স্কিন ফর্সা করার উপায়-কিভাবে ফর্সা হবো
ফর্সা এবং লাবণ্যময় স্কিন পেতে কে না চায়? অনেকে স্কিন কে ফর্সা করার জন্য বাজারের নাইট ক্রিম ব্যাবহার করেন এগুলো স্কিনের জন্য ক্ষতিকর ।স্কিন কে সামান্য সময়ের জন্য ফর্সা করে কিন্তু পরে স্কিনের অনেক ক্ষতি করে।এসব নাইট ক্রিম ইউজ করলে ক্যান্সার অব্দি হতে পারে।
তাই সময় আছে এসব নাইট ক্রিম বাদ দিন এবং ঘরোয়া উপায় গুলো অনুসরণ করুন।আজ আমরা এমন কিছু টিপস নিয়ে এসেছি যেই টিপস গুলোর মাধ্যমে আপনার স্কিন ভিতর থেকে ফর্সা হবে এবং আপনার স্কিনের কোনো ক্ষতি হবে না।
ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়
বাজারের ক্ষতিকর নাইট ক্রিম ইউজ না করে আপনি আপনার বাসায় থাকা কিছু ঘরোয়া উপাদানের মাধ্যমে আপনার স্ক্রিন কে ভেতর থেকে ফর্সা করে তুলতে পারবেন।
ত্বকের জন্য ন্যাচারাল উপাদানের চেয়ে ভালো আর কিছুই হয় না। আপনি এর আলুর রস ,শসা ,টমেটো এগুলো ব্যবহার করে আপনার স্কিনকে ভেতর থেকে ফর্সা করে তুলতে পারবেন। স্কিনের বিভিন্ন দাগ দূর করতে পারবেন বয়সের ছাপ দূর করতে পারবেন।
আরো জানুন : মোবাইলে কপি ও পেস্ট করে ইনকাম করুন- দৈনিক ১০০০টাকা ইনকাম
বাজারের ক্ষতিকর নাইট ক্রিম স্কিনের চামড়াকে পাতলা করে দেয় এবং ত্বকের অনেক ক্ষতি করে। তাই কখনোই বাজারে এসব ক্ষতিকর নাইট ক্রিম ব্যবহার করবেন না চেষ্টা করবেন ঘরোয়া উপায়ে স্কিন সুন্দর করার।
আজ আমরা কিছু এমন ঘরোয়া উপায় নিয়ে এসেছি যে উপায়গুলোর মাধ্যমে আপনার স্কিন ভিতর থেকে কোন ক্ষতি ছাড়াই ফর্সা হবে সে উপায় গুলো সম্পর্কে যদি আপনি জানতে চান তাহলে নিচে দেখুন;
দৈনিক ৩-৪ লিটার পানি পান
নিয়মিত ৩-৪ লিটার পানি পান করার চেষ্টা করবেন। শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে দেহের বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে পাশাপাশি স্কিনের তো ক্ষতি হবে বিভিন্ন ধরনের ব্রণ অথবা ব্রোন জাতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে।
যযতটা পরিমাণে সম্ভব বেশি বেশি পানি পান করবেন এতে শরীরের বিভিন্ন রোগবালাই দূর হবে এবং স্কিন উজ্জ্বল এবং কোমল থাকবে। পানি কম পান করলে স্ক্রিন কুঁচকে যেতে পারে। আপনি যত বেশি পানি পান করবেন আপনার স্ক্রিন তত বেশি সতেজ এবং উজ্জ্বল থাকবে।
মোবাইল থেকে দৈনিক ১০০০ টাকা ইনকাম
ডাবের পানি কি ত্বক ফর্সা করে?
ডাবের পানি আপনার শরীরের জন্য যেমন উপকারী তেমন ত্বকের জন্যও অনেক বেশি উপকারী। দিনে ২-৩ বার যদি ডাবের পানি দিয়ে মুখ ম্যাসাজ করেন তাহলে ফেস এর দাগ, স্পট দুর হবে। পাশাপাশি ফেস অনেক চকচকে এবং উজ্জ্বল হবে।
ডাবের পানির সাথে হালকা হলুদ মিশিয়েও মুখে লাগাতে পারেন। এতে ত্বক মসৃণ এবং উজ্জ্বল হবে।ভালো ফলাফল পেতে নিয়মিত দিনে ২ বার এভাবে ডাবের পানি ব্যাবহার করবেন।
হলুদ দিয়ে ফর্সা হওয়া যায়?
