প্রচন্ড মাথা ব্যাথা? মাথা ব্যাথা য় কোনো কাজে মন বসছে না? ভাবছেন কি খেলে মাথা ঘোরা কমবে? তাহলে জেনে নিন আজকের এই পাঁচটি ঘরোয়া টোটকা যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার মাথা ঘোরা থেকে মুক্তি পাবেন।
মাথা ঘোরা খুবই সাধারণ সমস্যা। মাথা ঘুরে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কিন্তু খুবই মুশকিল।মাথা ঘোরার একাধিক কারণ রয়েছে।মাথা ঘোরার কারণ ও সমাধান জানতে আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।আমরা আজকের এই পোস্টে আলোচনা করব কি খেলে মাথা ঘোরা কমবে এবং মাথা ঘোরা বন্ধের ঔষধ নিয়ে।
পেজ সূচিপত্র: কি খেলে মাথা ঘোরা কমবে ?জেনে নিন ৫টি ঘরোয়া টোটকা
মাথা ঘোরা কিসের লক্ষণ
হঠাৎ মাথা চক্কর দিচ্ছে? এটি কোন বড় রোগের আশঙ্কা নয় তো? ভাবছেন কি খেলে মাথা ঘোরা কমবে?আপনি কি জানেন মাথা ব্যথা কেন হয়?
আরো জানুন : হঠাৎ মাথা ঘুরানোর কারণ ও মুক্তির উপায়
শরীরে পানির অভাব অথবা ঘাটতি দেখা দিলে মাথা ব্যাথা হয়।মাথা ঘোরা অনেক সাধারণ সমস্যা মাঝে মাঝে হঠাৎ করে চক্কর দিয়ে ওঠে আমরা সাধারণ মাথা ব্যাথা ভেবে অবহেলা করি তবে প্রত্যেকটি মাথাব্যথা কিন্তু সাধারণ নয় অনেক মাথাব্যথা বড় রোগের পূর্বাভাস হয়ে আসে। তাই আপনি যদি জানতে চান মাথা ঘোরা কিসের লক্ষণ তাহলে পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন। মাথা ঘুরার বিভিন্ন কারণ রয়েছে যেমন:
মাইগ্রেন থেকে ব্যথা করে ,অনেক সময় গ্যাসের কারণে আবার উচ্চ রক্তচাপ ,ঘাড়ের ব্যাথা , ক্লাস্টার পেইন,অ্যাথ্রাইটিস থাকলেও মাথা ব্যথা করে। তবে অনেক সময় মাথা ব্যথা আমাদের কাজের চাপ এবং অতিরিক্ত চিন্তার জন্যও হয়। সাধারণ মাথা ব্যথাগুলো যেগুলো কাজের চাপ ,নিদ্রাহীনতা অথবা দুর্বলতার কারণে হয় সেগুলো সাধারণত ১-২ ঘন্টা স্থায়ী হয় এবং রেস্ট করার ফলে সেটি দূর হয়ে যায়
কিন্তু যে মাথা ব্যথা গুলো আমাদের মাইগ্রেন কিংবা উচ্চ রক্তচাপ থেকে হয় সেগুলো সারাদিন স্থায়ী হয় মাঝে মাঝে এক থেকে দুই দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে এবং সাথেই বমি বমি ভাব , মাথা ব্যাথা ও বুক ধরফর করে।আপনার মধ্যে যদি এমন কোন লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।আশা করছি উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন মাথা ঘোরা কিসের লক্ষণ জেনে আসি গ্যাস হলে কি মাথা ঘোরে
গ্যাস হলে কি মাথা ঘোরে
হজম শক্তি ভালো না হলে গ্যাস তৈরি হয় আর সে গ্যাস থেকে শুরু হয় মাথাব্যথা। মাথা ব্যথা অনেক সাধারণ সমস্যা। মাথা ব্যথা হয় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কিন্তু খুব মুশকিল।বেশিরভাগ মানুষের কাজের চাপ চিন্তা নিদ্রাহীনতা আসব কারণে মাথা ব্যাথা হয়। অনেক সময় আমাদের বদহজমের ফলে গ্যাস হলেও মাথা ঘোরে। প্রত্যেকটা মাথা ব্যথায় কিন্তু মাইগ্রেন অথবা উচ্চ রক্তচাপের জন্য হয় না অনেক সময় আমাদের গ্যাসের কারণে মাথাব্যথা হয়।
আরো জানুন : হার্ট এ্যাটাকের ৭ টি লক্ষণ গুলো কি কি?
