অনিয়মিত মাসিক হলে রোজা হবে কি? জানুন সত্য হাদিস

অনেকের মনে এই প্রশ্নটিই থাকে যে অনিয়মিত মাসিক হলে রোজা হবে কি? এই সময় দেখা যায় আমাদের প্রতি মাসে দুই থেকে তিনবার মাসিক হয় অর্থাৎ ১৫ দিন পর পর মাসিক হয় এ ক্ষেত্রে কি রোজা হবে? জানতে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আমরা আজকের এই পোস্টে অনিয়মিত মাসিক হলে রোজা হবে কি এবং অনিমিত মাসিক অবস্থায় কিভাবে রোজা রাখতে হবে। সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। রোজার ফজিলত ও আমল, অনিয়মিত মাসিক হলে রোজা হবে কি, মাসে ২ ৩ বার মাসিক হওয়ার কারণ এবং অনিয়মিত মাসিক হলে কি কি সমস্যা হয় জানতে নিচে দেখুন।
অনিয়মিত মাসিক হলে রোজা হবে কি
আমি নিশ্চিত, আপনি যদি নিচের দেওয়া এই উপায় গুলো অনুসরণ করেন তাহলে আশা করছি দ্রুত অনিয়মিত মাসিক থেকে রেহাই পাবেন। বর্তমান সময় বাংলাদেশের প্রায় ঘরে ঘরে মেয়েরা অনিয়মিত মাসিকের সমস্যায় ভুগছেন কিন্তু তারা লোক লজ্জার ভয়ে এই সমস্যাগুলোকে প্রকাশ্যে আনতে পারে না তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব অনিয়মিত মাসিক হলে রোজা হবে কি, অনিয়মিত মাসিক হলে কি কি সমস্যা হয় এবং অনিয়মিত মাসিক দূর করার উপায় কি। আপনি যদি ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে অনিমিত মাসিক থেকে রেহাই পেতে চান এবং রোজা রাখতে চান তাহলে নিচের দেওয়া উপায় গুলো অনুসরণ করুন।

পেজ সূচিপত্র

     ভূমিকা     

রমজান মাসের ফজিলত সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকেই জানি রমজান মাস হাজারো প্রতিরোধ ও বরকতে ভরপুর একটি মাস এই মাসে আল্লাহতালার কাছে আপনি যা চাইবেন আল্লাহ তা'আলা আপনাকে তাই দিবেন এই জন্য আমাদের উচিত রমজান মাসে বেশি বেশি আল্লাহর ইবাদত করা রোজা রাখা নামাজ কায়েম করা কুরআন শরীফ তেলাওয়াত করা। কিভাবে অনেক সময় দেখা যায় রোজা থাকা অবস্থাতে অথবা রোজার আগে আমাদের পিরিয়ড হয় এক্ষেত্রে পিরিয়ড অবস্থাতে কি রোজা রাখা যাবে? 

আনতে এই পোস্টটি সম্পন্ন করতে থাকুন আমরা আজকের এই পোস্টে পিরিয়ড অবস্থায় রোজা রাখা যাবে কি এবং অনিয়মিত মাসিক হলে রোজা হবে কি এই সমস্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। রোজা অবস্থায় পিরিয়ড হলে করণীয় কি, পিরিয়ড হলে করণীয় কি,  রোজার ফজিলত ও আমল, অনিয়মিত মাসিক হলে রোজা হবে কি,  দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ এবং  অনিয়মিত মাসিক হলে কি কি সমস্যা হয়  জানতে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন।

অনিয়মিত মাসিক হলে রোজা হবে কি

অনেকের মনে এই প্রশ্নটি থাকে যে অনিয়মিত মাসিক হলে রোজা হবে কি আবার রোজা থাকা অবস্থাতে অনিয়মিত মাসিক দেখা দিলে এই অবস্থায় আমাদের রোজাটি রাখা যাবে কি। আমরা প্রত্যেকেই জানি যে মেয়েদের প্রতি মাসে পিরিয়ড হয়। এটি প্রতি মাসে হয় যার কারণে একে মাসিক বলা হয়। তবে ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়ে রোজা রাখা যাবে কি এবং রোজা অবস্থাতেই মাসিক হলে এই অবস্থায় কি করা উচিত সেই সমস্ত বিষয় খুঁটিনাটি  জানতে নিচে দেখুন।

