মুলার উপকারিতা অপকারিতা- মুলা শরীরের জন্য ক্ষতিকর?
মুলা আমাদের অতি পরিচিত একটি সবজি। এতে রয়েছে হাজারো পুষ্টিগুণ ও ভিটামিন আপনি কি মুলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন আজকের এই পোস্টে আমরা মূলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব
মুলা আমাদের শীতকালে সবজি হলেও এটি এখন প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায় মূলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা যা চুল ত্বক ও পেশী থেকে শুরু করে শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী।প্রিয় পাঠক আপনি যদি মুলার পুষ্টিগুণ এবং মুলার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
পেজ সূচিপত্র
ভূমিকা
বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ।এই দেশে মুলা খাই না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল।আমরা সকলেই মিলে পছন্দ করি কিন্তু অনেকে উপকারিতা সম্পর্কে জানিনা। মুলাতে যেমন হাজারো পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা রয়েছে তেমনি কিছু অপকারিতাও রয়েছে সেই অপকারিতা গুলো কি জানতে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। এই শীতকালে অনেকেই মুলার তরকারি খেতে ভালোবাসেন। অন্যান্য সবজির চেয়ে
আরো পড়ুন: কোন গেম খেলে টাকা আয় করা যায় নগদে?
মুলার স্বাদ ও গন্ধ দুটি আলাদা বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের মুলা চাষ করা হয়। তবে আমাদের দেশে বেশিরভাগ অঞ্চলের সাদা মুলা চাষ করা হয়। এগুলো ১০ থেকে ১২ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। এই মুলা থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় এক টুকরো মুলা দিয়েই শরীরের সমস্ত রোগবালাই দূর করা সম্ভব প্রিয় পাঠক আপনি যদি মুলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে নিচে এক নজর দেখে নিন মুলার পুষ্টিগুণ
মুলার পুষ্টিগুণ
মুলাতে ভরপুর প্রোটিন,ভিটামিন এ,ভিটামিন বি৬,ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম,ফসফরাস,ম্যাগনেশিয়াম, মাঙানিজ,শর্করা,থায়ামিন বি১, রিবোফ্লাইবিন বি২,ফোলেট বি৯ ,জিংক,ফ্লুরাইড , ফাইবার অভিটামিন সি হার্টকে সুস্থ রাখে, ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করে, গীরায় গীড়ায় ব্যাথা দূর করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।আসা করছি আপনি মুলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।এবার চলুন জেনে আসি মুলার উপকারিতা সম্পর্কে।
মুলার উপকারিতা
ওপর একটু আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে মুলা তে কি কি পুষ্টিগুণ রয়েছে ভরপুর প্রোটিন এবং শর্করা যারা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় মূলাতে হাজারো পুষ্টিগুণ রয়েছে আপনি যদি আর পরিপূর্ণ পুষ্টিগুণ পেতে চান তাহলে নিয়মিত সকালে মুলার সালাদ অথবা মুলাদ জুস বানিয়ে খাবেন। আমাদের দেশে প্রত্যেকেই মুলার তরকারি খেতে ভালোবাসেন।
আরো পড়ুন: তাড়াতাড়ি ধনী হওয়ার সহজ উপায় জানুন
আর খুব কম সংখ্যক মানুষ আছেন যারা মুলার সালাদ মূলার জুস পান করেন কিন্তু মুলার তরকারি তৈরি করার সময় মুলা যখন সিদ্ধ করা হয় তখন ভোলার অনেক পুষ্টিগুণ নষ্ট হয় এজন্য উনার পরিপূর্ণ উপকারিতা উপস্থিত বানিয়ে খেতে হবে। আপনি যদি মুলার উপকারিতা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে নিচে এক নজর দেখে নিন।
ত্বক সুন্দর থাকে
মুলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা নিমিষেই ত্বক থেকে ব্রণ ও কালচে দাগ দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বককে ফর্সা ও লাবণ্যময় করে আপনার ত্বকে যদি কোন প্রকার ব্রণ ও কালচে দাগ থাকে তাহলে আজ থেকে নিয়মিত মুলার সালাদ অথবা মুলার জুস পান করবেন এক গ্লাস মুলার জুসে আপনার ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
হার্ট সুস্থ থাকে
আপনার কি হার্ট দুর্বল অথবা হার্টে কোন সমস্যা আছে? তাহলে আজ থেকে নিয়মিত এক গ্লাস মুলার জুস অথবা এক প্লেট মুলার সালাত খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন মূলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম হার্টকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে এবং হার্টের কার্যক্ষমতা কে দ্রুত বৃদ্ধি করে এই জন্য আজ থেকে হার্টের যত্ন নিতে নিয়মিত মুলার জুস অথবা মুলার সালাদ খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
