দৈনিক ১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন - গ্যারান্টি সহ A+
দৈনিক ১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন খুঁজছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন। পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল করার জন্য প্রথমে আমাদের প্রয়োজন একটি ভালো রুটিনের।তাই আমরা আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে দৈনিক ৮ -১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন,ভালো ছাত্রদের পড়ার রুটিন, অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায়,পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার টোটকা এবং দৈনিক ১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
পড়াশুনা সত্যিই খুব ঝামেলা তাই না? আমরা মনে মনে ভাবি যে কে আবিষ্কার করেছে এই পড়াশোনা পরীক্ষা? তবে বন্ধুরা চিন্তা কিছু নেই আমরা আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে এমন একটি টোটকা শেয়ার করব যার মাধ্যমে আপনারা অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন। অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায়,দৈনিক ১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন এবং পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার টোটকা জানতে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন।
পেজ সূচিপত্র : গ্যারান্টি সহ A+
ভূমিকা
আপনি কি একজন স্টুডেন্ট? পরীক্ষা তে ভালো রেজাল্ট করতে চাচ্ছেন? তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য উপকারী হতে পারে। কারণ আমরা আজকের এই পোস্টে অল্প করে ভালো রেজাল্ট করার উপায় গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব। ভালো রেজাল্ট জন্য প্রথমে আপনাকে একটি রুটিন তৈরি করতে হবে রুটিন ছাড়া কিন্তু আপনি কখনোই ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন না আমাদের পড়াশোনার মানকে উন্নত করতে চাইলে প্রথমে একটি ডেইলি রুটিন তৈরি করতে হবে।
আরো পড়ুন: দৈনিক 1000 টাকা ইনকাম করতে চান? ক্লিক করুন
অর্থাৎ আপনি কোন সময় কোন সাবজেক্ট পড়বেন এবং কতক্ষণ পড়বেন কতক্ষন রেস্ট করবেন সেই সমস্ত বিষয়ে একটি রুটিন তৈরি করতে হবে। তাই আমরা আজকের এই পোস্টে আপনাকে রুটিন তৈরিতে সহায়তা করব এবং অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার কিছু টোটকা উপায় আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আমরা প্রত্যেকেই তো চাই অল্প পরে অল্প পরিশ্রমে করে ভালো রেজাল্ট করতে। তাহলে এই পোস্টটি পড়তে থাকুন এই পোস্টটি আপনার জন্য উপকারী হতে পারে চলুন তাহলে এবার আর দেরি না করে আমরা ডেইলি রুটিন সম্পর্কে জেনে আসি। প্রথমে আমরা দৈনিক ১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন সম্পর্কে জানবো।
দৈনিক ১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন
দৈনিক ১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন। পরীক্ষাতে এ প্লাস পেতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই ১০ ঘন্টা পড়তে হবে। দিনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০ ঘণ্টা পড়া কিন্তু খুব কঠিন কোন বিষয় নয় আপনি যদি পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে দিনে ১০ ঘন্টা পড়তেই হবে। আপনি লক্ষ্য করবেন যারা ভালো শিক্ষার্থী রয়েছে তারা দিনের ১০ থেকে ১২ ঘন্টা ডেইলি পড়াশোনা করে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় প্রথমে স্টুডেন্টরা ঠিকভাবে পড়াশোনা করতে চাই না তারপর যখন পরীক্ষা সামনে চলে আসে ।
তখন তাদের মাথায় যেন পাহাড় ভেঙে পড়ে এই সময় google এ বিভিন্ন প্রকার A প্লাস পাওয়ার টিপস খুঁজে বেড়াই। তাই আজকের এই পোস্টটি আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব দিনে ১০ ঘন্টা পড়ে কিভাবে A+ পাওয়া যায়। এবার আমরা ঝটপট জেনে আসি দৈনিক ১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন সম্পর্কে।
- সকাল ৫.৪০ এ ঘুম থেকে উঠতে হবে।
- ৬.০০- ৮.০০ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে।( ২ ঘন্টা)
- ৮.০০-৮.৪৫ এর মধ্যে নাস্তা করে ব্যাগ গুছিয়ে স্কুল, কলেজ অথবা ভার্সিটির জন্য প্রস্তুত হতে হবে।