মাসিক অর্থাৎ এটি নারীদের প্রজননের ক্ষমতা কে আরো বেশি সক্রিয় করার জন্য ডিম্বাশয় থেকে ডিম্ব স্ফুটন হয়ে ফ্যালিপিয়ন টিউবের সাহায্যের গর্ভাশয় এসে পৌঁছায় এবং এটি তিন থেকে চার দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে তবে সর্বোচ্চ ১০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই অবস্থাতে নারীদের শরীর অনেক বেশি দুর্বল থাকে এবং পেটে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয় সাথেই পুরো শরীর ব্যথা থাকে  এই জন্য মহান আল্লাহ তালা এই সময় কি মেয়েদেরকে বিশ্রামের জন্য দিয়েছেন এবং রোজা ও নামাজ থেকে দায়মুক্তি  দিয়েছেন।
এইজন্য মাসিক চলাকালীন অবস্থাতে কখনো রোজা অথবা নামাজ কায়েম করা যাবে না এমনকি আপনার যদি মাসে দুই থেকে তিনবার মাসিক হয় অর্থাৎ ১৫-১৬ দিন পর পরই মাসিক হয় সে ক্ষেত্রে অনিয়মিত মাসিক চলাকালীন অবস্থাতেও আপনি কোনভাবেই রোজা রাখতে পারবেন না। যেহেতু ইসলাম ও হাদিসে স্পষ্টভাবে বলা রয়েছে, যে ন্যাপকিন সম্পূর্ণরূপে সাদা না হওয়া পর্যন্ত কখনোই নামাজ এবং রোজা রাখা যাবে না। এক্ষেত্রে মাসিক চলাকালীন অবস্থাতে রোজা থেকে বিরত থাকতে হবে।

আর যদি আপনি অনিয়মিত মাসিক চলাকালীন অবস্থাতে রোজা রাখেন এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার পাপ হবে। এইজন্য অনিয়মিত মাসিক চলা কালীন অবস্থাতে কখনোই রোজা রাখা যাবে না। মনে করুন যদি আপনার ৩ থেকে চার দিন পর্যন্ত মাসিক স্থায়ী হয়, এক্ষেত্রে পঞ্চম দিনে সম্পূর্ণ রূপে পাক-পবিত্র হয়ে  রোজা রাখতে পারবেন রোজার নিয়ত করতে পারবেন। তবে পিরিয়ডের শেষ দিন হলুদ স্রাব আসলেও এই দিনে রোজা থেকে বিরত থাকতে হবে।

প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে অনিয়মিত মাসিক হলে রোজা হবে কি। যেহেতু ইসলাম ও হাদিসে স্পষ্টভাবে দেওয়া রয়েছে যে মাসিক চলাকালীন সময়ে কখনো রোজা এবং নামাজ পড়া যাবে না। মেয়েদের শরীর দুর্বল থাকে এবং পেটে তীব্র ব্যাথা অনুভূত হয় এই জন্য এই সময়টি বিশ্রাম করতে হবে এবং সম্পূর্ণরূপে মাসিক ভালো হওয়া না পর্যন্ত নামাজ ও রোজা থেকে বিরত থাকতে হবে। এবার চলুন আমরা জেনে আসি অনিয়মিত মাসিক হলে নামাজ হবে কি।

অনিয়মিত মাসিক হলে নামাজ হবে কি

উপরের আলোচনার মাধ্যমে আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে অনিয়মিত মাসিক হলে রোজা হবে কি। তবে এবার আমরা জানবো যে অনিয়মিত মাসিক হলে নামাজ হবে কি। যেহেতু পীরের চলাকালীন সময় কি আল্লাহ তাআলা নারীদেরকে বিশ্রামের জন্য দিয়েছেন সেক্ষেত্রে এই সময় থেকে বিরত থাকতে হবে এবং সম্পূর্ণরূপে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত ন্যাপকিন সাদা না হওয়া পর্যন্ত নামাজ কায়েম করা যাবে না। ইসলাম ও হাদিসে স্পষ্টভাবে বলা রয়েছে যে অনিয়মিত মাসিক অথবা নিয়মিত মাসিক চলাকালীন অবস্থাতে কখনো নামাজ পড়া যাবে না।

সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়টিতে নামাজ ও রোজা থেকে বিরত থাকতে হবে। আপনি এই অবস্থাতে নামাজ কায়েম করেন এবং রোজা রাখেন তাহলে আপনার পাপ হবে এই জন্য চেষ্টা করবেন এই সময়টুকু বিশ্রাম করার কারণ না পিরিয়ড চলাচলের নারীদের শরীর খুবই দুর্বল থাকে এবং পেটে প্রচুর ব্যথা অনুভূত হয় এইজন্য আল্লাহ তা'আলা মেয়েদেরকে এই সময় শুধুমাত্র বিশ্রামের জন্য দিয়েছেন। এই জন্য এই সময়টি নামাজ রোজা থেকে বিরত থাকতে হবে।

প্রিয় পাঠক আশা করছি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে অনিয়মিত মাসিক হলে হবে কি। অনিমিত মাসিক হলে কিংবা ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়ে কখনোই নামাজ পড়া যাবে না। যেহেতু ইসলামের বিধি-বিধানের স্পষ্টভাবে বলা রয়েছে, ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়ে কখনো নামাজ কায়েম করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে যদি কেউ ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়ে নামাজ কায়েম করে এক্ষেত্রে তার পাপ হবে। এবার চলুন আমরা জেনে আসি অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ গুলো কি।

অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ

ওপরের আলোচনায় এতক্ষণ আমরা জানলাম যে অনিয়মিত মাসিক হলে রোজা রাখা যাবে কি এবং নামাজ কায়েম করা যাবে কি এবার আমরা জানবো অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ কি কেন হয় অনিয়মিত মাসিক? মাসিক এটি সম্পূর্ণ একটি শারীরিক প্রক্রিয়া নারীদের প্রতি মাসেই ঋতুস্রাব হয় যার কারণে একে মাসিক বলা হয়। অনেক সময় দেখা যায় অনিয়মিত মাসিক দেখা দেয় অর্থাৎ মাসে তিন থেকে চার বার মাসিক হয়। তবে এই অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা তাই আজকে আমরা জানবো অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণগুলো।

অনিয়মিত মাসিক হওয়ার পিছনে লুকিয়ে রয়েছে নানান কারণ তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো আমাদের অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস। বর্তমান সময়ে ঘরে ঘরে প্রত্যেক মেয়েরা অনিমিত মাসিকের শিকার কিন্তু তারা লোক লজ্জার ভয়ে এই সমস্যাগুলোকে প্রকাশ্যে আনতে পারে না যার কারণে তারা নিজেদের ভবিষ্যতকে নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তবে চিন্তার কিছু নেই আমরা আজকের এই পোস্টে অনিয়মিত মাসিক দূর করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

ফাস্টফুড

এবার আমরা জানবো অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণগুলো। অনিয়মিত মাসিক হওয়ার পিছনে মূলে রয়েছে ফাস্টফুড। বর্তমান সময় পাসপোর্ট পছন্দ করে না অথবা খায় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল কারন আমরা প্রত্যেকে ফাস্ট ফুড এর প্রতি অনেক বেশি আকৃষ্ট ফাস্টফুড ছাড়া যেন একটা দিনও কাটানো সম্ভব নয়। ছোট ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বড়রা পর্যন্ত এই ফাস্টফুডের প্রতি আকৃষ্ট। ফাস্টফুডে প্রচুর হাইড্রোজেনেট তেল, অস্বাস্থ্যকর চিনি, রাসায়নিক পদার্থ, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ট্রান্সফার ব্যবহার করা থাকে।

যার কারণে এইগুলো আমাদের শরীরের ক্ষতি করে। অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়ার ফলে যেমন আপনার ওজন দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকবে আরেকদিকে এটি আপনার কিডনি এবং ফুসফুসের জন্য মারাত্মক। এই সময় থাকতে এখনই সাবধান হন এবং ফাস্টফুড থেকে দূরে থাকুন। অনেক সময় দেখা যায় আমরা অনিয়মিত মাসিকে ভুগি। অর্থাৎ মাসে তিন থেকে চার বার মাসিক হয় আবার দুই তিন মাস পর পর মাসিক হয় এর কারণ হলো ফাস্টফুড অতিরিক্ত পরিমাণে ফাস্টফুড খেলে এমন সমস্যা দেখা দেয়।