আমার কথা শুনে আপনার অবাক হচ্ছেন তাই না যে গ্যাস থেকে মাথা ব্যথা কিভাবে পেটের সাথে মাথার সম্পর্ক কোথায় ? তবে বিজ্ঞানীরা বলেন সম্পর্ক আছে।খাবার ঠিক ভাবে হজম না হলে গ্যাস সৃষ্টি হয় আর সেখান থেকেই মাথা ব্যাথা শুরু হয়।মূলত মানব শরীরে যখন কার্বন ডাই অক্সাইড এর পরিমাণ বেড়ে যায় তখন মাথা ঘুরে সমস্যা দেখা দেয়। গ্যাস থেকে মাথা ঘোরার পাশাপাশি বমি বমি ভাব , ক্লান্তি ভাবও দেখা দেয় এবং পেট ফুলে যায়।
এছাড়াও গ্যাসের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য মাথাব্যথা নিদ্রাহীনতা এবং বিষন্নতা দেখা দেয়।আশা করছি উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন গ্যাস হলে কি মাথা ঘোরে নাকি ঘোরে না। এবার চলুন আমরা জেনে আসি হঠাৎ মাথা চক্কর দেওয়ার কারণ গুলো
হঠাৎ মাথা চক্কর দেওয়ার কারণ
হঠাৎ মাথা চক্কর দিচ্ছে ?উঠে দাঁড়ালে মনে হয় পড়ে যাব? এভাবে হঠাৎ মাথা চক্কর দেওয়ার কারণ হলো শরীরের পানি শূন্যতা, শরীরে যখন পানি শূন্যতা দেখা দেয় তখন এমন সমস্যা হয় হঠাৎ মনে হয় মাথার চক্কর দিয়ে উঠছে। এমন অবস্থায় দ্রুত স্যালাইন খাওয়া উচিত। গ্রীষ্মকালের অতিরিক্ত গরমের ফলে অনেক ঘাম হয় ফল আমাদের শরীর থেকে অনেক পানি বের হয়ে যায়। সেই পানির ঘাটতি যদি আপনি পূরণ না করতে পারেন
তাহলে পরবর্তী সময়ে এমন পানিশূন্যতা দেখা দেয় ফলে মাথা চক্কর দিয়ে ওঠে। এছাড়াও মেয়েরা যখন গর্ভবতী থাকে তখন তাদের এমন সমস্যা মাঝে মাঝেই দেখা দেয় মনে হয় হঠাৎ মাথার চক্কর দিয়ে উঠছে অথবা উঠে দাঁড়ালে মনে হয় নিচে পড়ে যাব। গর্ভাবস্থায় এটি অনেক সাধারণ সমস্যা তবুও তখন বেশি বেশি স্যালাইন খাওয়ানো উচিত।ডায়াবেটিকসের রোগীদের রক্তের শর্করা পরিমাণ হঠাৎ কমে গেলে এমন অনুভূত হয় হঠাৎ মাথার চক্র দিয়ে ওঠে।
মাথা চক্কর দেওয়ার আরো একটি কারণ রয়েছে ,বয়স যখন ৪০ থেকে ৪৫ এর ওপরে যায় তখন অতিরিক্ত খাওয়া দাওয়া করলে এমন অনুভূত হয় হঠাৎ মাথা চক্কর দিয়ে ওঠে। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন হঠাৎ মাথার জব্বর দেওয়ার কারণ গুলো কি কি এবার চলুন আমরা জেনে আসি মাথা ঘোরা ও চোখে ঝাপসা দেখার কারন কি
মাথা ঘোরা ও চোখে ঝাপসা দেখার কারন কি
আপনার কি মাঝে মাঝেই উঠে দাঁড়ালে মাথা ঘুরে এবং চোখে ঝাপসা দেখেন? এটি বড় কোন রোগের উপসর্গ নয় তো? আসলে মাথা ঘোরা ও চোখে ঝাপসা দেখার কারন কি ?এভাবে মাথা ঘোড়া কিসের লক্ষণ? মাথা ঘোরা ও চোখে ঝাপসা দেখার কারণ অনেক রয়েছে অনেক সময় শরীর দুর্বল থাকলে অথবা কাজের চাপ থাকলে এমন মাথা ঘুরে এবং চোখের ঝাপসা দেখায়। তবে আপনার যদি হঠাৎ মাথা ঘোরা ও চোখে ঝাপসা দেখা
বারবার হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে এমন হয় ঘুম থেকে ওঠার পর মাথাটা হালকা ঘুরে ওঠে আবার যখন উঠে দাঁড়ানো হয় তখন চোখে ঝাপসা দেখা যায় আবার অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপ থাকলেও এমন মাথা ঘোরা ঝাপসা দেখা যায়।এমন অবস্থায় আপনি যদি মাথা ঘোরা কমাতে চান তাহলে বেশি বেশি পানি পান করবেন। মাথা ঘোরার একমাত্র কারণ হলো শরীরে পানি শূন্যতা।
শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিলে মাথা এমন চক্কর দিয়ে ওঠে। এছাড়া অনেক সময় কাজের চাপ অথবা স্ট্রেসের জন্য এমন মাথা ঘোরা ও চোখে ঝাপসা দেখা যায়। তবে কাজের চাপের জন্য হলে সেটি ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা স্থায়ী হয় তারপর হালকা কফি অথবা একটি রেস্ট করলে সেরে যায়। আশা করছি আপনি মাথা ঘোরা ও চোখে ঝাপসা দেখার কারণ কি তা জানতে পেরেছেন। এবার চলুন আমরা জেনে আসি মাথা ঘোরা ও বুক ধরফর করার কারণ।
মাথা ঘোরা ও বুক ধরফর করছে?
