পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার টোটকা - অল্প পড়ে A+
পেজ সূচিপত্র
ভূমিকা
এইজন্য পড়াশোনা করা খুবই জরুরী। আর পড়াশোনা চেয়ে পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল দর্শন করা আরও বেশি জরুরী বর্তমান সময়ে কে কেমন স্টুডেন্ট এসব দেখেনা কার রেজাল্ট কেমন সেই জিপিএ ৫ পেয়েছে কিনা এটাই সবাই লক্ষ্য করে এজন্য আমাদের প্রত্যেকের লক্ষ্য থাকে জিপিএ ফাইভ এর উপর। বর্তমান সমাজে পড়াশোনা করে সত্যিকারের অর্থে মানুষ হয়ে ওঠার চেয়ে পরীক্ষাতে জিপিএ ফাইভ পাওয়া যায় যেন বেশি মূল্যবান হয়ে উঠেছে।
আরো পড়ুন: দিনে 10 ঘন্টা পড়ার রুটিন দেখে নিন
পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার টোটকা
গ্রুপ স্টাডি করতে হবে
পড়া শেষে প্রাকটিস
এই জন্য প্রত্যেকবার যে কোন পড়া পড়ার পর সেটি প্র্যাকটিস করবেন খাতায় লিখে বারবার প্র্যাকটিস করবেন যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি পুরো কমপ্লিট মুখস্ত করে না দেখে খাতায় লিখতে পারছেন ততক্ষণ পর্যন্ত পড়াটি পড়তে থাকবেন। ক্ষেত্রে সময় একটু বেশি লাগলেও এই উপায়টি সবচেয়ে বেশি কার্যকারী। তোমায় দেখা যায় আমরা এক সপ্তাহ অথবা দুই সপ্তাহ আগে কি পড়েছি কোন ছন্দ মুখস্ত করেছি সেটাই আর মনে থাকে না এর কারণ হলো আমরা প্র্যাকটিস করি না।
এক দুইবার পড়ার পর আমরা মনে করি এটা আমাদের মুখস্ত হয়ে গেছে এবং এটি আমরা পারবো এটি মনে করি আমরা আরেকটি সাবজেক্ট পড়তে শুরু করি। এটি আমাদের সবচেয়ে বড় ভুল এভাবে পড়লে কিন্তু আপনি কখনোই পড়াশোনায় উন্নতি করতে পারবেন না এভাবে আপনি একটি সাবজেক্ট পড়লেন আপনার মনে হল আপনার মুখস্ত হয়ে গেছে তারপর আরো একটি সাবজেক্ট পড়লেন আরো একটু সাবজেক্ট পড়তে পড়তে ততক্ষণে পড়াগুলো আপনার ব্রেন থেকে আউট হয়ে যাবে।
এতে আপনার শুধু সময় নষ্ট হবে। এই জন্য যেকোনো পড়া শেষে সেটি খাতায় সম্পূর্ণ মুখস্থ করে না দেখে লেখার চেষ্টা করবেন। এতে পড়াটি আপনার দীর্ঘদিন ব্রেনে সংরক্ষণ থাকবে।
ভুল থেকে শিক্ষা অর্জন
প্রথম প্রথম প্রত্যেকেই কাজে ভুল করে তবে ধীরে ধীরে সে ভুলটি সংশোধন করে ভুল থেকে শিক্ষা অর্জন করে সফলতাকে অর্জন করতে হয়। তাহলেই তো আপনি জিতবেন তাই না? কথায় আছে না, হেরে যাওয়াই সফলতার চাবিকাঠি। আপনি যদি হেরে না যান তাহলে আপনি কখনোই সফল হতে পারবেন না। আর প্রথমবারে কেউ কখনোই সফলতা অর্জন করতে পারে না সফলতা অর্জন করার জন্য বারবার হেরে যেতে হবে এবং হেরে যেয়ে হার মানা যাবে না সবসময় নিজের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে এবং ভুল থেকে শিক্ষা অর্জন করে সফলতাকে ছিনিয়ে আনতে হবে।
ডায়েরি লেখা
ডেইলি ডায়েরি লিখতে হবে অর্থাৎ আপনি আজকে সারাদিনে কি কি কাজ করলেন কোথায় গিয়েছিলেন আপনার সাথে কি নতুন ঘটনা ঘটেছে কার সাথে পরিচয় হয়েছে কি হয়েছে না হয়েছে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে ডেইলি ডায়েরি লিখবেন। ডেইলি ডায়রি লিখলে আমাদের স্মৃতিশক্তি উন্নত হয় এটি কিন্তু আমাদের স্মৃতিশক্তি বিকাশ খুবই কার্যকরী এর জন্য নিয়মিত ডেইলি ডাইরি লিখার অভ্যাস তৈরি করুন আপনি লক্ষ্য করবেন সফল ব্যক্তিরা নিয়মিত তাদের দৈনিক ডায়েরি লিখে।এটা আপনার কাছে বোকামি মনে হতে পারে তবে এটি কিন্তু আপনার মাইন্ডকে শার্প করে। অর্থাৎ আপনার স্মৃতিশক্তিকে আরো উন্নত করে। বর্তমান সময় আমাদের স্মৃতিশক্তিকে তো খুবই দুর্বল আমরা কালকে অথবা দুই তিন দিন আগে কি পড়া পড়েছি সেটি আজকে আর মনে করতে পারি না এর কারণ হলো আমাদের স্মৃতিশক্তি দুর্বল। তাই স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে নিয়মিত ডায়েরি লেখার অভ্যাস তৈরি করুন।
