পেটে গ্যাস হলে কি বুক ধরফর করে

পেটে গ্যাস হলে কি বুক ধরফর করে? জানতে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। পাকস্থলীতে অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক গ্ল্যান্ড অ্যাসিড নিঃসরণ হলে গ্যাসের সমস্যা হয়। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা বুকে গ্যাস জমার লক্ষণ,পেটে গ্যাস হলে কি বুক ধরফর করে এবং বুক ধরফর থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত খুঁটিনাটি সবকিছু আপনাদের সাথে আলোচনা করব।
পেটে গ্যাস হলে কি বুক ধরফর করে
বুক ধরফর করছে? কারন ছাড়াই হঠাৎ বুক ধরফর করছে? জানতে চান পেটে গ্যাস হলে কি বুক ধরফর করে নাকি? তাহলে এই পোস্টটি পড়তে থাকুন আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব যে পেটে গ্যাস হলে কি বুক ধরফর করে নাকি এবং বুকে গ্যাস জামার লক্ষণগুলো কি কি।

পেজ সূচিপত্র

         ভূমিকা        

বর্তমান সময় ২০২৪ সালের একটি কমন ওয়ার্ড গ্যাস।এই শব্দটির সাথে পরিচিত নয় এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কিন্তু খুবই মুশকিল। শুধু শব্দটির সাথেই নয় আমরা আজকাল গ্যাসের সাথে প্রত্যেকেই পরিচিত। কারণ বাইরের ফাস্ট ফুড এবং অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জন্য মাঝে মাঝে আমাদের এই গ্যাস নামক সমস্যাটি হয়ে থাকে। আজ যদিও এটি খুব সাধারণ তবে এটি মাঝে মাঝে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। গ্যাসের কারণে পেটের তীব্র ব্যথা অনুভূত হয় সাথেই বুকে অনেক জ্বালাপোড়া অনুভূত হয় যা অনেক অস্বস্তিকর অবস্থা সৃষ্টি করে। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব যে পেটে গ্যাস হলে কি বুক ধরফর করে এবং বুকে গ্যাস জামার লক্ষণ কি কি।

পেটে গ্যাস হলে কি বুক ধরফর করে

আপনারা অনেকেই নিশ্চয়ই জানেন না যে পেটে গ্যাস হলে বুক ধরফর করে। গ্যাস হলে তীব্র পেট ব্যথার পাশাপাশি বুকে ধরপর হয় এবং বুকের হার্টবিট বেড়ে যায়। অনেকে মনে করতে পারে এটি কোন গুরুতর রোগ তবে ব্যাপারটা কিন্তু একদমই এমন নয় তীব্র গ্যাস হলে বুক ধরফর করে এবং বুকে পর্যন্ত ব্যথা হয়। পাকস্থলীতে যখন অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক গ্ল্যান্ড নামক এসিড নিঃসরণ হয় তখন পেটে গ্যাস হয় এই গ্যাসের পরিমাণ যখন তীব্র হয় তখন আপনার বুক জ্বালা পড়া শুরু হয়


এবং বুকে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয় এই ব্যথাটি মূলত বুকের মধ্যস্তর থেকে শুরু হয়। সাথে সাথে ব্যথা টিম তো হতে থাকে এবং ছড়িয়ে যায় এই অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব একটি গ্যাস নাশক ঔষধ সেবন করতে হবে। তবে আপনি কি জানেন গ্যাস কেন হয়? না জানলে দেখুন গ্যাস হওয়ার কারণ

গ্যাস হওয়ার কারণ

আমাদের অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার দাবারের কারণে গ্যাস হয়। বর্তমান সময় আমরা প্রত্যেকে ফাস্টফুডের প্রতি আকৃষ্ট আর এই ফাস্টফুড বিভিন্ন প্রকার ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ এবং ট্রান্স ফ্যাট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট তারা তৈরি যার কারণে এই খাদ্যগুলো খাওয়ার ফলে আমাদের পেটে গ্যাস তৈরি হয়। অনেক কারণ রয়েছে গ্যাস হওয়ার পিসি আপনি যদি জানতে চান সেই কারণ গুলো কি কি তাহলে নিচে দেখুন

অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার
অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার খাওয়ার ফলে ও পেটে গ্যাস হতে পারে এই ভাজাপোড়া খাবারগুলো আনহেলদি তেল দ্বারা তৈরি যা আপনার পেটে গ্যাস্ট্রিক গ্ল্যান্ড অ্যাসিড নিঃসরণের পরিমাণ বৃদ্ধি করে যার ফলে গ্যাস তৈরি হয় এই গ্যাসের আকার মারাত্মক হতে পারে গ্যাসের ফলে বুকের তীব্র জ্বালাপোড়া হয় এবং বুকের মধ্যস্থান থেকে প্রচুর ব্যথা অনুভূত হয়।

