বমি করলে কি রোজা ভেঙে যায় জেনে নিন সত্য হাদীস
বমি করলে কি রোজা ভেঙে যায়? অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে বমি করলে কি রোজা ভেঙে যায় নাকি। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি এবং বমি করলে কি রোজা ভেঙ্গে যায় নাকি। যেহেতু আগামী ১২ই মার্চ থেকে পবিত্র মাহে রমজান শুরু হতে চলেছে। এক্ষেত্রে আমাদেরকে অবশ্যই এই বিষয়গুলো জেনে রাখতে হবে। বমি করলে কি রোজা এবং অজু ভেঙে যায় নাকি জানতে পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন।বমি করলে কি সত্যি রোজা ভেঙ্গে যায় এক্ষেত্রে হাদিস কি বলে? ফুড পয়জিনিং হলে কিংবা খাবার সঠিকভাবে হজম না হলে বমি হতে পারে এক্ষেত্রে বমি করলে কি রোজা ভেঙে যায়? এ বিষয় জানতে আজকের এই পোস্টটি সম্পন্ন করুন আমরা আজকের এই পোষ্টের রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ কি কি সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি এবং বমি করলে কি রোজা ভেঙ্গে যায় নাকি সাথে বমি করলে কি অজু ভাঙ্গে নাকি সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
পেজ সূচিপত্র
ভূমিকা
যেহেতু আগামী ১২ই মার্চ পবিত্র মাহে রমজান শুরু হতে চলেছে সঠিকভাবে রোজা সম্পন্ন করার জন্য আমাদের প্রত্যেককে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে বমি করলে রোজা ভেঙে যায় নাকি বমি করলে কি ওযু ভাঙ্গে নাকি। পবিত্র মাহে রমজান নিশ্চয়ই অন্যান্য মাসে তুলনায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলত সম্পন্ন একটি মাস পবিত্র রমজান মাসের বরকত অনেক। যদি রমজান মাসে বেশি বেশি সূরা পাঠ করেন কুরআন তেলাওয়াত করেন রোজার সুন্দরভাবে সম্পন্ন করেন এবং নামাজ কায়েম করেন,
তাহলে আল্লাহ তায়ালা আপনার মনের সমস্ত আশা চাওয়া পাওয়া পূরণ করবেন। আল্লাহ তা'আলা চাইলে সবকিছুই সম্ভব এই জন্য আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করার জন্য আপনাকে এই মাসটিতে প্রচুর আমল করতে হবে সব সময় তসবি তেলাওয়াত করতে হবে। এই মাসটির অনেক বরকত আপনি এই মাসটির উসিলায় আপনার পিছের সমস্ত গুনাহ মুছে ফেলতে পারবেন। এইজন্য রমজান মাসটিতে রোজা করতে হবে নামাজ কেন করতে হবে সাথে বেশি বেশি তসবি তেলাওয়াত করতে হবে।
আরো পড়ুন : কপি ও পেস্ট করে প্রতিদিন 1000 - 2000 টাকা ইনকাম
তবে রোজা অবশ্যই সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। মনে প্রশ্ন থাকে বমি করলে কি ওযু ভাঙ্গে নাকি এবং বমি করলে কি রোজা ভেঙে যায় নাকি তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব বমি করলে কি রোজা ভেঙ্গে যায় নাকি। বমি করলে কি রোজা ভেঙ্গে যায় নাকি সেই বিষয়ে জানতে নিচে দেখুন।
বমি করলে কি রোজা ভেঙে যায় নাকি
অনেকে মনে করে বমি নাপাক জিনিস এবং বমি করলে রোজা ভেঙে যেতে পারে কিন্তু আমি বলি তাদের এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল কারণ হাদিসের দেওয়া রয়েছে বমি করার ফলে কখনোই রোজা ভাঙ্গে না। তবে আপনি যদি রোজা রাখতে অক্ষম হন সেক্ষেত্রে আপনি রোজা ভেঙে দিতে পারেন কারণ বমি করার ফলে শরীর অনেক বেশি দুর্বল লাগে এবং পানি পিপাসা পায় এই মুহূর্তে রোজা ভেঙে দিলে কোন পাপ হবে না। কেন আপনি চাইলেন বমি করার পর রোজা রাখতে পারেন আবার ভিন্ন দিতে পারেন এটি সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভরশীল।
