২০২৪ সালের রোজা কত তারিখ থেকে শুরু - ২০২৪ সালের রমজান কত তারিখ

 ২০২৪ সালের রোজা কত তারিখ থেকে শুরু? আজকের এই পোস্টে আমরা একদম সঠিক তথ্য প্রদান করব ২০২৪ সালের রোজা কত তারিখ থেকে শুরু হবে। আরব থেকে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে তারা তাদের রোজার দিন স্থির করেছে এক্ষেত্রে অবশ্যই বাংলাদেশের চূড়ান্ত রোজার তারিখ জানা গেছে। আপনি যদি  বাংলাদেশে ২০২৪ সালের রমজান কত তারিখ এবং ২০২৪ সালের রোজা কত তারিখ থেকে শুরু হবে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি দেখতে থাকুন।
২০২৪ সালের রোজা কত তারিখ থেকে শুরু - ২০২৪ সালের রমজান কত তারিখ
অনেকের মনে এই প্রশ্নটি রয়েছে যে ২০২৪ সালের রোজা কত তারিখ থেকে শুরু হবে অথবা ২০২৪ সালের রমজান কত তারিখ হবে। আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। কিছুক্ষণ আগেই জানা গেল যে সৌদি আরবে রোজা পালন করা হচ্ছে। ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ২০২৪ সালের রোজা কত তারিখ থেকে শুরু হবে? জানতে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন।

পেজ সূচিপত্র

     ভূমিকা      
রমজান মাস এই মাসটি হাজারো বরকত ও ফজিলতে ভরপুর। নিশ্চয়ই পবিত্র রমজান মাস টি অন্যান্য মাসের তুলনায় অনেক বেশি ফজিলতপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে আমাদের প্রত্যেক মুসলিম ভাইবোনদের ওপর রমজান মাসের রোজা ফরজ করা হয়েছে সেক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেকটি রোজা রাখতে হবে। প্রিয় রমজান মাসটির আল্লাহ তা'আলা আমাদের পূর্বের সমস্ত পাপ ও গুনাহ ক্ষমা করে দিন। এই মাছটি আমাদের নিজেদেরকে শুধরানোর মাস।

আপনি পূর্বে কি ছিলেন কি করেছেন কি কি পাপ করেছেন সেই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে ভুলে যান মনে রাখুন আল্লাহ তায়ালা পরম করুনাময় আপনি যদি এই রমজান মাসে তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং দোয়া পাঠ করেন তাহলে আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই আপনাকে ক্ষমা করে দিবেন এই জন্য এই রমজান মাসটি এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রত্যেক মুসলিম ভাইবোনদের জন্য পবিত্র রমজান মাসটি বরকতে ভরপুর। এই জন্য আমাদের উচিত রমজান মাসে বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করা,

সূরা পাঠ করা আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করা নামাজ কায়েম করা আর সব সময় তসবি তেলাওয়াত করতে হবে। পবিত্র রমজান মাসটি সত্যি অনেক আনন্দময় সারাদিন রোজা রাখার পর সন্ধ্যায় সবাই একসাথে ইফতার করা। তবে এই অবস্থায় সবাই অনেক কৌতুহল হয়ে উঠেছে জানার জন্য যে বাংলাদেশে ২০২৪ সালের রোজা কত তারিখ থেকে শুরু হবে। সৌদি আরব থেকে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে যে বাংলাদেশের রোজা কবে অনুষ্ঠিত হবে।২০২৪ সালের রমজান কত তারিখ জানতে নিচে দেখুন।

২০২৪ সালের রমজান কত তারিখ

২০২৪ সালের রমজান কত তারিখ? আমরা প্রত্যেকেই জানি আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে পবিত্র রমজান শুরু হতে চলেছে সে ক্ষেত্রে আমরা সঠিক তারিখ জানিনা। কারণে আমাদের প্রত্যেকের মনে এত বেশি কৌতুহল যেহেতু পবিত্র মাহে রমজান মাস কি আমাদের প্রত্যেকের জন্য খুবই স্পেশাল এবং বরকতময় যার কারণে আমরা প্রত্যেকেই অনেক বেশি কৌতুহল হয়ে উঠেছি ২০২৪ সালের রমজান কত তারিখ জানার জন্য। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে ২০২৪ সালের রমজান কত তারিখ শেয়ার করবো।