আপনার কি কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে? দীর্ঘদিন যাবত কোষ্ঠকাঠিন্যতে ভুগছেন? তাহলে আর চিন্তা নয়। আজ থেকে নিয়মিত মুলার সালাদ অথবা মুলার জুস পান করুন।মূলা থেকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায় যা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য ওষুধের মত কাজ করে এই জন্য ঘরোয়া উপায় মাধ্যমে সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করুন। কোষ্ঠকাঠিন্য অনেক কঠিন রোগ কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে পাইলসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে
এই জন্য এখন থেকে সতর্ক হোন এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করুন মুলার সাহায্যে।
কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে
কিডনি মানব শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের মধ্যে একটি। আর যদি এই কিডনি কোন ভাবে অচল হয়ে যায় তাহলে শরীরে নানান সমস্যা দেখা দেয়।এই জন্য এই কিডনির যত্ন নেওয়া আবশ্যক তাই আজ থেকেই কিডনির যত্ন নিতে নিয়মিত মোলার জুস অথবা মুলার সালাত খেতে হবে ।মুলা কিডনির জন্য অনেক বেশি উপকারী । বিজ্ঞানীরা বলেন নিয়মিত মূলা খেলে কিডনির কার্যক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়।
তাই কিডনির যত্ন নিতে এখন থেকেই নিয়মিত মূলা খেতে হবে।
চুল পড়া রোধ করে
অতিরিক্ত চুল পড়া নিয়ে চিন্তিত? তাহলে আর চিন্তা নয় আজ থেকেই নিয়মিত ভোলার সালাত অথবা মুলার জুস খেতে হবে মোলার থেকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়নিমি সেই চুল পড়া রোধ করতে সহায়তা করে মুলাকে প্রোটিনের উৎস বলা হয় কারণগুলা এক টুকরো মুলা থেকে তিনটি ডিমের পরিমাণ প্রোটিন পাওয়া সম্ভব। তাই চুল পড়া বন্ধ করতে নিয়মিত মুলা খাবেন।
হজম শক্তিকে উন্নত করে
মুলাতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা হজম শক্তিকে উন্নত করে এবং পেট সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর করে। আপনার যদি হজম শক্তি সমস্যা থাকে কিংবা খাবার পর পেট ফুলে যায় অথবা ঠিকভাবে হজম হয় না তাহলে, খাবার খাওয়ার পর এক থেকে দুই টুকরো মুলা খেয়ে নিবেন। এতে খাবার দ্রুত হজম হবে এবং আপনার হজম শক্তি উন্নত হবে।
চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি পায়
অল্প বয়সে ক্ষীণদৃষ্টি শক্তির শিকার ? আজকাল তো ছোট ছোট বাচ্চাদের চোখে এই বড় বড় চশমা দেখা যায় তারা অল্প বয়সেই ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তি স্বীকার হচ্ছেন তাই আজ থেকেই বাচ্চা চোখের যত্ন নিতে নিয়মিত এক গ্লাস মুলার জুস পান করাতে হবে মুলার জুস থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ পাওয়া যায় যা চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। বাচ্চাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
কম হয় যার ফলে তারা দ্রুত যে কোন রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়ে যায় এজন্য তাদের নিয়মিত এক গ্লাস মুলার জুস পান করাতে হবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
বুলাতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা নিমি সেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে সহজে নানান রোগ বাসা বাঁধে। এছাড়াও আপনি কি জানেন যে শরীরে প্রচুর ক্ষমতা কমে গেলে এলার্জি সমস্যা দেখা দেয় আর এলার্জি সমস্যা ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয় যেমন ব্রণ কালচে দাগ এলার্জির পুষকুড়ি। এজন্য এখন থেকেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে
প্রতিদিন মুলার জুস অথবা মূলার সালাদ খেতে হবে এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।
প্রিয় পাঠক উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে মুলার উপকারিতা গুলো কি কি এবার চলুন আমরা জেনে আসি মুলা খেলে কি ওজন বাড়ে?
