বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করনীয় জেনে নিন

বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করনীয় কি জানতে চান? তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন। আমরা আজকের এই পোস্টে নবজাতক বাচ্চা মায়ের বুকের দুধ খেতে না চাইলে কি করনীয়, সেই বিষয়ে আলোচনা করব। বাচ্চাকে সঠিকভাবে বুকের দুধ খাওয়াতে চাইলে সবার প্রথমে আপনাকে জানতে হবে বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম কি। ভুল নিয়মে নবজাতক বাচ্চাদের দুধ খাওয়ালে তারা দুধ মুখে নিতে চায় না। চলুন আর দেরি না করে এবার আমরা জেনে আসি বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করনীয় কি এবং বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম কি।
বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করনীয় জেনে নিন
জন্মের ছয় মাস পর্যন্ত বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো আবশ্যক। বুকের দুধ এই সময় নবজাতক বাচ্চার জন্য শাল দুধ হিসেবে কাজ করে। এই দুটি বাচ্চার শরীরের সমস্ত রোগবালাকে দূর করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে এর জন্য অন্তত প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াবেন তবে বাচ্চা যদি দুধ খেতে না চাই, তাহলে নিচের উপায় গুলো অনুসরণ করুন এই উপায় গুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে ১০০% নিশ্চয়তার সাথে বাচ্চা বুকের দুধ খাবে। বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করনীয় কি এবং বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াতে নিয়মগুলো জানতে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন।

পেজ সূচিপত্র

      ভূমিকা       

জন্মের পর শিশুর মায়ের দুধ তার শরীরে ওষুধের মতো কাজ করে। এইজন্য প্রত্যেকটি মা চেষ্টা করবেন জন্মের পর শিশুকে নিজের বুকের দুধ পান করানোর। বুকের দুধে এক এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা বাচ্চা শরীরের আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে বৃদ্ধি করে এছাড়াও ইসলামের বলে জন্মের পর মা যত বেশি তার বাচ্চাকে দুধ খাওয়াবে এতে বাচ্চার সাথে তার সম্পর্ক ঠিক ততটাই গভীর হবে এর জন্য বেশি বেশি বাচ্চাকে দুধ খাওয়াবেন। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় নবজাতক বাচ্চারা মায়ের দুধ মুখে নিতে চায় না।

অথবা জোর করে দুধ খাওয়ালে তারা বমি করে ফেলে এই  অবস্থায় কি করা উচিৎ? নবজাতক শিশুরা নিষ্পাপ হয় আপনি তোদেরকে যেভাবে গড়ে তুলবেন তারা ঠিক সেভাবেই গড়ে উঠবে। অনেক সময় দেখা যায় আমরা বাচ্চা জন্ম হওয়ার পর বাচ্চাকে কৌটা দুধ পান করায় এতে সে কৌটা দুধের প্রতি অভ্যস্ত হয়ে পড়ে পরবর্তী সময় যখন আমরা বুকের দুধ খাওয়ার চেষ্টা করি তখন সে দুধটি খেতে চায় না এর কারণ হলো সে কৌটার দুধের প্রতি অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে।


চেষ্টা করবেন প্রথম অবস্থা থেকেই বাচ্চাকে নিজের দুধ পান করানোর এ দেশে আপনার দুধের প্রতি অভ্যস্ত হয়ে পড়বে। তবে এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে চাইলে নিচের উপায় গুলো অনুসরণ করুন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে এবার আমরা ঝটপট জেনে আসি বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করনীয় কি।

বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করনীয়

বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করনীয় কি? বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে বাচ্চাকে জোর করে বুকে দুধ খাওয়ানো যাবে না এতে সে বমি করে দিবে কিংবা তার নাক দিয়ে দুধ উঠে পড়তে পারে। একটি বাচ্চা পৃথিবীতে আসার পর তার সাথে মায়ের সম্পর্ক সবচেয়ে বেশি ঘনিষ্ঠ এবং গভীর হয়। বাচ্চা তার মায়ের গন্ধ ও তার মায়ের আওয়াজ এর সাথে পরিচিত হয়। এই সময় তার 'মা' যেন তার একমাত্র আস্থা এবং ভরসা। প্রথম অবস্থাতেই যখন আমরা বাচ্চাকে কৌটার দুধের প্রতি অভ্যস্ত করে ফেলি তখন তারা পরবর্তী সময় আর মায়ের বুকের দুধ পান করতে চায় না তারা সেই কৌটার দুধই পান করতে চায়। এই সময় আপনার যা করা উচিত,

  • শিশুকে দুধ খাওয়ানোর আগে প্রথমে নিপলটিকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন।
  • নিপল অপরিষ্কার থাকলে বাচ্চারা মুখে নিতে চায় না।
  • বাচ্চাকে সঠিক পজিশনে নিয়ে দুধ খাওয়াতে হবে।
  • বাচ্চাকে সঠিক পজিশনে কোলে জড়িয়ে নিয়ে, ধীরে ধীরে দুধ খাওয়াতে হবে।
  • বাচ্চাকে এই অবস্থায় কোনোভাবে জোর করা যাবে না আপনি যদি জোর করেন তাহলে সে বমি করে দিতে পারে।
  • খেয়াল রাখবেন দুধে যেন কোনভাবে হাওয়া অথবা বাতাস না লাগে।
  • বাচ্চা যদি দুধ খেতে না চায় সে ক্ষেত্রে তাকে সেভাবেই ছেড়ে দিবেন, অযথাই জোর  করবেন না।
  • বাচ্চা যখনই কান্না করবে তখনই তাকে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। এতে সে ধীরে ধীরে আপনার দুধের প্রতি অভ্যস্ত হতে থাকবে।
  • বাচ্চার প্রচন্ড ক্ষুধা লাগলেও তাকে কৌটার দুধ পান করাবেন না।
  • প্রচন্ড ক্ষুধা লাগলে তাকে জোর করে বুকের দুধ পান করানোর চেষ্টা করবেন এই অবস্থায় সে নিশ্চয়ই দুধ পান করবে।

