কোরিয়ানদের মতো ফর্সা হওয়ার উপায় জানুন

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়

কোরিয়ানদের মতো ফর্সা হওয়ার উপায় খুঁজছেন? তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব যে কোরিয়ানদের মতো ফর্সা হওয়ার উপায়, প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়,ভিতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় এবং স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ক্রিম সম্পর্কে। আজকে আপনাদের সাথে এমন কিছু ক্রিম শেয়ার করব যে ক্রিমগুলো ব্যবহার করার ফলে হাথ পা থেকে শুরু করে পুরো শরীর ফর্সা হবে।

কোরিয়ানদের মতো ফর্সা হওয়ার উপায়

আজকের এই একটি পোস্টের মাধ্যমে আপনার জীবন বদলে যেতে চলেছে।কালো হলে দেখতে খারাপ লাগে এমনটা কিন্তু নয় নানান লোকের থেকে নানার কথা শুনতে হয়।যদিও আমাদের রং আল্লাহর দেওয়া। আর আল্লাহর দেওয়া কোন কিছুই অসুন্দোর নয় তবুও মানুষ যেন আমাদের রঙ দেখেই আমাদেরকে যাচাই-বাছাই করে।তাই আজকের এই পোস্টে এমন কিছু ক্রিম নিয়ে আলোচনা করবো যে গেম গুলো ব্যবহার করার ফলে স্থায়ীভাবে কালো মেয়েরা ফর্সা হতে পারবে।কালো মেয়ে ফর্সা হওয়ার ক্রিম জানতে নিচে দেখুন

পেজ সূচিপত্র

   ভূমিকা   

সুন্দর ও উজ্জ্বল ত্বকের প্রতি প্রত্যেকেই দুর্বল প্রত্যেক মেয়ে চাই সুন্দর ও ফর্সা ত্বক পেতে। ফর্সা ও সুন্দর ত্বকের প্রতি প্রত্যেকের আলাদা আকর্ষণ থাকে যার ফলে একটু শ্যামলা বর্ণের মেয়েরা মানসিকভাবে পিছিয়ে পরে। যদিও প্রত্যেকেই আল্লাহ সৃষ্টি তবুও মানুষ শ্যামলা ও কালো রঙের মেয়েদের একটু হীনমান চোখে দেখেন। তাই মেয়েরা সুন্দর ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে বাজারের ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ সমৃদ্ধ

আরো পড়ুন: অনলাইন থেকে প্রতিমাসে ২০০০০ টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত

নাইট ক্রিম ব্যবহার করেন যার ফলে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাদের ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল হয় কিন্তু একটা সময় পর তাদের ত্বক নষ্ট হয়ে যায় এবং তাদের ত্বক আগের তুলনায় আরো বেশি কালো হয়ে যায়। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব যে কোন ক্রিম ব্যবহার করলে কালো ও শ্যামলা তাকে দ্রুত ফর্সা ও উজ্জ্বল করা সম্ভব এবং সেটি সম্পূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া। চলুন তাহলে এবার আর দেরি না করে জেনে আসি কোরিয়ানদের মতো ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে।

কোরিয়ানদের মতো ফর্সা হওয়ার উপায় 

কোরিয়ানদের মতো ফর্সা হতে চাইলে  পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন। আজকের এই পোস্টে আমরা এমন কিছু জাদুকারি ক্রিম নিয়ে আলোচনা করব যে ক্রিম গুলো ব্যবহার করার ফলে আপনার ত্বক কোন প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই স্থায়ীভাবে ভেতর থেকে ফর্সা হবে। বর্তমান সময় প্রত্যেকটি মেয়েই ফর্সা ও লাবনময় তক পেতে চাই এখন শুধু শ্যামলা ও কালো মেয়ে নয় ফর্সা মেয়েরাও আরো বেশি ফর্সা

হওয়ার জন্য বাজার থেকে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত ক্রিম ব্যবহার করছেন। এটিএন কোথায় ব্যবহার করার ফলে তাদের ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা তো হচ্ছে কিন্তু সেটি শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কিন্তু একটি সময় পর তাদের ত্বক আগে তুলনায় আরো বেশি কালো হয়ে যায়। তাই আপনি যদি এমন করে নাইট ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন তাহলে এখন থেকে এসব বাদ দিন আর আজকের এই পোস্টে

আরো পড়ুন: ব্যাবসা করে অল্প বয়সে কোটিপতি হওয়ার উপায়

আলোচনা করা ব্যবহার করুন এগুলো আপনার স্কিনকে ভেতর থেকে স্থায়ীভাবে ফর্সা করতে সাহায্য করবে।

ঔসফি হোয়াটেনিং বডি ক্রিম (৩০০এমএল)

এই কিন্তু কোরিয়াতে তৈরি হয়েছে এবং এই ক্রিমটি ৯৯% গ্যারান্টির সাথে ত্বককে ভেতর থেকে ফর্সা করতে সহায়তা করে। তবে এটি কোন নাইট ক্রিম নয় যে সাত দিনে অথবা আট দিনে আপনার ত্বককে ধবধবে সাদা করে ফেলবে এটি একটি বডি ক্রিম যা ধীরে ধীরে আপনার ত্বককে ভেতর থেকে স্থায়ীভাবে একটি ফর্সার রং দিতে সাহায্য করবে। এবং এটি সম্পূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হীন আপনি নিঃসন্দেহে এই ঔসফি হোয়াইটেনিং বডি ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারেন।

ল্যাকমি ব্রাইটেনিং ক্রিম

Lakme কোম্পানির প্রত্যেকটি প্রোডাক্টটি অসাধারণ তার মধ্যে একটি হল ল্যাকমি ব্রাইটেনিং ক্রিম এই ক্রিমটি আপনার ত্বকের ভেতর থেকে মশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে এই শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক ফেটে যায় অথবা ত্বক উস্কো হয়ে যায় এই অবস্থা যদি আপনি নিয়মিত ল্যাকমি ব্রাইটেনিং ক্রিম ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বক তরতাজা ও ময়শ্চেরাইজ থাকবে এবং ত্বক ভেতর থেকে ব্রাইট হবে।

আপনি যদি লাকি ব্রাইটেনিং ক্রিম ব্যবহার করতে চান তাহলে এর মূল্য ৫৫০ টাকা।

গার্নিয়ার হোয়াইট কমপ্লিট মাল্টি অ্যাকশন ফেয়ারনেস ক্রিম

এই গার্নিয়ার ফেয়ারনেস ক্রিমটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা আপনার ত্বকে হাইড্রেট করতে সাহায্য করবে এবং আপনার ত্বকের টানটান ও ভেতর থেকে ব্রাইট করবে। এবং এটিএমটি ব্যবহার করার ফলে আপনার ত্বক আস্তে আস্তে ফর্সা হয়ে উঠবে। আপনি যদি সম্পূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া আপনার ত্বককে ভেতর থেকে স্থায়ীভাবে ফর্সা করতে চান তাহলে গার্নিয়ার হোয়াইট কমপ্লিট মাল্টি অ্যাকশন ফেয়ারনেস ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারেন।

