বুক ধড়ফড় করার ৮টি কারন ও করণীয় দেখে নিন
বুক ধড়ফড় করার ৮টি কারন ও করণীয় দেখে নিন | আপনার কি কারণে অকারনে বুক ধরফর করে? জানতে চান বুক ধরফর কিসের লক্ষণ? তাহলে এই পোস্টটি পড়তে থাকুন। বিভিন্ন কারণে বুক ধরফর করতে পারে। আমরা আজকে বুক ধরফর কিসের লক্ষণ,বুক ধড়ফড় দূর করার ঘরোয়া উপায় এবং বুক ধরফর করার ৮টি কারণ ও করনীয় দেখে দিন।
বর্তমান সময়ে আমাদের বয়স ৪০ এর ওপরে গেলেই শরীরে নানান রোগ বালাই দেখা দেয়। যেমন ডাইবেটিস উচ্চ রক্তচাপ বুক ধরফর হাঁটুতে ব্যথা। তবে এই সমস্যাগুলোর পিছনে রয়েছে নানান কারণ যেমন আমাদের অস্বাস্থ্যকর জীবন, ফাস্ট ফুড ও অতিরিক্ত মানসিক চাপ। অনেকের ঘুমের সময় বুক ধরফর করে হঠাৎ হার্টবিট বেড়ে যায়।এটি কোন বড়সড়ো রোগ নয় তো? টানতে আজকের এই পোস্টটি দেখতে থাকুন। আমরা আজকের এই পোস্টে বুক ধরফর কিসের লক্ষণ, বুক ধরফর কেন হয় এবং বুক ধরফর দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো আলোচনা করব।বুক ধড়ফড় করার ৮টি কারন ও করণীয় দেখে নিন।
পেজ সূচিপত্র
ভূমিকা
সাধারণত আমাদের হার্টবিট একটি নির্দিষ্ট গতিতে স্পন্দিত হয়। হার্টবিট এর বাংলা হল হৃৎস্পন্দন।অর্থাৎ আপনার হার্ট বারবার স্পন্দিত হয় যার কারণে একে হৃৎস্পন্দন বলা হয়। একটি সুস্থ স্বাভাবিক ব্যক্তির মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বার হার্ট স্পন্দিত হয়। তবে সব সময় যে এর মাত্রা একই থাকবে এমনটা কিন্তু নয় অনেক সময় বিভিন্ন কারণে হৃৎস্পন্দনের মাত্রা বেড়ে যায়। এই সময় বুকের মধ্যে ধরফর করে এবং অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি হয়। কিন্তু এমন কেন হয় আপনি কি জানেন?
এমন হঠাৎ হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়ার কারণ কি? জানতে নিচে দেখুন, আমরা আজকের এই পোস্ট আপনাদের সুবিধার্থে বুক ধরফর কিসের লক্ষণ এবং বুক ধরফর কেন হয় সেই সমস্ত বিষয়ে আলোচনা করেছি।
বুক ধরফর কিসের লক্ষণ
আপনি কি জানেন বুক ধরফর কিসের লক্ষণ? অনেক সময় ভারী কোন বস্তু নিয়ে চলাফেরা করলে অথবা সিড়ি থেকে উঠা নামা করলে বুক ধরফর করে ওঠে তখন আমরা বুঝতে পারি না এই বুক ধরফর এর আসল কারণটা কি। তবে হ্যাঁ প্রত্যেকটা বুক ধরফরই কিন্তু সাধারণ নয় অনেক বুক ধরফর জটিল রোগের উপসর্গ হয়ে আসে, তাই এখন থেকে আমাদেরকে একটু সতর্ক হতে হবে এবং বুক ধরফর করলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। হার্ট সংক্রান্ত ছোট ছোট সমস্যা দেখা দিলেও সতর্ক থাকতে হবে।
কারণ হার্ট আমাদের শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ।হার্ট আমাদের শরীরের সবচেয়ে ভারী অঙ্গ গুলোর মধ্যে একটি যা শরীরের সমস্ত বিষাক্ত পদার্থকে একত্রিত করে বর্জ্য পদার্থতে রূপান্তরিত করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখে। তাই এখন থেকে হার্টের বেশি বেশি যত্ন নিবেন।হার্টের যত্ন নিতে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্যগুলো গ্রহণ করবেন।কারন পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করার ফলে আপনার হার্ট সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে এবং হার্ট সুস্থ থাকবে। সাথেই হার্টের কার্যক্ষমতা আরো বৃদ্ধি পাবে।এবার চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আমরা ঝটপট জেনে আসি বুক ধরফর কিসের লক্ষণ।
