সারোগেসি কি হালাল? সারোগেসি একটি কৃত্রিম প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে অন্য একটি নারীর গর্ভে নিজের সন্তানকে ধারণ করা হয় আপনি যদি সারোগেসি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব সারোগেসি কি হালাল নাকি হারাম এবং কিভাবে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেয়া হয়
বর্তমান সময় সব জায়গায় শুধু সারোগেসি নিয়ে সমালোচনা ও বিতর্ক চলছে কিন্তু আসলে কি এই সারোগেসি? সারোগেসি বাঙ্গালী মিনিং কি? জানতে আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ করুন আজকের এই পোস্টে আমরা সারোগেসি সম্পর্কে খুঁটিনাটি সবকিছু বিস্তারিত আলোচনা করব।
পেজ সূচিপত্র
ভূমিকা
সারোগেসি এটি কৃত্রিম পদ্ধতি এর মাধ্যমে সহজেই এবং সর্ব খরচে সন্তান এর স্বাদ গ্রহণ করা যায়। বর্তমান সময়ে এই পদ্ধতিটি অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যারা সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম কিংবা যাদের জরায়ুতে কোন অস্বাভাবিকতা রয়েছে তারা এই সারোগেসি পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তানের স্বাদ গ্রহণ করে। সারোগেসি পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তানের মধ্যে নিজেদের বৈশিষ্ট্যগুলো নিখুঁদ থাকে এবং নিজেদের জিনগুলো
আরো পড়ুন: দ্রুত ধনী হওয়ার হালাল ২২টি উপায় - অল্প বয়সে কোটিপতি
সন্তানের শরীরে স্থানান্তরিত হয়। এই পদ্ধতিটি ভারতে অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে শুধু ভারতেই নয় বলিউডের নামিদামি তারকারা এই সারোগেসি পদ্ধতির মাধ্যমে নিজেদের সন্তান অন্য নারীর গর্ভের জন্ম দিচ্ছেন। সারোগেসি মানে এক কথায় গর্ভ ভাড়া। নিজের সন্তানকে জন্ম দেয়ার জন্য অন্যের থেকে গর্ভ ভাড়া নিতে হয় নয় মাস পর নিজের সন্তান যখন অন্যের গর্ভ থেকে জন্য হয় তখন
সারোগেট মাকে সম্পূর্ণ পেমেন্ট দিতে হয়। যে নারী অন্যের সন্তানকে নিজের গর্ভে ধারণ করে তাকে বলা হয় সারোগেট মা।কিন্তু আপনি কি জানেন এই গর্ভ ভাড়া কি জায়েজ নাকি হারাম? আজকের এই পোস্টে আমরা সেই বিষয়ে আলোচনা করব যে সারোগেসি কি হালাল নাকি হারাম। তবে তার আগে চলুন আমরা জেনে আসি সারোগেসি বাঙ্গালী মিনিং কি
সারোগেসি বাঙ্গালী মিনিং
ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন পদ্ধতির মাধ্যমে মায়ের ডিম্বানু ও বাবার শুক্রাণুকে একত্রিত করে ভ্রুণ তৈরি করে সেটি একটি টেস্ট টিউবে সংরক্ষণ করে কোন সারোগেট নারীর গর্ভস্থায় প্রতিস্থাপন করাকে বলা হয় সারোগেসি। এই পদ্ধতির মাধ্যমে বাচ্চার বৈশিষ্ট্য বাবা মায়ের সাথে মিল থাকে এবং সমস্ত জিনগুলো অটুট থাকে।যার কারণে এই পদ্ধতিটি এত বেশি জনপ্রিয় এবং সুনামযজ্ঞ। অনেক দাম্পত্তি রয়েছে যারা
সন্তানের জন্য নানান সমস্যায় রয়েছেন কোনভাবেই সন্তান জন্ম দিতে পারছেন না এককথায় সন্তান জন্মদিনে তারা অক্ষম। অনেক ক্ষেত্রে নারীরা দুর্বল হয় যার কারণে তারা সন্তান জন্ম দিতে পারেন না কিংবা সন্তান জন্ম দিতে গেলে তাদের জীবনের ঝুঁকি রয়ে যায় এর জন্য তারা ভয়ে এগিয়ে যেতে পারেন না তাদের ক্ষেত্রে একদম পারফেক্ট। তারা সহজেই সারোগেসি পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিতে পারবেন