গার্নিয়ান কোম্পানির প্রত্যেকটি প্রোডাক্টই অসাধারণ তার মধ্যে এই ফেয়ারনেস ক্রিমটি দুর্দান্ত।

মাইল্ড অ্যান্ড মাইন্ড হোয়াইটেনিং ক্রিম

মাইন্ড এন্ড মাইন্ড এই ক্রিমটি সম্পূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া আপনার ত্বককে ভেতর থেকে স্থায়ীভাবে ফর্সা করবে এই ক্রিমটি ৯৯.১% কার্যকারী। এই ক্রিমটি শুধু তাকে ফর্সাই করে না তাকে ফর্সা করার পাশাপাশি ত্বক থেকে মরা কোষ ও ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। সাথেই ত্বকে যদি রেস অথবা ব্রণের দাগ ছোপ থাকে তাহলে সেগুলো দূর করতে সাহায্য করে। এই ক্রিমটি ত্বককে ফর্সা করার পাশাপাশি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ রাখে

যার ফলে ত্বকে এক্সট্রা কোন সিরাম এর প্রয়োজন হয় না। এক কথায় ত্বক ফর্সা করে ক্রিম এর মধ্যে এই ক্রিমটি সেরা। থাইল্যান্ডের তৈরি এবং এই ক্রিমটির দাম  ৮৯৯ টাকা।

বেবী পিংক মশ্চারাইজিং হোয়াইটনিং ক্রিম

এই ক্রিমটি সম্পূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া ত্বক থেকে কালচে দাগ দূর করে এবং ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে সাথে ত্বকে একটা বেবি পিংকি পিংকি ভাব দেয়। যারা নিজের শ্যামলা ত্বক নিয়ে চিন্তিত তারা আজ থেকেই এই বেবি পিংক মশ্চারাইজিং ক্রিমটি ব্যবহার করুন এই ক্রিমটি কোন প্রকার ক্ষতি ছাড়া আপনার ত্বকে ভেতর থেকে মশ্চারাইজ ও ব্রাইট করে তুলবে সাথেই ত্বকে পিংক গ্লও দিবে। আর এখন তো শীতকাল

এই শীতকালে ত্বক ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি তাই এই শীতকালে ত্বক মশ্চারাইজ রাখতেই নিয়মিত রাত্রে ঘুমানোর আগে বেবি পিক  মশ্চারাইজিং হোয়াইটনিং ক্রিম ব্যবহার করবেন এতে আপনার ত্বক সারাদিন মশ্চারাইজ ও গোলাপী থাকবে।

আরো পড়ুন: দ্রুত ধনী হওয়ার হালাল ২২টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত

উপরোক্ত প্রোডাক্ট গুলো ব্যবহার করার ফলে আপনার ত্বক ভেতর থেকে কোরিয়ানদের মতো ন্যাচারালি ফর্সা এবং সুন্দর হবে। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে কোরিয়ানদের মতো ফর্সা হওয়ার উপায় কি। আপনি যদি এই ক্রিম গুলো ব্যবহার করেন তাহলে সম্পূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া আপনার ত্বক ভেতর থেকে ব্রাইট ও ফর্সা হবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি ৭ দিনে ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে নিচে দেখুন

৭ দিনে ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম

৭ দিনে স্থায়ীভাবে ফর্সা হতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব যে সাত দিনে ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম কোনগুলো। বর্তমান সময়ের প্রত্যেকে ফর্সা ও ধবধবে ত্বক পেতে চায় ফর্সা ত্বক পছন্দ করে না এমন মেয়ে খুঁজে পাওয়া কিন্তু খুবই মুশকিল। তাই ফর্সা হওয়ার জন্য অনেকেই বাজারের ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত নাইট ক্রিম গুলো ব্যবহার করেন

যে ক্রিমগুলো ব্যবহার করার ফলে স্কিনের চামড়া পাতলা হয়ে যায় ফলে স্কিনে নানান সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও বাজারের ক্ষতিকারক নাইট ক্রিম গুলো ব্যবহার করার ফলে ৭ থেকে ৮ দিনে ত্বক ফর্সা হলেও সেগুলো কিন্তু স্থায়ীভাবে ফর্সা হবে না অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ত্বক ফর্সা হবে কিন্তু একটি সময় পর সেটি আবার কালো হয়ে যাবে। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব যে ৭ দিনে কিভাবে স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়া যায়।

আমার মতে সাতদিনে স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয় তবে আপনি যদি আপনার স্কিনের পরিপূর্ণ কেয়ার অথবা যত্ন করেন তাহলে আপনার স্কিনকে ভেতর থেকে ধীরে ধীরে ফর্সা করা সম্ভব। স্কিনকে ফর্সা করার জন্য স্কিনের যত্ন নিতে হবে শুধু ক্রিম মাখলেই হবে না ক্রিমের সাথে বিভিন্ন ধরনের শুথিং জেল , মশ্চারাইজার এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে যেগুলো স্কিনের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

শুধু বাংলাদেশী নয় এমনকি পুরো পৃথিবী জুড়ে এখন অব্দি এমন কোন প্রোডাক্ট তৈরি হয়নি যা আপনার স্কিনকে থেকে ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যেই ধবধবে ফর্সা করবে। কিন্তু আপনি যদি আপনার স্কিনের রং পরিবর্তন করতে চান তাহলে আপনি আপনার স্কিনের পরিপূর্ণ যত্ন নিতে পারবেন আপনার স্কিনের যত্ন নেয়ার মাধ্যমে আপনার স্কিন ধীরে ধীরে ব্রাইট ও উজ্জ্বল হবে। এটি ৯৯% কার্যকারী।

আপনি যদি আপনার ত্বকের নিয়মিত ভালোভাবে যত্ন নেন তাহলে আপনার স্কিন ভেতর থেকে ফর্সা ও ব্রাইট হয়ে উঠবে। তাহলে জেনে আসি স্কিনের যত্ন কিভাবে নিতে হয় অর্থাৎ কোন কোন প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে।

শুথিং জেল

শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য যেমন খাদ্যের প্রয়োজন তেমনি ত্বককে সুস্থ ও তরতাজা রাখতে শুথিং জেল প্রয়োজন।শুথিং জেল ত্বকের জন্য খাদ্য বিশেষ। আপনি ত্বকে যত বেশি শুটিং জির ব্যবহার করবেন আপনার ত্বক তত বেশি তরতাজা এবং ব্রাইট হবে ত্বকে ত্বক জেল ব্যবহার করার ফলে ত্বক মশ্চারাইজ ও হাইড্রেট হয় যার ফলে ত্বক কুঁচকে যাওয়া সম্ভব না থাকে না , ত্বক থেকে ব্রণ ও কালচে দাগ দূর হয়। এছাড়াও আপনি যদ

নিয়মিত আপনার ত্বকে শুথিং জেল ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বক থেকে বয়সের ছাপ দূর হবে এবং ত্বক স্থায়ীভাবে ফর্সা হবে। তবে কোন জেলগুলো ব্যবহার করলে ত্বক স্থায়ীভাবে ফর্সা হবে এবং ত্বকের সমস্ত ব্রণ ও কলচে দাগ দূর হবে?

