নবজাতক শিশুদের ঠান্ডা লাগলে করণীয় - ১ মাসের বাচ্চার সর্দি

নবজাতক শিশুকে নিয়ে চিন্তিত যে নবজাতক শিশুদের ঠান্ডা লাগলে করণীয় কি? তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য আজকের এই পোস্টে আলোচনা করবো নবজাতক শিশুদের ঠান্ডা লাগলে করণীয় কি এবং ১ মাসের বাচ্চার সর্দি কিভাবে দূর করা যায়
নবজাতক শিশুদের ঠান্ডা লাগলে করণীয় কি ১ মাসের বাচ্চার সর্দি
শীতকালের ঠান্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়ায় নবজাতক শিশুরা খুব দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে এই সময় শিশুদের ঠান্ডা লাগাটা খুবই স্বাভাবিক কিন্তু আপনি যদি নিম্নোক্ত উপায় গুলো অবলম্বন করেন তাহলে সহজেই আপনার নবজাতক শিশুকে ঠান্ডা লাগা থেকে দূরে রাখতে পারবেন। তাই আপনি যদি আপনার নবজাতক শিশুদের ঠান্ডা লাগা থেকে দূরে রাখতে চান তাহলে এই পোষ্টটি সম্পন্ন করুন আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব শিশুদের ঠান্ডা লাগলে করণীয় কি এবং ১ মাসের বাচ্চার সর্দি কিভাবে দূর করা যায়।

পেজ সূচিপত্র

   ভূমিকা   

শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়া শিশুদের শরীরের সহজেই ঠান্ডা ও নিউমোনিয়ার জন্ম দিতে পারেন এই জন্য নবজাতক শিশুদের সবচেয়ে বেশি যত্ন নিতে হবে নবজাতক শিশুদের শরীর অনেক বেশি না যোগ হয় যার কারণে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম হয় এতে খুব সহজেই তারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। এখনতো শীতকাল এখন সবসময়ই নবজাতক শিশুদের গরম কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।

আর শীতকাল শুধু নবজাতক শিশুদের শরীরের জন্যই কিন্তু ক্ষতিকর নয় বরং তাদের ত্বকের জন্যও অনেক ক্ষতিকর ।এই জন্য তাদের দেহের পাশাপাশি ত্বকের অনেক বেশি যত্ন নিতে হবে তাদেরকে বেবি লোশন বেবি ক্রিম তাদের ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। শিশুদের ত্বক এমনি অনেক বেশি নরম ও পাতলা হয় এতে শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় খুব দ্রুত তাদের ত্বক সংকুচিত হয়ে ফেটে যেতে পারে। এইজন্য শীতকালে বাচ্চাদের শরীরের পাশাপাশি ত্বকের অনেক বেশি যত্ন নিতে হবে। এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি যে নবজাতকের সর্দির লক্ষণ কি কি

নবজাতকের সর্দির লক্ষণ

নবজাতক বাচ্চাদের সব সময় যত্ন নেওয়া উচিত বিশেষ করে এই শীতকালে। এই শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় নবজাতকের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় 80% বেড়ে যায় এজন্য শীতকালের নবজাতক শিশুদের সবচেয়ে বেশি যত্ন নিতে হবে। সব সময় গরম কাপড় পরিয়ে রাখতে হবে গরম দুধ খাওয়াতে হবে। এই সময় নবজাতকের ঠিকভাবে যত্ন না নিলে তার সর্দি, জ্বর ও কাশির পাশাপাশি নিউমোনিয়া দেখা দিতে পারে।
এইজন্য নবজাতকের এই শীতকালে সবচেয়ে বেশি যত্ন নিন। চোদোন নিচে এক নজর দেখে আসি যেন নবজাতকের সর্দির লক্ষণ গুলো কি কি।
  • সর্দির প্রাথমিক লক্ষণ হলো গা গরম হয়ে আসবে
  • নাক থেকে পাতলা পানি পানি ঝরবে
  • বুক ও কান ঠান্ডা হয়ে আসবে
  • নবজাতক শিশু মায়ের বুকের দুধ পান করতে চাইবে না
  • নবজাতক শিশুর ক্ষুধা হ্রাস হবে
  • নবজাতকের নাক বন্ধ হয়ে আসবে ফলে নিঃশ্বাস নিতে না পারায় হাস - ফাঁস করবে
  • বারবার হাচ্ছী দিবে
  • নাক লাল হয়ে আসবে