পানি পান না করা
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করলে হতে পারে এজন্য এখন থেকে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে অন্তত দিনে ২ লিটার পানি পান করতে হবে। পরিমাণে পানি পান না করলে আপনার শরীরে পানির শূন্যতা দেখা দিতে পারে সাথেই গ্যাস তো রয়েছেই। এজন্য এখন থেকে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করবেন। আমাদের শরীরের এক-তৃতীয়াংশ জুড়ে রয়েছে, তাই পানির গুরুত্ব অপরিসীম। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করলে আপনার শরীরে বিভিন্ন প্রকার রোগবালাই দেখা দিবে।

ফাস্টফুড
বর্তমান সময়ে বাচ্চারা থেকে শুরু করে বড়রা পর্যন্ত ফাস্ট ফুলের প্রতি আকৃষ্ট অল্প সময়ে তৈরি মুখ রচক এই খাবারটি সবার মন কেড়েছে তবে এই খাবারটি বিভিন্ন প্রকার ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা তৈরি এজন্য এখন থেকে ফাস্টফুড খাবার পরিমান কমিয়ে দিন কারণ পাসপোর্ট আপনার শরীরে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। জানি না বলেন সপ্তাহে দুইবারের বেশি ফাস্টফুড খেলে শরীরের বিভিন্ন প্রকার রোগ বালাই দেখা দিবে। তবে এই কথাগুলো মানছে কে? পাসপোর্ট এর বিভিন্ন প্রকার ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ যেমন ট্রান্স ফ্যাট স্যাচুয়েটেড ফ্যাট অস্বাস্থ্যকর তেল ও হাইড্রোজেনেট তেল মিশানো থাকে যার গ্যাস তৈরি করে এবং সাথে আরও বিভিন্ন রোগবালাই টেনে আনে।

প্রিয় পাঠক আশা করছি উপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন গ্যাস হওয়ার কারণগুলো। এবার চলুন আমরা জেনে আসি বুকে গ্যাস জমার লক্ষণ

বুকে গ্যাস জমার লক্ষণ

বুকে গ্যাস জমার লক্ষণ জানতে চাচ্ছেন? বুকে গ্যাস জমে গেলে বুকে জ্বালাপোড়া হয় এবং বুকে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। বিভিন্ন কারণে বুকে গ্যাস জমতে পারে যেমন অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট ও চর্বি জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করলে বুকে গ্যাস জমে আবার খাওয়ার সময় বাতাস ঢুকলে গ্যাস জমে। গ্যাস থেকে রেহায় পেতে যত দ্রুত সম্ভব গ্যাস নাশক ঔষধ সেবন করতে হবে।তবে বুকে এস জমলে আপনি বুঝবেন কিভাবে আপনি যদি জানতে চান বুকে গ্যাস জামার লক্ষণ গুলো কি কি তাহলে নিচে দেখুন।

  • তীব্র মাথাব্যথা অনুভূত হবে। গ্যাসের পরিমাণ যতটা তীব্র হবে আপনার মাথা ব্যাথার পরিমাণ ঠিক ততটাই হবে।
  • মাথা ব্যথার সাথে বমি বমি ভাব দেখা দিবে ।
  • বুকে প্রচন্ড জ্বালাপোড়া অনুভূত হবে।
  •  বুকের মধ্যবর্তী স্থান থেকে প্রচুর ব্যথা অনুভূত হবে।
  • বুক ব্যথার পাশাপাশি পেট ফুলতে থাকবে।
  • পেট ফুলে শক্ত আকার ধারণ করবে।

উপরের এই লক্ষণগুলো যদি দেখা দেয় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন কারণ গ্যাস এটি সাধারন শব্দ হলেও এটি আপনার শরীরে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে আর যখন গ্যাস বুকে জমে যায় তখন আপনার শরীরে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। পাঠক আশা করছি উপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন বুকে গ্যাস জামার লক্ষণ কি কি এবার চলুন আমরা জেনে আসি ঘুমের সময় বুক ধরফর করে কেন।

ঘুমের সময় বুক ধরফর করে কেন

আপনার কি ঘুমের সময় বুক ধরফর করে? হঠাৎ করে ঘুম থেকে উঠে প্রচুর বুকে ব্যথা অনুভূত হয় এবং হার্টবিট অনেকাংশে বেড়ে যায়? জানতে চান এর কারণ কি তাহলে এই পোস্টটি পড়তে থাকুন আমরা আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব যে ঘুমের সময় বুক ধরফর করে কেন অনেক সময় তো হয় আমরা ঘুম থেকে উঠে দেখি আমাদের বুকে তারপর অনুভূত হচ্ছে অথবা ঘুমের মাঝে গো অনেক ধরফর করছে। মূলত ঘুমের সময় বুক ধরফরের কারণ হলো,

