পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ১৫টি জাদুকরী ঘরোয়া উপায়
তাড়াতাড়ি মাসিক হওয়ার ঘরোয়া উপায়
নারীদের পিরিয়ডের দিনগুলোতে হাত-পা সহ কোমর ব্যথা ও পেট ব্যথায় জীবন যেন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। এই সময় হরমোন বারবার ওঠানামা করার কারণে পেটে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় নিয়ে যে উপায় গুলো অনুসরণ করে আপনি ৫ মিনিটেই ব্যথা দূর করতে পারবেন।
পিরিয়ড যা প্রতি মাসেই হয় বলে একে অনেকে মাসিক বলে চিনে। মাসিক সাধারণত প্রতি মাসে হয় এবং সেটা তিন থেকে চার দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয় সর্বোচ্চ সাত দিন স্থায়ী হয়। পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে নারীদের বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা যায় যেমন মেজাজের পরিবর্তন,খাবারে অরুচি সাথে রয়েছে তীব্র পেট ব্যথা কোমর ব্যথা এবং বমি বমি ভাব এই সবমিলিয়ে প্রায় জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। কিন্তু এই ব্যথা কিভাবে কমানো যায়? পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় জানতে পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন। আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় নিয়ে।
পেজ সূচিপত্র
ভূমিকা
পিরিয়ডের সময় হরমোন বারবার ওঠা নামা করায় জরায়ু সংকোচন হয় এতে তীব্র পেট ব্যাথা অনুভূত হয়।বিশেষ করে যাদের শরীরে প্লাস্টোগ্লাডিন নামক হরমোনের পরিমাণ বেশি তাদের অধিক পেট ব্যাথা সহ বমি বমি ভাব অনুভূত হয়। প্লাস্টোগ্লাডিন নামক হরমোনটি যখন বারবার ওঠা নাম করে তখন জরায়ু সংকুচিত হয় এতে তীব্র পেট ব্যাথা হয়।যদিও অনেক সময় পেট ব্যাথার নির্দিষ্ট কোনো লক্ষণ বোঝা যায় না।
তবে বেশিরভাগ মেয়েদের ক্ষেত্রেই প্লাস্টোগ্লাডিন হরমোনের কারণে পেট ব্যাথা হয়।এই সময় পেটে হালকা গরম পানি দিয়ে সেক দিলে ব্যাথা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।এছাড়াও অনেকে পিরিয়ডের ব্যাথা হ্রাস করা করার জন্য নানান ঔষধ সেবন করে থাকে।তাই আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে পিরিয়ডের ব্যাথা কমানোর ঘরোয়া উপায় নিয়ে আলোচনা করব।এই জাদুকরি উপায় গুলো অনুসরণ করলে দ্রুত ব্যাথা থেকে রেহায় পাবেন।
পাঠক তার আগে চলুন আমরা জেনে আসি পিরিয়ডের ব্যথা কেন হয়
পিরিয়ডের ব্যথা কেন হয়
পিরিয়ডের সময় তলপেটে তীব্র ব্যথা হওয়া খুবই সাধারণ। পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যথা হয় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল। পিরিয়ডের সময় শুধু তলপেট ই নয় কোমর থেকে শুরু করে হাত পা অব্দি সর্বস্ব শরীর ব্যথা করতে পারে। সাথেই বমি বমি ভাব এই সবমিলিয়ে জীবন প্রায় অতিষ্ঠ। শরীরের হরমোন যখন বারবার উঠানামা করে তখন নারীর জরায়ু সংকুচিত হয় সংকুচিত হওয়ার ফলে পেটে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়
এই ব্যথা কোন মেডিসিন অথবা ওষুধ সেবনের ফলে হ্রাস করা সম্ভব নয়। প্রত্যেকটি মেয়ের আলাদা আলাদা পিরিয়ডের ব্যথা হয় অনেকের পিরিয়ড শুরুর একদিন আগে থেকে তলা পেটব্যথা হয় আবার অনেকের পিরিয়ডের সময় কোন ব্যথা বোঝা যায় না কিন্তু শেষে প্রচুর পেট ব্যথা হয়। পিরিয়ডের ব্যথা হওয়ার একটি কারণ হল হরমনের ওঠানামা করা কিন্তু অনেক সময় কোন নির্দিষ্ট স্পষ্ট কারণ ছাড়াও