এভাবে এক দুই দিন এই টিপসগুলো অনুসরণ করলে ধীরে ধীরে সে আপনার দুধের প্রতি অভ্যস্ত হয়ে থাকবে এবং সে পরবর্তী সময়ে আর কখনোই কৌটার দুধ পান করবে না।আশা করছি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করনীয় কি। তুই খুবই সাধারণ সমস্যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় বাচ্চা হওয়ার পর মায়ের শরীর ভালো না থাকলে তখন পরিবারের সদস্যরা বাচ্চাকে ক্ষুধা নিবারণের জন্য কৌটার দুধ পান করায় এই অবস্থায় বাচ্চার কৌটার দুধের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে।

পরবর্তী সময়ে সে আর মায়ের বুকের দুধ পান করতে চায় না। এটি খুবই সাধারণ সমস্যা, এটা নিয়ে চিন্তার কোন বিষয় নেই উপরের উপায় গুলো অনুসরণ করলে আপনি সহজে বাচ্চাকে বুকের দুধের প্রতি অভ্যস্ত করতে পারবেন আশা করছি উপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করনীয় কি। এবার চলুন আমরা জেনে আসি বাচ্চা বুকের দুধ খেতে চায় না কেন।

বাচ্চা বুকের দুধ খেতে চায় না কেন

আপনি কি জানেন বাচ্চা বুকের দুধ খেতে চায় না কেন? একটি বাচ্চা জন্ম হওয়ার পর তার খাদ্য হিসেবে রয়েছে মায়ের বুকের দুধ। আয়ের বুকের দুধ শিশুর জন্য শালদুধ হিসেবে কাজ করে, এটি শিশু শরীরে ঔষধের মতো। তো তোর শিশুর জন্মের ছয় মাস পর্যন্ত বাচ্চাকে মায়ের দুধ পান করানো আবশ্যক মায়ের বুকের দুধ পান করালে শিশুর শরীরের রোগ বালাই দূর হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় শিশুদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বড়দের তুলনায় অনেক কম হয়।

এই জন্য বাচ্চা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চাইলে বেশি বেশি সাল দুধ পান করাবেন। চাল দূষণ না করালে শিশুর বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় যেমন শিশুর শরীরে চুলকানি সৃষ্টি হয় এবং খসখসে  আরো নানান সমস্যা দেখা দেয় এই সমস্ত সমস্যার একটি ওষুধ হল মায়ের বুকের দুধ হে বন্ধুরা মায়ের বুকের দুধ শিশুর জন্য খুবই উপকারী এজন্য চেষ্টা করবেন শিশুকে মায়ের বুকের দুধ পান করানোর তবে অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চারা মায়ের বুকের দুধ খেতে চায় না। 

জোর করে খাওয়াতে গেলে সে বমি করে ফেলে। এই অবস্থায় আপনি উপরের উপায় গুলো অনুসরণ করতে পারেন বুকের দুধ খেতে না চাইলে করনীয়। তাহলে চলুন এবার আমরা জেনে আসি বাচ্চা বুকের দুধ খেতে চায় না কেন?

  • বাচ্চাকে প্রথম অবস্থায় কৌটার দুধের প্রতি কিংবা অন্য কোন খাবারের প্রতি অভ্যস্ত করে তুললে সে মায়ের বুকের দুধ পান করতে চায় না।
  • নিপল অপরিষ্কার থাকলে দুধ পান করতে চায় না।
  • বাচ্চাকে ভুল পজিশনে নিয়ে দুধ খাওয়ালে সে কোনভাবেই দুধ পান করতে চায় না।
  • বাচ্চার পেট ভরা থাকলেও সে দুধ পান করতে চায় না জোর করে দুধ খাওয়ালে সে বমি করে তুলে ফেলে।
  • বাচ্চার অথবা জ্বর থাকলে সে দুধ পান করতে চায় না।
  • বাচ্চাকে সঠিক পজিশনে নিয়ে ধীরে ধীরে দুধপান করাতে হবে।
  • বাচ্চাকে জোর করে দুধ পান করানো যাবে না এতে সে দুধ নাক দিয়ে অথবা বমি করে তুলে ফেলতে পারে।

আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে বাচ্চা বুকের দুধ খেতে চায় না কেন মূলত উপরের এই কারণগুলোর জন্য বাচ্চা বুকের দুধ খেতে চায় না। বাচ্চাকে দুধ খাওয়ার জন্য প্রথমে তাকে সঠিক পজিশন নিতে হবে তারপর ধীরে ধীরে বুকের দুধ পান করাতে হবে তারপরও যদি সে বুকের দুধ পান করতে না চায় তাহলে ওপরের উপায় গুলো অনুসরণ করুন। এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি কিভাবে বুঝব বাচ্চা বুকের দুধ পাচ্ছে নাকি। কারণ অনেক সময় এমন হয় আমরা বাচ্চাকে দুধ দেই কিন্তু বাচ্চা ঠিকভাবে দুধ পায় না।

কিভাবে বুঝব বাচ্চা বুকের দুধ পাচ্ছে

কিভাবে বুঝব বাচ্চা বুকের দুধ পাচ্ছে? অনেক সময় আমরা বাচ্চাকে দুধ খাওয়ায় কিন্তু বাচ্চা ঠিকভাবে দুধ পায় না এই অবস্থায় আমরা বুঝতে পারি না এবং দুধ খাওয়া শেষ হলে সেভাবে বাচ্চাকে ছেড়ে দেই এভাবে বাচ্চা ক্ষুধার্ত থেকে যায় এবং কান্না করে। এই সমস্যাটি প্রথম অবস্থায় সবার ক্ষেত্রেই হয় কারণ মেয়েরা যখন প্রথম প্রথম মা হয়, প্রত্যেকটি অভিজ্ঞতা কিন্তু তাদের মধ্যে থাকে না প্রথম প্রথম সবারই এই ভুলটি হয় তবে আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব কিভাবে বুঝবো বাচ্চা বুকের দুধ বাড়ছে কিনা।

