লিভার পরিষ্কার করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত
লিভার এর কাজ হলো রক্ত পরিষ্কার করা এবং বিষাক্ত পদার্থকে বর্জ্য পদার্থে রূপান্তরিত করা।লিভার দেহের বৃহত্তম একটি অঙ্গ।লিভার সুস্থ না থাকলে দেহ অচল হয়ে পড়বে। এইজন্য পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আজ এই পোস্টে লিভার নষ্ট হওয়ার লক্ষণগুলো এবং লিভার পরিষ্কার করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।লিভার পরিষ্কার করার উপায়
লিভার পরিষ্কার করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত : ভূমিকা
লিভার এমন একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে আপনার শরীর থেকে বিভিন্ন টক্সিন দূর হয়ে যায়।এছাড়াও লিভার খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে আবার হরমোন ভেঙে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ,পুষ্টি এবং খনিজ পদার্থ সঞ্চয় করে। এইজন্য লিভার পরিষ্কার করার উপায় সম্পর্কে আপনার জানা প্রয়োজন।লিভার পরিষ্কার করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো।
লিভার
লিভার শরীরে এত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হওয়া সত্ত্বেও ছোটখাটো কিছু ভুলের কারণে আমরা অনেক সময় লিভারের ক্ষতি করে ফেলি।লিভার দেহের পাওয়ার হাউস। এই পাওয়ার হাউস যদি কোন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে কিন্তু আমাদের পুরো শরীর অচল হয়ে পড়বে।তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব লিভার পরিষ্কার করার উপায় নিয়ে যেহেতু লিভার অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ তাই এই অঙ্গের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।লিভার পরিষ্কার করার উপায় এবং লিভার নষ্টের লক্ষণ গুলো নিয়ে আজ আমরা বিস্তারিত আলোচন করবো। আপনি যদি লিভার নষ্টের লক্ষণগুলো জানতে চান তাহলে নিচে দেখুন;
আরো জানুন : তাড়াতাড়ি ধনী হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তরিত
লিভার নষ্টের লক্ষণগুলো
কিভাবে বুঝবেন যে আপনার লিভার ভালো আছে নাকি খারাপ? নিচে কিছু লক্ষণ দেয়া হলো সেই লক্ষণ গুলো দেখে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার লিভার নষ্ট নাকি ভালো;
* কোষ্ঠকাঠিন্য
লিভার দুর্বল হয়ে পড়লে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা দেয়। লিভার শরীরের বিষাক্ত পদার্থকে বর্জ্য পদার্থ রূপান্তরিত করে।তাই লিভার কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্থ অথবা দুর্বল হয়ে পড়লে শরীরে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।
* গাঢ় প্রস্রাব
লিভার নষ্ট হয়ে গেলে গাঢ় রঙের প্রস্রাব হয়।
* ফুলে যাওয়া এবং গ্যাস
লিভারে সমস্যা হলে শরীর হঠাৎ করে অনেক ফুলে যায়।তাই আপনার শরীর যদি হঠাৎ করেই অনেক ফুলে যায় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
* ওজন কমাতে অক্ষমতা
লিভারের সমস্যা দেখা দিলে শরীর হঠাৎ করে ফুলে যায় আবার ওজনও কমে না।ওজন কমানোর জন্য হাজার চেষ্টা করলেও আপনি ওজন কমাতে পারবেন না যদি আপনার লিভারের সমস্যা থেকে থাকে।
* দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি
লিভার নষ্ট হয়ে গেলে সব সময় নিজেকে ক্লান্ত লাগে। কোনো কাজে মন বসে না এবং মেজাজ সভাবের খিটখিটে হয়ে যায়।
* অল্পতেই হাঁফিয়ে যাওয়া
আপনি লক্ষ করবেন যারা লিভার রোগে আক্রান্ত তারা অল্পতেই হাঁফিয়ে যায় অর্থাৎ যে কোন কাজে তারা অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যায়।
* মেজাজ খিটখিটে হওয়া
লিভারের সমস্যা থাকলে খিটখিটে হয়ে যায় অর্থাৎ অল্পতেই রেগে যাওয়া। লিভারের সমস্যা হলে মেজাজ খিটখিটে স্বভাবের হয়ে যায় এবং অল্প একটু কাজে হাঁফিয়ে যায়।