হলুদ আন্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর একটি উপাদান।এটি ত্বকে ব্যাবহার করলে ত্বকের ব্রণ,কালচে দাগ,চোখের নিচের দাগ, অ্যালার্জি জাতীয় সমস্ত সমস্যা দূর হয় এবং আন্টি পিগমেন্টেশন দুর করে ।এক কথায় হলুদ কে প্রাকৃতিক ঘরোওয়া কসমেটিকস বলা যায়।
হলুদের রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ত্বকের বিভিন্ন ধরনের এলার্জির এবং ফাংগাল জাতীয় সমস্যা দূর করে।এবার আসুন জেনে নেই কিভাবে হলুদ ব্যাবহার করতে হবে;
- কাঁচা হলুদ বেটে সেটি মুখে লাগিয়ে রাখবেন অথবা হালকা করে ম্যাসাজ করবেন ৩০ মিনিট পর সেটি পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।
- বাসায় যদি কাঁচা হলুদ না থাকে তাহলে গুড়ো হলুদ ব্যবহার করতে পারেন।
- সম্পূর্ণ উপকার পেতে সপ্তাহে দুইবার কাঁচা হলুদ ব্যবহার করবেন।
টমেটো দিয়ে ফর্সা হওয়া যায়?
টমেটোতে বিদ্যমান লাইকোপেন উপাদানের কারণে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের কালচে দাগ,অ্যালার্জি জাতীয় দাগ এবং ব্রণ দূর হয় ফলে ত্বক অনেক বেশি ফর্সা এবং লাবণ্যময় দেখা যায়।টমেটোর সাহায্যে ত্বক ভিতর থেকে ফর্সা এবং উজ্জ্বল হয়।
আপনার ত্বকে যদি ব্রণ কিংবা কালচে দাগ থাকে তাহলে নিয়মিত ত্বকে টমেটো ম্যাসাজ করবেন এতে আপনার ত্বকের কালচে দাগ এবং ব্রণ দূর হবে পাশাপাশি ত্বক অনেক উজ্জ্বল এবং ফর্সা হবে।
আরো জানুন : একমাসে কোরিয়ানদের মতো ধবধবে ফর্সা হতে চান? তাহলে ক্লিক করুন
কলা দিয়ে ত্বক উজ্জ্বল করুন
একটি অথবা দুইটি কলা নিন সেটি দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পুরো ফেসে এপ্লাই করুন। তারপর ৩০ মিনিট রেখে সেটি ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনি আপনার ত্বকের ইনস্ট্যান্ট গ্লোও পাবেন।
সারাদিন কাজ কামের এবং রোদের কালো ছাপ আপনার স্কিন থেকে নিমিষেই দূর হবে এবং স্কিন টানটান এবং উজ্জ্বল হবে । তাই বলি স্কিন কে উজ্জ্বল এবং ফর্সা করতে সপ্তায় তিন - চার দিন কলা ব্যবহার করবেন।
আলুর রস দিয়ে ত্বক করা যায়?