উপরোক্ত এই সমস্ত লক্ষণগুলো দেখা দিলে আপনি বুঝে নিবেন যে আপনার নবজাতক শিশুর সর্দি হয়েছে। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে নবজাতকের সর্দির লক্ষণ কি কি এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি যে নবজাতক শিশুদের ঠান্ডা লাগলে করণীয় কি।

নবজাতক শিশুদের ঠান্ডা লাগলে করণীয়

এখনতো শীতকাল শীতকালের ঠান্ডা শুষ্ক আবহাওয়ায় নবজাতক শিশুরা সহজেই আক্রান্ত হয়ে পড়ে। এইজন্য শীতকালে না বুঝি তো শিশুদের যত্ন নেয়া কিন্তু আবশ্যক। বাচ্চা আল্লাহর দেয়া সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ নেয়ামত। এই জন্য সবচেয়ে বেশি খেয়াল ও যত্ন শিশুর রাখতে হবে। শীতকালে ছোটখাটো ভুলের কারণে ও নবজাতক শিশুর ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। নবজাতক শিশুদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

অনেক কম হয় যার ফলে তারা খুব দ্রুত যেকোনো আক্রান্ত হয়ে পড়ে।আপনার নবজাতক শিশুও ঠান্ডা ও জ্বরে আক্রান্ত? তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য নবজাতক শিশুদের ঠান্ডা লাগলে করণীয় কি সেই সম্পর্কে জানতে এক নজর নিচে দেখুন।

সরিষার তেল মালিশ
নবজাতক শিশুর ঠান্ডা লাগলে বাচ্চা শরীরে ও বুকে বেশি করে সরিষার তেল মালিশ করতে হবে। সরিষার তেল এ রয়েছে হাজারো পুষ্টিগুন উপাদান যা নবজাতকের বুক থেকে কফ দুর করার পাশাপাশি ঠান্ডা থেকে রেহায় দেয়। আপনার নবজাতক শিশুর যদি ঠান্ডা লেগে থাকে তাহলে তার বুকে নিয়মিত রাত্রে ও সকালে একবার সরিষার তেল বেশি করে মালিশ করবেন এতে তার শরীরের রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে এবং সে দ্রুত ঠান্ডা থেকে রেহাই পাবে।

গরম দুধ
নবজাতক শিশুর যদি ঠান্ডা লেগে থাকে তাহলে তাকে কখনোই ফিডারে ঠান্ডা দুধ খাওয়াবেন না। শুধু ঠান্ডা লাগলেই নয় নবজাতক শিশুকে কখনোই ঠান্ডা দুধ খাওয়ানো উচিত নয় কারণ ঠান্ডা দুধের ফলে তাদের বুকে কফ জমতে পারে পরবর্তী সময়ে নিউমোনিয়া দেখা দিতে পারে এর জন্য শিশুকে সবসময় হালকা গরম দুধ ফিডারে পান করাতে হবে। তবে ফিডারের দুধের চেয়ে সবচেয়ে সেরা হল মায়ের বুকের দুধ।
মায়ের বুকের দুধকে নবজাতক শিশুর জন্য শাল দুধ বলা হয়।এই দুধ পান করলে বাচ্চার শরীরের সমস্ত রোগ বালাই দূর হয় এইজন্য চেষ্টা করবেন নবজাতক শিশুদের সবসময় মায়ের বুকের দুধ পান করানোর।

গরম কাপড়
নবজাতক বাচ্চাদের সবসময় গরম কাপড় পরিয়ে রাখতে হবে। তাদেরকে গরম কাপড় পরিয়ে না রাখলে শীতের এই শুষ্ক হাওয়া তাদের গায়ে লাগলে খুব দ্রুত তারা ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে যেতে পারে এজন্য নবজাতক বাচ্চাদের সব সময় গরম জাতীয় কাপড় গুলো পরিয়ে রাখবেন। আর তাদের কাপড়গুলো প্রতিদিন ভালোভাবে ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করবেন। কারণ তাদের শরীরে যে কোন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

দিনে ৩-৪ টা ডাইপার
আর বাচ্চাদের টাইপের ঘন ঘন চেঞ্জ করবেন। আপনি যদি বাচ্চাদের সারাদিনে একটা ডাইপার ব্যবহার করেন তাহলে তাদের ডাইপার থেকে বুকে ঠান্ডা জমে যেতে পারে এই জন্য ঘন ঘন ডাইপার চেঞ্জ করতে হবে।বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে ডাইপারের জন্যই বাচ্চাদের ঠান্ডা অথবা নিউমোনিয়া তৈরি হয়।