এবং বংশ-পরম্পরায় নিজেদের জিনকে অক্ষত রাখতে পারবেন। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে সারোগেসি বাঙ্গালী মিনিং কি এবার চলুন আমরা জেনে আসি সারোগেসি কি হালাল নাকি হারাম
সারোগেসি কি হালাল
সারোগেসি এমন একটি পদ্ধতি যেখানে সন্তান জন্মদানের জন্য গর্ভ ভাড়া নিতে হয়। সহজ ভাষায় বলি কোন একটি সারোগেট নারীর গর্ভে নিজেদের ভ্রূণ কে প্রতিস্থাপন করার মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেওয়া হয়। মোটা টাকার মাধ্যমে এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হয়। যেই নারীরা সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম অথবা জরায়ুতে গণপ্রকার সমস্যা রয়েছে তারা এই সারোগেসি পদ্ধতির সাহায্য নেন।
সারোগেসি পদ্ধতির মাধ্যমে নিজেদের ডিম্বানু ও স্বামীর শুক্রাণ কে ভ্রুণে রূপান্তরিত করে সেটি একটি টেস্টটিউবে সংরক্ষণ করে সারোগেট নারীর গর্ভস্থায় প্রতিস্থাপন করেন অর্থাৎ নিজেদের সন্তানকে জন্মদানের জন্য অন্য কোন নারীর গর্ভ ভাড়া নেন।যা ইসলামে সম্পন্ন হারাম। ইসলামে বর্ণিত রয়েছে যে নিজের জৈবিক চাহিদা পূরণ ও সন্তান গ্রহণের মাধ্যম অথবা পন্থা শুধুমাত্র তোমার বিবাহিত স্ত্রী
এর বাইরে তুমি অন্য কোন নারীকে কামনা করতে পারবে না অথবা অন্য কোন নারীর থেকে নিজের চাহিদা গুলো পূরণ করতে পারবে না এগুলো সম্পূর্ণ হারাম। কিন্তু এখন অনেকেই বলতে পারে যে যেহেতু সারোগেসি পদ্ধতিতে কোন প্রকার শারীরিক মিলন হয় না তাহলে সারোগেসি কিভাবে হারাম হতে পারে ? সারোগেসি কি হালাল? অবশ্যই না। সারোগেসি অবশ্যই হারাম।নিজের সন্তানকে অন্যের গর্ভে ধারণ করার প্রক্রিয়া হারাম।
আল্লাহ তাআলা নিজে কুরআনে বলেছেন যে 'তোমার বিবাহিত স্ত্রী তোমার ফসল ক্ষেত্র' 'তুমি যেভাবে চাও তোমার ইচ্ছা মত ফসল গমন কর' । অর্থাৎ যদি কোন নারীর সন্তান ধারণের ক্ষমতা না থাকে অথবা সে যদি সন্তান ধারণে অক্ষম হয় তাহলে তাকে পরিপূর্ণ চিকিৎসা নিতে হবে। সে যদি সন্তান জন্ম দিতে চায় তাহলে তাকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে সন্তান জন্ম দিতে হবে।
তবে সন্তান জন্ম দেয়ার জন্য সারোগেসি পদ্ধতি অবলম্বন করা যাবে না।এই পদ্ধতিটি ইসলামের জন্য সম্পূর্ণ হারাম নিজেদের ডিম্বানু ও শুক্রাণু গুলোকে অন্য কোন নারীর গর্ভাবস্থায় প্রতিস্থাপন করা ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম। তবে বর্তমান সময় এই পদ্ধতিটি অনেক বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে অনেক বড় বড় নামিদামি তারকারা রয়েছেন যারা এই পদ্ধতির মাধ্যমে নিজের সন্তান জন্ম দিচ্ছেন।
আমার মতে আপনি যদি একজন মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে এসব হারাম জিনিস থেকে নিজেকে দূরে রাখুন এবং নিজের ঈমানকে হেফাজত করুন। আশা করছি উপরোক্ত এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে সারোগেসি কি হালাল নাকি হারাম এবং গর্ভ ভাড়া কতটুকু জায়েজ। এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি সারোগেসি ইসলাম কি বলে