অনেকের মনেই এমন প্রশ্ন থাকে বমি করলে কি রোজা ভেঙে যায় নাকি আশা করছি উপরের বক্তব্যের মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন বমি করলে কি রোজা ভেঙ্গে যায় নাকি বমি করলে রোজা ভাঙ্গে না তবে এক্ষেত্রে আপনি চাইলে রোজা রাখতে পারেন আবার বমি করার পর রোজা ভেঙে ও দিতে পারেন। গ্রামাঞ্চলে অনেকেই মনে করেন বমি করার পর রোজা ভেঙে যায়। যেহুতু বমি নাপাক জিনিস এক্ষেত্রে তারা মনে করেন বমি করলে রোজা ভেঙ্গে যেতে পারে।
কিন্তু এই ধারণা টি সম্পূর্ণ ভুল। কারণ বমিরর সাথে রোজার কোন সম্পর্ক নেই। তাই আপনি ছাড়া বমি করার পর নিঃসন্দেহে রোজা রাখতে পারেন তবে আপনার যদি দুর্বল লাগে এবং খারাপ লাগে সেক্ষেত্রে আপনি রোজা ভেঙে দিতে পারেন এক্ষেত্রে আপনার কোন পাপ হবে না। ঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন বমি করলে কি রোজা ভাঙ্গে নাকি। এবার চলুন আমরা জেনে আসি বমি করলে কি ওযু ভাঙ্গে নাকি সেই সম্পর্কে।
বমি করলে কি ওযু ভাঙ্গে
বমি করলে কি ওযু ভাঙ্গে? উপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে বমি করলে রোজা ভাঙ্গে না ভূমির সাথে রোজার কোন সম্পর্ক নেই। তবে এবার আমরা জানতে চলেছি বমি করলে কি ওযু ভাঙ্গে নাকি। হাদিসে রয়েছে বোনের সাথে ওজুরও কোন সম্পর্ক নেই অর্থাৎ এটি সম্পূর্ণ আপনার শারীরিক প্রক্রিয়া। যদি অনৈচ্ছিক ভাবে বমি হয় সেক্ষেত্রে অজু ভাঙবে না। তবে আপনি যদি ঐচ্ছিক ভাবে অর্থাৎ ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করেন সেক্ষেত্রে আপনার অজু ভেঙ্গে যাবে।
অনেকেই রয়েছে ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করে অর্থাৎ কোন খাবার ভুল করে খেয়ে ফেললে সেটি বমি করে তুলে ফেলার চেষ্টা করে এই ক্ষেত্রে কিন্তু অজু ভেঙ্গে যেতে পারে এই জন্য অজু অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করবেন না। আর যদি অনিচ্ছাকৃত ভাবে বমি হয়। সে ক্ষেত্রে ওযু ভাঙবে না। তাই প্রিয় পাঠক চিন্তা কিছু নেই আপনার যদি ওযু অবস্থায় বমি হয় সে ক্ষেত্রে আপনার ওযু ভাঙবে না এক্ষেত্রে আপনি নিশ্চিত থাকুন। কেননা হাদিসে বমির সাথে ওযু ভাঙার কোনো সম্পর্ক উল্লেখ্য নেয়।
প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের বর্ণনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন বমি করলে কি ওযু ভাঙ্গে নাকি। আপনাদের সুবিধার্থে আমি আবারো বলছি করা অবস্থায় বমি করলে কখনোই অজু ভাঙবে না। তবে যদি আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করার চেষ্টা করেন সে ক্ষেত্রে আপনার ওযু ভেঙে যেতে পারে আর যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে অর্থাৎ হঠাৎ বমি হয় সেক্ষেত্রে ওযু ভাঙবে না। এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি রক্ত বমি হলে কি রোজা ভাঙ্গে নাকি সেই সম্পর্কে।
রক্ত বমি হলে কি রোজা ভাঙ্গে
রক্ত বমি হলে কি রোজা ভাঙ্গে? প্রিয় পাঠক ওপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে বমি হলে কি ভাঙ্গে নাকি। তবে এবার আমরা জানতে চলেছি রক্ত বমি হলে কি রোজা ভাঙ্গে নাকি। কারণ অনেক সময় দেখা দেয় বমির সাথে রক্ত বেরিয়ে আসে। আর যেহেতু রক্ত নাপাক দ্রব্য এক্ষেত্রে রক্ত ভূমি হলে রোজা ভেঙে যেতে পারে। এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল কারণ রক্ত কখনোই নাপাক নয়। রক্ত বমি হওয়ার পরে রোজা ভাঙ্গে না।