অলিভ অয়েল মালিশ
অলিভ অয়েলে আছে হাজারো প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান। যা নবজাতক শিশুর ঠান্ডা দূর করতে সহায়তা করে এর জন্য নবজাতক শিশু শরীরে বেশি করে অলিভ অয়েল মালিশ করবেন এতে বুকে জমে থাকা কফ ও সর্দি দূর হবে। এছাড়াও অলিভ অয়েলে আছে আরো হাজারো উপাদান যা বাচ্চার ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী এজন্য বাচ্চার ত্বকে বেশি বেশি অলিভ অইল মালিশ করতে হবে।

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে নবজাতক শিশুদের ঠান্ডা লাগলে করণীয় কি এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি যে ১ মাসের বাচ্চার সর্দি লাগলে করণীয় কি

১ মাসের বাচ্চার সর্দি

১ মাসের বাচ্চা শরীর অনেক বেশি নাযুক হয়।এই সময় বাচ্চাদের ঠান্ডায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে নিয়ে যাওয়া যাবে না এবং বাচ্চাকে সব সময় গরম কাপড়ের মধ্যে রাখতে হবে যেন কোনভাবেই বাচ্চার ঠান্ডা না লাগে। না বোঝাতে বাচ্চাদের অনেক বেশি যত্ন নেয়া উচিত বিশেষ করে যারা এক মাসের বাচ্চা রয়েছে তাদের সবচেয়ে বেশি যত্ন নিতে হবে কারণ এই সময়ে তাদের সংক্রমণের হার অনেক বেশি বেড়ে যায়
তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি কম থাকে যার ফলে তারা খুব সহজে যেকোনো রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। আপনার ঘরে কি ১ মাসের বাচ্চা রয়েছে? তার সর্দি হয়েছে? কি করবেন এখন? জানতে নিচে দেখুন
  • ১ মাসের বাচ্চা সর্দি লাগলে তাকে সব সময় গরম কাপড়ের মধ্যে জড়িয়ে রাখতে হবে যেন বাইরের কোন ঠান্ডা শুষ্ক হওয়া তার শরীরে প্রবেশ না করতে পারে
  • ১ মাসের বাচ্চার ক্ষেত্রে কোন প্রকার ডাইপার ব্যবহার করা যাবে না। এই সময়ের ডাইপর ব্যবহার করলে তাদের মাজা শুকিয়ে যেতে পারে। এই সময় বাচ্চাদের শরীর অনেক বেশি নাজুক হয় অর্থাৎ আপনি যেভাবে তাকে গড়ে তুলবেন তার শরীর ঠিক সেভাবেই গড়ে উঠবে এই জন্য ১ মাসের বাচ্চার ক্ষেত্রে কখনোই ডাইপার ব্যবহার করা যাবে না।
  • নবজাতক বাচ্চাকে সব সময় মায়ের বুকের দুধ পান করাতে হবে। এ সময় মায়ের বুকের দুধ তার জন্য ওষুধের মত কাজ করবে।নবজাতকের জন্য মায়ের বুকের দুধকে শালদুধ বলা হয় ,যে দুধ পান করার ফলে বাচ্চার শরীরের সমস্ত রোগ বালাই দূর হয় এই জন্য ১ মাসের নবজাতক বাচ্চাকে সব সময় মায়ের বুকের দুধ পান করাতে হবে।
  • এক মাসের বাচ্চার সর্দি লাগলে তার বুকের হালকা কুসুম গরম সরিষার তেল মালিশ করে দিতে হবে এতে তার বুক থেকে কফ এবং সর্দি দুটোই দূর হবে সরিষার তেলে রয়েছে হাজারো পুষ্টিগুণ ও ভিটামিন যা বাচ্চা শরীরকে গরম রাখে এবং ঠান্ডা দূর করে এই জন্য রোজ সকালে উঠে এবং রাত্রে ঘুমানোর আগে বাচ্চার পুরো শরীরে ভালোভাবে সরিষার তেল দিয়ে মালিশ করে দিবেন।
  • ১ মাসের বাচ্চাকে সপ্তাহে তিন দিন গোসল করাতে হবে। এর চেয়ে বেশি গোসল করালে বাচ্চা শরীরে ঠান্ডা আরো বেশি জমে যেতে পারে এই জন্য সপ্তাহে তিন দিন গোসল করাবেন আর গোসল করানোর পর অবশ্যই সরিষার তেল দিয়ে পুরো শরীর মালিশ করে দিবেন।
  • এক মাসের বাচ্চাকে অবশ্যই হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে তাদেরকে কখনোই ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করানো যাবে না। ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করালে তাদের বুকে কফ জমে যাবে এবং নিউমোনিয়া দেখা দিতে পারে এছাড়াও এখনতো শীতকালে শীতকালে ঠান্ডা পানিতে গোসল করানোর প্রশ্নই উঠে না।
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে এক মাসের বাচ্চার সর্দি লাগলে কি করতে হবে। নবজাতক বাচ্চা যদি ঠান্ডা লাগে তাহলে তাকে কখনোই ঔষধ খাওয়াবেন না। ছোট থেকে যদি আপনি নবজাতক বাচ্চা কে ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করেন তাহলে বড় হলেও তার মধ্যে এই অভ্যাসটি রয়ে যাবে।এই জন্য চেষ্টা করবেন সবসময় ঘরোয়া উপায় গুলো অবলম্বন করার আর ঘরোয়া উপায় গুলোর মাধ্যমে