- ৯.০০ তে স্কুল, কলেজ অথবা ভার্সিটিতে পৌঁছাতে হবে।
- ৪.০০ পর্যন্ত স্কুল কলেজ অথবা ভার্সিটিতে পড়াশোনা করতে হবে।
- ৪.০০-৫.০০ এর মধ্যে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে বিশ্রাম নিতে হবে।
- ৫.০০-৯.০০ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে।( ৪ ঘন্টা)
- ৯.০০-৯.৩০ এর মধ্যে রাতের খাওয়া দাওয়া কমপ্লিট করতে হবে।
- ৯.৩০- ১.৩০ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে। ( ৪ ঘন্টা)
- সর্বমোট ১০ ঘন্টা পড়াশোনার রুটিন।
সকালে উঠতে হবে
৮ ঘন্টা পড়াশোনা করতে চাইলে আপনাকে সকালে ওঠার অভ্যাস তৈরি করতে হবে অনেকে রয়েছে চ্যানেল সকালে উঠতে পারে না। সকালে উড়তে না পারলে মোবাইলে অথবা ঘড়িতে এলার্ম সেট করতে হবে। প্রতিদিন 5 টা 40 মিনিটে ঘুম থেকে উঠতে হবে। শিক্ষাতে A+ পেতে চাইলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে পরিশ্রম ছাড়া কিন্তু আপনি কখনোই পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল লাভ করতে পারবেন না এছাড়াও প্রতিদিন সকালে ওঠা একটি গুড হ্যাবিট এর মধ্যে পরে।
বিজ্ঞানীরা বলেন নিয়মিত সকালে উঠলে মন মেজাজ দুটোই ভালো থাকে।সাথে শরীরে ভালো থাকে এজন্য এখন থেকে নিয়মিত সকালে ওঠার অভ্যাস তৈরি করতে হবে সকালে উঠে একটু হাঁটাচলা করতে হবে। এজন্য এখন থেকে নিয়মিত সকাল ৫ টা ৪০ মিনিটে উঠতে হবে। তারপর ফ্রেস হয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করতে হবে। এটি একপ্রকার শরীর চর্চা বললেই চলে।
সকালে পড়াশোনা করতে হবে
সকাল এই সময়টি পড়াশোনার জন্য সবচেয়ে সেরা সময় কারণ এই সময় মাথায় কোন চাপ থাকেনা কোন চিন্তাভাবনা থাকে না এই সময় পড়াশোনা করলে দ্রুত যেকোনো কিছু বুঝতে সুবিধা হয় পড়াশোনা মনে থাকে অনেকেরই সমস্যা থাকে যে কালকে কি পড়েছে আজকে সে পড়াটি আর মনে নেই এই জন্য বিজ্ঞানীরা বলেন যে সকালে উঠে পড়াশোনা করতে হবে কারণ সকালে এই সময়টি পড়াশোনার জন্য সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সময়। সকাল ৫:৪০ মিনিটে উঠে ৬.০০ এর মধ্যে ফ্রেশ হয়ে ৬.০০ থেকে ৮.০০ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে।
পড়াশোনার ডেইরি রুটিন আপনাকে ভাগ করে নিতে হবে অর্থাৎ আপনি সকালে রসায়ন অথবা হিসাববিজ্ঞানের সাথে বাংলা কিংবা ইংরেজি পড়লেন। তারপর রাতে যে বিজ্ঞান অথবা ইতিহাসের সাথে অন্যান্য সাবজেক্ট গুলো পড়লেন। রুটিন অনুযায়ী পড়লে পড়াশুনা একদিকে ভালো হবে সাথে পড়াটি আপনার মনে থাকবে। এইজন্য এখন থেকে প্রতিদিন সকালে উঠবেন এবং সকালে উঠে ভালোভাবে ফ্রেশ হয়ে বই নিয়ে পড়তে বসবেন এতে পড়াটি আপনার দীর্ঘদিন পর্যন্ত মনে থাকবে এবং সকালে পড়লে পড়াটি দ্রুত হয়ে যাবে।
এছাড়াও রাতে কি কি পড়েছিলেন সেই পড়া গুলো সকালে উঠে আর একবার দেখে নিবেন। এতে রাতে পড়াগুলো আপনার স্মৃতিতে আরও দীর্ঘদিন পর্যন্ত থেকে যাবে। অনেকের এই সমস্যা থাকে যে কালকে কি পড়েছে আজকে আর মনে নেই কিংবা রাতে কি পড়েছে সকালে স্যার সে প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করলে আর বলতে পারেনা। আমরা ঠিকভাবে চর্চা করি না চর্চার অভাবে ব্রেইন থেকে তথ্যটি আউট হয়ে যায় এজন্য যেকোনো পড়া কি বারবার পড়তে হবে এতে আপনার ব্রেনের সেটি দীর্ঘদিন পর্যন্ত স্টোর হয়ে থাকবে।
সকালের নাস্তা
তারপর সকাল ৮.০০ থেকে ৮.৩০ এর মধ্যে সকালের নাস্তা খেয়ে নিতে হবে। আপনি কি স্কুল কলেজ অথবা ভার্সিটিতে যাওয়ার আগে সকালে নাস্তা খেতে চাইলাম এটা কিন্তু খুবই খারাপ অভ্যাস সকালের নাস্তা না খেলে স্কুল কলেজে অথবা ভার্সিটিতে যেয়ে আপনার মাথা ঝিমঝিম করবে এবং চোখে ঝাপসা দেখবেন এই জন্য সকলের নাস্তা করা খুবই জরুরী। এইজন্য প্রতিদিন সকাল ৮.০০ থেকে ৮.৩০ এর মধ্যে সকালের নাস্তা করে ফেলবেন। তারপর ৮:৩০ থেকে ৮ টা ৪৫ এর মধ্যে,
স্কুল অথবা কলেজ ড্রেস পড়ে বইয়ের রুটিন অনুযায়ী সকল জরুরী বইগুলো গুছিয়ে নিবেন। তারপর ৮:৪৫-এ স্কুল কলেজ অথবা ভার্সিটির উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে। যেনো আপনি ৯.০০ তে স্কুল অথবা কলেজে পৌঁছাতে পারেন। স্কুলে কিন্তু একদম লেট হওয়া যাবে না। এই জন্য সময় অনুসারে স্কুল অথবা কলেজে পৌঁছাতে হবে।
স্কুল থেকে বাসায় ফিরে