যেহেতু আমরা প্রত্যেকটি আপডেট এই ওয়েবসাইটে শেয়ার করে থাকি সেক্ষেত্রে এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন। সৌদি আরবে আজ চাঁদ দেখার জন্য সকলকে আহবান করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে সৌদি আরবের তথ্য দ্বারা জানা যায় যে সৌদি আরবে যদি আজ চাঁদ দেখা যায় তাহলে কালকে থেকে সৌদি আরবে পবিত্র রমজান মাস শুরু হবেম আর বাংলাদেশে ২০২৪ সালের রমজান ১২ তারিখ হবে। পবিত্র রমজান মাস চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল।
যার কারণে আজকে সৌদি আরবে যদি আজ চাঁদ দেখা যায় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনারা নিশ্চিত থাকুন যে  বাংলাদেশে ১২ তারিখ থেকে রমজান মাস শুরু হবে। সৌদি আরবে একমাত্র অর্ধচন্দ্রাকৃতির চাঁদ দেখা যায় যার কারণে আমরা প্রত্যেকেই সৌদি আরবের চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল রয়েছি। ক্ষেত্রে যখনই সৌদি আরব থেকে কোন প্রকার তথ্য আসবে আমরা তখনই আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তবে প্রত্যেকের ভাবনা যে বাংলাদেশে 12ই মার্চ থেকে রমজান নেওয়া শুরু হবে।

প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন ২০২৪ সালের রমজান কত তারিখ হবে। যেহেতু আজকে চাঁদ দেখার জন্য সবাইকে আহবান করা হয়েছে সেক্ষেত্রে যদি আজকে চাঁদ দেখা যায় তাহলে আপনি নিশ্চিত থাকুন যে ১২ ই মার্চ থেকে বাংলাদেশে পবিত্র রমজান মাস  হবে। আর হ্যাঁ পবিত্র রমজান মাস ২৯ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হবে। এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি ২০২৪ সালের রোজা কত তারিখ থেকে শুরু হবে সেই সম্পর্কে।

২০২৪ সালের রোজা কত তারিখ থেকে শুরু

প্রিয় পাঠক উপরের আলোচনার মাধ্যমে আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে এবার পবিত্র রমজান মাস ২৯ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে চলেছে এবং সৌদি আরবের তথ্য দ্বারা জানা যায় যে আজকের ১০ই মার্চ রবিবার চাঁদ দেখার সম্ভাবনা রয়েছে যার কারণে সকলকে সৌদি আরবের অর্ধচন্দ্রাকৃতির চাঁদ দেখার জন্য আহবান করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে আজ যদি চাঁদ দেখা যায়। তাহলে আপনি নিশ্চিত থাকুন যে পবিত্র রমজান মাস বাংলাদেশের ১২ই মার্চ থেকে শুরু হতে চলেছে।

আজকে যখনই সৌদি আরব থেকে কোনো প্রকার তথ্য পাওয়া যাবে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। এই ওয়েবসাইটটি আমরা রমজান বিষয়ে ডেইলি আপডেট দিয়ে থাকি। তবে এবার আমরা শিওর জানবো ২০২৪ সালের রোজা কত তারিখ থেকে শুরু হবে। আমার মতে যেহেতু আজকে ১০ই মার্চ রবিবার সে ক্ষেত্রে আজকে অর্ধচন্দ্রাকৃতির চাঁদ সম্ভাবনা প্রায় ৯৯.১%। যেহেতু বিজ্ঞানীদের গবেষণার দ্বারা জানা গেছিল যে এই বছর ২০২৪ সালে বাংলাদেশের রমজান মাস হতে চলেছে ১১ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে।