  • ঘুমের মধ্যে কোন ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে এমন বুক ধরফর করে উঠে। যখন আমরা খুব ভয় পেয়ে থাকি তখন আমাদের তুমি ডেক হার্টবিট বেড়ে যায় এই সময় গা হাত-পা গরম হতে থাকে এবং বুক ধরফর করে।
  • আবার অনেকের হৃদরোগ থাকলে ঘুমের মাঝে বুক ধরফর করতে থাকে। আপনারও কি ঘুমের মাঝে এমন বুক ধরফর করে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে কারণ এভাবে হঠাৎ বুক ধরফর করা জটিল কোন রোগের উপসর্গ হতে পারে।
  • ঘুমের মাঝে আচমকা কেউ ডাকলেও বুক ধরফর করে। এটি স্বাভাবিক তবে ঘুমের মধ্যে এভাবে আচমকা না টাকায় উচিত কারণ এতে হার্ট অ্যাটাকের মতো ত্রুটির অবস্থাও তৈরি হতে পারে বিশেষ করে যারা হার্টের রোগী রয়েছে তাদেরকে কখনোই আচমকা ঘুমের মাঝে ডাকবেন না।

প্রিয় পাঠক ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন ঘুমের সময় বুক ধরফর করে কেনো। বা চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি গ্যাসের ব্যথা কোথায় হয়।

গ্যাসের ব্যথা কোথায় হয়

আমরা প্রত্যেকে গ্যাসের সাথে পরিচিত গ্যাস মাঝে মাঝে আমাদের প্রত্যেকেরই হয় নানান কারণ যেমন ফাস্টফুড তৈলাক্ত ফুড অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন ।  গ্যাস কেন হয় সেই বিষয়ে আমরা উপরে আলোচনা করেছি আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন তবে আপনি কি জানেন গ্যাসের ব্যথা কোথায় হয়? সাধারণত পাকস্থলীতে যখন গ্যাস্ট্রিক গ্ল্যান্ড নামক এসিড টি অতিরিক্ত নিঃসরণ হয় তখন গ্যাস হয়। তবে গ্যাসের ব্যথা কোথায় হয় সে সম্পর্কে জানতে নিচে দেখুন।গ্যাসের ব্যথা হওয়ার নির্দিষ্ট কোন জায়গা নাই যেহেতু এটি গ্যাস এটি বিভিন্ন জায়গায় ব্যাথা সৃষ্টি করতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে

পেটের তীব্র ব্যথা অনুভূত হয় সাথে পেট থেকে ব্যথা বুক পর্যন্ত চলে যায়। বুকে ব্যথার পাশাপাশি বুকে প্রচুর জ্বালাপোড়া অনুভূত হয় এতেই মূলত গ্যাস যখন আমাদের বুকে প্রচুর জ্বালাপোড়া অনুভূত হয় আমরা নিঃসন্দেহে ধরে ফেলি এটি গ্যাস তবে আপনি কি জানেন অতিরিক্ত গ্যাস উঠলে বুকের বাম সাইডে ব্যথা করে আমরা অনেকেই এই সম্পর্কে জানিনা বুকের বাম সাইডে ব্যথা হলে মনে করি হতে পারে হার্ট সংক্রান্ত কোনো সমস্যা কিন্তু ব্যাপারটা একদমই এমন নয়। 

গ্যাস এমন একটি রোগ যার শরীরে যে কোন স্থানে যেকোনো সময় ব্যথা সৃষ্টি করে। গ্যাস পেট বুক থেকে শুরু করে হাত ও পা পর্যন্ত পুরো শরীরে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে এজন্য বিজ্ঞানীরা বলেন গ্যাসের ব্যথা হওয়ার নির্দিষ্ট কোন জায়গা নেই এটি যে কোন জায়গাতেই হতে পারে। আশা করছি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন গ্যাসের ব্যথা কোথায় হয় এবার চলুন আমরা জেনে আসি বুক ধরফর থেকে বাঁচার উপায় গুলো। অর্থাৎ বুক ধরফর করলে কিভাবে বাঁচব আমরা?

