পায়ের কুনি পাকা সমস্যার সমাধান জেনে নিন
পায়ের কুনি পাকা সমস্যার সমাধান খুঁজছেন? আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন।আমরা আজকের এই পোস্টে পায়ের খনি পাকার সমস্যা সমাধান নিয়ে আলোচনা করব। অনেক সময় পায়ের ঠিকভাবে যত না নেওয়ার কারণে এমন খুনি পাকার সমস্যা দেখা দেয় তাই পায়ের কুনি পাকে কেন, কোন ভিটামিনের অভাবে নখের সমস্যা হয় এবং পায়ের কুনি পাকা সমস্যার সমাধান করতে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
পায়ের কুনি পাকা সমস্যার সমাধান। বিশেষ করে গরমকালে এই সমস্যাটি বেশি দেখা দেয় পায়ের কুনি পেকে যায় পায়ের খুনি পেকে গেলে অসহ্য দেখা হয় যা সত্যি খুব কষ্টকর তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে পায়ের কুনি পাকে কেন,কোন ভিটামিনের অভাবে নখের সমস্যা হয়, নখ ফেটে গেলে করণীয় কি এবং পায়ের কুনি পাকা সমস্যার সমাধান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়েন তাহলে হালকা একটু যত্নের মাধ্যমে আপনি আপনার পায়ের কুনি পাকা সমস্যা সমাধান করতে পারবেন।
পেজ সূচিপত্র
ভূমিকা
এতসব কাজের চাপে পায়ের যত্ন নেওয়া একদমই হয় না আমরা যেভাবে আমাদের ত্বকের চুলে যত্ন নেয় সেভাবে পায়ের যত্ন কিন্তু কখনোই নেওয়া হয় না। যার ফলে আমরা পায়ের কুড়ি পাকার সমস্যায় ভুগি পায়ের গুণি পাকার সমস্যা যদিও কোন গুরুতার রোগ নয় তবে এটি খুবই কষ্টকর। পায়ের কুনি পেকে অনেক সময় কুনির এক সাইড হলুদ বর্ণ ধারণ করে এবং ফুলে যায়। তামার সাথে গ্রীষ্মকালে বেশি দেখা যায় কারণ গ্রীষ্মকালে পা ঘেমে সেই ঘামটি পায়ের কুনির এক সাইডে জমে থাকে
এতসব কাজের চাপে পায়ের যত্ন নেওয়া একদমই হয় না আমরা যেভাবে আমাদের ত্বকের চুলে যত্ন নেয় সেভাবে পায়ের যত্ন কিন্তু কখনোই নেওয়া হয় না। যার ফলে আমরা পায়ের কুড়ি পাকার সমস্যায় ভুগি পায়ের গুণি পাকার সমস্যা যদিও কোন গুরুতার রোগ নয় তবে এটি খুবই কষ্টকর। পায়ের কুনি পেকে অনেক সময় কুনির এক সাইড হলুদ বর্ণ ধারণ করে এবং ফুলে যায়। তামার সাথে গ্রীষ্মকালে বেশি দেখা যায় কারণ গ্রীষ্মকালে পা ঘেমে সেই ঘামটি পায়ের কুনির এক সাইডে জমে থাকে
এতে পায়ের খুনি পাকার সমস্যা দেখা দেয় এজন্য সবসময় পা পরিষ্কার রাখতে হবে। এছাড়াও শীতকালে অনেকের এই সমস্যা দেখা দেয়। প্রচন্ড শীতে আমরা পায়ে মৌজা ব্যবহার করি এই মৌজা ব্যবহার করার ফলে পা ঘেমে থাকে সেই ঘামটি পরবর্তী সময়ে পায়ের কুনি এক সাইডে জমে পাকা সমস্যা হয়। তবে চিন্তার কিছু নেই হালকা একটু যন্ত্রের মাধ্যমে আপনি খুনি পাকা থেকে সহজে রেহাই পেতে পারবেন। আমরা অনেকে গুনি পাকাকে সাধারণ সমস্যা মনে করে অবহেলা করে।
আরো পড়ুন: দিনে 500টাকা ইনকাম করতে ক্লিক করুন
কিন্তু এটি সাধারণ সমস্যা হলেও দীর্ঘদিন এটিকে অবহেলা করার ফলে আপনার পায়ে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে এই জন্য এখন থেকে সাবধান হন এবং পায়ের কুনি পাকা সমস্যার সমাধান করুন। তবে তার আগে আপনাকে জানতে হবে যে পায়ের কুনি কেন পাকে।পায়ের কুনি কেন পাকে সেই সম্পর্কে জানতে নিচে দেখুন
পায়ের কুনি কেন ফাটে
সঠিক যত্নের অভাবে পায়ের কুনি ফেটে যায়। আমরা যেভাবে আমাদের ত্বকের যত্ন নিয়ে সেভাবে কিন্তু কখনোই পায়ের যত্ন নেওয়া হয় না যার কারণে পায়ের নানান সমস্যা দেখা দেয় যেমন আমাদের ত্বকের চেয়ে পায়ের রং একটু কালচে হয় তবে আপনি যদি চান তাহলে আপনি এক সপ্তাহের মধ্যেই আপনার পায়ের রঙ পরিবর্তন করতে পারবেন এবং পায়ের কুনি পাকা দূর করতে পারবেন। বিশেষ করে গরমে আমাদের এই সমস্যা গুলো বেশি বেড়ে যায়, পায়ের কুনি পেকে যায়।