৯ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত স্কুল কলেজ অথবা ভার্সিটি শেষ করে ৪টা বাজে ১৫ মিনিটের মধ্যে বাসায় ফিরতে হবে। তারপর ৪:৩০ এর মধ্যে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ৩০ মিনিট বিশ্রাম নিতে হবে। অতঃপর ৩০ মিনিট বিশ্রাম নেওয়া শেষ হলে ৫.০০ থেকে রাত ৯.০০ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে। আর হ্যাঁ আপনি যখন পড়াশোনা করবেন তখন কিন্তু কখনোই বিছানায় বসে অথবা শুয়ে পড়াশোনা করবেন না এতে আপনার আলসি আসবে এবং আপনি ঘুমিয়ে পড়তে পারেন।
এইজন্য সবসময় চেষ্টা করবেন টেবিল চেয়ারে পড়াশোনা করার এতে ঘুম আসার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায় আর পড়াশোনার সময় কখনই আশেপাশে মোবাইল ফোন রাখবেন না এতে মনোযোগ নষ্ট হয় এবং আমরা ফোন ইউজ করতে শুরু করি। এইজন্য পড়াশুনা করার সময় তরজা আটকে দিয়ে প্রয়োজন হলে ফোনটি পরিবারের কোন সদস্যের কাছে সেই সময় পর্যন্ত জমা রাখবেন। প্রথম কয়েকদিন আপনার সমস্যা হবে কিন্তু তিন চার দিন এভাবে একই রুটিন অনুসারে পড়াশোনা করতে থাকলে এটি আপনার অভ্যাসে পরিণত হবে।
রাতের খাবার
৫.০০ থেকে ৯.০০ পর্যন্ত পড়াশোনা করার পর, ৯ টা থেকে ৯ টা ৩০ পর্যন্ত রাতের খাবার-দাবার কমপ্লিট করতে হবে। রাতের খাবার কমপ্লিট করার পর পরিবারের সদস্যদের সাথে একটু কথা বলবেন হাসি-ঠা করবেন এতে মনও ভালো থাকবে তারপর ৯.৩০ থেকে ১.৩০ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে। আপনি যদি পরীক্ষাতে ভালো রেজাল্ট করতে চান সে ক্ষেত্রে পরীক্ষার এক মাস আগে থেকেই ১০ ঘণ্টার রুটিন তৈরি করে ফেলবেন। আপনি যদি এই রুটিন অনুসারে পড়াশোনা করেন তাহলে আপনি ১০০ পার্সেন্ট নিশ্চয়তার সাথে এ প্লাস পাবেন।
কারণ পরিশ্রম কখনো বেফলে যায় না পরিশ্রম করলে সাফল্য আসবেই। এক্ষেত্রে আপনার যদি রাত জাগার অভ্যাস না থাকে তাহলে আপনি ঘুম আসলে এক কাপ কফি অথবা এক কাপ চা পান করবেন এতে ঘুম দূর হবে এবং আপনি আপনার পড়াশুনাতে মনোযোগ দিতে পারবেন। স্কুল কলেজে অথবা ভার্সিটিতে কি কি পড়া দিয়েছে এবং কোচিং এ কি পড়া দিয়েছে সেই সমস্ত পড়াগুলো রাতের মধ্যে কমপ্লিট করে, বই খাতা গুছিয়ে ১.৩৫ এ ঘুমিয়ে পারবেন। তারপর আবার সকাল ৫.৪০ ঘুম থেকে উঠতে হবে।
আপনি যদি পরীক্ষাতে এ প্লাস পেতে চান কিংবা পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল আশা করছেন তাহলে আপনাকে উপরের এই উপায় গুলো অনুসরণ করতে হবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় আমরা প্রথম অবস্থায় তো পড়াশোনা একদমই করি না কিন্তু পরীক্ষা হওয়ার প্রথম এক দুই মাস থেকে আমাদের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে এই সময় আপনার কাজে আসবে। আপনি যদি সারা বছর পুরস্কার নাও করেন তবুও যদি এই রুটিনটি অনুসরণ করে দৈনিক ১০ ঘন্টা মনোযোগ সহ পড়াশোনা শুরু করেন।
তাহলে ইনশাল্লাহ আপনি পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল লাভ করবেন। প্রিয় পাঠক আশা করছি উপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন দৈনিক ১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন সম্পর্কে। এবার চলুন আমরা জেনে আসি ৮ ঘন্টা পড়ার রুটিন সম্পর্কে।
৮ ঘন্টা পড়ার রুটিন
৮ ঘন্টা পড়ার রুটিন খুঁজছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন এতক্ষণ আমরা আলোচনা করলাম যে দৈনিক 10 ঘন্টা কিভাবে পড়াশোনা করা যায় এবং দৈনিক 10 ঘন্টা পরে কিভাবে এ প্লাস পাওয়া যায় এবার আমরা আলোচনা করব ৮ ঘন্টা পড়ার রুটিন সম্পর্কে। আপনি যদি দিনে আট ঘন্টা পড়তে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে সকালে উঠতে হবে সকালের না উঠলে আপনি কখনোই ভালো কিছু অর্জন করতে পারবেন না। শুনে খুব আজব লাগলেও সত্যি,
যে সকালে পড়াশোনার মূল্য কিন্তু অনেক আপনি রাতে যে পড়াটি ২ ঘন্টা তে কমপ্লিট করবেন আপনি সকালে এসে শুধুমাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে কমপ্লিট। কারণ রাতে সারাদিনের চাপ সহ মাথাতে বিভিন্ন রকমের চিন্তাভাবনা থাকে কিন্তু সকালে উঠে সম্পূর্ণ ক্লিয়ার থাকে এবং এই সময় আপনি আপনার সম্পূর্ণ মনোযোগ পড়াতে দিয়ে অল্প সময়ে পড়াশোনা কমপ্লিট করতে পারবেন। এইজন্য এখন থেকে সকালে ওঠার অভ্যাস তৈরি করুন।
- সকাল ৫.৪০ এ ঘুম থেকে উঠতে হবে।
- ৬.০০- ৮.০০ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে।( ২ ঘন্টা)