  • দুধ খাওয়ার সময় লক্ষ্য করুন শিশুর ঠোটের কোনায় মুখের ভেতরে দুধ দেখা যাচ্ছে কি। যদি দেখা যায় তাহলে বুঝবেন বাচ্চা সঠিকভাবে দুধ পাচ্ছে।
  • দুধ খাওয়ার সময় লক্ষ্য করবেন সে স্বাভাবিক আছে  কি অর্থাৎ সে যদি দুধ না পায় তাহলে সে কান্না শুরু করবে।
  • বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় সঠিক পজিশনে নিয়ে দুধ খাওয়াতে হবে অর্থাৎ বাচ্চার মাথা কাধ বরাবর সমান রাখতে হবে হেলিয়ে দুলিয়ে বাঁকা করে নিয়ে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো যাবে না।
  • বাচ্চার দুধ পেলে লক্ষ্য করবেন সে চোখ বন্ধ করে দুধ খেতে থাকবে এবং সে চুপ থাকবে।
  • আচ্ছা সঠিকভাবে দুধ পান করলে দিনে ৭ থেকে ৮ বার মূত্র ত্যাগ করবে।

  • এক থেকে দুই বার মলত্যাগ করবে।
  • বাচ্চা সঠিকভাবে দুধ পেলে তার ওজন ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকবে আর স্বাভাবিকের তুলনায় ওজন ধীরে ধীরে রাস পেতে থাকলে ভাববেন বাচ্চা ঠিকভাবে দুধ পান করতে পারে না। 

ওপরে লক্ষণ গুলো দেখে আপনি বুঝতে পারবেন যে বাচ্চা বুকের দুধ পাচ্ছে কিনা। অনেক সময় আমরা দুশ্চিন্তায় থাকি যে বাচ্চা দুধ পাচ্ছে কি। প্রথম অবস্থায় প্রত্যেকটি মায়ের ক্ষেত্রে এমন সমস্যা দেখা দেয় তবে এই অবস্থায় আপনি চাইলে কোন চিকিৎসক অথবা নার্সের সাহায্য নিতে পারেন মাধ্যমে আপনি সহজে বুঝতে পারবেন যে আপনার সোনামণি দুধ পাচ্ছে নাকি। আপনি কি নতুন নতুন মা হয়েছেন? আপনি কি জানেন বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সঠিক নিয়ম কি? না জানলে নিচে দেখে নিন বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম।

বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম

বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম খুঁজছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন আমরা আজকের এই পোস্টে বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম সম্পর্কে খুঁটিনাটি আলোচনা করব। প্রথম প্রথম মা হলে এসব বিষয়ে একটু ধারণা রাখা উচিত কারণ প্রথম অবস্থায় প্রত্যেকেই সবকিছু জানে এমনটা কিন্তু নয় এইজন্য আমাদের এই ছোট ছোট নিয়ম কানুন গুলো জেনে রাখা দরকার। চলুন তাহলে এবার আর দেরি না করে আমরা ঝটপট জেনে আসি বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম গুলো।

  • বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় প্রথমে নিশ্চিত করুন যে বাচ্চা সঠিক পজিশনে রয়েছে।
  • সঠিক পজিশনে রেখে ধীরে ধীরে দুধ খাওয়াতে হবে
  • বাচ্চার মুখে  নিপল এক ইঞ্চি পর্যন্ত ঢুকাতে দিতে হবে।যেনো বাচ্চা ঠিকভাবে দুধটি খেতে পারে।
  • বাচ্চার ঠোঁটের এক সাইডে লক্ষ্য করুন বাচ্চা ঠিকভাবে দুধ পাচ্ছে কি।
  • বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় নড়াচাড়া করবেন না, কিংবা হেলেদুলে চলবে না এতে বাচ্চা ঠিকভাবে দুধ পাবে না।
  • বাচ্চাকে দুধ দেওয়ার আগে নিপল ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিবেন।
  • নিপল অপরিষ্কার থাকলে বাচ্চা দুধ খেতে চাইবে না।

বাচ্চাকে দুধ দেওয়ার সময় উপরের এই নিয়মগুলো মেনে চলবেন। বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর বিশেষ করে নিয়ম নেই তবে উপরের এই নিয়মগুলো মেনে চললেই বাচ্চা ঠিকভাবে দুধ পান করবে। আশা করছি উপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম কি। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় মায়ের বুক থেকে সেভাবে দুধ বের হয় না এতে বাচ্চার পেট ভরে না এবং বাচ্চা ক্ষুধার্ত থেকে যায় এই অবস্থায় কি করা উচিত? বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় গুলো দেখে নিন।

 বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়

বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় খুঁজছেন? বাচ্চা হবার অন্তত প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো আবশ্যক কারণ বাচ্চার বুকের দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ ও ভিটামিন যা বাচ্চা শরীরের জন্য খুবই উপকারী এটি বাচ্চা শরীরে শাল দুধ হিসেবে কাজ করে বাচ্চার শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যোগায় প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। জন্য প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়াতেই হবে অনেকে রয়েছে যারা কৌটার দুধ পান করাই,

কৌটার দুধ পান করার ফলে আপনি রক্ষা করবেন বাচ্চার শরীরের বিভিন্ন প্রকার সমস্যা দেখা দিবে যেমন চুলকানি রেস খোসখোসে ভাব।এইসব সমস্যা থেকে রেহাই পেতে বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো শুরু করুন। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় মায়ের বুকের দুধের হার অনেকাংশে কম হয়। বুকের দুধ কম হলে বাচ্চার পেট ভরে না তে বাচ্চা কান্না করা শুরু করে এবং ধীরে ধীরে বাচ্চার ওজন কমতে থাকে। এক্ষেত্রে বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে নিচের উপায় গুলো অনুসরণ করুন।

পানি পান
বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে চাইলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে পানি পান করার ফলে বুকে অনেক দুধ হয় এতে বাচ্চার ইচ্ছা অনুসারে দুধ পান করতে পারে।বেশি পানি পান করলে স্তনে দুধ জমা হয়। আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে পানি আমাদের শরীরের প্রায় এক-তৃতীয়াংশে জুড়ে রয়েছে এই জন্য পানির ভূমিকা এক দুই লাইনে বলে শেষ করা সম্ভব নয়। আপনি যদি বেশি বেশি পানি পান করেন তাহলে একদিকে যেমন আপনার বুকে দুধের পরিমাণ জমতে থাকবে।

