পিরিয়ডের কত দিন পর রোজা রাখা যাবে হাদীস কি বলে?

আপনি কি জানেন পিরিয়ডের কতদিন পর রোজা রাখা যাবে? যেহেতু আগামী ১২ই মার্চ থেকে বাংলাদেশের রোজা হতে চলেছে তাই এই বিষয়ে আমাদের প্রত্যেকের জানা উচিত যে পিরিয়ডের কত দিন পর রোজা রাখা যাবে। আমরা আজকের এই পোস্টে রোজা অবস্থায় মাসিক হলে করণীয় কি, অনিয়মিত মাসিক হলে নামাজ পড়া যাবে কি, রোজা অবস্থায় মাসিক হলে করণীয় এবং পিরিয়ডের কত দিন পর রোজা রাখা যাবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
পিরিয়ডের কত দিন পর রোজা রাখা যাবে
পবিত্র মাহে রমজানের এই মাসটি আমাদের প্রত্যেক মুসলিম ভাই বোনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বছরে একবার আসে এই রমজানের মাস। এটি অবশ্যই অন্যান্য মাসের তুলনায় অনেক বেশি ফজিলতপূর্ণ একটি মাস। এইজন্য আমাদের উচিত প্রত্যেকের রমজান মাসে বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করা সূরা পাঠ করা আল্লাহর কাছে দোয়া চাওয়া নামাজ পড়া রোজা রাখা। তবে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে যে মেয়েদের পিরিয়ডের কত দিন পর রোজা রাখা যাবে কিংবা রোজা অবস্থায় মাসিক হলে করণীয় কি? এই অবস্থায় রোজা রাখা যাবে নাকি ভেঙে দিতে হবে? আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব পিরিয়ডের কত দিন পর রোজা রাখা যাবে এবং রোজা অবস্থায় মাসিক হলে করণীয় কি।

পেজ সূচিপত্র

     ভূমিকা      
ঋতুস্রাব এটি সম্পূর্ণ একটি শারীরিক প্রক্রিয়া নারীদের প্রতি মাসেই ঋতুস্রাব হয় যার কারণে একে মাসিক বলে চিনা হয়। আমরা অনেকেই ঋতুস্রাবকে মাসিক বলে চিনি। মূলত এটি নারীদের সন্তান ধারণের ক্ষমতাকে সক্রিয় করে, প্রজননের জন্মদিন বাসায় থেকে ডিম্ব স্ফুটন হয়ে ফ্যালিপিয়ন নালীর সাহায্যে গর্ভাশয় এসে পৌঁছায় এবং এটি ৪ দিন থেকে সর্বোচ্চ ১০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। নারীদের প্রতি মাসে এই পিরিয়ড হয়। তবে পিরিয়ড অবস্থায় কি রোজা রাখা যাবে?

এই বিষয়ে ইসলাম কি বলে? তাদের মতো কুরআনে দেওয়া আছে পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে কিংবা ঋতুস্রাব অবস্থায় নামাজ পড়া যাবে না এবং কুরআন শরীফ তেলাওয়াত করা যাবে না। ঋতুস্রাব সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সম্পূর্ণ পাক-পবিত্র হয়ে তারপর নামাজ কায়েম করতে বলা হয়েছে কিন্তু মাসিক চলাকালীন সময়ে রোজা রাখা যাবে কিনা? জানতে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ বলুন আমরা আজকের এই পোস্টে রোজা অবস্থায় মাসিক হলে করণীয় কি এবং পিরিয়ডের কতদিন পর রোজা রাখা যাবে সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

পিরিয়ডের কত দিন পর রোজা রাখা যাবে

ইসলামী শরীয়তের বিধি-বিধানের ধারা রয়েছে যে পিরিয়ড চলা করেন সময় কখনই নামাজ এবং কোরআন শরীফ পড়া যাবে না। সাথে রোজার বিষয়টিও ক্লিয়ার করে বলা রয়েছে। যেহেতু নারীদের প্রতিমাসের পিরিয়ড হয় তাই এই সময়টি অবশ্যই রোজা এবং নামাজ কোরআন থেকে দূরে থাকতে হবে। আর বেশি বেশি সূরা ও কালেমা পাঠ করতে হবে সবসময় তেলাওয়াত করতে হবে। আমরা প্রত্যেকেই রমজান মাসের ফযীলত সম্পর্কে জানি এবং রমজান মাসের ফযীলত এক দুই লাইনে বলে শেষ করা সম্ভব না।

বাংলাদেশে আগামী ১২ তারিখে প্রথম রাজা হতে চলেছে। মুসলিম ভাইবোনদের উপর রমজান মাসে রোজা ফরজ করা হয়েছে এই জন্য আমাদের প্রত্যেকের উচিত রমজান মাসে রোজা রাখা। রোজা রাখার পাশাপাশি অবশ্যই নামাজ কায়েম করতে হবে এবং কুরআন তেলাওয়াত করতে হবে রমজান মাসে আল্লাহতালা কারোর চাওয়া পাওয়া ও আশাকে অপূরণ রাখে না। এই মাসটি নিজেদেরকে শুধরানোর মার নিজেদের আগের সমস্ত গুনাহ পাপকে মুছে নতুন জীবনকে জন্ম দিতে হবে। যেখানে পাপের কোন ছায়াও থাকবে না।