হঠাৎ মাথা ঘোরা ও বুক ধরফর করার কারণ হলো ভিটামিনের ঘাটতি। শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিলে এমন মাথা ঘোরা ও বুক ধরফর দেখা দেয়। বাচ্চা হবো বয়স্ক যেকোনো বয়সী ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।এটি অনেক সাধারণ সমস্যা, মাথা ঘুরলেই যে বড়ো কোনো রোগ হয়েছে এমন টা কিন্তু নয়। অনেক সময় ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিলে মাথা ঘোরা ও বুক ধরফর করে সাথে অস্বস্তিকর অনুভূত হয়।
কোনো কাজেই মন বসে না। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে আমার শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি কিভাবে দেখা দিতে ? পারে আমি তো ঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া করি। খাওয়া-দাওয়া ঠিক থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে সারাদিন বাইরে রোদে থাকা এবং কাজের চাপ এর ফলে ভিটামিন এর ঘাটতি দেখা দিতে পারে অনেক সময় এসির দূষিত বাতাসের ফলেও ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দেয়।
এমন অবস্থায় এসির বাতাস থেকে দূরে থাকুন এবং ডেইলির খাদ্য তালিকা চেঞ্জ করুন খাদ্য তালিকায় সামুদ্রিক মাছ ফলমূল অ্যাড করুন। আপনি চাইলে ভিটামিন জাতীয় ঔষধ সেবন করতে পারেন। তবে আগে ওষুধ সেবন না করে আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে ভিটামিনের অভাব দূর করার চেষ্টা করুন। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন মাথা ঘোরা ও বুক ধরফর করার কারণগুলো সম্পর্কে এবার আসুন আমরা জেনে নেই কি খেলে মাথা ঘোরা কমবে।
কি খেলে মাথা ঘোরা কমবে
মাথা হঠাৎ ঘুরছে? উঠে দাঁড়ালে মাথা চক্কর দিচ্ছে ?এটি কোন বড় রোগের লক্ষণ নয় তো? অনেক সময় লৌ প্রেসার থাকলেও মাথা এমন চক্কর দিয়ে ওঠে।আমরা সবাই হাই প্রেসার নিয়ে চিন্তিত হাই প্রেসার হলে ডাক্তারের কাছে দৌড়াদৌড়ি করি বিভিন্ন ওষুধ সেবন করি। কিন্তু লৌ প্রেসার হলে আমরা কেউ আর সেভাবে পাত্তা দেই না। আপনি কি জানেন এই লৌ প্রেসার কত ক্ষতিকর ? লৌ প্রেসার থাকলে সারাজীবন বিভিন্ন সমস্যা ও ঝামেলা ঘাড়ে বয়ে নিয়ে বেড়াতে হবে।
তাই আসুন আর দেরি না করে আমরা জেনে আসি কি খেলে মাথা গরম কমবে অর্থাৎ কি খেলে আপনার লৌ প্রেসার দূর হবে।
নুন / লবণ খেতে হবে
লো প্রেসার রোগীদের জন্য লবণ অনেক উপকারী। এইজন্য খাবার সময় ভাতে অথবা যে কোন খাবারে হালকা করে ওপরে লবণ ছিটিয়ে নিবেন।লবণ অন্যান্য রোগীদের জন্য ক্ষতিকারক হলেও লো পেশার রোগীদের জন্য কিন্তু নুন অনেক উপকারী। লবণ শরীরের পানি ধরে রাখে এবং রক্তচাপ বৃদ্ধি করে এই জন্য লবণ লো প্রেসার রোগীদের জন্য অনেক উপকারী।
বেশি বেশি পানি পান করতে হবে
মাথা ব্যথা মূলত পানি শূন্যতার কারণেই হয়ে থাকে।পানি কম পান করলে শুধু মাথা ব্যথায় নয় মাথা ব্যথার সাথে শরীরে আরও বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধবে।এজন্য আপনি যদি বেশি বেশি পানি পান করেন তাহলে আপনার মাথা ব্যথার সমস্যা দূর হবে। আপনি যদি আপনার শরীরকে ঠিক রাখতে চান তাহলে ডেইলি তিন থেকে চার লিটার পানি পান করবেন
গ্লুকোজ খেতে হবে
