Ivf এর সুবিধা ও অসুবিধা এবং Ivf কিভাবে করা হয়

সারোগেসি কিভাবে করা হয়?

প্রিয় পাঠক আপনি কি আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তান নিতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনাকে Ivf এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে জানতে হবে।আজকের এই পোস্টে আমরা Ivf কিভাবে করা হয় এবং Ivf এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

Ivf এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত

আইভিএফ এর পূর্ণ রূপ হল ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন। এটি একটি কৃত্রিম পদ্ধতি যার মাধ্যমে সন্তান ধারনে অক্ষম বাবা মা সন্তানের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবে। আপনিও কি আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তান নিতে চাচ্ছেন? তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য।Ivf এর সুবিধা ও অসুবিধা এবং Ivf কিভাবে করা হয় জানতে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

পেজ সূচিপত্র

   ভূমিকা   

ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন এটি সম্পূর্ণ একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। যার মাধ্যমে নারীর গর্ভাশয়ের বাইরে শুক্রাণু প্রবেশ করিয়ে ভ্রুণ তৈরি করা হয়। বিশেষ করে এই পদ্ধতিটি তাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় যারা সন্তান ধারণে অক্ষম, একাধিক বার ইমপ্লান্টেশনে ব্যর্থ হয়েছে ,পুরুষের শারীরিক সমস্যা রয়েছে, দাম্পত্যের বয়স বেশি অথবা বাধ্যত্ব রয়েছে। এছাড়াও আইভিএফ পদ্ধতিটি যে শুধুমাত্র গর্ভধারণের সহায়তা করে

আরো পড়ুন: পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া জাদুকারী উপায় - 5 মিনিটে ব্যথা দূর

এমনটা কিন্তু নয় পাশাপাশি শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও কোনো জেনেটিক রোগ বাবা-মায়ের থেকে সন্তানের মধ্যে আসা সম্ভাবনা থাকলে সেটিও দূর করতে পারে। তোমার সময় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির মধ্যে একটি হল ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন। আপনি যদি আইডিএফ পদটির মাধ্যমে সন্তান নিতে আগ্রহী হন তাহলে আপনাকে অবশ্যই আগে জানতে হবে আইভিএফ এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলো এবং Ivf কিভাবে করা হয়।

Ivf কিভাবে করা হয়

সাধারণভাবে নারীদের অভ্যন্তরে অর্থাৎ গর্ভাশয় নারীর ডিম্বাণু ও পুরুষের শুক্রাণু একত্রিত হয়ে নিষেক সম্পন্ন হয় সেখান থেকে সৃষ্টি হয় ভ্রূণ থেকে পরবর্তী সময়ে সেটি জাইগোট এ রূপান্তরিত হয় তারপর একাধিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর বাচ্চার তৈরি হয় কিন্তু যারা সন্তান ধারণে অক্ষম অথবা তাদের ক্ষেত্রে আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান ধারণ করা হয়। Ivf পদ্ধতির মাধ্যমে একটি টেস্ট টিউবের মধ্যে

নারীর ডিম্বাণু ও পুরুষের শুক্রানু একত্রিত করে নিষেক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় তারপর ভ্রুণ তৈরি করে সেটি নারীর গর্ভাশয় প্রতিস্থাপন করা হয় এই পদ্ধতিকে বলা হয় আইভিএফ। সমাজে বেশিরভাগ দাম্পত্তির মধ্যে সন্তান নিয়ে ঝামেলা চলে অনেকের বাধ্যত্ব থাকে অথবা করে শারীরিক সমস্যা অথবা নারীর শরীর দুর্বল হওয়ার কারণে সন্তান ধারণ করতে সক্ষম হন না। তাদের জন্য এই পদ্ধতিটি সেরা।

আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে সহজেই সন্তানের স্বাদ গ্রহণ করা সম্ভব। নিচে দেখুন Ivf পদ্ধতির বিভিন্ন ধাপ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

  • স্বাভাবিক ঋতুস্রাব বন্ধ
  • নারীর ডিম্বাণু সরবরাহ বাড়িয়ে তোলা
  • ডিম্বাণু সংগ্রহ
  • শুক্রাণু সংগ্রহ
  • নিশিক্তকরণ পদ্ধতি