অনেক সময় দেখা যায় বমি অনেক জোরে হলে সে ক্ষেত্রে গলার নালী গুলোতে চাপ পড়ে এবং অল্প রক্ত বেরিয়ে আসে এতে কখনোই রোজা ভাঙবে না। তবে আপনি যদি রোজা রাখতে সক্ষম হন, সে ক্ষেত্রে রোজা রাখবেন। কারণ বমি হওয়ার পরে শরীর অনেক বেশি দুর্বল লাগে। এক্ষেত্রে আমার মতে রোজা ভেঙে দেওয়া উত্তম হবে। তবে আপনি যদি রোজা রাখতে সক্ষম হন তাহলে রোজা রাখতে পারেন। আর যদি রোজা ভেঙে দেন তাহলে এক্ষেত্রে কোন পাপ হবে না।
তবে বোনের সাথে যদি অনেক রক্ত বেরিয়ে আসে এবং রক্ত যদি গড়িয়ে পড়ে তাহলে অবশ্যই এ ক্ষেত্রে রোজা ভেঙ্গে যাবে সাথে অজুও ভেঙে যাবে। রক্তের পরিমাণ যদি খুব বেশি হয় তাহলে এক্ষেত্রে রোজা ভেঙ্গে যাওয়াই স্বাভাবিক। অতিরিক্ত পরিমাণে রক্ত বের হলে এই সময় অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আর বিশ্রাম করতে হবে কারণ এই সময় যে শুধুমাত্র আপনার বিশ্রামের জন্য এই সময় আপনি যদি রোজা ভেঙ্গে দেন তাহলে আপনার কোন প্রকার পাপ হবে না।
পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন রক্ত বমি হলে কি রোজা ভাঙ্গে নাকি। রক্তের পরিমাণ অল্প হলে, সাথে অল্প একটু রক্ত বেরিয়ে আসলে রোজা ভাঙবে না সাথে ওজন নষ্ট হবে না তবে রক্তের পরিমাণ যদি অনেক বেশি হয় এবং সেই রক্ত যদি গড়িয়ে পড়ে তাহলে অবশ্যই অজু ভেঙ্গে যাবে সাথে রোজাও নষ্ট হবে। আশা করছি আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন এবার চলুন আমরা জেনে আসি বার বার বমি কিসের লক্ষণ।
বার বার বমি কিসের লক্ষণ
আপনার কি বার বার বমি হয়? অকারনেই বার বার বমি হয়? তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন আমরা আজকের এই পোস্টে বার বার বমি কিসের লক্ষণ সেই বিষয়ে আলোচনা করব। বার বার বমি হওয়া কিন্তু মোটেও ভালো কোন লক্ষণ নয় তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় আমাদের অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাসের জন্য বার বার বমি হয়। তবে আপনার বারবার বমি কেন হচ্ছে সেই বিষয়ে জানতে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন।
অতিরিক্ত ফাস্টফুট খেতে থাকলে বারবার বমি হতে পারে যেহেতু ফাস্টফুড আনহেলদি দ্রব্য অর্থাৎ রাসায়নিক পদার্থ এবং হাইড্রোজেনের তেল ট্রান্স ফ্যাট এবং স্যাচুয়েটেড ফ্যাটের মাধ্যমে তৈরি হয় যার কারণে এটি আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর এই জন্য এখন থেকে চেষ্টা করবেন ফাস্টফুড কে এড়িয়ে চলার কারণ ফাস্ট ফুড খাওয়ার ফলে অতিরিক্ত বমি হতে পারে। এছাড়াও বিজ্ঞানীরা বলেন সপ্তাহে দুইবারের বেশি ফাস্ট ফুড খেলে ভবিষ্যতের ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা দেখা দিবে।
এজন্য আমাদের উচিত সবার আগে ফাস্টফুড কে না বলা কার পাসপোর্ট আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর এটি আমাদের শরীরকে ভেতর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমনকি আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ফাস্ট ফুড খেতে থাকেন তাহলে যেমন আপনার ওজন বৃদ্ধি পেতে থাকবে। আরেকদিকে শরীরে বিভিন্ন প্রকার রোগবালায় দেখা দিবে সাথেই হজম শক্তি দুর্বল হতে থাকবে এবং বার বার বমি হবে। এই জন্য এখন থেকে সাবধান হোন এবং ফাস্টফুড খাওয়া বাদ দিন।