গ্লুকোজ শরীরের জন্য অনেক উপকারী। সারাদিন রোদের মধ্যে কাজ করে আমাদের শরীর থেকে অনেক পানি ঘামের আকারে বেরিয়ে যায়।ফলে আমাদের শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয় পরবর্তী সময়ে পানি শুন্যতা থেকে এমন মাথা ঘোরা হঠাৎ মাথার চক্কর দেওয়া সমস্যা তৈরি হয় তাই আপনি যদি নিয়মিত গ্লুকোজ খান তাহলে আপনার শরীর থেকে পানির ঘাটতি দূর হবে এবং মাথা ব্যথাও সেরে যাবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে
অনেক সময় যখন আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হয় না তখন আমাদের এমন মাথা ব্যথা দেখা দেয়। এমন অবস্থায় অনেকেই ভাবতে পারে যে হতে পারে আমার মাইগ্রেন কোন সমস্যা হয়েছে অথবা বড় কোন রোগ হয়েছে এই জন্য এমন মাথা ব্যথা করছে কিন্তু ব্যাপারটা কিন্তু মোটেও তেমন নয়। ঠিকভাবে ঘুম না হলেও এমন মাথা ব্যথা হতে পারে এইজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে এবং বেশি বেশি পানি পান করতে হবে।
মানসিক চাপ মুক্তি থাকতে হবে
মানসিক চাপের কারণেও এমন মাথা ব্যথা হতে পারে উঠে দাঁড়ালেই মাথা চক্কর দিতে পারে। মানসিক চাপের কারণে শুধু মাথা ব্যথা হয় এমনটা কিন্তু নয় মানসিক চাপের কারণে শরীরে বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধে এই জন্য যতটা সম্ভব মানসিক চাপ মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন বর্তমান সময়ে মানুষের জীবনে বিভিন্ন কারণে মানসিক চাপ থেকে থাকে তবে চেষ্টা যতটা সম্ভব মানুষের চাপ মুক্ত থাকার।
আশা করছি উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন কি খেলে মাথা ঘোরা কমবে এবং মাথা ঘোরা কমানোর জন্য কি কি করতে হবে এবার চলুন আমরা জেনে নেই মাথা ঘোরা বন্ধের ঔষধ সম্পর্কে।
মাথা ঘোরা বন্ধের ঔষধ
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন মাথা ঘোরা কিসের লক্ষণ এবং মাথা ঘোরার কারণ ও সমাধান সম্পর্কে। মাথা ঘুরলে যেমন অস্বস্তিকর লাগে তেমনি কোন কাজের মন বসে না। মাথা ঘুরলে মাথার মধ্যে তীব্র একটি ব্যাথা অথবা যন্ত্রণা অনুভূত হয় যা খুবই অস্বস্তিকর অবস্থা সৃষ্টি করে। এমন অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য আমরা কিছু ঔষধ সম্পর্কে আলোচনা করব।
মাথা ঘোরা বন্ধের ওষুধ যে ওষুধগুলো খেলে আপনি খুব দ্রুত মাথা ঘোরা থেকে মুক্তি পাবেন।তবে ওষুধ খাওয়ার আগে চেষ্টা করুন ঘরোয়া উপায় অথবা টোটকার মাধ্যমে মাথা ঘোরা থেকে মুক্তি পাওয়ার। মাথা ঘোরা থেকে মুক্তি পাওয়ার ৫টি টোটকা জানতে নিচে দেখুন;
ঘরোয়া টোটকা ১: বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। শাকসবজি ও ফরমূল এর চেয়ে বেশি পুষ্টিকর খাবার আর কিছুই নেই।এগুলোতে রয়েছে হাজারো পুষ্টিগুণ ও ভিটামিন যা খুব সহজেই আপনাকে মাথা ঘোরা থেকে মুক্তি দিতে পারে। এইজন্য মাথা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে বেশি বেশি পুষ্টিকর ও ভিটামিন জাতীয় খাবার খান।
ঘরোয়া টোটকা ২: বেশি বেশি পানি পান করুন শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিলে মাথা ঘুরে অথবা মাথার চক্কর দিয়ে ওঠে।এই জন্য দিনে কমপক্ষে দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে হবে তাহলে আপনি মাথা ঘোরা থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।