স্বাভাবিক ঋতুস্রাব বন্ধ

আইভিএফ পদ্ধতি সর্বপ্রথম ধাপ হল নারীর স্বাভাবিক ঋতুস্রাবকে বন্ধ করা এটি একটি ইনজেকশন অথবা নাকে স্প্রে করার মাধ্যমে ঋতুস্রাব বন্ধ করা হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় নারী যখন গর্ভাবস্থায় থাকে তখন তার ঋতুস্রাব বন্ধ থাকে। এইজন্য আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান ধারণের জন্য প্রথম অবস্থায় স্বাভাবিক ঋতুস্রাবকে বন্ধ করা হয়।

নারীর ডিম্বাণু সরবরাহ বাড়িয়ে তোলা

নারীর শরীরে ডিম্বানুর পরিমাণ কম থাকলেও সন্তান ধারনে নারীরা অক্ষম হয়। কৃত্রিম পদ্ধতিতে সন্তান ধারণের জন্য একাধিক ডিম্বাণুর প্রয়োজন হয় যার ফলে শুধুমাত্র কয়েকটি ডিম্বাণু নিয়ে পরিপূর্ণ চিকিৎসা করা সম্ভব নয় এতে ঝুঁকি রয়েছে এই জন্য নারীর শরীরে অতিরিক্ত ডিম্বাণু তৈরি হওয়ার জন্য ইনজেকশন দেওয়া হয়। এই ইনজেকশনকে বলা এইচসিজি ইনজেকশন।আইভিএফ পদ্ধতিতে দ্বিতীয় ধাপ হিসেবে নারীর ডিম্বাণু

আরো পড়ুন: তাড়াতাড়ি পিরিয়ড হওয়ার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানুন

সরবরাহ বৃদ্ধি করা হয় যেন দ্রুত সন্তান ধারণ সম্ভব হয়।এই পদ্ধতিটি অনেক বেশি কার্যকারী।

ডিম্বাণু সংগ্রহ

তার পদ্ধতি ধাপে নারীর ডিম্বাণু সংগ্রহ করতে হয়। নারীর ডিম্বাণু বৃদ্ধির জন্য ইনজেকশন প্রদানের ৩৮ থেকে ৪০ ঘন্টা পর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখতে হয় ডিম্বানু গুলো সুস্থ ও পরিপক্ক হয়েছে কিনা যদি ডিম্বানু গুলো সুস্থ ও পরিপক্ক আকারে দেখা যায় তাহলে সেগুলোকে যান্ত্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে সংগ্রহ করতে হবে। তবে এর আগে অবশ্যই ব্যাথা নাশক ঔষধ নারীকে সেবন করাতে হবে। তারপর একে একে কয়েকটি কয়েকটি করে ডিম্বাণু

সংগ্রহ করে সেটি টেস্টটিউবে সংরক্ষণ করতে হবে আর খেয়াল রাখতে হবে প্রত্যেকটি ডিম্বাণু যেন সুস্থ ও পরিপক্ক হয় সুস্থ ও পরিপক্ক ডিম্বাণু বেছে না নিলে আইভিএফ পদ্ধতি ব্যর্থ হতে পারে।

শুক্রাণু সংগ্রহ

ডিম্বাণু সংগ্রহ হয়ে গেলে তারপর শুক্রাণু সংগ্রহ করতে হবে। তারপর পুরুষের শুক্রানু গুলো অবশ্যই বাছাই করতে হবে বাছাই করার মাধ্যমে সুস্থ ও পরিপক্ক শুক্রানু  গুলো সংগ্রহ করতে হবে তারপর সেটি অন্য একটি টেস্টটিউবে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।

নিশিক্তকরণ পদ্ধতি

তারপর ডিম্বানু ও শুক্রাণু দুটি সংগ্রহ হয়ে গেলে। সেগুলো বাছাই করে দেখতে হবে এবং সুস্থ ও পরিপক্ক ডিম্বাণু ও শুক্রাণুগুলো একটি টেস্ট টিউবে সংরক্ষণ করতে হবে। আর প্রত্যেকটি ডিম্বাণুর জন্য এক লক্ষর বেশি শুক্রাণু সংগ্রহ করতে হবে। যেহেতু শুক্রাণু গুলো বাছাই করা হবে এজন্য ডিম্বানুর চেয়ে অধিক অধিক শুক্রাণু সংগ্রহ করতে হবে। তারপর সেটি নিষিক্ত করনের জন্য ১৮ থেকে ১৯ ঘন্টা এভাবেই রেখে দিতে হবে।

তারপর বিশেষ যন্ত্রপাতির সাহায্যে দেখতে হবে যে ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর নিষেধ হয়েছে কিনা যদি না হয় তাহলে বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে ডিম্বানুর ভিতরে কোন একটি শুক্রাণুকে প্রবেশ করানো হবে এভাবে আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে বাচ্চা গর্ভধারণ করানো হয়।

আরো পড়ুন: সারোগেসি কি হালাল? সারোগেসির খরচ কত?

উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন আইভিএফ পদ্ধতিতে কিভাবে বাচ্চা গর্ভধারণ করানো হয়। বর্তমান সময়ে আইভিএফ পদ্ধতিটি অনেক বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। যারা গর্ভধারণ এ অক্ষম অথবা পুরুষের বাধ্যত্ব অথবা কোন শারীরিক সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এই আইভিএফ পদ্ধতিটি অনেক কার্যকারী। এই আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে সহজেই সন্তান গর্ভধারণ করা সম্ভব।

তবে বাংলাদেশে এখনো আইভিএফ পদ্ধতির সেভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করেনি যার কারণে আইভিএফ পদ্ধতিতে বাচ্চা গর্ভধারণ করার জন্য অবশ্যই পার্শ্ববর্তী কোন দেশের সহায়তা নিতে হবে। কলকাতায় এমন অনেক চিকিৎসক রয়েছে যারা আইভিএফ পদ্ধতিতে বাচ্চা গর্ভধারণ করাতে সহায়তা করে। উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে Ivf কিভাবে করা হয় এবার চলুন আমরা জেনে আসি আইভিএফ গর্ভাবস্থার লক্ষণ

আইভিএফ গর্ভাবস্থার লক্ষণ

আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান নিতে চাচ্ছেন? তাহলে আইভিএফ কর্মকর্তা লক্ষণ গুলো অবশ্যই জানতে হবে। আইভিএফ পদ্ধতিতে  শুক্রাণু ও ডিম্বানু নিশিক্তকরন পদ্ধতির মাধ্যমে ভ্রুণ তৈরি করে সেটি আপনার গর্ভাশয় প্রতিস্থাপন করার পর অবশ্যই অপেক্ষা করতে হবে। এই ব্রণ যখন আপনার গর্ভাশয় প্রথমবারের মতো নিজের জায়গা দখল করে নেয় তখন এই পদ্ধতিকে বলা হয় ইমপ্ল্যান্টেশন।

ভ্রন্টটি আপনার গর্ভাশয় প্রতিস্থাপন করার পর আপনার যৌন থেকে হালকা ছোপ ছোপ রক্তপাত হতে পারে তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই এটি অনেক সাধারন। যখন আপনার ঋতুস্রাবের সময় হবে তখন এমন যৌন পথ থেকে হালকা ছোপ ছোপ  রক্তপাত হতে পারে তবে যদি আপনার রক্তপাতের পরিমাণ খুব বেশি হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে কথা বলতে হবে। ইমপ্ল্যান্টেশন পদ্ধতির দুই থেকে তিন মাস পর আপনার মধ্যে কিছু পরিবর্তন দেখা যাবে।

এইচসিজি ইনজেকশনের পরে গর্ভাবস্থার প্রাথমিক লক্ষণ গুলো জানতে নিচে দেখুন

  • পিরিয়ড মিস হবে
  • ক্লান্তি ভাব
  • স্তন এর পরিবর্তন
  • খাবারে অরুচি
  • বমি বমি ভাব
  • মাথা ঘোরা

পিরিয়ড মিস হবে

আইভিএফ গর্ভাবস্থায় প্রথম লক্ষণ হল পিরিয়ড মিস। সাধারণ অবস্থায় তোর নারীদের প্রতি মাসে পিরিয়ড হয় কিন্তু যখন আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে ভ্রুণ গর্ভাবস্থায় প্রতিস্থাপন করা হয় তখন গর্ভধারণের প্রথম লক্ষণ হিসেবে দাঁড়াই পিরিয়ড মিস। আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে ২-৩ মাস পর থেকে যদি আপনার পিরিয়ড মিস হয় তাহলে বুঝে নিবেন সুখবর আসতে চলেছে।

ক্লান্তি ভাব

সাধারণত গর্ভবতী মেয়েরা একটু কাজ করে হাঁপিয়ে ওঠে তাদের শরীর অনেক বেশি দুর্বল হয় যার ফলে সবসময় শরীরে একটা ক্লান্তি ভাব কাজ করে।এই জন্য আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমেও গর্ভবতী থাকলে শরীরে এমন ক্লান্তি ভাব দেখা দিবে। নারী প্রাকৃতিকভাবে গর্ভবতী হোক আর কৃত্রিমভাবে হোক গর্ভাবস্থায় ক্লান্তি ভাবতে থাকবেই।