বুক ধরফর কোন নির্দিষ্ট লক্ষণকে ডায়না বিভিন্ন কারণে বুক ধরফর হতে পারে অনেক সময় আমরা যখন ভারী কোন বস্তু নিয়ে উঠানামা করি অথবা চলাফেরা করি তখন আমাদের শরীরে প্রেসার পড়ে যার ফলে হার্টের স্পন্দনের গতি বৃদ্ধি পায় এটি স্বাভাবিক তবে এই অবস্থায় আমাদের উচিত চুপচাপ কোন জায়গায় যে বসে পড়া এবং ধীরে ধীরে বিশ্বাস না হওয়া এবং ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস ছাড়া।লক্ষ রাখবেন এই অবস্থায় অনেক উত্তেজিত হওয়া যাবে না।
তবে হ্যাঁ প্রত্যেকটি বুক ধরফরই কিন্তু সাধারণ নয়। অনেক বুক ধরফর হৃদরোগের উপসর্গ হয়ে আসে তাই এই সময় যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রত্যেক মানুষের মিনিটের ৬০ থেকে ১০০ বার বৃদ্ধি স্পন্দন হয় তবে এক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় কোনো কারণ ছাড়াই ঘনঘন হৃদস্পন্দন হচ্ছে এবং অনেক অস্বস্তিকর অনুভূত হচ্ছে এই সময় হতে পারে এটি হৃদরোগের উপসর্গ তাই এই সময় যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন কারণ হৃদরোগ অনেক কঠিন রোগ।
এটি অনেক মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। অনেক সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ব্যক্তি মারা যেতে পারে।এই জন্য এখন থেকে সাবধান হোন এবং বুক ধরফর করলে আগে বুক ধরফর করার কারণ খুঁজে বের করুন তারপর চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রিয় পাঠক ওপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন যে বুক ধরধর কিসের লক্ষণ এবার চলুন আমরা জেনে আসি বুক ধরফর কেন করে।
বুক ধড়ফড় কেনো করে
আপনি কি জানেন বুক ধরফর কেন করে? ঠিক কি কারনে বুকের মধ্যে এমন ধপ ধপ করে? বর্তমান সময় বাংলাদেশে খাদ্যে এত ভেজাল রয়েছে যে বয়স 40 এর উপর যেতে না যেতে শরীরে নানান রোগবালায় দেখা দেয় তবে রোগবালাইয়ের পিছে যে শুধু ভেজালযুক্ত খাবার রয়েছে এমনটা কিন্তু নয় অনেক সময় আমাদের অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের কারণেও রোগবালায় দেখা দেয়। আপনি লক্ষ্য করবেন মাঝে মাঝেই আপনার বুকে ধরফর করে ওঠে।
যেমন সিঁড়ি থেকে যখন আপনি উঠানামা করেন তখন বুক ধরফর করে অথবা যখন আপনি লাফালাফি দৌড়াদৌড়ি করেন তখন বুকের মধ্যে ধরফর ধরফর হয় এই সময় অনেক অস্বস্তিকর অবস্থা সৃষ্টি হয়। বুক ধরফর বিভিন্ন কারণে হতে পারে যেমন
অতিরিক্ত মানসিক চাপ
যখন অতিরিক্ত মানসিক চাপ দেখা দেয় তখন বুকের মধ্যে হঠাৎ ধর পর সৃষ্টি হয়। এই জন্য চেষ্টা করুন যতটা পরিমাণ সম্ভব মানুষের চাপমুক্ত থাকার আমাদের প্রত্যেকের জীবনে কোনো না কোনো কারণ নিয়ে মানসিক চাপ থেকেই থাকে তবে চেষ্টা করতে হবে সমস্যার সমাধান করার কারণ মানসিক চাপ থাকলে এটি আপনাকে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি শারীরিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