*অতিরিক্ত ঘাম
লিভারের সমস্যা থাকলে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয় আর উচ্চ রক্তচাপের ফলে অতিরিক্ত ঘাম হয়। সাধারনের তুলনায় অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কিন্তু মোটেও কোন ভালো বিষয় নয় তাই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
* বিষণ্ণতা অথবা মন খারাপ
লিভার রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হলো বিষন্নতা এবং খিটখিটে মেজাজ।
* অতিরিক্ত মাথা ব্যাথা
ফ্যাটি লিভার হলে অতিরিক্ত মাথা ব্যথা হয়। এইজন্য মাথা ব্যথা হলে সবসময়ই তুচ্ছ তাচ্ছিল্য না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
* মুখে দুর্গন্ধ
ফ্যাটি লিভারের আরেকটি লক্ষণ হলো মুখে দুর্গন্ধ লিভারের সমস্যা দেখা দিলে মুখে দুর্গন্ধ হয়।
* উচ্চ রক্তচাপ
লিভার নষ্ট হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ হলো উচ্চ রক্তচাপ। হঠাৎ করেই উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিলে আপনি বুঝবেন আপনার লিভারের সমস্যা হয়েছে।
* গোড়ালি এবং পেট ফুলে যাওয়া
হঠাৎ করেই পায়ের গোড়ালি এবং পেট ফুলে যাওয়া লিভার নষ্ট হওয়ার লক্ষণ। গ্যাসের জন্যও পেট ফুলে যেতে পারে।তবে যদি তিন - চার দিন পর্যন্ত পেট ফুলে থাকে তাহলে বুঝবেন আপনার লিভারে কোনো সমস্যা হয়েছে।
* ঘন ঘন ডায়রিয়া হওয়া
দুর্বল লিভারের অন্যতম একটি লক্ষণ হলো ঘন ঘন ডায়রিয়া।লিভারে যখন সমস্যা দেখা দেয় তখন ঘন ঘন ডায়রিয়া হবে।
আপনি যদি এই লক্ষণগুলো আপনার মধ্যে দেখতে পান তাহলে বুঝেবেন আপনার লিভার দুর্বল অথবা আপনার লিভারে হয়তো কোন সমস্যা হয়েছে এমতাবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
*এই লক্ষণ গুলো সবার ক্ষেত্রে এক নয় ,ভিন্নতা রয়েছে*
লিভার পরিষ্কার করার উপায়
লিভার কে সুস্থ ও পরিষ্কার রাখতে আমরা কিছু উপায় নিয়ে এসেছি যে উপায় গুলো অনুসরণ করলে আপনার লিভার ভালো থাকবে।নিচে সেই উপায় গুলো দেওয়া হলো;
বেশি বেশি পানি পান করতে হবে
লিভার কে ডিটক্স করতে বেশি বেশি পানি পান করুন। বেশি বেশি পানি পান করলে লিভারের কার্যক্ষমতা আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে।যখন লিভারে টক্সিন গুলো নাড়াচাড়া করতে পারে না
তখন বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় তারপর যখন আমরা পানি পান করি তখন লিভারের কার্যক্ষমতা আবার বৃদ্ধি পায় ফলে লিভার বিষাক্ত পদার্থ গুলোকে খুব দ্রুত বর্জ্য পদার্থে রূপান্তরিত করতে পারে।
তবে অবশ্যই সব সময় পরিষ্কার ফিল্টার পানি পান করতে হবে। ময়লা পানি পান করলে সেটি উল্টো আরো লিভারের ক্ষতি করবে। তাই চেষ্টা করবেন সবসময় ফিল্টার পানি পান করতে।
নিয়মিত ঘুম থেকে ওঠার পর পানি পান করবেন এবং খাওয়ার মাঝে, তবে ঘুমানোর আগে অতিরিক্ত পানি পান করবেন না আর সন্ধ্যায় পানি পান করবেন।
পানির মধ্যে এক চিমটি লবণ অথবা হলুদ মিশিয়ে খেলে লিভারের কার্যক্ষমতা আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে।তাই সুস্থ জীবন যাপনের জন্য বেশি বেশি পানি পান করুন।
দোকানের অস্বাস্থ্যকর ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন
বাইরের অস্বাস্থ্যকর ফাস্টফুডে হাইড্রোজেনেট তেল, ট্রান্স ফ্যাট,স্যাচুরেটেড ফ্যাট, স্যাকারিন,শুক্রলোজ ও আসিসালফেইম ব্যবহার করা হয়।শরীরের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর।
এগুলো লিভারের ক্ষতি করে লিভারে বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি করে তাই এগুলো এড়িয়ে চলুন বাসায় বাসায় তৈরি খাবার খাবেন বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ও ফলমূল খাবেন।
শাক সবজি ও ফলমূলে ভরপুর ভিটামিন প্রোটিন রয়েছে।আর বাইরের অস্বাস্থ্যকর ফাস্টফুড যেগুলো আপনার শরীরের শুধু ক্ষতি করবে এগুলো খেতে বেশ সুস্বাদু হলেও
