পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয় - পেট ব্যাথা বেশি হয়?

পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি ব্লিডিং বেশি হয়? পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয় এবং  কি খেলে মাসিক বেশি হয় জানতে আজকের এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয়।
পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয় পেট ব্যাথা বেশি হয়?

পিরিয়ড এটি সম্পূর্ণ একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া।অনেকসময় আমরা শুনতে পাই যে পিরিয়ডের সময় টক খেলে নাকি ব্লিডিং বেশি হয় এই কথায় কতটুকু সত্যতা আছে আজ সে বিষয় নিয়ে আমরা যাচাই করব।সত্যি কি টক খাবার অথবা তেতুল খেলে কি মাসিক তাড়াতাড়ি হয়?
পেজ সূচিপত্র
     ভূমিকা      
পিরিয়ড (মাসিক) নিয়ে চিন্তিত? ভাবছেন পিরিয়ডের সময় টক জাতীয় খাবারগুলো খেলে ব্লিডিং বেশি হবে না তো? গ্রামাঞ্চলে অনেকেই বলে যে পিরিয়ডের সময় টক জাতীয় খাবার খেলে ব্লিডিং বেশি হয় কিন্তু এই ধারণাগুলোর সম্পূর্ণ ভুল কারণ টক জাতীয় খাবার সাথে ব্লিডিং এর কোন সম্পর্ক নেই। মাসিক সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে নারীদের শরীর থেকে বিষাক্ত রক্তগুলো বেরিয়ে যায়।

এটি সম্পূর্ণ এটি শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া।এটি নারীর প্রজননের জন্য ডিম্বাশয় এ ডিম্বাস্ফুটন হয় এবং তা পরবর্তী সময়ে ফ্যালিপিয়ন টিউবের মাধ্যমে গর্ভাশয় চলে আসে এবং এটি তিন থেকে চারদিন স্থায়ী হয়। গবেষণা দ্বারা জানা যায় যে নারীদের প্রতি মাসেই এই পিরিয়ড দেখা যায় এবং এটি সর্বোচ্চ সাতদিন অবধি স্থায়ী হতে পারে যদি কোন নারী সাত দিনের বেশি স্থায়ী হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

পিরিয়ডের সাথে টক জাতীয় খাবারের কোন সম্পর্ক নেয়। তবে টক জাতীয় খাবারের সাথে লবণ মিশিয়ে খেলে ব্লিডিং ও পেট ব্যাথা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। অনেকেই কাঁচা বরই এর সাথে হালকা লবণ মিশিয়ে খায় তবে পিরিয়ডের সময় এভাবে লবন এর সাথে বরই খেলে ব্লিডিং এর পাশাপাশি তীব্র পেট ব্যথা অনুভূত হতে পারে কিংবা আচার খেলেও ব্লিডিং বেশি হতে পারে। অর্থাৎ অতিরিক্ত লবণ যুক্ত আচার পিরিয়ড

অথবা মাসিকের সময় খাওয়া যাবেনা এতে পেট ব্যথা ও ব্লিডিং দুটোই বেশি হবে। তবে পিরিয়ডের সময় কোন খাবারগুলো খেতে হবে?চলুন জেনে আসি পিরিয়ডের সময় কোন খাবার খাওয়া উচিত

পিরিয়ডের সময় কোন খাবার খাওয়া উচিত

পিরিয়ডের সময় প্রত্যেকটি নারীর ব্লিডিং হয় আর সে ব্লিডিং এর ঘাটতি পূরণের জন্য কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত? সেই সম্পর্কে আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব। পিরিয়ডের সময় বেশি বেশি প্রোটিনযুক্ত খাবার গুলো খেতে হবে শরীরে ব্লিডিং এর ঘাটতি গুলো পূরণ করার জন্য আপনাকে হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে আইরন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গুলো খেতে হবে যেমন:
  • মাছ
  • ডিম
  • দুধ
  • ডার্ক চকোলেট
  • ফ্যাটি মাছ
  • কুমড়া
  • পালং শাক
  • কলিজা
  • মুরগি
  • লেবু
  • ডাল
  • সিদ্ধ আলু
 মাছ, ডিম ও দুধ। ডিমে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন যা শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে।পাশাপাশি ফ্যাটি মাছ খেতে হবে ফ্যাটি মাছ খেলে শরীরে শক্তির পাশাপাশি ব্লিডিং এর ঘাটতি পূরণ হবে। আর আয়রনের জন্য পালং শাক কলমুর শাক,কুমড়া ,লেবু,কলিজা, ডাল ও সিদ্ধ আলু খেতে হবে। কলিজায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা আপনার শরীরের ব্লিডিং এর ঘাট থেকে পূরণ করবে এই

জন্য পিরিয়ডের সময় বেশি বেশি কলিজা খাবেন। আর চেষ্টা করবেন পিরিয়ডের সময় দিনে ৩ থেকে ৪ বার খাবার খাওয়ার। মাসিকের সময় নারীদের শরীর দুর্বল থাকে এজন্য বেশি বেশি খাবার খেতে হবে খাবার না খেলে শরীর আরো বেশি দুর্বল হয়ে পড়বে এর জন্য বিশেষ করে পিরিয়ডের সময় এখন থেকে তিন থেকে চার বার খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে পিরিয়ডের সময় কোন খাবার খাওয়া উচিত।
এবার চলুন জেনে আসি পিরিয়ডের সময় কোন খাবার খাওয়া উচিত নয়