বোর্ড প্রশ্ন
অল্প করে ভালো রেজাল্ট করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কার্যকারী একটি টেকনিক হল বোর্ড প্রশ্ন পড়া। প্রিয় শিক্ষার্থী আপনি যদি পরীক্ষাতে অল্প পরেই ভালো রেজাল্ট করতে চান এ প্লাস পেতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রচুর ভোট প্রশ্ন করতে হবে প্রত্যেকটি বোর্ড প্রশ্নকে খুটিয়ে পড়তে হবে একটিও বাদ দেওয়া যাবে না তাহলে আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিচ্ছি আপনি পরীক্ষাতে ১০০ পার্সেন্ট নিশ্চয়তার সাথে এ প্লাস অর্জন করতে পারবেন। পরীক্ষাতে এ প্লাস পাওয়া কিন্তু বড়সড়ো কঠিন কোন ব্যাপার নয়।আপনি যদি একটু পরিশ্রম করেন একটু মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করেন তাহলে আপনি সহজে পরীক্ষা এ প্লাস পেয়ে যাবেন। তবে আমরা বেশিরভাগ স্টুডেন্টরাই যে ভুল করি তা হল আমরা বোর্ড বই গাইড বই নিয়ে ব্যস্ত থাকি বোর্ড প্রশ্নের কথা কখনো ভেবেও দেখি না। যার কারণে সারা জীবন এতো পড়াশোনা করার পরেও আমাদের পরীক্ষাতে এ প্লাস পাশে আসেনা। যেন এখন থেকে আপনাকে যা করতে হবে তা হলো সবচেয়ে বেশি মনোযোগ বোর্ড প্রশ্ন দিতে হবে।
আপনি চাইলে গত 10 বছরের সমস্ত বোর্ড প্রশ্নের জন্য আলাদা একটি প্রশ্নব্যাংক বই কিনে নিতে পারেন প্রশ্নব্যাংক বইয়ের ১০ বছরের সমস্ত প্রশ্নগুলো দেওয়া রয়েছে আপনি যদি পরীক্ষার আগে পাঁচ থেকে ছয় মাস প্রশ্নব্যাংক বই খুঁটি এসব কিছু পড়েন তাহলে ১০০% নিশ্চয়তার সাথে আপনি এ প্লাস পাবেন শুধুমাত্র এই প্রশ্ন ব্যাংক ওই পড়েই আপনার ৮০ পার্সেন্ট পড়া কভার হয়ে যাবে। এই যেন এখন থেকে সবচেয়ে বেশি ভোট প্রশ্ন করবেন এছাড়াও গাইড বইয়ের পেছনের অংশতে বোর্ড প্রশ্ন দেওয়া থাকে। আপনি চাইলে সেখান থেকেও পড়তে পারেন। বোর্ড প্রশ্নের পাশাপাশি বোর্ড বহুনির্বাচনের প্রশ্ন গুলোও দেওয়া থাকে।
বুঝে বুঝে পড়তে হবে
সব সময় চেষ্টা করবেন বুঝে বুঝে পড়ার বুঝে বুঝে পড়লে পড়াটি খুব দ্রুত শেষ হয় আবার সেটি দীর্ঘদিন আমাদের ব্রেইনের সংরক্ষণ থাকে আর আপনি যদি গাধার মতো মুখস্ত করেন তাহলে কিন্তু আপনি কখনোই পড়াশোনা উন্নতি করতে পারবেন না এটি দ্রুত আপনার ব্রেন থেকে আউট হয়ে যাবে এবং পরীক্ষাতে আপনার ফলাফল ভালো হবে না এই জন্য এখন থেকেই বুঝে বুঝে পড়া শুরু করুন। সাবজেক্ট বাংলা হোক আর ইংরেজি আপনি যদি একটু বুঝে বুঝে পড়েন তাহলে আপনি লক্ষ্য করবেন পড়াটি একদিকে যেমন আপনার দ্রুত শেষ হবে আর একদিকে এটি দীর্ঘদিন যাবত আপনার ব্রেইনে সংরক্ষণ থাকবে।খাতায় নোট করতে হবে