এই মাসে এত বেশি ফজিলতপূর্ণ যে আপনি যদি এই মাসে আল্লাহ তাআলার কাছে সঠিক উদ্দেশ্যে কোন কিছু চান তাহলে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই আপনার মনের আশা কে পূরণ করবে। তবে যেহেতু নারীদের প্রতি মাসে ঋতুস্রাব হয় আর ঋতুস্রাব এটি সম্পূর্ণ একটি শারীরিক প্রক্রিয়া। এটির ওপর কারোর কোন হাত নেই। ঋতুস্রাব মূলত নারীর প্রজননের ক্ষমতাকে আরও বেশি সক্রিয় করে। অনেক সময় দেখা যায় নারীদের রমজান মাসের প্রথমে অথবা শেষে কিংবা মাঝে ঋতুস্রাব হয়।

এক্ষেত্রে কি নারীরা রোজা রাখতে পারবে?  যেহেতু হাদিসের সব চলাকালীন অবস্থায় রোজা এবং নামাজ কায়েম করা থেকে বিরত থাকতে বলেছে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই মাসিক চলাকালীন অবস্থায় রোজা রাখতে পারবেন না। যখন পিরিয়ড সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যাবে এবং ন্যাপকিন সম্পূর্ণ সাদা থাকবে তখন সম্পূর্ণ পাক পবিত্র অবস্থায় রোজা রাখতে পারবে। রক্ত আসার শেষ দিনও পিরিয়ডের দিন হিসেবে গণ্য করে রোজা ও নামাজ থেকে দূরে থাকতে হবে।

অর্থাৎ পিরিয়ড যদি ৩-৪ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয় সেক্ষেত্রে ৪ দিনের পরের দিন অর্থাৎ ৫ম দিনে সম্পূর্ণ পাক পবিত্র হয়ে রোজার নিয়ত করতে পারবেন। অনেকেই রাতে পিরিয়ড ভালো হয়ে গেলে ভোর রাতে সেহরি খেয়ে রোজার নিয়ত করেন। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল এটি আপনার পাপ হতে পারে। এমনকি হলুদ স্রাব আসলেও আপনি নামাজ কিংবা রোজা রাখতে পারবেন না। পিরিয়ড সম্পূর্ণরূপে ভালো হয়ে যাওয়ার পর যখন ন্যাপকিন সাদা থাকবে তখন পাক পবিত্র হয়ে রোজার নিয়ত করতে পারবেন।
পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন পিরিয়ডের কতদিন পর রোজা রাখা যাবে সম্পূর্ণরূপে ভালো হয়ে যাওয়ার পর পরবর্তী দিনে সম্পূর্ণ পাক-পবিত্র অবস্থায় রোজার নিয়ত করতে পারবেন। ঋতুস্রাব অথবা মাসিক চলাকালীন সময়ে কখনোই রোজা কিংবা নামাজ কায়েম করবেন না এই সময়টি শুধু বিশ্রাম করবেন। আশা করছি আপনি আপনার প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেয়ে গেছেন এবার চলুন আমরা জেনে আসি রোজা অবস্থায় মাসিক হলে করণীয় কি।

রোজা অবস্থায় মাসিক হলে করণীয় 

রোজা অবস্থায় মাসিক হলে করণীয়? অনেক সময় দেখা যায় আমরা রোজা রয়েছি এবং রোজা অবস্থায় হঠাৎ মাসিক হয়ে যাই এই সময় আমাদের কি করা উচিত এই সময় কি রোজা ভেঙ্গে দেওয়া উচিত? পিরিয়ড এটি নারীদের সম্পূর্ণ একটি শারীরিক প্রক্রিয়া এবং পিরিয়ড প্রতি মাসেই হয়। এইজন্য প্রতিবছর রমজান মাসে শুরুতে রোজার মাঝে অথবা রোজার শেষে একবার মাসিক হয়। তবে চিন্তার কিছু নেই এই রোজাগুলো আপনি পরবর্তী সময়ে কাজা রোজা হিসেবে করতে পারবেন।

কিন্তু যদি রোজা অবস্থায় মাসিক হয় তাহলে কি করব? কুরআনে উল্লেখ আছে পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে কিংবা ঋতুস্রাব অবস্থায় কখনোই রোজা রাখা যাবে না এমনকি নামাজও কায়েম করা যাবে না এই সময়টি নারীদের জন্য খুবই কষ্টকর হয়ে ওঠে পেটে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয় সাথে শরীর দুর্বল থাকে এর জন্য এই সময়টি বিশ্রামের জন্য। এই সময় নারীদেরকে নামাজ এবং রোজা থেকে দায় মুক্তি দেওয়া হয়। তবে যদি রোজা অবস্থায় হঠাৎ মাসিক হয়ে যায় এক্ষেত্রে আল্লাহর কাছে দোয়া পাঠ করবেন।