ভারী বস্তু উঠানো
কখনোই ভারী বস্তু উঠা নামা করবেন না যখন আপনি ভারী বস্তু নিয়ে উঠানামা করবেন তখন আপনার শরীরের ওপর প্রেসার পড়বে যা আপনার হার্টের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। এতে হার্টবিট বেড়ে যাবে এবং একটি অস্বস্তিকর অবস্থা সৃষ্টি হবে এর জন্য কখনোই বেশি ভারী বস্তু নিয়ে উঠানামা করার চেষ্টা করবেন না।সিঁড়ি থেকে উঠানামা
লক্ষ্য করবেন যখন আপনি সিঁড়ি থেকে বারবার উঠানামা করবেন তখন আপনার হার্টবিট হঠাৎ করে বেড়ে যাবে এই সময় বুকের মধ্যে অনেক ধরফড় সৃষ্টি হবে। এইজন্য অতিরিক্ত সিঁড়ি থেকে উঠানামা করবেন না যখন আপনি সিঁড়িতে চলাফেরা করবেন তখন আস্তে আস্তে প্রত্যেকটি ধাপ ফেলবেন। বিশেষ করে যাদের ওজন একটু বেশি তারা সিঁড়ি দিয়ে কম চলাফেরা করবেন।হঠাৎ ভয় পাওয়া
হঠাৎ ভয় পেলে বুকে ধর ফর করে অর্থাৎ হার্টবিট বেড়ে যায়। আপনি লক্ষ্য করবেন যখন আপনি হঠাৎ ভয় পাবেন তখন আপনার শরীরে শারীরিকভাবে অটোমেটিক একটি কাঁপুনি সৃষ্টি হবে এবং বুক ধরফর করতে শুরু করবে। এই অবস্থায় শান্ত হয়ে চুপচাপ বসে থাকবেন এবং আস্তে আস্তে পানি পান করবেন।
হৃদরোগ থাকলে
সব সময় বুক ধরফর করলে এদিকে কখনোই অবহেলা করবেন না কারণ অনেক সময় বুক ধরার পর হৃদরোগের উপসর্গ হয়ে আসতে পারে। আমাদের অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাসের জন্য কারণে হৃদরোগ সৃষ্টি হয় অনেক সময় অতিরিক্ত ওজন থাকলেও হৃদরোগ দেখা দেয় এই সময় হঠাৎ করেই বুকে ধরফর করে কোন কারণ ছাড়াই হার্টবিট বেড়ে যায় এই সময় আমরা এটিকে সাধারণ মনে করে অবহেলা করি কিন্তু এটি অবহেলা করার ফলে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে এই জন্য সময় থাকতে এখন থেকেই সতর্ক হোন।
বুক ধরফর কেন হয় এই সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন বুক ধরফর করার পিছে রয়েছেন নানান কারণ। তবে আপনার যদি মাঝে মাঝেই এমন বুক ধড়ফড় করে সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এবার চলুন আমরা জেনে আসি বুক ধরফর দূর করার বুক ধড়ফড় করার ৮টি কারন ও করণীয় দেখে নিন
বুক ধড়ফড় করার ৮টি কারন ও করণীয় দেখে নিন
বুক ধরফর করছে? হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়াই বুক ধরফর করছে? এর পিছে কোন বড়সড়ও কারণ লুকিয়ে নয় তো? মাঝে মাঝে আমাদের বুকের মধ্যে ধরফর করে ওঠে অর্থাৎ হার্টবিট বেড়ে যায় এই সময় আমরা বুঝতে পারি না কি করব। বুক ধরফর করার পিছে নানান কারণ থাকতে পারে, আমরা সেই বিষয়ে আলোচনা করেছি। ইতিমধ্যে আপনি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন বুক ধরফর কেন করে অনেক সময় আমাদের মানসিক চাপ বেড়ে যায় তখন আমাদের হার্টবিট বেড়ে যায় আবার যখন আমরা অতিরিক্ত ভয় পাই তখনও আমাদের হার্টবিট বেড়ে যায়।
