এইচআইভি পজিটিভ লক্ষণ , কারণ ও চিকিৎসা - এইডস প্রতিরোধ

প্রতিমাসে ২০০০০ টাকা ইনকাম

এইডস একটি মারাত্মক প্রাণঘাতী রোগ যা এইচআইভি ভাইরাসের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়। তবে এইচআইভি হলে কিভাবে বুঝব? এইচআইভি পজিটিভ লক্ষণ কি? এইচআইভি পজেটিভ লক্ষণ গুলো জানতে পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন। আজকের এই পোস্টে আমরা  এইচআইভি পজিটিভ লক্ষণ  এবং এইডস হলে করনীয় কি সেইসব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

এইচআইভি পজিটিভ লক্ষণ কারণ ও চিকিৎসা  এইডস প্রতিরোধ

এইডস(AIDS) যার পূর্ণরূপ Accurate Immuno Deficiency Syndrome। এই রোগ এক প্রকার এইচআইভি নামক ভাইরাস দ্বারা সৃষ্টি হয় যা অনেক ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। তাই এইচআইভি সম্পর্কে আমাদের সকলের জানা উচিত এজন্য আজকের এই পোস্টে আমরা এই এইচআইভি পজিটিভ কিছু লক্ষণ, কারণ ও চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করব।

পেজ সূচিপত্র

   ভূমিকা   

Human immuno deficiency virus যাকে আমরা এইচআইভি বলে চিনি।এই ভাইরাসটি যখন মানব শরীরে প্রবেশ করে তখন শরীরে সমস্ত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে নষ্ট হতে থাকে ফলে। এতে শরীর সহজে বিভিন্ন রোগ দ্বারা সংক্রমিত হতে থাকে।এই রোগ নিয়ে সমাজে প্রত্যেকের মনে নানান ভীতি ও অজ্ঞতা রয়েছে। সামাজে কোন ব্যক্তি এইচআইভি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হলে তাকে প্রত্যেকেই নিন্দনীয় ও খারাপ চোখে দেখে।

আরো পড়ুন: গুগল অ্যাডসেন্স থেকে প্রতিমাসে ৫০০০০ টাকা ইনকাম করার উপায়

এটি কোন বিশেষ মহামারী থেকে কোন অংশে কম নয়। প্রতিবছর প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ এই এইচআইভি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়। তবে দুঃখজনক ব্যাপার হল এই রোগের এখনো কোনো সঠিক চিকিৎসা খুজে পাওয়া যায়নি যার কারণে প্রতিবছরই প্রায় লাখ লাখ মানুষ এইডস এ আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। তবে কি এই এইডস? আর এইডস কিভাবে হয়? এবং এইডস এর প্রাথমিক লক্ষণ কি কি ? জানতে নিচে দেখুন।আমরা এইডস সম্পর্কে খুঁটিনাটি সবকিছু বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

এইডস কিভাবে হয়

এইডস এটি কোন রোগ নয় তবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে ধ্বংস করে যা মানুষকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে দেয়। এটি একটি মরণ ব্যাধি রোগ।এইচআইভি ভাইরাস দ্বারা শরীর আক্রান্ত হলে এইডস রোগ দেখা দেয়। কিন্তু এইডস কিভাবে হয় এই সম্পর্কে প্রায় সমাজে 60% লোকই জানে না তাদের মনে কিছু ভুল ধারণা আছে।এইডস এ আক্রান্ত প্রত্যেকটি ব্যাক্তিদের সমাজে নিন্দনীয় চোখে দেখা হয়।

যার কারণে প্রতিবছর এইডসে আক্রান্ত লক্ষ লক্ষ ব্যক্তিরা আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তাই আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করব যে এইডস কিভাবে হয় জেনে নিন সত্য ঘটনা। এইডস কেন হয় ? আমরা প্রত্যেকেই একটি কারণ জানি সেটি হল অনিরাপদ শারীরিক সম্পর্ক। অনিরাপদ শারীরিক সম্পর্ক অথবা যৌন মিলনের ফলে এইচআইভি ভাইরাস সৃষ্টি হয়।আর এইচআইভি ভাইরাস থেকে শরীরে এইডস

আরো পড়ুন: তাড়াতাড়ি ধনী হওয়ার সহজ উপায় জানুন

নামক ব্যাধিটি বাসা বাঁধে। আমাদের সমাজের মানুষের একটি ধারণা যে এইডস রোগটি শুধুমাত্র একাধিক শারীরিক মিলনের কারণে হয়। কিন্তু এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। এইডস বিভিন্ন কারণে হতে পারে সে কারণগুলো নিচে আলোচনা করা হলো

