এসএসসিতে ভালো রেজাল্ট করার উপায় - A+ পাওয়ার রুটিন
এসএসসিতে ভালো রেজাল্ট করার উপায় খুঁজছেন? তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমরা আজকের এই পোস্টে এসএসসিতে ভালো রেজাল্ট করার উপায়,ssc তে golden a+ পাওয়ার উপায় এবং A+ পাওয়ার রুটিন গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আপনারা যারা এসএসসিতে অল্প করে ভালো রেজাল্ট করতে চাচ্ছেন, তারা এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহ করতে থাকুন। এবং প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস খাতায় নোট করে রাখুন।
আপনি কি একজন এসএসসি শিক্ষার্থী? পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে চাচ্ছেন? পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে চাইলে আপনাকে শুধু নিচের উপায় গুলো অনুসরণ করতে হবে। এবং আমরা যে টিপসগুলো দিব সেই টিপস গুলো অনুসরণ করে পড়াশোনা করতে হবে। ফলে আপনি সহজেই পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে এসএসসিতে ভালো ফলাফল অর্জন করা কঠিন কোন ব্যাপার না। আপনি যদি একটু চেষ্টা করেন এবং একটি পরিশ্রম করেন নিচের উপায় গুলো অনুসরণ করেন। তাহলে সহজেই অল্প পড়াশোনা করেও পরীক্ষাতে এ প্লাস অর্জন করতে পারবেন।এসএসসিতে ভালো রেজাল্ট করার উপায়, A+ পাওয়ার রুটিন এবং ssc তে golden a+ পাওয়ার উপায় জানতে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
পেজ সূচিপত্র
ভূমিকা
প্রশ্ন থাকে আমি কিভাবে পড়াশুনা করলে ssc তে golden a+ পাবো? একটি শিক্ষার্থীরই স্বপ্ন থাকে পরীক্ষাতে golden a+ পাওয়া। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের স্বপ্নপূরণের জন্য ssc তে golden a+ পাওয়ার উপায় গুলো শেয়ার করবো। আপনি যদি পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে শুধুমাত্র এই একটি পোস্ট পড়ার মাধ্যমে কিন্তু আপনি কখনোই পরীক্ষাতে এ প্লাস পেয়ে যাবেন না। তবে হ্যাঁ, আমরা যে উপায়গুলো বলব আপনি যদি সেই উপায় গুলো অনুসরণ করে পড়াশোনা করেন,
তাহলে আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি ssc তে golden a+ আসবেই। বর্তমান যুগে এ প্লাস পাওয়া কিন্তু বড় কঠিন কোন ব্যাপার না আপনি যদি একটু চেষ্টা করেন এবং নিচের উপায় গুলো অনুসরণ করে একটু পরিশ্রম করেন তাহলে আশা করছি আপনি খুব সহজেই ssc তে golden a+ পেয়ে যাবেন। এ প্লাস পেতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে কিছু টোটকা অনুসরণ করতে হবে। কারণ অনেকেই রয়েছে যারা সারাদিন গাধার মতো পরিশ্রম করে পড়াশোনা করে। কিন্তু পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারে না।
আরো পড়ুন: অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার টোটকা
এর কারণ হলো তারা সঠিক পদ্ধতিতে এবং সঠিক পথে পরিশ্রম করে না। আপনি যদি সঠিক পদ্ধতিতে এবং সঠিক পথে পরিশ্রম করেন তাহলে আপনি অবশ্যই সফল হবেন। লক্ষ্য করে দেখুন আপনি গত সপ্তাহে অথবা দুই তিন দিন আগে কি পড়েছিলেন সেটা এখন আপনার মনে আছে? না নেই তাই তো? এর কারণ হলো আমরা সঠিক পদ্ধতিতে পড়াশোনা করি না।পড়া কেনো অমর অভুলে কেন আমাদের মনে থাকে না এবং কিভাবে পড়াশোনা করলে দীর্ঘদিন আমাদের মনে থাকবে সাথে আমরা ভাল ফলাফল অর্জন করতে পারব আজকের এই পোস্টে আমরা সেসব বিষয়েই আলোচনা করব।নিচে দেখুন এসএসসিতে ভালো রেজাল্ট করার উপায়