- ৮.০০-৮.৪৫ এর মধ্যে নাস্তা করে ব্যাগ গুছিয়ে নিতে হবে।
- সকাল ৯ টা থেকে ৪.০০ পর্যন্ত স্কুল, কলেজ অথবা ভার্সিটি।
- ৪.০০-৫.০০ এর মধ্যে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে বিশ্রাম নিতে হবে।
- ৫.০০ থেকে ৫.৩০ পর্যন্ত একটু হাটাহাটি করতে হবে
- ৫.৩০-৯.৩০পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে।( ৪ ঘন্টা)
- ৯.৩০-১০.০০ এর মধ্যে রাতের খাওয়া দাওয়া কমপ্লিট করতে হবে।
- ১০.০০- ১২.০০ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে। ( ২ ঘন্টা)
- সর্বমোট ০৮ ঘন্টা পড়াশোনার রুটিন।
সকালে উঠতে হবে
পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জনের জন্য তো আপনাকে সকালে উঠতেই হবে আপনার যদি সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস না থাকে সেক্ষেত্রে ঘড়িতে আলার্ম সেট করতে হবে। সকাল ৫ টা ৪০ মিনিটে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ৬.০০ এর মধ্যে বই নিয়ে পড়তে বসতে হবে। তারপর ৬.০০ থেকে ৮.০০ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে। সকালে মোট দুই ঘন্টা পড়তে হবে রাতে কি কি পড়েছিলেন সেই পড়াগুলো সকালে আরও একবার দেখে নিবেন এতে স্মৃতিশক্তি আরো ভালো হবে এবং পড়া গুলো ব্রেনে দীর্ঘদিন পর্যন্ত থেকে যাবে।
স্কুল, কলেজ অথবা ভার্সিটি
৮.০০ তে পড়াশোনা শেষ করে ৮. ৪৫ এর মধ্যে খাওয়া-দাওয়া করে ব্যাগ গুছিয়ে নিবেন।তারপর স্কুল, কলেজের জন্য রওনা দিতে হবে। ৯.০০ মধ্যে টাইম মতো স্কুল অথবা কলেজ ইউনিভার্সিটি তে পৌঁছাতে হবে তারপর ৪.০০ তে ছুটি হলে বাসায় ফিরতে হবে। কলেজ অথবা স্কুল শেষে এদিক-ওদিকে ঘুরে বেড়ানো যাবে না এতে সময় নষ্ট হবে যত দ্রুত সম্ভব বাসায় পৌঁছানোর চেষ্টা করতে হবে। ৪.১৫ মিনিটে বাসায় পৌঁছাতে হবে। আপনি যদি রুটিন অনুযায়ী কাজ করেন তাহলে দিনে ৮ ঘন্টা পড়াশোনা করে ফলাফল ভালো করতে পারবেন।
একটু হাটাহাটি অথবা শরীরচর্চা
৪.১৫ মিনিটে বাসায় ফিরে ৪.৪৫ এর মধ্যে ফ্রেশ হয়ে খাওয়াদাওয়া করে ৪ টা বাজে ৪৫ মিনিট হইতে ৫.০০ পর্যন্ত বিশ্রাম নিতে হবে।তারপর ৫.০০ থেকে ৫.৩০ পর্যন্ত বাইরে একটু ঘুরাঘুরি অথবা হাঁটাহাঁটি করতে হবে এতে মন মেজাজ ভালো থাকবে আবার শরীরও সুস্থ থাকবে। নিয়মিত একটু হাটাহাটি করার অভ্যাস তৈরি করুন আমরা অনেকেই হাঁটাহাঁটি করতে চাই না যার কারণে শরীরে নানা রোগবালায় বাসা বাঁধে এই জন্য এখন থেকে স্কুল কলেজ অথবা ইউনিভার্সিটি থেকে বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করার পর ৩০ মিনিট একটু হাটাহাটি করবেন।
রাতের খাবার
৫:৩০ মিনিটে হাটাহাটি করে বাসায় ফিরে ৫.৩০ থেকে ৯.৩০ পর্যন্ত পড়াশোনা শুরু করতে হবে আজকের দিনে স্কুল-কলেজ অথবা ইউনিভার্সিটি তে কি কি পড়া দিয়েছে এবং কোচিংয়ে কি কি পড়া আছে সেই সমস্ত পড়ার রুটিন বের করে প্রত্যেকটি হোমওয়ার্ক এবং পড়া কমপ্লিট করতে হবে। তবে হ্যাঁ পড়াশোনা শুরুর আগে একটি রুটিন বানিয়ে নিবেন যে আপনি ৫.৩০ থেকে ৯.৩০ এর মধ্যে ২-৩ সাবজেক্ট কমপ্লিট করবেন। তারপর আবার ১০.০০ মিনিট থেকে ১২.০০ মিনিট এর মধ্যে বাকি ২-৪ টা সাবজেক্ট কমপ্লিট করবেন।
এইভাবে পড়াশোনা শুরুর আগে রুটিন তৈরি করে নিবেন যে আপনি এই সময় থেকে এই সময়ের মধ্যে এতগুলো সাবজেক্ট কমপ্লিট করবেন এভাবে রুটিন তৈরি করে পড়াশোনা করলে পড়াশোনাতে মনোযোগ বসবে এবং প্রত্যেকটি সাবজেক্ট সুন্দরভাবে কমপ্লিট করতে পারবেন।
রাতের ঘুম
১২.০০ এর মধ্যে পড়াশোনা কমপ্লিট করে ঘুমিয়ে পড়তে হবে এরপর কোন প্রকার মোবাইল ফোন অথবা ল্যাপটপ ব্যবহার করা যাবে না।আপনি যদি আরো বেশি রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন তাহলে এটি আপনার মাথার উপর খারাপ ইফেক্ট দিবে। এইজন্য রাত ১২.০০ এর মধ্যে পড়াশোনা কমপ্লিট করে যত দ্রুত সম্ভব ঘুমিয়ে পড়তে হবে। তারপর আবার সকাল ৫ঃ৪০ এ উঠতে হবে আপনি যদি রাতে ঘুমাতে লেট করেন তাহলে সকালে কিন্তু আপনার ঘুম দেরিতেই ভাঙবে এই জন্য চেষ্টা করবেন যত দ্রুত সম্ভব ঘুমিয়ে পড়ার।
আপনি যদি প্রতিদিন ৮ ঘন্টা পড়াশোনা করতে চান তাহলে উপরের এই নিয়মগুলো মেনে পড়াশোনা করতে হবে আশা করছি ওপরের এত আলোচনা মাধ্যমে আপনি এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন ৮ ঘন্টা পড়ার রুটিন সম্পর্কে। আপনি যদি এই রুটিন অনুযায়ী নিয়মিত পড়াশোনা করেন তাহলে আপনার পড়াশোনা আশা করছি খুব ভালো হবে এবং আপনি ভবিষ্যতে ভালো কিছু করতে পারবেন। এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি একাদশ শ্রেণির মানবিক শাখার পড়ার রুটিন সম্পর্কে।
