বাচ্চাদের নাক দিয়ে দুধ পড়ার কারণ - নবজাতক বাচ্চার যত্ন
প্রিয় পাঠক আপনি কি বাচ্চাদের নাক দিয়ে দুধ পড়ার কারণ গুলো খুঁজছেন ? তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন। অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চারা দুধ খেতে চায় না এই সময় তাদেরকে জোর করে খাওয়াতে যেয়ে বাচ্চা নাক দিয়ে দুধ পরে তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করণীয় কি এবং বাচ্চাদের নাক দিয়ে দুধ পড়ার কারণ কি সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
জন্মের পর একটি শিশুর জন্য তার মায়ের দুধ তার শরীরে ঔষধের মতো কাজ করে। এইজন্য সবসময় চেষ্টা করবেন নিজের বুকের দুধ খাওয়ানোর এই দুধ টি তার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং শরীরের সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চারা মায়ের বুকের দুধ খেতে চায় না এই সময় তাদেরকে জোর করে খাওয়াতে গিয়ে বাচ্চার নাক দিয়ে দুধ পড়া শুরু হয়। তবে আমি নিশ্চিত আপনি যদি নিচের এই উপায় গুলো অনুসরণ করেন তাহলে আপনি সহজেই এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারবেন চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা জেনে আসি বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করণীয় কি এবং বাচ্চাদের নাক দিয়ে দুধ পড়ার কারণ কি।
পেজ সূচিপত্র
ভূমিকা
সন্তান জন্মের ছয় মাস পর্যন্ত তাকে বুকের দুধ পান করানো খুবই জরুরী। এই দুটি তার শরীরের শাল দুধ হিসেবে কাজ করে। তার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে অপরিণত বয়সে হলে অথবা ওজন কম বিশিষ্ট শিশুদের জন্য শাল দুধ ঔষধের মতো কাজ করে। এছাড়াও বাচ্চাদের শাল দুধ খাওয়ালে মায়ের গর্ভফুল দ্রুত পড়ে যায় এবং রক্তক্ষরণ কম হয় এতে রক্ত শুন্যতার হাত থেকে মা বেঁচে যায়।এই জন্য চেষ্টা করবেন অন্তত ছয় মাস পর্যন্ত বাচ্চাকে শাল দুধ খাওয়ানোর।
এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং সাইড ইফেক্ট ছাড়া বাচ্চা শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে। তবে অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চারা মায়ের বুকের দুধের সাথে বাচ্চারা কন্ফোরটেবল হয় না অর্থাৎ বুকের দুধ খেতে চায় না এই সময় কি করা উচিৎ? জানতে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ দেখতে থাকুন আমরা আজকের এই পোস্টে আপনাদের সুবিধার্থে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সঠিক উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি এবং বাচ্চা বুকে দুধ খেতে না চাইলে করণীয় কি সেই বিষয়ে আলোচনা করেছি। তবে চলুন তার আগে আমরা জেনে আসি বাচ্চাদের নাক দিয়ে দুধ পড়ার কারণ গুলো।
বাচ্চাদের নাক দিয়ে দুধ পড়ার কারণ
বাচ্চাদের নাক দিয়ে দুধ পড়ার কারণ জানতে চাচ্ছেন? বাচ্চার নাক দিয়ে দুধ পড়া খুবই কমন সমস্যা। প্রথম প্রথম এই সমস্যাটি প্রত্যেকেরই হয় অর্থাৎ বাচ্চার নাক দিয়ে দুধ পড়ে এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চারা মায়ের দুধের সাথে অভ্যস্ত থাকে না অর্থাৎ মায়ের বুকের দুধ খেতে চায় নাক দিয়ে দুধ উঠে পড়ে আবার বাচ্চার পজিশন ঠিক না হলে বাচ্চার নাক দিয়ে দুধ পরে এইজন্য বাচ্চাকে সবার আগে ভালোভাবে কোলে নিবেন।
কোলে নেয়ার পর তাকে বুকের দুধ পান করাবেন এতে আপনিও কমফোর্টেবল ফিল করবেন এবং বাচ্চাও ভালোভাবে দুধ খেতে পারবে আর আপনি যদি তাকে হেলিয়ে দুলিয়ে দুধ খাওয়ান তাহলে এতে আপনার স্তনে ব্যথা হবে এবং বাচ্চার নাক দিয়ে দুধ পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। বাচ্চা নাক দিয়ে বারবার দুধ পড়তে থাকলে বাচ্চার নাকের ভেতরে ক্ষত সৃষ্টি হবে এতে বাচ্চার নাক দিয়ে রক্ত পর্যন্ত করতে পারে এজন্য এখন থেকে সাবধান হোন এবং বাচ্চাকে ঠিকভাবে দুধ খাওয়ান।
- বাচ্চার নাক দিয়ে দুধ পড়ার কারণ হলো বাচ্চাকে ভুল পজিশনে নিয়ে দুধ খাওয়ানো।
- অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চারা খেতে চাই না সেই সময় জোর করে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ার চেষ্টা করি এই অবস্থায় তারা নেই সেটি নিতে পারেনা এবং নাক দিয়ে তুলে ফেলে।
- দুধ অনেক বেশি গরম হলে বাচ্চার নাক দিয়ে উঠে যায় এজন্য দুধকে সবসময় চেক করে নিবেন যে দুধ অতিরিক্ত গরম নাকি ঠান্ডা।
- বাচ্চার পেট ভরা থাকলে এই অবস্থায় মা যদি বাচ্চাকে জোর করে খাওয়াতে চায় তাহলে বাচ্চা সেটি নাক দিয়ে তুলে ফেলে।
- বাচ্চার পেট ভরা অবস্থায় কখনোই তাকে জোর করে দুধ খাওয়াতে যাবেন না এতে সে নাক দিয়ে তুলে ফেলবে এবং বমি করবে।
- বাচ্চাকে সব সময় জড়িয়ে নিয়ে তারপর সঠিক বুঝে শুনে নিয়ে দুধ খাওয়াবেন।
আপনি যদি ওপরের এই উপায় গুলো অনুসরণ করেন তাহলে আশা করছি এরপর থেকে আপনার বাচ্চা আর নাক দিয়ে দুধ তুলে ফেলবেন না। বাচ্চাদের জোর করে খাওয়ানোর সময় কিংবা ভুল পজিশনে দুধ খাওয়ালে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ সমস্যাটি দেখা যায় এইজন্য এখন থেকে নিজের ভুলগুলোকে সংশোধন করুন এবং বাচ্চাকে দুধ খাওয়ান। রাখবেন এভাবে বারবার যদি বাচ্চা নাক দিয়ে দুধ তুলে ফেলে তাহলে বাচ্চার নাক ভেতর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে ।