এসএসসিতে ভালো রেজাল্ট করার উপায়
এসএসসিতে ভালো রেজাল্ট করার উপায় খুঁজছেন? আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন। যারা এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে চিন্তিত তাদের জন্য আমাদের আজকের এই পোস্টটি। আমরা আজকের এই পোস্টে এসএসসিতে ভালো রেজাল্ট করার উপায় নিয়ে আলোচনা করবো। ইতিমধ্যেই আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে এসএসসিতে ভালো ফলাফল অর্জন করা খুব বড় কোন কঠিন বিষয় নয়। আপনি যদি একটু চেষ্টা করেন তাহলে সহজেই এসএসসিতে ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন।এসএসসিতে ভালো রেজাল্ট করার উপায় জানতে নিচে দেখুন।
সকালে উঠতে হবে
শুধু এসএসসি পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্যই নয় বরং শরীরকে সুস্থ রাখতে চাইলেও আপনাকে নিয়মিত সকালে ওঠার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। আপনি যদি নিয়মিত সকালে ওঠেন, তাহলে একদিকে আপনি পড়াশোনার জন্য আরও একটা টাইম পেয়ে যাবেন। সাথে এই সময় আপনি চাইলে শরীরচর্চা অথবা ইয়োগা করতে পারেন। নিয়মিত সকালে উঠলে যেমন একদিকে আপনার পড়াশোনায় উন্নতি হবে আরেকদিকে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে। এই জন্য এখন থেকে নিয়মিত সকালে ওঠার অভ্যাস তৈরি করবেন।
প্রথম প্রথম সকালে উঠতে একটু কষ্ট হবে তবে ধীরে ধীরে এটি আপনার অভ্যাসের পরিণত হবে। এই জন্য নিয়মিত সকল ৫:৪০ মিনিটে আলার্ম সেট করে রাখবেন। তারপর ফ্রেশ হয়ে চা অথবা কফি খেয়ে পড়তে বসবেন। সকাল সময়টি পড়াশোনার জন্য সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সময়। সকালে পড়লে একদিকে যেমন পড়াশোনা দ্রুত হয় আরেক দিকে প্রতিটি পড়া সময় মতো সম্পন্ন হয়। এই জন্য এখন থেকে চেষ্টা করবেন নিয়মিত সকালে উঠে পড়াশোনা করার।
ডেইলি রুটিন
আপনি যদি পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফলাফল অর্জন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই একটি ডেইলি রুটিন তৈরি করতে হবে নিয়মিত সকালে উঠে সবার আগে একটি ডেইলি রুটিন তৈরি করবেন তারপর পড়াশোনা শুরু করবেন। রুটিন অনুযায়ী পড়াশোনা করলে একদিকে যেমন আপনার প্রতিটি পড়াশোনার মধ্যে সম্পন্ন হবে আরেকদিকে সেখান থেকে আপনি সময় বাঁচিয়ে পরিবারকে সময় দিতে পারবেন কিংবা সেই সময়টি বিশ্রাম নিতে পারবেন। এইজন্য এখন থেকে সকালে উঠে সবার আগে একটি ডেইলি রুটিন তৈরি করবেন।
এছাড়াও শুধু পড়াশোনার জন্যই নয়। সারাদিনে কি কি কাজ করবেন এবং কখন কখন করবেন সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে একটি ডেইলি রুটিন তৈরি করতে হবে এবং সেই রুটিন অনুসারে প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এভাবে রুটির অনুসারে পড়াশোনা করলে আপনার পড়াশোনায় দ্রুত পরিবর্তন লক্ষণ করতে পারবেন।