তেমনি এটি আপনার বাচ্চার জন্য খুবই উপকারী। দেখা যায় মা যদি সেই ভাবে পানি পান না করে তাহলে বাচ্চার শরীর শক্ত হতে থাকে এবং বাচ্চার ত্বক খসখসে হতে থাকে। এখন থেকে নিয়মিত দিনে তিন থেকে চার লিটার পানি পান করবেন।

গরুর দুধ
ঘরোয়া পদ্ধতিতে বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে চাইলে গরুর দুধ পান করতে হবে। গরুর দুধ থেকে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ ভিটামিন পাওয়া যায় যা মায়ের শরীরের জন্য খুবই উপকারী বাচ্চা শরীরে যেমন আপনার দুধ প্রয়োজন তেমনি আপনার শরীরে গরুর দুধের প্রয়োজন। গরুর দুধ থেকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায় যা আপনার শরীরে শক্তি যোগাবে এবং বুকে দুধ তৈরি করবে। এছাড়াও নিয়মিত গরুর দুধ পান করার ফলে এটি আপনার শরীরে শক্তি যোগানোর পাশাপাশি আপনার সোনামনির হারকে মজবুত করবে

এবং সঠিক বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে এজন্য এখন থেকে নিয়মিত গরুর দুধ খেতে হবে তবে হ্যাঁ মনে রাখবেন গরুর দুধে কিন্তু কোন প্রকার চিনি জাতীয় দ্রব্য মিশানো যাবে না কারণ যখন আমরা চিনি মিশাই তখন দুধের অনেক পুষ্টিগুণ নষ্ট হয় এই জন্য চেষ্টা করবেন দুধ খালি মুখে খাবার অর্থাৎ কোনো প্রকার চিনি ছাড়াই।

শাকসবজি
বেশি বেশি শাকসবজি খেতে হবে শাকসবজিতে বেশি পুষ্টিকর আর কিছুই নেই। শাক সবজির ভিটামিন এক দুই লাইনে বলে শেষ করা সম্ভব নয় শাকসবজিতে রয়েছে ভিটামিন এ ভিটামিন বিটামিন কে ভিটামিন বি ১ ভিটামিন বি ২ প্রোটিন ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম সোডিয়াম লৌহ ফাইবার সহ আরো বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। যা নিমিষেই আপনার বুকের দুধের পরিমাণকে বৃদ্ধি করতে পারে এইজন্য আপনার বুকে যদি দুধের পরিমাণ কম থাকে তাহলে এখন থেকে নিয়মিত শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।

খাদ্য তালিকায় শাক সবজি রাখতে হবে কিংবা আপনি চাইলে সালাদের শাক সবজি রাখতে পারেন শাকসবজি সিদ্ধ করে বাটিতে নিয়ে কাঁটা চামচের সাহায্যে খেতে থাকবেন এতে আপনার বুকে দুধের পরিমাণ হুই হুই করে বাড়তে থাকবে এবং আপনার শরীর সুস্থ থাকবে।আপনি কি জানেন যে শরীরের সমস্ত রোগ বাড়ায় শুধুমাত্র শাকসবজি খেয়েই দূর করা সম্ভব? হ্যাঁ বন্ধুরা অবাক হলেও কথাটি সত্য যে শাকসবজিতে এতসব ভিটামিন রয়েছে যা আপনার এবং আপনার বাচ্চার শরীরের সমস্ত রোগবালাইকে দূর করতে পারে এজন্য এখন থেকে শাকসবজি নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখতে ভুলবেন না।

ফলমূল
ফলমূল থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি, ভিটামিন এ, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ও ক্যালসিয়াম সহ আরো বিভিন্ন প্রকার খনিজ উপাদান ও ভিটামিন পাওয়া যায় যা আপনার বুকের দুধের পরিমাণ কি নিমিষেই বৃদ্ধি করবে এজন্য এখন থেকে বেশি বেশি ফলমূল খাবেন তবে হ্যাঁ লক্ষ্য রাখবেন বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় কিন্তু কোনোভাবেই ভিটামিন সি যুক্ত খাবেন না যেমন কমলা, লেবু। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল বাদ দিয়ে যে কোন প্রকার ফল আপনি গ্রহণ করতে পারবেন।

পাম্প
বুকের দুধের পরিমাণ কম থাকলে হাতের সাহায্যে পাম্প করবেন এতে বুকে দুধের পরিমাণ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকবে তারপর বাচ্চাকে খাওয়ানো শুরু করবেন। তবে এখন তো বাজারে বিভিন্ন প্রকার মেশিন পাওয়া যায় পাম্প করার সেই মেশিনগুলো সাহায্য আপনি আপনার বুকের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারবেন। বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর আগে হাতের সাহায্যে প্রথমে স্তনটিকে নেড়ে চেড়ে দুধ একত্রিত করে তারপর বাচ্চার মুখে দুধ দিয়ে খাওয়াতে শুরু করবেন এতে বাচ্চা ঠিকভাবে দুধটি পাবে। তারপর একটি দুধ খাওয়া হলে আরেকটিকে ঠিক একই ভাবে পাম্প করে আরেকটি স্তন বাচ্চার মুখে দিবেন।

আপনার বুকে যদি দুধের পরিমাণ কম থাকে সে ক্ষেত্রে উপরের এই উপায় গুলো অনুসরণ করবেন এই উপায় গুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি আপনার সমস্যা দূর করতে পারবেন প্রথম অবস্থায় অনেকের এমন সমস্যা হয়েই থাকে বুকের দুধের পরিমাণ কম থাকে। আশা করছি উপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন যে বুকের দুধ বৃদ্ধি করার ঘরোয়া উপায় গুলো কি কি।