অর্থাৎ যদি ১১ তারিখ থেকে রমজান মাস হতো সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আগেই চাঁদ দেখা যেত। কিন্তু যেহেতু এতদিনে চাঁদ দেখা যায়নি। তার মানে আপনারা নিশ্চিত থাকুন যে আগামী ১২ই মার্চ থেকে বাংলাদেশের রমজান মাস শুরু হবে এবং ২০২৪ সালের রোজা ১২ তারিখ থেকে শুরু। অর্থাৎ আপনারা এই বিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত থাকুন রোজা ১১ তারিখ থেকে হবে। আর যারা বাংলাদেশ অথবা ইন্ডিয়ার রয়েছেন তাদের রোজা ১২ তারিখ থেকে শুরু হবে।
তবে যদি কোন অলৌকিক কারণে আজকে সৌদি আরবে অর্ধচন্দ্রাকৃতির চাঁদ দেখা না যায় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হবে। রমজান বিষয়ক যেকোনো আপডেট পেতে এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন ২০২৪ সালের রোজা কত তারিখ থেকে শুরু হবে। আপনারা নিশ্চিত থাকুন যে আগামী ১২ তারিখ থেকে থেকে বাংলাদেশে প্রথম রোজা হতে চলেছে।

প্রিয় পাঠক আশা করছি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন ২০২৪ সালের রোজা কত তারিখ থেকে শুরু হবে। ২০২৪ সালের রোজা ১১ তারিখ থেকে শুরু হতে চলেছে আর ২০২৪ সালের রোজা ১২ তারিখ থেকে শুরু হতে চলেছে। আর হ্যাঁ এবার পবিত্র রমজান মাসে দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে চলেছে সেক্ষেত্রে আমাদেরকে বেশি বেশি আমল করতে হবে আর আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া প্রার্থনা করতে হবে। এবার চলুন আমরা জেনে আসি বাংলাদেশে ২০২৪ সালের ঈদুল ফিতর কত তারিখে?

২০২৪ সালের ঈদুল ফিতর কত তারিখে

ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন ২০২৪ সালের রমজান কত তারিখ বাংলাদেশ।২০২৪ সালের রমজান ১২ তারিখ বাংলাদেশ। এই বছরে আমরা ২৯ টি রোজা করতে পারবো। তবে হ্যাঁ যেহেতু এখনো নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি যে এই বছরের কয়টি রোজা হবে তবে বিজ্ঞানীদের গবেষণার মাধ্যমে যারা গেছে ২০২৪ সালে ২৯ টি রোজা হতে চলেছে। আর ২০২৪ সালের ঈদুল ফিতর ০৯ তারিখে হতে চলেছে। যেহেতু আজকে সৌদি আরবের সকলকে আহবান করা হয়েছে, অর্ধচন্দ্রাকৃতি চাঁদ দেখার জন্য।

সে ক্ষেত্রে আজকে যদি চাঁদ দেখা যায় তাহলে আপনারা সম্পূর্ণ নিশ্চিত থাকুন যে আগামী ০৯ এপ্রিল তারিখে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে চলেছে। আর সৌদি আরবে যদি ০৯ তারিখে পবিত্র ঈদুল ফিতর উজ্জীবিত হয় সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে ১০ তারিখে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আমার মতে এই বিষয়ে আপনারা নিশ্চিত থাকুন যে বাংলাদেশে ২০২৪ সালের ঈদুল ফিতর ১০ তারিখে। এবার চলুন আমরা জেনে আসি রোজা না রাখতে পারলে করনীয় কি।

রোজা না রাখতে পারলে করনীয়

অনেকের মনে প্রশ্নটি যে রোজা না রাখতে পারলে করণীয় কি মেয়েদের শারীরিক কিছু সমস্যা হয় যার কারণে তারা রোজা রাখতে পারে না। আবার অনেক সময় দেখা যায় আমরা অনেকেই অসুস্থ থাকি অসুস্থতার কারণে রোজা রা২০২৪ সালের রমজান কত তারিখ বাংলাদেশ খতে পারি না এক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কি? রোজা রাখা কি আবশ্যক? আজকে আপনাদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিব আমরা ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আশা করছি আপনি জানতে পেরেছেন যে ২০২৪ সালের রোজা ১২ তারিখ থেকে শুরু হবে।