প্রত্যেকবার পড়া শেষে আপনি কি পড়লেন এবং কোন কোন অংশগুলো ইম্পর্টেন্ট সে বিষয়গুলো খাতায় নোট করে রাখবেন এতে পরীক্ষার আগে সেই নোট খাতাটি একবার চোখ বুলিয়ে নিলে আপনাকে আর এক্সট্রা করে ইম্পরট্যান্ট প্রশ্ন এখানে সেখানে খুঁজে বেড়াতে হবে না। আপনি লক্ষ্য করবেন আপনার এমন একটি নোট খাতা রয়েছে যেখানে সে তার সমস্ত ইম্পরট্যান্ট প্রশ্ন উত্তর গুলোকে নোট করে রেখেছে। কিন্তু তার এই নোট খাতা কি কারো সাথে কখনোই শেয়ার করবে না।এইজন্য আপনিও যদি তার মত একজন ক্লাস টপার হতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে নোট খাতা তৈরি করতে হবে।আপনি যখনই যে সাবজেক্ট যে অধ্যায়টি পড়বেন সেই অধ্যায়ের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে খুঁটিনাটি আপনার নোট খাতায় নোট করে রাখতে হবে এবং এই খাতাটি আলাদা রাখতে হবে যেন যেকোনো সময় কোন প্রকার খুজা খুজি ছাড়াই আপনি হাতে পেয়ে যান। আর নোট খাতা থেকে অবশ্যই যত্ন করে রাখতে হবে যেন পরীক্ষার আগে পর্যন্ত আপনি খাতাটি ব্যবহার করতে পারেন। এইজন্য প্রত্যেকবার পড়ার পরে খাতায় ইম্পরট্যান্ট প্রশ্ন উত্তর গুলো নোট করে রাখতে হবে।
মডেল টেস্ট
অল্প করে পরীক্ষাতে ভালো ফল ফল অর্জন করতে চাইলে বোর্ড প্রশ্নের পাশাপাশি মডেল টেস্ট করতে হবে আমরা বেশিরভাগ স্টুডেন্টরাই এই ভুলটা করি মডেল টেস্ট বোর্ড প্রশ্ন এই সমস্ত কিছু বাদ দিয়ে শুধুমাত্র বোর্ড বই আর গাইড বই পড়তে থাকি। তো আমার মতে আপনার উচিত বোর্ড বই আর গাইড বই বাদ দিয়ে বেশি বেশি মডেল টেস্ট আর বোর্ড প্রশ্ন করতে হবে কারণ আপনি যদি শুধুমাত্র মডেল টেস্ট আর বোর্ড বই পড়েন তাহলেই আমি পরীক্ষাতে প্রায় ৮০% প্রশ্ন কমন পেয়ে যাবেন।আর বাদবাকি প্রশ্ন কমন পাওয়ার জন্য হালকা ভাবে বোর্ড বই ও গাইড বই দেখে নিলেন। কিন্তু সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব আমাদেরকে মডেল টেস্ট আর বোর্ড বই এর উপরেই দিতে হবে। এজন্য আপনাকে একটি প্রশ্ন ব্যাংক বই ও মডেল টেস্ট কিনে নিতে হবে। তবে লক্ষ্য করবেন গাইডে প্রত্যেকটি অধ্যায়ের শেষে এক পেজে মডেল টেস্ট দেওয়া থাকে সেখানে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও সৃজনশীল প্রশ্ন দাদা থাকে আর গাইড বইয়ের একদম শেষে সমস্ত অধ্যায়ের বোর্ড প্রশ্নগুলো একসাথে দেওয়া থাকে।
আরো পড়ুন: প্রতিদিন 300-400 টাকা ইনকাম করার উপায় দেখে নিন
সেখানে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও সৃজনশীল প্রশ্ন সবকিছুই রয়েছে। তবে সবচেয়ে ভালো হবে, আপনি যদি একটি প্রশ্ন ব্যাংক বই কিনে নেন। কারণ প্রশ্নব্যাংক বইয়ে গত 10 বছরের সমস্ত বোর্ড প্রশ্ন গুলো দেওয়া থাকে। এক্ষেত্রে আপনি সাজিয়ে গুছিয়ে একসাথে গত 10 বছরের সমস্ত প্রশ্নগুলো পেয়ে যাচ্ছেন আপনাকে আর এক্সট্রা করে কোথাও খোঁজাখুঁজি করে সময় নষ্ট করতে হবে না।
ডেইলি রুটিন তৈরি করতে হবে
আপনি যদি পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে চান এবং একটি আদর্শ সুশিক্ষিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে একটি ডেইলি রুটিন তৈরি করতে হবে কারন রুটিন অনুযায়ী পড়াশোনা করলে দ্রুত পড়াশোনা শেষ হয় আবার সেখান থেকে আমরা একটু টাইম বাঁচিয়ে আমাদের পরিবারকে সময় দিতে পারি এই জন্য সবসময় একটু ডেইলি রুটিন তৈরি করবেন শুধু পড়াশোনার ক্ষেত্রেই নয় আপনি সারাদিনে কি কি কাজ করেন না করেন এসব বিষয়ে একটি ডেইলি রুটিন তৈরি করবেন।এতে সমস্ত কাজ সময়মতো সম্পন্ন হবে এবং আপনি সেখান থেকে সময় বাঁচিয়ে আর অন্য কাজে নিজেকে নিযুক্ত করতে পারবেন এই জন্য ডেইলি রুটিন তৈরি করা খুবই জরুরী। বিশেষ করে পরীক্ষার এক মাস আগে থেকে আপনাকে অবশ্যই ডেইলি রুটিন তৈরি করতেই হবে তা না হয় আপনি কখনোই পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবেন না। আর হ্যাঁ ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনাকে সকালে উঠতে হবে,