সারোগেসি ইসলাম কি বলে
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে সারোগেসি পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ হারাম। কিন্তু অনেকেই রয়েছেন যারা কিছু টাকা ইনকাম করার জন্য সারোগেট নারী হিসেবে অন্যের সন্তানকে নিজের গর্ভে ধারণ করেন নয় মাস সেই সন্তানটিকে গর্ভে ধারণ করে জন্ম দেয়ার পর সেটি তাদের কাঙ্ক্ষিত বাবা-মার কাছে তুলে দেন এই পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ হারাম যদিও এই পদ্ধতিটি বাংলাদেশে
সেভাবে কোন জনপ্রিয়তা নেই কিন্তু আমেরিকা কানাডা এবং লন্ডনের মত উন্নত দেশগুলোতে সারোগেসি পদ্ধতিটির অনেক বেশি জনপ্রিয়তা রয়েছে। এছাড়াও আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও সারোগেসি পদ্ধতির জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। যারা সন্তান গর্ভধারনে অক্ষম কিংবা নারী শরীরের ঝুঁকি থাকে তারা এই সারোগেসি পদ্ধতিটি অবলম্বন করেন সারোগেসি পদ্ধতির
মাধ্যমে বংশ-পরম্পরায় জিনের পরিচয় অটুট থাকে যার কারণে এই পদ্ধতিটির এত বেশি সুনাম এবং জনপ্রিয়তা। কিন্তু ইসলামে এই পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ হারাম কারণ আল্লাহ নিজে কুরআনে উল্লেখিত করে দিয়েছেন যে অন্যের ফসলে নিজের পানি সেচ দেওয়া কখনোই হালাল হতে পারে না।এটি অবশ্যই হারাম।এছাড়াও আল্লাহ আরো বলেন যে তোমার বিবাহিত স্ত্রী তোমার ফসল ক্ষেত্র। তুমি যেভাবে ইচ্ছা
তোমার ফসল ক্ষেত্রে গমন করো। নিজের বিবাহিত স্ত্রী বিহীন অন্য কোন নারীকে কামনা অথবা অন্য কোন নারীর থেকে নিজের জৈবিক চাহিদা এবং সন্তান ধারণ সম্পূর্ণ হারাম। অনেক বড় বড় নামিদামি তারকা রয়েছেন যারা আজকাল এই সারোগেসি পদ্ধতির সহায়তায় নিজেদের সন্তানকে জন্ম দিচ্ছেন শুধুমাত্র নিজের স্বার্থ রক্ষার জন্য। সম্পন্ন হারাম আপনি যদি একজন মুসলিম হয়ে থাকেন
তাহলে অবশ্যই আপনাকে আপনার ঈমানের হেফাজত করার জন্য এই সমস্ত হারাম জিনিস থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। অনেকেই দাবি করে যে যেহেতু সারোগেসি পদ্ধতিতে কোন প্রকার শারীরিক মিলন হয় না শুধুমাত্র ডিম্বানু ও শুক্রাণু প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেয়া হয় তাই সারোগেসি পদ্ধতি হালাল। কিন্তু এই দাবিটি সম্পূর্ণ ভুল। নিজের সন্তান জন্ম দেয়ার জন্য অন্য কোন নারীর
গর্ভ ভাড়া করা সম্পূর্ণ হারাম এটি উভয়ের জন্যই হারাম। অর্থাৎ যে দাম্পত্তি নিজেদের সন্তানকে অন্য কোন নারীর গর্ভে ধারণ করাচ্ছেন তাদের জন্যও হারাম অর্থাৎ তাদেরও ঈমান নষ্ট হচ্ছে এবং যে নারী অন্যের সন্তানকে নিজের গর্ভে ধারণ করছে সামান্য কিছু টাকার জন্য তারও ঈমান নষ্ট হচ্ছে। প্রিয় পাঠক আশা করছি উপরোক্ত এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি সারোগেসি পদ্ধতি কতটুকু হালাল এবং
কতটুকু হারাম সেই বিষয় বুঝতে পেরেছেন এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি কিভাবে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেওয়া হয়