মুলা খেলে কি ওজন বাড়ে
মুলা শাকের উপকারিতা
মূলা যেমন হাজারও পুষ্টিগুণ ও ভিটামিনের ভরপুর তেমনি মূলার শাক থেকেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন পাওয়া যায়।মুলার শাকে ভিটামিন সি আছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে বৃদ্ধি করার পাশাপাশি শরীর থেকে সমস্ত রোগ বালাই দূর করে শাকের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স যা হার্ট কে সুস্থ রাখে ,এলার্জি দূর করে, ত্বক সুন্দর রাখে
আরো পড়ুন: বাঁধাকপিতে কোন ভিটামিন থাকে? জানুন এই পোস্টে
চুল লম্বা ও ঘন করতে সাহায্য করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। আমরা প্রত্যেকেই মুলার শাকের তরকারি খেয়ে থাকি কিন্তু মুলার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানিনা তাই তাদের উদ্দেশ্যে বলি যে মুলা শাকের উপকারিতা এক দুই লাইনে বলে শেষ করা সম্ভব নয়। কারন মূলাতে রয়েছে হাজারো পুষ্টিগুণ উপকারিতা। প্রাকৃতিক জিনিসগুলোর চেয়ে বেশি উপকারী আর কিছুই নাই। মুলাতে এমন সব
ঔষধি গুনাগুন রয়েছে যা নিমিষেই যেকোনো রোগকে সেরে ফেলতে সহায়তা করে।
ত্বক থেকে ব্রণ ও দাগ দুর করে
আপনার ত্বকে কি ব্রণের সমস্যা রয়েছে? তাহলে আজ থেকে নিয়মিত মুলার শাক খাবার অভ্যাস তৈরি করুন কারণ মুলার শাক থেকে ভরপুর ভিটামিন সি পাওয়া যায় যার নিমিষেই আপনার ত্বক সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর করতে সহায়তা করবে এছাড়া আপনি চাইলে মুলার শাক পাঠায় বেটে তার রস ত্বকে ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার ত্বকের ব্রণ ও দাগ দ্রুত দূর হবে।
চুল বড় ও লম্বা করতে সাহায্য করে
প্রত্যেকটি মেয়েই ঘন ও লম্বা চুল পেতে চায়। ঘন ও লম্বা চুল পাওয়ার জন্য কত প্রোডাক্ট ব্যবহার করেছেন কিন্তু তবুও চুল বড় হচ্ছে না তাহলে এখন থেকেই নিয়মিত চুলে মুলার পাতার রস ব্যবহার করুন মুলার রস থেকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায় যা নিমিষেই আপনার চুলকে বড় ও লম্বা করতে সহায়তা করবে। নিয়মিত গোসল করার ৩০ মিনিট আগে চুলের স্ক্যাল্পে ভালোভাবে মুলার পাতার রস ম্যাসাজ করুন।
ভালো করে বলবে যে প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার মুলার পাতার রস ব্যবহার করবেন
হার্ট সুস্থ থাকে
মুলার পাতা থেকে ভরপুর পটাশিয়াম পাওয়া যায় যা আপনার হার্ট কে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে এবং আপনার হার্টের কার্যক্ষমতা কে অনেক বেশি বৃদ্ধি করে এই জন্য হাটকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত মুলার পাতা ভাজি অথবা মুলার পাতার রস পান করবেন। আমাদের দেশে অনেকেই মুলার পাতার ভাজি বানিয়ে খায় এটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি হাজারো পুষ্টিগুনে ভরপুর।তবে আমার মতে মুলার পাতার ভাজির চেয়ে মুলার পাতার জুস থেকে বেশি পুষ্টি গুন পাওয়া সম্ভব।
ডায়াবেটিসে মুলার পাতা
ডায়াবেটিস নিয়ে চিন্তিত? তাহলে আজ থেকে মুলার পাতা খাওয়া শুরু করুন কারণ মুলার পাতাতে রয়েছে শর্করা যা আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করবে আমাদের শরীরে যখন ইনসুলিনের মাত্রা কমে যায় তখন শরীরে ডায়াবেটিস দেখা যায়। আর এই ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়মিত মুলার পাতা খেতে হবে মুলার পাতাতে রয়েছে হাজারো ওষুধই গুণাগুণ যা আপনার ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণ করতে
সহায়তা করবে। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য মুলার পাতা ওষুধের মত কাজ করে।প্রিয় পাঠক উপরোক্ত এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে মুলা শাকের উপকারিতা গুলো কি কি। এবার চলুন আমরা জেনে আসি মুলার অপকারিতা সম্পর্কে অর্থাৎ মূলা খেলে কি কি ক্ষতি হয়।
মুলার অপকারিতা / মুলার ক্ষতিকর দিক
প্রিয় পাঠক উপরোক্ত এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে মুলাতে কি কি পুষ্টিগুণ আছে এবং মুলার উপকারিতা গুলো কি কি।মুকাতে রয়েছে হাজার ঔষধি গুনাগুন ও ভিটামিন যা নিমিষেই শরীরের যাবতীয় রোগ বালাই দূর করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। কিন্তু এত উপকারীতা থাকার পাশাপাশি একটু অপকারিতা আছে কোন ব্যক্তি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে মুলা খেয়ে ফেলে তাহলে তার শরীরে যে সমস্যা গুলো দেখা দিবে
হজম শক্তির সমস্যা
মুলা খেলে যেমন হজম শক্তি ভালো হয় তেমনি অতিরিক্ত মুলা খাওয়ার পরে হজম শক্তির সমস্যা দেখা দিতে পারে এই জন্য মূলা পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে।