স্তনের এর পরিবর্তন

আইভিএফ গর্ভাবস্থায় সবচেয়ে কার্যকরী একটি লক্ষণ হল স্তনের পরিবর্তন। অর্থাৎ যখন নারীর মধ্যে সন্তান ধীরে ধীরে বেড়ে উঠবে তখন তার স্তনেরও পরিবর্তন ঘটবে অনেক বেশি ফোলা ফোলা দেখাবে এবং কোমল হবে। গর্ব অবস্থায় প্রত্যেকটি নারীর স্তনের পরিবর্তন দেখা দেয় যার ফলে আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে  সন্তান ধারণ করলে স্তনের পরিবর্তন হবে।

খাবারে অরুচি

প্রাকৃতিকভাবে গর্ভকালীন সময়ে নারীদের খাবারের প্রতি অনেক বেশি ঝোঁক থাকে। কিন্তু আইভিএফ পদ্ধতিতে গর্ভকালীন সময়ে নারীদের খাবারে অরুচি দেখা যায়।

বমি বমি ভাব

গর্ভাবস্থায় কৃত্রিমভাবে হোক আর প্রাকৃতিকভাবে বমি বমি ভাব দেখা দিবেই। গর্ভকালীন সময়ে সবচেয়ে প্রধান লক্ষণ হল বমি বমি ভাব। এই জন্য যদি আপনার বমি বমি ভাব দেখা যায় তাহলে বুঝে নিবেন যে সুখবর আসতে চলেছে।

মাথা ঘোরা

গর্ভাবস্থার আরেকটি প্রধান লক্ষণ হল মাথা ঘোরা। এখন মাথা ঘোরা তো অনেক সাধারণ তাই না? কিন্তু আপনি কিভাবে বুঝবেন যে আপনার গর্ভাবস্থার কারণে মাথা ঘুরছে? সাধারণ মাথা ব্যথা পুরো মাথা জুড়ে ব্যথা হয় আর যখন গর্ভাবস্থার জন্য মাথাব্যথা হয় তখন হঠাৎ মাথা চক্কর দিয়ে ওঠে।

আইভিএফ গর্ভাবস্থার লক্ষণ গুলি উপরে আলোচনা করলাম আপনার মধ্যে যদি এমন কোন লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনি গর্ভবতী। পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে আইভিএফ গর্ভাবস্থার লক্ষণ গুলো কি কি এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি ivf এর সুবিধা ও অসুবিধা।

ivf এর সুবিধা ও অসুবিধা

বর্তমান সময়ে আইভিএফ পদ্ধতি অনেক বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে সহজেই সন্তান ধারনে অক্ষম নারীরা সন্তান ধারণ করতে পারছেন। আইভিএফ এর মাধ্যমে শুধু সন্তান ধারণ নয় আরো শারীরিক দুর্বলতা ও সমস্যা দূর করার সম্ভব। আইভিএফ পদ্ধতির কল্যাণে বর্তমান সময়ে  বান্ধ্যত্ব পুরুষ অথবা জরায়ু সমস্যায় আক্রান্ত নারীরাও সন্তানের স্বাদ গ্রহণ করতে পারছে। আইভিএফ এটি সম্পূর্ণ

একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি যার মাধ্যমে ডিম্বাণু ও শুক্রাণু নিষেক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভ্রূণ তৈরি করে সেটি নারীর গর্ভাশয় প্রতিস্থাপন করা হয়। প্রিয় পাঠক আপনি যদি আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তান ধারণ করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে যে এই পদ্ধতির ivf এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলো কি কি। চলুন তাহলে প্রথমে আমরা জেনে আসি Ivf এর সুবিধা 

Ivf এর সুবিধা

Ivf এটি সম্পূর্ণ একটি কৃত্রিম বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সহজে সন্তান ধারণ করা সম্ভব আজকের এই পোস্টে আমরা আইভিএফ এর সুবিধা নিয়ে আলোচনা করব প্রিয় পাঠক আপনি যদি আইভিএফ মাধ্যমে সন্তান ধারণ করতে চান তাহলে সম্পর্কে Ivf এর সুবিধা আপনার জানা উচিত।Ivf এর সুবিধা সম্পর্কে জানতে নিচে দেখুন