বুকের দুধ বৃদ্ধি করে যেসব খাবার

বুকের দুধ বৃদ্ধি করে যেসব খাবার। কোন খাবার খেলে বুকের দুধ বৃদ্ধি পায়? বুকে দুধের হার কম থাকলে বাচ্চার ঠিকভাবে দুধ পায় না এতে বাচ্চার পেট ভরে না এবং বাচ্চা কান্না করে এতে আমাদেরও খুব বিরক্ত লাগে এই সময় উচিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করে বুকের দুধ বৃদ্ধি করা যেন বাচ্চা পেট ভরে দুধ খেতে পারে। বাচ্চা ঠিকভাবে দুধ না পেলে ধীরে ধীরে বাঁচার ওজন কমতে থাকে এবং বাচ্চা অপুষ্টিতে ভোগে। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব বুকে দুধ বৃদ্ধি করে যেসব খাবার। দেরি না করে এবার আমরা ঝটপট জেনে আসি কোন খাবার খেলে বুকের দুধ বৃদ্ধি হয়।

পেঁপে
আপনি কি জানেন পেপে খেলে বুকের দুধ বৃদ্ধি হয়? হ্যাঁ বন্ধুরা পেঁপেতে এত সব ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ রয়েছে যা নিমিষেই আপনার বুকের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারে এবং আপনার বাচ্চা পেট ভরে দুধ খেতে পারবেন। এখন থেকে দিনে দুইবার পেপে খাবেন। পেপে কাঁচা হোক অথবা পাকা দুটি কিন্তু আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্টসহ ভিটামিন এ ভিটামিন বি ভিটামিন কে ভিটামিন বি১, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়াম ও ফাইবার ইত্যাদি।

এই উপাদান গুলো যেমন আপনার শরীরের জন্য উপকারী এতে এমনি আপনার বাচ্চার শরীরের জন্য দুই উপকারী যখন আপনি পেঁপে নিয়মিত খাওয়া শুরু করবেন তখন আপনার বুকের দুধের পরিমাণ তো বৃদ্ধি হবে সাথে এটি আপনার বাচ্চা শরীরের রোগবালাকে দূর করবে এবং বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে। এছাড়াও বাচ্চা হওয়ার পর অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থাকে নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও নিমিষেই দূর হবে।

জামরুল
গর্ব অবস্থায় বেশি বেশি জামরুল খেতে হবে জামরুল এতসব ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আপনার সাথে আপনার বাচ্চার শরীরের জন্য খুবই উপকারী গর্ভাবস্থায় নিয়মিত জামরুল খাওয়ার ফলে বুকের দুধের পরিমাণ হুই হুই করে বাড়তে থাকবে। এজন্য এখন থেকে নিয়মিত জামরুল খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন যা আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করার পাশাপাশি আপনার বাচ্চা শরীরে রোগবালাকে দূর করবে এবং নিয়মিত জামরুল খাওয়ার ফলে আপনার বাচ্চার রং পরিষ্কার হতে থাকবে।

এখন থেকে নিয়মিত জামরুল খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। জামরুল আমাদের দেশীয় ফল হলেও আমাদের দেশের জামরুলের চাহিদা অনেকাংশই কম কারণ এর স্বাদ অনেকটা পান সে টাইপের হলেও এর পুষ্টিগুণ কিন্তু অন্যান্য ফলের তুলনায় দ্বিগুণ। এখন থেকে নিয়মিত দুইটি হলেও জামরুল খাবেন।

গরুর দুধ
বাচ্চা জন্মের ছয় মাস পর্যন্ত নিয়মিত গরুর দুধ খাবেন গরুর দুধ খাওয়ার ফলে আপনার বুকে দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। অনেকের বাচ্চা হওয়ার পর বুকে দুধের পরিমাণ অনেকাংশে কম থাকে এই সময় বাচ্চা ঠিকভাবে দুধ খেতে পারে না এতে বাচ্চা ক্ষুধাতে থাকে এজন্য নিয়মিত সকালে এবং রাতে ঘুমানোর আগে দুধ পান করবেন আপনি যদি নিয়মিত দুধ পান করেন তাহলে আপনার স্তনে প্রচুর দুধ বৃদ্ধি পাবে এতে বাঁচাও পেট ভরে দুধ পান করতে পারবে এবং বাচ্চার শরীর সুস্থ থাকবে।

এছাড়াও দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট যা আপনার শরীরে শক্তি যোগাবে বাচ্চা হওয়ার পর নারীদের শরীরের শক্তি এনার্জি অনেকাংশ কমে যায় এইজন্য এই সময় বেশি বেশি দুধ খেতে হবে এবং এনার্জি বৃদ্ধি করতে হবে।

ব্রকলি
 বুকের দু থেকে দ্রুত বৃদ্ধি করতে চাইলে নিয়মিত ব্রোকলি খেতে হবে ব্লকলিতে এত পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে যা নিমিষেই আপনার বুকের দুধকে বৃদ্ধি করতে পারে। শাকসবজির চেয়ে বেশি পুষ্টিকর কিন্তু আর কিছুই নেই এই জন্য এখন থেকে চেষ্টা করবেন নিয়মিত বেশি বেশি শাকসবজি খাওয়ার আপনি যত বেশি শাকসবজি খাবেন আপনার বুকের দুধের পরিমাণ ঠিক ততটাই হবে। অনেকেই রয়েছে শাকসবজি খেতে পছন্দ করেনা যার কারণে বুকের দুধের পরিমাণ অনেক কম হয়।

এছাড়াও আরও একটি মজার কথা হলো আপনি যদি নিয়মিত শাকসবজি খান তাহলে একদিকে যেমন আপনার শরীর সুস্থ থাকবে তেমনি আরেকদিকে আপনার বাচ্চা শরীরে সুস্থ থাকবে কারণ আপনি যখন শাকসবজি খাওয়া শুরু করবেন তখন আপনার দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং যখন সেই দুধ আপনার বাচ্চা পান করবে  তখন আপনার বাচ্চা অসুস্থ থাকবে এবং বাচ্চার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে এজন্য এখন থেকে নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন নিয়মিত খাদ্য তালিকায় ব্রোকলি সালাদে রাখুন।