একাদশ শ্রেণির মানবিক শাখার পড়ার রুটিন
প্রথম প্রথম কলেজে উঠছেন? তাহলে তো এবার আপনার কাধে অনেক রেস্পন্সিবিলিটি অথবা দায়িত্ব চলে এসেছে। এই সময় বেশি বেশি পড়াশোনা করতে হবে। এই সময় ভালো রেজাল্ট করা কিন্তু খুবই জরুরী। অনেকে মনে করে একাদশ শ্রেণীতে ভালোভাবে না পড়লে কি হবে দ্বাদশ শ্রেণীতে উঠে ভালোভাবে পড়াশোনা করে এইচএসসিতে ভালো মার্ক পেলেই তো হবে। ব্যাপারটি কিন্তু একদম ভুল। আপনি যদি একাদশ শ্রেণীতে ভালো ফলাফল লাভ করতে না পারেন,
সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনার দ্বাদশ শ্রেণীতে ভালো ফলাফল লাভ হবে না কারণ একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর দুইটি মিলে কিন্তু এইচএসসির মার্ক করা হয়। আর একাদশ শ্রেণির মানবিক শাখায় দ্বাদশ শ্রেণীর তুলনায় পড়াশোনা কিন্তু অনেক সহজ আপনি যদি এখনই দুষ্টামি করেন পড়াশোনায় ফাঁকি দেন তাহলে কিন্তু দ্বাদশ শ্রেণীতে আপনার অবস্থা বেহাল হতে চলেছে। এই যেন এখন থেকেই পড়াশোনা একটু মনোযোগ দিন এবং নিচের রুটিনটি অনুসরণ করুন। নিচে দেখুন একাদশ শ্রেণীর মানবিক শাখার পড়ার রুটিন।
- সকালে ৬.২০- ৬.৪৫পর্যন্ত নামাজ অথবা প্রার্থনা
- ৬.৪৫-৭.৩০ এর মধ্যে গোসল অথবা শাওয়ার
- ৭.৩০-৮.০০ এর মধ্যে সকালের নাস্তা এবং ব্যাগ এ রুটিন অনুযায়ী জরুরী বই খাতা।
- ৮.০০-৮.৩০ পর্যন্ত রাতের পড়া গুলো আর এক বার দেখে নেওয়া।
- ৮.৩০ এ স্কুল, কলেজ অথবা ভার্সিটি যাওয়া।
- ৮.৩০-৪.০০ পর্যন্ত স্কুল, কলেজে অথবা ভার্সিটিতে পড়াশোনা।
- ৪.০০-৫.০০ তে গোসল,খাওয়া দাওয়া করে বিশ্রাম নেওয়া
- ৫.০০-৫.৩০ পর্যন্ত একটু হাটাহাটি অথবা শরীরচর্চা।
- ৬.০০-৯.০০ পর্যন্ত স্কুল, কলেজ, অথবা ভার্সিটি সহ কোচিং এর পড়া গুলো কমপ্লিট করা।
- ৯.০০-৯.৩০ এ রাতের খাওয়াদাওয়া।
- ১০.০০- ১২.০০ পর্যন্ত আবার পড়াশোনা করা।
- ১২.০০-৫.২০ পর্যন্ত ৫ ঘন্টা ঘুম।
শ্রেণীতে ওঠার পর প্রথমে এই ছোট রুটিন টি আপনাকে অনুসরণ করতে হবে। প্রথমে ৬.২০ মিনিটে সকালে উঠতে হবে তারপর ৬.৪৫ মিনিট এর মধ্যে মধ্যে নামাজ পড়ে ৭:৩০ এর মধ্যে গোসল করে কলেজের ড্রেস পরে তৈরি হয়ে, ৮.৩০ মিনিট এর মধ্যে সকালের নাস্তা করে ফেলতে হবে। অনেকেই রয়েছো যারা সকালের নাস্তা একদম করতে চাও না এভাবে নাস্তা না করে স্কুল অথবা কলেজে গেলে মাথার ঝিমঝিম করবে এবং চোখে ঝাপসা দেখবা এর জন্য সকালে নাস্তা করা খুবই জরুরী।
৮.৩০ মিনিটের মধ্যে সকালের নাস্তা কমপ্লিট করে ৯.০০ মধ্যে স্কুলে পৌঁছাতে হবে। তারপর ৯ টা থেকে বিকাল 4 টা পর্যন্ত স্কুল অথবা কলেজে পড়াশোনা করার পর বাসাতে চারটা পনেরোর মধ্যে পৌঁছাতে হবে। তারপর পাঁচটার মধ্যে গোসল করে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে বিশ্রাম করতে হবে। ৫.০০-৫.৩০ পর্যন্ত বাইরে একটু হাঁটাহাঁটি ঘুরাঘুরি করতে হবে এটি একপ্রকার শরীর চর্চা। এতে মন ভালো থাকবে সাথে শরীরটা ভালো থাকবে তারপর বাসায় ছয়টার মধ্যে ফিরে।
সন্ধ্যা ৬.০০ থেকে রাত ৯.০০ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে দিনে কলেজে কোন সাবজেক্টে কি কি পড়া দিয়েছে সে সমস্ত সাবজেক্ট গুলো বের করে প্রত্যেকটি পড়া কমপ্লিট করতে হবে। আপনি পড়া ভাগ করে নিতে পারেন অর্থাৎ ৬.০০-৯.০০ এর মধ্যে গণিত ইংলিশ সহ ইতিহাস অথবা অর্থনীতি করে নিবেন। তারপর রাতে ৯.৩০ এর মধ্যে রাতের ডিনার কমপ্লিট করে।৩০ মিনিট পরিবারকে একটু সময় দিবেন।তারপর ১০ টা থেকে আবার ১২.০০ পর্যন্ত পড়াশোনা।
আপনি যদি এভাবে রুটিন অনুযায়ী পড়াশোনা করেন তাহলে আপনার পড়াশোনা খুবই ভালো হবে এবং আপনি ১০০ পার্সেন্ট নিশ্চয়ই তাদের সাথে এইচএসসিতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবেন আশা করছি উপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে একাদশ শ্রেণির মানবিক শাখার পড়ার রুটিন গুলো কি কি।এবার চলুন আমরা এইচএসসি বিজ্ঞান বিভাগের পড়ার রুটিন সম্পর্কে জেনে আসি।
এইচএসসি বিজ্ঞান বিভাগের পড়ার রুটিন