এবার আমাদেরকে জানতে হবে রোজা না রাখতে পারলে করণীয় কি। যেহুতু আমরা মুসলিম সে ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেকের এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। আর পবিত্র রমজান মাস হাজারো বরকত ও ফজিলতে ভরপুর। যার কারণে আমাদের প্রত্যেকের রমজান মাসে রোজা রাখা উচিত। যেহেতু রোজা আমাদের প্রত্যেক মুসলিম ভাই বোনদের উপর ফরজ করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে আমাদের রোজা রাখতেই হবে। তবে অনেক সময় দেখা যায় আমরা অসুস্থ থাকি।

কিংবা মেয়েদের শারীরিক কিছু সমস্যা থাকে। এই অবস্থাতে রোজা না রাখতে পারলে করণীয় কি? রমজান মাসের রোজা না রাখলে কি পাপ হবে? আল্লাহ তা'আলা আমাদের প্রত্যেকের উপর রোজা ফরজ করেছেন কিন্তু যদি আমাদের শারীরিক কোন সমস্যা থাকে কিংবা আমরা অসুস্থ থাকি সেক্ষেত্রে আমাদের রোজা রাখার কোন প্রয়োজন নেই। প্রিয় পাঠক ইসলাম ধর্মটি খুবই সহজ এবং এর নিয়ম নীতিগুলো খুবই সহজ। এমন কোন কিছু নেই যা আমাদের পক্ষে কঠিন হতে পারে কিংবা আমাদের জন্য কষ্টকর হতে পারে।

যেহেতু মেয়েদের প্রতি মাসেই ঋতুস্রাব হয়। আর ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়টি মেয়েদের শরীর খুবই দুর্বল থাকে এবং এই সময় পেট ব্যথার পাশাপাশি মাথাব্যথা থেকে শুরু করে পুরো শরীর ব্যথা হয় এইজন্য আল্লাহ তা'আলা এই সময়টি মেয়েদের নামাজ রোজা থেকে দায় মুক্তি দিয়েছেন। থাক এই সময় রোজা রাখার কোন প্রয়োজন নেই সাথে নামাজ কায়েম করারও কোন প্রয়োজন নেই এই সময়টা শুধুমাত্র মেয়েদের বিশ্রামের জন্য। তবে হ্যাঁ যেহেতু প্রতি মাসেই নারীদের ঋতুস্রাব হয়।

সে ক্ষেত্রে যে রোজা গুলো ঋতুস্রাবের জন্য হয়নি সেই রোজা গুলো আপনি চাইলে রমজান মাসের পর কাজা রোজা হিসেবে তুলে নিতে পারবেন। আর হ্যাঁ অনেক সময় দেখা যায় আমরা অসুস্থ থাকি যার কারণে পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখা হয় না এক্ষেত্রে করণীয় কি? রোজা আমাদের উপর ফরজ হলেও আপনি যখন অসুস্থ থাকবেন তখন রোজা রাখার কোন প্রয়োজন নেই। কারণ হাদিসে রয়েছে  কেউ যদি অসুস্থ অবস্থায় রোজা রাখতে না পারে তাহলে রমজানের পরবর্তী সময়ে সুস্থ হয়ে কাজা রোজা আদায় করতে হবে।