Pax Molly 99% Collagen Soothing Gel(300Ml)

৯৯% কোলাজেন বিশিষ্ট এই শুথিং জেলটি অনেক বেশি কার্যকরী। ট্যাক্সমোলি ব্রান্ড এর প্রত্যেকটি প্রোডাক্টটি অসাধারণ হয় তার মধ্যে এই প্রোডাক্টটি সেরা আপনি যদি আপনার তাকে নিয়মিত এই শুথিং জেল টি ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বক ভেতর থেকে ফর্সা ও ব্রাইট হয়ে উঠবে।সাথে আপনার স্কিন সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর হবে। যেমন স্কিনের তৈলাক্ত ভাব, স্কিনের ব্রণ ,গর্ত, কালচে দাগ দূর হবে।

এখন তো শীতকাল।শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে কুঁচকে যায় এবং ত্বক নানান সমস্যা দেখা দেয়। তাই বিশেষ করে শীতকালে শুথিং জেল ব্যবহার করলে ত্বক মশ্চারাইজ ও হাইড্রেট থাকে ফলে ত্বক তর তাজা ও ব্রাইট দেখায়।

Jeju Aloe Ice Soothing Gel(300Ml)

এই শুথিং জেল টি আইসি দ্বারা তৈরী। এই শুথিং জেল ব্যবহার করার ফলে স্কিন টানটান হয় অর্থাৎ যাদের স্কিন কুচকে গেছে অথবা স্কিনের বয়সের ছাপ দেখা দিচ্ছে তাদের জন্য এই সুথিং জেলটি সেরা হবে শুধুমাত্র এক মাস ব্যবহার করার পরেই আপনার স্কিন থেকে সমস্যা সমস্ত কুঁচকে যাওয়া ভাব এবং বয়সের ছাপ দূর হবে। সাথে এটি ব্যবহার করার ফলে ত্বক থেকে সমস্ত দাগ চোখ দূর হয় এবং স্কিন ভেতর থেকে ব্রাইট হয়।

Aloe vera 92% Soothing Gel

শুথিং গেল  মানেই তো স্কিনকে মশ্চারাইজ করা তাই না? শুথিং জেল আপনার স্কিনকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে এবং স্কিনকে ময়েশ্চারাইজ রাখে ফলে স্কিন তর তাজা  ও ব্রাইট দেখাবে। প্রত্যেকটি ত্বকের জন্য শুথিং জেল খাদ্যবিশেষ। টক সুন্দর রাখতে শ্রুতির ভূমিকা অনেক আপনি যদি আপনার স্ক্রিনে নিয়মিত সুথিনজল ব্যবহার করেন তাহলে আপনার স্কিন ভেতর থেকে ব্রাইট ও ফর্সা হয়ে উঠবে। সাথেই স্কিন সংক্রান্ত
যাবতীয় সমস্যা যেমন ব্রোন, এলার্জি কালচে দাগ, গর্ত, ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস দূর হবে।

Koelcia Snail Soothing Gel(300Ml)

এই শুথিং জেল কিন্তু ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী। তবে যদি আপনার স্কিনে অনেক বেশি ব্রণ অথবা কালচে দাগ থাকে তাহলে এই সুথিং জেলটি আপনার জন্য কারণ এই সুথিং জেলটি ব্রোন ও কালচে দাগের বিরুদ্ধে ওষুধের মত কাজ করে আপনি যদি নিয়মিত আপনার ত্বকে ব্যবহার করেন তাহলে আপনি এক সপ্তাহের মধ্যে ভালো ফলাফল পাবেন।এই সুথিং জলটি 99% কার্যকারী। সুথিং জেল ব্যবহার করলে

ত্বক মশ্চারাইজ ও হাইড্রেট থাকে। সাথেই ত্বক থেকে বয়সের ছাপ দূর হয় আপনি যদি নিয়মিত সুথিং জেল  ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বক কুচকে যাওয়া সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে বিশেষ করে এখন তো শীতকাল এই শীতকালে অনেকের ত্বক শুষ্ক হয়ে কুচকে যায় ফলে ত্বক কালচে দেখায় তাই এই সময় ত্বকের যত্ন নিতে অবশ্যই শুথিং জেল ব্যবহার করতে হবে।প্রত্যেকটি সুথিং জেল স্কিনকে ময়েশ্চারাইজ ও হাইড্রেট করতে সাহায্য করে,

তাই আপনার যে সুথিং জেল টি পছন্দ আপনি সেটি ব্যবহার করতে পারেন তবে স্কিনে কিন্তু সুথিং জেল অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে বিশেষ করে এই শীতকালে ত্বকের যত্ন নিতে সুথিং জেল এর ভূমিকা অনেক বেশি।

সিরাম 

আপনি নিশ্চয়ই কোরিয়ানদের ত্বক দেখেছেন , তাদের ত্বক এত বেশি কাচের মত চকচকে কেনো জানেন? কারণ তারা নিয়মিত শ্রীরাম ইউজ করে সিরাম এমন একটি প্রোডাক্ট যা ব্যবহার করার ফলে স্কিন ভেতর থেকে চকচকে হয় এবং স্কিন থেকে সমস্ত ব্রণ ও কালচার থেকে সমস্যা দূর হয়। আপনি যদি বাজারের ক্ষতিকারক নাইট ক্রিম বাদ দিয়ে নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেন তাহলে আপনার ত্বক ভেতর থেকে ধবধবে ফর্সা ও সুন্দর হবে। 

আরো পড়ুন: হতাশা ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির ১০০% কার্যকারী উপায়

সুন্দর ত্বক কিন্তু প্রত্যেক নারীর চাওয়া।সুন্দর ত্বক চায়না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল। ত্বকই যেন আমাদের জীবন তাই এই ত্বকের অবশ্যই খেয়াল ও যত্ন রাখতে হবে। চলুন তাহলে ঝটপট জেনে আসি কোরিয়ানরা কোন সিরাম ইউজ করে তাদের ত্বক কাঁচের মতো চকচকে করছে।

Snail Revive Serum

ত্বক প্রচুর ড্যামেজ হয়ে গেছে? তোকে চামড়া অনেক পাতলা হয়ে গেছে? তাহলে এই সিরাম টি আপনার জন্য এই সিরাম ব্যবহার করার ফলে ত্বক দ্রুত রিপায়ার করা সম্ভব এবং ত্বক থেকে যাবতীয় সমস্যা দূর করা সম্ভব যেমন ব্রণ ও কালচে দাগ। ত্বকের সিরাম ব্যবহার করলে ত্বক হাইড্রেট ও মশ্চারাইজ থাকে সুথিং জেল ব্যবহার করার পাশাপাশি অবশ্যই ত্বকে সিরাম ব্যবহার করতে হবে।