আপনি কি এইচএসসি বিজ্ঞান বিভাগের স্টুডেন্ট তাহলে তো আপনার কাঁধে এখন প্রচুর দায়িত্ব এবং পড়াশোনার চাপ রয়েছে, তাই না? চিন্তার কিছু নেই আমরা আজকের এই পোস্টে এইচএসসির বিজ্ঞান বিভাগের পড়ার রুটিন গুলো শেয়ার করব যার মাধ্যমে আপনি কোন প্রকার চাপ ছাড়াই অনায়াসে প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন কমপ্লিট করতে পারবেন। রুটিন অনুযায়ী পড়াশোনা করলে পড়াশোনা সত্যিই খুব সহজ হয়ে ওঠে এবং টাইম অনুসারে পড়াশোনা কমপ্লিট হয় এতে মাথায় কোন চিন্তা থাকে না চলুন এবার আমরা আর কথা না বাড়িয়ে ঝটপট জেনে আসি এইচএসসি বিজ্ঞান বিভাগের পড়ার রুটিন।
- পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল লাভ করতে চাইলে অবশ্যই সকালে উঠতে হবে।
- সকাল ৫.০০ উঠতে হবে।
- ৫.২০-৮.০০ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে।
- ৮.১৫-৮.৪৫ এর মধ্যে সকালের নাস্তা এবং ব্যাগ এ রুটিন অনুযায়ী জরুরী বই খাতা।
- ৯.০০ এর মধ্যে কলেজে পৌঁছাতে হবে।
- ৯.০০-৪.০০ পর্যন্ত স্কুল, কলেজে অথবা ভার্সিটিতে পড়াশোনা।
- ৪.০০-৫.০০ এর মধ্যে গোসল,খাওয়া দাওয়া করে বিশ্রাম নেওয়া
- ৫.০০-৫.৩০ পর্যন্ত একটু হাটাহাটি, শরীরচর্চা।
- ৬.৩০-৯.৩০ পর্যন্ত কলেজ সহ কোচিং এর পড়া গুলো কমপ্লিট করা।
- ৯.০০-৯.৩০ এ রাতের খাওয়াদাওয়া।
- ১০.০০- ১২.২০ পর্যন্ত আবার পড়াশোনা করা।
আপনি যদি একজন বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে এই রুটিনটি আপনার কাজে আসবে। প্রথমে সকাল পাঁচটায় উঠতে হবে তারপর ৫.২০ এর মধ্যে ফ্রেশ হয়ে বই বের করে আটটা পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে তারপর ৮.১৫তে পড়া শেষ করে সকালের নাস্তা এবং ব্যাগ গুছিয়ে ৮. ৪৫ এর মধ্যে স্কুলের জন্য রেডি হতে হবে তারপর নয়টার মধ্যে স্কুলে পৌঁছাতে হবে। তারপর ৯ থেকে ৪ পর্যন্ত স্কুলে থাকতে হবে।৪.১৫ এর মধ্যে বাসায় ফিরে ৫.০০ মিনিটের মধ্যে গোসল খাওয়া-দাওয়া করে বিশ্রাম নিতে হবে।
তারপর ৫.০০ থেকে ৫:৩০ মিনিট পর্যন্ত একটু হাটাহাটি ও শরীরচর্চা করতে হবে এতে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকবে।। তারপর ৬.০০ এর মধ্যে বাসায় ফিরে ৩০ মিনিট হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে ৬:৩০ মিনিটে বই খাতা নিয়ে পড়তে বসতে হবে তারপর ৯.৩০ মিনিটে বই গুছিয়ে উঠে রাতের ডিনার সেরে ফেলতে হবে অনেকেই রয়েছে রাতের খাবার খেতে চাই না রাতের খাবার ঠিকভাবে না খেলে শরীরে পুষ্টি আসবে না এজন্য নিয়মিত রাতের খাবার ৯ টা ৩০ এর মধ্যে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
তারপর ৩০ মিনিট পরিবারের সাথে কাটাবেন। তারপর আবার দশটা থেকে শুরু করে ১২.২০ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে আর হ্যাঁ এর মধ্যে প্রত্যেকটি সাবজেক্ট এর রুটিন করে নিবেন অর্থাৎ আপনি এই সময়ের মধ্যে এতগুলো সাবজেক্ট কমপ্লিট করবেন এভাবে সময় অনুসারে রুটিন তৈরি করে পড়লে ভালো হবে। পাঠক আপনি যদি ওপরের এই রুটিনটি মেনে চলেন তাহলে আপনি ১০০% গ্যারান্টি সহ পরীক্ষাতে A+ তে উত্তীর্ণ হবেন আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন এইচএসসি বিজ্ঞান বিভাগের পড়ার রুটিন সম্পর্কে। এবার চলুন আমরা অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায় গুলো জেনে আসি।
অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায়
অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায় খুঁজছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন আমরা আজকের এই পোস্টটি অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায় গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব। দেখা যায় বেশিরভাগ সময়ই স্টুডেন্টরা অল্প সময়ে ভালো রেজাল্ট করার টোটকা চাই তবে এই ওয়েবসাইট সেই ওয়েবসাইট ঘুরে মনের মত কোথাও টোটকা পাই না তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে এমন কয়েকটি শেয়ার করব যার মাধ্যমে আপনারা অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন
বিগত সালের বোর্ড প্রশ্ন পড়ে A+
অল্প করে পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল করতে চাইলে আপনাকে প্রচুর বোর্ড প্রশ্ন করতে হবে কারণ পরীক্ষাতে দেখা যায় বেশিরভাগ প্রশ্নগুলোই বোর্ড প্রশ্ন থেকে আসে অর্থাৎ এটি ২০২৪ সাল তাহলে আপনাকে পড়তে হবে ২০১৬ সাল থেকে শুরু করে ২০২২ সালের যার সমস্ত প্রশ্নের উত্তরগুলো আপনাকে পড়তে হবে এবং প্রত্যেকটি প্রশ্ন মনোযোগ সহকারে ভালোভাবে পড়তে হবে যেন আপনি যেকোন সাল থেকে প্রশ্ন আসলে আপনি লিখতে পারেন।