আলুর রস আপনার ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। আলুর রস ত্বকে ব্যবহার করলে ব্লিচিং এর মত কাজ করে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের ময়লা ও মরা কোষ দূর করে ।
আপনি হয়তো জানেন না যে শুধুমাত্র আলুর রস দেই আপনি আপনার স্কিনকে ভিতর থেকে সুন্দর এবং ফর্সা করে তুলতে পারেন। সপ্তায় তিন দিন আলুর রস ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের বিভিন্ন ধরনের কালচে দাগ, এলার্জির দাগ, ব্রণের দাগ কিংবা ব্রোন এবং হাইপারপিগমেন্টেশন দূর হবে।
আপনি নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন তাই না যে শুধুমাত্র আলুর রস দিয়ে এত সমস্যা দূর করা যায়? হ্যাঁ অবশ্যই করা যায় আলুর রস ত্বকে ব্লিচের মত কাজ করে ।আপনি যদি আলুর রসের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে এপ্লাই করেন তাহলে আপনি আরো ভালো ফলাফল পাবেন।
অ্যালোভেরা দিয়ে ত্বক উজ্জ্বল করুন
অ্যালোভেরা হাজারও গুণে ভরপুর একটি ভেষজ উপাদান। অ্যালোভেরার গুনাগুন বলে শেষ করা যাবে না । অ্যালোভেরা এক ধরনের প্রাকৃতিক ময়শ্চেরাইজার। এলোভেরা ত্বকের কালচে দাগ, মেছদা ,ব্রণ সবকিছু দূর করে। এলোভেরা স্কিনকে টানটান রাখে। বয়সের ছাপ দূর করে।
অ্যালোভেরা ত্বকের পাশাপাশি চুলের জন্য অনেক বেশি উপকারী । এলোভেরার ত্বকের যেকোন সমস্যা দূর করতে পারে ।নিয়মিত অ্যালোভেরা স্কিনে ব্যবহার করলে স্কিন মসৃণ থাকে। আপনার ত্বকে যদি কালচে দাগ কিংবা বয়সের ছাপ থেকে থাকে তাহলে আপনি নিয়মিত এলোভেরা ব্যবহার করবেন।
এলোভেরা যেকোন স্কিনের ব্যবহার করা যায় ।যাদের স্কিন অনেক বেশি তৈলাক্ত এবং ব্রণের সমস্যা তারা নিয়মিত ব্যবহার করতে পারবেন আবার যাদের স্কিন অনেক বেশী শুষ্ক তারাও মশ্চারাইজার হিসেবে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারবেন।
মুলতানি মাটি ব্যাবহার করে ত্বক ফর্সা করুন
মুলতানি মাটিতে বিদ্যমান পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম এবং আরো নানান উপাদান রয়েছে যা আপনার স্কিনকে ভেতর থেকে পরিষ্কার এবং মসৃণ করে তোলে।
মুলতানি মাটি, তৈলাক্ত স্কিনের জন্য সেরা। যাদের স্কিনে অনেক বেশি তৈলাক্ত এবং স্ক্রিনে ব্রণের সমস্যা হয় তারা নিয়মিত মুলতানি মাটি ব্যবহার করবেন এতে আপনার স্কিনের অতিরিক্ত তেল এবং ব্রণের সমস্যা দূর হবে।
শসা দিয়ে স্কিন ফর্সা করুন
শসা আপনার স্কিনে তোর এর মত কাজ করবে।স্কিনকে টানটান ও উজ্জ্বল করবে।শসাতে প্রচুর পরিমাণে আন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে এবং শসা স্কিনকে অনেক হাইড্রেট করে।ফলে স্কিন টানটান থাকে এবং কোনো টোনার ইউজ করতে হয় না।
শসা ত্বকের কালচে দাগ দূর করতে সাহায্য করে এবং স্কিনে বয়সের ছাপ দূর করে।এইজন্য সুন্দর টানটান স্কিন পেতে সপ্তায় ২-৩ বার অবশ্যই ত্বকে শসা ব্যাবহার করবেন।
শসা রস বের করে ত্বকে ম্যাসাজ করবেন।এতে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বক টানটান হবে। এভাবে আপনি বাসায় থাকা ঘরোয়া উপাদানের মাধ্যমে আপনার স্কিন কে ফর্সা এবং টানটান করতে পারবেন।
বাদাম খেলে ত্বক ফর্সা হয়?
নিয়মিত বাদাম খেলে ত্বক সতেজ থাকে ।বাদাম ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী ।বাদামে আছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা আপনার ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করবে এবং ত্বককে ভেতর থেকে ব্রাইট করবে।
তাই ত্বকের যত্নে নিয়মিত আধা কাপ বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
গাজর কিভাবে ত্বক ফর্সা করে?
গাজর আপনার ত্বককে উজ্জ্বল এবং ফর্সা করতে সাহায্য করবে ।গাজরে আছে বিটা ক্যারোটিন যা দেহে যাওয়ার পর ভিটামিন 'এ' তে পরিণত হয়। আর আপনারা তো নিশ্চয়ই জানেন যে ভিটামিন 'এ' ত্বকের জন্য কত বেশি উপকারী ।
এছাড়াও গাজরে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে ফলে ত্বক অনেক চকচকে এবং ব্রাইট দেখায়।তৈলাক্ত ত্বকের জন্য গাজর অনেক উপকারী।
নিয়মিত ত্বকে গাজর বেটে সেটি মিহি করে ত্বকে লাগালে আপনার ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর হবে এবং ত্বকের ব্রণ ও ব্রণজাতীয় বিভিন্ন দাগও দূর হবে।
ফাইবার যুক্ত খাবার খেলে ত্বক ফর্সা হয়?