এটি যদিও কোন গুরুতর সমস্যা নয় তবে এটি সত্যি খুবই কষ্টকর পা এর কুনি পেকে গেলে খুব ব্যথা অনুভূত হয় সাথে পায়ের কোনায় এক সাইডে ফুলে হলুদ হয়ে যায়। এই অবস্থায় পায়ের বণিক পাকার সমস্যার সমাধান করা খুবই জরুরী কারণ আপনি যদি দিনের পর দিন এই সমস্যাটিকে অবহেলা করেন তাহলে পরবর্তী সময়ে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে আপনি জানলে অবাক হবেন যে সামান্য পায়ের কুনি পাকা থেকে পরবর্তী সময়ে আপনার পায়ে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
এবং ক্যান্সারের ভয়াবহতা সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই জানেন তাই এখন থেকে সতর্ক হোন এবং পায়ের কুনি পাকা সমস্যার সমাধান করুন। আপনি যদি পায়ের কুনি কেন ফাটে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এক নজর নিচে দেখুন
- গরমে পায়ের ঘামের জন্য কুনি পাকার সমস্যা তৈরি হয়।
- ঠিকভাবে পায়ের যত্ন না নিলে পায়ের কুনি পাকার সমস্যা হয়।
- শীতকালের সবসময় মজা ব্যবহার করার ফলেও এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- পায়ের কোনায় ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রমণ হওয়ার ফলেও পায়ের কুনি পেকে যেতে পারে।
- প্রায় আট ফাট অর্থাৎ টাইট জুতা পরার অভ্যাস থাকলে এমন সমস্যা দেখা দেয়
আশা ওপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে পায়ের কুনি কেন পাকে। পায়ের কুনি পাকা সমস্যা বিশেষ করে গরমকালে বেশি দেখা দেয় এই জন্য গরমকালে সবসময় পা পরিষ্কার রাখুন এবং পায়ের কুনি প্রতি সপ্তাহে ছোট করে কেটে ফেলুন। অনেকে রয়েছে যারা পায়ের বড় খুনি রাখতে পছন্দ করে। এতে পায়ের কুনি পাকা সমস্যা আরো বেশি বৃদ্ধি পায়। এই জন্য এখন থেকেই প্রতি সপ্তাহে একবার পায়ের কুনি কাটুন এবং সব সময় পা পরিষ্কার রাখুন। তবে আপনি যদি পায়ের কুনি পাকা সমস্যার সমাধান পেতে চান তাহলে নিজে দেখুন আমরা পায়ের কুনি পাকা সমস্যার সমাধান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
পায়ের কুনি পাকা সমস্যার সমাধান
পায়ের কুড়ি পাকার সমস্যা সমাধান খুঁজছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন আমরা আজকের এই পোস্টে পায়ের খুনি পাকা সমস্যা সমাধান সম্পর্কে আলোচনা করব অনেক সময় আমাদের পায়ের অযত্নের কারণে পায়ের খুনির এক সাইডে পেকে ফুলে হলুদ বর্ণ ধারণ করে এই সময় পায়ে খুবই ব্যথা হয় এমনকি হাঁটাচলাতেও সমস্যা হয় তাই এই সময় আপনি চাইলে অনুসরণ করে সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।
কুনি পাকার সমস্যা যদিও এটি বড়সড়ো কোন গুরুতর রোগ নয় তবে এটি খুবই কষ্টকর পায়ের এক সাইডে কুনি ফুলে গেলে দেখতেও ভালো লাগে না আবার পায়ে সব সময় ব্যথা অনুভূত হয়। তাই চলুন আর দেরি না করে এবার আমরা ঝটপট জেনে আসি পায়ের কুনি পাকা সমস্যার সমাধান গুলো।পায়ের কুনি পাকা দূর করতে নিচের উপায় গুলো অনুসরণ করুন।
খোলা মেলা জুতা
পায়ের কুনি পাকা সমস্যার সমাধান করতে প্রথমে আট শাট টাইট জুতা পরার অভ্যাস বাদ দিন। অনেক সময় আমাদের পায়ের জুতা গুলো সাইজে ছোট হয়। এই জুতাগুলো পড়ার ফলে আমাদের পায়ের কুনির একসাইডে চাপ পড়ে ফলে পায়ের কুনি পেকে যায় এবং এক সাইডে লাল বর্ণ ধারণ করে। এই যেন এখন থেকে কখনোই সাইজে ছোট জুতা গুলো পড়বেন না। সব সময় পারফেক্ট সাইজের জুতাকে বেছে নিবেন। চেষ্টা করবেন খোলামেলা জুতা পরার। যেনো জুতার মধ্যে দিয়ে বাতাস আসা যাওয়া করতে পারে।