তবে প্রত্যেকটি বুক ধরফরের কারণ কিন্তু সাধারণ নয় অনেক সময় হৃদরোগের উপসর্গ হয়ে আসে বুক ধরফর করা। এইজন্য বুক ধরফর করলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে কারণ হার্ট শরীরের সবচেয়ে বড় অঙ্গ গুলোর মধ্যে একটি এই অঙ্গ কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ধরফড় শুরু হয় বুকে এক সাইডে প্রচুর ব্যথা অনুভূত হয়।তাই এমন কোন উপসর্গ দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন তবে সাধারণভাবে বুক ধরফর করলে নিচের উপায় গুলো অনুসরণ করুন।
- বুক ধরফর করলেই হাঁটাচলা অথবা চলমান কাজ স্থগিত রেখে দিন এবং একটি জায়গায় বসে পড়ুন।
- ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নিতে থাকুন
- উত্তেজিত হবেন না এই অবস্থায় একদম উত্তেজিত হওয়া যাবে না।
- আস্তে আস্তে ঠাণ্ডা পানি পান করুন।
- অনেকে আছে যারা বুক ধরফর করলে এক নিঃশ্বাসে পানি খেয়ে ফেলে , কিন্তু পরবর্তী সময়ে এই ভুল আর কখনো করবেন না।
- মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হবে।বিশেষ করে এই অবস্থায় যখন আপনার হার্টবিট বেড়ে গেছে তখন সমস্ত চিন্তা ভাবনা ফেলে একদম রিলাক্সে বসে থাকুন।
- এক গ্লাস চিনি পানি পান করতে হবে। এই অবস্থায় চিনি পানি পান করার ফলে দ্রুত রেহাই পাবেন।
- ধূমপান ত্যাগ করুন।
- রেগুলার শরীর চর্চা করতে হবে শরীর চর্চা করার পরে নানান রোগ বালাই দূর হয়।
যখনই হঠাৎ আপনার হার্টবিট বেড়ে যাবে তখন উপরের উপায় গুলো অনুসরণ করবেন। যখন হার্টবিট অতিরিক্ত মাত্রায় থাকবে তখন কখনোই উত্তেজিত হবেন না উত্তেজিত হওয়ার ফলে আপনার ওপর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়তে পারে আর আপনার এই সমস্যা যদি মাঝে মাঝেই দেখা দেয় অর্থাৎ মাঝে মাঝে যদি কোন কারণ ছাড়াই হার্টবিট বেড়ে যায়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে অবহেলা করার ফলে কিন্তু আপনার জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ে যাবে।
প্রিয় পাঠক আশা করছি উপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন বুক ধরফর করার ৮টি কারণ ও করনীয় সম্পর্কে, এবার চলুন জেনে নিন পেটে গ্যাস হলে কি বুক ধরফর করে নাকি
পেটে গ্যাস হলে কি বুক ধরফর করে
বুক ধরফর করার পিছনে কিন্তু আরো একটি কারণ রয়েছে পেটে গ্যাস। পেটে গ্যাস থাকলেও কিন্তু বুক ধরফর করে। আমরা প্রত্যেকে গ্যাস এই শব্দটির সাথে পরিচিত কারণ আমাদের অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এবং ফাস্টফুডের কারণে নিত্যদিনের সমস্যা হলেও গ্যাস। ফাস্টফুডে বিভিন্ন প্রকার ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা থাকে যেমন ট্রান্স ফ্যাট, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, অস্বাস্থ্যকর তেল এই খাবারগুলো গ্রহণ করার ফলে আমাদের গ্যাসের সমস্যা হয়।