বোর্ড প্রশ্ন
আপনি কি অল্প পরে পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে চান? সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই বোর্ড প্রশ্ন পড়তে হবে। আমরা বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরাই এক্ষেত্রে যা ভুল করি তা হলো আমরা শুধুমাত্র বোর্ড বয় আর গাইড বই নিয়ে সবসময় ব্যস্ত থাকি। বোর্ড প্রশ্ন একবারও পরি না। যার কারণে পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারি না অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যারা সারাদিন গাধার মতো পরিশ্রম করে পড়াশোনা করে কিন্তু পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারে না এর কারণ হলো তারা সঠিক পদ্ধতিতে পড়াশোনা করে না।
এখন থেকে আপনি যা করবেন তা হলো সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিবেন ভোট প্রশ্নের ওপর অর্থাৎ আপনি যদি শুধুমাত্র বোর্ড প্রশ্ন করেন তাহলে এখান থেকে আপনার প্রায় 85 পার্সেন্ট পড়া কভার হয়ে যাবে। কারণ পরীক্ষাতে বেশীর ভাগ প্রশ্ন করে বোর্ড প্রশ্ন থেকে আসে এক্ষেত্রে আপনি চাইলে আপনার সুবিধার জন্য একটি প্রশ্ন ব্যাংক বই নিতে পারেন। প্রশ্নব্যাংক বইয়ে গত ১০ বছরের সমস্ত বোর্ডের প্রশ্নগুলো সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে দেওয়া রয়েছে।
এক্ষেত্রে আপনাকে খোঁজাখুঁজি করতে হবে না এবং সহজেই আপনি প্রতিটি বোর্ডের প্রশ্ন একসাথে পেয়ে যাবেন। এইজন্য এখন থেকে সবচেয়ে বেশি ভোট প্রশ্ন করবেন প্রথমে বোর্ড বইয়ের সম্পূর্ণ রিডিং করে নিবেন তারপর সেই অধ্যায়টি বোর্ড প্রশ্ন পড়া শুরু করবেন তারপর বোর্ডে আসার প্রতিটি বহু নির্বাচনী প্রশ্নগুলোকে খুটিয়ে মুখস্ত করবেন। আপনি যদি এভাবেই নিয়মিত ডেইলি রুটিন অনুসারে পড়াশোনা করেন তাহলে আশা করছি আপনার পড়াশুনাতে দ্রুত উন্নতি হবে এবং আপনি পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবেন।
পড়া শেষে লিখা
পড়া শেষে অবশ্যই সেটি না দেখে লিখার চেষ্টা করতে হবে। অনেকেই এই কাজটি করি না পড়া শেষে অন্য আরেকটি সাবজেক্ট বলা শুরু করি এতে আমরা আগে যা পড়েছি সেই সমস্ত তথ্য গুলো আমাদের ব্রেইন থেকে আউট হয়ে যায়। আমরা কালকে কি পড়েছি তা আমরা আজকে আর মনে করতে পারি না এই জন্য সবসময় চেষ্টা করবেন প্রত্যেকবার পড়া শেষে সেটি না দেখে খাতায় লেখার চেষ্টা করবেন এতে দীর্ঘদিন আপনার ব্রেনে থাকবে। এইজন্য এখন থেকে প্রত্যেকবার এভাবে পড়া শেষে খাতায় লিখে প্র্যাকটিস করবেন।
আমরা অনেকেই এই কাজটি করি না যার কারণে গত সপ্তাহে আমরা কি পড়েছি তা এখন আর মনে করতে পারি না এটা শুধু আমাদের সময় নষ্ট হয়। আবার পড়াশোনায় ক্ষতি হয়। শিক্ষার্থী আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন পড়া মনে না থাকার কারণগুলো। আপনি যদি এখন থেকে পড়া শেষে প্রত্যেকবার সেই পড়াটি না দেখে লিখার প্র্যাকটিস করেন তাহলে এটি দীর্ঘদিন আপনার ব্রেনে থাকবে এবং আপনি সহজে এটি ভুলবেন না।
গ্রুপ স্টাডি