সকালে উঠলে আপনি সকালে আরো টাইম পেয়ে যাবেন পড়াশোনার জন্যনিয়মিত সকাল ৫.৩০ থেকে ৬.০০ ওঠার চেষ্টা করবেন। প্রথম প্রথম উঠতে একটু কষ্ট হলেও ধীরে ধীরে এটি আপনার অভ্যাসে পরিণত হবে।আপনি যদি উপরের এই টোটকা গুলো অনুসরণ করেন তাহলে আপনি অনায়াসে অল্প করে পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবেন পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্য আপনাকে বেশি কিছু করার প্রয়োজন নেই শুধু ওপরের এই টোটকা গুলো অনুসরণ করবেন।
আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যে ভুলগুলো করি তা হল প্রথমত শুধুমাত্র বোর্ড বই ও গাইড বই পরি পরীক্ষা দেয় তারপর দ্বিতীয়তঃ যেকোনো পড়া পড়ার পর আমরা মনে করি হ্যাঁ আমাদের মুখস্ত হয়ে গেছে আমরা পারবো এটা মনে করে আমরা আর সেটি খাতায় প্র্যাকটিস করি না তারপর তৃতীয়তঃ আমরা রুটিন অনুযায়ী পড়াশুনা করি না। যার কারণে আমরা এত পরিশ্রম করি রাত জেগে পড়াশোনা করি তারপরও আমাদের ফলাফল ভালো হয় না। তবে আপনি যদি পড়া মনে থাকে না কেন এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে নিচে দেখুন।
পড়া মনে থাকে না কেন
আপনি কি জানেন পড়া মনে থাকে না কেন? গত সপ্তাহে কি পড়েছি? কালকে একটা প্যারাগ্রাফ মুখস্ত করেছিলাম আজকে সেটি আর মনে করতে পারছি না এর কারণ কি? বর্তমান সময় আমাদের প্রত্যেকের জনপ্রিয় একটি সমস্যা হলো পড়া মনে থাকে না। কিন্তু কেন? এর কারণ হলো আমরা সঠিক উপায়ে সঠিক পদ্ধতিতে পড়াশোনা করি না আমরা যে পদ্ধতিতে পড়াশোনা করি সে পদ্ধতিটি আসলে ভুল। আপনি জানলে অবাক হবেন যে আমাদের ব্রেইনে এত পরিমাণে ক্ষমতা আছে,যা পুরো পৃথিবীর তথ্য ডাউনলোড করতে পারে। কিন্তু আমরা সেই ব্রেইনকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারি না। যার কারণে আমরা কালকে কি পড়েছি সেটাই আর মনে করতে পারি না তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব যে পড়া মনে থাকে না কেন। পড়া মনে না থাকার কারন গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব যা দেখে আপনি আপনার সমস্যা গুলোকে সংশোধন করে নিতে পারবেন। তাহলে আর দেরি না করে এবার আমরা জেনে আসি পড়া মনে থাকে না কেন
প্র্যাক্টিস এর অভাব
আমরা পড়া পড়ি ঠিক হই কিন্তু প্র্যাকটিস করি না যার ফলে সেই তথ্যটি আমাদের ব্রেইন থেকে আউট হয়ে যায় পরবর্তী সময় আমরা সেই পড়াটি আর মনে করতে পারি না এই জন্য যে কোন পড়া পড়ার পর সেটি খাতায় বারবার লিখে প্র্যাকটিস করতে হবে এতে তথ্যটি দীর্ঘদিন যাবত আমাদের ব্রেইনের সংরক্ষণ থাকবে। এইজন্য লক্ষ্য করবেন শিক্ষকরা সবসময় আমাদেরকে যেকোনো পড়া পড়ানোর পর সেটি খাতায় লিখে দেখাতে বলেন এর কারণ হলো যখন আমরা যে কোন একটি পড়া পড়ে সেটি সব মুখস্ত করে না দেখে লিখার চেষ্টা করি,
তখন সেটি আমাদের ব্রেইনে সংরক্ষণ হতে থাকে এবং খাতায় লিখার পরে একদিকে যেমন আমাদের হাতের লেখা সৌন্দর্যতা বৃদ্ধি হয় সাথেই পড়াটি দীর্ঘদিন আমাদের ব্রেনের সংরক্ষণ থাকে এতে বারবার সেই পড়াটি রিভাইজ দেওয়ার পর তথ্যটি পার্মানেন্ট আমাদের ব্রেইনের সংরক্ষণ থাকে এই জন্য যে কোন পড়া শেষ হলে সেটি খাতায় লিখে প্র্যাকটিস করতে হবে আর হ্যাঁ খাতাতে অবশ্যই মুখস্ত করে না দেখে লিখার চেষ্টা করতে হবে দেখে দেখে লিখলে কিন্তু হবে না।