Vitamin C Glow Serum

আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে ভিটামিন সি ত্বকের জন্য কত বেশি উপকারী ভিটামিন সি ত্বককে হাইড্রেট করার পাশাপাশি ত্বককে টানটান করতে সাহায্য করে।এইজন্য প্রত্যেকটি ত্বকের জন্য ভিটামিন সি আবশ্যক। এছাড়াও এই সিরাম ইউজ করলে আপনার ত্বক ভেতর থেকে ব্রাইট হবে এবং চকচক করবে।

Pure Silver Shine Serum

যাদের ত্বকে বয়সের ছাপ দেখা যায় অথবা ত্বক কুঁচকে গেছে তাদের জন্য এই সিরামটি সেরা হবে কারণ এই সিরাম টি ব্যবহার করার ফলে ত্বক ভেতর থেকে টানটান হয় এবং স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা হয়। প্রত্যেকটি ত্বকের যত্ন নিতে সিরাম ব্যবহার করা আবশ্যক সিরাম ব্যবহার করলে ত্বক মশ্চারাইজ থাকে এবং ত্বক তরতাজা থাকে।

Radiant Face Serum

উপরে আলোচনা করা প্রত্যেকটি সিরামের চেয়ে এই সিরামটি কিন্তু কোন অংশে কম নয় এই সিরামটি ব্রন কালচে দাগ, গর্ত থেকে শুরু করে স্কিন সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। প্রিয় পাঠক বাজার থেকে ক্ষতিকর নাইট ক্রিম ব্যবহার না করে আপনি যদি এই প্রোডাক্ট গুলো নিয়মিত আপনার ত্বক এপ্লাই করেন তাহলে আপনার ত্বক দ্রুত ভেতর থেকে স্থায়ীভাবে ফর্সা হবে এবং স্কিন সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর হবে 

আশা করছি উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে শ্রীরাম ব্যবহার করা ত্বকের জন্য কত বেশি গুরুত্বপূর্ণ সিরাম ব্যবহার না করলে ত্বক কুঁচকে যেতে পারে ত্বকের বয়সের ছাপ পড়তে পারে এই জন্য এখন থেকেই নিয়মিত দিনে এক থেকে দুইবার ত্বকের শ্রীরাম ব্যবহার করবেন।

মশ্চারাইজার

প্রত্যেকটি ত্বকের জন্যই ময়শ্চেরাইজার অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।।মশ্চারাইজার ত্বক হাইড্রেট করে ও ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে ফলে ত্বক সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয় স্কিনের যত্ন নেওয়ার তৃতীয় ধাপে পড়ে মশ্চারাইজার। এখন তো শীতকাল এই শীতকালে ত্বক উষ্ক শুষ্ক হয়ে যায় স্বাভাবিক। তাই উষ্ক শুষ্ক ত্বককে প্রানোজ্জল ও তরতাজ করতে মশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে ময়শ্চেরাইজার ব্যবহার করার ফলে

ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়। এছাড়াও যখন আমরা ত্বক কোন ফেসওয়াশ অথবা ক্লিনজার দিয়ে পরিষ্কার করি তখন আমাদের ত্বকের আর্দ্রতা কমে যেতে পারে এই অবস্থায় যদি মশ্চারাইজার ব্যবহার করা না হয় তাহলে ত্বক অকালে উস্কো শুষ্ক হয়ে কুঁচকে যেতে পারে। তাই প্রত্যেকবার ফেসওয়াশ এবং ক্লিনজার ব্যবহার করার পর অবশ্যই কোনো ভালো মানের অথবা ব্র্যান্ডের মশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে এতে ত্বকের আদ্রতা

বজায় থাকবে এবং ত্বক সুন্দর থাকবে। এছাড়াও গবেষণায় প্রমাণিত যে নিয়মিত ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার ফলে ত্বক স্থায়ীভাবে ফর্সা হয়। আপনি যদি আপনার ত্বককে স্থায়ীভাবে ভেতর থেকে কোন সাইড ইফেক্ট ছাড়াই ফর্সা ধবধবে করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার ত্বকে মশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে কারণ প্রত্যেকটি ত্বকের জন্য ময়শ্চেরাইজার ব্যবহার করা খুবই জরুরী। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে
ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে এবং ত্বক সুন্দর থাকে। নিচে ভালো মানের কিছু মশ্চারাইজার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

Neutrogena Hydro Boost

এই মশ্চারাইজার টি ত্বক হাইড্রেট করার পাশাপাশি ত্বকের টানটান ও প্রাণ উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই মশ্চারাইজার টি কম্বিনেশন স্কিনের জন্য তৈরি। অর্থাৎ অইলি ও ড্রাই স্কিন দুটোতেই এই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যাবে।

Ultra Repair Oil Control

নাম শুনে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে এই মশ্চারাইজারটি শুধুমাত্র অয়েলি স্কিনের জন্য। অয়েলি স্কিনে পিম্পল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি এজন্য এই মশ্চারাইজার টি ইউজ করলে ত্বকের অয়েল নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং ব্রোন কম হবে।

Etude Soon Jung

উপরোক্ত প্রত্যেকটি মশ্চারাইজার থেকে এই মশ্চারাইজার টা অনেক বেশি উপকারী কারণ এটি আপনার ত্বকে হাইড্রেট ও ময়শ্চেরাইজ করার পাশাপাশি ত্বককে ভেতর থেকে ফর্সা ও তরতাজা করে তুলে। সাথেই এই মশ্চারাইজার টি ব্যবহার করলে তা থেকে ব্রণ ও কালচে দাগ জাতীয় সমস্ত সমস্যা দূর হবে এবং আপনার স্কিন ভেতর থেকে স্থায়ীভাবে ফর্সা হবে।

উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে প্রত্যেকটি ত্বকের জন্য মশ্চারাইজার কত বেশি উপকারী মশ্চারাইজার ব্যবহার না করলে ত কুঁচকে যায় এবং অল্প বয়সে ত্বকে বয়সের ছাপ দেখা যায়। এইজন্য ত্বক থেকে বয়সের ছাপ দূর করতে এবং ত্বককে সুন্দর ও স্থায়ীভাবে ফর্সা করতে মশ্চারাইজার অবশ্যই ব্যবহার করবেন।

টোনার 

প্রিয় পাঠক উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে ত্বকের যত্ন নেওয়া কত বেশি জরুরী আমরা যেমন আমাদের শরীরের যত্ন নেই তেমনি আমাদের ত্বকের যত্ন নিতে হবে ত্বকের যত্ন না নিলেই অকালে ত্বক উস্ক শুষ্ক হয়ে কুচকে যাবে এজন্য সুন্দর ও তরতাজা  ত্বক পেতে অবশ্যই ত্বকের যত্ন নিতে হবে আর ত্বকের যত্ন নিতে টোনারের গুরুত্ব অনেক বেশি টোনার ব্যবহার করার ফলে ত্বকের পিএইচ এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ফলে ত্বকে ব্রণের সমস্যা দূর হয় কারণ যখন আমাদের ত্বকে ph এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে ত্বকের নানান সমস্যা দেখা দেয় যেমন ব্রণ উঠা, রাস হওয়া কিংবা ত্বক কুঁচকে যাওয়া। বিশেষ করে এই শীতকালে শীতকালের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক দ্রুত কুঁচকে যায় এই জন্য এই অবস্থায় নিয়মিত টোনার ব্যবহার করতে হবে। চলুন তাহলে আমরা ভালো মানের কিছু টোনার সম্পর্কে জেনে আসি