পেট ব্যথা হতে পারে।আবার অনেক সময় অসুস্থতা অথবা রোগবালয়ের কারণে পেট ব্যথা দেখা যায়।যেমন
অ্যাডেনোমাইওসিস
অ্যাডেনোমাইওসিস একটি জরায়ুর সংক্রান্ত সমস্যা যার ফলে জরায়ু ফুলে উঠে এবং তীব্রতলা পেটে ব্যথা অনুভূত হয় আর এই ব্যথা বিশেষ করে মাসিকের সময় আরো বেশি তীব্র হয়ে ওঠে এবং ব্লিডিং এর পরিমাণ অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়। অনেকেই ভাবতে পারে যে এটি মাসিকের পেট ব্যথা কিন্তু এই ভাবনাটি ভুল আপনার যদি এমন তীব্র পেট ব্যথা ও ব্লিডিং এর পরিমাণ অনেক বেশি হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম
এটি অনেক বিরল ও জরায়ু সংক্রান্ত সমস্যা যা প্রতি ১০ জন সন্তান ধারনে সক্ষম মেয়েদের মধ্যে একজন এমন সমস্যায় আক্রান্ত থাকে। এটি জরায়ু সংক্রান্ত সমস্যা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম এর ফলে অনেক ভারী ব্লিডিং হতে পারে এবং সেটি ৭ থেকে ৮ দিনের বেশি সময় পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। যারা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমে আক্রান্ত তাদের ভারী ব্লিডিং এর পাশাপাশি অনিয়মিত মাসিক , মুখ ও শরীরে প্রচুর চুল
ত্বকে ব্রণ, রেস,রানে কালো দাগ,অতিরিক্ত চুল পড়া,শরীর মোটা অথবা পাতলা হয়ে যাওয়া,খাবারে অনীহা,রক্ত শূন্যতা দেখা দেয়। আপনি যদি এখন থেকেই পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম এর চিকিৎসা না করেন তাহলে পরবর্তী সময়ে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম থেকে জরায়ু সংক্রমণ হতে পারে।
অ্যান্ডোমেট্রিওসিস
অ্যান্ডোমেট্রিওসিস এটি জরায়ু সংক্রান্ত সমস্যা যার ফলে ভারী ব্লিডিং হয় এবং নারীর তলা পেট ও কোমরে প্রচুর ব্যথা অনুভূত হয় সাথেই মাসিক ৭ থেকে ৮ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়।এছাড়াও গবেষণায় জানা গেছে যে অ্যান্ড্রোমেট্রিওসিসে আক্রান্ত নারীদের সহবাসের সময় তলা পেটে প্রচুর ব্যথা হয়। আপনার মধ্যে যদি এমন কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় তাহলে যথা দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে কারণ জরায়ু সংক্রান্ত সমস্যা মোটেও ভালো না।
উপরোক্ত এই তিনটি কারণের জন্যও মাসিকের সময় তলা পেটে ব্যথা অনুভূত হতে পারে প্রত্যেকটি মাসিকের ব্যথাই সাধারণ এমনটা কিন্তু নয় অনেক সময় আমাদের মধ্যে বসবাসকৃত রোগবালাইয়ের জন্যও মাসিকের সময় তীব্র ব্যথা অনুভূত হতে পারে এইজন্য যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।প্রিয় পাঠক উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে পিরিয়ডের ব্যথা কেন হয়
এবং কোন কোন কারণে তলা পেটে ব্যথা অনুভূত হয় এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি যে পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় কি কি
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
পিরিয়ডের ব্যথায় অতিষ্ট? সত্যি পিরিয়ড হলে যেন জীবন পুরো অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে বিশেষ করে এই শীতের দিনে পিরিয়ডের ব্যথা যেন আরো বেশি বৃদ্ধি পায় । তলা পেট থেকে শুরু করে কোমর হাত পা ও পুরো শরীর জুড়ে এক অসহ্য যন্ত্রণা অনুভূত হয় এ যেন কোনোভাবেই থামার নয় সাথেই রয়েছে বমি বমি ভাব কিন্তু এই ব্যাথা থেকে কিভাবে রেহাই পাওয়া সম্ভব? পিরিয়ডের ব্যথার কথা বললে প্রত্যেকেই বলে