তবে সাল তো অনেকগুলো রয়েছে যেমন ২০১৬ ২০১৭ ২০১৮ কোন সাল থেকে পড়লে বেশি প্রশ্ন কমন আসবে? আমি আপনাদের এখানে একটি টিপস দেই। মনোযোগ সহকারে শুনুন ২০১৭,২০১৯, ২০২০, এবং ২০২২ সালের প্রশ্নগুলো বেশি পড়বেন। কারণ এই সাল গুলো থেকে প্রচুর প্রশ্ন কমন আসে এই জন্য এই সালের প্রশ্নগুলো একটাও বাদ দিবেন না তাহলে আপনি ১০০ পার্সেন্ট নিশ্চয়তার সাথে পরীক্ষা দিয়ে ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন।
মুখস্থ নয় বুঝে পড়ে A+
কখনোই গাধার মতো একটার পর একটা পেজ মুখস্ত করতে থাকবেন না এতে যেমন আপনার সময় নষ্ট হবে তেমনি আরেক দিকে আপনার ব্রেনের অপচয় হবে এজন্য সবসময় চেষ্টা করবেন পড়াকে মুখস্ত নাই বুঝার চেষ্টা করবেন এতে কম সময়ে বেশি পড়তে পারবেন এবং এটি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত আপনার ব্রেনে থাকবে আর মুখস্ত করলে সেটি দুই তিন দিন পর ভুলে যায় সম্ভাবনা রয়েছে তবে বুঝে পড়লে কিন্তু এটি কখনো আপনার ব্রেন থেকে আউট হবে না।
এইজন্য সবসময় চেষ্টা করবেন বুঝে পড়ার। বিজ্ঞানীরা বুঝে পড়াকে স্মার্টনেস বলে আর মুখস্তকে বোকামি বলে। এই কথাটির ব্যাখ্যা হল যারা মুখস্ত করে করে পড়ে তারা সত্যি বোকামি করে কারন এটিতে যেমন একদিকে সময়ের অপচয় হয় তেমনি দীর্ঘদিন পর্যন্ত আপনার ব্রেনেও থাকে না আর বুঝে পড়লে যেমন আপনি তাড়াতাড়ি পড়া শেষ করতে পারবেন তেমনি এটি দীর্ঘদিন পর্যন্ত আপনার ব্রেনে থাকবে। আর বুঝে বুঝে পড়লে এটি আপনি আপনার ইচ্ছা অনুসারে ব্যাখ্যা করতে পারবেন।
ছন্দ অনুসারে মনে রেখে A+
এখন কোন পড়া আপনার কাছে কঠিন মনে হবে তখন সেটির পিছে ঘন্টার পর ঘন্টা নষ্ট না করে সেটিকে ছন্দ আকারে মনে রাখার চেষ্টা করুন। আপনাকে কি মজার কথা বলি আমরা তো অনেক সিরিয়াল, ছবি দেখি গান শুনি তাই না? এই টিভির ছবি গানগুলোর প্রত্যেকটি লাইন কিন্তু আমাদের মনে থাকে কিন্তু আমরা এক সপ্তাহ আগে কি পড়েছি এই জিনিসটা কিন্তু আমাদের মনে থাকে না এর কারণ কি আপনি জানেন? এর কারণ হলো যখন আমরা টিভিতে ছবি দেখি, তখন এটি একদিকে যেমন আমাদের ব্রেনে সংরক্ষণ হয়।
তেমনি এটি আমাদের চোখেও সংরক্ষিত থাকে যার কারণে ব্রেন ও চোখ একত্রিত হয়ে আমাদের দীর্ঘদিন এটি মনে থাকে তবে যখন আমরা পড়ি তখন কিন্তু একইভাবে মনোযোগ সহকারে পড়ি না যার কারণে এটি আমাদের মনে থাকে না এবং আমরা অল্প সময়ের ব্যবধানে এটি ভুলে যাই এর জন্য সবসময় পড়া কে মজা হিসেবে ছন্দ অনুসারে পড়ার চেষ্টা করবেন এতে এটি আপনার দীর্ঘদিন মনে থাকবে। আপনি যদি সবকিছুকে সহজভাবে নেন তাহলে এই পৃথিবী আপনার কাছে খুবই সহজ হয়ে উঠবে আর যদি আপনি কঠিন ভাবে নেন তাহলে পৃথিবী আপনার কাছে খুবই ভয়াবহ হয়ে উঠবে।
রুটিন অনুসরণ করে A+
পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল করতে চাইলে তো আপনাকে অবশ্যই রুটিন ফলো করতে হবে কারণ রুটিন অনুসরণ করে না তারা কখনোই জীবনে ভালো কিছু আশা করতে পারেনা কারণ থাকলে সবকিছুই সুন্দর আর ডিসিপ্লিনের বাইরে গেলেও সুন্দর জিনিসে যেন অসুন্দোর হয়ে ওঠে আপনি যদি জটিল অনুসরণ করে আপনার প্রত্যেকটি পড়া কমপ্লিট করেন তাহলে আপনি অল্প করেও আপনার পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল লাভ করতে পারবেন। এখন থেকে সবার আগে ঘুম থেকে উঠে,
আরো পড়ুন: প্রতিদিন 300 400 টাকা আয় করার জাদুকরী উপায়
নিজের ডেইলি রুটিন তৈরি করবেন। সেই রুটিনে আপনি নোট করবেন আপনি কখন কোন কোন কাজ করবেন এবং কখন পড়তে বসবেন এতে আপনার ডেইলি কাজের একটি তালিকা তৈরি হবে। সে তালিকা অনুযায়ী কাজ করলে এতে আপনার পড়াশোনা হবে আবার সময়ও বাঁচবে।এই জন্য এখন থেকে ঘুম থেকে উঠেই সবার আগে নিজের দৈনিক ডেইলি রুটিন তৈরি করবেন।
প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন কমপ্লিট করে A+
প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন কমপ্লিট করতে হবে অনেকেই রয়েছে যারা পড়াতে ফাঁকি দেয় আজকের পড়া কালকের পরে কালকের পড়া পরশুদিন পরে এগুলো করলে কিন্তু আপনি কখনো পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফলাফল লাভ করতে পারবেন না আপনি যদি অল্প পরে খেতে ভালো ফলাফল লাভ করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে প্রতিদিনই পড়া প্রতিদিন কমপ্লিট করতে হবে একদিন ও ফাঁকি দেওয়া যাবে না। আপনি যদি আপনার কাজের ফাঁকি দেন তাহলে সফলতা আপনাকে ফাঁকি দিয়ে হাত ফসলে যাবে।