শরীরের জন্য অনেক ক্ষতি করে।বাইরের ফাস্টফুড খেলে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়, লিভারের সমস্যা দেখা দেয়, ওজন বেড়ে যায় আবার স্কিনে বিভিন্ন ব্রোন জাতীয় সমস্যা দেখা দেয়। তাই আজ থেকে বাইরের অস্বাস্থ্যকর ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে
সুস্থ জীবন যাপনের জন্য ব্যায়াম করা অনেক জরুরী নিয়মিত ব্যায়াম করলে লিভার ভালো থাকে ব্যায়াম করার পর শরীর থেকে যে ঘামটা বের হয়ে যায় এতে লিভার পরিষ্কার থাকে
এবং কার্যকারিতা আরো বৃদ্ধি পায়। বাসাই কাজ না থাকলে আপনি নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন। ব্যায়াম করলে লিভার সুস্থ থাকার পাশাপাশি পেশি শক্ত এবং মজবুত হবে।
লিভার কে ডিটক্স করার জন্য সহজ উপায় খুঁজছেন তাহলে ব্যায়াম করাই সেই উপায়গুলোর মধ্যে একটি। আশা করছি উপরক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন লিভার পরিষ্কার করার উপায় সম্পর্কে এবার চলুন আমরা জেনেই লিভার রোগীর খাদ্য তালিকা কি কি
লিভার রোগীর খাদ্য তালিকা
আপনার যদি রিফারে কোন সমস্যা থাকে অথবা যদি আপনার দুর্বল থাকে তাহলে নিচের এই খাদ্য গুলো নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করবেন।লিভার রোগীদের জন্য এই খাদ্যগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ।লিভার রোগীর খাদ্য তালিকা সম্পর্কে জানতে নিচে দেখুন;
টক জাতীয় ফল
টক জাতীয় ফল লিভারের জন্য প্রাকৃতিক পরিষ্কারক হিসেবে কজ করে।যেমন: জাম্বুরা,লেবু ও কমলা।নিয়মিত এই ফলগুলো খাওয়ার চেষ্টা করবেন এইগুলো লিভারের জন্য অনেক বেশি উপকারী।
এগুলো লিভারের প্রদাহ কামায় এবং লিভার কে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফলগুলো লিভারে এনজাইম তৈরি করতে সাহায্য করে।ফলে লিভারের কার্যক্ষমতা আরো বেশি বৃদ্ধি পায় এবং লিভার ভালো থাকে।
কাঁচা রসুন খাবেন
রসুন এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট এবং সেলেনিয়ামে ভরপুর একটি উপাদান। এতে যখন আমরা রসুন খাই তখন ডিটক্স এনজাইম আরো বেশি সক্রিয় হয় এবং লিভারের কার্যক্ষমতা আরো বেশি বৃদ্ধি পায়।শরীরের টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে তাই নিয়মিত সকালে উঠে এক থেকে দুই কোয়া কাঁচা রসুন খাবেন।
কাঁচা শাক সবজির রস খেতে হবে
কাঁচা শাক সবজির রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং লিভারকে সুস্থ রাখে।
আপনি যদি শাক সবজির সমস্ত আশ্চর্যজনক উপকার মিস করতে না চান তাহলে নিয়মিত সেগুলোর রস বের করে খেতে পারেন। সৃজনশীল হন এবং সাধ বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন ধরনের সবজি একসাথে মিক্স করুন
এতে আপনার লিভারকে সুস্থ এবং পরিষ্কার হবে।এটি লিভার পরিষ্কার করার সেরা উপায় গুলোর মধ্যে একটি।
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে
মানবদেহে প্রতিদিন ৪ হাজার ৭০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম প্রয়োজন।পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার আপনার লিভারকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে
এবং সিস্টোলিক রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল কমায় পাশাপাশি একটি কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকে সমর্থন করে।
মিষ্টি আলু, টমেটো সস, বীট শাক এবং পালং শাক, মটরশুটি এবং কলার মতো খাবারে পটাসিয়াম বেশি থাকে। আপনি যখন এই জাতীয় খাবার নিয়মিত খাওয়া শুরু করেন,
তখন আপনার লিভারকে কীভাবে ডিটক্স করবেন তা নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না।এই খাবারগুলি বিস্ময়কর কাজ করবে।
ওটস খেতে হবে