এইচআইভি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে ব্যাবহার করা ইনজেকশন অথবা অস্ত্র সাধারণ কোনো ব্যাক্তির শরীরে ব্যাবহার করলে এইচআইভি ছড়াতে পারে।

এইচআইভি দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে শারীরিক মিলনে এইচআইভি ছড়াতে পারে।

এইচআইভি দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত নিলে এইচআইভি ছড়াতে পারে।

এইডস রোগী আক্রান্ত ব্যাক্তির মারির ক্ষত রক্ত অথবা শরীরের কাঁটা ছেরা থেকে অন্যান্য মানুষের মাঝে এইচআইভি ছড়াতে পারে।

বেশিরভাগ সময়ে চিকিৎসকের অবহেলায় একই ইনজেকশন অথবা সিরিঞ্জ একাধিক ব্যক্তির শরীরে ব্যবহার করার মাধ্যমে এইচআইভি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু আমাদের সমাজের মানুষ এই বিষয় নিয়ে অজ্ঞ তারা এইচআইভি রোগের জন্য শুধুমাত্র একটি কারণকেই দায়ী করে যার কারণে সমাজে এইচআইভি পজিটিভ মানুষদের এত নিন্দনীয় ও খারাপ চোখে দেখা হয়।

প্রিয় পাঠক আশা করছি উপরক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে এইডস কিভাবে হয় এইডস এর কারন কি এবং এইডস কিভাবে ছড়িয়ে যায় এবার চলুন আমরা জেনে আসি এইচআইভি পজিটিভ লক্ষণ গুলো

এইচআইভি পজিটিভ লক্ষণ

এইচআইভি কি এটি হলো একটি মারাত্মক প্রানবাদী ভাইরাস যা শরীরে প্রবেশ করার ফলে এইডস রোগ হয় আর এইডস রোগ মানে শরীরের রোগ প্রতিরক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে শরীর সহজে কোন ক্ষতিকারক রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয় যা মানুষকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। ব্যাপারটি দুঃখজনক হলেও সত্যি যে এইচআইভির ভাইরাসের কোন চিকিৎসা এখনো খুঁজে পাওয়া যায় নি।

যার কারনে প্রতিবছর প্রায় লক্ষ লক্ষ মানুষ এইচআইভি পজিটিভ হয়ে মারা যায়। সমাজে এই ভাইরাসের ভয়াবহতা অনেক, ভয়াবহতার পাশাপাশি অজ্ঞতাও অনেক। তবে যদি কোন ব্যক্তি এইচআইভি পজিটিভ হয় তাহলে সে বুঝবে কিভাবে ? মানব দেহে যখন এইচআইভি ভাইরাস প্রবেশ করে তখন শরীরে কিছু লক্ষণ দেখা দেয় চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি এইডস এর প্রাথমিক লক্ষণ কি কি
এইডস এর প্রাথমিক লক্ষণ কি কি
  • এইডস হলে যদিও প্রথম দুই তিন সপ্তাহ কোন লক্ষণ অথবা উপসর্গ বোঝা যায় না কিন্তু রোগীর গায়ে গায়ে প্রচুর জ্বর থাকে।
  • হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়াই মাথা ব্যথা অনুভূত হয়
  • পুরো শরীর জুড়ে ছোট ছোট লাল লাল রেস অথবা ফুসকুড়ি সৃষ্টি হয়।
  • গলায় ব্যথা অনুভূত হয়। সাথে গলার বাম সাইডে হালকা ফুলে যেতে পারে।
  • অল্প কাজ করে হাপিয়ে যাওয়া অথবা ক্লান্তি ভাব দেখা যায়।
  • এই সময় রোগীর ডায়রিয়া হতে পারে।
  • শুকনো অথবা খুসখুসে কাশি হয়। এভাবে বারবার খুসখুসে কাশি হওয়ার ফলে একসময় গলা থেকে রক্ত ঝরতে পারে।
  • বমি বমি ভাব দেখা দেয়।
  • হাত-পা সহ পুরো পেসী জুড়ে যেন অসহ্য যন্ত্রণা সৃষ্টি হয়।
  • এবং প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে রোগীর প্রচুর ঘাম হয়।রোগীর মাথা থেকে শুরু করে পা অব্দি ঘামতে শুরু করে।
কোন ব্যক্তির যদি এইডস হয় তাহলে তার মধ্যে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে উপরোক্ত উপসর্গ গুলো দেখা দিবে। তবে মেয়ে ও ছেলেদের ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো একটু আলাদা হতে পারে চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি যে পুরুষদের মধ্যে এইচআইভি লক্ষণ কি কি