  • Ivf পদ্ধতি মাধ্যমিক যে কোন বয়সের সন্তান ধারণ করা সম্ভব।
  • Ivf পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তানের মধ্যে নিজেদের বৈশিষ্ট্য অক্ষুন্ন থাকে।
  • Ivf পদ্ধতির মাধ্যমে গর্ভধারণের সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়।
  • Ivf পদ্ধতির মাধ্যমে গর্ভপাতের সম্ভাবনা অনেকাংশই কমে যায়।
  • আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে গর্ভাবস্থার সময় নিজের ওপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ আপনি যখন চাইবেন তখন গর্ভবতী হতে পারবেন।
  • আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে নারীর শরীরে ডিম্বাণু উৎপাদনের হার বৃদ্ধি পাবে।
  • Ivf পদ্ধতির মাধ্যমে খরচে এবং কম সময়ে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাব।
  • Ivf পদ্ধতির মাধ্যমে বান্ধ্যত্ব পুরুষ সন্তানের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবে।
  • যেকোনো মানুষ Ivf পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তান ধারণ করতে পারবে।

উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে Ivf এর সুবিধা গুলো কি কি। এবার চলুন আমরা জেনে আসি Ivf এর অসুবিধা গুলো কি কি।

Ivf এর অসুবিধা

যেখানে এত হাজারো অসুবিধা রয়েছে সেখানে একটু অসুবিধা তো থাকবে তাই না? আর যেহেতু এটি একটি কৃত্রিম বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া সেহেতু এটি যে সবসময় মানবদেহের উপর পজিটিভ প্রভাব ফেলবে এমনটা কিন্তু নয় অনেক সময় নেগেটিভ প্রভাবও ফেলতে পারে। এইজন্য আপনি যদি ভেবে থাকেন যে আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তান ধারণ করবেন তাহলে আপনার Ivf এর অসুবিধা গুলো জানা উচিত।Ivf এর অসুবিধা গুলো জানতে নিচে দেখুন
  • মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে
  • বাচ্চার বুদ্ধি বিকাশে ব্যাঘাত দেখা দিতে পারে
  • বাচ্চার ওজন হ্রাস হতে পারে।
  • একাধিক গর্ভধারণের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • গর্ভকালীন সময়ে নারীর খাবারে অনীহা দেখা দিতে পারে যার ফলে বাচ্চার শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
  • মায়ের শরীরের নানান জটিলতা দেখা দিতে পারে।
  • নারীর মানসিক চাপ সৃষ্টি হতে পারে।
  • জমজ বাচ্চা হবার উচ্চ আশঙ্কা থাকে।
  • ঠিকভাবে পরিপক্ক ডিম্বানু সংগ্রহ না করলে মিসক্যারেজ হতে পারে যার ফলে আইভিএফ অনেক ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়াতে পারে।
উপরোক্ত আলোচনা মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে Ivf এর অসুবিধা গুলো কি কি। আপনি যদি আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে ঠিকভাবে সন্তান ধারণ করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটি সঠিক ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ না নিলে উপরোক্ত সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে সাথেই বারবার মিসক্যারেজে সম্ভাবনা রয়েছে। ওপরে Ivf এর অসুবিধা গুলো
আলোচনা করলাম এবার চলুন জেনে আসি আইভিএফ এর খরচ কেমন

আইভিএফ এর খরচ 

প্রিয় পাঠক আপনি কি Ivf পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তান ধারণ করতে চাচ্ছেন? বর্তমান সময়ে অনেক জনপ্রিয় এবং সুনামযোগ্য একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির নাম হলো আইভিএফ যার মাধ্যমে সন্তান ধরনের অক্ষম নারী ও পুরুষরাও সন্তানের স্বাদ গ্রহণ করতে পারছে। আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে স্বল্প খরচে এবং স্বল্প সময়েই বাচ্চা ধারণ করা সম্ভব। নারীর শরীরে যদি কোন জরায়ু সংক্রান্ত সমস্যা অথবা পুরুষের বান্ধ্যত্ব থাকে

তাহলে চিকিৎসা করতে করতেই প্রায় সারাটা জীবন যেন কেটে যায় কিন্তু তাদের জন্য এখন নতুন পদ্ধতির আবিষ্কার হয়েছে আইভিএফ এই পদ্ধতির মাধ্যমে সহজেই গর্ভধারণ করা সম্ভব। তাই আপনি যদি আইডিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে গর্ভধারণ করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আইভিএফ এর খরচ সম্পর্কে জানতে হবে আইভিএফ এর খরচ জানতে নিচে দেখুন