আপনার কি গ্রুপ স্টাডি করতে খুব ভালো লাগে? আমরা অনেকেই গ্রুপ স্টাডি পছন্দ করি। গ্রুপ স্টাডি করলে একদিকে যেমন আমাদের প্রতিটি পড়া দ্রুত হয় আবার পড়াশোনা অনেক মজার হয়ে ওঠে। একা একা পড়াশোনা করতে কার ভালো লাগে? একা একা পড়াশোনা করলে কেমন একটা একঘেয়েমি সিচুয়েশন তৈরি হয়। এখন থেকে সবসময় চেষ্টা করবেন গ্রুপ স্টাডি করার। গ্রুপ স্টাডি করলে পড়া শেষে একে অপরকে পড়াটি ধরা যায় আবার পড়া দ্রুত হয়।
নোট তৈরি করা
আপনি লক্ষ্য করবেন আপনার ক্লাসের যে টপার রয়েছে তার অবশ্যই একটি পার্সোনাল নোট রয়েছে যে নোটে সে তার সমস্ত ইম্পরট্যান্ট পড়া গুলোকে নোট করে রাখে। যদি পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফলাফল করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই এমন একটি নোট তৈরি করতে হবে এবং একটি কারো সাথে কখনো শেয়ার করা যাবে না এটি সম্পূর্ণ আপনার পার্সোনাল নোট। অর্থাৎ আপনি যখন যে পড়াটি পড়বেন সেটি খাতায় অবশ্যই নোট করে রাখতে হবে।
আর হ্যাঁ অবশ্যই এই নোট খাতাটিকে অন্যান্য খাতা থেকে আলাদা রাখতে হবে যেন এটি ভবিষ্যতে কখনো হারিয়ে না যায়। আপনি যখন যা পড়বেন তখন সেখানে যেটি আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ অংশ মনে হবে সেটি খাতায় নোট করে রাখবেন। যেন পরীক্ষার আগে এই একটি নোট খাতার মাধ্যমে আপনি সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশকে ব্রেনে সেট করে নিতে পারেন। আপনি যদি এভাবে নোট তৈরি করেন তাহলে পরীক্ষার আগে আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো এখানে সেখানে খোঁজাখুঁজি করতে হবে না আপনার নোট খাতার মাধ্যমে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোকে আপনি পড়ে নিতে পারবেন।
সাজেশন অনুযায়ী পড়া
আপনি যদি পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সাজেশন অনুযায়ী পড়তে হবে কারণ অনেকে রয়েছে যারা সাজেশন ছাড়া গাধার মত সারাদিন পরিশ্রম করে কিন্তু ভালো ফলাফল অর্জন করা যায় না সাজেশন অনুযায়ী পড়লে একদিকে যেমন রাগ কমে যায় আরেক দিকে আপনি অল্প করে সেটি বারবার রিভিশন দেওয়ার মাধ্যমে আপনার এ প্লাস নিশ্চিত করতে পারেন। অর্থাৎ মনে করুন একটি সাবজেক্টে ১৫ টি অধ্যায় রয়েছে সেখানে পরীক্ষার দুই - তিন দিন আগে 15 টি সাবজেক্ট পড়ে সেটি বারবার রিভাইজ দেওয়া কিন্তু কোনভাবেই সম্ভব না।
এক্ষেত্রে আপনি যদি সাজেশন অনুযায়ী পড়েন এবং সাজেশন অনুযায়ী যেকোনো পাঁচটি অথবা ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় কে টার্গেট করে বারবার পড়তে থাকেন এবং রিভাইজ দিতে থাকেন এক্ষেত্রে কিন্তু আপনার একদিকে যেমন ফলাফল ভালো হবে। অন্যদিকে আপনি অল্প পরে পরীক্ষাতে A+ অর্জন করতে পারবেন। এখন আপনার মনে অবশ্যই প্রশ্ন আসবে যে আমি সাজেশন কোথায় পাবো আপনি যদি সাজেশন পেতে চান সে ক্ষেত্রে আমাদের ওয়েবসাইটে ঘুরে দেখুন। এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত প্রতিটি সাবজেক্টের সাজেশন দিয়ে থাকি। এবং আপনি যদি এই সাজেশন গুলো মনোযোগসহ প্রতিটি অংশ খুটিয়ে পড়েন তাহলে আপনার A+ নিশ্চিত।