ড্রাগন
ফলমূল আল্লাহর দেওয়া অপূর্ব এক নিয়ামত এদের সাহায্য পুষ্টিগুন ও ভিটামিন ড্রাগন ফলে সাথে আমরা সকলেই পরিচিত তাই না কিন্তু ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা ড্রাগন ফলে এতসব পুষ্টিকর ভিটামিন রয়েছে যা এক দুই লাইনে বলে শেষ করা কখনোই সম্ভব নয় তবে আপনি যদি নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়া শুরু করেন তাহলে আপনার দুধের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করবে। ওপরের প্রত্যেকটি খাবারের চেয়ে ড্রাগন ফলটি কিন্তু কোন অংশে কম নয়।

এছাড়াও বিজ্ঞানীরা বলেন নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে ত্বকের রং পরিবর্তন হয় ত্বকের রং উজ্জ্বল হয়। বাচ্চার জন্মের পর অনেকে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা দেয় এই সময় আপনি যদি নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়া শুরু করেন তাহলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা নিমিষেই দূর হবে সাথে শরীর সুস্থ থাকবে।

সামুদ্রিক মাছ
বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে চাইলে বেশি বেশি সামুদ্রিক মাছ পান করতে হবে সামুদ্রিক মাছে রয়েছে ওমেগা সিম ফ্যাট যা বুকের দুদিকে দ্রুত হাড়ে বৃদ্ধি করতে থাকে এজন্য এখন থেকে বেশি বেশি সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার চেষ্টা করবেন। সামুদ্রিক মাছে রয়েছে এত সব পুষ্টিগুণ ও খনিজ উপাদান যা বাচ্চা সুষ্ঠু বিকাশ ও বুদ্ধি বিকাশে সহায়তা করে। তাতে এটি মায়ের শরীরে শক্তি যোগায় এবং বাচ্চা শহীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে বৃদ্ধি করে এর জন্য এখন থেকে সপ্তাহে তিন থেকে চারবার চেষ্টা করবেন সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার।

প্রোটিন
বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার হলো প্রোটিন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার নিমিষে বুকের দুধ কে বাড়াতে সহায়তা করে বুকের দুধ কম থাকলে বাচ্চা পেট ভরে দুধ খেতে পারে না এতে বাচ্চার শরীরে পুষ্টির অভাব দেখা দিতে পারে এজন্য এখন থেকে বেশি বেশি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারগুলো গ্রহণ করবেন নিয়মিত প্রোটিন সমিত খাবার গ্রহণ করার পরে একদিকে যেমন আপনার বাচ্চার সঠিকভাবে দুধ খেতে পারবে তেমনি আরেক দিকে আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে।

সাথেই শরীরে শক্তি আসবে বাচ্চা হওয়ার পর এটি একটি কমন সমস্যা মাথার চুল পড়া তাই এই অবস্থায় মাথার চুল পড়া বন্ধ করতে নিয়মিত প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে যেমন আপনি চাইলে প্রতিদিন সকালে ডিম খেয়ে নিবেন। এটি সারাদিন আপনার কাজকামে শক্তি যোগাবে এবং বুকে দুধের পরিমাণকে বৃদ্ধি করবে। এইজন্য এখন থেকে নিয়মিত চেষ্টা করবেন গ্রহণ করার তবে আপনি যদি না জেনে থাকেন যে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য কোনগুলো তাহলে নিচে দেখুন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য তালিকা।

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য তালিকা

খাদ্য তালিকা করছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন আমরা আজকের এই পোষ্টের প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য তালিকা সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি। গর্ভকালীন সময়ে প্রোটিন জাতীয় খাবার তালিকার গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ প্রোটিন যেমন একদিকে মায়ের শরীরে শক্তি যোগায় তেমনি আরেকদিকে প্রোটিন বাচ্চার বুদ্ধি বিকাশে সহায়তা করে। প্রতিটি বাবা-মা চাই যে আমার বাচ্চার বুদ্ধি অন্যান্য ছেলে মেয়ের চেয়ে অনেক বেশি হোক এই জন্য নিয়মিত আপনাকে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে চলুন তাহলে এবার আর দেরি না করে আমরা ঝটপট জেনে আসি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য তালিকা।

  • ডিম 
  • চিনাবাদাম
  • পনির
  • আলু
  • মুরগির মাংস
  • মাছ
  • সিমের বিচি
  • ব্রোকলি
  • পুই শাক
  • দুধ
  • পেয়ারা
  • অ্যাভোকাডো
  • কাঁঠাল
  • সামুদ্রিক মাছ
  • টুনা মাছ
  •  চিংড়ি মাছ
ওপরের এই আবার গুলো থেকে ভরপুর প্রোটিন পাওয়া যায় তবে ডিম থেকে সবচেয়ে বেশি প্রোটিন পাওয়া যায় বিশেষ করে কোয়েল পাখির ডিম আপনি যদি নিয়মিত তিন থেকে চারটি কোয়েল পাখি সেদ্ধ ডিম খান তাহলে এটি আপনার শরীরের দ্রুতগতিতে দুধের পরিমাণকে বৃদ্ধি করতে থাকবে এবং এটি আপনার বাচ্চার শরীরের জন্য খুবই উপকারী এখন থেকে চেষ্টা করবেন দিনে দুইটি হলেও কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার। একটি কোয়েল পাখি ডিম দুইটি ডিমের সমান।

আমরা কোয়েল পাখিটি প্রত্যেকেই খাই কিন্তু অনেকেই কোয়েল পাখি ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে জানি না তাই আপনি যদি পাখি ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে নিচে ক্লিক করুন

আশা করছি উপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন বুকের দুধ বৃদ্ধি করে যেসব খাবার সম্পর্কে এই খাবারগুলো আপনার বুকের দুধকে নেমে এসে বৃদ্ধি করবে এজন্য এখন থেকে নিয়মিত খাদ্য তালিকায় ওপরের এই খাবারগুলো অবশ্যই রাখবেন বুকের দুধ কম থাকলে ঠিকভাবে দুধ পান করতে পারে না এতে বাচ্চা শরীরে সঠিকভাবে পুষ্টি যোগায় না এতে বাচ্চা পুষ্টিহীনতাই ভোগে এবং দিন দিন রাস পেতে থাকে এজন্য আপনার সোনামনি যত্নে উপরের খাদ্যগুলো নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