অতিরিক্ত শরীরচর্চা

অতিরিক্ত শরীর চর্চা করলেও অনিমিত মাসিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে এইজন্য আমাদেরকে অতিরিক্ত শরীরচর্চা থেকে বিরত থাকতে হবে। শরীরচর্চা করা ভালো শরীর চর্চা করলে একদিকে আমাদের শরীর ভালো থাকে আরেক দিকে মনো ফ্রেশ থাকে। তবে অতিরিক্ত শরীর চর্চা করলে এটি আমাদের শরীরের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। কথায় আছে না অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। ঠিক তেমনি আপনি যদি অতিরিক্ত শরীরচর্চা করতে শুরু করেন সে ক্ষেত্রে আপনার অনিমিত মাসিকের সমস্যা দেখা দিবে। অর্থাৎ ঘন ঘন মাসিক হবে।

হঠাৎ ওজন হ্রাস পাওয়া

হঠাৎ ওজন হ্রাস পেয়ে গেলে অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকে ওজন কমানোর জন্য মেডিসিন অথবা প্রোডাক্ট ব্যবহার করে এই প্রোডাক্টগুলো ব্যবহার করার ফলে হঠাৎ ওজন হ্রাস পেয়ে যায় যার ফলে অনুমতি বার্ষিকীর সমস্যা দেখা দেয়। যেন আপনারা যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন তারা চেষ্টা করবেন প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর অর্থাৎ শরীর চর্চা করা একটু ডায়েট কন্ট্রোল করা। এতে কোন প্রকার সাইড ইফেক্ট ছাড়াই আপনার ওজন কমতে থাকবে।

প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ কি। অনিয়মিত মাসিক হবার মূলে রয়েছে অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়া ভাজাপোড়া খাওয়া অতিরিক্ত শরীর চর্চা কিংবা হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া তবে অনেক সময় দেখা যায় অনিয়মিত মাসিক গুরুতর রোগের উপসর্গ হয়ে আসে এই জন্য আমার মতে সবচেয়ে সেরা হবে আপনি যদি চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। এবার চলুন আমরা জেনে আসি দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ কি।

দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ

প্রিয় পাঠক ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ কি। আর আমরা জানবো দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ কি। অনেক সময় দেখা যায় আমাদের রেগুলার মাসিক হয় না। মাসিক এটি সম্পূর্ণ শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া এবং প্রতি মাসে একবার হয় তবে অনেক সময় দেখা যায় আমাদের দুই তিন মাস পর পর মাসিক হয় এর কারণ কি? অনিয়মিত মাসিক হওয়ার পিছনে লুকিয়ে থাকতে পারে নানান কারণ।

তবে ২-৩ মাস পর পর মাসিক হলে এটি অবশ্যই একটি ভাবনার ব্যাপার। হতে পারে বড়সড়ো কোন রোগের উপসর্গ। জন্য যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে দুই তিন মাস পর পর মাসিক হলে পরবর্তী সময়ে আপনার প্রজননের সমস্যা দেখা দিতে পারে এইজন্য সময় থাকতে এখনই সাবধান হোন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ঘরে ঘরে মেয়েরা এখন এই অনিমিত মাসিকের সমস্যায় ভুগছে কিন্তু লোক লজ্জায় ভয় তারা এই সমস্যাগুলোকে প্রকাশ্যে আনতে পারছে না আমার মতে সবচেয়ে সেরা হবে আপনি যদি চিকিৎসকের পরামর্শ নেন।

প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ কি। এবার চলুন আমরা জেনে আসি অনিয়মিত মাসিক হলে কি কি সমস্যা হয়। অর্থাৎ দীর্ঘদিন থেকে যদি অনিয়মিত মাসিক হতে থাকে এক্ষেত্রে আমাদের কি কোন সমস্যা হবে? জানতে নিচে দেখুন অনিয়মিত মাসিক হলে কি কি সমস্যা হয়।

অনিয়মিত মাসিক হলে কি কি সমস্যা হয়

ওপরে আমরা এতক্ষন জানলাম অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণগুলো। এবার আমরা জানবো অনিয়মিত মাসিক হলে কি কি সমস্যা হয়। অনিয়মিত মাসিক এটি যদিও কোন গুরুতার রোগ নয় তবে আপনি যদি দীর্ঘদিন যাবৎ এটিকে অবহেলা করতে থাকেন তাহলে পরবর্তী সময়ে আপনার মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে এমনকি আপনার প্রজনন সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং আপনি গর্ভধারণ এ অক্ষম হতে পারেন। এই জন্য যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