যার ফলে বুক ধরফর করে এই সময় অনেকেই মনে করে হতে পারে এটি কোন জটিল রোগ অথবা জটিল রোগের উপসর্গ ব্যাপারটা কিন্তু একদমই এমন নয়। পেটে গ্যাস হলেও বুক ধরফর করে আবার পেটে অতিরিক্ত গ্যাস হলে পেটের তীব্র ব্যথা অনুভূত হয় সাথে মাথাব্যথা হয় এবং বমি বমি ভাব দেখা দেয়।গ্যাস যদিও এটি অনেক সাধারন শব্দ তবে এটি অনেক জটিল আকার ধারণ করতে পারে। এইজন্য গ্যাসকে কখনো অবহেলা করবেন না যখনই আপনার মনে হবে যে আপনার পেটে গ্যাস হয়েছে তখনই একটি গ্যাস নাশক ওষুধ খেয়ে নেবেন।
এতে দ্রুত আপনি গ্যাস থেকে রেহাই পাবেন। যদি আপনার গ্যাস থেকে বুক ধরফর করে তাহলে এর সাথে আরো কিছু উপসর্গ দেখা দেয় যেমন: বুক জ্বালাপোড়া করে। আপনারা যদি এমন হয় বুক ধরফর করার সাথে এবং জ্বালাপোড়া করছে তাহলে নিঃসন্দেহে ধরে নিবেন এটি গ্যাস।
প্রিয় পাঠক আশা করছি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন পেটে গ্যাস হলে কি বুক ধরফর করে নাকি। বর্তমান সময়ে গ্যাস শব্দটির সাথে আমরা প্রত্যেকেই পরিচিত কিন্তু গ্যাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা গ্যাস এটি সাধারণ শব্দ হলেও এটিকে অবহেলা করার পরে অনেক মারাত্মক আকা ধারণ করতে পারে এজন্য সময় থাকতে এখনই সতর্ক হোন। বা চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি বুক ধড়ফড় দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।
বুক ধড়ফড় দূর করার ঘরোয়া উপায়
বুক ধরফর দূর করার ঘরে উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন আমরা আজকের এই পোস্টে বুক ধরফর দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।অনেক সময় আমাদের মাঝে মাঝে হঠাৎ করেই বুক ধড়ফড় করতে শুরু করে।হতে পারে সেটি অতিরিক্ত ভয় পাওয়ার কারণে অথবা মানসিক চাপের কারণে তবে এই সময় বুক ধরফর করলে অনেক অস্বস্তিকর অবস্থা সৃষ্টি হয় আপনাদের সাথে শেয়ার করব বুক ধড়ফড় দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো।
- বেশি বেশি পানি পান
- ভারী বস্তু উঠানামা
- নিয়মিত শরীরচর্চা
- ফাস্টফুড থেকে বিরত
- বিশ্রাম
- পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ
বেশি বেশি পানি পান
বুক ধড়ফড় শুরু করলে বেশি বেশি পানি পান করবেন। পানি পান করলে আপনি দ্রুত বুক ধরফর থেকে রেহাই পাবেন। যখন আমরা অতিরিক্ত ভয় পেয়ে যাই তখন আমাদের বুক ধড়ফড় করতে শুরু করে এবং বুকের মধ্যে অনেক অস্বস্তিকর অনুভূত হয় এই সময় বেশি বেশি পানি পান করা উচিত পানি পান করার ফলে ভয় কেটে যায় এবং বুক ধড়ফড় কমে যায়।
ভারী বস্তু উঠানামা
যখন আমরা ভারী কোন বস্তু নিয়ে উঠানামা করি সিড়ি দিয়ে চলাচল করি তখন আমাদের অনেকাংশে বেড়ে যায়। এই সময় উত্তেজিত হওয়া যাবে না উত্তেজিত হলে শরীরের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। এই সময় যতটা পরিমাণ সম্ভব বেশি বেশি পানি পান করবেন এবং কোথাও চুপচাপ বসে পড়বেন। এতে ধীরে ধীরে হার্টবিট কমতে থাকবে এবং আপনি স্বাভাবিক হতে থাকবেন।
নিয়মিত শরীরচর্চা