Skin Recovery Essence Toner

যারা নিজের ড্যামেজ এবং পাতলা ত্বক নিয়ে চিন্তিত তাদের জন্য এই টোনার সেরা হবে কারণ এই টোনারটি দ্রুত স্কিন এর ড্যামেজ রিপায়ার করতে সাহায্য করে এবং স্কিনের চামড়া মোটা করে সাথেই স্কিনের  ph এর মাত্রা বজায় রাখে।

CeraVe Hydrating Toner

এই টোনারটি ত্বকে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে এখন শীতকাল এই শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক উষ্ক শুষ্ক হতে পারে কিংবা ত্বকের ph এর মাত্রা কমে যেতে পারে তাই নিয়মিত সকালে ও রাতে ঘুমানোর আগে এই টোনার টি ব্যবহার করবেন । এতে আপনার ত্বক সুন্দর ও ময়শ্চেরাইজ থাকবে।

Cle De Peau Beauty Essential Refining Essence Toner 

প্রত্যেকটি স্কিনের জন্য এই টোনারটি অনেক বেশি কার্যকরী। উপরোক্ত প্রত্যেকটি টোনার এর চেয়ে কোন অংশে কিন্তু কম নয় এই টোনারটি ব্যবহার করার ফলে স্কিনের পিএইচের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের থাকার সাথেই স্কিনের ব্রণ , ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস দূর হয় সাথে স্কিন থেকে বয়সের ছাপ দূর হয়। আপনি যদি আপনার স্কিনকে স্থায়ীভাবে ফর্সা ও সুন্দর করে তুলতে চান তাহলে অবশ্যই এই টোনারটি ব্যবহার করবেন।

প্রিয় পাঠক উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে ত্বকের জন্য টোনারের গুরুত্ব কত বেশি। বাজারের ক্ষতিকারক নাইট ক্রিম ব্যবহার না করে প্রতিরাতে এই প্রোডাক্ট গুলো স্কিনে ব্যবহার করবেন এতে আপনার স্কিন ভেতর থেকে স্থায়ীভাবে ফর্সা ও সুন্দর হবে।এবার চলুন আমরা জেনে আসি প্রোডাক্ট গুলো ব্যাবহার করার নিয়ম সম্পর্কে

ব্যাবহার করার নিয়ম

  • প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে ত্বককে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিবেন পরিষ্কার করার জন্য ভালো মানের ফেসওয়াস অথবা ক্লিনজার
  • ব্যবহার করবেন ক্লিনজার ব্যবহার করলে ত্বকের ভেতর থেকে ময়লা পরিষ্কার হয়। ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর
  • প্রথমে ত্বকে সুথিং জেল ব্যবহার করবেন
  • তারপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট সুথিং জেল ম্যাসাজ করে ত্বকে টোনার এপ্লাই করবেন।
  • তারপর ত্বকে টোনার শুকিয়ে গেলে তার ওপর ময়শ্চেরাইজার ব্যবহার করবেন। ময়েশ্চারাইজার ত্বকে লাগিয়ে সেটি পাঁচ থেকে ছয় মিনিট ম্যাসাজ করবেন। ম্যাসাজ করলে ত্বকের ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি পায় এতে ত্বক ভেতর থেকে ফর্সা হয়।
  •  মশ্চারাইজার ব্যবহার করার পর ত্বকের উপর ভালো মানের সিরাম এপ্লাই করবেন। তারপর ব্যাস এভাবে ঘুমিয়ে পড়বেন।
এভাবে যদি আপনি প্রতি রাতে স্কিনের একটু যত্ন করেন তাহলে আপনার স্কিনের যাবতীয় সমস্যা ৯৯.১% দ্রুত দূর হবে। সাথেই স্কিন ভেতর থেকে স্থায়ীভাবে ফর্সা ও প্রাণজ্জল হয়ে উঠবে। উপরোক্ত এত আলোচনার মাধ্যমে আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার উপায় কি এবং ৭ দিনে ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম কি কি। এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম কোনগুলো

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম

প্রিয় পাঠক আপনি কি স্থায়ীভাবে ফর্সা হতে চাচ্ছেন? কোন প্রকার সাইড ইফেক্ট ছাড়াই নিজের স্কিনকে স্থায়ীভাবে ফর্সা করতে আপনাকে অবশ্যই স্কিনের যত্ন নিতে হবে। আমরা যেমন আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য শরীরের যত্ন নেই খাওয়া দাওয়া করি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করি তেমনি সুন্দর ও সুস্থ রাখার জন্য অবশ্যই ত্বকের যত্ন নিতে হবে। প্রত্যেকটি মেয়ে কিন্তু সুন্দর ও ধবধবে ফর্সা ত্বক পেতে চাই।

কথাটি তেতো হলেও বর্তমান সমাজে ফর্সা ও ধবধবে মেয়েদের বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। আর শ্যামলা মেয়েদের জন্য একটি হীনমন্য চোখে দেখা হয় যার কারণে ফর্সা ও শ্যামলার মধ্যে সমাজে এত বেশি ভেদাভেদ। যদিও ফর্সা ও শ্যামলা এই দুইটি আল্লাহর তৈরি তবুও মানুষ যেন যাচাই বাছাই করে তাই অনেকেই ফর্সা রং পাওয়ার জন্য বাজারের ক্ষতিকারক কিছু নাইট ক্রিম ব্যবহার করেন যে ক্রিমগুলো ব্যবহার করার ফলে

তাদের ত্বক ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে ফর্সা হয় কিন্তু সেগুলো শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফর্সা হয়। কিছু সময় পর আবার ত্বক কালো হয়ে যায় এবং সেটি আগের চেয়ে বেশি কালো হয়ে যায় এবং ত্বকে দেখা দেয় নানান সমস্যা যেমন ব্রণ কালচে দাগ ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইট হেডস।প্রিয় পাঠক কথাটি তেতো হলেও সত্যি যে বর্তমান সময়ে শুধু বাংলাদেশেই নয় পুরো বিশ্বজুড়ে কোথাও এমন কোন প্রোডাক্ট তৈরি হয়নি যা

 মানুষকে সাত থেকে আট দিনের মধ্যে স্থায়ীভাবে সাইড ইফেক্ট ছাড়া ফর্সা করবে। অনেকেই ভাবে যে ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে চাইলেই ধবধবে ফর্সা হওয়া যায় কিন্তু এটি সম্পূর্ণ গুজব। আপনি যদি আপনার স্কিনকে ভেতর থেকে স্থায়ীভাবে ফর্সা করতে চান তাহলে আপনার স্কিনের যত্ন নিতে হবে।যত্ন নেওয়া টাই মেন কথা।যদি স্কিনের ঠিকভাবে যত্ন নেওয়া হয় তাহলে স্কিন ভেতর থেকে স্থায়ীভাবে ফর্সা করা সম্ভব। আর স্কিনের যত্ন কিভাবে নিতে হয়

