখন তাকে ধীরে ধীরে বুকের দুধ দিতে হবে।এতে সে দুধ খাওয়া শুরু করবে আবার যখন আপনার সোনামণি কান্না করবে তখনও তাকে বুকের দুধ বের করে দিবেন এতে সে আপনার দুধের প্রতি অভ্যস্ত হতে থাকবে। আপনি যদি এই উপায় গুলো অনুসরণ করেন তাহলে ১০০ পার্সেন্ট নিশ্চয়তার সাথে সোনামণি আপনার দুধ খাওয়া শুরু করবে। আশা করছি আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url