  • দীর্ঘদিন যাবত অনিয়মিত মাসিক হলে অর্থাৎ মাসে দুই থেকে তিনবার মাসিক হতে থাকলে আপনার হাত-পা মুখ ফ্যাকাসে হয়ে যেতে পারে এবং আপনি রক্তশূন্যতায় ভুগতে পারেন 
  • অনিয়মিত মাসিক চলতে থাকলে নিদ্রাহীনতায় ভুগতে পারেন।
  • অনিয়মিত মাসিকের ফলে ত্বকের নানান কালচে দাগ তৈরি হয়। যা ত্বকের সৌন্দর্যতাকে নষ্ট করে।
  • দীর্ঘদিন যাবত অনিয়মিত মাসিক চললে পরবর্তী সময়ে আপনি সন্তান ধারনের অক্ষম হয়ে পড়বেন।
  • দীর্ঘদিন যাবত অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা থাকলে মাথা ঘোরা বমি বমি ভাব দেখা দেয়।
প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন অনিয়মিত মাসিক হলে কি কি সমস্যা হয়। দীর্ঘদিন যাবত অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা থাকলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। অর্থাৎ আপনার যদি প্রতি মাসে দুই থেকে তিনবার মাসিক হয় কিংবা ১৫ থেকে ১৬ দিন পর্যন্ত মাসিক স্থায়ী হয় এক্ষেত্রে পরবর্তী সময়ে আপনার রক্তশূন্যতা হবে এবং হাত মুখ ফ্যাকাসে হয়ে যাবে সাথে মাথা ঘুরা ও ক্লান্তি ভাব। আবার দীর্ঘদিন অনিয়মিত মাসিক থাকলে নিদ্রাহীনতা দেখা দেয়। রাতে ঘুম আসে না। খাবারে অনীহা দেখা দেয়।

সাথেই পরবর্তী সময়ে আপনার প্রজননের সমস্যা দেখা দিবে এই জন্য সময় থাকতে এখনই চিকিৎসকের পরামর্শ নেন বর্তমান সময় বাংলাদেশে হাজার হাজার নারী এই অনিয়মিত মাসিকের শিকার তবে তারা সমাজের লোক লজ্জার কারনে তাদের এই সমস্যা গুলোকে প্রকাশ্যে আনতে পারেনা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেয় না যার ফলে তারা নিজেদের ভবিষ্যৎকে নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই জন্য সময় থাকলে এখনই সাবধান হন এবং অনিয়মিত মাসিক প্রতিরোধ করুন। এবার চলুন আমরা জেনে আসি অনিয়মিত মাসিক দূর করার উপায় কি।

অনিয়মিত মাসিক দূর করার উপায়

যেহেতু বর্তমান সময় ঘরে ঘরে মেয়েরা অনিমিত মাসিকে ভুগছেন এক্ষেত্রে আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে অনিমিত মাসিক দূর করার উপায় গুলো। কারণ অনিমিত মাসিকের ভয়াবহতা সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছি যে দীর্ঘদিন যাবত নিয়মিত মাসিক চলতে থাকলে আমরা পরবর্তী সময়ে সন্তান ধারণে অক্ষম হতে পারি। যেহেতু মাসিক আমাদের সন্তান ধারণের ক্ষমতাকে আরো বেশি সক্রিয় করে সেক্ষেত্রে অবশ্যই অনিয়মিত দূর করার উপায় গুলো আমাদেরকে জানতে হবে। চলুন তাহলে ঝটপট জেনে নেই অনিয়মিত মাসিক দূর করার উপায়।

তিল: তিল অনেক উপকারী উপাদান এটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। যা অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা কে নিমিষেই দূর করতে পারে। এই জন্য প্রতিদিন সকালে তিলে ভিজানো পানি পান করবেন এটি আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত এই পানি পান করার ফলে আপনার শরীরে শক্তি ও এনার্জি আসবে সাথে আপনার ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হবে  এবং অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা দূর হবে। এই জন্য অনিয়মিত মাসিক থেকে রেহাই পেতে চাইলে, অবশ্যই নিয়মিত তিলে ভিজানো পানি পান করবেন।

আদা: অনিয়মিত মাসিককে নিয়মিত  করতে আদা অনেক উপকারী উপকারী উপাদান। আদাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের সৌন্দর্যতা আরো বেশি বৃদ্ধি করে। এই জন্য এখন থেকে নিয়মিত এক কাপ আদা চা পান করবেন।
নিয়মিত এক কাপ আদা চা নিমিষেই  আপনার অনিমিত মাসিকের সমস্যা কে দূর করতে পারে। এই জন্য এখন থেকে নিয়মিত আদা চা পান করবেন। সাথে প্রতিদিন সকালে উঠে আদার টুকরো খালি মুখে চিবিয়ে খেয়ে নিবেন।