সেটি আমরা উপরে আলোচনা করেছি আপনি চাইলে এক নজর দেখে আসতে পারেন। স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি কোন ক্রিম নেই তবে যদি আপনি চান তাহলে নিম্নোক্ত ক্রিমগুলো ব্যবহার করতে পারেন এই ক্রিমগুলো ধীরে ধীরে আপনার স্কিনকে ভেতর থেকে ব্রাইট করে তুলবে।

Obagi Medical NuDerm Clear Fx Cream

যাদের মুখে অতিরিক্ত ব্রণ , রেস ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইহেডস রয়েছে তাদের জন্য এই ক্রিমটি সেরা হবে। কারণ এই ক্রিমটিতে প্রচুর পরিমাণে একটি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে যার নিমিষেই তার থেকে ব্রণ ও ব্ল্যাকহেডস হোয়াইহেডস দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই ক্রিমটি ত্বককে ভেতর থেকে ফর্সা ও লাবণ্যময় করতে সাহায্য করে আপনি যদি আপনার ফেসকে ভেতর থেকে স্থায়ীভাবে ফর্সা করতে চান তাহলে এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারেন।

Lakme Absolute Perfect Radiance Brightening Cream
এটি ফর্সা হওয়ার জন্য একটি ডাক্তারি নিয়ে হিসেবে কাজ করে। এই গ্রিনটি ব্যবহার করার ফলে দ্রুত দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে নিজের ত্বকের রং পরিবর্তন করা সম্ভব। আপনি যদি আপনার ত্বকে স্থায়ী ভাবে ফর্সা করতে চান তাহলে এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারেন এই ক্রিমটি সম্পূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া আপনার ত্বকে ভেতর থেকে ফর্সা করতে সাহায্য করবে এবং ত্বকের সৌন্দর্যতা ফিরিয়ে আনবে।

Dermatrue Collagen Brightening Skin Cream

ডাক্তারের পরামর্শে এই ক্রিমটিও অনেক বেশি কার্যকরী। এই ক্রিমটি আপনার ত্বকে স্থায়ীভাবে ভেতর থেকে ফর্সা করতে সাহায্য করবে এই ক্রিমে রয়েছে প্রচুর পরিমানে কোলাজেন যা স্কিনকে ধবধবে সাদা করতে সহায়তা করে। এছাড়াও এই ক্রিমটি ব্যবহার করার ফলে ত্বক থেকে ব্রন,রেশ ও কালচে দাগ দূর হয়।

প্রিয় পাঠক আপনি যদি উপরোক্ত ক্রিমগুলো ব্যবহার করেন তাহলে আপনার স্কিন ভেতর থেকে সুন্দর হবে এবং এই ডাক্তারি ক্রিমগুলো ব্যবহার করার ফলে ত্বকের সাথে হাত পা ফর্সা করা সম্ভব। যদিও এই ক্রিমগুলো বাজারের নাইট ক্রিমের মত সাত থেকে আট দিনের মধ্যে স্কিনকে ধবধবে ফর্সা করে না কিন্তু এই ক্রিমগুলো ধীরে ধীরে আপনার ত্বককে ভেতর থেকে স্থায়ীভাবে ফর্সা করতে সাহায্য করবে।

পরবর্তী সময়ে আপনার স্কিন পরিপূর্ণ ফর্সা হয়ে যাওয়ার পর আপনি চাইলে এই ক্রিম গুলো দেওয়া বন্ধ করতে পারেন। প্রিয় পাঠক আশা করছি উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে হাত পা ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম এবং স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম কোন গুলো। ক্রিম ব্যবহার করার পাশাপাশি আপনি যদি কালো থেকে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় জানতে চান তাহলে নিচে দেখুন

কালো থেকে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়

কালো থেকে ফর্সা হতে চাচ্ছেন? যদিও কালো রং আল্লাহর দান তবুও কালো রংয়ের জন্য সমাজের নানান কথা শুনতে হয় আবার নানান মানুষ হীনমান্যতার চোখে দেখেন সমাজে ফর্সার রংই যেন সব।যার কারণে কালো আর ফর্সার মধ্যে এত ভেদাভেদ। শ্যামলা রঙের জন্য জামা কাপড়ে যেন বাছাই করে পড়তে হয়। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব যে কালো থেকে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় কি কি

কারণ বর্তমান সময়ে বাজারে যেসব ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম বের হয়েছে এগুলো ব্যবহার করলে তো শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সময়ের জন্যই ত্বক ফর্সা হবে তাই না? তারপর আবার তাকের মত কালো হয়ে যাবে সাথেই ফেঁসে দেখা দিবে নানান সমস্যা ব্রণ,রেশ কালচে দাগ ব্ল্যাক হেডস এবং হোয়াইহেডস সবমিলিয়ে জীবন প্রায় দুর্বিষহ হয়ে যায় তাই আজকের এই পোস্টে কিছু ঘরোয়া উপায় নিয়ে আলোচনা করব

যেই উপায় গুলো অনুসরণ করলে দ্রুত শ্যামলা ও কালো বর্ণ থেকে ফর্সা হওয়া সম্ভব। শুনে খুব অবাক লাগলেও সত্যি যে প্রাকৃতিক উপাদানের চেয়ে বেশি কার্যকারী আর কিছুই নেই প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে এই বিভিন্ন প্রোডাক্ট তৈরি করা হয় তাই আপনি যদি প্রাকৃতিক উপাদান গুলোকে আপনার ত্বকে ব্যবহার করেন তাহলে আপনি দ্রুত ভালো ফলাফল পাবেন চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা জেনে আসি কালো থেকে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলো কি কি এবং শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার উপায় কি

ঘরোয়া উপায়

পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে

পুষ্টিকর খাবার খেলে ত্বক ফর্সা হয়? খাবার খাওয়ার মাধ্যমেও কিন্তু ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করা সম্ভব? অবশ্যই ঠিকভাবে ভিটামিন ও পুষ্টিকর খাবার না খেলে ত্বক কাল যে হয়ে যায়।এই জন্য বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। পুষ্টিকর খাবার শুধু শরীরকে সুস্থ রাখে এমনটা নয়, শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি আপনার ত্বককে ফর্সা ও লাবণ্যময় করতে সাহায্য করে। শাকসবজিতে রয়েছে হাজারো ভিটামিন যা নিমিষেই ত্বককে সুন্দর করতে সহায়তা করে

আপনি লক্ষ্য করবেন যারা ঠিকভাবে শাকসবজি খায় না তাদের ত্বকের নানান সমস্যা রয়েছে যেমন ব্রণ ও কালচে দাগ। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে সাধারণ সমস্যা ব্রণও বেশিরভাগ মেয়ের ত্বকে ব্রণও দেখা যায় এর কারণ হলো মানুষ শাকসবজি খেতে পছন্দ করেন না কিন্তু এই শাকসবজিতে কত ভিটামিন আপনি কি জানেন? শাকসবজিতে রয়েছে হাজারো ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ যার নিমিষেই শরীরের সমস্ত রোগ বালাই