গরম পানি
গরম পানি কিন্তু প্রদাহ দূর করতে খুবই কার্যকরী। এইজন্য যখনই আপনার পায়ের কুনি পেকে যাবে তখন এক মগ গরম পানির মধ্যে পা চুবিয়ে রাখবেন এতে দ্রুত আপনি পায়ের ব্যথা থেকে রেহাই পাবেন। গরম পানিতে ব্যাকটেরিয়া দূর হয় পায়ে যখন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ হয় তখন পায়ের কুনি পেকে যায় এই অবস্থায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখলে দ্রুত পায়ের কুনি পাকা থেকে রেহাই পাবেন এবং ব্যথা ক্রমাগত কমতে থাকবে।
তুলা অথবা পাতলা কাপড়
পায়ের যে অংশের খুনি পেকে গেছে সে অংশের খুনিটিকে যত দ্রুত সম্ভব তুলে ফেলতে হবে এতে আপনি পায়ের কুনি পাকা প্রতিরোধ করতে পারবেন। 15 থেকে 20 মিনিট গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখার পাশাপাশি কোন কিছুর সাহায্যে পায়ের কুনিটিকে মাংসর থেকে উপরে তোলার চেষ্টা করবেন এবং কুনিটিকে একটু উঁচু করে তার মধ্যে একটু তুলা অথবা পাতলা কাপড় দিয়ে রাখবেন। এতে ধীরে ধীরে পায়ের কুনিটিমাংস থেকে উঠে আসতে থাকবে। এতে আপনি সহজেই কোন প্রকার ব্যাথা ছাড়াই আপনার পায়ের আক্রান্ত কুনিটিকে কেটে ফেলতে পারবেন।
লেবুর রস
অনেকে মনে করে কাটাছেঁড়া স্থানে লেবু জাতীয় উপাদান ব্যবহার করতে নেই তবে এই ধারণাটি কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল কারণ লেবুর রস রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক অ্যাসিড ও ভিটামিন সি যা যেকোনো প্রকার ক্ষত ব্যথা সারাতে সহায়তা করে। এই জন্য পায়ের কুনি পাকলে যে অংশটি পেকে গেছে সে অংশের উপরে লেবুর রস ম্যাসাজ করতে থাকুন এতে লেবুর রসে থাকা ভিটামিন সি আপনার পায়ের কুনি পাকা দূর করবে। এক্ষেত্রে আপনি চাইলে লেবুর খোসাও আপনার পায়ে ব্যবহার করতে পারবেন লেবুর খোসা থেকেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
এন্টি ব্যাকটেরিয়াল সাবান
পায়ের ঠিকভাবে যত্ন না নিলে পায়ের ঘাম জমে যেয়ে পায়ে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ হয় এতে পায়ের কুনি এক সাইডে পেকে যায় এতে খুব ব্যথা অনুভূত হয় এইজন্য অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করতে হবে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করার ফলে দ্রুত পায়ের কুনির ব্যাকটেরিয়া দূর হবে এবং পায়ের কুনি পাকার সমস্যা থেকে আপনি রেহাই পাবেন। তবে হ্যাঁ এই সাবানটি ব্যবহার করার পাশাপাশি কিন্তু আপনাকে পায়ের যত্ন নিতে হবে পায়ে সঠিক যন্ত্র না নিলে এমন সমস্যা বারবার হতেই থাকবে এই জন্য এখন থেকেই পায়ের যত্ন নিন।
ভিনেগার
আপনি কি জানেন ভিনেগার দিয়ে পায়ের কুনি পাকার সমস্যা নিমিশেই দূর করতে পারবেন? হ্যাঁ বন্ধুরা ভিনিগারে আছে হাজারো লেবুর পরিমাণ ভিটামিন সি যা আপনার ক্ষত সারাতে সহায়তা করবে যে কোন প্রকার ক্ষত দূর করবে এবং ব্যথাকে উপশম করবে তাই পায়ের কুনি পাকা দূর করতে ভিনেগার ব্যবহার করুন। হালকা কুসুম গরম পানি নিন তার মধ্যে দুইটা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে নিন এবার ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য এই পানির মধ্যে পা ভিজিয়ে রাখুন এতে আপনার পায়ের কুনি পাকার ব্যথা দ্রুত দূর হবে।এবং পায়ের কুনিটি মাংস থেকে আলাদা হয়ে আসতে পারবে এতে আপনি পায়ের কুনিটিকে সহজে কেটে ফেলতে পারবেন।