একটু খাওয়া দাওয়া করার ফলেও গর হজম হয়ে বার বার বমি হতে পারে। এখন থেকে চেষ্টা করবেন পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার গ্রহণ করার কারণ অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার গ্রহণ করলে যেমন একদিকে খাবার কি সঠিকভাবে হজম হবে না আরেক দিকে বারবার বমি হবে এর জন্য সবসময় ও পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করবেন এবং পেটে হালকা জায়গা রেখে খাওয়া শেষ করবেন। ভরপেট খেলে হাঁটাচলা করতে অসুবিধা হয় এবং পেটে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। এই জন্য এখন থেকে সব সময় অতিরিক্ত খাওয়া-দাওয়া বাদ দিন। চেষ্টা করুন পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া-দাওয়া করার।
অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলেন বার বার বমি হতে পারে। আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে এলকোহল আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর তবে অনেকেই অতিরিক্ত মদ্যপান করে। আপনি যদি অ্যালকোহলের প্রতি অনেক বেশি আকৃষ্ট থাকেন সেক্ষেত্রে চেষ্টা করবেন পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যালকোহল পান করার এবং ধীরে ধীরে এই অভ্যাসটি কমিয়ে দিতে থাকবেন একসময় অ্যালকোহল পান করা একদম বাদ দিবেন কারণ এটি সত্যি অনেক ক্ষতিকর। অতিরিক্ত মদ্যপান করার ফলে বার।বার বমি হতে পারে।
উপরের এই কারণগুলোর জন্য বারবার বমি হতে পারে। বার বার বমি কিসের লক্ষণ সেই বিষয়ে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। তবে আপনার যদি হঠাৎ করে বারবার বমি হতে থাকে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে কারণ অনেক ক্ষেত্রে জটিল রোগের উপসর্গ হয়ে আসে বারবার বমি হওয়া। এই জন্য আপনাকে এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এবার চলুন আমরা জেনে আসি রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি।
রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি
ইতিমধ্যেই আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন রোজা রাখার ফজিলত সম্পর্কে অর্থাৎ মাহে রমজানের ফজিলত সম্পর্কে এই মাসটি হাজারো বরকত কুদরতে ভরপুর একটি মাস। অবশ্যই মাহে রমজান মাসটি অন্যান্য মাসে তুলনায় অনেক বেশি স্পেশাল এবং গুরুত্বপূর্ণ এই জন্য আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে এই মাসে বেশি বেশি আমল করার অর্থাৎ সবসময় তসবি তেলাওয়াত করতে হবে, সূরা পাঠ করতে হবে, আল্লাহর কাছে দোয়া চাইতে হবে, রোজা করতে হবে, নামাজ পড়তে হবে এবং কুরআন তেলাওয়াত করতে হবে।
যেহেতু আগামী ১২ই মাঝে প্রথম রোজা হতে চলেছে সে ক্ষেত্রে আমাদেরকে রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি সেই বিষয়ে অবশ্যই জানতে হবে কারণ সঠিকভাবে প্রতিটি রয়েছে সম্পন্ন করতে চাইলে রোজা ভঙ্গের কারণ গুলোও তো আমাদেরকে জানতে হবে তাই না? তবে চিন্তার কিছু নেই আমরা আজকের এই পোস্টে রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি সেই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আপনি যদি জানতে চান রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি তাহলে নিচে দেখুন।
ধূমপান