তাড়াতাড়ি ঘুমানো
ভালো ফলাফল অর্জন করতে চাইলে অবশ্যই আমাদের স্মৃতিসক্তির খেয়াল রাখতে হবে। বর্তমান সময়ে আমরা অকালেই দুর্বল স্মৃতিশক্তি স্বীকার হচ্ছি। এর পিছে অন্যতম একটি কারণ হলো গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকা। গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকলে একদিকে যেমন আমাদের চোখের ক্ষতি হয় অকালে আমরা ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তি স্বীকার হই আরেক দিকে আমাদের ব্রেনের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে ফলে আমাদের স্মৃতিশক্তি দিন দিন দুর্বল হতে থাকে এতে আমরা ২-৩ দিন আগে কি পড়েছি তা এখন আর মনে করতে পারি না।
এইজন্য এখন থেকে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর চেষ্টা করবেন যেমন রাত দশটা থেকে এগারোটার মধ্যে চেষ্টা করবেন ঘুমিয়ে পড়ার। আবার অনেকেই রয়েছে গভীর রাত পর্যন্ত পড়াশোনা করে। গভীর রাত পর্যন্ত পড়াশোনা করলে একদিকে যেমন পড়াশোনা ভালো হয় না আরেকদিকে পড়াশোনা ঠিকভাবে মনে থাকে না। এইজন্য এখন থেকে চেষ্টা করবেন রাত 9 টার মধ্যে পড়াশোনা শেষ করে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ার তারপর সকালে উঠে পড়তে বসবেন।
রোজকার পড়া রোজ শেষ করা
রোজগার করা রোজ শেষ করতে হবে আমরা অনেকেই রয়েছি যারা আজকের পড়া কালকে পড়ি, কালকের পড়া অন্য আর একদিন পড়ি। এভাবে পড়লে পড়াশুনা কখনোই উন্নতি হবে না বরং আরো দিন দিন পড়াশোনা ক্ষতি হতে থাকবে এই জন্য চেষ্টা করবেন রোজগার করার রোজ শেষ করার প্রথমত সকালে উঠবেন তারপর সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে চা অথবা কফি খেয়ে একটি ডেইলি রুটিন তৈরি করবেন তারপর সেই রুটিন অনুসারে প্রতিটি পড়া সম্পন্ন করবেন।
রোজকার পড়া রোজ শেষ করতে হবে। আপনি যদি নিয়মিত একটি ডেইলি রুটিন তৈরি করে পড়া শুরু করেন তাহলে রোজকার করার রোজ সময়মতো সম্পন্ন হবে এজন্য সবার আগে সকালে উঠে একটি ডেইলি রুটিন তৈরি করতে হবে। আমরা আজকের এই পোস্টে আপনাদের সুবিধার্থে এসএসসিতে ভালো রেজাল্ট করার উপায় গুলো শেয়ার করলাম। আপনি যদি উপরের এই উপায় অনুসরণ করে নিয়মিত পড়াশোনা করেন এবং রোজকার পড়ার রোজ শেষ করেন। তাহলে আশা করছি আপনার পড়াশোনায় দ্রুত উন্নতি হবে।
প্রিয় শিক্ষার্থী আশা করছি উপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন এসএসসিতে ভালো রেজাল্ট করার উপায় কি। আপনি যদি এসএসসিতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে চান সে ক্ষেত্রে উপরের এই উপায় গুলো অনুসরণ করবেন। আপনি যদি ভালো ফলাফল অর্জন করতে চান সেক্ষেত্রে প্রথমেই বলি আপনাকে সকালে ওঠার অভ্যাস তৈরি করতে হবে তারপর সকালে উঠে ডেলি রুটিন তৈরি করতে হবে এবং সেই অনুসারে পড়াশোনা করতে হবে প্রতিটি পড়ার সময় মত সম্পন্ন করতে হবে। এবার চলুন আমরা জেনে আসি A+ পাওয়ার রুটিন সম্পর্কে।
A+ পাওয়ার রুটিন