মতে এই অবস্থায় রোজা না ভেঙে আল্লাহর কাছে দোয়া পাঠ করে রোজাটি করতে থাকবেন। তারপরের দিন থেকে পিরিয়ড সম্পূর্ণরূপে ভালো না হওয়া পর্যন্ত রোজা রাখবেন না বেশি বেশি তসবি তেলাওয়াত করবেন এবং সূরা পাঠ করবেন। এই সমস্ত বিষয়ে আমাদের প্রত্যেকের জেনে রাখা উচিত কারণ রমজান মাসে রোজা রাখার গুরুত্ব আমরা প্রত্যেকে জানি রোজা আমাদের প্রত্যেক মুসলিম ভাইবোনদের উপর ফরজ করা হয়েছে। অনেক সময় দেখা যায় হঠাৎ রোজা অবস্থাতেই পিরিয়ড হয়ে যায়।

পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে আল্লাহ তায়ালা আমাদের প্রজা ও নামাজ থেকে দায় মুক্তি দিয়েছেন। কারণ ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়টি সত্যি খুবই কষ্টকর। এই সময় মেয়েদের পেটে তীব্র ব্যথা হয় এবং শরীর প্রচুর দুর্বল থাকে সাথেই মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, ক্লান্তি ভাব এসব তো রয়েছেই। এইজন্য মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এই সময়টি বিশ্রাম করতে বলেছেন। তবে প্রিয় চলাকালীন সময়ে রমজান মাসে বেশি বেশি তসবি তেলাওয়াত করবেন এবং আল্লাহর কাছে দোয়া পাঠ করবেন।


প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন রোজা অবস্থায় মাসিক হলে করণীয় কি। রোজা অবস্থায় মাসিক হলে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া পাঠ করবেন। এবং মাসিক সম্পূর্ণরূপে ভালো না হওয়া পর্যন্ত রোজা এবং নামাজ থেকে বিরত থাকবেন। আর আল্লাহ তাআলার কাছে বেশি বেশি দোয়া পাঠ করবেন এবং তছবি তেলাওয়াত করবেন। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন রোজা অবস্থায় মাসিক হলে করণীয় কি এবার চলুন আমরা জেনে আসি অনিয়মিত মাসিক হলে নামাজ পড়া যাবে কি।

অনিয়মিত মাসিক হলে নামাজ পড়া যাবে কি

অনিয়মিত মাসিক হলে নামাজ পড়া যাবে কি? আমাদের অনেকের এই সমস্যাটি রয়েছে অনিয়মিত মাসিক হয়। অনিমিত মাসিক বলতে বোঝায় যখন প্রতিমাসে দুই থেকে তিনবার মাসিক হয় কিংবা ২-৩ মাস পর পর মাসিক হয়। এদিকে অনিয়মিত মাসিক বলে নিয়মিত মাসিক হলে দেখা যায় রমজান মাসে ১৫-১৬ দিন পর পর মাসিক হয় এই অবস্থায় কি নামাজ পড়া যাবে? আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব অনিয়মিত মাসিক হলে নামাজ পড়া যাবে কি।

যেহেতু কুরআন এবং হাদিসে উল্লেখ রয়েছে মাসিক চলাকালীন অবস্থাতে কখনোই নামাজ পড়া যাবে না। এমনকি মাসিক চলাকালীন সময়ে আপনি রোজা রাখতে পারবেন না এই সময়টি শুধুমাত্র আপনার বিশ্রামের জন্য। পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে নারীদের শরীর প্রচুর দুর্বল হয় যার কারণে মহান আল্লাহ তায়ালা এই সময়টি আমাদেরকে বিশ্রামের জন্য দিয়েছেন এবং এই সময়ে আমাদেরকে নামাজ ও রোজা থেকে দায় মুক্তি দিয়েছেন। তবে অনেকে রয়েছে যাদের অনিয়মিত মাসিক হয় এক্ষেত্রে অনিমিত মাসিক হলে নামাজ পড়া যাবে কি? 

যেহেতু হাদিসের ঋতুস্রাব অবস্থায় নামাজ পড়া এবং রোজা ঢাকা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন সে ক্ষেত্রে অনিমিত মাসিক হলেও আপনি নামাজ পড়তে পারবেন না হওয়া পর্যন্ত কখনোই নামাজ পড়া যাবে না যেহেতু কুরআন ও হাদিসে মানা করা রয়েছে এক্ষেত্রে যদি আপনি নামাজ পড়েন এবং রোজা রাখেন তাহলে অবশ্যই কুরআন ও হাদিসকে অমান্য করা হবে এতে আপনার পাপ হবে এই জন্য কখনো ঋতুস্রাব অবস্থায় নামাজ পড়বেন না। সাধারণত মেয়েদের মাসিক ৩-৪ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

এই ক্ষেত্রে যদি আপনার চার দিন পর্যন্ত মাসে স্থায়ী হয় তাহলে পরের দিন ৫ম দিন থেকে সম্পূর্ণরূপে পাক ও পবিত্র হয়ে নামাজ পড়তে পারবেন। আর আপনার যদি অনিমিত মাসিকের সমস্যা দীর্ঘদিন থেকে হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় মেয়েদের ১৫ থেকে ১৬ দিন পর পর মাসিক হয়। এটি কিন্তু অনেক জটিল সমস্যা। আপনি যদি এখন থেকে সতর্ক না হন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ না নেন, তাহলে পরবর্তী সময়ে আপনার প্রজননে সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাথেই আপনার রক্তশূন্যতা দেখা দিবে।