অর্থাৎ আপনি যদি অসুস্থ অবস্থায় রোজা রাখতে না পারেন সে ক্ষেত্রে রমজান মাসের পরবর্তী সময়ে আপনি যখন সুস্থ থাকবেন তখন সেই রোজাটি কাজা রোজা হিসেবে আদায় করতে পারবেন এছাড়া যদি আপনি রমজান মাসের পরেও অসুস্থ থাকেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে ফিদিয়া দিতে হবে। অর্থাৎ আশেপাশের গরীব দুখী অসহায় মানুষদেরকে একবেলা পেট ভরে খাওয়াতে হবে। পবিত্র রমজান মাসের রোজা আমাদের প্রত্যেক ভাই-বোনদের ওপর আল্লাহ তায়ালা ফরজ করেছেন সে ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেকের উচিত রমজান মাসের রোজা রাখা।

কিন্তু অনেক সময় অসুস্থতার কারণে রোজা রাখা হয় না এমনকি রমজানের পরবর্তী সময়েও যদি আদায় করতে না পারি সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ফিদিয়া দিতে হবে। যারা যাকাতের যোগ্য অর্থাৎ গরিব দুঃখী এবং অসহায় মানুষদেরকে খাওয়াতে হবে। প্রিয় পাঠক শুধু রোজার জন্যই নয়। শুধু আমরা মুসলিম সে ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেকের উচিত গরীব দুঃখী মানুষদের সাহায্য করা তাদের পাশে দাঁড়ানো।এই জন্য চেষ্টা করবেন আমাদের আশেপাশে যেসব গরীব দুঃখী এবং অসহায় ভাই বোন রয়েছে তাদের পাশে যেয়ে দাঁড়ানোর, তাদেরকে  একবেলা পেট ভরে খাওয়ানোর।

প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন রোজা না রাখতে পারলে করনীয় কি। এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি রমজান মাসের রোজা না রাখলে কি পাপ হবে নাকি।

রমজান মাসের রোজা না রাখলে কি পাপ হবে

আমাদের অনেকের মনে এই প্রশ্ন থাকে রমজান মাসের রোজা না রাখলে কি পাপ হবে? যেহেতু রমজান মাসে আমরা দেখি প্রত্যেকেই রোজা রাখে সে ক্ষেত্রে তারা যদি রোজা না রাখে তাহলে কি তাদের পাপ হবে? যেহেতু আমরা মুসলিম সেক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেকের উপর মহান আল্লাহ তায়ালা রোজা ফরজ করেছেন এক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেকের উচিত রোজা রাখা তবে অনেক সময় দেখা যায় আমাদের অসুস্থতা কিংবা বিশেষ করে সমস্যার কারণে আমরা রোজা রাখতে সক্ষম হই না।

সেক্ষেত্রে রমজান মাসের রোজা না রাখলে কি পাপ হবে? না" রমজান মাসের রোজা না রাখতে পারলে পাপ নেই। তবে রোজা করলে অবশ্যই আপনি সওয়াব পাবেন। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় অসুস্থতা কিংবা বিশেষ করে সমস্যার জন্য আমরা রোজা রাখতে পারি না এক্ষেত্রে আপনি চাইলে রমজান মাসের পরবর্তী সময়ে কাজা রোজা আদায় করতে পারবেন। ইসলাম খুবই সহজ। ইসলামে কোনো কিছু আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। কিংবা আমাদের পক্ষে অসম্ভব এমন কিছু আমাদেরকে করতে বলা হয়নি।
যার কারনে আপনি যদি রোজা রাখতে সক্ষম না হোন সে ক্ষেত্রে আপনি যদি রোজা না রাখেন তাহলে আপনার কোন প্রকার পাপ হবে না তবে আপনি যদি চান রোজার সব আদায় করতে সেক্ষেত্রে রমজান মাসের পরবর্তী সময়ে কাযা রোজা আদায় করতে পারবেন। তবে কাজা রোজা আদায় না করলেও কোন পাপ হবে না। যেহেতু পবিত্র রমজান মাস হাজারো বরকত ফযীলত এ  ভরপুর সেক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেকের উচিত রমজান মাসে বেশি বেশি সওয়াব আদায় করা।