এটি সাধারন হতেই পারে একটু সহ্য কর। কিন্তু আর কতদিন এভাবে পিরিয়ডের ব্যথা সহ্য করব? পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর কি কোনো ঘরোয়া উপায় আছে? অবশ্যই আছে। আজকের এই পোস্টে আমরা পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় নিয়ে আলোচনা করব যে উপায়গুলো আপনি অনুসরণ করলে দ্রুত পিরিয়ডের ব্যথা থেকে রেহাই পেতে পারবেন।নিচে ঘরোয়া উপায় গুলো আলোচনা করলাম
গরম পানির সেক দিতে হবে
এইটা আমরা বহু কাল থেকেই শুনে আসছি যে পেট ব্যথা হলে গরম শেক দিতে হয় হ্যাঁ বন্ধুরা এই পদ্ধতিটি অনেক বেশি কার্যকারী গরম পানির শেক দিলে ব্যাথা কিছুটা উপশম করা সম্ভব। গরম পানি শেক দেওয়ার ফলে প্রদাহ কম হয় যার ফলে ব্যথা উপশম হয় এজন্য এখন থেকে পিরিয়ড হলে তলা পেটে গরম পানি দিয়ে হালকা সেক করবেন এতে দ্রুত ব্যথা থেকে রেহাই পাবেন।
পেঁপে খেতে হবে
পেঁপে ঠান্ডা জাতীয় ফল এটি খেলে প্রদাহ দূর হয় এবং পিরিয়ডের ব্যথা দ্রুত সেরে যায়। পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে বিশেষ করে সকালে উঠে বেশি পেট ব্যথা অনুভূত হয় এইজন্য সকালে উঠে পেঁপে খেয়ে নিবেন এতে পেটব্যথা দ্রুত দূর হবে এবং শরীর ভালো থাকবে।পেঁপে হাজারো গুণাগুনে ভরপুর একটি ফল যা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগবালাই দূর হয় এবং ব্যথা উপশম হয়।
বেশি বেশি পানি পান করতে হবে
আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে পানি শরীরের জন্য কত বেশি উপকারী পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে নারীদের বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য পেটব্যথা মাথাব্যথা এই সমস্ত সমস্যার একটি সমাধান হলো পানি।আপনি যদি বেশি বেশি পানি পান করেন তাহলে এই সমস্যাগুলো আস্তে আস্তে দূর হয়ে যাবে। অনেকে আছে পানি পান করতে চায় না পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করলে শরীরে নানান রোগ বালাই বাসা বাঁধে
এজন্য এখন থেকে নিয়মিত দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করুন এবং শরীরকে সুস্থ রাখুন।
কালো জিরা চিবিয়ে খেতে হবে
কালোজিরা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যার নিমিষেই পেট ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে কালিজিরা একটি প্রদাহ হ্রাস জনিত উপাদান। পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যথা হলে কয়েকটি কালিজিরা নিয়ে চিবিয়ে খেয়ে নিবেন এতে দ্রুত পেটব্যথা থেকে রেহাই পাবেন কালোজিরা পেট ব্যথা উপশম করতে সহায়তা করে।
ডাবের পানি পান করতে হবে
ডাবের পানি একটি ঠান্ডা পানীয় এটি প্রদাহ উপশম করতে সহায়ক। বিশেষ করে পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে যদি কোন নারী ডাবের পানি পান করে তাহলে তার পেট ঠান্ডা থাকবে এবং পেট ব্যথার দূর হবে। এইজন্য এখন থেকে পেট ব্যথা দূর করতে আর তেতো ওষুধ না নিয়ে ডাবের পানি পান করুন। এতে পেট ব্যথা দূর হবে এবং শরীর সুস্থ থাকবে।
আদার চা পান করতে হবে