A+ পাওয়ার রুটিন খুঁজছেন? তাহলে আপনি একদম ঠিক জায়গাতে এসেছেন ওপরে আমরা এতক্ষণ আলোচনা করলাম এসএসসিতে ভালো রেজাল্ট করার উপায় গুলো। এবার আমরা আলোচনা করব A+ পাওয়ার রুটিন সম্পর্কে। বর্তমান যুগে এসএসসিতে এ প্লাস পাওয়া কিন্তু খুব বড় কঠিন কোন ব্যাপার নয় আপনি যদি একটু চেষ্টা করেন এবং আমাদের দেওয়া উপরের এই উপায় গুলো অনুসরণ করেন তাহলে আপনি সহজে এসএসসি পরীক্ষাতে ভালো রেজাল্ট অর্জন করতে পারবেন।
সাথে এসএসসিতে ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্য আপনাকে একটি রুটিন তৈরি করতে হবে এবং সে রুটিন অনুসারে পড়াশোনা কমপ্লিট করতে হবে। আমরা বেশিরভাগ স্টুডেন্টরা এই ভুলটি করি। কোন প্রকার রুটিন ছাড়াই পড়াশোনা করি যার ফলে পড়াশোনা সময় মত সম্পন্ন হয় না আজকের পড়া কালকে পড়ি আবার কালকের পড়া অন্য আরেক দিন পড়ি। এভাবে একদিকে যেমন আমাদের পড়াশোনায় ক্ষতি হতে থাকে আরেক দিকে আমাদের পরীক্ষায় ফলাফলও ভালো হয় না।
আপনি যদি পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফলাফল অর্জন করতে চান এবং একটি আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে কি রুটিন তৈরি করতে হবে অনুসারে চললে প্রতিটি কাজ সঠিক সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হয়। শুধু এ প্লাস পাওয়ার জন্য নয় আমাদের সঠিক জীবনযাপনের জন্য নিয়মিত একটি ডেইলি রুটিন তৈরি করার জরুরী। নিয়মিত ডেইলি রুটিন তৈরি করলে এবং সেই রুটিন অনুসারে পড়াশোনা করলে আপনার প্রতিটি পড়া সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হবে। নিচে দেখুন A+ পাওয়ার রুটিন
- ৫.৪০ - ৬.০০ এর মধ্যে ফ্রেশ হয়ে চা অথবা কফি খেয়ে নিতে হবে
- ৬.০০ থেকে ৮.২০ পর্যন্ত পড়াশোনা
- ৮.২০থেকে ৮.৪৫ এর মধ্যে স্কুল এর জন্য তৈরি হওয়া
- ৮.৪৫ - ৯.০০ এর মধ্যে স্কুল এ পৌঁছানো
- ৯.০০ - ৪ .০০ পর্যন্ত স্কুল এ পড়াশোনা
- ৪.৩০ এর মধ্যে বাসায় পৌঁছানো
- ৪.৩০ - ৫.০০ এর মধ্যে ফ্রেশ হওয়া গোসল করা
- ৫.০০ - ৫.৩০ এর মধ্যে খাওয়া দাওয়া করা
- ৫.৩০ - ৬.০০ পর্যন্ত বাইরে শরীরচর্চা অথবা হাঁটাচলা
- ৬.৩০ - ৯.৩০পর্যন্ত পড়াশোনা
- ৯.৩০ - ১০.০০ পর্যন্ত রাতের খাবার
- ১০.০০ - ১২.২০ পর্যন্ত পড়াশোনা
পরীক্ষাতে A+ অর্জন করতে চাইলে নিয়মিত সকাল ৫:৪০ মিনিটে ওঠার অভ্যাস তৈরি করতে হবে প্রথম প্রথম সকালে উঠে একটি কষ্টকর মনে হল আপনি যদি নিয়মিত সকাল ৫:৪০ মিনিটে উঠার অভ্যাস তৈরি করেন তাহলে ধীরে ধীরে এটি আপনার অভ্যাসে পরিণত হতে থাকবে। তারপর 5: 40 থেকে ছয়টার মধ্যে ফ্রেশ হয়ে যা অথবা কফি খেয়ে ৮:২০ কিন্তু পড়াশোনা করতে হবে। আজকের স্কুলে কি কি পড়া রয়েছে সে সমস্ত বিষয়ে দেখে নিতে হবে এবং রাতে কি কি পড়েছিলেন সেই সমস্ত বিষয়গুলো আরো একবার রিভাইজ দিতে হবে।
আরো পড়ুন: দিনে ১০ ঘন্টা নিয়মিত পড়ার রুটিন দেখে নাও
তারপর ৮ টা ২০ থেকে ৮:৪৫ এর মধ্যে সকালের নাস্তা খেয়ে স্কুলের জন্য তৈরি হতে হবে তারপর প্রয়োজনীয় বইপত্র ব্যাগে গুছিয়ে নিতে হবে তারপর ৯:০০ এর মধ্যে স্কুলে পৌঁছাতে হবে। তারপর ৯ টা থেকে ৪:০০ পর্যন্ত স্কুলে পড়াশোনা করতে হবে। তারপর স্কুল ৪:০০ ছুটি হলে ৪:৩০ মধ্যে বাসায় পৌঁছাতে হবে। স্কুল ছুটি হওয়ার পর এখানে সেখানে একদম টাইম নষ্ট করা যাবে না। যত দ্রুত সম্ভব বাসায় ফিরতে হবে। তারপর ৪:৩০ থেকে ৫ টা এর মধ্যে গোসল সেরে নিতে হবে।