নবজাতকের ঠান্ডা সেরে তোলার। আর যদি নবজাতকের ঠান্ডা খুব বেশি হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন চিকিৎসকের পরামর্শ বিহীন নবজাতক কে কখনোই কোন প্রকার ওষধ খাওয়াবেন না।এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি যে 2 মাসের শিশুর কাশি হলে করণীয় কি?

2 মাসের শিশুর কাশি হলে করণীয়

দুই মাসের শিশু শরীর অনেক বেশি নাটক এই অবস্থায় তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি কম থাকে ফলে তারা খুব সহজে যে কোন রোগ দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। এইজন্য নবজাতক বাস শিশুদের সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখতে হবে আর নবজাতক শিশু হল আল্লাহর দেয়া শ্রেষ্ঠ নেয়ামত এই জন্য এর যত্ন ও খেয়াল রাখা আবশ্যক। অল্প একটু ভুলের কারনেও দেখা দিতে পারে 

শিশুর শরীরে নানান সমস্যা।তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব যে 2 মাসের শিশুর কাশি হলে করণীয় কি। দুই মাসের শিশুর যদি কাশি হয় তাহলে প্রথমে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ শিশুটির বয়স অনেক কম এই সময়ে তাকে যেকোন ওষুধ দেওয়া যাবে না। আর চেষ্টা করবেন ঘরোয়া উপায় এর মাধ্যমে নবজাতকের কাশি দূর করার। নবজাতকের কাশি হলে তাকে কখনোই ঠান্ডা দুধ

খেতে দিবেন না ঠান্ডা দুধ খেলে তার কাশি আরো বেশি বেড়ে যেতে পারে এই জন্য সবসময় হালকা গরম দুধ খাওয়াবেন। আর দুই মাসের নবজাতক শিশুর কাশি দূর করতে কয়েকটি তুলসী পাতা নিবেন সেটি ভালোভাবে ধুয়ে তার রস বের করে তার মধ্যে একটি পানি মিশিয়ে এক চা চামচ সেই তুলসী পাতার রস ২ মাসের শিশুকে খাওয়াবেন এতে খুব দ্রুতই বাচ্চাটি কাশি থেকে রেহাই পাবে।আর এখন তো শীতকাল

এই সময় নবজাতক শিশুর অনেক বেশি যত্ন নিবেন এই সময় বাচ্চার যত না নিলে বাচ্চার শরীরে কাশি থেকে পরবর্তী সময় নিউমোনিয়া দেখা দিতে পারে। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে দুই মাসের শিশুর কাশি হলে করণীয় কি এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি যে ৩ মাসের শিশুর সর্দি কাশি হলে করণীয় কি।