ব্যায়াম: শরীরকে সুস্থ রাখতে চাইলে এবং মন ভালো রাখতে চাইলে অবশ্যই ব্যায়াম করতে হবে কারণ ব্যায়াম করা আমাদের প্রত্যেকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যায়াম করলে একদিকে যেমন আপনার শরীর সুস্থ থাকে শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলো সঠিকভাবে কাজ করে আরেক দিকে আপনার মনও ভালো থাকে। অনেকে ওজন কমানোর জন্য শরীরচর্চা করে থাকে। কিন্তু শুধুমাত্র ওজন কমানোর জন্য নয়। এটি আপনার শরীরের সুস্থ রাখে। আপনার শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে অবশ্যই ব্যায়াম করতে হবে।

আপনি যদি উপরের এই নিয়মগুলো অনুসরণ করেন তাহলে আপনি সহজেই ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে অনিয়মিত মাসিক থেকে রেহাই পাবেন। আমাদের অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাসের জন্যই অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা দেখা দেয় তবে আপনি যদি উপরের এই নিয়মগুলো অনুসরণ করেন তাহলে এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যেই ভালো ফলাফল অর্জন করবেন প্রিয় পাঠক আশা করছি আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন।

আমরা আপনাদের সুবিধার্থে অনিয়মিত মাসিক হলে রোজা রাখা যাবে কি, অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ এবং অনিয়মিত মাসিক দূর করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর গুলো পেয়ে গেছেন এই পোস্টটি ভাল লেগে থাকলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন। আর এমন নিত্য নতুন টিপস পেতে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন। চলুন আমরা পাঠকদের কিছু প্রশ্ন  এবং উত্তর গুলো ঝটপট জেনে আসি।

পাঠকদের কিছু প্রশ্ন

রোজার ফজিলত ও আমল কি?
রোজার ফযীলত এক দুই লাইনে বলে শেষ করা সম্ভব নয়। নিশ্চয়ই এই রমজান মাসটি অন্যান্য মাসে তুলনায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলত ও বরকতে ভরপুর তাই এই সময়টি আমাদেরকে বেশি বেশি আমল করতে হবে। আমজাদ মাসের প্রথম দশ দিন রহমতের মাস এবং দ্বিতীয় দশ দিন ক্ষমার মাস এবং তৃতীয় দশ দিন জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার মাস। আপনি যদি রোজার ফজিলত ও আমল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইটে ইসলাম ক্যাটাগরি ঘুরে দেখুন।

অনিয়মিত মাসিক হলে রোজা হবে কি?
না'মাসিক চলাকালীন অবস্থাতে কোনভাবেই রোজা রাখা যাবে না যেহেতু এই সময়টি মহান আল্লাহ তা'আলা আপনাদেরকে শুধুমাত্র বিশ্রামের জন্য দিয়েছেন সে ক্ষেত্রে মাসিক হলে এই সময়ে রোজা থেকে বিরত থাকতে হবে।

মাসে ২ ৩ বার মাসিক হওয়ার কারণ কি
মাসে দুই থেকে তিনবার মাসিক হওয়ার পিছনে লুকিয়ে রয়েছে নানান কারণ তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো আপনার অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস আমরা বর্তমান সময়ে ফাস্ট ফুড এর প্রতি এতটা আকৃষ্ট যে একদিনও ফাস্ট ফুড ছাড়া কাটাতে পারি না। যার কারণে আমাদের মাসে দুই থেকে তিনবার মাসিক হয়। তো ফাস্টফুট খেতে থাকলে এমন অনিমিত মাসিকের সমস্যা দেখা দেয় আবার অতিরিক্ত শরীর চর্চা করার ফলেও মাসে দুই তিনবার মাসিক হতে পারে।

দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ কি?
বর্তমান সময় বাংলাদেশের প্রায় 60 পারসেন্ট মেয়েরাই অনিমিত মাসিকে ভুগছেন তবে তারা যার ভয়েস সমস্যাগুলোকে প্রকাশ্যে আনতে পারেনা। অনেকের দেখা যায় দুই মাস পর পর মাসিক হয় এর কারণ কি? হঠাৎ করে ওজন অতিরিক্ত হ্রাস পেলে এমন সমস্যা দেখা দেয়। তবে সবচেয়ে ভালো হবে আপনি যদি চিকিৎসকের পরামর্শ নেন।