তারপর পাঁচটা থেকে পাঁচটা তিরিশের মধ্যে খাওয়া-দাওয়া করতে হবে তারপর ৩০ মিনিট বাইরে শরীরচর্চা অথবা হাঁটাচলা করতে হবে। নিয়মিত হাটাহাটি করা অথবা শরীরচর্চা করা খুবই জরুরী এতে একদিকে আমাদের মাইন্ড ফ্রেশ থাকবে আরেকদিকে আমাদের শরীরও সুস্থ থাকবে। তারপর ৬ঃ০০ এর মধ্যে বাসায় ফিরতে হবে। ৬:৩০ এর মধ্যে বাসায় ফিরে ফ্রেস হয়ে পড়াশোনা শুরু করতে হবে। ৬:৩০ থেকে ৯:৩০ পর্যন্ত একটানা পড়াশোনা করতে হবে।
স্কুলে এবং কোচিং অথবা প্রাইভেটে কি কি পড়া দিয়েছে সেই সমস্ত পড়া কমপ্লিট করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি চাইলে আরো একটি রুটিন তৈরি করতে পারেন অর্থাৎ আপনি কোন সময়ে কতগুলো অধ্যায় অথবা কোন পড়া কমপ্লিট করবেন সে সব বিষয়ে আরো একটি তৈরি করলে প্রত্যেকটি পড়া সময় মত সম্পন্ন হবে। তারপর ৯ টা ৩০ পর্যন্ত পড়াশোনা করার পর ৯:৩০ থেকে দশটার মধ্যে রাতের খাবার কমপ্লিট করতে হবে। তারপর আবার ১০:০০ থেকে ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে।
আপনি যদি উপরের এই রুটিন অনুযায়ী পড়াশুনা করেন তাহলে আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিচ্ছি পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল হবেই। একজন ভালো স্টুডেন্ট সবসময় তার রুটিন অনুযায়ী পড়াশোনা করে এভাবে রুটিন অনুযায়ী পড়াশোনা করলে প্রতিটি পড়ার সময় মত সম্পন্ন হয় আরো একদিকে সেখান থেকে আপনি চাইলে সময় বাঁচিয়ে পরিবারের সময় দিতে পারেন কিংবা বিশ্রাম করতে পারেন। প্রিয় শিক্ষার্থী আশা করছি ওপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন A+ পাওয়ার রুটিন সম্পর্কে।এবার চলুন আমরা জেনে আসি ssc তে golden a+ পাওয়ার উপায় গুলো।
ssc তে golden a+ পাওয়ার উপায়
ইতিমধ্যেই আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন A+ পাওয়ার রুটিন সম্পর্কে। এবার আমরা আলোচনা করব ssc তে golden a+ পাওয়ার উপায় নিয়ে। আমাদের প্রত্যেকেরই স্বপ্ন থাকে ssc তে golden a+ পাওয়ার তবে আমরা সঠিক পথে সঠিক পদ্ধতিতে পড়াশোনা করি না যার কারণে আমরা পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারি না তবে প্রিয় শিক্ষার্থী চিন্তার কোন বিষয় নেই আজকের এই পোস্টে আমরা ssc তে golden a+ পাওয়ার উপায় নিয়ে এইতো আলোচনা করব। আপনি যদি এই উপায় গুলো অনুসরণ করেন তাহলে আপনি অবশ্যই পরীক্ষাতে golden a+ অর্জন করতে পারবেন।
ssc তে golden a+ পাওয়ার জন্য তাকে বেশি কিছু করতে হবে না শুধু এই উপায় গুলো অনুসরণ করতে হবে এবং A+ পাওয়ার রুটিন অনুসারে ডেইলি পড়াশোনা করতে হবে। আপনি যদি পরীক্ষাতে অল্প করে ভালো ফলাফল অর্জন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই একটি রুটিন তৈরি করতে হবে এবং সেই রুটিন অনুসারী পড়াশোনা করতে হবে। আমরা যখন রুটি অনুসারে পড়াশোনা করি কিংবা কোন কাজ করি তখন আমাদের প্রত্যেকটি পড়া এবং কাজ সময় মত সম্পন্ন হয়।