ওটসে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা হজম শক্তিকে আরো ভালো করে এবং লিভার কে সুস্থ রাখে।এছাড়া ওটসে আছে বিটা গ্লুক্যানস যা লিভার কে প্রদাহ থেকে রক্ষা করে।
ওটস প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। এছাড়া ওটসে এমন এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যার রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ওটস বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি উপাদান।
যাদের ডায়াবেটিকস রয়েছে তারাও নিয়মিত ওটস খেতে পারবে। তাই নিয়মিত লিভার পরিষ্কার করার জন্য ওটস খাবেন। সকালে উঠে ব্রেকফাস্টে দুধের সাথে ওটস মিশিয়ে খেতে পারবেন।
নিয়মিত এক কাপ কফি খেতে হবে
নিয়মিত এক কাপ কফি আপনার সারা জীবনের লিভার রোগের আশঙ্কা দুর করতে পারে। কফিতে বিদ্যমান ক্যাফিন নামক উপাদান লিভার পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
এছাড়া কফিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা লিভারের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।আপনি যদি নিয়মিত এক কাপ কফি খান তাহলে আপনার কখনো লিভারের সমস্যা দেখা দিবে না।
তবে মনে রাখতে হবে কফি দুধ ও চিনি ছাড়া খেতে হবে যাকে ব্লাক কফি বলে। লিভার কে সুস্থ রাখতে নিয়মিত এক কাপ কফি খাবেন।
ফ্যাটি মাছ খেতে হবে
ওমেগা থ্রী ফ্যাট যুক্ত মাছগুলো খেতে হবে লিভারের জন্য অনেক বেশি উপকারী লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।এই ফ্যাটি মাছগুলো লিভার কে পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি
লিভারের প্রদাহ কমায় এবং উচ্চ রক্তচাপ কমায়।সপ্তাহে দুইদিন হলেও ওমেগা থ্রি ফ্যাট যুক্ত মাছগুলো খাবেন। স্যামন ও টুনা মাছের প্রচুর পরিমাণে ওমেগা শ্রী ফ্যাট রয়েছে।
অলিভ অয়েল
খাদ্য তালিকায় নিয়মিত অলিভ অলিভ অইল রাখবেন। অলিভ অয়েল স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে এবং লিভারকে পরিষ্কার করে পাশাপাশি স্কিনকে সুন্দর করে ,ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত টিসুকে সারিয়ে তোলে এবং বয়সের ছাপ দূর করে।
ক্রুসিফেরাস সবজি খেতে হবে
ক্রুসিফেরাস সবজি গ্লুটাথিয়নের প্রথম উৎস।এটি ক্লিনজিং এনজাইমগুলোকে ট্রিগার করে যা শরীরের কারসিনোজেন এবং অন্যান্য বিষাক্ত যৌগ গুলোকে বের করে দিতে সাহায্য করে।
তাই দৈনিক খাদ্য তালিকায় প্রচুর পরিমাণে ফুলকপি বাঁধাকপি এবং ব্রকলি অ্যাড করুন।সুস্থ জীবন যাপন এবং লিভার কে পরিষ্কার রাখতে নিয়মিত ক্লসিফেরাস সবজি খেতে হবে।
মসলা
হলুদ একটি ম্যাজিক মসলা এতে রয়েছে সক্রিয় উপাদান কারকিউমিন যা টক্সিন কে বের করে দিতে সাহায্য করে এবং লিভারের কোষগুলোকে মেরামত করে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন লিভার রোগীর খাদ্য তালিকা সম্পর্কে আপনার যদি লিভারে কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই এই খাবার গুলো বেশি বেশি খাবেন কারণ এই খাবারগুলো লিভার রোগীদের জন্য অনেক বেশি উপকারী।
উপরোক্ত এই টিপস গুলো অনুসরণ করলে আপনার লিভার পরিষ্কার এবং ভালো থাকবে। লিভার শরীরের বৃহত্তম অঙ্গ তাই লিভার পরিষ্কারের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান থাকা জরুরী আশা করি আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন।
লেখক এর শেষ কথা
আজকের এই পোষ্টে লিভার নষ্ট হওয়ার কিছু পূর্ব লক্ষণ এবং লিভার পরিষ্কার করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম আশা করি এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন আর হ্যাঁ এমন পোস্ট আরো পেতে নিয়মিত এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন ধন্যবাদ
ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url