পুরুষদের মধ্যে এইচআইভি লক্ষণ

এইডস একটি মারাত্মক রোগ। এটি এইচআইভি ভাইরাসের মাধ্যমে জন্ম নেয়। আমাদের সমাজে অনেকেই এইডস এ আক্রান্ত থাকে কিন্তু তারা লোকলজ্জার ভয়ে বলতে পারেন না যার ফলে তারা নিজেদের মধ্যে এত ভয়াবহ রোগকে পুষে রাখেন।কিন্তু চুপ থাকলে হবে না অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে সাথেই আপনাকে জানতে হবে যে পুরুষদের মধ্যে এইচআইভি লক্ষণ কি কি আপনার মধ্যে যদি এমন কোন লক্ষণ

দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে সতর্ক হতে হবে। চলুন তাহলে জেনে আসি পুরুষদের এইচআইভি হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয়
  • পুরুষ এইচআইভি পজিটিভ হলে তার প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে দাঁড়াবে পেট ব্যথা। হঠাৎ পেটে প্রচুর ব্যথা অনুভূত হবে।
  • মলদ্বারে তীব্র ব্যথা অনুভূত হবে।
  • গায়ে গায়ে সব সময় জ্বর থাকবে।
  • খুসখুসে কাশি হবে। কাশির সাথে গলা থেকে রক্তও ঝরতে পারে।
  • পুরুষের মলাশয় অথবা অন্ডকোষে তীব্র ব্যথা ও যন্ত্রণা অনুভূত হবে।
  • পুরো শরীর জুড়ে ছোট ছোট লাল গুটি আকারের ফুসকুড়ি চুলকানি সৃষ্টি হবে।
  • শরীরে ক্লান্তিবোধ কাজ করবে। অর্থাৎ একটু কাজ করেই হাঁপিয়ে যাওয়া।
  • তলা পেট থেকে তীব্র ব্যথা অনুভূত হবে। তলা পেট থেকে পিট অব্দি পুরো শরীর জুড়ে ব্যাথা হবে।
  • প্রস্রাবের সাথে রক্ত বের হবে। সাথে তীব্র যন্ত্রণা ও জ্বালাপোড়া অনুভূত হবে।
কোন পুরুষ যখন এইচআইভি পজিটিভ হয় তার মধ্যে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে এই উপসর্গ গুলো দেখা দিবে।তবে এইচআইভি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমণ হওয়ার দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে কোন সমস্যা অথবা লক্ষণ দেখা দেয় না। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে পুরুষদের মধ্যে এইচআইভি লক্ষণ কি কি এবার চলুন জেনে আসি মহিলাদের মধ্যে এইচআইভি লক্ষণ কি কি

মহিলাদের মধ্যে এইচআইভি লক্ষণ

বর্তমান সময়ে এইচআইভি নামের সাথে পরিচিত নয় এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া অনেক মুশকিল।সমাজে প্রত্যেকেই এইচআইভি এর ভয়াবহতার সাথে পরিচিত কিন্তু এর লক্ষণ গুলো আমাদের অনেকের অজানা তাই আজকের এই পোস্টে মহিলাদের মধ্যে এইচআইভি লক্ষণ কি কি দেখা দেয় সেই সম্পর্কে আলোচনা করবো।মহিলাদের মধ্যে এইচআইভি লক্ষণ গুলো জানতে নিচে দেখুন
ক্লান্তিবোধ দেখা দিবে।
  • হঠাৎ প্রচুর মাথা ব্যাথা অনুভূত হবে।
  • হঠাৎ ওজন কম অথবা বৃদ্ধি হতে পারে।
  • অল্প বয়সে পায়ের জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যাথা অনুভূত হবে।
  • ত্বকে লাল লাল ফুসকুড়ি সৃষ্টি হবে।
  • যৌনাঙ্গে চুলকানি দেখা দিতে পারে।
  • অতিরিক্ত মানসিক চাপ সৃষ্টি হবে।
  • হাথ পা থেকে শুরু করে পুরো শরীর জুড়ে তীব্র ব্যাথা অনুভূত হবে।
  • শরীরে ক্ষতর মত দাগ সৃষ্টি হবে।
আপনার মধ্যে যদি এমন কোন লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সঠিক সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।আসা করছি উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে এইচআইভি লক্ষণ গুলো কি কি।এবার চলুন জেনে আসি এইডস কত দিন পর ধরা পরে