আপনি যদি ওপরের এই টিপসগুলো অনুসরণ করেন তাহলে সহজে ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমে পায়ের কুনি পাকা সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। পায়ের গুণী বিভিন্ন কারণে পেকে যেতে পারে অনেক সময় আমাদের অযত্নের কারণে ও পায়ের কুনি পেকে যায় এই সময় এ প্রচুর ব্যথা হয় এমনকি হাঁটাচলা করতেও কষ্ট হয় এই জন্য উপরের এই উপায় গুলো অনুসরণ করুন এই উপায় গুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি সহজেই পায়ের সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।
প্রিয় পাঠক আশা করছি উপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন পায়ের কুনি পাকা সমস্যার সমাধান কি কি। এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি কোন ভিটামিনের অভাবে নখের সমস্যা হয়।
কোন ভিটামিনের অভাবে নখের সমস্যা হয়
আপনি কি জানেন কোন ভিটামিনের অভাবে নখের সমস্যা হয়? অনেক সময় দেখা যায় আমরা কিভাবে পায়ের যত্ন নেই তবুও পায়ের কুড়ি পেকে যায় পায়ের কুনি ফেটে যায় কিংবা পাতলা হয়ে যায় এই সমস্যাগুলো কেন হয় আপনি কি জানেন? প্রত্যেকেই তো বলে যে পায়ের ঠিকভাবে যত্ন না নিলে এসব সমস্যা দেখা দেয় কিন্তু অনেক সময় আমরা ঠিকভাবে যত্ন নিয়ে পায়ের প্রোপার কেয়ার করি তারপরেও এমন সমস্যা দেখা দেয় এর পিছে বড়সড় কোন কারণ লুকিয়ে নেই তো? আজ আমরা এমনই কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি।
আমাদের শরীরে প্রত্যেকটি ভিটামিনের সমপরিমাণ চাহিদা রয়েছে কোন একটি ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিলে শরীরে দেখা দেয় নানান রোগ বালাই। যেমন শরীরে যখন ভিটামিন সি এর অভাব দেখা দেয় তখন আমাদের ত্বক উস্কো হয়ে যায় এবং অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয় তেমনি যখন শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দেয় তখন এমন পায়ের নখের সমস্যা হয় নখ এক সাইডে কালচে আকার ধারণ করে আবার পায়ের কুনি পাকে।আরো নানান প্রকার সমস্যা দেখা দেয়।
শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দিলে প্রথম উপসর্গ হয়ে আসে পায়ের নখের সমস্যা। আপনি যদি এদিকে অবহেলা করেন তবে তাহলে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দিলে সরিয়ে ধীরে ধীরে ভঙ্গুর হতে থাকে। যতদিন যাবে শরীর দুর্বল হতে থাকবে এবং উঠে দাঁড়ালে মাথা চক্কর দিবে এবং চোখে আবঝা দেখবেন। জন্য এখন থেকে সতর্ক হোন এবং ভিটামিন ডি এর ঘাটটি দূর করতে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করুন আপনি যদি না জানেন যে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাদ্য কোনগুলো তাহলে নিচে দেখুন আমরা আপনাদের সুবিধার্থে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার কি কি সেই সম্পর্কে একটি খাদ্য তালিকা তৈরি করেছি।
ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার কি কি
জানতে চান ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার কি কি তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দিলে শরীরে নানান রোগ বালাই দেখা দেয় সবার প্রথম উপসর্গ হয়ে আসে পায়ের নখের সমস্যা তারপর ধীরে ধীরে আপনার শরীর দুর্বল হতে থাকে।এই অবস্থায় আপনি চাইলে ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমে শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব দূর করতে পারবেন ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করে।তাই আমরা আপনাদের জন্য ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাদ্য তালিকা তৈরি করেছি নিচে দেখুন।