আপনি যদি নিয়মিত ফাইবার যুক্ত খাবার গুলো খান তাহলে আপনার ত্বক এমনি ভেতর থেকে ফর্সা হবে।
ত্বককে ফর্সা করার জন্য বাজারের ক্ষতিকারক নাইট ক্রিম ব্যবহার করার কোন দরকার নেই।আপনি ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে আপনার ত্বকের ভিতর থেকে ফর্সা করতে পারবেন কোনো ক্ষতি ছাড়া।
মটরশুঁটি,বাদাম এবং নাশপাতি এগুলো হল ফাইবারযুক্ত খাবার ।এগুলো সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি আপনার ত্বককে ভেতর থেকে ব্রাইট করবে এবং ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করবে।
সবুজ শাকসবজি খেলে ব্রণ দূর হয়?
শাকসবজি সুস্বাস্থ্য গঠনের পাশাপাশি ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী।শাকসবজিতে ভিটামিন এ ,ভিটামিন বি,ভিটামিন কে, পটাশিয়াম এবং আরো হাজারো উপাদান রয়েছে।
যা শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে এবং ত্বককে সুন্দর রাখে ত্বককে ফর্সা করে ,ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। তাই নিয়মিত বেশি বেশি সবুজ শাকসবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন ।খাবারের পাশাপাশি সালাদ হিসেবে কিছু কাঁচা শাক সবজি রাখুন।
পেঁপে খেলে ত্বক ফর্সা হয়?
নিয়মিত সকালে উঠে পেঁপে খাবেন এতে আপনার তখন অনেক বেশি সুন্দর ফল এবং দাগহীন হবে। পেঁপেতে আছে ভিটামিন এ যা ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করে বিভিন্ন দাগ ব্রণজাতীয় দাগ কিংবা এলার্জির সমস্যা মেছটা।
ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে রয়েছে পেঁপে। বিজ্ঞানীরা বলেন পেঁপে কাঁচা এবং পাকা দুটি শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী ।পেপে খেলে আপনার ওজন কমবে ,হার্টের ঝুঁকি কমবে এবং পাশাপাশি আপনার ত্বককে সুন্দর রাখবে।
স্কিন ফর্সা করার উপায়
বাসায় ঘরোয়া পদ্ধতির পাশাপাশি আজ আমরা এমন কিছু প্রোডাক্ট নিয়ে কথা বলব যে প্রোডাক্টগুলো ইউজ করলে আপনার স্ক্রিন ভেতর থেকে কোন ক্ষতি ছাড়াই ফর্সা হবে।
তবে বলে রাখি এগুলো কিন্তু কোন বাজারের ক্ষতিকারক নাইট ক্রিম না ।এগুলো প্রোডাক্ট আপনার স্কিনকে সুন্দর রাখবে। আমি বলব না যে এই প্রোডাক্টগুলো আপনার স্কিন কি ৭-৮ দিনেই ফর্সা করে ফেলবে ।এমনটা কিন্তু নয়,এই প্রোডাক্টগুলো ইউজ করলে আপনি আপনার ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর হবে।
Cleanser ( ক্লিনযার)
স্কিনের যত্ন নেওয়ার প্রথম নিয়ম হলো স্কিনকে ভালোভাবে পরিষ্কার করা। স্কিনকে ভালোভাবে পরিষ্কার না করলে বাইরের ধুলোবালি, ময়লা স্কিনে জমে আপনার স্কিনে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিবে যেমন চুলকানি , রেস ,ব্রোনো ।
এইজন্য সবার আগে আপনার ত্বককে খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।ত্বক পরিষ্কার করার জন্য বিভিন্ন ধরনের নামি দামী ফেসওয়াশ ব্যাবহার করার কোন প্রয়োজন নেই। ফেসওয়াশ শুধু স্কিনের বাইরের অংশ কি পরিষ্কার করে।