বর্তমান সময়ে ছেলেরা এত বেশি ধূমপানের প্রতি আকৃষ্ট যে তারা যেন একটি দিনও ধূমপান ছাড়া কাটাতে পারেনা তবে ধূমপান এটি আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর এবং এটি কোন হারাম এই জন্য আপনি যদি রোজা রত অবস্থায় ধূমপান করেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার রোজাটি ভেঙ্গে যাবে এই জন্য চেষ্টা করবেন রোজা থাকা অবস্থায় কখনোই ধূমপান না করার। আবার অনেকেই রয়েছে ইফতারের পর অথবা মাগরিবের নামাজের পর ধূমপান করে অর্থাৎ সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারের পর ধূমপানে নেমে পড়ে।
এই অভ্যাসগুলো খুবই খারাপ আপনি যদি সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারের পর ধুমপান করেন সেক্ষেত্রে আপনার রোজা দুর্বল হয়ে যাবে যেহেতু ধূমপান একটি হারাম জিনিস এই জন্য চেষ্টা করবেন ধূমপান ধীরে ধীরে ছেড়ে দেওয়ার ধূমপানের প্রতি অনেক বেশি আকৃষ্ট হয়ে পড়লে এই অবস্থায় ধূমপানকে হঠাৎ ছেড়ে দেওয়া কখনোই সম্ভব নয়। চেষ্টা করতে হবে ধীরে ধীরে ধূমপান থেকে দূরে থাকার। আপনি যদি চেষ্টা করেন তাহলে সহজেই ধূমপান ছাড়তে পারবেন। এছাড়াও আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে ভালো কাজে আগ্রহী হলে আল্লাহ তাআলাও সাহায্য করেন।
মিথ্যা কথা
আপনি কি জানেন যে মিথ্যা কথা বলে রোজা ভেঙে যায়? বর্তমান সময়ে মিথ্যা বলে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল। আমরা প্রত্যেকে কোনো না কোনো সময় কোনো না কোনো কারণে মিথ্যা বলে থাকি কিন্তু মিথ্যা বলে রোজা ভেঙ্গে যায় এমনকি মিথ্যা বলে ওযু ভেঙ্গে যায় এর জন্য এখন থেকে চেষ্টা করবেন মিথ্যা কথা থেকে বিরত থাকার সত্যি যতই তিতা হোক চেষ্টা করবেন সত্যি কথা বলার। আমরা প্রত্যেকেই মিথ্যা কথা বলি কিন্তু আমাদের সামনে কেউ মিথ্যা কথা বললে আমরা আর সেটি পছন্দ করি না ঠিক তেমন আপনি যখন মিথ্যা কথা বলেন তখন আল্লাহ তায়ালা আর আপনাকে পছন্দ করবেন না।
এইজন্য এখন থেকে দ্বিতীয় বার আর কখনো মিথ্যা কথা বলবেন না বিশেষ করে রোজা রাখা অবস্থায় কখনোই বলবেন না কারণ মিথ্যা কথা বললে রোজা ভেঙ্গে যায় আর সারাদিন এত কষ্ট করে রোজা রাখার পর যদি মিথ্যা কথা বলার জন্য আমি যদি ভেঙ্গে যায় তাহলে সত্যিই এটি কষ্টকর। এইজন্য এখন থেকে কখনোই মিথ্যা কথা বলবে না আর মিথ্যাবাদী মানুষকে আল্লাহ তা'আলা কখনোই পছন্দ করে না। আপনি যদি মিথ্যা কথা বলেন তাহলে একদিকে যেমন আপনার রোজা ভঙ্গ হবে আরেকদিকে আপনার পাপের দাড়ি বৃদ্ধি হতে থাকবে।
থুথু
অনেকেই রয়েছেন রোজা রাখা অবস্থায় নিজের থুতু নিজেই খেয়ে ফেলেন। রোজা থাকা অবস্থায় এভাবে নিজের থুথু নিজে খেয়ে ফেলে রোজা ভেঙে যায়। এইজন্য রোজা থাকা অবস্থায় কখন নিজের থুতু নিজে খেয়ে ফেলবে না। প্রত্যেকবার মুখে থুথু আসলে সেটি ফেলে দিবেন। রোজা ভাঙ্গার নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই তবে আমাদের সাধারণত ডেইলি লাইফে আমরা কিছু ভুল করে থাকি যে ভুল গুলো করার কারণে আমাদের রোজা ভেঙে যেতে পারে। যেমন নিজের থুথু নিজে খেয়ে ফেলা।
যৌন মিলন
অনেক সময় দেখা যায় স্বামী স্ত্রী ভুল করে রোজা রাখা অবস্থাতেই যৌন মিলন করে ফেলে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার রোজা ভেঙে যাবে। কারণ রোজা রাখা অবস্থায় যৌন মিলন করা যাবে না এক্ষেত্রে আপনি চাইলে ইফতারের পর অথবা ঘুমানোর আগে যৌন মিলন করতে পারেন। তবে হ্যাঁ সেহেরির আগে কিন্তু অবশ্যই যৌনমিলনের পর ফরজ গোসল সম্পন্ন করতে হবে রোজার জন্য নিয়ত করতে হবে। এইজন্য এখন থেকে আর কখনো রোজা রাখা অবস্থায় যৌন মিলন করবেন না।