৩ মাসের শিশুর সর্দি কাশি হলে করণীয়

এখনতো শীতকাল শীতকালে বাচ্চাদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা ৮০% বেশি বেড়ে যায় এজন্য না বোঝাতে শিশুদের সবচেয়ে বেশি যত্ন নিতে হবে এই সময়ে কারণ অল্প কিছু ভুল ত্রুটির কারণে দেখা দিতে পারে নবজাতকের শরীরে নানান সমস্যা। এই জন্য আজকের এই পোস্টে আলোচনা করব যে তিন মাসের শিশুর সর্দি কাশি হলে করণীয় কি তিন মাসের শিশুর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অবশ্যই অনেক কম হবে।

এজন্য সবসময় তোর যত নিতে হবে তাকে গরম দুধ দুধ পান করাতে হবে এই গরম কাপড়ের এ সবসময় জড়িয়ে রাখতে হবে এবং প্রতিদিন সকালে এক চামচ অথবা আধা চামচ মধু খাওয়াবেন। মধু কিন্তু শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী।মধুতে রয়েছে হাজারো ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ।মধুতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা সর্দি কাশি দূর করতে ওষুধের মত কাজ করে এই জন্য তিন মাসের নবজাতক

শিশুকে রোজ সকালে এক চামচ অথবা আধা চামচ মধু খাওয়াবেন এতে খুব দ্রুত সে সর্দি ও কাশি থেকে রেহাই পাবে। তবে সবার আগে তিন মাসের শিশুর সর্দি কাশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে তিন মাসের শিশু সর্দি কাশি হলে করণীয় কি এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি যে ৪ মাসের শিশুর কাশি হলে করণীয় কি

৪ মাসের শিশুর কাশি হলে করণীয়

৪ মাসের শিশুর কাশি হলে অবশ্যই তার যত্ন নিতে হবে তাকে সব সময় গরম কাপড় পরিয়ে রাখতে হবে এবং গরম দুধ খাওয়াতে হবে আর সপ্তাহের তিন থেকে চারবার গোসল করাতে হবে। আর সব সময় হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে কারণ এই শীতকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করালে শিশুর কাশি আরো বেশি বেড়ে যেতে পারে এই সময় শিশুর বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। 

কারণ নবজাতক শিশুদের শরীর অনেক বেশি নাজুক হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম হয় যার ফলে তারা খুব সহজেই এবং দ্রুত যেকোনো রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়ে যায়। ৪ মাসের শিশুর যদি কাশি হয় তাহলে তাকে এক চা চামচ আদার রস খাবেন এতে খুব দ্রুত শেখ কাশি থেকে রেহাই পাবে এছাড়াও তাকে তুলসী পাতার রস খাওয়াতে পারবেন।৩-৪ টি তুলসী পাতা ভালোভাবে পরিষ্কার করে

তার রস বের করে নিবেন তার মধ্যে একটু মধু মিশিয়ে এক চা-চামচ তুলসী পাতার রস খাওয়াবেন এতে খুব দ্রুত আপনার শিশু কাশি থেকে রেহাই পাবে। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে চার মাসে শিশুর কাশি হলে করণীয় গীত এবার চলুন তাহলে আমরা এক নজর দেখে আসি যে ৫ মাসের শিশুর কাশি হলে করণীয় কি

৫ মাসের শিশুর কাশি হলে করণীয়

৫ মাসের শিশুদের বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। এখনতো শীতকাল এই সময় তাদের কমলালেবুর রস পেঁপের রস এবং কলা খাওয়ানো যাবে না কারণ এই সমস্ত ফলগুলো ঠান্ডা জাতীয় ফল এই সমস্ত ফলগুলো খাওয়ার ফলে পাঁচ মাসে শিশুর কাশি আরো বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে এজন্য তাদের সব সময় গরম গরম দুধ অথবা খাবার খাওয়াবেন এতে তারা খুব দ্রুত কাশি থেকে রেহাই পাবে। তুলসী পাতার রস 

এতে আছে হাজারো ওষুধি গুনাগুন ও ভিটামিন যা পাঁচ মাসের শিশুর কাশির নিমিষে দূর করতে পারে এই জন্য আপনার বাচ্চার কাশি দূর করতে চাইলে দুই থেকে তিন দিন রোজ সকালে ২ চা চামচ তুলসীপাতার রস পান করাবেন। আর রাত্রে ও সকালে নিয়মিত দুই চা চামচ মধু খাওয়াবেন মধুতে রয়েছে হাজারো উপাদান যেমন অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এন্টিঅক্সিডেন্ট ও আন্টি উপাদান যা পাঁচ মাসের