এজন্য সময় থাকতে এখনো সাবধান হোন এবং প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন কমপ্লিট করুন। আর পড়ার সময় মনোযোগ সহকারে পড়বেন শুধু এমনটাই নয় যে রিডিং পড়ে গেলাম হয়ে গেল এতে আপনার লস হবে প্রত্যেকটি পড়াকে মনোযোগ সহকারে বোঝার চেষ্টা করবেন তাহলে এটি দীর্ঘদিন আপনার ব্রেনে থাকবে। প্রতিদিন স্কুল কেলজ অথবা কোচিংয়ে যা যা পড়া দিচ্ছে প্রত্যেকটি পড়াকে তালিকা ভুক্ত করবেন তারপর বাসায় ফিরে সেই সমস্ত পড়া গুলো কমপ্লিট করবেন।
প্রিয় পাঠক আপনি যদি অল্প পরেই ভালো রেজাল্ট করতে চান তাহলে ওপরের এই উপায় গুলো অনুসরণ করবেন এই উপায় গুলো কিন্তু খুবই উপকারী আপনি যদি এই উপায় গুলো অনুসরণ করে চলেন তাহলে আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিচ্ছি আপনি ১০০ পার্সেন্ট নিশ্চয়ই তাদের সাথে পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল লাভ করতে পারবেন কারণ আপনি যদি পরিশ্রম করেন তাহলে সফলতা অবশ্যই আসবে। পরিশ্রম কখনোই বেহালে যায় না এই যেন এখন থেকে বেশি বেশি আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আমরা আজকের এই পোস্টে দৈনিক ১০ ঘন্টা পড়ার রুটিন, অল্প করে পরীক্ষাতে ভালো রেজাল্ট করার উপায় এবং দিনে ৮ ঘন্টা পড়ার রুটিনে সম্পর্কে আলোচনা করলাম। আপনি যদি দৈনিক 10 ঘন্টা পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে সকালে উঠতে হবে আপনি যদি সকালের না উঠেন তাহলে কিন্তু আপনি কখনোই দৈনিক 10 ঘন্টা পড়তে পারবেন না এছাড়াও সকাল টাইম কি পড়ার জন্য সবচেয়ে সেরা একটি সময় কারণ এই সময় আমাদের মাথায় কোন চাপ থাকে না।
ফলে আমরা অল্প সময়ের মধ্যেও সমস্ত পড়া কভার করতে পারি। আর আমরা যখন রাতে পড়তে বসি তখন সারাদিনের বিভিন্ন চিন্তাভাবনা এবং ধকল আমাদের মাথায় থাকে এতে পড়া ঠিকভাবে হয় না ফলে এক ঘন্টার পড়া মুখস্ত করতে যেন দুই ঘন্টা সময় লাগে এজন্য সবসময় চেষ্টা করবেন ঠান্ডা মাথাতে সকালে পড়ার এতে আপনি অল্প সময়ের মধ্যে সমস্ত পড়া যেমন করতে পারবেন তেমনি আপনার পড়েও ভালো লাগবে এবং আপনি লক্ষ্য করবেন আপনি যে পড়া গুলো সকালে পড়বেন এই পড়াগুলো দীর্ঘদিন আপনার ব্রেনে থাকবে।
কারণ সকালের পড়াতে অনেক মনোযোগ বসে আমাদের অজান্তে আমরা দৃঢ় মনোযোগ দিয়ে পড়তে বসি এতে এই পড়াটি আমাদের দীর্ঘদিন পর্যন্ত মাথায় থাকে এজন্য এখন থেকে সব সময় সকালে পড়ার অভ্যাস তৈরি করবেন এই জন্য আপনাকে সবার আগে সকালে উঠতে হবে। প্রতিদিন সকাল ৫ঃ২০ এ উঠার চেষ্টা করবেন তারপর হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে বই খাতা নিয়ে পড়তে বসবেন দুই তিন ঘন্টা পড়ার পর স্কুল কলেজ অথবা ইউনিভার্সিটির জন্য দেরি হয়ে নয়টার মধ্যে বাসা থেকে বেরিয়ে যাবেন।
তারপর স্কুল-কলেজ অথবা ইউনিভার্সিটি শেষে বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে একটু বিশ্রাম নিবেন এই সময়টি বিশ্রাম নেওয়া খুবই জরুরী কারণ সারাদিনের স্কুল-কলেজ অথবা ইউনিভার্সিটি নকল কাটানোর জন্য এই সময় বিশ্রাম নিতে হয়। তারপর বিশ্রাম শেষে আবারো পড়তে বসবেন। দৈনিক দশ ঘণ্টা পড়তে চাইলে আপনাকে একটু পরিশ্রম তো অবশ্যই করতে হবে এছাড়াও আমরা আজকের এই পোস্টে অল্প পড়ে পরীক্ষাতে ভালো রেজাল্ট করার উপায় গুলো আলোচনা করেছি।
আপনি যদি অল্প পর এই পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল লাভ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে উপরের উপায় গুলো অনুসরণ করতে হবে অর্থাৎ বিগত সালের বোর্ড প্রশ্ন গুলো বেশি বেশি পড়তে হবে এবং যে কোন পড়া মুখস্ত নাই বুঝে বুঝে পড়তে হবে এতে দীর্ঘদিন পর্যন্ত এ পড়াগুলো আপনার মাথায় থাকবে সাথে প্রত্যেকটি পড়াকে ছন্দ আকারে মুখস্ত করার চেষ্টা করতে হবে পড়া আমাদের মনে থাকে না কিন্তু ছন্দ আমাদের ঠিকই মনে থাকে এজন্য যেকোনো পরাকে ছন্দ আকারে মনে রাখার চেষ্টা করবেন।আশা করছি আজকের এই পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে।
ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url