- সামুদ্রিক মাছ
- ডিমের কুসুম
- মাশরুম
- সিমের বিচি
- ড্রাগন
- সয়াবিন
- গরুর দুধ
- কমলা
- সজনে পাতা
- ব্রোকলি
- অ্যাভোকাডো
উপরের এই খাদ্যগুলো থেকে আপনি ভরপুর ভিটামিন দিয়ে পাবেন তবে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি পাওয়া যায় সামুদ্রিক মাছ এবং ডিমের কুসুম থেকে এর জন্য নিয়মিত সকালে দুইটি হাফ বয়েল ডিম খেয়ে নিবেন। এবং প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরুর দুধ পান করতে কিন্তু ভুলবেন না। এভাবে আপনি যদি এক থেকে দুই সপ্তাহ গরুর দুধ এবং ডিম খেতে থাকেন তাহলে দ্রুত আপনার শরীর থেকে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দূর হবে এবং আপনার শরীর সুস্থ থাকবে।
এই জন্য শরীরের যত্ন নিতে নিয়মিত ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করবেন। পাঠক আশা করছি উপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার কি কি। এবার চলুন আমরা জেনে আসি নখ ফেটে গেলে করণীয় কি।
নখ ফেটে গেলে করণীয়
নখ পাতলা হয়ে ফেটে যাচ্ছে? অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে লোক পাতলা হয়ে ফেটে যায় যা দেখতে খুবই বিশ্রী লাগে তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব যে নখ পেতে গেলে করণীয় কি এবং কিভাবে এই সমস্যা থেকে আপনি রেহাই পাবেন। অনেক সময় আমরা নখের উপরি ভাগকে অনেক পাতলা করে ফেলি এতে নখ সহজেই ভেঙে যায়। এই অবস্থায় কিভাবে নখকে দ্রুত স্ট্রং এবং মোটা করা যায় সেই বিষয়ে জানতে নিচে দেখুন
ভ্যাসলিন
ভ্যাসলিনে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় যার লোকের জন্য খুবই উপকারী প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে লোকে ভালোভাবে ভেসলিন ম্যাসাজ করবেন তারপর এভাবেই ঘুমিয়ে পড়বেন এতে আপনার নখ দীপার হবে এবং নক স্ট্রং হবে এতে ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশ কমে যাবে এজন্য এখন থেকে প্রতি রাতে ভ্যাসলিন ব্যবহার করবেন। ভ্যাসলিন যেকোন প্রকার কাটাছেঁড়া ক্ষতকে দ্রুত সারাতে সহায়তা করে। এইজন্য এখন থেকে নিয়মিত ভ্যাসলিন ব্যবহার করবেন।
এছাড়াও অনেকের পায়ের গোড়ালিতে ফাটা দাগ থাকে এই ফাটা দাগগুলোকে দূর করতে আপনি ভেসলিন ব্যবহার করতে পারেন ভ্যান ব্যবহার করার ফলে দ্রুত ফাটা অংশ মলিন ও নরম হয়ে যাবে এবং যাবতীয় দাগ দূর হবে।
চিনি ও লেবুর রস
চিনি ও লেবুর রস নখ রিপেয়ার করতে সহায়তা করে এর জন্য এখন থেকে নিয়মিত নখে চিনি ও লেবুর রস মাছ চাষ করবেন এতে আপনার নখ দ্রুত রিপেয়ার হবে এবং নখ স্ট্রং হবে এতে নখ ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যাবে। লেবুর রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এক কথায় লেবুকে ভিটামিন সি এর উৎস বলা যায় ভিটামিন সি যে কোন প্রকার কাটা কত ছেঁড়া ছাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে এর জন্য এখন থেকে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার চিনি ও লেবুর রস নোখে ম্যাসাজ করবেন।
ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার
অনেক সময় আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দিলে নখ পাতলা হয়ে যায়।এটি ভিটামিন ডি এর ঘাটতির প্রথম উপসর্গ হয়ে আসে। এই জন্য ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করতে হবে এতে আপনি দ্রুত আপনার পাতলা নখ থেকে রেহাই পাবেন। লোক পাতলা হয়ে যাওয়া যদিও এটি গুরুতার কোন রোগ নয় তবে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দিলে এটি অবহেলা করার ফলে আপনার শরীরে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে এই জন্য এখন থেকে সাবধান হন এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করুন তবে হ্যাঁ আপনি যদি না জেনে থাকেন যে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার কোনগুলো তাহলে উপরে দেখুন আমরা ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাদ্য তালিকা তৈরি করেছি।
ভিটামিন ডি ক্যাপসুল
দ্রুত যে কোন প্রকার পায়ের কোণে সমস্যা থেকে রেহাই পেতে আপনি চাইলে ভিটামিন ডি ক্যাপসুল সেবন করতে পারেন ভিটামিন ডি ক্যাপসুলটি ১৫ বছরের নিচে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ তাই আপনার বছর যদি ১৫+ উপরে হয় তাহলে আপনি নিশ্চিন্তে এই ক্যাপসুলটি ব্যবহার করতে পারেন। দীর্ঘদিন যাবৎ শরীরের ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দিলে শরীর দুর্বল হতে এই অবস্থায় ভিটামিন ডি ক্যাপসুল গ্রহণ করা খুবই জরুরী নিয়মিত ভিটামিন ডি ক্যাপসুল সেবন করার ফলে দ্রুত ভিটামিন ডি এর অভাব দূর হবে এবং নখ সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যা দূর হবে।
আশা করছি উপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে নখ ফেটে গেলে করণীয় কি। আপনার নখ যদি পাতলা হয় ফেটে যায় তাহলে উপরের এই উপায় গুলো অনুসরণ করুন।এই উপায় গুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি দ্রুত ফাটানো থেকে রেহাই পাবেন।
পাঠকদের কিছু প্রশ্ন
পায়ের কুনি কেনো পাকে?
আপনি কি জানেন পায়ের কুনি কেন পাকে? পায়ের সঠিক যত্নের অভাবে পায়ের কুঁড়ি পেকে যেতে পারে আবার অনেক সময় পায়ে ব্যাকটেরিয়া ছত্রাক দ্বারা আক্রমণ হলেও পায়ের কুনি পেকে যায়। বিশেষ করে গরম কালে এই সমস্যাগুলো বেশি দেখা দেয় কারণ গরমকালে আমাদের পায়ের ঘাম জমে যায় এতে পায়ের আক্রমণ হয় এবং পায়ের কুনি পাকে এই জন্য পায়ের কুনি পাকা থেকে রেহাই পেতে চাইলে উপরের উপায় গুলো অনুসরণ করুন এবং দ্রুত পায়ের কুনি পাকা দূর করুন।
পায়ের কুনি পাকে কোন ভিটামিনের অভাবে?
পায়ের কুনি মূলত ভিটামিন ডি এর অভাবে পেকে যায়। শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দিলে নখের সমস্যা হয় নখ পাতলা হয়ে যায় পায়ের কুনি পাকে নখ একা একাই উঠে যায়। আপনি যদি এই সমস্ত সমস্যা থেকে রেহাই পেতে চান তাহলে এখন থেকেই নিয়মিত ভিটামিন দিয়ে সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করুন নিয়মিত ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাদ্য খাওয়ার ফলে আপনি দ্রুত এই সমস্ত সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন। কুনি পাকা এটি যদিও কোন গুরুতর রোগ নয়। তবে এটি অবহেলা করার ফলে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে এজন্য এখন থেকেই সতর্ক হোন এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাদ্যগুলো গ্রহণ করুন।
নখ উঠে যাওয়া
নখ উঠে যাচ্ছে? তাহলে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব রয়েছে ভিটামিন ডি এর অভাব থাকলে এমন নখ উঠে যাওয়ার সমস্যা তৈরি হয়।
নখ ফেটে গেলে করণীয় কি?