শিশুর কাশিকে দূর করতে পারে। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে ৫ মাসের শিশুর কাশি হলে করণীয় কি এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি যে ৬ মাসের শিশুর কাশি হলে করণীয় কি

৬ মাসের শিশুর কাশি হলে করণীয়

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় দিনে এক থেকে দুইটা ডাইপার চেঞ্জ করার কারণে ৬-৭ মাসের শিশুর কাশি এবং নিউমোনিয়া দেখা দেয়। এজন্য দিনে তিন থেকে চারটা শিশুর ডাইপার চেঞ্জ করতে হবে। ভেজা ডাইপারের কারণে বেশিরভাগ সময়ে ছয় থেকে সাত মাসের শিশুগুলোর নিউমোনিয়া এবং কাশি হয়। আর এখন তো শীতকাল এই শীতকালে বাচ্চার ডাইপার একটু ভিজলেও তা চেঞ্জ করতে হবে।

আর শিশুর বুকে এবং কানের পিছে ভালোভাবে সরিষার তেল মালিশ করতে হবে এতে খুব দ্রুত সে কাশি থেকে রেহাই পাবে।সাথেই তুলসী পাতার রস পান করাতে পারবেন। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে ৬ মাসের শিশুর কাশি হলে করণীয় এবার চলুন তাহলে আমরা একনজর দেখে আসি যে

৬ মাসের শিশুর কাশি হলে করণীয়

ছয় মাসের শিশুদের কাশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে আর বাসায় ঘরোয়া উপায় এর মাধ্যমেও কাশি দূর করার চেষ্টা করতে হবে ঘরোয়া উপায় অর্থাৎ যেমন সাপ্তাহে দিন দিন হালকা কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে তাকে গোসল করে দিতে হবে আর গোসল করানোর পর সরিষার তেল অথবা অলিভ অয়েল তেল দিয়ে পুরো শরীর ভালোভাবে ম্যাসাজ করে দিতে হবে এতে শিশুর শরীরের রক্ত সঞ্চালন আরো

বেশি বৃদ্ধি পাবে এবং তার কাশি খুব দ্রুত সেরে যাবে। সাথেই রোজ সকালে ১ থেকে ২ চা চামচ মধু এবং তুলসী পাতার রস খাবেন এতে খুব দ্রুত আপনার শিশুর কাশি দূর হবে এবার চলুন তাহলে আমরা এক নজর দেখে আসি যে ৯,১০ ও ১১ মাসের শিশুর কাশি হলে করণীয় কি

৯,১০ ও ১১ মাসের শিশুর কাশি হলে করণীয়

নয় দশ ও এগারো মাসি শিশুর কাশি হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কোন একটি ভাল সিরাপ খাওয়াতে হবে। এতে খুব দ্রুত আপনার শিশুর কাশি দূর হবে। তবে তাকে ওষুধ খাওয়ার আগে চেষ্টা করতে হবে যে ঘরোয়া উপায় মাধ্যমে তার কাশি দূর করার কারণ নবজাতক শিশুদের সামান্য কারণে ওষুধ খাওয়াবো উচিত নয়। আর এখন তো শীতকাল শীতকালে বাচ্চাদের সর্দি কাশি লেগেই থাকে

তাই চেষ্টা করবেন সবসময় বাচ্চার যত্ন নিয়ে এবং এই ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে দূরে রাখার। আর সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন গোসল করাবেন। এই শীতকালে রোজ গোসল করানোর দরকার নেই। আর অবশ্যই হালকা কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে এই শীতকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করানো যাবে না। বাচ্চাদের শরীর অনেক বেশি না যুগ হয় আর বিশেষ করে নবজাতকদের শরীরে রোগ

প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি কম হয় এজন্য এই সময় তাদের যত্ন নেওয়া আবশ্যক। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে ৯,১০ ও ১১ মাসের শিশুর কাশি হলে করণীয় কি।এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি যে নবজাতকের সর্দির ঔষধ কি কি

নবজাতকের সর্দির ঔষধ

নবজাতক শিশুদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়ানো উচিত নয়।কারণ এই সময় তাদের শরীরে সংক্রমনের হার অনেক বেশি তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম থাকে।এতে তারা খুব দ্রুত যেকোনো রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পড়ে এর জন্য তাদেরকে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়ানো উচিত নয়।আপনার নবজাতকের যদি সর্দি লাগে তাহলে চেষ্টা করবেন ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যম