বুক ধরফর থেকে বাঁচতে নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে শরীর চর্চা করার ফলে অনেক রোগ বালাই দূর হয় অনেকে রয়েছেন যারা শরীরচর্চা করেন না যার ফলে শরীরে বিভিন্ন প্রকার রোগ বালাই জন্ম নেয়। আপনি কি জানেন আপনি শুধুমাত্র শরীরচর্চা করেই আপনার শরীরে সমস্ত রোগবালাকে দূর করতে পারবেন এবং ডায়াবেটিসকে নিমেষই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন? হ্যাঁ বন্ধুরা অনেকেই মনে করে শুধুমাত্র মোটা মানুষরাই শরীরচর্চা করে কিন্তু ব্যাপারটা কিন্তু একদমই এমন নয়,
মোটা হোক অথবা পাতলা প্রত্যেকের উচিত শরীরচর্চা করা।নিয়মিত শরীরচর্চা করার মাধ্যমে যেমন আপনার শরীর সুস্থ থাকে তেমনি মনও ভালো থাকে। তাই এখন থেকে চেষ্টা করবেন নিয়মিত শরীর চর্চা করার।
ফাস্টফুড থেকে বিরত
আপনি যদি ঘরোয়া উপায় এর মাধ্যমে আপনার হার্টবিটকে নরমাল করতে চান সেক্ষেত্রে এখন থেকেই ফাস্ট ফুড এবং কোল্ড্রিংস বাদ দিন। ফাস্টফুড আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। মারাত্মক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা থাকে এজন্য এখন থেকে ফাস্টফুড খাওয়া বাদ দিন এবং হার্টের যত্ন নিন। আপনি কি জানেন মাঝে মাঝেই হঠাৎ আমাদের হার্টবিট কেন বেড়ে যায়? এর পিছনে কিন্তু হৃদরোগ থাকতে পারে। আর হৃদরোগের মূলে রয়েছে ফাস্টফুড। ফাস্টফুড খাওয়ার ফলে আপনার হৃদরোগ হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। এইজন্য এখন থেকে সতর্ক হোন এবং ফাস্টফুড বাদ দিন।
বিশ্রাম
হঠাৎ হার্টবিট বেড়ে গেলে সেই অবস্থায় চলমান কাজকে স্থগিত রেখে বিশ্রাম করুন শুয়ে থাকুন। আপনার যদি হার্টবিট অতিরিক্ত বেড়ে যায় সে অবস্থাতেও যদি আপনি চলাফেরা অথবা কাজ করতে থাকেন তাহলে এটি আপনার শরীরের উপর অনেক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে এর জন্য এখন থেকে যখন আপনার হার্টবিট বেড়ে যাবে অথবা বুক ধরফর করবে তখনই কোথাও শুয়ে পড়বেন অথবা চুপচাপ বসে পড়বেন। এতে ধীরে ধীরে আপনি নরমাল হতে থাকবেন।
আরো পড়ুন: অনলাইন থেকে মাসে ২০০০০টাকা ইনকাম করুন
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। তাৎক্ষণিকভাবে বুক ধরফর থেকে রেহাই পেতে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য খাবেন এতে আপনি বুক ধরফর থেকে রেহাই পাবেন। বুক ধড়ফড় করলে সত্যি খুব অস্বস্তিকর অবস্থা সৃষ্টি হয়। মাঝে মাঝে হঠাৎ করে যদি হার্টবিট বেড়ে যায় সে ক্ষেত্রে এর পিছে থাকে নানান কারণ হতে পারে এটি আপনার অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে হচ্ছে। অথবা কাজের চাপের কারণে হচ্ছে কিংবা আপনার হার্ট দুর্বল হয়ে পড়েছে এই অবস্থায় হার্টের যত্ন নিতে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। আপনি যদি না জেনে থাকেন যে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য কোনগুলো তাহলে নিচে দেখুন পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য তালিকা
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য তালিকা