জানতে চান নখ ফেটে গেলে করণীয় কি তাহলে আমাদের এই পোস্টটি আবারো বলুন আমরা আজকের এই পোস্টে আলোচনা করেছি যে নখ ফেটে গেলে করণীয় কি।
পায়ের কুনি পাকা সমস্যার সমাধান কি?
পায়ের কুনি পাকা সমস্যার সমাধান কি?
পায়ের খুনি পাকা দূর করতে 15 থেকে 20 মিনিট গরম পানির মধ্যে পা ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং পায়ে লেবুর রস অথবা ভিনেগার ব্যবহার করতে হবে। এতে পায়ের কুড়ি টাকার ব্যথা উপশম হবে এই অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব পায়ের কুনিগুলো কেটে ফেলতে হবে। তাহলে আপনি পায়ের কুনি পাকার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
কোন ভিটামিনের অভাবে নখের সমস্যা হয়?
কোন ভিটামিনের অভাবে নখের সমস্যা হয়?
শরীরে যখন ভিটামিন ডি এর অভাব হয় তখন নখের সমস্যা দেখা দেয় লোকের সমস্যাই মূলত ভিটামিন ডি এর অভাবে এর প্রথম উপসর্গ হয়ে আসে এর জন্য থেকে আপনাকে বেশি বেশি ভিটামিন দিয়ে জাতীয় খাবার গুলো খেতে হবে এতে আপনি দ্রুত নখের সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আমরা আজকের এই পোস্টে নখ ফেটে গেলে করণীয় কি , পায়ের কুনি পাকা সমস্যার সমাধান কি এবং পায়ের কুনি কেন পাকে এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। কাজের এত ব্যস্ততার মাঝে পায়ের যত্ন নেওয়া একদমই হয় না ফলে পায়ে নানান সমস্যা দেখা দেয় যেমন পায়ের নখ পাতলা হয়ে যাওয়া পায়ের কুনি পেকে যাওয়া। পায়ের কুনি পেকে যাওয়া এটি কোন রোগ না হলেও এটিকে অবহেলা করার ফলে আপনার শরীরে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
পাকা থেকে ধীরে ধীরে এটি ক্যান্সার পর্যন্ত যেতে পারে এর জন্য এখন থেকে আপনাকে সতর্ক হতে হবে এবং পায়ের কুনি পাকা দূর করতে উপরের উপায় গুলো অনুসরণ করতে হবে তবে আপনি কি জানেন যে পায়ের কুনি কেন পাকে? আমরা অনেকেই আট শাট জুতও পড়তে পছন্দ করি। এই আট শাট জুতোর কারণেই আমাদের পায়ের কুনি পাকার সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য এখন থেকেই অভ্যাস তৈরি করুন খোলামেলা জুতো পড়ার। যখন আপনি আট শাট জুতো পড়েন ।
তখন পা ঘেমে সেই ঘামটি আপনার পায়ের কুনিতে জমা হয় এতে পায়ের কুনি পেকে যায়। পায়ের কুনি পেকে গেলে হাঁটাচলা করতে অনেক কষ্ট হয়, এটি সত্যি খুবই কষ্টকর এজন্য পায়ের কুনি পাকা সমস্যা থেকে রেহাই পেতে উপরের উপায় গুলো অনুসরণ করুন। আপনি যদি পায়ের কুনি পাতা থেকে রেহাই পেতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে পায়ের খনি গুলো কাটতে হবে। এই অবস্থায় পায়ের পুরি কাটা খুবই কষ্টকর এর জন্য প্রথমে ১৫ - ২০ মিনিট পা গরম পানিতে চুবিয়ে রাখুন।
এতে ব্যথা কিছুটা কমবে তারপর পায়ের কুনিটি কাটার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে আপনি চাইলে ব্যথা উপশম করতে ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন। ভিনেগার রয়েছে হাজারও লেবুর পরিমাণ ভিটামিন সি যা কাটাছেড়া সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে এবং ব্যথা উপশমে সহায়তা করে। আশা করছি আজকের এই পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে আপনি যদি এমন নতুন নতুন পোস্ট আরো পেতে চান তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত চেক করবেন, ধন্যবাদ।
ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url