দাত দিয়ে রক্ত
অনেকে মনে করে দাঁত দিয়ে রক্ত পড়লে কিংবা নাক দিয়ে রক্ত পড়লে রোজা ভেঙে যেতে পারে কিন্তু এই ধারণা গুলো আসলে সম্পূর্ণ ভুল কারণ দাত দিয়ে রক্ত পড়লে কখনোই রোজা বা অজু ভেঙ্গে যায় না। তবে যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে দাগ থেকে রক্ত বের করে সেক্ষেত্রে ওযু ভেঙে যেতে পারে আর যদি অনুচ্ছাকৃত ভাবে দাত দিয়ে রক্ত পড়ে থাকে সেক্ষেত্রে ওযু ভাঙবে না তবে হ্যাঁ এক্ষেত্রে অবশ্যই রক্তের পরিমাণ লক্ষণীয়। কারণ রক্তের পরিমাণ যদি অল্প হয় এবং সেটি গরিয়ে না পড়ে তাহলে রোজা ভাঙবে না।
আর যদি রক্তের পরিমাণ অনেক বেশি হয় অর্থাৎ আপনার থুতুর চেয়ে রক্তের পরিমাণ অনেক বেশি হয় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই রোজা ভেঙ্গে যাবে আর যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে দাগ দিয়ে রক্ত বের করার চেষ্টা করে হলেও তার রোজা ভেঙে যাবে এজন্য কখনোই ইচ্ছাকৃতভাবে দাঁত দিয়ে রক্ত বের করার চেষ্টা করবেন না আর যদি অইচ্ছাকৃত ভাবে দাঁত দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে সেক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া পাঠ করবেন। দিয়ে রক্ত পড়া অবস্থায় বেশি বেশি পানি নিয়ে কুলি করবেন।
তরল ঔষধ
অনেক সময় দেখা যায় আমাদের নাকে অথবা কানে তরল ঔষধ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে এক্ষেত্রে আপনি যদি রোজা থাকা অবস্থায় নাকে অথবা কানে তরল পদার্থ দেন তাহলে এটি আপনার গলার নারীর মধ্যে প্রবেশ করে এ ক্ষেত্রে রোজা ভেঙ্গে যাবে এই জন্য রোজা থাকা অবস্থায় কখনোই নাকে অথবা কানের তরল পদার্থ প্রবেশ করাবেন না । আমাদের নাক এবং কানের নালীর সাথে গলার নালীর সরাসরি সম্পর্ক থাকে। আপনি যে তরল পদার্থটি আপনার নাকি অথবা কানে প্রবেশ করাবেন এটি অবশ্যই আপনার গলার নালীতে প্রবেশ করবে।
মূলত ওপরের এই কয়েকটি কারণের জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমাদের রোজা ভেঙ্গে যায়। মতো রোজা থাকা অবস্থায় কখনোই কাউকে মিথ্যা কথা বলবেন না আর শুধু রোজা থাকা অবস্থাতেই নয় বরং কখনোই আমাদের মিথ্যা কথা বলা উচিত নয় কারণ মিথ্যা কথা বললে একদিকে যেমন আমাদের পাপ হয় আরেক দিকে তা কখনোই চাপা থাকে না। এতে আপনাকে পছন্দ করবে না এজন্য সবসময় মিথ্যা কথা থেকে বিরত থাকবেন। দ্বিতীয়ত ধূমপান করা যাবে না।
ধূমপান আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই জন্য কখনোই ধূমপান করবেন না। আর বিশেষ করে রোজা থাকা অবস্থাতে তো কখনোই না কারণ রোজা থাকা অবস্থায় ধূমপান করলে এতে আমাদের রোজা ভেঙ্গে যাবে। রোজা থাকা অবস্থায় মদদ পান করা যাবে না। অর্থাৎ অ্যালকোহল ফোন করা যাবে না। অনেকে ওযু করার সময় নাক ও কানে ভেতর পর্যন্ত পানি দেয়। এতে যদি পানি আপনার গলার নারী পর্যন্ত পৌঁছায় এক্ষেত্রে আপনার রোজা ভেঙ্গে যাবে।