বুক ধরফর থেকে বাচার উপায়

বুক ধরফর করছে? বুক ধরফর থেকে বাঁচার উপায় খুঁজছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন আমরা আজকের এই পোস্টে আলোচনা করব বুক ধরফর থেকে বাঁচার উপায় গুলো কি কি। বিভিন্ন কারণে বুক ধরফর করতে পারে অতিরিক্ত মানসিক চাপ অতিরিক্ত কাজের চাপ অথবা হার্ট সংক্রান্ত কোনো সমস্যা কিংবা হঠাৎ ভয় পেয়ে যাওয়ার কারণে বুক ধরফর করে বুক ধরফর করা নির্দিষ্ট কোন কারণ নেই তবে প্রত্যেকটি বুক ধরপরই যে সাধারণ এমনটা কিন্তু নয়। অনেক বুক ধরফর হৃদরোগের উপসর্গ হয়ে আসে তাই বুক ধরফর করলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে সাথেই নিচের উপায় গুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি বুক ধরপর থেকে দ্রুত রেহাই পাবেন।

  • বুক ধরফর করলে যত দ্রুত সম্ভব কোথাও চুপ করে বসে থাকবেন। কথা বলবেন না এবং নাড়াচাড়া করবেন না।
  • হঠাৎ রাস্তা পথে বুক ধরফর করলে উত্তেজিত হবেন না রিলাক্সে থাকবেন এ সময় আপনি যদি উত্তেজিত হন তাহলে আপনার শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।
  • বুক ধরফর করলে ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নিতে থাকুন উত্তেজিত হয়ে খুব জোরে জোরে নিশ্বাস নেওয়া যাবে না।

  • ধীরে ধীরে পানি পান করুন অনেকেই রয়েছে যারা বুক ধরফর করলেন এক নিঃশ্বাসে পানি খেয়ে ফেলে এই ভুলটা আর কখনো করবেন না।
  • বুক ধরফর করলে চলমান কাজ স্থগিত রেখে চুপচাপ বসে থাকতে হবে অথবা শুয়ে থাকতে হবে। এই সময় আপনি যদি আপনার কাজ কন্টিনিউ করেন তাহলে বুক ধরফর আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়ে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
  • মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হবে।বুক ধরফর করা অবস্থায় সমস্ত চিন্তাভাবনা ফেলে রেখে রিলাক্সে থাকতে হবে এই সময় আপনি যদি চিন্তা করেন তাহলে একটি আপনার শরীরের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।
পাঠক প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে বুকে ধরফর থেকে বাঁচার উপায় গুলো কি কি। এরপর থেকে কখনো আপনার বুক ধরফর হলে উপরের উপায় গুলো অনুসরণ করবেন এতে আপনি দ্রুত বুক ধরফর থেকে রেহাই পাবেন সত্যি বুক ধরফর করলে খুবই অস্বস্তিকর অবস্থা সৃষ্টি হয় সাথে বুকে অনেক চাপ অনুভূত হয় এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে উপরের উপায় গুলো অনুসরণ করবেন।

মনে রাখবেন প্রত্যেকটি বুক ধরফরই কিন্তু গ্যাসের জন্য নয় অনেক সময় আমাদের হার্ট সংক্রান্ত কোনো সমস্যা তৈরি হলে বুকের ধরপর হয় এর জন্য মাঝে মাঝে যদি আপনার এমন বুক ধরফর করে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে হার্ট আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ গুলোর মধ্যে একটি এই অঙ্গের যত্ন নিয়ে কিন্তু খুবই জরুরী। হার্টের যত্ন নিতে নিয়মিত পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্যগুলো গ্রহণ করবেন এতে আপনার হার্ট সুস্থ থাকবে আপনি যদি না জেনে থাকেন পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য কোনগুলো তাহলে নিচে দেখুন পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার

পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার

সিম সমৃদ্ধ খাবার কোনগুলো সে সম্পর্কে জানতে চাইলে নিচে দেখুন আমরা আপনাদের সুবিধার্থে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার তালিকা তৈরি করেছি

  • ড্রাগন
  • কলা
  • অ্যাভোকাডো
  • জামরুল জাম 
  • বাদাম
  • খেজুর
  • কিসমিস
  •  দই
  • পনির
  • দুধ
  • সিমের বিচি
  • ব্রকলি
  • সবুজ শাক
  • পুইশাক
  • মুরগির মাংস
  • সামুদ্রিক মাছ

আশা করছি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য কোনগুলো এই খাদ্যগুলো থেকে ভরপুর পটাশিয়াম পাওয়া যায় যা আপনার হার্টের জন্য খুবই উপকারী। হার্ট আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ গুলোর মধ্যে হলো একটি তাই হার্টের যত্ন নিতেই হবে আর হার্টের যত্ন নিতে চাইলে নিয়মিত পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য আপনাকে গ্রহণ করতে হবে। নিয়মিত পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণের ফলে আপনার হার্ট সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর হবে এবং হার্টের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে সাথেই হার্ট সুস্থ থাক।