ঘরোয়া টোটকা ৩: মাথা ঘুরলে চুপটি করে বসে পড়তে হবে আর অতিরিক্ত নড়াচড়া করা যাবে না। মাথা ঘুরে যখন আপনি উঠে দাঁড়াবেন অথবা নিচের উপরের দিকে তাকাবেন তখন আপনার মাথা বেশি ব্যাথা করবে। এইজন্য মাথা ব্যথা করলে এক জায়গায় চুপটি করে বসে পড়বেন আর বেশি নড়াচড়া করবেন না।
ঘরোয়া টোটকা ৪: মাথা ব্যথা করলে আপনি আদা চা খেতে পারেন।মাথা ব্যথার জন্য কিন্তু আদা চা অনেক বেশি উপকারী আদা চা খেলে মাথা ব্যথা খুব দ্রুত সেরে যায়।
ঘরোয়া টোটকা ৫: পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে ঘুম কম হলে মাথা ব্যথা দেখা দেয় এইজন্য নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। আর যতটা সম্ভব মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করবেন। মানসিক চাপের ফলে যে শুধু মাথা ব্যথায় হয় এমনটা কিন্তু নয় মানুষের চাপের কারণে মাথাব্যথা থেকে শুরু করে অনেক বড় বড় রোগ শরীরের মধ্যে বাসা বাঁধে।
মাথা ঘোরা বন্ধের ঔষধ সম্পর্কে জানতে নিচে দেখুন;
উপরোক্ত পাঁচটি টোটকা ব্যবহার করার পরেও যদি আপনার মাথা ব্যথা না কমে তাহলে আপনি মাথা ব্যথা বন্ধের ওষুধ সেবন করতে পারেন।আপনি যদি না জেনে থাকেন মাথা ঘোরার ঔষধের নাম কি তাহলে নিচে দেখুন।
- (সিনারণ ১৫ মিলিগ্রাম) এই ওষুধটি বাচ্চা থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক অবধি প্রত্যেকে খেতে পারবে।
- (নারিয়াম ১৫ মিলিগ্রাম) এই ওষুধটি শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। প্রাপ্ত বয়স্করা দিনে দুইটি খেতে পারবেন।
- (ভার্টিনা প্লাস ১৫ মিলিগ্রাম) এই ওষুধটি প্রাপ্ত বয়স্করা দিনে দুইটি সেবন করতে পারবেন।
- (টাফনিল ২০০ মিলিগ্রাম) যখন অতিরিক্ত মাথা ব্যথা হবে তখন আপনি এই ওষুধটি সেবন করতে পারবেন।এই ওষুধটি সেবন করার ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যেই মাথা ব্যাথা দূর হয়।
উপরের এই ৪টি ওষুধ মাথা ব্যথার জন্য অনেক বেশি কার্যকরী আপনি চাইলে নিঃসন্দেহে এই ওষুধগুলো খেতে পারেন।মাথা ঘোরার ওষুধ গুলোর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকারী এবং অন্যতম একটি ওষুধ হলো সিনারন। এই ওষুধটি সেবন করলে খুব দ্রুত মাথা ব্যথা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
লেখকের শেষ কথা
আমার মতে আপনার যদি অতিরিক্ত মাথা ব্যাথা হয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত আর যদি সাধারণ মাথাব্যথা হয় তাহলে আপনি উপরের টিপস গুলো অনুসরণ করলেই খুব সহজে মাথা দূর করতে পারবেন। আর হ্যাঁ মাথা ব্যথা করলে আগেই ওষুধ সেবন করবেন না চেষ্টা করবেন ঘরোয়া টোটকা অথবা উপায় এর মাধ্যমে মাথা ব্যাথা দূর করার আজকের এই পোস্টে আলোচনা করলাম মাথা ঘোরার কারণ ও সমাধান ,কি খেলে মাথা ঘোরা কমবে ,হঠাৎ মাথার চক্কর দেওয়ার কারণ এবং মাথা ঘোরা বন্ধের ঔষধ সম্পর্কে। আজকের এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন আর হ্যাঁ এমন পোস্ট আরো পেতে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।