প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন অনিয়মিত মাসিক হলে নামাজ পড়া যাবে কি।  অনিয়মিত মাসিক অবস্থায় কখনোই নামাজ পড়া যাবে না। সম্পূর্ণরূপে মাসিক ভালো না হওয়া পর্যন্ত রোজা এবং নামাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। আর হ্যাঁ আপনার যদি দীর্ঘদিন যাবত এমন অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা থেকে থাকে, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এবার চলুন আমরা জেনে আসি পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হলে করণীয় কি 

পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হলে করনীয়

আপনার কি পিরিওড ১০ দিন থেকে ১৫ দিন ১৬ দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকে? সাধারণত পিরিয়ড ৩ থেকে ৪ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে সর্বোচ্চ ১০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। তবে অনেকের দেখা যায় পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি সময় পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এটি অবশ্যই অনিয়মিত মাসিক। সাধারণত মাসিক তিন থেকে চার দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে সর্বোচ্চ ১০ দিন তবে বেশি সময় পর্যন্ত স্থায়ী হলে অবশ্যই এটি অনিমিত মাসিক এবং আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সঠিক সময় চিকিৎসকের পরামর্শ না নিলে, 

পরবর্তী সময়ে আপনার প্রজননের সমস্যা দেখা দিতে পারে এই জন্য সময় থাকতে এখনই সাবধান হোন এবং ১০ দিনের বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এছাড়াও ১০ দিনের বেশি সময় পর্যন্ত পিরিয়ডের স্থায়ী থাকলে শরীরের রক্তশূন্যতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা থাকলে সঠিকভাবে ঘুম হয় না চোখের নিচে কালচে দাগ পড়ে যায়। সাথেই ত্বকের বিভিন্ন প্রকার আরো অন্যান্য দাগ সৃষ্টি হয়। নারীদের শারীরিক একটি প্রক্রিয়া হলো ঋতুস্রাব এটি সাধারণত প্রতিমাসে হয়ে থাকে। 

যার কারণে একে মাসিক বলে চেনা হয়। তবে এটি যদি আপনার দশ দিনের বেশি সময় পর্যন্ত স্থায়ী হয়। তাহলে অবশ্যই এটি অনিয়মিত মাসিক এবং আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়াও আপনি যদি ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমে অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা দূর করতে চান সে ক্ষেত্রে নিচের লিংকে ক্লিক করুন আমরা এই পোস্টে অনিয়মিত মাসিক দূর করার সমস্ত ঘর বা উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তবে হ্যাঁ দীর্ঘদিন যাবত অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা থাকলে আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হলে করণীয় কি। দশ দিনের বেশি হলে অবশ্যই এটি অনিয়মিত মাসিক হিসেবে গণ্য করা হবে। সমাজে এমন অনেক মেয়ে রয়েছে যারা অনামিকা মাসিকে ভুগছেন কিন্তু সমাজের লোক লজ্জার জন্য এই সমস্যাগুলো প্রকাশে আনতে পারেন না। যার কারণে তারা দিনের পর দিন নিজেদের মধ্যে এমন জটিল কে পুষে রাখেন। তবে আপনি হয়তো জানেন না আপনি যদি এখন অনিমিত মাসিকে অবহেলা করেন,

তাহলে পরবর্তী সময়ে আপনার প্রজননে অর্থাৎ সন্তান ধারণের সমস্যা দেখা দিতে পারে এমনকি আপনি সন্তান ধরনের অক্ষম হতে পারেন। এই জন্য সময় থাকতে এখনই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে কারণ এটি সত্যিই অনেক জটিল রোগ দীর্ঘদিন যাবত অনিয়মিত মাসিকে ভুগলে একসময় আপনার রক্তশূন্যতা দেখা দিবে। প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হলে করনীয় কি। এবার চলুন আমরা জেনে আসি অনিয়মিত মাসিক কত দিন পর পর হয়।

অনিয়মিত মাসিক কত দিন পর পর হয়

আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে অনিয়মিত মাসিক কত দিন পর পর হয়? মাসিক এটি সম্পূর্ণ একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া অর্থাৎ নারীর প্রজনন অথবা সন্তান ধারনের ক্ষমতাকে আরো বেশি সক্রিয় করে। এইজন্য নারীদের মাসিক হওয়া খুবই জরুরী তবে এই সময়টি সত্যি খুব কষ্টকর কারণ যখনই পিরিয়ড হয় তখন পেটে তীব্র ব্যথা অনুভূত। সাথেই মাথা ঘোড়া ও বমি বমি ভাব তো রয়েছেই। যতই কষ্টকর হোক প্রত্যেক নারীর মাসিক হওয়া খুবই জরুরী।

আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব অনিয়মিত মাসিক কত দিন পর পর হয় ওপরে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হলে অবশ্যই সেটি অনিয়মিত মাসিক অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেকের ১৫ দিন ১৬ দিন পরপরই মাসিক হয়। অর্থাৎ প্রতি মাসে ২-৩ বার মাসিক হয় এটি অবশ্যই অনিয়মিত মাসিক আবার আরো দেখা যায় অনেকের তিন চার মাস পর পর একবার মাসিক হয়। আমরা এমন অনিমিত মাসিকে ভুগছেন তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

  • মাসে ২-৩ বার মাসিক হলে সেটি অনিয়মিত মাসিক।
  • ১৫ - ১৬ দিন পর পর ঋতুস্রাব হলে এটি অনিয়মিত পিরিয়ড 
  • ৩ - ৪ মাস পর পর মাসিক হলে এটিও অবশ্যই অনিয়মিত মাসিক।

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন অনিয়মিত মাসিক কত দিন পর পর হয়। অনেকের দেখা যায় সঠিক সময় মাসিক হয় না আবার অনেকের দেখা যায় প্রতি মাসে ২-৩ বার মাসিক হয়। বারবার মাসিক হলে কিংবা দশ দিনের বেশি সময় পর্যন্ত মাসিক স্থায়ী হলে শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এই জন্য এখন থেকে সাবধান হন এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি মাসে ২ ৩ বার মাসিক হওয়ার কারণ কি? কেনো হয় মাসে ২ ৩ বার মাসিক?

মাসে ২ ৩ বার মাসিক হওয়ার কারণ

পিরিয়ড সত্যি আজব। হলেও সমস্যা না হলেও সমস্যা দিকে এটি কষ্টকর  না হলে আবার চিন্তা। উপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে পিরিয়ডের সময় কি ঠিক কতটা কষ্টকর এছাড়াও আপনি যদি একজন মেয়ে হয়ে থাকেন তাহলে আশা করছি আপনাকে বোঝানোর প্রয়োজন হবে না। ঢলে পেট ব্যথা থেকে শুরু করে পা ব্যথা হাত ব্যথা কোমর ব্যথা পিট ব্যথা এককথায় পুরো শরীরে প্রচুর ব্যথা অনুভূত হয় সাথেই মাথা ব্যথা ও বমি বমি ভাব রয়েছে।

সমস্ত কিছু মিলিয়ে জীবন যেন অতিষ্ট হয়ে ওঠে। আর ভিডিও যদি হয় মাসে দুই থেকে তিনবার তাহলে তো ব্যাস আর কথাই নেই। তবে মাসে দুই তিনবার মাসিক হলে কিন্তু এটি সত্যি ক্ষতিকর। মাসে দুই থেকে তিনবার পিরিয়ড হলে আপনার শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা যেতে পারে এমনকি ভবিষ্যতে আপনার প্রজনন অর্থাৎ সন্তান ধারনের সমস্যা দেখা দিবে। তবে মাসে ২ ৩ বার মাসিক হওয়ার পিছে কিছু কারণ রয়েছে আজকের এই পোস্টে আমরা মাসে ২ ৩ বার মাসিক হওয়ার কারণ গুলো ব্যাক্ষা করবো।

  • আমাদের অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের কারণে অনিমিত মাসিকের সমস্যা দেখা দেয় অর্থাৎ মাসের ২ ৩ বার মাসিক হয়।
  • অতিরিক্ত শরীর চর্চা করার ফলে ফলেও মাসে ২ ৩ আশিক হতে পারে। এই জন্য এখন থেকে অতিরিক্ত শরীরচর্চা বাদ দিন।
  • জন্মনিয়ন্ত্রণের ট্যাবলেট সেবন করার ফলেও অনিয়মিত মাসিকের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন প্রতিমাসে ২ ৩ বার মাসিক হওয়া।
  • হরমোন জনিত রোগের কারণেও এমন প্রতি মাসে ২ ৩ বার মাসিক অথবা ঋতুস্রাব হতে পারে।
  • এমনকি ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ আপনার শরীরে থাকলেও এমন প্রতি মাসে ২-৩ বার মাসিক হতে পারে।

এছাড়াও অতিরিক্ত গ্যাস থাকলেও মাসে ২ ৩ মাসিক হয়। পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন মাসে ২ ৩ বার মাসিক হওয়ার কারণ কি। বেশি বেশি শরীরচর্চা করার ফলে অতিরিক্ত মাসিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে অর্থাৎ ১৫ থেকে ১৬ দিন পর পরই মাসিক হয় আবার আমাদের অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন যেমন অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়া গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকার কারণেও ঘন ঘন মাসিক হতে পারে। এছাড়া অনেকের হরমোন জনিত রোগ থাকে যার কারণে এমন প্রতি মাসে ২-৩ বার ঋতুস্রাব অথবা মাসিক হয়।