দূর করতে সাহায্য করে এবং সাথেই ত্বক সুন্দর ও ফর্সা করতে সাহায্য করে, এই জন্য ফর্সা ত্বক পেতে এখন থেকে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে
সুন্দর ও লাবণ্যময় তক পেতে অবশ্যই ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ভিটামিন সি ত্বকের ব্রণ ও কালচে দাগ করে এবং ত্বকের টানটান ও প্রাণ উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। আপনি লক্ষ্য করবেন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ অনেক প্রোডাক্ট রয়েছে যে প্রোডাক্টগুলো ব্যবহার করার ফলে ত্বক টানটান হয়।আপনি চাইলে সেই প্রোডাক্টগুলো ব্যবহার না করে সরাসরি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন।যেমন কমলা ,কমলাই রয়েছে

প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা খাবার ফলে আপনার ত্বক অনেক বেশি সুন্দর ও ভেতর থেকে ব্রাইট হবে। আবার আমলকি ,জলপাই, টমেটো এই ফলগুলোতেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া সম্ভব যা স্ক্রিনটা সুন্দর একটা সাহায্য করে তাই আপনি যদি আপনার স্কিনকে ভেতর থেকে ফর্সা করতে চান তাহলে অবশ্যই এ খাবারগুলো নিয়মিত খাবেন।
কাজু বাদাম খেতে হবে
কাজুবাদাম খেলে ত্বক ফর্সা হয়? হ্যাঁ কাজুবাদাম খেলে ত্বক অনেকটা ব্রাইট করা সম্ভব। কাজুবাদামের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম যা আপনার ত্বকের টানটান ও ব্রাইট করতে সাহায্য করবে তাই এখন থেকে নিয়মিত সকালে উঠে আধা কাপ কাজুবাদাম খেতে হবে এতে দ্রুত আপনার ত্বক ভেতর থেকে ফর্সা ও ব্রাইট হবে।

অ্যালোভেরার শরবত পান
আপনি নিশ্চয়ই অ্যালোভেরার গুণাগুণ সম্পর্কে জানেন অ্যালোভেরা রয়েছে হাজারও পুষ্টিগুণ ও ভিটামিন যার নিমিষেই আপনার ত্বককে ফর্সা ধবধবে করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এলোভেরা ত্বকের পিএইচ এর মাত্রা কে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ত্বককে মশ্চারাইজ ও হাইড্রেট করতে সাহায্য করে। এইজন্য এখন থেকে নিয়মিত সকালে এক গ্লাস অ্যালোভেরা শরবত পান করবেন এতে আপনার ত্বক ভেতর থেকে ফর্সা ও ব্রাইট হবে
সাথেই ত্বক থেকে বয়সের ছাপ দূর হবে ত্বক সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার সমাধান হলো অ্যালোভেরা।

হলুদ দুধ
ত্বকের জন্য হলুদ কত বেশি উপকারী তা আপনি নিশ্চয়ই জানেন।হলুদ দিয়ে ত্বকের বিভিন্ন প্রোডাক্ট তৈরি করা হয়। হলুদে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও আন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান যা ত্বক থেকে ব্রণ ও দাগ চ্ছপ দূর করতে সাহায্য করে। এইজন্য এখন থেকে প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে দুধের মধ্যে হলুদ মিশিয়ে খাবেন এতে আপনার ত্বকের রং খুব দ্রুত পরিবর্তন হবে। রেগুলার খাবার একটু পরিবর্তনের মাধ্যমে আপনি সুন্দর ও ধবধবে ফর্সার ত্বক পেতে পারবেন।


জাফরান
জাফরানের গুনাগুন সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই জানেন। জাফরান হাজারো গুনাগুন ও ভিটামিনের ভরপুর একটি ভেষজ উপাদান যা স্ক্রিন সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে আপনি যদি আপনার স্কিনসহয় হাত-পা ও পুরো শরীরকে ব্রাইট ও ফর্সা করতে চান তাহলে আজ থেকেই জাফরান দুধ পান করবেন জাফরান দুধ পান করলে স্কিন দ্রুত ফর্সা হয়। জাফরানে রয়েছে রং ফর্সাকারী হাজারো উপাদান যা কোন প্রকার

সাইড ইফেক্ট ছাড়াই আপনার পুরো শরীরকে ধবধবে ফর্সা করতে সহায়তা করবে। এছাড়াও আপনি চাইলে জাফরান বেটে সেটির ত্বকের ব্যবহার করতে পারবেন তাহলেও ভালো ফলাফল পাবেন।

পানি পান করতে হবে
প্রিয় পাঠক পানি যেমন শরীরের জন্য উপকারী তেমনি আপনার ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী পানি পটেপ্ত পরিমাণে পান না করলে তকে নানান সমস্যা দেখা দেয় যেমন ব্রণ এলার্জি এবং উস্কো শুষ্ক ভাব।এইজন্য নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। আপনি যদি নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করেন তাহলে আপনার স্কিন সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর হবে সাথেই আপনার স্কিন টানটান ও সুন্দর থাকবে।

আপনি লক্ষ্য করবেন অনেকেই ঠিকভাবে পানি পান করে না যার ফলে তাদের ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য বেশি বেশি পানি পান করতে হবে এখন থেকে চেষ্টা করবেন প্রতিদিন দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করার। পানি পান করলে আপনার ত্বক সুন্দর ও হাইব্রিড থাকার পাশাপাশি আপনার শরীর ও সুস্থ থাকবে।খাবার খাওয়ার পাশাপাশি কিছু ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে হবে এই ফেসপ্যাক গুলো ব্যবহার করলে

আপনার ত্বক ভেতর থেকে ধবধবে ফর্সা হবে। এগুলো সম্পূর্ণ ঘরোয়া উপায়।এই উপায় গুলো অনুসরণ করলে আপনি দ্রুত আপনার ত্বককে সুন্দর ও ফর্সা করতে পারবেন।

ফেস প্যাক

যেকোনো ত্বকের জন্যই ফেসপ্যাক ব্যবহার করা খুবই জরুরী আপনি যদি ঘরোয়া উপায় এর মাধ্যমে আপনার ত্বককে ফর্সা করতে চান তাহলে ফেসপ্যাকের গুরুত্ব অপরিসীম কারণ ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে এবং ত্বক সুন্দর থাকে। আপনি চাইলে এই ফেস প্যাকগুলো বাসাতেও বানাতে পারবেন কারণ সব সময় বাজার থেকে ফেসপ্যাক কিনা সম্ভব হয় না। আর বাসায় তৈরি ফেসপ্যাকও
কিন্তু বাজারে ফেসপ্যাক এর চেয়ে কোন অংশে কম নয়। চলুন তাহলে ঝটপট আমরা জেনে আসি ফেস প্যাক কিভাবে বানাতে হয়।
কয়েকটি কাঁচা হলুদ ভালোভাবে ধুয়ে নিন তারপর সেটি পাটায় বেটে পেস্ট বানিয়ে তার মধ্যে কয়েক ফোটার লেবুর রস ,এক থেকে দুই চা চামচ মধু এবং দুধের একটু সর দিয়ে মিক্স করুন। সেটি ভালোভাবে মিক্স করে ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। ম্যাসাজ করার ৩০ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক থেকে ব্রণ ও কালচে দাগের সমস্যা দূর হবে। সাথেই ত্বক ভেতর থেকে ব্রাইট ও প্রানোজ্জল হয়ে উঠবে।