পিরিয়ডের সময় কোন খাবার খাওয়া উচিত নয়

পিরিয়ডের সময় নারীদের অনেক বেশি ব্লিডিং হওয়ায় শরীর দুর্বল লাগে সাথে তীব্র পেট ব্যথা সবমিলিয়ে যেন জীবন পুরো অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে এই সময় যে খাবারগুলো আপনার খাওয়া উচিত নয় তা হল অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার ও লবণযুক্ত খাবার। অতিরিক্ত মসলা ও লবণযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে ব্লিডিং এর পরিমাণ আরো বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে সাথেই তীব্র পেট ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এইজন্য মসলা ও লবণযুক্ত

খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। অনেকেই বলে যে পিরিয়ডের সময় টক জাতীয় খাবার খেলে দিন বেশি হয় কিন্তু এই ধারণাগুলো সম্পূর্ণ ভুল ত্বক জাতীয় খাবারের সাথে ব্লিডিং এর কোন সম্পর্ক নেই।তবে লবণ জাতীয় খাবার খেলে বিল্ডিং পরিমাণ বেশি হয় যেমন বোরইয়ের আচার ,জলপাইয়ের আচার ,আমের আচার এই আচারগুলোতে যখন লবনের পরিমাণ বেশি দেওয়া হয় তখন ব্লিডিং ও পেট ব্যথা দুটোই বেশি হয়। এইজন্য এখন থেকে পিরিয়ডের সময়
  • লবণযুক্ত খাবার
  • অতিরিক্ত মশলা যুক্ত খাবার
  • লবণযুক্ত বড়ই এর আচার
  • লবণযুক্ত জলপাইয়ের আচার
  • লবণ যুক্ত আমার আচার
  • লবণ যুক্ত চিপস
  • লবণ যুক্ত বিস্কিট
খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। এখন থেকে এই খাবারগুলো অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন এই খাবারগুলো খাওয়ার পরে ব্লিডিং ও পেট ব্যাথা এর পরিমাণ  আরো বেশি হতে পারে। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে পিরিয়ডের সময় কোন খাবার খাওয়া উচিত নয়।এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি যে পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয়

পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয়

অনেকেই বলে যে পিরিয়ডের সময় টাকা উচিত নয় গ্রামাঞ্চলে মাঝে মাঝে শোনা যায় যে পিরিয়ডের সময় টক খেলে নাকি ব্লিডিং ও পেট ব্যথার হার দুটোই বেশি হয় কিন্তু এই ধারণাগুলো সম্পূর্ণ ভুল কারণ টক খেলে ব্লিডিং পরিমাণ কখনো বৃদ্ধি পায় না।ঋতুস্রাব চলাকালীন নারীদের মধ্যে বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা যায়। যেমন: মুড সুইং ,পা ব্যথা, হাত ব্যথা, মাথা ব্যাথা, কোমর ব্যথা ,পেট ব্যথা ও কোষ্ঠকাঠিন্য।

এই সময় শরীর অনেক বেশি দুর্বল থাকে।ঋতুস্রাব চলাকালীন শরীর সুস্থ রাখতে বিশ্রাম করতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম না করলে শরীর আরো বেশি দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।এই জন্য ঋতুস্রাব চলাকালীন বেশি বেশি খাবার গ্রহণ করতে হবে এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গুলো খেতে হবে। পিরিয়ডের সময় টক জাতীয় খাবার খেলে শরীরের এনার্জি যোগানোর পাশাপাশি মুড ভালো থাকে। এছাড়াও আপনি

যদি পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে টক দই খান কিংবা টক জাতীয় খাবার খান তাহলে হাথ ও পায়ের ব্যাথা ও মাথা ব্যাথা কম হয়।সাথেই যদি কোষ্ঠকাঠিন্যর মত সমস্যা থাকে তাহলে সেগুলোও দূর হয় এইজন্য এখন থেকে পিরিয়ডের সময় বেশি বেশি টক দ্রুত খাবার গুলো খাওয়ার চেষ্টা করবেন তবে টকযুক্ত লবণ সমৃদ্ধ খাবার নয়। অর্থাৎ বড়ইয়ের আচার কিংবা জলপাইয়ের আচার এসব লবণসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া যাবে না
এতে ব্লিডিং ও পেট ব্যথার হাড় দুটোই বেশি হবে।আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয়।এবার চলুন আমরা জেনে আসি টক খেলে কি মাসিক তাড়াতাড়ি হয়