জানতে চান পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য কোনগুলো তাহলে নিচে দেখুন আমরা আপনাদের সুবিধার্থে আজকের এই পোস্টে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য তালিকা তৈরি করেছি।
- কিসমিস
- অ্যাভোকাডো
- কমলা
- আঙ্গুর
- কলা
- পেঁপে
- ডাবের পানি
- এ জুল
- কিসমিস
- ড্রাগন ফল
- নাশপতি
- পেয়ারা
- জামরুল
- সিমের বিচি
- ব্রকলি
- সবুজ শাক
- মিষ্টি কুমড়া
- মুরগির মাংস
- কাজু বাদাম
- সামুদ্রিক মাছ
- টুনা মাছ
উপরের এই খাদ্যগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম পাওয়া যায় ডাবের পানি ও সিমের বিচি থেকে ভরপুর পটাশিয়াম পাওয়া যায় এর জন্য এখন থেকে নিয়মিত খাদ্য তালিকায় সিমের বিচি রাখবেন। হার্ট আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় অঙ্গ গুলোর মধ্যে একটি যে শরীরের সমস্ত বিষাক্ত পদার্থকে বর্জ্য পদার্থতে রূপান্তরিত করে শরিকের সুস্থ রাখে এই জন্য হার্টের যত্ন নিতে বেশি বেশি পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্যগুলো গ্রহণ করতে হবে এতে হার্টের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং হার্ট সুস্থ থাকবে। করছি ওপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন পটাশিয়াম খাদ্য তালিকা সম্পর্কে।
পাঠকদের কিছু প্রশ্ন
বুক ধড়ফড় কেনো করে?
বুক ধরফর করার পিছে বিভিন্ন কারণ রয়েছে যেমন হঠাত ভয় পাওয়া অথবা ভারী জিনিস বহন কিংবা সিঁড়ি থেকে উঠা নামা করার ফলেও বুক ধড়ফড় করে।
বুক ধড়ফড় কিসের লক্ষণ?
বিজ্ঞানীরা বলেন বুক ধরফর করা হৃদরোগের লক্ষণ তবে প্রত্যেকটি বুক ধরফরই কিন্তু হৃদরোগের লক্ষণ নয় অনেক সময় আমাদের অতিরিক্ত মানসিক চাপ অথবা কাজের চাপের কারণেও বুক ধরফর করে।
বুক ধড়ফড় করলে কি করতে হবে?
বুক যখনই ধরফর করবে তখন শান্ত হয়ে বসে পড়বেন এবং ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নিতে থাকবেন এতে বুক ধরফর করা কমতে থাকবে। মনে রাখবেন এই অবস্থায় কখনোই কিন্তু উত্তেজিত হওয়া যাবে না উত্তেজিত হওয়ার ফলে আপনার শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।
পেটে গ্যাস হলে কি বুক ধরফর করে?
হ্যা বন্ধুরা পেটে গ্যাস হলেও বুক ধরফর করে এবং বুক জ্বালাপোড়া করে সাথে মাথা ব্যথা হতে পারে গ্যাস শব্দটি খুবই সাধারণ তবে এটি আমাদের শরীরে মারাত্মক ক্ষতিকর আকার ধারণ করতে পারে এইজন্য এখন থেকে সাবধান হন।
পেটে গ্যাস হলে কি শ্বাসকষ্ট হয়?
পেটে অতিরিক্ত গ্যাস হলে অনেক সময় শ্বাসকষ্ট হতে পারে। সময় যত দ্রুত সম্ভব একটি গ্যাস নাশক ঔষধ সেবন করতে হবে। গ্যাস হলে পেট ফুলে যায় এবং মাথা ব্যথা শুরু হয় সাথে পেটে তীব্র ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট হয়।
বুক ধড়ফড় করার ৮টি কারন ও করণীয় দেখে নিন
বুক ধরফর করার ৮ টি কারণ ও করণীয় জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আমাদের এই পোস্টটি আবারও পড়ুন আমরা আজকের এই পোস্টে বুক ধরফর করার ৮ টি কারণ এবং করণীয় কি কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
বুক ধড়ফড় দূর করার ঘরোয়া উপায় কি?