সারোগেসির মাধ্যমে সন্তানের জন্ম
প্রিয় পাঠক আপনি কি সারোগেসির মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দিতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনাকে বলি সারোগেসি এটি একটি সম্পূর্ণ কৃত্রিম প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে নিজের সন্তানকে অন্য কোন সারোগেট নারীর গর্ভে ধারণ করানো হয়।IFT পদ্ধতির মাধ্যমে মায়ের ডিম্বানু ও বাবার শুক্রাণু একত্রিত করে রুম তৈরি করে সেটি একটি টেস্টি ও বে সংরক্ষণ করা হয়, পরবর্তী সময়ে সেটি অন্য একটি নারীর গর্ভে প্রতিস্থাপন
করা হয় ফলে এসে নারীর গর্ভে অন্য কোন দাম্পত্যের বাচ্চা জন্ম নেয় এভাবে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তানের জন্ম হয় এই পদ্ধতিটি তাদের জন্য যারা সন্তান গর্ভধারণ এ অক্ষম অথবা তাদের জরায়ুতে কোন অস্বাভাবিকতা রয়েছে। তারা এই সারোগেসি পদ্ধতির মাধ্যমে নিজেদের সন্তানের স্বাদ গ্রহণ করে। সারোগেসি পদ্ধতি দুই ধরনের ১. পার্শিয়াল সারোগেসি , ২. জেস্টেশনাল সারোগেসি
পার্শিয়াল সারোগেসি
এই পদ্ধতিতে মায়ের কোন ভূমিকা নেই।শুধুমাত্র বাবার শুক্রাণু ও সারোগেট মায়ের ডিম্বানু দ্বারা বাচ্চার জন্ম দেওয়া হয় অনেক ক্ষেত্রে বাবা শুক্রাণুর পরিমাণ কম হলে সে ক্ষেত্রে বাইরের কোন ছেলে শুক্রাণু নেয়া হয় অথবা ভ্রূণ ব্যাংক থেকেও শুক্রাণু অথবা ডিম্বাণু সংরক্ষণ করে বাচ্চা গর্ভধারণ করা হয় এতে বাবা-মায়ের জ্বীন ক্ষুন্ন হয় ফলে বাচ্চার মধ্যে সারোগেট মায়ের বৈশিষ্ট্য গুলো স্থানান্তরিত হয়।
পরবর্তী সময়ে বাচ্চার ওপর সারোগেট মায়ের ভূমিকা রয়ে যায়। পার্শিয়াল সারোগেসি পদ্ধতিতে শুধুমাত্র সারোগেট মায়ের গর্ভ ভাড়া করা হয় এমনটা নয়,সারোগেট মায়ের গর্ভের পাশাপাশি সারোগেট মায়ের ডিম্বানুও ভাড়া করে সন্তান জন্ম দেওয়া হয়। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে পার্শিয়াল সারোগেসি কি এবার চলুন জেনে আসি জেস্টেশনাল সারোগেসি কি
জেস্টেশনাল সারোগেসি
জেস্টেশনাল সারোগেসি এই পদ্ধতিতে বাবা ও মা উভয়েরই ভূমিকা থাকে এই পদ্ধতিতে বাবা ও মা উভয়ের ডিম্বানু ও শুক্রাণু একত্রিত করে সেটি ভ্রণ তৈরি করে একটি টেস্টটিউবে সংরক্ষণ করা হয় তারপর সেই ভ্রুনটিকে সারোগেট মায়ের গর্ভাবস্থায় প্রতিস্থাপন করা হয়। এতে বাবা-মায়ের ঋণ বংশ পরম্পরায় অক্ষুন্ন থাকে এবং সন্তানের মধ্যে বাবা-মায়ের প্রতিটি বৈশিষ্ট্য স্থানান্তরিত হয় যার কারণে এই
পদ্ধতিটি সবচেয়ে বেশি সুনান যজ্ঞ এবং জনপ্রিয় প্রত্যেকটি অক্ষম বাবা-মা এই পদ্ধতির মাধ্যমে তাদের সন্তান জন্ম দেন। বলিউডের অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও জেস্টেশনাল সারোগেসি পদ্ধতির মাধ্যমে তাদের সন্তানের জন্ম দেন। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে জেস্টেশনাল সারোগেসি কি। এবার চলুন আমরা জেনে আসি সারোগেসি পদ্ধতি খরচ কত হয়
সারোগেসি পদ্ধতি খরচ