আশা করছি ওপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে কোন খাবার গুলো খাওয়ার ফলে আপনার বুকের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবার চলুন আমরা জেনে আসি কি খেলে বুকের দুধ শুকিয়ে যায়।

কি খেলে বুকের দুধ শুকিয়ে যায়

কি খেলে বুকের দুধ শুকিয়ে যায় তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন আমরা আজকের এই পোস্টে আলোচনা করতে চলেছি যে কি খেলে বুকের দুধ শুকিয়ে যায় এতক্ষণ তো আমরা আলোচনা করলাম যে কি খেলে বুকের দুধ বৃদ্ধি পায় কিন্তু এবার আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব যে কি খেলে বুকের দুধ শুকিয়ে যাই কারণ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ছোটখাটো একটু ভুলের কারণে বুকের দুধ শুকিয়ে যায় এই অবস্থায় নানান ঝামেলার মধ্যে পড়তে হয়।

তাই আজকের এই পোস্টটি দেখে রাখুন তাহলে পরবর্তী সময়ে আপনাকে আর কোন প্রকার ঝামেলার মধ্যে পড়তে হবে না চলুন তাহলে প্রিয় পাঠক এবার আমরা আর দেরি না করে ঝটপট জেনে আসি কি খেলে বুকের দুধ শুকিয়ে যায়।মূলত এমন কোন নির্দিষ্ট খাবার নেই যেটার খাবার ফলে বুকের দুধ শুকিয়ে যায় তবে হ্যাঁ বিজ্ঞানীরা বলেন বাচ্চাকে দুধ কম পান করালে ধীরে ধীরে এই বুকে দুধের পরিমাণ কম আছে থাকে এই সময় বাচ্চাদের দ্রুত বারবার দুধ পান করাতে হবে এতে আপনার বুকের দুধের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।

এছাড়াও গবেষণা দ্বারা আরও জানা যায় যে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ার সময় কখনই ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করা যাবে না। বাচ্চাকে দুধ খাওয়ান এই সময় যদি আপনি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করেন তাহলে বুকের দুধের পরিমাণ অনেকাংশ কমে যেতে পারে এজন্য কখনোই বাচ্চাকে দুধ পান করানোর সময় ভিটামিন সি খাদ্য গ্রহণ করবেন না আপনি যদি না জেনে থাকেন ভিটামিন সি জাতীয় খাদ্য কোনগুলো তাহলে নিচে দেখে নিন ভিটামিন সি জাতীয় খাদ্য তালিকা।

ভিটামিন সি জাতীয় খাদ্য তালিকা

ভিটামিন সি জাতীয় খাদ্য তালিকা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন। গর্ভকালীন সময়ে আপনি চাইলে যত ইচ্ছা তত ভিটামিন সি হিসেবে খাদ্য খেতে পারেন। গর্ভকালীন সময়ে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ভিটামিন সি জাতীয় টক খাবারের প্রতি চাহিদা অনেকাংশে বেড়ে যায় এই সময় আপনি চাইলে যত ইচ্ছা তত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন।তবে বাচ্চা হওয়ার পর বাচ্চাকে দুধ খাওয়ার কিন্তু আপনি চাইলে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাদ্য খেতে পারবেন না কারণ এটি আপনার বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা ঝটপট জেনে নেই ভিটামিন সি জাতীয় খাদ্য তালিকা 

  • লেবু
  • কমলা
  • স্ট্রবেরি
  • কলা
  • জন
  • তেতুল
  • পেয়ারা
  • টমেটো
  • ব্রোকলি
  • আম
উপরের এই খাবারগুলো থেকে ভরপুর ভিটামিন সি পাওয়া যায় তাই চেষ্টা করবেন বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় এই খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে কারণ এই খাবারগুলো খাওয়ার ফলে আপনার বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে । ঠক আশা করছি উপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে ভিটামিন সি জাতীয় খাদ্য কোনগুলো।অনেক সময় দেখা যায় ভিটামিন সেই সমৃদ্ধ খাদ্য খাবার ফলে বুকের দুধ শুকিয়ে যায় এজন্য এখন থেকে চেষ্টা করবেন যতটা সম্ভব ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাদ্য থেকে দূরে থাকতে।

বাচ্চাকে দুধ পান না করানো
ঠিকভাবে দুধ পান না করালে দুধের পরিমাণ কমে যেতে পারে এই জন্য চেষ্টা করবেন একটু পর পর বাচ্চাকে দুধ পান করাতে এতে আপনি যত বেশি আপনার বাচ্চাকে দুধ পান করাবেন আপনার বুকে ততটাই জামা হবে কোন কিছু ব্যবহার করলে সেটি ফুরিয়ে যায় তবে দুধের ক্ষেত্রে কিন্তু এটি সম্পূর্ণ আপনি আপনার বাচ্চাকে বুকের দুধ যতটা পান করাবেন আপনার বুকে ঠিক ততটাই দুধ জমা হবে এজন্য এখন থেকে বাচ্চাকে একটু পর পর চেষ্টা করুন দুধ খাওয়ানোর ।

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বাচ্চারা একটু পর পর দুধ খেতে চাই আবার অনেক বাচ্চা রয়েছে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত একবারেই  দুধ খেয়ে নেয়। তবে চেষ্টা করবেন বাচ্চাকে একটু পর পর দুধ খাওয়ানোর এতে আপনার দুধের হাড় বৃদ্ধি হবে এবং বাচ্চার শরীরও ভালো থাকবে। প্রিয় পাঠক আশা করছি উপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে কি খেলে বুকের দুধ শুকিয়ে যায়।

পাঠকদের কিছু প্রশ্ন

বাচ্চা বুকের দুধ খেতে চায় না কেনো?
বাচ্চাকে ভুল পজিশনে নিয়ে দুধ খাওয়ালে বাচ্চা বুকের দুধ খেতে চায় না কিংবা নিপল অপরিষ্কার থাকলেও বাচ্চা দুধ মুখে নিতে চায় না। জন্য প্রথমে বাচ্চাকে সঠিক পজিশনে নিয়ে নিপল পরিষ্কার করে দুধ খাওয়ানো শুরু করুন।