আর ক্লিনজার আপনার ত্বকের ভেতরে জমে থাকা ময়লাগুলোকে দূর করে ক্লিনজার ব্যবহার করলে স্কিনের মরাকোষগুলো দূর হয় । তাই আজ থেকে ফেসওয়াশ কে না বলুন এবং ক্লিনজার ব্যবহার করুন ।ক্লিনজার ব্যবহার করলে আপনার ফেস এর ব্রণ দূর হবে পাশাপাশি ব্ল্যাকহেডস হোয়াইটহেডস দূর হবে।
তবে ক্লিনজার সপ্তায় দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করবেন এটি কিন্তু অতিরিক্ত ব্যবহার করা আপনার স্কিনের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ক্লিনজার অতিরিক্ত ব্যবহার করলে স্কিনের চামড়া পাতলা হয়ে যেতে পারে।
Soothing gel (সূথিং জেল)
ত্বকের জন্য সুথিং জেল খাদ্যের মতো ।আপনি আপনার ত্বকে যত বেশি সুঠিং জেল ব্যবহার করবেন আপনার ত্বক তত বেশি সুন্দর ব্রাইট এবং টানটান হবে।
ঠিক জেলের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। সথিন জেল ব্যবহার করলে ত্বক ব্রাইট হয়, টানটান হয়, রোদের পোড়াভাব দূর হয়,ড্রাইনেস উস্কো শুষ্ক ভাব দূর হয় এবং ত্বককে ময়েশ্চারাইজ এবং হাইড্রেট করে।
আগেও বলেছি যে সূথিং জেল খাদ্যের মতো। একটি মানুষ যেমন খাদ্য না খেলে তার শরীর কুঁচকে যায় ব্রাইটনেস চলে যায় এবং বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ দেখা দেয় ঠিক তেমনি সূথিং জেল ব্যবহার না করলে ত্বক শুষ্ক হতে পারে বা ত্বক কুঁচকে যেতে পারে এবং ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন ব্রণ ও কালছে দাগ দেখা দিতে পারে।
Toner (টোনার)
ত্বকের টোনার ব্যবহার করা অনেক বেশি জরুরী ত্বকে টোনার ব্যাবহার করলে ত্বক এর আদ্রতা বজায় থাকে এবং ত্বক টানটান থাকে। এমন কিছু টোনার আছে যেগুলো ব্যবহার করলে আপনার ত্বক ভিতর থেকে আস্তে আস্তে ব্রাইট হয়ে উঠবে।
আপনি যদি বিএমইতে টোলার ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বকে পিএইচ এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। বাজারের নাইট ক্রিম ব্যবহার না করে এসব প্রোডাক্ট ইউজ করেও আপনার স্কিনকে আপনি ভিতর থেকে ফর্সা করতে পারবেন।
এইগুলো স্কিনকে ভেতর থেকে ব্রাইট করার পাশাপাশি আপনার স্কিনের বিভিন্ন সমস্যা দূর করবে। যেমন ব্রণ ও কালছে দাগ বা অ্যালার্জি জাতীয় দাগ। স্কিনের সমস্ত সমস্যার দূর করবে এবং ভেতর থেকে একটি ব্রাইটনেস দিবে।
Moustorizer (মশ্চারাইজার)
আপনি নিশ্চয় জানেন মশ্চারাইজার প্রত্যেকটা ত্বকের জন্য কত বেশি উপকারী ।মশ্চেরাইজার ইউজ করলে আপনার ত্বক সতেজ থাকে। বিশেষ করে এই শীতকালে আপনার ত্বকে অবশ্যই ময়শ্চারাইজার লাগাবেন।
শীতকালের উষক শুষ্ক আবহাওয়াতে আপনার স্কিন কুচকে যেতে পারে অথবা ত্বক ফেটে যেতে পারে তাই নিয়মিত মশ্চারাইজার বেবহার করবেন।যাদের অনেক ড্রাই স্কিন তারা নিয়মিত দিনে দুই থেকে তিনবার মশ্চারাইজার লাগাবেন ।
তাহলে আপনার স্কিন এই শীতকালে ফাটবে না এবং সতেজ থাকবে।আর যাদের অয়েলি স্কিন তারাও মশ্চারাইজার লাগাবেন প্রত্যেকটা স্কিনের জন্য অনেক বেশি জরুরী।
মশ্চারাইজার লাগালে ব্রন জাতীয় সমস্যা দূর হয় দাগ দূর হয়, স্কিনকে ভিতর থেকে একটা ব্রাইটনেস দেয় এবং স্কিনেক সতেজ রাখে। তাই ত্বকের যত্ন নিতে স্কিনে মশ্চারাইজার অবশ্যই লাগাবেন।
১ মাসে ফর্সা হওয়ার ১০টি টিপস
টিপস - ৫
ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url