এতে বাচ্চার পরবর্তী সময়ে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হবে।আবার অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চার নাক দিয়ে পানি পড়ে। নবজাতক ১ থেকে ২ মাসে বাচ্চার নাক দিয়ে পানি পড়লে এই অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।তবে আপনি চাইলে ঘরোয়া উপায় এর মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে আসি বাচ্চার নাক দিয়ে পানি পড়লে করণীয় কি
বাচ্চাদের নাক দিয়ে পানি পড়লে করণীয়
বাচ্চাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম হয় বিশেষ করে নবজাতক শিশুদের এই জন্য নবজাতক শিশুদের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরী বাচ্চাদের সব সময় গরম কাপড়ের মধ্যে জোড়ে রাখতে হবে না হয় তাদের ঠান্ডা লেগে যায় আর ঠান্ডা লেগে গেলে বাচ্চার নাক দিয়ে পানি পড়তে শুরু করে এই অবস্থায় এটিকে অবহেলা করলে নিউমোনিয়া পর্যন্ত হতে পারে। বিশেষ করে এখন তো শীতকাল এই সময় বাচ্চাদের ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়।
এইজন্য এই সময় বাচ্চাদের খুবই যত্ন নিতে হবে। বাচ্চাকে সবসময় মায়ের বুকে জড়িয়ে রাখতে হবে, বাচ্চারা জন্মের পর থেকে মায়ের গন্ধ এবং মায়ের আওয়াজ এর সাথে পরিচিত হয়ে যায়। এই জন্য সব সময় বাচ্চাকে বুকের সাথে জড়িয়ে রাখবেন এবং বাচ্চাকে দুধ পান করাতে থাকবেন।
- বাচ্চার ঠান্ডা লেগে গেলে এই সময় বাচ্চার বিশেষ যত্ন নিতে হবে।
- এই সময় শিশুকে কখনোই ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করাবেন না।
- সব সময় হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে।
- সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার গোসল করালেই হবে।
- বাচ্চাকে সবসময় গরম কাপড়ের মধ্যে জড়িয়ে রাখতে হবে।
- ভাবে যেন তার বুকে শীতের ঠান্ডা হাওয়া স্পর্শ না করে।
- শিশুর বুকে হালকা গরম সরিষার তেল অথবা অলিভ অয়েল মাসাজ করতে হবে।
- সরিষার তেলের মধ্যে একটু হলুদ গুরো মিশিয়ে গরম করে সেটি বুকে ম্যাসাজ করলে বাচ্চার নাক দিয়ে পানি পড়া দ্রুত দূর হবে।
- এই সময় কখনই ঠান্ডা দুধ খাওয়ানো যাবে না সবসময় চেষ্টা করবেন হালকা কুসুম গরম দুধ খাওয়ানোর অথবা মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর।
আপনার সোনামণিকে সর্দির হাত থেকে বাঁচাতে উপরের উপায় গুলো অনুসরণ করবেন এইগুলো বাচ্চাদের যত্নে ঘরোয়া উপায় আপনি যদি এই উপায় গুলো অনুসরণ করেন তাহলে নিমিষেই আপনার সোনামণিকে সুস্থ করে তুলতে পারবেন তবে আমার তে আপনার সোনামনির বয়স যদি এক থেকে দুই মাস হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে কারণ এই সময় বাচ্চাদের শরীর অনেক সেনসিটিভ হয়। ছোট একটি ভুল বাচ্চা শরীরে খারাপ ইফেক্ট দিতে পারে।
আশা করছি উপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন বাচ্চাদের নাক দিয়ে পানি পড়লে করণীয় কি। এবার চলুন আমরা জেনে আসি শিশুর নাকে সর্দি হলে করণীয় কি
শিশুর নাকে সর্দি হলে করণীয়
আপনার সোনামনির কি সর্দি হয়েছে সর্দিতে নাক বন্ধ হয়ে গেছে? নিঃশ্বাসে তো কষ্ট হচ্ছে? সত্যি বাচ্চাদের যখন কিছু হয় তখন আমাদের মায়ের জন্য সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয়। বাচ্চাদের শরীর অনেক বেশি সেনসিটিভ হয় তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক আছে কম হয় তাই নবজাতক শিশুদের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরী বিশেষ করে এই শীতকালে শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়া সোনামণিদের শরীরে খারাপ প্রভাব ফেলে এজন্য শীতের শুষ্ক হওয়া থেকে সোনামণিদের বাঁচিয়ে রাখতে যা যা করতে হবে নিচে দেখে নিন।
- শিশুর নাকি সর্দি জোরে জোরে মোটা শক্ত কাপড় দিয়ে শিশুর নাক মুছা যাবে না একটি হালকা পাতলা কাপড় অথবা টিস্যু পেপার ব্যবহার করবেন কারোর শিশুদের নাক অনেক বেশি নরম ।
- শিশুর সর্দি হলে আমাদের নানী দাদীরা বলতো যে বুকে বেশি কারণ সরিষার তেল ম্যাসাজ করতে হবে সর্দি দ্রুত চলে যাবে এই নিয়ম গুলো অনেক পুরনো হলেও কিন্তু কার্যকরী। সরিষার তেলে এত সব পুষ্টিগুণ ভিটামিন রয়েছে যা নিমিষেই সর্দি দূর করতে সক্ষম এজন্য সরিষার তেল হালকা গরম করে সেটি শিশুর বুকে ম্যাসাজ করবেন।
- হালকা গরম সরিষার তেলের মধ্যে একটু কাঁচা হলুদ গুরো অথবা প্যাকেট হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে নিলেও এর কার্যকারিতা আরো বেশি বৃদ্ধি পায়।
- বাচ্চার ঠান্ডা লাগলে এই সময় তাকে কখনোই বাসি ঠান্ডা দুধ দেওয়া যাবে না এতে তার পেটের সমস্যা হবে সাথে সর্দি আরও বেশি বৃদ্ধি পাবে।
- শিশুকে সবসময় হালকা গরম দুধ অথবা মায়ের বুকের দুধ পান করাতে হবে।
- সোনামণির নাক যদি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত এভাবে বন্ধ থাকে, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এই অবস্থায় সোনামণিকে অবহেলা করলে নিউমোনিয়া পর্যন্ত হতে পারে।
প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন শিশুর নাকে সর্দি হলে করণীয় কি। আপনি যদি উপরের উপায় গুলো অনুসরণ করেন তাহলে শিশুর নাকের সর্দি নিমিষেই দূর হবে। অনেক সময় দেখা যায় অতিরিক্ত সর্দি হলে নাক বন্ধ হয়ে যায় এই সময় নিঃশ্বাস নেওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে ওঠে। এই সময় আমাদের কি করা উচিত? জানতে নিচে দেখুন শিশুর বন্ধ নাক খোলার উপায় সমুহ।
শিশুর বন্ধ নাক খোলার উপায়