ssc তে golden a+ পাওয়ার সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ একটি উপায় হল বোর্ড প্রশ্ন পড়া। পরীক্ষাতে প্রায় ৮০% প্রশ্ন করে বোর্ড প্রশ্ন থেকে করা হয় কিন্তু আমরা অনেকেই এই বোর্ড প্রশ্ন করি না যার কারণে পরীক্ষাতে প্রশ্ন কমন পাই না এবং পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারি না। বেশিরভাগ স্টুডেন্টরাই যেই ভুলটি করি তা হলো আমরা শুধুমাত্র বোর্ড বই আর গাইড বই পড়ি কিন্তু বোর্ড প্রশ্নগুলো কেউ পড়ি না। সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বোর্ড প্রশ্ন পরীক্ষাতে প্রায়ই প্রত্যেকটি প্রশ্নেই বোর্ড প্রশ্ন থেকে আসে।
আমাদেরকে সবচেয়ে বেশি বোর্ড প্রশ্নের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। আপনি যদি শুধুমাত্র বোর্ড প্রশ্ন করেন তাহলে এখান থেকে আপনার প্রায় ৮৫% পড়া কভার হয়ে যাবে। তবে স্কুল অথবা কলেজের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি আলাদা হলেও বোর্ডের ক্ষেত্রে কিন্তু প্রতিটি প্রশ্ন বোর্ড প্রশ্ন থেকে আসে এইজন্য আপনারা যখন বোর্ড এক্সাম দিবেন। তখন সবচেয়ে বেশি বোর্ড প্রশ্ন এর দিকে মনোযোগ দিবেন। তাহলেই আপনি অল্প পরে পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি যদি পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে চান। তাহলে আমাদের এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন। আমরা আজকের এই পোস্টে পরীক্ষা দিয়ে কিভাবে ভাল ফলাফল অর্জন করা যায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি এসএসসিতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে কি করতে হবে? প্রথমে সকালে ওঠার অভ্যাস তৈরি করতে হবে তারপর সকালে উঠে একটু ডেইলি রুটিন তৈরি করতে হবে তারপর রুটির অনুযায়ী পড়াশোনা শুরু করতে হবে। আর হ্যাঁ অবশ্যই সাজেশন অনুযায়ী পড়তে হবে।
লেখকের কিছু প্রশ্ন
প্রিয় পাঠক আমরা আজকের এই পোস্টে এসএসসিতে ভালো রেজাল্ট করার উপায়, A+ পাওয়ার রুটিন এবং ssc তে golden a+ পাওয়ার উপায় গুলো তোর কি বিস্তারিত আলোচনা করলাম আপনারা যারা এসএসসি পরীক্ষা দিবেন তাদের জন্য আমাদের আজকের এই পোস্টটি। তোমার সময়ে এসএসসি পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করা বিশেষ কঠিন কোন ব্যাপার না। আপনি যদি উপরের উপায় গুলো অনুসরণ করেন তাহলে কিন্তু সহজেই পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবেন।
পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্য আরও একটি বিশেষ উপায় হল আপনাকে সাজেশন অনুযায়ী পড়তে হবে। সাজেশন অনুযায়ী পড়লে একদিকে যেমন পড়া কম হয়। আরেক দিকে অল্প পরে বারবার রিভাইজ দেওয়ার মাধ্যমে এ প্লাস নিশ্চিত করা যায়। আপনি যদি ভালো সাজেশন পেতে চান তাহলে এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন। আমরা এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত সাজেশন দিয়ে থাকি। আশা করছি ওপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন এসএসসিতে ভালো রেজাল্ট করার উপায় গুলো কি কি।
ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url