প্রিয় পাঠক আদা চায়ের উপকারিতা এক দুই লাইনে বলে শেষ করা সম্ভব নয় আদা চা আছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা নিমিষেই পেট ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এইজন্য ভিডিও চলাকালীন সময়ে রোজ সকালে উঠে এক কাপ গরম গরম আদার চা পান করবেন এতে পেট ব্যথা দ্রুত উপশম হবে।
গান শুনতে হবে
পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে অনেকের মন মেজাজে পরিবর্তন দেখা যায়, এই জন্য এই সময় মনকে ভালো রাখার জন্য গান শুনতে হবে মুভি দেখতে হবে বন্ধু বান্ধবের সাথে কথা বলতে হবে আর পিরিয়ডের কথা কিন্তু একদম ভাবা যাবে না এই সময় মুড সুইং এর সমস্যা গুলো দেখা দেয় অর্থাৎ হঠাৎ মেজাজ এর পরিবর্তন হয়। প্রিয় চলাকালীন সময়ে এগুলো সম্পূর্ণ সাধারণ সমস্যা এগুলো নিয়ে চিন্তিত হওয়া যাবে না।
ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে হবে
ভিটামিন সি যুক্ত খাবার গুলো মন ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে বৃদ্ধি করে এই জন্য পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে বেশি বেশি ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে হবে অর্থাৎ জলপাই তেতুল আমলকি। অনেকেই ভাবে যে ভিডিও চলাকালীন সময়ে টক জাতীয় খাবার খেলে ব্লিডিং অথবা পেট ব্যথার পরিমাণ বৃদ্ধি পায় কিন্তু এই ধারণাগুলোর সম্পন্ন ভুল কারণ ব্লিডিং এর সাথে ভিটামিন সি
যুক্ত খাবারের কোন সম্পর্ক নেই এর জন্য আপনি নিশ্চিন্তে পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার গুলো খেতে পারেন।
মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হবে
যতটা পরিমাণ সম্ভব মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হবে পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে নানান ধরনের স্ট্রেস ও চাপ মাথায় এসে পড়ে এই সময় যতটা সম্ভব চাপমুক্ত থাকবেন তাহলে পেট ব্যথা কম অনুভূতি হবে। মানসিক চাপের কারণে শুধু পিরিয়ডের ব্যথায় নয় শরীরে নানান রোগ বাসা বাঁধতে পারে এইজন্য শরীরকে সুস্থ রাখতে যতটা সম্ভব মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হবে।
জটামাংসী গাছের ছাল
নারী সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যার সমাধান হল জটামাংসী গাছের ছাল জটামাংসী গাছের ছালে এত ঔষধি গুনাগুন ও ভিটামিন রয়েছে যা নিমিষেই নারী সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা দূর করতে পারে। বন্ধ হওয়া মাসিকও ঠিক করা সম্ভব জটামাংসী গাছের ছালের সহায়তায়। এজন্য পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে অতিরিক্ত পেট ব্যথা হলে জটা মাইনষিক আছে ঝাল গরম পানির মধ্যে গুলিয়ে খেয়ে নিবেন এতে আপনি নিমিষেই পেটব্যথা থেকে রেহাই পাবেন।
প্রিয় পাঠক উপরোক্ত এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে পিরিয়ডের ব্যাথা কমানোর ঘরোয়া উপায় কি কি। আপনি যদি ওপরে আলোচনা করা প্রত্যেকটি উপায় অনুসরণ করেন তাহলে আপনি দ্রুত পেট ব্যথা থেকে রেহাই পেতে পারবেন পিরিয়ডের পেট ব্যথা যদিও খুব সাধারন তবুও এটি অনেক বেশি অস্বস্তিকর ও কষ্টকর। এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি যে পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর খাবার কোনগুলো
অর্থাৎ কোন খাবার খেলে পিরিয়ডের ব্যথা দূর করা সম্ভব।
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর খাবার
পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে নারীদের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় তার মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা হলো পেটব্যথা পেটে প্রচুর ব্যথা অনুভূত হয় এই ব্যথা যেন কোন কিছুতেই থামার নয় অনেকেই পেটব্যথা কমানোর জন্য ওষুধ সেবন করেন তবে এই ওষুধগুলো জরায়ুতে বিভিন্ন জটিল সমস্যা তৈরি করতে পারে। এইজন্য কিসের বয়সে পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য ঔষধ সেবন না করাই ভালো চেষ্টা করুন
ঘরোয়া উপায় গুলোর মাধ্যমে পিরিয়ডের ব্যথা উপশম করার পিরিয়ডের ব্যথা খুবই সাধারণ। পিরিয়ড একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। নারীদের প্রজননের জন্য ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বস্ফুটন হয় যা ফ্যালিপিওন টিউবের সাহায্যে গর্ভাশয় আসে।এই সময় প্লাস্টোগ্লাডিন নামক হরমোনটি অনবরত ওঠানামা করে যার ফলে জরায়ু সংকুচিত হয় এতে পেটে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয় যদিও এটি সম্পূর্ণ একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া
তবুও এটি অনেক বেশি কষ্টকর ও অস্বস্তিকর। পিরিয়ডে পেট ব্যাথার সাথেই রয়েছে কোমর ব্যথা হাত পা থেকে শুরু করে সমস্ত শরীর ব্যথা ও বমি বমি ভাব এই সবকিছু মিলিয়ে জীবন যেন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। তবে অনেকেই লজ্জা অথবা সমাজের লুকাছুপির কারণে পিরিয়ডের সময় এই ব্যথাগুলো পরিবারের সাথে শেয়ার করতে পারেনা অথবা প্রকাশ্যে আনতে পারে না তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব
যে পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর খাবার গুলো কি কি অর্থাৎ কোন খাবার গুলো খেলে দ্রুত পিরিয়ডের ব্যথা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর খাবারগুলো জানতে নিচে দেখুন।
কলা খেতে হবে
কলা যা প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়।এই ফলে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬ ও পটাশিয়াম যা নিমিষেই পেট ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও কলা একটি ঠাণ্ডা ফল যা প্রদাহ উপশমে সহায়তা করে এজন্য পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যথা অনুভূত হলে কলা খেতে হবে কলা খেলে দ্রুত পেটব্যথা থেকে রেহায় পাওয়া সম্ভব।
পেঁপে খেতে হবে
পেঁপে কাঁচা হোক অথবা পাকা দুটি অনেক বেশি উপকারী পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে পেটব্যথা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা যায়।এই দুইটি সমস্যার সমাধান হলো পেপে।পেঁপে খেলে দ্রুত পেট ব্যথা থেকে রেহায় পাওয়া যায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য মত সমস্যা দূর হয়। পিরিওড চলাকালীন সময়ে সকালে পেট ব্যথা বেশি হয় এজন্য সকালে উঠে পেঁপে খেয়ে নিবেন এতে পেটব্যথা দূর হবে।
কমলা লেবু খেতে হবে
কমলা লেবুতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা মন ও মেজাজকে উৎফুল্ল রাখে সাথেই পেট ব্যথা উপশমের সহায়তা করে। ভিটামিন সি যুক্ত খাবার গুলো পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে নারী শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী।এটি শরীরের ব্যথা দূর করার পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।