অপর্যাপ্ত ঘুম
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে আমাদের স্মৃতিশক্তি ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে এর জন্য আমাদেরকে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে বর্তমান সময়ে ছেলেমেয়েরা গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে যার ফলে তারা নিজেরাই তাদের স্মৃতিশক্তি শত্রু হয়ে উঠছে। এইজন্য এখন থেকে কখনোই গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না। রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে একদিকে এটি যেমন আমাদের চোখকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
আরেক দিকে এটি আমাদের স্মৃতিশক্তিকে দুর্বল করছেন আমরা কালকে কি পড়েছি কোন প্যারাগ্রাফ পড়েছি সেটি আর মনে করতে পারি না। এইজন্য এখন থেকে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। পরিমাণে ঘুম না হলে ধীরে ধীরে আপনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন এই জন্য শরীরের যত্ন নিতে এবং স্মৃতিশক্তিকে উন্নত করতে আজ থেকে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে।
রিভাইজ না দেওয়া
যেকোনো পড়া একবার পড়লে সেটি আমাদের প্রায় ৩-৪ ঘন্টা পর্যন্ত মনে থাকে তারপর যখন আপনি সেটি বারবার পড়বেন বারবার ডিভাইস দিবেন তখন এটি দীর্ঘদিন আপনার ব্রইনে থাকবে। তবে এক্ষেত্রে আমরা যে ভুলটি করি তা হল প্রথমে একটি সাবজেক্ট পড়ি কিছুক্ষণ পর আমরা মনে করি এটা মুখস্থ হয়ে গেছে হ্যাঁ এটা আমি পারবো এমন ভেবে আর অন্য একটি সাবজেক্ট পড়া শুরু করি এতে অন্য একটি সাবজেক্ট পড়তে পড়তে সেই সময়ের মধ্যে আগের পড়াটি ব্রেন থেকে আউট হয়ে যায়।
পরবর্তী সময় আমরা আসে পড়াগুলো মনে করতে পারি না। বেশিরভাগ স্টুডেন্টরাই এই ভুলটা করে যার কারণে একদিকে তাদের সময় নষ্ট হয় আরেক দিকে পড়াও ঠিক হয় না। এই যেন এখন থেকে যেকোনো পড়া শেষ হলে সেটি সবার আগে খাতাতে না দেখে লিখার চেষ্টা করবেন। তারপর সেটি বারবার রিভাইজ দিবেন। থাক আপনি সকালে পড়াগুলো মুখস্থ করলেন তারপর দুপুরে আবার সেই পড়াটি একবার রিভাইস দিলেন তারপর ঘুমানোর আগে আরো একবার সেই পড়া থেকে রিভাইস দিলেন।
এভাবে বারবার রিভাইজ দেয়ার ফলে এই পড়াটি দীর্ঘদিন পর্যন্ত আপনার ব্রেনের সংরক্ষণ থাকবে। আমরা এভাবে কখনো রিভাইস দেই না যার ফলে পড়াগুলো আমাদের ব্রেইন থেকে আউট হয়ে যায়।
মূলত এই তিনটি কারণের জন্যই পড়া মনে থাকে না । প্রিয় শিক্ষার্থী আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে পড়া মনে থাকে না কেন আপনি যদি উপরের এই ভুলগুলোকে সংশোধন করেন তাহলে আশা করছি আপনার পড়াশোনার উন্নতি হবে এবং আপনি ভালো রেজাল্ট অর্জন করতে পারবেন। আপনি যদি উপরের এই টোটকা গুলো অনুসরণ করেন তাহলে অল্প করে পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবেন। বাট চলুন আমরা জেনে আসি পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে দোয়া কি
পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে দোয়া
পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে দোয়া খুঁজছেন? কোন দোয়া পাঠ করে পরীক্ষা দিলে রেজাল্ট ভালো হবে? আল্লাহ চাইলে কোন কিছুই কিন্তু অসম্ভব নয় আল্লাহ না চাইলে গাছের একটি পাতা নড়ে না। এইজন্য পরীক্ষা দেওয়ার আগে সবসময় আল্লাহকে অনুসরণ করবেন। এবং আল্লাহর কাছে মনে মনে দোয়া চাইবেন। সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে কিছু চাইলেই তিনি কিন্তু কখনোই তাদের বান্দাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন না তিনি অবশ্যই আপনার কথা শুনবেন।এই জন্য পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে দোয়া চেয়ে নেওয়া খুবই জরুরী। চলুন তাহলে এবার আমরা জেনে নেই পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে কোন দোয়া পাঠ করতে হয়।
পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে নিচের এই দোয়াটি পাঠ করবেন
রাব্বী জীদনি ইলমা।
তারপর তিনবার সূরা ফাতেহা পাঠ করতে হবে।
সূরা ফাতেহা পাঠ করা শেষ হলে দুরুদে ইব্রাহিম দুইবার পাঠ করবেন।
তবে হ্যাঁ মনে রাখবেন সূরা কিন্তু অবশ্যই শুদ্ধভাবে পাঠ করতে হবে কারণ আপনি যদি অস্ত্রভাবে পাঠ করেন তাহলে কিন্তু উল্টো আপনার আরো গোনা হবে তাই আপনি যদি গুনাহ থেকে বাঁচতে চান এবং পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল লাভ করার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া চান সেক্ষেত্রে আপনাকে শুদ্ধভাবে সূরা ফাতিহা এবং দুরুদে ইব্রাহিম পাঠ করতে হবে।আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে কোন দোয়া পাঠ করতে হয় এবার চলুন আমরা জেনে আসি না পড়ে পরীক্ষায় পাশ করার উপায় গুলো।
না পড়ে পরীক্ষায় পাশ করার উপায়
না করে পরীক্ষায় পাশ করার উপায় খুজছেন? না পড়ে পরীক্ষায় সত্যি পাশ করা সম্ভব? আমরা অনেকেই ইউটিউবে ফেসবুকে এমন একটি টিপস দেখি না পড়ে পাশ করার। কিন্তু এই টিপসগুলো সম্পূর্ণ ভুয়া এবং গুজব। আপনি যদি সত্যিকারের অর্থে পাশ করতে চান পরীক্ষাতে প্লাস পেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে পরিশ্রম ছাড়া কেউ কিন্তু কখনোই সফলতা অর্জন করতে পারেনা আপনি যদি আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে চান,
সফলতাকে অর্জন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে পরিশ্রম করার মাধ্যমে নিজের সফলতাকে স্বপ্নকে অর্জন করতে হবে। এই পৃথিবীতে কোন কিছুই বিনামূল্যে পাওয়া যায় না, প্রত্যেকটি জিনিসের জন্য আপনার আমাদেরকে কিছু না কিছু দিতে হয় সে ক্ষেত্রে আপনি যদি সফলতা থেকে পেতে চান তাহলে আপনার পরিশ্রমকে দিতে হবে। আর শুধু পরিশ্রম করলেই হবে না অবশ্যই আপনাকে সঠিক পথে সঠিক উদ্দেশ্যে পরিশ্রম করতে হবে।
তাহলেই আপনি সফল হবেন আপনি যদি সঠিক দিক নির্দেশনা জানতে চান সে ক্ষেত্রে উপরে দেখুন আমরা আজকের এই পোস্টে অল্প পড়ে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করার সমস্ত উপায় খুঁটিনাটি আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি। আপনি কি জিজ্ঞাসা করে অল্প করে কিভাবে এ প্লাস পাওয়া যায়। এ প্লাস পাওয়া কিন্তু খুব বড় কঠিন কোন বিষয় নাই আপনি যদি ওপর একটু টোটকা গুলো অনুসরণ করেন তাহলে সহজেই অল্প পড়ে এ প্লাস পেতে পারবেন।
তবে আপনি যদি শুধুমাত্র পাশ করতে চান সে ক্ষেত্রে নিজের টিপস গুলো অনুসরণ করুন।