টক খেলে কি মাসিক তাড়াতাড়ি হয়

গ্রামাঞ্চলের প্রবাদ রয়েছে যে টক খেলে মাসিক তাড়াতাড়ি হয় এই জন্য অনেকেই মাসিক অনিয়মিত হলে বেশি বেশি টক জাতীয় খাবার খান যেন মাসিক দ্রুত হয় তবে এই ধারণা গুলো সম্পূর্ণ ভুল কারণ কারো মাসিকের সাথে টক জাতীয়  খাবারের কোন সম্পর্ক নেই। তবে যদি কোন নারী অনিমিত মাসিক থাকে তাহলে সে নিয়মিত বরইয়ের আচার অথবা জলপাইয়ের আচার খেতে পারে এতে দ্রুত মাসিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে

কারণ বড়ই এর আচারে অতিরিক্ত লবণ ব্যবহার করা হয় আর এই লবণের ফলে মাসিক হওয়া সম্ভাবনা আরো বেশি বৃদ্ধি পায়। এইজন্য অনিমিত মাসে দূর করতে লবণ জাতীয় টক খাবার খেতে হবে এতে দ্রুত ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব। তবে ঋতুস্রাব চলাকালীন মসলা ও লবণযুক্ত খাবার খেলে ব্লিডিং ও পেট ব্যথার পরিমাণ আরো বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে এইজন্য চলাকালীন সময়ে এসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে

তবে অনিয়মিত মাসিকের ক্ষেত্রেও লবণযুক্ত খাবার ওষুধের মত কার্যকরী।যারা অনিয়মিত মাসিকে ভুগছেন তারা নিয়মিত সকালে লবণযুক্ত টক খাবার গুলো খাবেন এতে দ্রুত অনিয়মিত ঋতুস্রাব দূর হবে। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে টক খেলে কি মাসিক তাড়াতাড়ি হয় নাকি।এবার চলুন আমরা জেনে আসি তেতুল খেলে কি মাসিক তাড়াতাড়ি হয়

তেতুল খেলে কি মাসিক তাড়াতাড়ি হয়

তেঁতুল খেলে কি মাসিক তাড়াতাড়ি হয় এই কথায় কতটুকু সততা আছে? প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয়ই ছোট থেকে শুনে আসছেন যে তেতুল খেলে মাসিক তাড়াতাড়ি হয় কিন্তু এটা কি সত্যি অনেকেই তো বলেন পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয় ? মাসিক তাড়াতাড়ি হয় নাকি বৃদ্ধি পায়? পিরিয়ডের সময় তেতুল অথবা টক জাতীয় খাবার খেলে হাত পায়ের ব্যথা সহ মুড সুইং দূর হয়। সাথেই কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা দূর হয়

এই জন্য মাসিক চলাকালীন সময়ে আপনি নিশ্চিন্তে টক জাতীয় খেতে পারবেন। তবে ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়ে যদি লবণসমৃদ্ধ টক জাতীয় খাবার খায় তাহলে ব্লিডিং ও পেট ব্যথার হার বৃদ্ধি পেতে পারে। এইজন্য ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়ে কখনোই লবণ অথবা মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।কিন্তু আপনার যদি অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা থাকে তাহলে নিয়মিত লবণ ও মসলা যুক্ত খাবার খেতে হবে

এতে অনিয়মিত মাসিক অথবা পিরিয়ড দুর হবে এবং তাড়াতাড়ি মাসিক হবে।তেতুলের সাথে তাড়াতাড়ি মাসিকের কোনো সম্পর্ক নেই ঠিকই কিন্তু লবণযুক্ত তেতুল খেলে মাসিক তাড়াতাড়ি হবে।লবণযুক্ত টক খাবার খাওয়ার ফলে অনিয়মিত মাসিক দুর হয়। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে তেতুল খেলে কি মাসিক তাড়াতাড়ি হয় নাকি।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করলাম পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয়। ব্লিডিং বেশি হয় নাকি কম হয় আশা করছি উপরে তো এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে পিরিয়ডের সাথে টক জাতীয় খাবারের কোন সম্পর্ক নেই তবে লবণ জাতীয় ও ময়লা জাতীয় খাবার বেশি খাওয়ার ফলে ব্লিডিং ও পেট ব্যাথা দুটোই বেশি হতে পারে। যারা ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়ে তেতুল খাওয়া নিয়ে

চিন্তিত আছেন আজকের এই পোস্টটি তাদের জন্য।আজকের এই পোস্ট আমরা আলোচনা করলাম কি খেলে মাসিক বেশি হয়।যেমন মসলা যুক্ত খাবার, লবণযুক্ত চিপস লবনযুক্ত বিস্কুট এই খাবারগুলো খাওয়ার ফলে ব্রিডিং ও পেট ব্যথার পরিমাণ অনেক বেশি হতে পারে এইজন্য ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়ে এইসব খাবার থেকে এড়িয়ে চলুন।আর প্রিয় পাঠক আপনার অনিয়মিত ঋতুস্রাব এর সমস্যা থাকে তাহলে নিয়মিত

লবণযুক্ত টক সমৃদ্ধ খাবার গুলো খেতে হবে।এতে দ্রুত অনিয়মিত ঋতুস্রাব থেকে রেহাই পাবেন।আসা করছি আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন।আজকের এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন আর হ্যাঁ আপনি যদি এমন পোস্ট আরো পেতে চান তাহলে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url