দূর্বা ঘাসের রস পান করতে হবে
দূর্বা ঘাসের রস যা একটি ঠান্ডা পানীয় এটি পান করার ফলে প্রদাহ উপশম হয়। দূর্বা ঘাসের রস পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে পেট ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে এই জন্য এখন থেকে পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে পেটব্যথা দেখা দিলেই দুর্বা ঘাসের এক গ্লাস রস পান করবেন এতে দ্রুত পেট ব্যথা থেকে রেহাই পাবেন।
শাক সবজি খেতে হবে
শাকসবজিতে বেশি ভিটামিন ও পুষ্টিকর খাবার কিন্তু আর কিছুই নেই চলাকালীন সময়ে শরীর থেকে অনেক রক্ত বের হয়ে যায় এই সময় শরীরের রক্তের ঘাটতি দেখা দিতে পারে যার ফলে তৈরি হতে পারে রক্তশূন্যতা এইজন্য পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে বেশি বেশি শাকসবজি খেতে হবে যেন সেই রক্তের ঘাটতিটা পূরণ হয়। পিরিয়ডের সময় অনেকে দুর্বল হয়ে যায় এজন্য বেশি বেশি শাকসবজি খেলে সেই দুর্বলতা কেটে যায় এবং শরীর সুস্থ থাকে।
প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে
মাসিক চলাকালীন সময়ে রক্তের ঘাটতি পূরণ করতে প্রোটিন জাতীয় খাবারের ভূমিকা অনেক। নারীদের শরীরে প্রতি মাসেই মাসিক হয় যার ফলে শরীর থেকে বিষাক্ত রক্তগুলো বেরিয়ে যায় তবে অতিরিক্ত ব্লিডিং এর ফলে শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং শরীরের রক্তশূন্যতা দেখা দেয় এইজন্য বেশি বেশি প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে। প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে শরীরের রক্তের ঘাটতি পূরণ হবে
এবং শরীর সুস্থ থাকবে ও পেট ব্যথা দূর হবে।প্রিয় পাঠক উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন যে পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর খাবার কোনগুলো। আপনি যদি উপরোক্ত খাবারগুলো গ্রহণ করেন তাহলে আশা করছি আপনার পেট ব্যথা দ্রুত দূর হবে এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি যে পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ইসলামিক উপায় কি কি।
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ইসলামিক উপায়
প্রিয় পাঠক আপনি কি ইসলামিক উপার মাধ্যমে পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায় গুলো জানতে চাচ্ছেন? এই পোস্টটি সম্পন্ন আপনার জন্য আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব যে পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ইসলামিক উপায় গুলো কি কি। পিরিয়ড এটি একটি শরীরবৃত্তীক প্রক্রিয়া, যা প্রাকৃতিক উপায়ের মাধ্যমে সংঘটিত হয়। একটি নারীর পিরিয়ড হওয়া খুবই সাধারণ হলেও এটি অনেক কষ্টকর ও অস্বস্তিকর
পিরিয়ডের ব্যথার সাথেই রয়েছে কোমর ব্যথা ও হাত পা থেকে শুরু করে সমস্ত শরীর ব্যথা এবং বমি বমি ভাব। পিরিয়ড সাধারণত প্রতি মাসেই হয় এবং এটি তিন থেকে চার দিন অব্দি স্থায়ী হয় সর্বোচ্চ সাতদিন স্থায়ী হতে পারে।পিরিয়ড চলাকালীন এই তিন থেকে চার দিন অনেকের প্রতিমুহূর্তে অসহ্যকর পেট ব্যথা অনুভূত হয় আবার অনেকের একটু পর পর হালকা হালকা পেট ব্যথা অনুভূত হয়।তবে প্রত্যেকটি নারীর