অনিয়মিত মাসিক হলে কি কি সমস্যা হয়?
দীর্ঘদিন যাবত অনিয়মিত মাসিক হলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়, পেট ফুলে যায়, ওজন বৃদ্ধি অথবা হ্রাস পায়, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব সাথেই সন্তান ধারনে অক্ষম।

অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ কি?
নিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ হলো আপনার অতিরিক্ত শরীরটা অথবা ফাস্টফুড। এই দুইটি কারণের জন্যই মূলত অনিমিত মাসিকের সমস্যা দেখা দেয়। তবে অনেক সময় গুরুতর রোগের উপসর্গ হয়ে আসে অনিয়মিত মাসিক।

অনিয়মিত মাসিক হলে রোজা হবে কি?
না অনিমিত মাসিক চলাকালীন সময়ে কখনোই রোজা রাখা যাবে না।

অনিয়মিত মাসিক হলে নামাজ হবে কি?
ইসলাম ও হাদিসে স্পষ্টভাবে দেওয়া রয়েছে যে মাসিক চলাকালীন সময়ে অর্থাৎ চলাকালীন সময়ে নামাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আমরা আজকের এই পোস্টে অনিয়মিত মাসিক হলে রোজা হবে কি, অনিয়মিত মাসিক হলে নামাজ হবে কি, অনিমিত মাসিক হওয়ার কারণ কি এবং অনিমিত মাসিক হলে কি কি সমস্যা হয়। সে সমস্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। অনেকের মনে এই প্রশ্নটি থাকে যে অনিয়মিত মাসিক হলে রোজা হবে কি? ইসলাম এবং পুরাণে স্পষ্টভাবে দেওয়া রয়েছে যে মেয়েদের মাসিক চলাকালীন সময় কি শুধুমাত্র বিশ্রামের জন্য এবং এই সময়ে নামাজ রোজা থেকে বিরত থাকতে হবে।

পিরিওড চলাকালীন সময়টি মেয়েদের জন্য খুবই কষ্টকর হয় এই সময় পেলে তীব্র ব্যথা হয় সাথে পেট ব্যথা মাথাব্যথা তো রয়েছেই। এইজন্য মহান আল্লাহ তায়ালা মেয়েদেরকে এই সময়টি নামাজ রোজা থেকে তাই মুক্তি দিয়েছেন। এই অবস্থায় যদি আপনি নামাজ রোজা রাখেন তাহলে অবশ্যই ইসলাম ও হাদিসের বিধি-বিধানকে ভঙ্গ করা হবে এতে আপনার পাপ হবে। এছাড়াও আজকের এই পোস্টে আমরা অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার  করেছি।

অনিয়মিত মাসিক হওয়ার মূলে রয়েছে ফাস্টফুড অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়ার ফলে অনিমিত মাসিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এইজন্য এখন থেকেই অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিন। অতিরিক্ত ফাস্টফুড খেলেও অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা দেখা দিবে। আবার অতিরিক্ত শরীরচর্চা করলেও অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা দেখা দিবে। তবে প্রিয় পাঠক চিন্তার কিছু নেই আপনি যদি অনিয়মিত মাসিকে ভুগে থাকেন তাহলে উপরের উপায় গুলো অনুসরণ করুন এবং অনিয়মিত মাসিক দূর করুন।

অনিমিত মাসিক কোন গুরুতর রোগ নয় তবে এটি যদি আপনি দীর্ঘদিন যাবত অবহেলা করতে থাকেন পরবর্তী সময়ে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করবে এই জন্য সময় থাকতে এখনই সাবধান হোন এবং অনিয়মিত মাসিক দূর করুন। দীর্ঘদিন যাবত অনিয়মিত মাসিক চলতে থাকলে অর্থাৎ প্রতি মাসে দুই থেকে তিনবার মাসিক হলে পরবর্তী সময়ে আপনার রক্তশূন্যতা দেখা দিবে। চোখ মুখ ফ্যাকাসে হয়ে যাবে এবং মৃত্যুর মতো যন্ত্রণা অনুভূত হবে। আবার আপনি সন্তান ধারণ এর ক্ষমতাও হারাতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url