প্রিয় পাঠক আপনি কি সারোগেসি পদ্ধতিতে আগ্রহী? তাহলে অবশ্যই আপনাকে সারোগেসি পদ্ধতি খরচ সম্পর্কে জানতে হবে।সারোগেসি পদ্ধতিতে কে আপনি আপনার সন্তানের জন্ম দিতে চান তাহলে আপনাকে আগে কোন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তারপর আপনি যদি চিকিৎসকের সাহায্যে অথবা কোন সেন্টার থেকে সারোগেসি পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দিতে চান সে
ক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে প্রায় 30 থেকে 40 লক্ষ টাকা। আর যদি গো আপনি আপনার কোন চেনাযানা সারোগেট নারি অথবা কোন আত্মীয়র মাধ্যমে সারোগেসি পদ্ধতির সাহায্যের সন্তানের জন্ম দিতে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে শুধুমাত্র 5 থেকে 10 লক্ষ টাকা। বেশিরভাগ মানুষ আত্মীয় স্বজন অথবা চেনাজানা সারোগেট নারীর সাহায্যেই নিজের সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখাচ্ছেন তাই আপনি
যদি সারোগেসি পদ্ধতির মাধ্যমে নিজের সন্তানকে জন্ম দিতে যাচ্ছেন তাহলে আপনার বাজেট ৪০ লক্ষ টাকার মধ্যে হতে হবে। তবে প্রিয় পাঠক আপনি যদি একজন মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য সারোগেসি পদ্ধতি সম্পূর্ণ হারাম আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে সারোগেসি পদ্ধতি খরচ কত।
লেখকের শেষ কথা
আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করলাম সারোগেসি কি হালাল নাকি হারাম এবং সারোগেসি ইসলাম কি বলে। উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে সারোগেসি পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ হারাম। অন্যের সন্তানকে নিজের গর্ভে ধারণ করাও হারাম আবার নিজের শুক্রাণু ও ডিম্বানুকে অন্যের গর্ভস্থায় প্রতিস্থাপন করাও সম্পূর্ণ হারাম।আপনি যদি বাচ্চা নিতে চান এবং আপনি যদি
বাচ্চা নিতে অক্ষম হন তাহলে অবশ্যই আপনাকে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে নিজেকে সারিয়ে তুলতে হবে তারপর বাচ্চা নিতে হবে তবে বাচ্চা নেয়ার জন্য ভুল পথ অবলম্বন করা যাবে না। ইসলামের বিধি-বিধানের সারোগেসি সম্পূর্ণ হারাম আপনি যদি একজন মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই নিজের ঈমানকে হেফাজত করার জন্য এমন পথ থেকে দূরে থাকবেন।
এছাড়াও আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি কিভাবে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেওয়া যায়।সারোগেসি পদ্ধতিতে সন্তান দুইটি উপায় জন্ম দেয়া যায় পার্শিয়াল সারোগেসি এবং জেস্টেশনাল সারোগেসি।জেস্টেশনাল সারোগেসির মাধ্যমে নিজেদের বৈশিষ্ট্য গুলো সন্তানের মধ্যে অক্ষুন্ন থাকে আর পার্শিয়াল সারোগেসির মাধ্যমে নিজেদের বৈশিষ্ট্য গুলো সন্তানের মধ্যে ক্ষুন্ন হয় এবং
সারোগেট মায়ের বৈশিষ্ট্য গুলো সন্তানের মধ্যে স্থানান্তরিত হয়। প্রিয় পাঠক আশা করছি আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন যদি আজকের এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন আর হ্যাঁ আপনি যদি এমন পোস্ট আরো পেতে চান তাহলে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।
ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url