বুক ধরফর থেকে রেহাই পেতে বেশি বেশি পানি পান করবেন এবং ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নিবেন আর বুক ধরফর করা অবস্থায় সমস্ত কাজ স্থগিত রেখে বিশ্রাম করবেন। এছাড়াও আপনি যদি বুক ধরফর থেকে রেহাই পাওয়ার আরো ঘরোয়া উপায় গুলো জানতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্টটি আবারো পড়ুন।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আমরা আজকের এই পোস্টে বুক ধড়ফড় দূর করার ঘরোয়া উপায় কি,বুক ধড়ফড় করার ৮টি কারণ ও করণীয় দেখে নিন বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমাদের প্রত্যেকের প্রতি ৭০-১০০ বার হৃদস্পন্দন হয়। এটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া তবে সময় হার্টবিটের মাত্রা একই থাকে না অনেক সময় বেড়ে যায় আবার অনেক সময় কমে যায়। হার্টবিট এর মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পিছে রয়েছেন নানান কারণ যেমন আমরা অতিরিক্ত ভয় পেয়ে যায় কিংবা আতঙ্কে থাকি তখন আমাদের হৃদস্পন্দন অটোমেটিক বাড়তে থাকে আবার যখন আমরা রেগে যাই তখন আমাদের হার্টবিট বাড়তে থাকে।
এছাড়াও যখন আমরা সিঁড়ি থেকে বারবার ওঠানামা করি কিংবা ভারী কোন বস্তু বহন করি তখন আমাদের হার্টবিটের মাত্রা বেড়ে যায় এই সময় বুক ধরফর করতে থাকে এবং বুকের মধ্যে অস্বস্তিকর অবস্থা সৃষ্টি হয়। আমরা বুঝতে পারি না কি করব তাই এই সময় যত দ্রুত সম্ভব কোথাও রিলাক্সে বসে পড়বেন এবং ধীরে ধীরে নিশ্বাস নিতে থাকবেন। আস্তে আস্তে পানি পান করবেন এতে আপনি স্বাভাবিক হতে থাকবেন। বুক ধরফর করলে কখনোই উত্তেজিত হয়ে পড়বেন না
যে বুক ধরফর কেন করছে বড়সড়ো কোন রোগ হলো নাকি এসব কখনোই ভাববেন না।যখনই আপনার বুক ধরফর করবে তখনই সব চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে রেলাক্সে বসে পড়বেন। তবে হ্যাঁ মনে রাখবেন প্রত্যেকটি বুক ধরফরই কিন্তু স্বাভাবিক নয়। অনেক সময় বুক ধরফর করা হৃদরোগের উপসর্গ হয়ে আসে এই অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে আমরা অনেকেই রয়েছে যারা বুক ধরফর করলেই স্বাভাবিক মনে করে অবহেলা করি
ফলের দিনের পর দিন আমাদের মধ্যে নানান রোগ বাসা বাঁধে। এইজন্য যদি আপনার কোন কারন ছাড়াই মাঝে মাঝেই এমন বুক ধরফর করে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। হার্ট আমাদের শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এর যত্ন নেওয়া কিন্তু আবশ্যক।এইজন্য হার্টের যত্ন নিতে বেশি বেশি পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করবেন। আপনি যদি না জেনে থাকেন পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য কোনগুলো তাহলে উপরে দেখুন আমরা পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য তালিকায় তৈরি করেছি।
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণের ফলে আপনার হার্টের কার্যক্ষমতা আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার হার্ট সুস্থ থাকবে। আমরা চাইলে আমাদের ডেইরি খাদ্য অভ্যাসে একটু পরিবর্তন এরে হার্টের যত্ন রাখতে পারি কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য কোনগুলো যার ফলে দিন দিন আমাদের হার্ট দুর্বল হতে থাকছে তাই আশা করছি আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন আজকের এই পোস্টটি আপনার কাছে কেমন লাগলো কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন আর হ্যাঁ আপনি যদি এমন নতুন নতুন টিপস আরো পেতে চান তাহলে এই ওয়েবসাইটের স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসা ক্যাটাগরি ঘুরে আসুন।
ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url