সর্দিতে শিশুর নাকি বন্ধ হয়ে গেছে সোনামনির নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে? বাচ্চাদের যখন কিছু হয় তখন সবচেয়ে বেশি কষ্ট তো মায়েদেরই হয়। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব যে শিশুর বন্ধ না খোলার উপায় গুলো কি কি। এখনতো শীতকাল এই শীতকালে বাইরের শুষ্ক আবহাওয়া শিশুদের শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এর জন্য এই শীতের আবহাওয়া থেকে তাদের দূরে রাখতে হবে।
না হয় বারবার সর্দি কাশি জ্বর তো লেগেই থাকবে এভাবে আপনার সোনামণি ধীরে ধীরে আরো বেশি দুর্বল হতে থাকবে এই জন্য তাকে সব সময় গরম কাপড়ের মধ্যে জোড়ে রাখুন। আর শিশুর বন্দনা খোলার উপায় গুলো জানতে নিচে দেখুন।
- শিশুর নাক সর্দিতে বন্ধ হয়ে গেলে তার নাকে একটু সরিষার তেল দিন। এতে সরিষার তেলের ঝাঁজে তার নাক দ্রুত খুলে যাবে।
- বুকে বেশি করে হালকা গরম সরিষার তেলের সাথে একটু হলুদ গুড়ার মিশিয়ে বুকে ম্যাসাজ করুন এতে বুক থেকে সর্দি নেমে যাবে।
- শিশুকে সবসময় হালকা গরম পানি অথবা হালকা গরম দুধ পান করাতে হবে এই অবস্থায় কখনোই তাকে ঠান্ডা পানি অথবা ঠান্ডা দুধ পান করাবেন না।
- কে রয়েছে যারা নবজাতক শিশুদের কোটা দুধ পান করান আমার মতে বাচ্চাদের ছয় মাস পর্যন্ত তাদেরকে বুকের দুধ পান করাতে হবে এটি তাদের শরীরের জন্য খুবই জরুরী।
- এর সঠিক গঠন ও বুদ্ধি বিকাশে সাল দুধের গুরুত্ব অনেকের জন্য বুকের দুধ পান করাবেন।
- প্রত্যেকবার বুকের দুধ পান করানোর আগে নিপলকে পানি দিয়ে ধুইয়ে দিবেন।
- দুধ খাওয়ার সময় কোন মতে যেন দুধে বাতাস না লাগে।
- দুধ খাওয়ানোর সময় বাচ্চা কি সঠিক পজিশনে নিয়ে দুধ খাওয়াতে হবে।
শিশুর বন্দনা খুলতে উপরের এই উপায় গুলো অনুসরণ করবেন বাচ্চা নাক বন্ধ হয়ে গেলে একটু নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।আর তারা তো ছোট নবজাতক সোনামণি তারা তো বলতেও পারে না কষ্ট হলে । তাই আপনার সোনামনির কষ্ট দূর করতে ওপরের এই উপায় গুলো নিয়মিত অনুসরণ করবেন আর দীর্ঘ সময় পর্যন্ত যদি আপনার সোনামণির নাক বন্ধ থাকে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ গুলো কি কি।
নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ
নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ কি? বাচ্চার সর্দি হয়েছে সর্দি থেকে এখন হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়া শুরু হয়েছে? এটি গুরুতার কোন রোগের লক্ষণ নয় তো? প্রিয় পাঠক ইতিমধ্যেই আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে বাচ্চাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম হয় এবং বাচ্চাদের ত্বক অনেক বেশি সেন্সিটিভ হয় এর জন্য সোনামনি যখন সর্দি হয় তখন আমরা মোটা শক্ত কাপড় দিয়ে বাচ্চার নাক মুছতে থাকি এই সময় বাচ্চার নাকের ভেতর থেকে ক্ষত হয়
এবং নাক দিয়ে রক্ত পড়া শুরু হয় এটি কোন জটিল রোগ নয়। ভয় পাওয়ার কিছু নেই হালকা একটু ঘরোয়া পদ্ধতি উপায়ের মাধ্যমে আপনি সোনামণি নাক দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ করতে পারবেন। আপনি যদি নাক দিয়ে রক্ত পড়ার আরো কারণ গুলো জানতে চান তাহলে নিচে দেখুন।
- শক্ত মোটা কাপড় দিয়ে নাক বারবার মুছে দেওয়া।
- নাক দিয়ে অনবরত পানি পড়া ।
- বারবার হাচ্চি কাশি।
- শিশুর বিশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া।
- দীর্ঘদিন যাবত নাকে সর্দি
উপরের এই কারণগুলোর জন্য বাচ্চার নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে এই জন্য এখন থেকে বাচ্চার নাক একটি টিস্যু পেপার অথবা পাতলা নরম কাপড় দিয়ে মুছে দিবেন আর অনবরত নাক দিয়ে পানি পড়তে থাকলে এবং হাচ্চি কাশি হতে থাকলে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এই অবস্থায় এই অবস্থাতে এড়িয়ে চললে বাচ্চার মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। পাঠক আশা করছি উপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণগুলো। এবার চলবে আমরা জেনে আসি সর্দির সাথে জমাট রক্ত আসার কারণ
সর্দির সাথে জমাট রক্ত আসার কারণ
সর্দি হয়েছে নাক দিয়ে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে এবং প্রত্যেকবার হাচ্চির সাথে নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে? অনেকের নাকের ভেতরের পর্দাটি অনেক বেশি পাতলা হয় যার কারণে যখনই আপনি হাঁটি দেওয়ার সময় নাকের উপর প্রেসার দিবেন তখন আপনার নাক দিয়ে প্রতিবার রক্ত বের হয়ে আসবে এটি কোন গুরুতর রোগ নয় তবে এটি অবহেলা করার ফলে আপনার না ভেতরে থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আমাদের প্রত্যেকের নাকের ভেতরে একটি পর্দা থাকে। পর্দা টি প্রত্যেক ব্যক্তি ক্ষেত্রে আলাদা হয়।
অর্থাৎ অনেকের পাতলা হয় আবার অনেকের মোটা হয় যাদের পাতলা হয় তারা যখন নাকে অনেক বেশি প্রেসার দিয়ে হাচ্চী দেওয়ার চেষ্টা করে তখন তাদের প্রত্যেকবার সর্দির সাথে রক্তের জমাট বের হয়ে আসে। এইজন্য এই অবস্থায় কখনোই অতিরিক্ত প্রেসার দিয়ে হাচ্চি দেওয়া যাবে না। এই অবস্থাটি সত্যি কষ্টকর নাক দিয়ে রক্ত পড়লে নাকের মধ্যে অনেক জ্বালাপোড়া অনুভূত হয় এবং নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয় আপনার সাথে যদি বারবার এমন হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আপনি যদি সর্দির সাথে জমাট রক্ত আসার কারণ গুলো সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চান তাহলে নিচে দেখে নিন।