বেঁচে থাকা অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করা যাবে না সাথে ইচ্ছাকৃতভাবে দাঁত দিয়ে রক্ত বের করা যাবে না এতে রোজা ভেঙ্গে যেতে পারে। তবে যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে দাঁত দিয়ে রক্ত পড়ে তাহলে রোজা ভাঙবে না। আর হ্যাঁ রোজা থাকা অবস্থায় কখনোই কানে কিংবা নাকে তরল পদার্থ প্রবেশ করানো যাবে না। যেমন অনেকেই নাক ও কানের সমস্যার জন্য ড্রপ ব্যবহার করে। রোজা থাকা অবস্থায় কখনোই ড্রপ ব্যবহার করা যাবে না। প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি। নিচে দেখুন স্বপ্নদোষ কি রোজা ভঙ্গের কারণ নাকি।
স্বপ্নদোষ কি রোজা ভঙ্গের কারণ
অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে স্বপ্নদোষ কি রোজা ভঙ্গের কারণ নাকি? অনেক সময় দেখা যায় ঘুমের মধ্যে রোজা থাকা অবস্থাতেই স্বপ্নদোষ হয় এক্ষেত্রে কি রোজা হবে নাকি রোজা ভেঙে যাবে? রোজা থাকা অবস্থায় ঘুমানো যাবে তবে ঘুমের মধ্যে যদি স্বপ্নদোষ হয় এক্ষেত্রে আপনি আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া পাঠ করতে পারেন। তবে স্বপ্নদোষ হয়ে রোজা ভেঙে যাবে ব্যাপারটা কিন্তু এমন নয়। যেহেতু স্বপ্নদোষ আমাদের হাতে নেই, এইজন্য স্বপ্নদোষের ফলে কখনোই রোজা ভাঙবে না।
তবে আপনি যদি মনে মনে এমন কিছু ভেবে থাকেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার রোজা ভেঙে যাবে এজন্য কখনো রোজা থাকা অবস্থায় মনে মনে এমন কিছু ভাবা যাবে না। অনেকে ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দোষের মতো চিত্র ভাবেন এতে রোজা ভেঙে যাবে। এজন্য কখনোই রোজা থাকা অবস্থায় এমন কিছু ভাবা যাবে না। তবে রোজা থাকা অবস্থায় অনৈচ্ছিক ভাবে স্বপ্নদোষ হলে ভাঙবে না। তবে এক্ষেত্রে আপনি আল্লাহর কাছে একটু দোয়া পাঠ করে নেবেন। আর হ্যাঁ রোজা থাকা অবস্থায় বেশি বেশি তসবি তেলাওয়াত করবেন।
এবং সুরা পাঠ করবেন যেহেতু আগামী ১২ই মার্চ থেকে প্রথম রোজা হতে চলেছে, সেক্ষেত্রে আমাদেরকে অবশ্যই এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে, যে স্বপ্নদোষ কি রোজা ভঙ্গের কারণ নাকি। স্বপ্নদোষ কখনোই রোজা ভাঙ্গার কারণ নয় তবে আপনি যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে এমন কিছু ভাবেন কিংবা কল্পনা করেন, সেক্ষেত্রে অবশ্যই রোজা ভেঙে যাবে। তবে অনিচ্ছাকৃতভাবে অর্থাৎ আপনার ইচ্ছার বাইরে যদি হঠাৎ স্বপ্নদোষ হয় সেক্ষেত্রে আপনার রোজা ভাঙবে না।
আরো পড়ুন: কুইজ খেলে টাকা আয় করুন 2024
প্রিয় পাঠক আশা করছি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে স্বপ্নদোষ কি রোজা ভঙ্গের কারণ নাকি। স্বপ্নদোষ কখনই রোজা ভাঙার কারণ নয়। আপনি যদি জানতে চান রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি তাহলে ওপরে দেখুন আমরা রোজা ভাঙার কারণগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তবে হ্যাঁ আপনাদের সুবিধার্থে আমি আবারো বলছি আপনি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে স্বপ্নদোষ এর চিত্র গুলো কল্পনা করেন কিংবা ভাবেন। তাহলে অবশ্যই আপনার রোজা ভেঙে যাবে এই জন্য রোজা থাকা অবস্থায় এমন কিছু কল্পনা করা যাবে না।
পাঠকদের কিছু প্রশ্ন
রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি?
রোজা ভঙ্গের কারণ হলো প্রথমত ধূমপান করা ধূমপান করলে রোজা ভেঙে যায় দ্বিতীয়তঃ মদ পান করা রোজা থাকা অবস্থায় মদ পান করলেও রোজা ভেঙে যাবে। তৃতীয়তঃ মিথ্যা কথা বলা, মিথ্যা কথা বললে রোজা ভেঙ্গে যাবে চতুর্থ নাকে অথবা কানের তরল পদার্থ প্রবেশ করানো।
বার বার বমি কিসের লক্ষণ?