শরীরের ক্ষেত্রে পিরিয়ডের আলাদা আলাদা প্রভাব পড়তে পারে। তবে এমন কোন নারী নেই যার পেট ব্যথা অনুভূত হয় না। কারণ এটি সম্পূর্ণ শরীরবৃত্তীক প্রক্রিয়া, যখন প্লাস্টোগ্লাডিন হরমোন টি বারবার উঠা নামা করে তখন নারীদের জরায়ু সংকুচিত হয় এতে পেটব্যথা অনুভূত হয় অনেকের শরীরে প্লাস্টোগ্লাডিন হরমোনের পরিমাণ বেশি হয় তাদের শরীরে পেট ব্যথা বেশি হয়। আশা করছি উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে পিরিয়ডের ব্যথা কেন হয়
এবার চলুন আমরা জেনে আসি পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ইসলামিক উপায় গুলো কি কি।
উপায় ১
( ইন্নাআ তইনা কাল কাওছার, ফাসাল্লিল লিরব্বিকা ওয়ানহার
ইন্না শা' নিয়াকা হুয়াল আবদার)
প্রিয় পাঠক এই সুরাটি অনেক বেশি ফজিলত সমৃদ্ধ এই সূরাটি পাঠ করে পানিতে তিনবার ফু দিয়ে সেই পানিটি পান করলে দ্রুত আপনি পেট ব্যথা থেকে রেহাই পাবেন।
উপায় ২
(আয়ুজু বি - ইজ্জাতিল্লাহি ওয়া কুদরতিহী মীন শাররি মা - আজিদু ওয়া উহাজিরু)
পিরিয়ডের সময় পেটব্যথা চলাকালীন সময় যদি আপনি এই সূরাটি ৭ বার পাঠ করেন তাহলে ইনশাল্লাহ আপনি পেট ব্যথা থেকে রেহাই পাবেন।
প্রিয় পাঠক আপনি যদি ইসলামিক উপায় গুলোর মাধ্যমে পিরিয়ডের ব্যথা দূর করতে চান তাহলে অবশ্যই ওষুধ সেবন করা নিষিদ্ধ। ইসলামিক উপায়ে পিরিয়ডের ব্যথা দূর করতে চাইলে আপনাকে উপরোক্ত প্রাকৃতিক উপায় গুলো অনুসরণ করতে হবে প্রাকৃতিক উপায় গুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনার পেট ব্যাথা দ্রুত দূর হবে। উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আশা করছি আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ইসলামিক উপায় কি।
এবার চলুন তাহলে জেনে আসি পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায় ঔষধ এর নাম কি
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঔষধ এর নাম
পিরিয়ড এটি একটি শরীরবৃত্তীক প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। যা নারীদের প্রতি মাসেই হয় এবং এটি প্রতিমাসে তিন থেকে চার দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে নারীদের শরীরে নারায়ন পরিবর্তন দেখা যায় তার মধ্যে অন্যতম একটি হল মুড সুইং ও পেটব্যথা বেশিরভাগ নারীদের এই সমস্যা দেখা দেয়। পিরিয়ডের সময় পেট ব্যথা হয় না এমন নারী খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল কারণ প্রত্যেক নারীই
এই সমস্যার ভুক্তভোগী।পিরিয়ডের সময় পেট ব্যথা এই সমস্যাটি অতি সাধারণ হলেও এটি অনেক অস্বস্তিকর ও কষ্টকর।পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে শুধু পেট ব্যথায় নয় পেট ব্যথার সাথেই রয়েছে মাথাব্যথা ,কোমর ব্যথা, হাত - পা থেকে শুরু করে সমস্ত শরীর ব্যথা ও বমি বমি ভাব। এইসব কিছু মিলিয়ে জীবন প্রায় অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। যাদের শরীরে প্লাস্টোগ্লাডিন হরমোনের পরিমাণ বেশি থাকে তাদের পেট ব্যথার হার ও অনেক বেশি হয়।
তবে প্রত্যেকটি পেট ব্যথায় কিন্তু সাধারণ নয় অনেক পিরিয়ডের পেট ব্যথা আর পিছনে লুকিয়ে থাকে বড়সড়ো কোন রোগ বালাই এর জন্য পেট ব্যথার পরিমাণ অতি তীব্র হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব যে পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঔষধ এর নাম সম্পর্কে।
আইবুপ্রোফেন ট্যাবলেট
পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে পিরিয়ডের ব্যথা দূর করতে অনেকেই এই ওষুধটি সেবন করে থাকে এই ওষুধটি সম্পন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হীন এবং পিরিয়ডের ব্যথা দূর করতে অনেক কার্যকারী ট্যাবলেট।এর ফলে জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা ও গিরায় গিরায় ব্যথা দূর হয়।
অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট
অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট এই tablet টি পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে পিরিয়ডের ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে। এজন্য আপনি চাইলে পিরিয়ডের ব্যথা দূর করতে নিঃসন্দেহে অ্যাসপিরিন ট্যাবলেটটি সেবন করতে পারেন।
প্যারাসিটামল
প্যারাসিটামল এই ওষুধটি আমরা জ্বর হলে কিংবা সর্দি কাশি হলে সেবন করে থাকি কিন্তু আপনি কি জানেন যে এই ওষুধটি সেবন করার ফলে পিরিয়ডের ব্যথাও দূর হয়? প্যারাসিটামল ঔষধ প্রদাহ উপশমের সহায়তা করেন যার ফলে প্যারাসিটামল ওষুধে সেবন করার ফলে পিরিয়ডের ব্যথা দূর করা সম্ভব হয়।
প্রিয় পাঠক পিরিয়ডের ব্যথা অনেক কষ্টকর ও অস্বস্তিকর হলেও চেষ্টা করবেন প্রাকৃতিক উপায় গুলোর মাধ্যমে পিরিয়ডের ব্যথা উপশম করার কারণ কিশোর বয়সে পিরিয়ডের জন্য ঔষধ সেবন করলে জরায়ুতে নানান ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে এই জন্য চেষ্টা করুন প্রাকৃতিক উপায় গুলোর মাধ্যমে পিরিয়ডের ব্যথা দূর করার। আশা করছি উপরোক্ত এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঔষধের নাম গুলো কি কি।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করলাম যে পিরিয়ডের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো কি কি আশা করছি আপনি সেই ঘর বা উপায় গুলো সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন আপনি যদি এই উপায় গুলো অনুসরণ করেন তাহলে দ্রুত পিরিয়ডের ব্যথা থেকে রেহাই পেতে পারবেন অতি সাধারণ হলেও এটি অনেক কষ্টকর ও অস্বস্তিকর অনেকেই লজ্জা অথবা লুকাছুপির কারণে পরিবারের সাথে শেয়ার করতে পারেনা।
তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করলাম যে কোন উপায় গুলো অনুসরণ করলে দ্রুত পিরিয়ডের ব্যথা দূর হয় এছাড়াও এই পোস্টে আমরা পিরিয়ডের ব্যথা হওয়ার কারণ নিয়ে আলোচনা করেছি আশা করছি আপনি সেই কারণগুলো জানতে পেরেছেন। পিরিয়ডের প্রত্যেকটি ব্যথায় কিন্তু সাধারন নয় অনেক সময় পিরিয়ডের ব্যথাগুলির পিছনে লুকিয়ে থাকে হাজারো রোগ বালাই।
তাই এখন থেকে সতর্ক হোন এবং আপনার মধ্যে যদি এমন কোন লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আর পিরিয়ডের ব্যথা হলে কখনোই ঔষধ সেবন করবেন না কারণ কিশোর বয়সে পিরিয়ডের জন্য ঔষধ সেবন করার ফলে জরায়ুতে সংক্রমণ থেকে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে চেষ্টা করবেন প্রাকৃতিক উপায় গুলোর মাধ্যমে পিরিয়ডের ব্যথা উপশম করার। আশা করছি আজকের এই পোস্টটি
দ্বারা আপনি উপকৃত হয়েছেন আজকের এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন আর হ্যাঁ আপনি যদি এমন পোস্ট আরো পেতে চান তাহলে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।
ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url