প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন রমজান মাসের রোজা না রাখলে কি পাপ হবে নাকি। বিশেষ কোনো সমস্যা কিংবা অসুস্থতার জন্য কিংবা মেয়েদের শারীরিক সমস্যার জন্য রমজান মাসের রোজা না রাখলে পাপ হবে না তবে আপনি যদি চান তাহলে রোজার পরবর্তী সময়ে কাজা রোজা হিসেবে আদায় করতে পারবেন। এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি রোজা কত বছর বয়সে ফরজ হয়? অর্থাৎ বাচ্চাদের কত বছর হলে তারা রোজা রাখতে পারবে।

রোজা কত বছর বয়সে ফরজ হয়

প্রিয় পাঠক উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে পবিত্র রমজান মাস ১১ই মার্চ থেকে শুরু হতে চলেছে আর বাংলাদেশে ১২ই মার্চ থেকে প্রথম রোজা হব। যেহেতু রমজান মাসকে হাজারো ফজলিতে ভরপুর সেক্ষেত্রে আমাদেরকে প্রত্যেককে রোজা রাখতে হবে তবে অনেকের মনে এই প্রশ্নটি থাকে রোজা কত বছর বয়সে ফরজ হয়? অর্থাৎ আমাদের বাসায় যদি কোন ছোট ছেলেমেয়ে থাকে সেক্ষেত্রে তাদের উপরে কি রোজা ফরজ হয়েছে? 

একটি নির্দিষ্ট বয়সে আমাদের প্রত্যেকের উপর রোজা ফরজ হয় এবং তারপর থেকে আমাদের প্রত্যেকের উচিত রোজা রাখা। ছেলে ও মেয়েদের ভিন্ন ভিন্ন বয়সে রোজা ফরজ হয়। ছেলেদের ১৩ বছর থেকে ১৫ বছরের মধ্যে রোজা ফরজ হয়। অর্থাৎ আপনার বাসায় যদি কোন ১৩ থেকে ১৫ বছরের ছেলে থাকে সেক্ষেত্রে তার ওপরে এখন থেকে রোজা ফরজ হয়েছে তাকে চেষ্টা করবেন রোজা রাখার। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে দেখা যায় ১১ বছর থেকে ১৩ বছরের মধ্যে তাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়।

অর্থাৎ মেয়েরা ১১ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে রোজা রাখা শুরু করতে পারবে। বর্তমান সময়ে ছোট ছোট বাচ্চারা পর্যন্ত রোজা রাখতে চাই তবে তাদের উপর যেহেতু রোজা ফরজ হয়নি। এক্ষেত্রে তারা চাইলে রোজা রাখতে পারে। তবে না রাখলে কোন পাপ নেই। তবে আপনার বাসায় যদি ছেলে মেয়ে থাকে এবং তাদের বয়স ১১ থেকে ১৩ অথবা ১৩ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে তাদেরকে রোজা রাখার চেষ্টা করবেন। যেহেতু তাদের উপর রোজা ফরজ হয়েছে সেক্ষেত্রে তাদের উচিত রোজা রাখা।

প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন রোজা কত বছর বয়সে ফরজ হয়। আপনার সুবিধার্থে আমি আবারো বলছি ছেলেদের ক্ষেত্রে রোজা ১৩ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে ফরজ হয় আর মেয়েদের ক্ষেত্রে রোজা 11 থেকে 13 বছরের মধ্যেই ফরজ হয়। ছেলে ও মেয়েদের ভিন্ন ভিন্ন বয়সের রোজা ফরজ হয়। আশা করছি আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আমরা আজকের এই পোস্টে ২০২৪ সালের রমজান কত তারিখ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম।এবার চলুন আমরা জেনে আসি রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি।

রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি?