- আমরা যখন নাকে অতিরিক্ত প্রেসার দিয়ে হাচ্চি দিতে যাই তখন আমাদের নাকের ভেতরকার পাতলা পর্দাটি ফেটে যায় এবং নাকের ভেতর দিয়ে রক্ত বের হতে শুরু করে।
- নাকের ভেতরের পর্দাটি অনেক পাতলা হলে সহজে সেটি ফেটে যায় এবং নাকের ভেতর থেকে রক্ত বের হয়। এই আপনি প্রত্যেক বার যখন হাচ্চি দিবেন তখন প্রত্যেকবারই রক্ত বের হবে।
- তবে প্রত্যেকবার রক্ত পড়ার কারণ কিন্তু সাধারণ নয় অনেক সময় এটি গুরুতর রোগের ইঙ্গিত দিয়ে থাকে এজন্য আপনাকে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রিয় আশা করছি উপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে সর্দির সাথে জমাট রক্ত আসার কারন গুলো কি কি। সর্দির সাথে প্রতিবাদ আমার রক্ত আসার গুরুতর কোন রোগ নয় তবে এটি যদি আপনি দীর্ঘদিন যাবত অবহেলা করতে থাকেন তাহলে আপনার মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে এটি আপনার শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে এর জন্য এখনই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি নাক বন্ধ হলে ঘরোয়া উপায় গুলো
নাক বন্ধ হলে ঘরোয়া উপায়
বড় হোক অথবা ছোট নাক বন্ধ হয়ে গেলে নিঃশ্বাস নিতে খুবই কষ্ট হয়। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে এমন কিছু ঘরোয়া উপায় শেয়ার করব যার মাধ্যমে আপনি মিনিটেই আপনার বন্ধ না খুলতে পারবেন। জ্বর সর্দি কাশি তো আমাদের জীবনের লেগেই থাকে বিশেষ করে এখন তো শীতকাল এই শীতকালে জল সর্দি কাশির আশঙ্কা আর ও ৯০% যেন বেড়ে যায় কারণ বাইরে শীতের শুষ্ক আবহাওয়া বইতে থাকে এই আবহাওয়া আমাদের শরীরের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।এবার চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আমরা ঝটপট জেনে আসি নাক বন্ধ হলে ঘরোয়া উপায় গুলো কি কি।
সরিষা তেল
আজকে আমি আপনাদের সাথে সবচেয়ে পুরনো ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে আলোচনা করব। আসলে পুরনো নিয়ম সংস্কার গুলোর মধ্যে না যেন জীবনের সমস্ত সুখ রয়েছে আমাদের দাদি ঠাকুমারা আগে বলতো গলাতে গরম সরিষার তেলের সাথে রসুন কুচি হলুদ কচি ভালোভাবে গরম করে বুকে ম্যাসাজ করতে এতে সর্দি নাকি পুরো নেমে যায়। এই নিয়ম সংস্কারগুলো ৮০ বছর পূরণ হলেও এগুলো খুবই কার্যকারী সত্যি সরিষার তেলে এতসব পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আপনার সর্দিকে নিমিষেই দূর করতে পারে।
এর সাথে যদি রসুন কুচি ও হলুদ কুচি মেশানো যায় তাহলে এর গুনাগুন যেন আরো দশ গুণ বেশি বৃদ্ধি পায়। রসুন ও হলুদ গুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে এবং বুক থেকে কফ দূর করে। আমরা সাধারণত যার সর্দি কাশি হলে ঔষধ সেবন করি কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন যে ঔষধ সেবন করার চেয়ে এই উপায়টি অনুসরণ করলে আপনি দ্রুত ফলাফল লাভ করবেন।
তুলসী পাতা
আপনি নিশ্চয় শুনেছেন যে জ্বর কিংবা সর্দি কাশি হলে তুলসী পাতার রস খেতে হয়। তুলসী পাতার রসে এতসব ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ রয়েছে যা নিমিষেই আপনার বুক থেকে সমস্ত কফ দূর করতে পারে। বুকে কফ দীর্ঘদিন যাবত জমে থাকলে সর্দি-কাশি তো দূর হয় না বরং সবসময় বুকে ভার ভার অনুভূত হয়। মনে হয় যেন বুকে বড় পাথর জমে রয়েছে সাথেই নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় এই জন্য বুক থেকে কফ দূর করতে নিয়মিত সকালে তুলসী পাতার রস পান করবেন।
তুলসী পাতার রসে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন বি ১, ভিটামিন বি ২, ভিটামিন এ প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম , পটাশিয়াম উপাদান। যা শহীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে বৃদ্ধি করে জল সর্দি কাশি দূর করে ত্বককে সুন্দর রাখে চুল পড়া বন্ধ করে হার্টের কার্যক্ষমতা কে বৃদ্ধি করে সাথে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করে তুলসী পাতার উপকারিতা একদিনে বলে শেষ করা সম্ভব নয় আপনি যদি আপনার বন্ধ নাক খুলতে চান এবং বুক থেকে সমস্ত কফ দূর করতে চান তাহলে এখন থেকে নিয়মিত এক গ্লাস তুলসী পাতার রস পান করবেন।
আদার চা
সর্দি দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম একটি উপায় হল আদার চা।আদার চায়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা সর্দিকে নিমিসেই দূর করে এবং শরীরের সুস্থ রাখার সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। এইজন্য বুকে কফ জমে থাকলে অথবা নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হলে নিয়মিত দুই কাপ আদা চা পান করবেন আপনি দ্রুত সর্দি কাশি থেকে রেহাই পাবেন। মতে সর্দি কাশি হলে সবার প্রথমে ঘরোয়া উপায় গুলো আপনার অনুসরণ করা উচিত।
কারণ প্রথমে ওষুধ সেবন করলে ওষুধের একটি অভ্যাস হয়ে যায় যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর এজন্য সবার প্রথমে ঘরোয়া উপায় গুলো অনুসরণ করবেন তারপরও যদি কোন ভাল ফলাফল না পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে আপনি ওষুধ সেবন করতে পারেন।আশা করছি ওপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন নাক বন্ধ হলে ঘরোয়া উপায় গুলো কি কি। উপায়গুলো ৮০ বছরের পুরনো হলেও এগুলো কিন্তু অনেক কার্যকারী। আপনি যদি এই উপায় গুলো অনুসরণ করেন তাহলে আপনি দ্রুত ভালো ফলাফল লাভ করতে পারবেন। এবার চলুন আমরা জেনে আসি বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়সীমা কত।
বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়সীমা
একটি শিশু জন্ম হওয়ার পর প্রথমে তার খাদ্য হিসেবে রয়েছে মায়ের বুকের দুধ অন্তত প্রথম ছয় মাস বাচ্চাকে মায়ের বুকের দুধ পান করানো আবশ্যক বাচ্চার শরীরের জন্য মার বুকের দুধ খুবই জরুরী এটিকে বলা হয় শাল দুধ। শালদুধ পান করার ফলে এক দিকে যেমন বাচ্চা শরীর সুস্থ থাকে আরেক দিকে এটি মায়ের শরীরের জন্য অনেক উপকারী বাচ্চাদের ফুল দ্রুত পড়ে যায় এবং রক্তক্ষরণ কম হয়। এছাড়াও ইসলামে বলে বাচ্চা যখন মায়ের বুকের দুধ পান করবে।
তখন মায়ের সাথে বাচ্চার সম্পর্ক আরো বেশি গভীর হবে এবং বাচ্চা মায়ের সাথে আরও বেশি পরিচিত হতে থাকবে। এইজন্য বাচ্চাকে অন্তত প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ানো আবশ্যক অনেকেই রয়েছে আজকাল যারা বাচ্চা কে কটার দুধ করে পান করান। আপনি লক্ষ্য করবেন বাচ্চারকে যখন আপনি কৌটার দুধ পান করাবেন তখন বাচ্চা শরীরে নানান সমস্যা দেখা দিবে যেমন বাজার হঠাৎ ঠান্ডা লেগে যাওয়া বমি হওয়ার জন্য বাচ্চাকে প্রথমে নিজের বুকের দুধের অভ্যাস তৈরি করবেন।
আরো পড়ুন: দিনে 500 টাকা ইনকাম করতে চাচ্ছেন?
প্রথম এসে যদি খেতে না চায় তাহলে তাকে জোর করে খাওয়াবেন। ধীরে ধীরে সে আপনার দুধের প্রতি অভ্যস্ত হতে থাকবে অনেকে বলে বাচ্চারা বুকের দুধ খেতে চায় না এর কারণ হলো আপনারা তাকে প্রথম থেকে কৌটার দুধ পান করানোর অভ্যাস তৈরি করেছেন। বাচ্চারা নিষ্পাপ আপনি তো ওদিকে যেভাবে গড়ে তুলবেন তারা ঠিক সেভাবেই গড়ে উঠবে এই জন্য তাকে এখন থেকে নিজের বুকে দুধ পান করানোর অভ্যাস তৈরি করুন তাহলে সে আপনার দুধের প্রতি অভ্যস্ত হয়ে পড়বে এবং সে আপনার দুধ খাওয়া শুরু করবে।
যারা বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়সীমা জানতে চান তাদের উদ্দেশ্যে বলি থেকে অন্তত প্রথম ছয় মাস বুকে দুধ খাওয়াতে হবে এবং সাত-আট মাসের পর থেকে ধীরে ধীরে পুষ্টিকর খাবার গুলো একটু একটু করে খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে। যেমন বিভিন্ন ফলমূলের রস পান করালেন একটু সুজি খাওয়ালেন। এভাবে ধীরে ধীরে তাকে খাওয়া শিখাতে হবে। এভাবে ধীরে ধীরে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন এবং ধীরে ধীরে বুকের দুধ পান করানো ছেড়ে দিবেন।
আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়সীমা কত। এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করনীয় কি।
বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করনীয়
বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করনীয় কি? আপনার সোনামনি কি বুকের দুধ পান করতে চাই না? কৌটার দুধ পান করে কিন্তু বুকের দুধ দিলেই বমি করে দেয়? এর কারণ হলো আপনি তাকে ছোট থেকেই কৌটা দুধ পান করিয়েছেন একটি শিশুকে আপনি যেভাবে গড়ে তুলবেন সে ঠিক সেভাবেই গড়ে উঠবে। জন্মাই প্রথম দিন থেকেই বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করানোর অভ্যাস তৈরি করতে হবে তাহলে সে আপনার বুকের দুধের প্রতি অভ্যস্ত হয়ে পড়বে এবং শাল দুধ পান করবে।
অনেকে রয়েছে যারা বুকের দুধ পান করাই না কৌটার দুধ পান করাই। এভাবে বাচ্চাকে কৌটা দুধ পান করাতে করাতে শিশু কৌটা দুধের প্রতি অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। অবস্থায় তাকে যদি আপনি আপনার বুকের দুধ পান করেন সে কিন্তু কোনভাবেই আপনার বুকে দুধ খেতে চাইবে না। এই সময় বাচ্চাকে চেষ্টা করবেন জোর করে বুকের দুধ খাওয়ানোর। গর্ভের বাচ্চাকে আপনি ঠিক যেভাবে তৈরি করবেন সে ঠিক সেভাবেই গড়ে উঠবে এই জন্য তাকে বারবার চেষ্টা করবেন জোর করে বুকের দুধ খাওয়ানোর।
- বুকের দুধ খাওয়ানোর আগে প্রথমে নিপলটিকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিবেন।
- লক্ষ্য রাখবেন কোনভাবে যেন দুধে হাওয়া না লাগে।
- বাচ্চাকে ভালো পজিশনে নিয়ে দুধ খাওয়াতে হবে।
- বাচ্চা যখনই কান্না করবে তখনই তাকে দুধ খাওয়াবেন।
- বাচ্চার প্রচুর ক্ষুধা লাগলে ও তাকে কৌটা দুধ দিবেন না চেষ্টা করবেন বুকের দুধ পান করানোর এতে সে ক্ষুধার্ত অবস্থায় বুকের দুধ খাওয়া শুরু করবে এভাবে সে আপনার দুধের প্রতি অভ্যস্ত হতে থাকবে।
- প্রথম অবস্থায় বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানোর সময় একটু ব্যথা অনুভূত হবে তবে ধীরে ধীরে সেটি ঠিক হয়ে যাবে।
আপনি যদি ওপরের এই উপায় গুলো অনুসরণ করেন তাহলে আপনার বাচ্চা দুধ খেতে বাধ্য শিশুরা নিষ্পাপ হয় ওদেরকে আপনি যা শিক্ষা দিবেন তারা তাই শিখবে প্রথম অবস্থা থেকে অনেকে কৌটা দুধ পান করায় যার কারণে বাচ্চারা কৌটা দুধের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে পরবর্তী সময়ে শেয়ার আপনার বুকে দুধ পান করতে চাই না এই জন্য তাকে কৌটার দুধ খাওয়ানো এখন থেকে বাদ দিন আর বুকের দুধ পান করার একটি শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধ কিন্তু খুবই জরুরী।
বাচ্চা শরীরে এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং সমস্ত রোগ বালাইকে দূর করে।আসা করছি উপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করনীয় কি। এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা যা খাবেন না।
শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা যা খাবেন না
আমরা অনেকেই এ বিষয়ে জানিনা যে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় কি কি খাওয়া যায় আর কি কি খাওয়া যায় না। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমরা আজকের এই পোষ্টের বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় কি কি খাওয়া যাবে? আর কি কি খাওয়া যাবে না সেই বিষয়টি তালিকা তৈরি করেছি। বাচ্চা হবার পর একটি মায়ের ঘাড়ে অনেক রেস্পন্সিবিলিটি অথবা দায়িত্ব চলে আসে।এই সময় নিজের সাথে বাচ্চার কথা ভাবতে হবে। বাচ্চার কোন খাবারে ক্ষতি হবে কোন খাবারে ভালো হবে। এই সমস্ত দিকে খেয়াল রাখতে হবে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে এবার আমরা জেনে আসি শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা যা খাবেন না।
টক জাতীয় খাবার
বাচ্চাকে দুধ খাওয়ার সময় কখনো টক জাতীয় খাবার খাওয়া যাবেনা যেমন লেবু কমলা লেবু তেতুল। আমরা অনেকেই টক খাবার খেতে খুব ভালোবাসি তবে সেটি গর্ভাবস্থায় খেতে পারেন আপনি। গর্ভাবস্থায় একটি মা যত ইচ্ছা টক জাতীয় খাবার খেতে পারে এটি কোন বাধা নেই টক জাতীয় খাবার গ্রহণের ফলে বাচ্চার ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং বাচ্চার বুদ্ধি বিকাশ দ্রুত হয়। গর্ভাবস্থায় কমলালেবু তেতুল থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি টক জাতীয় খাবার খেতে পারেন তবে বাচ্চা হওয়ার পর কিন্তু আপনি খাবার খেতে পারবেন না।
কলা
বাচ্চা হওয়ার পর কাঁচা কলা অথবা পাকা কলা কোনটি খাওয়া যাবে না এতে বাচ্চার পেটে সমস্যা হতে পারে এইজন্য বাচ্চা হওয়ার পর কখনোই কাঁচা কলা অথবা পাকা কলা খাবেন না। কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম সহ আরো বিভিন্ন খনিজ উপাদান ও ভিটামিন রয়েছে তবে এটি বাচ্চা হওয়ার পর খেলে বাচ্চা শরীরে ক্ষতিকর ইফেক্ট পড়তে পারে।
শুকনো বাদাম
শুকনো বাদামের প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ ভিটামিন রয়েছে তবে গর্ভাবস্থায় আপনি যদি শুকনো বাদাম খান তাহলে আপনার বাচ্চার বুদ্ধি দ্রুত বিকাশ হবে এবং বাচ্চার গায়ের রং উজ্জ্বল ফর্সা হবে। কিন্তু বাচ্চা হওয়ার পর শুকনো বাদাম খেলে বাচ্চা শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে এই জন্য বাচ্চা হওয়ার পর কখনোই শুকনো বাদাম খাওয়া যাবেনা।
চা অথবা কফি
হওয়ার পর অতিরিক্ত পরিমাণে চা অথবা কফি খাওয়া যাবেনা এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন পাওয়া যায় যা বাচ্চার শরীরে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে। আপনি যদি চা অথবা কফি লাভার হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে দিনে এক কাপ চা অথবা কফি খেতে পারেন তবে এর চেয়ে বেশি খেলে এটি আপনার বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।আশা করছি ওপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা যা খাবেন না।
অন্তত প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়াতে হবে আর বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় কখনো উপরের এই খাবারগুলো খাবেন না কারণ আপনি যখন এই খাবারগুলো গ্রহণ করবেন তখন এটি আপনার শরীরে থাকবে এবং সেই বুকের দুধ যখন আপনার বাচ্চা পান করবে তখন এটি আপনার বাচ্চা শরীরে ক্ষতিকারক খেলবে এজন্য কখনোই বাচ্চাকে দুধ পান করানোর সময় উপরের এই খাবারগুলো গ্রহণ করবেন না। এবার বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ার সময় কি কি খাওয়া যাবে সে বিষয়ে জানতে এক নজর হয়েছে দেখে নিন।
বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ার সময় কি কি খাওয়া যাবে
বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ার সময় আমরা যেসব খাবো সেইসব ভিটামিন আমার বাচ্চার শরীরের মধ্যেও স্থানান্তরিত হবে কিভাবে? আপনি যখন একটি খাবার গ্রহণ করবেন তার পুষ্টিগুণ আপনার শরীরে যাবে এবং যখন আপনার শরীর থেকে আপনার বাচ্চা বুকের দুধ পান করবে তখন সেই পুষ্টিগুণ আপনার বাচ্চা শরীরে স্থানান্তরিত হবে এজন্য বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় অনেক খাবার এড়িয়ে চলতে হয়। যেমন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ টক খাবার,
শুকনো বাদাম, পাকা কলা, কাঁচা কলা, চা অথবা কফি। ইতিমধ্যে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে কেন এই খাবারগুলো খাওয়া যায় না এবার চলুন আমরা জেনে আসি বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ার সময় কি কি খাওয়া যাবে অর্থাৎ কি কি খাবার বাচ্চা শরীরের জন্য ভালো হবে।
পাকা পেঁপে অথবা কাচা পেঁপে
পেঁপে কাঁচা হোক অথবা পাকা এতে রয়েছে হাজারো পুষ্টিগুণ ও খনিজ উপাদান। পেঁপেতে এতসব ভিটামিন রয়েছে যা এক দুই লাইনে বলে শেষ করা সম্ভব নয় পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন এ ভিটামিন বি ১ ভিটামিন বি ১২ পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম প্রোটিন সোডিয়াম উপাদান। এই উপাদানগুলো আপনার বাচ্চার শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি ত্বক সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর করে গর্ভাবস্থায় আমাদের শরীরে বিভিন্ন প্রকার সমস্যা দেখা দেয়।