পেট ব্যাথা
মূলা খেলে হজম শক্তি সমস্যা হয় এতে পেট ফেঁপে থাকে এবং পেটের তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়।
পেট ফুলে যায়
অতিরিক্ত মোলা খাওয়ার ফলে পেটে গ্যাস হয় এবং গ্যাস থেকে পেট ফুলে যায় এই অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব গ্যাসের ওষুধ খেতে হবে।
গ্যাস তৈরি হয়
মুলা খেলে যেহেতু হজম শক্তির সমস্যা হয় তাই অতিরিক্ত মুলা খাওয়ার ফলে পেটে গ্যাস তৈরি হয়। আপনি যদি মুলা খেতে খুব ভালোবাসেন তাহলে অবশ্যই মুলার পরিপূর্ণ উপকার পেতে মুলা পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করবেন মুলা পর্যাপ্ত পরিমাণে খেলে অনেক উপকার ও পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়।
ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়
মুলা খেলে শরীরে পানির পরিমাণ কমে যায়। ভোলা খাওয়ার পর বারবার অতিরিক্ত মূত্র ত্যাগের সমস্যা দেখা দেয় এতে শরীর থেকে পানি বের হয়ে যায় ফলে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়।
মুলাতে প্রচুর পুষ্টিগুণ ও ভিটামিন আছে তবে কোন ব্যক্তি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে মূলা খায় তাহলে তার শরীরে উপরোক্ত সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে।এইজন্য আমার মতে আপনি যদি মুলা খেতে খুব ভালবাসেন তাহলে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে মুলা খাবেন এতে মুলার পরিপূর্ণ উপকার পাবেন এবং কোন সমস্যা হবে না। আশা করছি উপরন্তু আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে মুলার অপকারিতা গুলো কি কি অর্থাৎ মুলা খেলে কি কি ক্ষতি হয়।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা মুলার উপকারিতা ও মূলার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আলোচনা করলাম। মুলাতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। যেমন পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম ,ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি ৬ যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ত্বককে সুন্দর ও ফর্সা করে ,চুল লম্বা ও ঘন করে ,চুল পড়া রোধ করে, হার্টের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে, কিডনিকে সুস্থ রাখে
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় এবং গিরাই গিরায় ও জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যাথা দূর করে সাথে শরীরে এনার্জি ও পুষ্টি যোগায়। মুলা খাবার এত উপকারিতার পাশাপাশি অতিরিক্ত মুলা খাওয়ার ফলে শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে তার মধ্যে অন্যতম সমস্যা হলো গ্যাস অনেকেই প্রশ্ন করে মুলা খেলে কি গ্যাস হয়? যদি কেউ অতিরিক্ত পরিমাণে মূলা খায় তাহলে তার গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।সাথেই পেট ব্যথা
পেট ফাঁপা এবং বমি বমি ভাব দেখাতে পারে।এইজন্য আমার মতে মুলার পরিপূর্ণ পুষ্টিগুণ পেতে পর্যাপ্ত পরিমাণে মূলা খেতে হবে। আশা করছি আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আজকের এই পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন আর হ্যাঁ আপনি যদি এমন পোস্ট আরো পেতে চান তাহলে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।
পাঠকদের কিছু প্রশ্ন
মুলা খেলে কি ইউরিক এসিড বাড়ে?
হ্যা , অতিরিক্ত মুলা খাওয়ার ফলে শরীরে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে।
মুলা খেলে কি গ্যাস হয়?
হ্যাঁ, পর্যাপ্ত পরিমাণে তুলনায় বেশি মুলা খাওয়ার ফলে শরীরে গ্যাস সৃষ্টি হতে পারে এবং গ্যাস থেকে পেট ফুলে যেতে পারে।
মুলা খেলে কি ওজন বাড়ে?
না , মুলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা দ্রুত ওজন হ্রাস করতে সহায়তা করে
মুলা খেলে কি উপকার হয়?
মুলা খেলে হাজারো উপকার পাওয়া যায়।যেমন: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, ত্বক সুন্দর হয়, চুল পড়া রোধ হয় ,হার্ট সুস্থ থাকে ,কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ,কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো কঠিন রোগ সেরে যায় এবং আলসার দূর হয়।
মাঘ মাসে মুলা খেলে কি হয়?
বহু বছর আগের প্রবাদ রয়েছে মাঘ মাসে মূলা খেলে বংশ নষ্ট হয়। তবে এই কথাটি কতটুকু যৌক্তিক তা এখনো জানা যায়নি।
ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url