যেহেতু আমরা মুসলিম সেক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেকের এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানা উচিত। যা আমাদের উপর ফরজ করা হয়েছে। তাই আমাদের প্রত্যেকের সঠিকভাবে প্রত্যেকটি রোজ সম্পন্ন করা উচিত তবে অনেক সময় দেখা যায় আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ছোটখাটো কিছু ভুলের কারণে রোজা ভেঙে যায় এই অবস্থায় প্রত্যেককে জানতে হবে সে কারণগুলো। প্রথমত মিথ্যা কথা অর্থাৎ মিথ্যা কথা বললে রোজা ভেঙে যায়। দ্বিতীয়ত ধূমপান কিংবা মদ্যপান।

এই দুইটা জিনিস যেহেতু আমাদের ইসলামে হারাম সেক্ষেত্রে আপনি যদি রোজা থাকা অবস্থাতেই এই দুইটি জিনিস পান করেন তাহলে অবশ্যই আপনার রোজা ভেঙে যাবে। থাকা অবস্থাতে হারাম অথবা হালাল কোন প্রকার খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করা যাবে না। রোজা থাকা তাই কোন কিছু খেয়ে ফেললে রোজা ভেঙ্গে যায়। তবে হাঁ, আপনি যদি ভুল করে কিছু খেয়ে ফেলেন এবং আপনার মনে পড়ে যে আপনি রোজা আছেন সেক্ষেত্রে যদি সেই জিনিসটি মুখ থেকে ফেলে দেন তাহলে রোজা ভাঙবে না।

কানে অথবা নাকের তরল জাতীয় কোন দ্রব্য কিংবা ড্রপ ব্যবহার করার ফলে রোজা ভেঙে যেতে পারে। জোরপূর্বক অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করার চেষ্টা করলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। বমি করলেও যদি বমির পরিমাণ অনেক বেশি হয় তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। কেউ যদি জোর করে ইচ্ছাকৃতভাবে কোথাও ক্ষত সৃষ্টি করে এবং রক্ত বের হয় তাহলে রোজা ভেঙ্গে যায়। আবার অনেক সময় দেখা যায় হঠাৎ করে কোনো কাজ করতে যে হাত কিংবা পা কেটে যায়।

এই অবস্থায় যদি রক্তের পরিমাণ অনেক বেশি হয় এবং সেই রক্ত যদি গড়িয়ে পড়ে তাহলেও রোজা ভেঙ্গে যাবে। রোজা রত কোন ব্যক্তিকে জোরপূর্বক কোন কিছু খাওয়ানোর চেষ্টা করলে আপনার রোজা ভেঙ্গে যাবে। রোজা থাকা অবস্থাতেই যৌন মিলন কিংবা শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হলে রোজা ভেঙ্গে যায় তবে হ্যাঁ আপনি যদি ভুল করে শারীরিক মিলনের লিপ্ত হয়ে পড়েন এবং আপনার মনে পড়ে যে আপনি রোজা রয়েছেন। এই ক্ষেত্রে আপনি যদি দ্রুত কাজটি বন্ধ করেন এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তাহলে আপনার রোজাটি হবে।

প্রিয় পাঠক আশা করছি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি। মূলত এই সমস্ত কারণগুলোর জন্যই আমাদের রোজা ভেঙ্গে যায়। আপনি যদি প্রত্যেকটি রোজাকে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে চান। সে ক্ষেত্রে চেষ্টা করবেন উপরের এই কারণগুলোকে এড়িয়ে চলার। অনেক সময় দেখা যায় আমরা ভুল করে রোজা থাকা অবস্থায় কিছু খেয়ে ফেলি এই অবস্থা আপনি যদি আল্লাহ তালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং মুখ থেকে খাবারটি দ্রুত ফেলে দেন তাহলে আপনার রোজা হবে। প্রিয় পাঠক ইসলাম খুবই সহজ। ইসলামে এমন কোন কিছু নেই যা আমাদের জন্য খুবই কষ্টকর।