কয়েকটি অ্যালোভেরা নিতে হবে সেটি ভালোভাবে ধুয়ে তার আঁশগুলো বের করে তার মধ্যে দুই চা চামচ কফি 2 চা চামচ মধু এবং এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট করুন। তারপর ত্বক ভালোভাবে ক্লিন করে পেস্টটি ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন ৩০ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

একটি পাত্রে তিন চা চামচ টক দই নিন তার মধ্যে দুই চা চামচ মধু এড করুন।১ চা চামচ লেবুর রস ও হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে ভালো ভাবে পেস্ট তৈরি করুন তারপর সেটি ত্বকে ভালোভাবে 9 থেকে 10 মিনিট ম্যাসাজ করুন। এভাবে সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করলে আপনার ত্বক দ্রুত ব্রাইট হবে।

৪ 
কয়েকটি কমলার খোসা ভালোভাবে ধুয়ে নিন তারপর সেটি পাটায় বেটে পেস্ট তৈরি করুন তার মধ্যে কয়েক চা চামচ চিনি লেবুর রস এবং মধু এড করুন। তারপর ভালোভাবে পেস্ট তৈরি করে সেটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। এতে ত্বক থেকে সমস্ত কালকে দাগ ও ব্রণ দূর হবে এবং ত্বক স্থায়ীভাবে ভেতর থেকে ফর্সা হবে।
কয়েকটি টমেটো নিতে হবে তার রস বের করে একটি পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে সেই রসের মধ্যে এক চা চামচ চিনি এক চা চামচ লেবুর রস ও ২ চা চামচ মধু এড করতে হবে। বাসায় কফি থাকলে আপনি এর মধ্যে কফিও মিক্স করতে পারবেন। কাফিও রং ফর্সা করতে সাহায্য করে। সেগুলোর পেস্ট তৈরি করে সেটি ত্বকে ৫ থেকে ৬ মিনিট ভালোভাবে ম্যাসাজ করে এভাবে রেখে দিতে হবে। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে

হালকা গরম পানি দিয়ে ফেস ওয়াশ করতে হবে। এই ফেস প্যাকটি অনেক কার্যকারী এই ফেসপ্যাক এর সাহায্যে ত্বক থেকে যাবতীয় ব্রণ ও কালচে দাগ দূর করা সম্ভব এবং ত্বককে ভেতর থেকে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব। ভালো ফলাফল পেতে এই ফেসপ্যাকটি সপ্তাহের দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করবেন।

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে কালো থেকে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলো কি কি। শ্যামলা অথবা কালো মেয়েরাই ফর্সা ও ধবধবে ত্বক পেতে চাই এমনটা কিন্তু নয় এখন ফর্সা মেয়েরা ও নিজেদের ত্বকে আরো বেশি ফর্সা ও লাবণ্যময় করতে বিভিন্ন ঘরোয়া উপায় গুলো অবলম্বন করেন এই জন্য আজ থেকেই উপরোক্ত উপায় অনুসরণ করবেন। পাঠক প্রোডাক্টের চেয়ে কিন্তু ঘরোয়া উপায় গুলো অনেক বেশি কার্যকরী হয় কিন্তু মানুষ ঘরোয়া

উপায়ের চেয়ে প্রোডাক্টের উপর বেশি নির্ভরশীল। তাই আপনি যদি প্রোডাক্ট ব্যবহার না করে ঘরোয়া উপায় গুলো নিয়মিত ব্যবহার করেন তাহলে আশা করছি আপনি ভালো ফলাফল লাভ করবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে এই ঘরোয়া ফেসপ্যাক গুলো হাত পায়ে ব্যবহার করতে পারবেন। এতে হাত ও পা দ্রুত ফর্সা হবে।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করলাম যে কোরিয়ানদের মতো ফর্সা হওয়ার উপায়,কালো মেয়ের ফর্সা হওয়ার ক্রিম এবং ফর্সা হওয়ার ক্রিম কোনটা ভালো সেই সম্পর্কে। আপনি যদি উপরোক্ত ক্রিম গুলো ব্যবহার করেন তাহলে আপনি আপনার ত্বককে ভেতর থেকে স্থায়ীভাবে ফর্সা করতে পারবেন এই ক্রিমগুলো যদিও ধীরে ধীরে কাজ করে কিন্তু এই ক্রিমগুলো ৯৯.১% কার্যকারী। আপনি নিঃসন্দেহে এই ক্রিমগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

আমার মতে যারা বর্তমান সময়ে ফর্সা হওয়ার জন্য বাজারের ক্ষতিকর পাকিস্তানি নাইট ক্রিম গুলো ব্যবহার করছেন এই ক্রিমগুলো এখন থেকেই বাদ দিয়ে দিন কারণ রং ফর্সাকারী নাইট ক্রিম গুলোতে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো থাকে যেগুলো আমাদের স্কিনের দেওয়ার ফলে স্কিন ফর্সা হয় কিন্তু সেটি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তারপর তাকে নানান সমস্যা দেখা দেয় যেমন ব্রণ, এলার্জি ,রেশ,গর্ত, ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াটহেডস।

সাথে স্কিনের চামড়া প্রচুর পাতলা হয়ে যায়। তাই আমার মতে এখন থেকেই এই সব ক্ষতিকারক নাইট ক্রিম ব্যবহার করা বন্ধ করুন এবং স্কিনের পরিপূর্ণ যত্ন নিন স্কিনের যত্ন নিলে স্ক্রিন দ্রুত সুন্দর ও ফর্সা করতে পারবেন। স্কিনের যত্ন নেওয়ার জন্য আপনি চাইলে ওপরে আলোচনা করা সানস্ক্রিন ,মশ্চারাইজার, টোনার ,সুথিং জেল ও সিরাম ব্যাবহার করতে পারবেন। এগুলো সম্পূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া আপনার

স্কিনকে ভেতর থেকে ব্রাইট ও ফর্সা করতে সাহায্য করবে আপনি যদি একটি সুন্দর ও লাবণ্যময় তক পেতে চান তাহলে অবশ্যই আজ থেকেই স্কিনের পরিপূর্ণ যত্ন নিবেন আশা করছি আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন আজকের এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন আর হ্যাঁ আপনি যদি এমন পোস্ট আরো পেতে চান তাহলে এই ওয়েবসাইটটিকে নিয়মিত ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url