এইডস কত দিন পর ধরা পরে

প্রথম অবস্থায় এইডস হয় না। এইচআইভি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমণ হওয়ার ৮ থেকে ৯ বছর পর এইডস ধরা পরে। যখন কোন ব্যক্তি এইচআইভি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয় তখন দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত কোন লক্ষণ অথবা উপসর্গ দেখা দেয় না কিন্তু এক মাস অথবা এক মাসের মধ্যে তার শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন ও লক্ষণাদি দেখা দেয় যা দেখে বোঝা যায় যে সেই ব্যক্তি এইচআইভি পজিটিভ। এই অবস্থায় দ্রুত যদি কোন ব্যক্তি চিকিৎসকের

পরামর্শ নেয় অথবা চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করে তাহলে এই অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার কিছুটা সম্ভাবনা থাকে। বর্তমান সময়ে এইডস রোগের সঠিক চিকিৎসা খুঁজে পাওয়া যায়নি কিন্তু কোন ব্যক্তি যদি এইচআইভি ভাইরাসের সংক্রমিত অবস্থায় সঠিক ভাবে ঔষধ সেবন করে তাহলে সে এই অবস্থা থেকে রেহাই পেতে পারে। এটি কোন মহামারীর থেকে কোন অংশে কম নয়।প্রতিবছর প্রায় লক্ষ লক্ষ মানুষ

এইডস রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এছাড়াও এইডস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সমাজ নিন্দনীয় ও খারাপ চোখে দেখে যার ফলে মানুষ মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে এবং বেশিরভাগ এইডস আক্রান্ত রোগী আত্মহত্যার পথটি বেছে নেয়। উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে এইডস কতদিন পর ধরা পরে। এবার চলুন আমরা জেনে আসি এইডস হলে করনীয় কি।

এইডস হলে করনীয়

এইডস একটি মারাত্বক রোগ।যা ১ ডিসেম্বর এইডস দিবস পালন করা হয়। এই রোগের ভয়াবহতা সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকেই জানি এবং এই রোগ হলে কি কি লক্ষণ ও উপসর্গ শরীরে দেখা দেয় সেসব সম্পর্কেও আমরা জেনেছি। পাঠক এইডস রোগ কিন্তু প্রথম অবস্থাতেই হয় না প্রথমে এইটা ভাইরাস দ্বারা মানুষ আক্রান্ত হয় যার ফলে শরীরে বিভিন্ন উপসর্গ ও লক্ষণাদি দেখা দেয় মানুষ যদি সতর্ক হয়ে তাৎক্ষণিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেয় 

এবং সঠিকভাবে ঔষধ সেবন করে তাহলে অনেকাংশে এইচআইভি ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো যদি কোন ব্যক্তি এইডসে আক্রান্ত হয় তাহলে এইডস এর রোগের জন্য এখনো পর্যন্ত সঠিক চিকিৎসা খুঁজে পাওয়া যায়নি। এখানে প্রথম অবস্থাতেই এইচআইভি পজেটিভ কোনো লক্ষণাদি দেখা দিলে অবশ্যই  চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং সঠিকভাবে ওষুধ সেবন করতে হবে।

হাথ পায়ে লাল গুটি গুটি ফুসকুড়ি দেখা দিলে১০-১৫ দিন এর বেশি জ্বর থাকলে কিংবা দীর্ঘদিনের ডায়রিয়া থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আমার মতে এইচআইভি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই আপনি যদি তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেন এবং ঠিকভাবে ওষুধ সেবন করেন তাহলে আপনি এই রোগ থেকে সেরে উঠতে পারবেন কিন্তু আপনি যদি এই রোগকে

অবহেলা করেন ফলে আপনার মধ্যে যদি এইডস রোগ সৃষ্টি হয় তখন আপনার জীবন ঝুঁকির কবলে পড়ে যাবে এজন্য এখন থেকে সতর্ক হোন এবং এমন কোন লক্ষণাদি দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আশা করছি উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে এইডস হলে করণীয় কি এবার চলুন আমরা জেনে আসি এইডস এর প্রতিরোধ কিভাবে করতে হয়