যেমন ত্বকের চুলকুনি, ফুসকুড়ি। তাই বাচ্চা হওয়ার পর বেশি বেশি পাকা পেঁপে অথবা কাঁচা পেঁপে খাবেন এতে আপনার ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর হবে এবং আপনার বাচ্চা সুস্থ থাকবে। অতিরিক্ত পরিমাণে পেঁপে খাওয়া যাবে না কিন্তু যেহেতু পেঁপে একটি ঠান্ডা ফল এটি অতিরিক্ত খাওয়ার পরে আপনার বাচ্চার ঠান্ডা লেগে যেতে পারে।এইজন্য সোনামনির সুস্থ শরীরের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পাকা পেঁপে অথবা কাঁচা পেঁপে খাবেন।
পেয়ারা
ফলমূলের চেয়ে বেশি উপকারী কিন্তু আর কিছুই নেই ফলমুলে এতসব পুষ্টিগুণ ও খনিজ উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী শুধু আমাদের শরীরের জন্য উপকারী নয় বরং আমাদের বাচ্চাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী এ জন্য বেশি বেশি পেয়ারা খেতে হবে পেয়ারা থেকে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট পাওয়া যায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করবে বাচ্চাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বড়দের তুলনায় অনেক কম হয়।
এই জন্য এই সময় বেশি বেশি পেয়ারা খেতে হবে পেয়ারা থেকে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা আপনার শরীরের রোগবালাকে দূর করবে এবং আপনার সোনামনির শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করবে। এছাড়াও নিয়মিত পেয়ারা খাওয়ার ফলে হজম শক্তি উন্নত হবে।
ড্রাগন
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও ভিটামিন এক দুই লাইনে বলে শেষ করা সম্ভব নয়। ড্রাগনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন এ ভিটামিন ডি ভিটামিন সি,ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি ১২,ভিটামিন বি,পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম প্রোটিন লৌহ সোডিয়াম সহ আরো বিভিন্ন খনিজ উপাদান ও ভিটামিন। এছাড়াও ড্রাগন ফলের হয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার অথবা আঁশ যা আপনার হজম শক্তিকে উন্নত করবে এবং পেট সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যাকে দূর করবে।
গর্ভাবস্থায় আমাদের বিভিন্ন প্রকার সমস্যা থাকে বিশেষ করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আরো বেশি বৃদ্ধি পায় এর জন্য এই সময় বেশি বেশি ড্রাগন ফল খেতে হবে। ড্রাগন ফলে এত পরিমানে ফাইবার রয়েছে যা নিমিষেই আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সহ পেট সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যাকে দূর করতে পারে। মজার ব্যাপার হলো এটি নিয়মিত খাওয়ার ফলে আপনার বাচ্চা শরীর সুস্থ থাকবে এবং বাচ্চার গায়ের রং আরো উজ্জ্বল হতে থাকবে।
শাক সবজি
শাকসবজির চেয়ে বেশি ভিটামিন ও পুষ্টিকর কিন্তু আর কিছুই নেই। এইজন্য বেশি বেশি শাকসবজি খেতে হবে।বিশেষ করে সবুজ শাক। সবুজ সাত থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও উপাদান পাওয়া যায় আপনার এবং আপনার সোনামনি শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী এ জন্য বেশি বেশি শাকসবজি খাবেন। বাচ্চা হওয়ার পর আপনি যত বেশি শাকসবজি খাবেন আপনার বুকের দুধের হাত তত বেশি হবে এতে বাচ্চা ভর পেট দুধ খেতে পারবে না এর কারণ হলো আপনি সঠিকভাবে শাকসবজি খান না।
একটি প্লেট অথবা বাটিতে শাকসবজি নিয়ে চামচ দিয়ে খেতে থাকবেন। বুকের দুধের হার অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার শরীর সুস্থ থাকবে। বাচ্চা হওয়ার পরেই নয় সবসময় চেষ্টা করবেন বেশি বেশি শাকসবজি খাওয়ার শাকসবজি খাওয়ার ফলে শরীরের যাবতীয় রোগবালাই দূর হবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। যেমন পুঁইশাক পালং শাক এই শাক গুলো থেকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার প্রোটিন ও পটাশিয়াম পাওয়া যায় যা আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
ফাইবার আপনার পেট সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা কে দূর করবে প্রোটিন আপনার চুল পড়া রোধ করবে গর্ভকালীন সময় থেকে শুরু করে বাচ্চা হওয়ার পর পর্যন্ত চুল পড়া সমস্যার জন্য বেড়েই চলেছে এই অবস্থায় বেশি বেশি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করতে হবে এতে আপনার চুল পড়ার সমস্যা দ্রুত দূর হবে।
প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি এতক্ষনে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ার সময় কি কি খাওয়া যাবে এবং বাচ্চাদের নাক দিয়ে দুধ পড়ার কারণ কি। আমরা আজকের এই পোস্টে আপনাদের সুবিধার্থে বাচ্চাকে বুকে দুধ খাওয়ানোর সময় কি কি খাওয়ানো যাবে না এবং কি কি খাওয়ানো যাবে সে সমস্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম।
পাঠকদের কিছু প্রশ্ন
১ মাসের শিশুর সর্দি হলে করণীয় কি
এক মাসের শিশুর সর্দি হলে এত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এই সময় সোনামণিদের শরীর অনেক বেশি সেনসিটিভ থাকে তাই কোন একটি ভুলে তার মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
বাচ্চার নাক দিয়ে পানি পড়লে করণীয় কি
বাচ্চার নাক দিয়ে পানি পড়লে তার বুকে হালকা গরম সরিষার তেল মালিশ করে দিতে হবে।
শিশুর নাকে সর্দি হলে করণীয় কি?