আশা করছি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন মাসে ২ ৩ বার মাসিক হওয়ার কারণ কি। মূলত এসব কারণের জন্যই এমন প্রতি মাসে ২-৩ বার মাসিক হয়। তবে প্রত্যেক বার যে গ্যাসের জন্যই ২-৩ বার মাসিক হবে ব্যাপারটা কিন্তু একদমই এমন নয়। হতে পারে এর পিছে লুকিয়ে রয়েছে জটিল কোন রোগ। সময় থাকতে আমাদেরকে যথা দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি হলুদ স্রাব হলে নামাজ পড়া যাবে কি।

হলুদ স্রাব হলে নামাজ পড়া যাবে কি

অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে হলুদ স্রাব হলে নামাজ পড়া যাবে কি? তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব হলুদ স্রাব নামাজ পড়া যাবে নাকি এবং রোজা রাখা যাবে নাকি। ইতিমধ্যেই আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে নারীদের প্রতি মাসেই ঋতুস্রাব হয় এটি সম্পূর্ণ একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। ঋতুস্রাব সর্বোচ্চ দশ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে সাধারণত তিন থেকে চার দিনের মধ্যেই ঋতুস্রাব শেষ হয়ে যায়। ঋতুস্রাবের শেষ দিনে হলুদ স্রাব দেখা যায়।

কুরআনের ক্লিয়ার ভাবে উল্লেখ করা রয়েছে যে ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়ে কখনোই নামাজ পড়া যাবে না এবং কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে না সাথেই রোজা রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে। এই সময়টি শুধু বিশ্রামের জন্য নারীদের ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়টি খুবই কষ্টকর হয়। মহান আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে পিরিয়ডের সময়ে নামাজ ও রোজা থেকে দায়মুক্তি দিয়েছেন। তবে ঋতুস্রাব সম্পূর্ণরূপে ভালো না হওয়া পর্যন্ত ন্যাপকিন সম্পূর্ণ সাদা না হওয়া পর্যন্ত নামাজ পড়া যাবে না।

অনেকেই রয়েছে সকালে ঋতুস্রাব ভালো হলে চেষ্টা করে দুপুরে অথবা বিকালে নামাজ কায়েম করা তবে এটি সম্পূর্ণ ভুল প্রক্রিয়া। কারণ কুরআনে উল্লেখ রয়েছে সম্পূর্ণরূপে ভালো হওয়ার পর তার পরের দিন পাক-পবিত্র হয়ে তার পরবর্তী দিনে নামাজ পড়া যাবে। কারণ রক্ত আশার অথবা হলুদ স্রাব হওয়ার শেষ দিনকেও অবশ্যই পিরিয়ডের দিন হিসেবেই গণ্য করা হয়। সহজ ভাষায় বলি, আপনার ঋতুস্রাব যদি তিন থেকে চার দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। সেক্ষেত্রে পঞ্চম দিনে সম্পূর্ণ পাক-পবিত্র হয়ে আপনি নামাজ আদায় করতে পারবেন।তবে আপনি চাইলেই ৪র্থ দিনে নামাজ আদায় করতে পারবেন না।

প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন হলুদ স্রাব হলে নামাজ পড়া যাবে কি। পিরিয়ড সম্পূর্ণরূপে ভালো না হওয়া পর্যন্ত নামাজ পড়া যাবে না সাথেই রোজাও রাখা যাবে না এমনকি হলুদ স্রাব আসলেও আপনি এই সময় নামাজ পড়তে পারবেন না। যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি সম্পূর্ণরূপে পাক-পবিত্র থাকছেন ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি নামাজ রোজা রাখতে পারবেন না আশা করছি ওপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন এবার চলুন আমরা জেনে আসি রোজা কত বছর বয়সে ফরজ হয়।

রোজা কত বছর বয়সে ফরজ হয়

আপনি কি জানেন রোজা কত বছর বয়সে ফরজ হয়? আগামী ১২ ই মার্চ থেকে আমাদের প্রিয় মাহে রমজান শুরু হবে অর্থাৎ 12 ই মার্চ প্রথম রোজা হতে চলেছে। রমজান মাস অন্যান্য মাসের তুলনায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ রমজান মাস হাজারও ফজিলতে ভরপুর একটি মাস এই মাসের অনেক বরকত রয়েছে। সারাদিন রোজা রাখার পর সবাই একসাথে বসে ইফতারি করার মজাটাই আলাদা সাথেই রমজান মাসটি হলো নিজেকে শুধরানোর মাস। অর্থাৎ এই রমজান মাসের উসিলায় আপনার পিছের সমস্ত গুনাহর ক্ষমা পাবেন।

যদি আল্লাহ তায়ালার কাছে সঠিক উদ্দেশ্যে কোন কিছু চান তাহলে আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই আপনার মনের আশা পূরণ করবে এই জন্য আপনাকে রমজান মাসে বেশি সুরা পাঠ করতে হবে, কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে, নামাজ পড়তে হবে এবং রোজা রাখতে হবে এক্ষেত্রে আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে রোজা কত বছর বয়সে ফরজ হয়। অনেকের বাসাতেই ছোট ছোট বাচ্চা থাকে এবং তারা রোজা রাখতে পারে না এ ক্ষেত্রে আমাদের অনেকের মনে জানার আকাঙ্ক্ষা থাকে যে রোজা কত বছর বয়সে ফরজ হয়।