বাচ্চা বুকের দুধ না পেলে করণীয় কি
বাচ্চা বুকে দুধ না পেলে প্রথমে তাকে সঠিক পজিশনে নিতে হবে এবং বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় একদম হেলে দুলে চলা যাবে না স্থির হয়ে বাচ্চাকে সঠিকভাবে দুধ খাওয়াতে হবে আর লক্ষ্য রাখবেন বাচ্চার কাধ বরাবর যেন বাচ্চার মাথা সোজা হয়ে থাকে।

বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করনীয় কি?
বাচ্চা বুকের দুধ খেতে চায় না তাহলে উপরের উপায় গুলো অনুসরণ করুন আমরা আজকের এই পোস্টে বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করনীয় কি এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় কি?
দুধ বিক্রি করতে চাইলে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে শরীরে পানির ঘাটতে থাকলে বুকের দুধ আসে না এতে বাচ্চা ঠিকভাবে দুধ পান করতে পারে না বাচ্চার পেট ভরে না এবং বাচ্চা কান্না করে এর জন্য এখন থেকে বেশি বেশি পানি পান করুন এবং নিয়মিত খাদ্য তালিকায় শাক সবজি রাখুন।

বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করনীয় কি?
বুকের দুধ খেতে না চাইলে প্রথমে বাচ্চা বুকের দুধ না খাওয়ার কারণ সনাক্ত করুন তারপর পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন আমরা আজকের এই পোস্টে বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করণীয় কি এই বিষয়ে বিস্তারিত সবকিছু খুঁটিনাটি আলোচনা করেছি।


বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম কি?
বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম খুঁজছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন যারা নতুন নতুন মা হয়েছে তাদের জন্য এই পোস্টটি অনেক কার্যকরী হতে চলেছে কারণ আমরা আজকের এই পোস্টে বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সমস্ত নিয়ম নিয়ে আলোচনা করেছি বাচ্চাকে প্রথমে সঠিক পজিশনে নিয়ে ধীরে ধীরে বাচ্চার মুখে দুধ দিতে হবে এবং খেয়াল রাখবেন নিপল থেকে এক ইঞ্চি পর্যন্ত দুধ যেন বাচ্চার মুখে থাকে এতে বাচ্চা কম্ফোরটেবল হয়ে দুধ পান করতে পারবে।

কি খেলে বুকের দুধ শুকিয়ে যায়?
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণের ফলে বুকের দুধ শুকিয়ে যেতে পারে এজন্য এখন থেকে যতটা সম্ভব ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাদ্য এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন।

বুকের দুধ বৃদ্ধি করে যেসব খাবার কি?
বুকের দুধ বৃদ্ধি করে শাকসবজি ও প্রোটিন জাতীয় খাবার। যেন এখন থেকে বেশি বেশি শাকসবজি খাবেন এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করবেন এতেই বুকের দুধ দ্রুত বৃদ্ধি হবে।

কিভাবে বুঝব বাচ্চা বুকের দুধ পাচ্ছে?
কিভাবে বুঝব বাচ্চা বুকের দুধ পাচ্ছে নাকি? জানতে এই পোস্টটি আবারো করুন আমরা আজকের এই পোস্টে আলোচনা করেছি কিভাবে বুঝব বাচ্চা বুকের দুধ পাচ্ছে নাকি।

লেখকের শেষ কথা

পাঠক আমরা আজকের এই পোস্টে বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম কি বুকের দুধ বৃদ্ধি করে যেসব খাবার কি খেলে বুকের দুধ শুকিয়ে যায় কিভাবে বুঝব বাচ্চা বুকের দুধ বাড়ছে নাকি এবং বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করনীয় কি। এই সমস্ত বিষয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি বাচ্চাকে অন্তত প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ানো আবশ্যক এই সময় বুকে দুধ বাচ্চা শরীরে সাল দুধ হিসেবে কাজ করে। এজন্য বাচ্চা জন্মের ছয় মাস পর্যন্ত চেষ্টা করবেন বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর।

অনেকেই রয়েছে বাচ্চাকে কৌটা দুধ পান করে কিন্তু আপনি কি জানেন এই কৌটার দুধগুলো বাচ্চা শরীরের জন্য ক্ষতিকর? আপনি লক্ষ করবেন বাচ্চাকে কৌটা দুধ পান করানোর ফলে বাচ্চা শরীরে খসখসে র‍্যাশ ও চটচটে ভাব রয়েছে। এইজন্য এখন থেকে চেষ্টা করুন বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করার এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং নিরাপদ। ইসলামে রয়েছে মায়েরা যত বেশি বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করাবে মায়ের সাথে সন্তানের সম্পর্ক ঠিক ততটাই গভীর হবে।

বাচ্চা মায়ের গন্ধ এবং আমাদের সাথে পরিচিত এজন্য এখন থেকে চেষ্টা করবেন বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করানোর।আচ্ছা শরীরে বুকের দুধ প্রথম অবস্থায় ঔষধের মত কাজ করে এটি বাচ্চার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে এবং শরীরে যাবতীয় রোগ বালাইকে দূর করে তবে অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চারা ঠিকভাবে দুধ পান করতে চাই না কিংবা মায়ের বুকের দুধ বাচ্চাকে দিলে বাচ্চা বমি করে ফেলে কিংবা নাক দিয়ে তুলে ফেলে। আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করলাম যে বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করণীয় কি।

অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চা জন্মের পর প্রথম কয়েকদিন মায়ের শরীর ভালো থাকে না এই অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা বাচ্চাকে কৌটার দুধ পান করা এতে বাচ্চা কৌটার দুধের প্রতি অভ্যস্ত হয়ে পড়ে এবং পরবর্তী সময়ে আর মায়ের দুধ পান করতে চায় না। এই সমস্যাটি প্রায় বেশিরভাগ মেয়ের ক্ষেত্রেই দেখা যায় তাই এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে উপরের উপায় গুলো অনুসরণ করেন আমরা আজকের এই পোস্টে বাচ্চা দুধ না খেলে করনীয় কি এই বিষয়ে খুটিনাটি সবকিছু আলোচনা করেছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url