পরীক্ষাতে ক্লাস পেতে চাইলে উপরের উপায় গুলো অনুসরণ করবেন আর আপনি যদি শুধুমাত্র টেনেটুনে কোনভাবে পাশ করে বাঁচতে চান তাহলে প্রথমে বোর্ড প্রশ্ন পড়া শুরু করুন। গাইড বই বোর্ড বই এই সমস্ত কিছু এক সাইড রাখুন এবং বোর্ড প্রশ্ন নিয়ে পড়তে বসুন। শুধুমাত্র বোর্ড প্রশ্নগুলো পড়ার মাধ্যমেই আপনার 80 পার্সেন্ট পড়া কভার হবে। হ্যাঁ বন্ধুরা আমরা অনেকেই যে ভুলটি করি তা হল বোর্ড প্রশ্ন করতে চাই না শুধুমাত্র গাইড বই আর বোর্ড বই পড়ি পরীক্ষা দেয়।
কিন্তু শুধুমাত্র গাইড বই আর বোর্ড বই পড়ে কিন্তু A+ বাবা খুবই কঠিন আপনি যদি অল্প পরে পরীক্ষাতে এ প্লাস পেতে চান সে ক্ষেত্রে বোর্ড বই পড়া আবশ্যক এক্ষেত্রে আপনি চাইলে প্রশ্ন ব্যাংক বইগুলো কিনে নিতে পারেন কারণ প্রশ্ন ব্যাংক হয়ে গত ১০ বছরের সমস্ত বোর্ড কোয়েশ্চেন গুলো দেওয়া থাকে এখান থেকে আপনি সহজে অল্প সময়ের মধ্যে সমস্ত বোর্ড কোয়েশ্চেন পেয়ে যাবেন। খোঁজাখুঁজির প্রয়োজন হবে না সময় অপচয়ও হবে না। এইজন্য এখন থেকে বেশি বেশি বোর্ড কোশ্চেন পড়তে হবে।
আর হ্যাঁ প্রত্যেকবার পড়া শেষে সেই পড়াটিকে মনে রাখার জন্য অবশ্যই খাতাতে লিখে প্র্যাকটিস করতে হবে কারণ আপনি যদি পড়া শেষে সেটি প্র্যাকটিস না করেন তাহলে কিছুক্ষণ পরেই সে পড়াটি ভুলে যাবেন এতে আপনার শুধুমাত্র সময় অপচয় হবে এই জন্য পড়া টিকে দীর্ঘদিন মনে রাখার জন্য ব্রেইনের সংরক্ষণ করে রাখার জন্য সেই পড়াটিকে না দেখে খাতায় লিখতে হবে। আমরা অনেকেই পড়া শেষে মনে করি হ্যাঁ এটা আমি পারবো এটা আমার মুখস্ত হয়ে গেছে,
এটা ভেবেই আমরা অন্য একটি সাবজেক্ট বের করে পড়া শুরু করি কিন্তু এই ভুলটি আপনি আর দ্বিতীয়বার কখনোই করবেন না। কারণ যেকোনো পড়াকে যদি বারবার রিভাইজ না দেওয়া যায় এবং পড়া শেষে যদি আমরা না লিখি তাহলে এটি কখনো আমাদের ব্রেইনের সংরক্ষণ হয় না এইজন্য এখন থেকে প্রতিবার পড়া শেষে সেটি অবশ্যই খাতায় বারবার প্র্যাকটিস করবেন এবং রিভাইজ দিবেন।
আরো পড়ুন: দিনে ৫০০-১০০০ টাকা ইনকাম করতে চান? ক্লিক করুন
প্রিয় পাঠক আশা করছি উপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে না পড়ে পরীক্ষায় পাস করার উপায় কি আপনি যদি উপরের এই উপায় গুলো অনুসরণ করেন তাহলে সহজেই অল্প করে পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে পারবেন তবে না পড়ে পরীক্ষায় পাশ করা কিন্তু কখনোই অভাব নাই আপনি যদি পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই একটু হলেও পড়াশোনা করতে হবে। শিক্ষার্থী মনে রাখবেন বিনামূল্যে কখনোই কোন কিছু পাওয়া যায় না কোন কিছু পেতে হলে অবশ্যই কিছু দিতে হবে।
পাঠকদের কিছু প্রশ্ন
অল্প পড়ে কিভাবে A+ পাওয়া যায়?অল্প পড়ে প্লাস পেতে চাচ্ছেন? তাহলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।অমরা আজকের এই পোস্ট অল্প পরে এ+ পাওয়ার টিপস গুলো আলোচনা করেছি।তাই অল্প পরে ভালো রেজাল্ট করতে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন
পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার টোটকা
পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার টোটকা হল বেশি বেশি বোর্ড কোশ্চেন গুলো পড়তে হবে আর মডেল কোশ্চেন একটা বাদ দিয়ে যাবে না কারণ খাতে বেশিরভাগ কোশ্চেন গুলোই বোধ করেছেন আর মডেল কোশ্চেন থেকে আসে এর জন্য খুঁটিয়ে প্রত্যেকটি মডেল প্রশ্ন মুখস্ত করতে হবে তাহলে প্রায় ৮০% কভার হবে।
কিভাবে না পরে পাশ করা যায়?