শিশুর নাকে সর্দি হলে এক চামচ তুলসীর সিরাপ অথবা তুলসী পাতার রস পান করাবেন এতে দ্রুত সে সর্দি থেকে রেহাই পাবে।
শিশুর বন্ধ নাক খোলার উপায় কি?
বন্ধনা খুলতে চাইলে তার বুকে হাল্কা গরম সরিষার তেলের সাথে হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে ম্যাসাজ করে দিতে হবে। নাকে একটু সরিষার তেল দিবেন। এতে সরিষার তেলের ঝাঝে দ্রুত তার বন্দ নাক খুলে যাবে।
নাক বন্ধ হলে ঘরোয়া উপায় কি?
নাক বন্ধ হলে উপরের উপায় গুলো অনুসরণ করুন আমরা আজকের এই পোস্টে বন্ধ না খোলার সমস্ত ঘরোয়া উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ কি?
নাকের ভেতরের পর্দাটি অতিরিক্ত পাতলা হলে সহজে সেটি ফেটে যায় এবং নাক দিয়ে রক্ত পড়া শুরু হয় বিশেষ করে যখন আমরা নাকে প্রেসার দিয়ে হাচ্চি দেই তখন নাকের ভেতরের পাতলা পর্দাটি ফেটে যায় এই অবস্থায় নাক থেকে প্রচুর রক্ত বের হয়।
বাচ্চাদের নাক দিয়ে দুধ পড়ার কারণ কি?
বাচ্চার নাক দিয়ে দুধ পড়ার অন্যতম একটি কারণ হলো তাকে জোর করে দুধ খাওয়ানো অথবা ভুল পজিশনে দুধ খাওয়ানো। আবার অনেক সময় দুধ অতিরিক্ত গরম হলে বাচ্চার নাক দিয়ে দুধ তুলে ফেলে।
লেখকের শেষ কথা
পাঠক আমরা আজকের এই পোস্টে বাচ্চাদের নাক দিয়ে দুধ পড়ার কারণ কি, এবং বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ার সময়সীমা কি, নাক বন্ধ হলে ঘরোয়া উপায় কি, বাচ্চার নাক দিয়ে পানি পড়লে করণীয় কি, বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করণীয় কি এবং শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ার সময় মা যা খাবেনা এই সমস্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। বাচ্চার নাক দিয়ে দুধ ফলের অন্যতম একটি কারণ হল বাচ্চাকে জোর করে দুধ খাওয়ানো। আবার অনেক সময় যখন আমরা ভুল পজিশনে বাচ্চাকে ধরে দুধ খাওয়াই,
এই সময় তারা নাক দিয়ে দুধ তুলে ফেলে এর জন্য বাচ্চাকে প্রথমে সঠিক পজিশনে নিতে হবে। তোর বাচ্চাকে ধীরে ধীরে দুধ খাওয়াতে হবে। একসাথে বাচ্চার মুখে অনেকগুলো দুধ দেওয়া যাবে না। বাচ্চাকে গরম দুধ দিলে বাচ্চা সেটি মুখে নিতে না পেরে নাক দিয়ে তুলে ফেলে এইজন্য প্রথমে বাচ্চাকে দুধ দেওয়ার আগে ভালোভাবে আপনি চেক করে নিবেন যে দুধটি হালকা গরম নাকি বেশি গরম। হ্যাঁ বাচ্চাকে কখনোই কৌটার দুধ পান করাবেন না।
সবসময় চেষ্টা করবেন বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করানোর বুকের দুধ বাচ্চার জন্য প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত শাল দুধ হিসেবে কাজ করে এই দুধ দিয়ে আপনি যত বেশি পান করাবেন বাচ্চার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক ততটাই বাড়বে। প্রথম অবস্থায় বাচ্চা শরীর অনেক বেশি নাজুক হয় তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম হয় এজন্য তাদেরকে বেশি বেশি পান করাতে হবে এতে তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং শরীর সুস্থ থাকবে।
এছাড়াও আমরা আজকের এই পোস্টে বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করণীয় কি সেই বিষয়ে আলোচনা করেছি আমরা যখন প্রথম অবস্থায় বাচ্চাকে কৌটা দুধ খাওয়ানোর অভ্যাস তৈরি করি তখন সে সেই কৌটার দুধের প্রতি অভ্যস্ত হয়ে পড়ে এই অবস্থায় এসে কোনোভাবেই কিন্তু আপনার বুকের দুধ পান করতে চাইবে না।এইজন্য আপনার সোনামনিকে প্রথমে নিজের বুকের দুধে অভ্যস্ত করুন। সে খেতে না চাইলে তাকে জোর করে ধীরে ধীরে খাওয়াতে থাকুন।এতে সে আপনার বুকের দুধের প্রতি অভ্যস্ত হতে থাকবে। করছি ওপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে বাচ্চার নাক দিয়ে দুধ পড়ার কারণ কি এবং বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করণীয় কি।
ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url