ছেলেদের ক্ষেত্রে রোজা তেরো বছর থেকে ১৫ বছর এর মধ্যে রোজা ফরজ হয় অর্থাৎ ছেলেদের বয়স যখন 13 থেকে 15 হবে তখন তাদের উপর রোজা ফরজ করা হবে অর্থাৎ তাদেরকে রোজা রাখতে হবে। তবে না রাখলে কোন পাপ নেই। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে মেয়েদের ওপর রোজা 11 থেকে 13 বছরের মধ্যে ফরজ করে দেওয়া হয় অর্থাৎ মেয়েদের বয়স যখন 11 থেকে 13 বছর হবে তখন তারা রোজা রাখতে পারবে। আপনার বাসাতে যদি এমন বয়সে কোন বাচ্চা থাকে তাহলে তাদের উপরেও যা ফরজ হয়েছে, চেষ্টা করবেন তাদেরকে রোজা রাখার।

পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন রোজা কত বছর বয়সে ফরজ হয় সাধারণত রোজা ছেলেদের ক্ষেত্রে ১৩ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে ফরজ হয় এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ১১ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে ফরজ হয়। যেহেতু আগামী ১২ই মার্চ থেকে পবিত্র মাহে রমজান মাস তাই আমাদের প্রত্যেককে জানা উচিত রোজা কত বছর বয়সে ফরজ হয়। প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন।

পাঠকদের কিছু প্রশ্ন


অনিয়মিত মাসিক হলে নামাজ পড়া যাবে কি
না" অনিমিত  মাসিক চলে অবস্থায় কখনোই নামাজ পড়া যাবে না এবং রোজাও রাখা যাবে না। ইসলাম ও হাদিসের ক্লিয়ার ভাবে বলা রয়েছে যে ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়ে কখনই নামাজ পড়া যাবে না। ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়ে নামাজ পড়লে অবশ্যই ইসলাম ও হাদিসের নীতিকে ভঙ্গ করা হবে এতে আপনার পাপ হবে।

রোজা কত বছর বয়সে ফরজ হয়?
আমাদের অনেকের মনে এই প্রশ্নটি থাকে যে রোজা কত বছর বয়সে ফরজ হয় ? মেয়েদের ক্ষেত্রে রোজা 11 থেকে 13 বছরের মধ্যে ফরজ হয় এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে রোজা সাধারণত ১৩ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে ফরজ হয়।

মাস ২ ৩ বার মাসিক হওয়ার কারণ কি?
মাসে ২-৩ বার মাসিক হওয়ার পিছে রয়েছে নানান কারণ তার মধ্যে অন্যতম একটি হল আমাদের অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন ফাস্টফুড অতিরিক্ত ফাস্টফুড এবং ভাজাপোড়া খাওয়ার ফলে এমন মাসে দুই তিনবার মাসিক হতে পারে। অনেক সময় গ্যাসের কারণে ও মাসে দুই থেকে তিনবার মাসিক হতে পারে। আবার হরমোন জনিত কোন সমস্যা থেকে থাকলেও প্রতি মাসে দুই থেকে তিনবার মাসিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তবে আপনার অনিমিত মাসিকের সমস্যা যদি দীর্ঘদিন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হলে করনীয় কি?
পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হলে সেই যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে কারণ পিরিয়ড বেশি স্থায়ী হলে এটি অবশ্যই অনিয়মিত মাসিক আর নিয়মিত মাসিক অবহেলা করার ফলে পরবর্তী সময়ে আপনার প্রজননে কিংবা সন্তান ধারনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

রোজা অবস্থায় মাসিক হলে করণীয় কি?
কুরআনে ক্লিয়ার ভাবে বলা রয়েছে যে মাসিক চলাকালীন সময়ে রোজা রাখা যাবে না এবং নামাজও কায়েম করা যাবে না তবে কেউ যদি ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়ে রোজা রাখে এবং নামাজ কায়েম করে তাহলে অবশ্যই এতে পাপ হবে। জন্য মাসিক চলাকালীন সময়ে কখনোই রোজা রাখবেন না এই সময়টি শুধুমাত্র আপনার বিশ্রামের জন্য।

হলুদ স্রাব হলে নামাজ পড়া যাবে কি?
হলুদ রাগ বলে নামাজ পড়া যাবে না সম্পূর্ণরূপে ঋতুস্রাব ভালো না হওয়া পর্যন্ত এবং আপনি গোসল করে পাক পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত নামাজ পড়া যাবে না। আমরা প্রত্যেকেই জানি যে ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়ে নামাজ পড়া যায় না তবে অনেকে মনে প্রশ্ন থাকে হলুদ স্রাব হলে কি নামাজ পড়া যাবে না অবশ্যই না। হলুদ কিংবা সাদা স্রাব হলে অবশ্যই আপনাকে পাক পবিত্র হতে হবে এবং ন্যাপকিন সম্পূর্ণরূপে সাদা না হওয়া পর্যন্ত নামাজ পড়া যাবে না।