বার বার বমি হওয়ার পিছে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার কারণ যেমন মূলে রয়েছে অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এবং আমাদের অস্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস। এইতো ফাস্টফুড খেতে থাকলে বার বার বমি হতে পারে। আবার অতিরিক্ত খাবার খেয়ে ফেললে কিংবা ভর পেট খাবার খেলে বমি হতে পারে অনেক সময় মাইগ্রেশনের জন্য মাথা ব্যথা করলেও বমি হয়।
বমি করলে কি ওযু ভাঙ্গে?
অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে বমি করলে কি ওযু ভাঙ্গে নাকি। হাদিসে রয়েছে বমি করলে অজু ভাঙে না। তাই আপনার যদি ওযু থাকা অবস্থায় বমি হয় এক্ষেত্রে আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন যে আপনার ওযু ভাঙ্গেনি।
বমি করলে কি রোজা ভেঙে যায়?
আপনি কি জানতে চান বমি করলে কি রোজা ভেঙে যায় নাকি? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন। আমরা আজকের এই পোস্টে বমি করলে কি রোজা ভেঙে যায় নাকি সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাই আপনি যদি জানতে চান বমি করলে কি রোজা ভেঙে যায় নাকি তাহলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
লেখকের শেষ কথা
পাঠক আমরা আজকের এই পোস্টে বমি করলে কি রোজা ভেঙে যায় নাকি, বমি করলে কি ওযু ভাঙ্গে, বারবার বমি কিসের লক্ষণ এবং রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। অনেক সময় রোজা থাকা অবস্থায় আমাদের অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন কিংবা অস্বাস্থ্যকর খাবার দাবারের কারণে বমি হয় এক্ষেত্রে আমাদের মনে প্রশ্ন জেগে ওঠে যে বমি করলে কি রোজা ভেঙে যায় নাকি তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করলাম বমি করলে কি রোজা ভেঙে যায় নাকি।
বমি করলে রোজা ভাঙ্গে না। বমি করার সাথে রোজার কোন সম্পর্কে নেইম তবে অনেকে রয়েছে যারা ইচ্ছাকৃত ভাবে বমি করার চেষ্টা করে এই ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃত ভাবে বমি করার চেষ্টা করলে অজু এবং রোজা ভেঙে যায়। তবে যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে আপনার বমি হয় এক্ষেত্রে আপনার রোজা ভাঙবে না। তবে বমি করার পর যদি আপনি রোজা রাখতে সক্ষম হন তাহলে রোজা রাখবেন। আর যদি আপনার শরীর দুর্বল লাগে যে আপনি চাইলে রোজা ভেঙে দিতে পারেন এক্ষেত্রে আপনার কোন প্রকার পাপ হবে না।
এছাড়াও আজকের এই পোস্টে আমরা বার বার বমি কিসের লক্ষণ এবং রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি সেই বিষয়েও আলোচনা করেছি। ভাজাপোড়া খাওয়ার ফলে কিংবা অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করলে বার বার বমি হতে পারে। অনেক সময় খাবার সঠিকভাবে হজম না হলেও বার বার বমি হয়। তবে আপনার যদি রোজা থাকা অবস্থায় বারবার বমি হয় সেক্ষেত্রে আমার মতে রোজা ভেঙে দেওয়াই উত্তম হবে কারণ বমি হলে বারবার শরীর অনেক বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে।
রোজা ভাঙ্গার অন্যতম একটি কারণ হলো ধূমপান করা অনেকেই রয়েছে যারা ধূমপান ছাড়া যেন একটা দিনও কাটাতে পারে না এক্ষেত্রে আপনি যদি রোজা থাকা অবস্থায় ধূমপান করেন তাহলে অবশ্যই আপনার রোজা ভেঙে যাবে রোজা ভাঙ্গার আরো একটি অন্যতম কারণ হলো মিথ্যা কথা বলা আমরা অনেকেই ডেইলি লাইফে বিভিন্ন কারণে অকারনে মিথ্যা কথা বলে থাকি। মিথ্যা কথা বলে একদিকে যেমন রোজা ভেঙ্গে যায় আরেক দিকে আপনার পাপের দাড়িপাল্লা ভারী হতে থাকে।
নাটক আশা করছি আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন এবং আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তরগুলো পেয়ে গেছেন। আমরা আজকের এই পোস্টে আপনাদের সুবিধার্থে বমি করলে কি রোজা ভেঙে যায়? স্বপ্নদোষ কি রোজা ভঙ্গের কারণ , বার বার বমি কিসের লক্ষণ বমি করলে কি ওযু ভাঙ্গে এবং রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশা করছি আজকের এই পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে। এই পোস্টটি ভাল লেগে থাকলে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন।
ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url