পাঠকদের কিছু প্রশ্ন

রোজা না রাখতে পারলে করনীয় কি?
রোজা না রাখতে পারলে পাপ হবে না তবে যেহেতু আমরা মুসলিম সেক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেকের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে তাই আমাদের উচিত রোজা রাখা তবে অনেক সময় দেখা যায় আমরা অসুস্থ থাকি কিংবা আমাদের বিশেষ কোন সমস্যা থাকে সে ক্ষেত্রে রোজা না রাখতে পারলে ফিদিয়া দিতে হবে। অর্থাৎ গরিব দুখিয়ে কিংবা অসহায় কোন মানুষকে একবেলা পেট ভরে খাওয়াতে হবে। আর যদি আপনি রমজান মাসের পরবর্তী সময়ে সুস্থ থাকেন এবং রোজা রাখতে সক্ষম হন সে ক্ষেত্রে আপনাকে কাজা রোজা আদায় করতে হবে।

রমজান মাসের রোজা না রাখলে কি পাপ হবে? 
রমজান মাসের রোজা না রাখলে পাপ হবে না তবে যেহেতু আমরা মুসলিম সেজেছে আমাদের প্রত্যেকের উপরে আল্লাহ তায়ালা রোজা ফরজ করেছেন তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত পবিত্র রমজান মাসের রোজা রাখা তবে যদি কোন বিশেষ সমস্যা থাকে সে ক্ষেত্রে রমজান মাসের রোজা না রাখলে পাপ হবে না। এই রোজাগুলো পরবর্তী সময়ে আপনি কাজা রোজা হিসেবে আদায় করতে পারবেন

রোজা কত বছর বয়সে ফরজ হয়?
ছেলে ও মেয়েদের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন বয়সে রোজা ফরজ করা হয়। ছেলেদের সাধারণত ১৩ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে তাদের উপর রোজা ফরজ হয় আর মেয়েদের ক্ষেত্রে দেখা যায় ১১ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে তাদের উপর রোজা ফরজ হয়।

২০২৪ সালের রমজান কত তারিখ হবে?
আপনি কি জানতে চান যে ২০২৪ সালের রমজান কত তারিখে হবে? তাহলে এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়তে থাকুন। আমরা আজকের এই পোস্টে ২০২৪ সালের রমজান কত তারিখে হবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি তাই আপনারা যারা ২০২৪ সালের রমজান কত তারিখ বাংলাদেশ জানতে চান তারা এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়তে থাকুন।

২০২৪ সালে রোজা কয়টি হবে?
আমাদের অনেকের মনেই এই প্রশ্নটি থাকে যে ২০২৪ সালের রোজা কয়টি হবে যেহেতু এখনো সঠিক তথ্য জানা যায়নি তবে বিজ্ঞানীদের ধারণা যে ২০২৪ সালের রোজা ২৯ টি হবে।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আমরা আজকের এই পোস্টে ২০২৪ সালের রোজা কত তারিখ থেকে শুরু - ২০২৪ সালের রমজান কত তারিখ, ২০২৪ সালের রমজান কত তারিখ বাংলাদেশ এবং রোজা কত বছর বয়সে ফরজ হয় সেই সমস্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। যেহেতু প্রতিবছর রোজা সৌদি আরবের অদ্ধচন্দ্রাকৃতির চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল তাই আজকে প্রত্যেককে আহবান করা হয়েছে অর্ধচন্দ্রাকৃতি চাঁদ দেখার জন্য। আজকে যদি চাঁদ দেখা যায় সে ক্ষেত্রে আপনারা নিশ্চিত থাকুন, যে আগামীকাল থেকে সৌদি আরবে রমজান মাস হতে চলেছে।

সৌদি আরবে কালকে প্রথম রোজা হলে বাংলাদেশে ১২ তারিখ থেকে প্রথম রোজা হবে। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন ২০২৪ সালের রমজান কত তারিখে।  ২০২৪ সালের রমজান 11 তারিখে। আর বাংলাদেশে ২০২৪ সালের রমজান 12 তারিখে। এছাড়া অনেকের মনে কৌতুহল থাকে যে ২০২৪ সালে বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর কবে হবে। যদি আজকে সৌদি আরবে অর্ধচন্দ্রাকৃতি চাঁদ দেখা যায় তাহলে আপনারা সম্পূর্ণ নিশ্চিত থাকুন যে আগামী ১০ তারিখে বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url