আইভিএফ পদ্ধতি খরচ যদিও খুব বেশি নয় এটি স্বল্পমূল্যেই সম্পন্ন করা সম্ভব। আপনি যদি আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তান নিতে চান তাহলে আপনার বাজেট থাকতে হবে দুই থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার মধ্যে আপনি যদি খুব ভাল পরিষেবা পেতে চান তাহলে আপনার বাজেট অবশ্যই পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা রাখতে হবে। আমার মতে স্বল্পমূল্যে কম অভিজ্ঞ সম্পন্ন চিকিৎসকের থেকে আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান না

নেওয়ায় ভালো কারণ পরবর্তী সময়ে নানান জটিলতা দেখা দিতে পারে যেমন বাচ্চার বুদ্ধি বিকাশে সমস্যা অথবা বাচ্চার দেহ গঠনে ব্যাঘাত কিংবা মায়ের শরীরের নানান সমস্যা অথবা মিসকারেজ হতে পারে। আর বারবার মিসক্যারেজ হলে ব্যাপারটি অনেক বেশি ব্যয়বহুল হয়ে পড়বে। এইজন্য আমার মতে বাজেট ভালো রেখে অভিজ্ঞ সম্পন্ন চিকিৎসকের থেকে আইভিএফ পদ্ধতির সেবা নিতে হবে।

যদিও বাংলাদেশে আইভিএফ পদ্ধতিটি সেভাবে জনপ্রিয়তা নেয় এবং ভালো সেবা পাওয়া সম্ভব নয় এইজন্য পার্শ্ববর্তী কোন দেশ থেকে আপনি যদি আইভিএফ পদ্ধতির সেবা নেন তাহলে সেটি সবচেয়ে ভালো হবে। কলকাতায় হাজারো অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চিকিৎসক রয়েছে যারা Ivf পদ্ধতি সেবা প্রদান করে থাকে এবং কলকাতাতে খরচ কম।কলকাতায় আইভিএফ খরচ সর্বোচ্চ ১ লক্ষ -৩ লক্ষ টাকা। প্রিয় পাঠক আপনি যদি কলকাতায়

ভালো অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চিকিৎসকের থেকে আইভিএফ পদ্ধতির সেবা পেতে চান তাহলে আপনার খরচ পড়বে শুধুমাত্র এক লক্ষ থেকে তিন লক্ষ টাকা। উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে আইভিএফ এর খরচ  কত এবং কলকাতায় আইভিএফ খরচ কত।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করলাম আইভিএফ এর সুবিধা ও অসুবিধা এবং আইভিএফ কিভাবে করা হয় সেই সম্পর্কে আশা করছি উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে আইভিএফ কি এবং এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলো কি। বর্তমান সময়ে আইভিএফ এর কল্যাণে সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম মা বাবা ও সন্তানের স্বাদ গ্রহণ করতে পারছে এই প্রক্রিয়াটি বর্তমান সময়ে অনেক বেশি

জনপ্রিয়তা লাভ করেছে কারণ এই Ivf পদ্ধতির মাধ্যমে সহজে এই বাচ্চা গ্রহণ করা সম্ভব এবং বাচ্চার মধ্যে নিজেদের জিনের বৈশিষ্ট্যগুলো অক্ষুন্ন থাকে। এছাড়াও স্বল্পমূল্যে এবং স্বল্প সময়েই সম্ভব যার কারণে এর জনপ্রিয়তা আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। যারা বিভিন্ন জরায়ু সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত তাদের চিকিৎসা করতে করতে যেন সারাটা জীবন পার হয়ে যায় আবার সেটি অনেক বেশি ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে তাদের জন্য Ivf পদ্ধতিটি সেরা হবে

কারণ এই পদ্ধতির মাধ্যমে সহজেই গর্ভধারণ করা সম্ভব এবং সেটি স্বল্পমূল্যে। কলকাতায় আইভিএফ খরচ সর্বোচ্চ ১-৩ লক্ষ টাকা। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে আইভিএফ এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলো কি কি আজকের এই পোস্টে আমরা আইভিএফএল খরচ নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রিয় পাঠক আমার মতে বাজেটের পরিমাণ একটু ভালো রেখে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চিকিৎসকের থেকে আইভিএফ পদ্ধতির সেবা নিতে হবে

এতে মিসক্যারেজের আশঙ্কা দূর হবে এবং বাচ্চা ও মা দুজনের সুস্থ থাকবে। প্রিয় পাঠক আশা করছি আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন আজকের এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন আর হ্যাঁ আপনি যদি এমন পোস্ট আরো পেতে চান তাহলে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url