পরে পাশ করে কখনোই সম্ভব নয় পরিশ্রম ছাড়া কখনোই সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয় তাই আপনি যদি না পারি পাশ করতে চান সেক্ষেত্রে এ ধারণাগুলো সম্পূর্ণ ভুল তবে হ্যাঁ আপনি অল্প পড়ে পাশ করতে চান তাহলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন কারণ আমরা আজকের এই পোস্টে অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আমরা আজকের এই পোস্টে অল্প পড়ে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার টোটকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন করেন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন কিভাবে অল্প করে পরীক্ষা দিয়ে ভালো রেজাল্ট করা যায় তবে হ্যাঁ এমনটা কিন্তু নয় যে শুধুমাত্র এই একটি পোস্ট পড়ার মাধ্যমে আপনি পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবেন আপনি যদি সত্যিকার অর্থে ভালো ফলাফল অর্জন করতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে।
কারণ পরিশ্রম ছাড়া কখনোই সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয় এজন্য এখন থেকেই উপরের নিয়ম অনুসারে পড়া শুরু করুন। পরীক্ষা যে ভালো ফলাফল অর্জনের জন্য উপরের টোটকা অনুসরণ করতে পারেন। আমরা সাধারণত যে ভুলটি করে থাকি তা হলো আমরা সারা বছর বোর্ড বই এবং গাইড বই নিয়ে ব্যস্ত থাকি। কিন্তু আপনি যদি এই সময়ে বোর্ড প্রশ্ন গুলো পড়া শুরু করেন তাহলে প্রায় ৮০ পার্সেন্ট পড়া কবার হয়ে যাবে এই জন্য আমার মতে আপনি যদি অল্প করে পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে চান,
সেক্ষেত্রে সবার আগে বোর্ড কোশ্চেন পড়া শুরু করুন গত 10 বছরের সকল বোর্ড কোয়েশ্চেন পেতে প্রশ্ন ব্যাংক বই কিনতে পারেন। ব্যাংক বইয়ের গত ১০ বছরের সমস্ত বোর্ডের প্রশ্নগুলো সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে দেওয়া রয়েছে অর্থাৎ আপনি যদি এই বইটি কিনেন তাহলে আপনাকে আর এক্সট্রা করে এখানে সেখানে বোট কোয়েশ্চেন খুজাখুঁজি করতে হবে না এতে একদিকে আপনার সময় বাঁচবে আরেক দিকে আপনি পড়াশোনায় বেশি মনোযোগ দিতে পারবেন।
আর পড়াশোনার উন্নতি করতে অবশ্যই ঘড়ির অনুযায়ী পড়াশোনা করতে হবে। সকালে উঠে সবার আগে ডেইলি রুটিন তৈরি করবেন এবং সেই রুটিনের একটি তালিকা তৈরি করবেন যে আপনি কোন সময় কোন কাজ সম্পন্ন করবেন এবং কোন সময় পড়তে বসবেন সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে একটি রুটিন তৈরি করবেন এভাবে রুটির অনুযায়ী কাজ করলে প্রত্যেকটি কাজ সঠিক সময় সম্পন্ন হবে সাথেই সেখান থেকে আপনি সময় বাঁচিয়ে সেখান থেকে পরিবারকে সময় দিতে পারবেন। প্রিয় শিক্ষার্থী আশা করছি উপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার টোটকা কি এই পোস্টটি ভাল লেগে থাকলে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন।
ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url