 তার সর্দির সেরে ফেলার তার বুকে সরিষার তেল অথবা অলিভ তেল মালিশ করে দিতে পারেন কিংবা তাকে এক থেকে দুই চা চামচ তুলসী পাতার রস খাওয়াতে পারেন এতেও সে খুব দ্রুত সর্দি থেকে রেহাই পাবে। আর সর্দির পরিমাণ যদি খুব বেশি হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শবিহীন নবজাতকে কখনোই কোন প্রকার ওষুধ সেবন করানো যাবে না। 

নবজাতকদের সর্দি হলে নাক বন্ধ হয়ে আসে এবং নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় এই সময় তেল দিয়ে পুরো শরীর ভালো হবে মাসাজ করে দিবেন সাথে একটু তেল নাকে দিবেন এতে তার খুব দ্রুত সর্দি দূর হবে। আর রোজ সকালে এবং রাতে শোয়ার আগে নবজাতককে এক থেকে দুই চা চামচ মধু খাইয়ে দিবেন মধু যেমন সর্দি দূর করে তেমনি নবজাতকের শরীরে এনার্জি পুষ্টি যোগায়।সর্দি এটি যদিও কোন জটিল রোগ নয়

তবে নবজাতকদের জন্য অনেক বেশি অস্বস্তিকর এবং কষ্টকর।অনেকেই আছে যারা নবজাতকদের জ্বর সর্দি কাশি হলে তাদের প্যারাসিটামল ওষুধ ভেঙ্গে খাবার এটি সম্পূর্ণ নিষেধ। ডাক্তারের পরামর্শ বিহীন নবজাতকদের কখনোই কোন প্রকার ওষুধ খাওয়ানো যাবে না আর প্যারাসিটামল এটি বড়দের জন্য। নবজাতকদের প্যারাসিটামল খাওয়ালে তাদের শরীরের নানান সমস্যা ও রোগ বালাই বাসা বাঁধতে পারে

এই জন্য এখন থেকে সতর্ক হোন এবং নবজাতকদের বিশেষভাবে খেয়াল রাখুন এখন শীতকাল ,এই শীতকালে বাইরের শুষ্ক ও আদ্র আবহাওয়া নবজাতকদের শরীরের নানান রোগ বাসা বাঁধে এই জন্য তাদেরকে সব সময় গরম কাপড় পরিয়ে রাখুন। পাঠক আপনি যদি অপরক্ত ঘরোয়া উপায় গুলো মেনে চলেন তাহলে খুব দ্রুত আপনার নবজাতকের সর্দি সেরে যাবে আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে নবজাতককে চিকিৎসকের পরামর্শ বিহীন কোনো ঔষধ খাওয়ানো যাবে না।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আমরা আজকের এই পোস্টে আলোচনা করলাম যে নবজাতক শিশুদের ঠান্ডা লাগলে করণীয় কি এবং এক মাসের বাচ্চা সর্দি কিভাবে দূর করা যায় সেই সম্পর্কে। এখনতো শীতকাল এই সময়ে আপনার নবজাতকের ঠান্ডা ও জ্বর সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৮০% বেড়ে যায় এই জন্য আপনার নবজাতকের সবচেয়ে বেশি যত্ন ও খেয়াল এই সময় রাখতে হবে।অল্প একটু ভুল অথবা

ত্রুটির কারণে ও আপনার নবজতকের শরীরে নানান রোগ বালাই দেখা দিতে পারে এই জন্য সবসময় চোখে রাখবেন এবং ওপরের আলোচনা করা প্রত্যেকটি ঘরোয়া উপায় গুলো অনুসরণ করবেন তাহলে আপনি খুব সহজেই আপনার নবজাতকের সর্দি কাশি ও ঠান্ডা লাগা দূর করতে পারবেন। আর কখনোই নবজাতককে চিকিৎসকের পরামর্শবিহীন কোন প্রকার ঔষধ সেবন করাবেন না এতে

বাচ্চার মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে নবজাতকের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি কম হয় যার ফলে তারা যেকোনো রোগে খুব সহজেই আক্রান্ত হয়ে যায় এই জন্য এই সময় তাদের সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখতে হবে আশা করছি আজকের এই পোস্টটি দ্বারা আপনি উপকৃত হয়েছেন যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন।আর হ্যাঁ আপনি যদি এমন পোস্ট আরো পেতে চান তাহলে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url