এইডস এর প্রতিরোধ

এইডস যদিও এটি কোন ছোঁয়াচে রোগ নয় তবুও এটি মানুষের মাধ্যম থেকেই ছড়ায় এইজন্য এইডস কে ছোঁয়াচে রোগ বলা হয়। এই রোগটি অনেক ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। এইডস রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারায়। এটি কোন মহামারীর থেকে কম নয়।এই জন্য একটু সতর্ক হতে হবে।১ ডিসেম্বর এই দিবস পালন করা হয়।এইডস এর ভয়াবহতা সম্পর্কে সমাজের আমরা প্রত্যেকেই জানি।

এটি এইচআইভি ভাইরাসের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় অর্থাৎ এইচআইভি ভাইরাস দ্বারা যখন কোন ব্যক্তি সংক্রমিত হয় তখন তার দেহে এইডস নামক রোগ জন্ম নেয় আর এইডস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নষ্ট করে ফেলে এতে মানব শরীর খুব দ্রুত বিভিন্ন রোগ দ্বারা সংক্রমিত হয়। যা মানুষকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয় এই জন্য আমাদের প্রত্যেকের এইডস প্রতিরোধ করা জানতে হবে। চলুন আমরা জেনে আসি যে এইডস এর প্রতিরোধ কিভাবে করতে হয়
  • অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রত্যেককে যৌন সম্পর্কের জন্য অবশ্যই নিজেদের ধর্মীয় নীতি মেনে চলতে হবে।
  • একাধিক ও অবৈধ যৌন সম্পর্ক থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।
  • যৌন সম্পর্কের সময় অবশ্যই কনডম ব্যাবহার করতে হবে।
  • ধর্মীয় অনুশাসনকে মেনে চলতে হবে।
  • অন্যের ইনজেকশন ব্লেড অথবা সিরিঞ্জ ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • ইনজেকশনের মাধ্যমে ড্রাগ নেয়া বাদ দিতে হবে।
  • ওয়ান টাইম ইনজেকশন অথবা সুচ ব্যবহার করতে হবে।
  • রক্ত গ্রহণের সময় অবশ্যই সেই রক্তকে পরীক্ষা করে দেখতে হবে এইচআইভি নামক কোন সমস্যা রয়েছে কি।
  • জনসংক্রান্ত কোন রোগ থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে না হয় এর থেকে এইচআইভি নামক ভাইরাস সৃষ্টি হতে পারে।
  • এইচআইভি ভাইরাস আক্রান্ত এমন ব্যক্তির থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে।
  • নিরাপদ যৌন সম্পর্ক গঠন করতে হবে।
  • বিবাহর পূর্বে যৌন সম্পর্ক থেকে এড়িয়ে চলতে হবে।
উপরোক্ত প্রত্যেকটি টিপস মেনে চলতে হবে। এইডস যদিও কোন ছোঁয়াচে রোগ নয় তবুও সতর্ক ও সাবধান থাকতে হবে কারণ এটি অন্যের মাধ্যমে থেকে নিজের কাছে স্থানান্তর হয়। আশা করছি উপরক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে এইডস প্রতিরোধ করতে কি কি উপায়ে অবলম্বন করতে হবে।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করলাম যে এইচআইভি পজিটিভ লক্ষণ গুলো কি কি কারণ ,চিকিৎসা ও প্রতিরোধ নিয়ে। এইডস মূলত এইচ আই ভি ভাইরাসের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় যা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে এমনকি মানুষের প্রাণ চলে যেতে পারে। এইজন্য এখন থেকে সাবধান থাকতে হবে ওয়ান টাইম ইনজেকশন অথবা সুজ ব্যবহার করতে হবে এবং কারোর থেকে ব্লাড গ্রহণের আগে অবশ্যই

সেই রক্তকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখতে হবে। তারপরও যদি ভুলবশত কোন ব্যক্তি এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয় তাহলে তার মধ্যে কি কি লক্ষণ অথবা উপসর্গ গুলো দেখা দিবে সেই বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি আপনার মধ্যে যদি এমন কোন লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেনা আপনি যদি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেন এবং সঠিকভাবে ঔষধ সেবন করেন তাহলে এই রোগ থেকে

রেহাই পাওয়া সম্ভব কিন্তু আপনি যদি অবহেলা করেন এবং দিনের পর দিন এভাবে ফেলে রাখেন তাহলে এটি পরবর্তী সময়ে এইডসে রূপান্তরিত হবে। আশা করছি আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন আজকের এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন আর হ্যাঁ আপনি যদি এমন পোস্ট আরো পেতে চান তাহলে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url