অনিয়মিত মাসিক কত দিন পর পর হয়?
অনিয়মিত মাসিক বলতে বোঝায় যেগুলো প্রতি মাসে দুই থেকে তিনবার হয় অর্থাৎ ১৫-১৬ দিন পরপর মাসিক হয়। কে অনিমিত মাসিক বলা হয় আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় তিন থেকে চার মাস পর পর মাসিক হলেও এগুলোকে অনিমিত মাসিক হিসেবে গণ্য করা হয় আর অনিমিত মাসিকে অবহেলা করার ফলে পরবর্তী সময়ে প্রজননে সমস্যা দেখা দিবে।

মাসিক শেষ হওয়ার পর আবার মাসিক হয়?
মাসিক শেষ হওয়ার পর আবার মাসিক হয় এটিই অবশ্যই একটি অনিয়মিত মাসিক সাধারণত মাসিক প্রতি মাসে একবার হয়। অনেকে রয়েছে ১৫-১৬ দিন পর পর মাসিক হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় প্রতি মাসে তিন থেকে চারবার পর্যন্ত মাসিক হয় । এগুলো অবশ্যই অনিয়মিত মাসিক এভাবে মাসিক চলতে থাকলে একসময় আপনার শরীরে রক্ত শূন্যতা দেখা দিবে।

রোজা কত বছর বয়সে ফরজ হয়?
রোজা স্বাধীনতা ছেলেদের ক্ষেত্রে ১৩ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে ফরজ হয়। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে 11 থেকে 13 বছরের মধ্যে ফরজ হয়।

রোজা অবস্থায় মাসিক হলে করণীয় কি?
কেউ তো কুরআনে উল্লেখ রয়েছে যে মাসিক অথবা ঋতুস্রাব চলাকালীন অবস্থায় কখনো রোজা রাখা যাবে না এবং নামাজ কায়েম করা যাবে না এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই এই বিধানটি মানতে হবে মাসিক চলাকালীন সময়ের রোজা এবং নামাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।

পিরিয়ডের কত দিন পর রোজা রাখা যাবে? 
আপনি কি জানতে চান পিরিয়ডের কত দিন পর রোজা রাখা যাবে? হলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন আমরা আজকের এই পোস্টের পিরিয়ডের কত দিন পর রোজা রাখা যাবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাই আপনি যদি জানতে চান পিরিয়ডের কত দিন পর রোজা হবে। তাহলে এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়তে থাকুন। আশা করছি এই পোস্টটি আপনার কাজে আসবে।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আমরা আজকের এই পোস্টের পিরিয়ডের কত দিন পর রোজা রাখা যাবে এবং রোজা অবস্থায় মাসিক হলে করণীয় কি। সাথে রোজা কত বছর বয়সে ফরজ হয় সে সমস্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। ইতিমধ্যেই আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে ভিডিওটির কতদিন পর রোজা রাখা যাবে ভিডিও চলাকালীন সময়ে কখনোই রোজা রাখা যাবে না এমনকি নামাজে কায়েম করা যাবে না কেননা কুরআনের স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা রয়েছে,

যে ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়টি শুধুমাত্র মেয়েদের বিশ্রামের জন্য। এই সময়ে রোজা রাখার কোন প্রয়োজন নেই সাথে নামাজ থেকে দায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এবার বলি পিরিয়ডের কত দিন পর রোজা রাখা যাবে। পিরিয়ড ৩ থেকে ৪ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয় তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ১০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে এক্ষেত্রে মনে করুন আপনার পিরিয়ড যদি চার দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয় তাহলে পরের দিন অর্থাৎ ৫ম আপনি সম্পূর্ণ পাক পবিত্র হয়ে রোজা রাখতে পারবেন এবং নামাজ পড়তে পারবেন। 

এমনকি শেষ দিনে হলুদ স্রাব হলেও এই অবস্থাতেও আপনি নামাজ পড়তে পারবেন না। ন্যাপকিন সম্পূর্ণরূপে সাদা না হওয়া পর্যন্ত নামাজ কায়েম করা যাবে না। এছাড়াও আমরা আজকের এই পোস্টে আলোচনা করলাম যে মাস ২ ৩ বার মাসিক হওয়ার কারণ কি। সাধারণত মাসে ২-৩ বার মাসিক হওয়ার পেছনে আমাদের অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার দাবার রয়েছে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া এবং ফাস্টফুড খাওয়ার কারণে প্রতিমাসের ২-৩ বার মাসিক হতে পারে

এটি কোন জটিল টুকরা তবে এই অবস্থাতে আমাদেরকে অবশ্যই ফাস্ট ফুড থেকে বিরত থাকতে হবে। ৫ ফুট আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় গ্যাসের জন্য কিংবা হরমোন জনিত কারণেও প্রতিমাসে দুই থেকে তিনবার মাসি হতে পারে। আপনি যদি ক্লিয়ার জানতে চান যে আপনার প্রতি মাসে দুই থেকে তিনবার মাসে কেন হয় এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আপনার নিকটবর্তী কোন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। পাঠক আশা করছি আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর গুলো পেয়ে গেছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url