পাঠকদের কিছু প্রশ্ন

বুক ধরফর থেকে বাচার উপায় কি?
জানতে চান বুক ধরফর থেকে বাঁচার উপায় কি? তাহলে এই পোস্টটি আবারও পড়ুন আমরা আজকের এই পোস্টে বুক ধরফর থেকে বাঁচার সমস্ত খুঁটিনাটি উপায় নিয়ে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

ঘুমের সময় বুক ধরফর করে কেন?
ঘুমের সময় কেউ আচমকায় ডাক দিলে অথবা ঘুমের মধ্যে কোন দুঃস্বপ্ন দেখলে বুক ধরফর করে। এটি খুবই সাধারণ তবে প্রত্যেকটি বুক ধরফরই কিন্তু সাধারণ নয় এর জন্য বুক ধরফর করলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

বুকে গ্যাস জমার লক্ষণ কি?
বুকে গ্যাস জামার লক্ষণ কি? বুকে গ্যাস জমার লক্ষণ হল বুকে প্রচুর জ্বালাপোড়া অনুভূত হবে সাথেই বুকের মধ্যবর্তী স্থান থেকে প্রচুর ব্যথা হবে এবং সেই ব্যথা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত স্থায়ী হবে।

গ্যাসের ব্যথা কোথায় হয়?
গ্যাসের ব্যথা হওয়ার নির্দিষ্ট কোন জায়গা নেই। গ্যাস যে কোন স্থানে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে হতে পারে এটি আপনার পেট হাত-পা অথবা বুক। আপনি জানলে অবাক হবেন যে অনেক সময় গ্যাস থেকে মাথা পর্যন্ত ব্যথা করে এবং বমি বমি ভাব দেখা দেয়।
পেটে গ্যাস হলে কি বুক ধরফর করে?
হ্যাঁ পেটে গ্যাস হলে বুক ধরফর করতে শুরু করে এবং বুকে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয় সাথেই বুকে জ্বালাপোড়া হয় যা দেখে বোঝা যায় যে এটি গ্যাস থেকে ব্যথা হচ্ছে।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আমরা আজকের এই পোষ্টের পেটে গ্যাস হলে কি বুক ধরপর করে, ঘুমের সময় বুক ধরফর করে কেন, বুকে গ্যাস জমার লক্ষণ কি এবং গ্যাসের ব্যথা কোথায় হয় সে সমস্ত সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। গ্যাস বর্তমান সময়ে আমরা প্রত্যেকেই এই শব্দটির সাথে নিশ্চয়ই পরিচিত তাই না? এই শব্দটি খুবই কমন হলেও এটি অনেক মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। সাধারণত পেটে যখন গ্যাস্ট্রিক গ্ল্যান্ড নামক এসিড টি অতিরিক্ত পরিমাণে নিঃসরণ হয়

তখন গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। জটিল রোগ না হলেও এটি অবহেলা করার ফলে জটিল রোগ সৃষ্টি হতে পারে এজন্য এখন থেকে সতর্ক হতে হবে আর অনেকে মনে প্রশ্ন থাকে পেটে গ্যাস হলে কি বুক ধরফর করে হ্যাঁ পেটে গ্যাস হলে বুক ধরফর পর্যন্ত করতে পারে এবং বুকের তীব্র ব্যথা অনুভূত হয় সাথেই জ্বালাপোড়া করে। সাথেই আমরা আজকের এই পোস্টে গ্যাসের ব্যথা কোথায় হয় সেই সম্পর্কেও আলোচনা করেছি গ্যাসের ব্যথা হওয়ার নির্দিষ্ট কোন স্থান নেই

গ্যাসের ব্যথা যে কোন স্থানে যেকোনো সময় হতে পারে অনেক সময় আমাদের পেটে ব্যথা করে আবার গ্যাস থেকে বুকে ব্যথা করে আবার অনেক সময় গ্যাসের জন্য মাথাও ব্যথা করে। অর্থাৎ এক কথায় গ্যাসের ব্যথা হওয়ার নির্দিষ্ট কোন জায়গা নেই একটি যেকোনো জায়গায় যে কোন সময় ব্যাথা হতে পারে। প্রিয় পাঠক আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আশা করছি আপনি উপকৃত হয়েছেন। আজকের এই পোস্টটি আপনার কাছে কেমন লাগলো কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন আর হ্যাঁ আপনি যদি এমন পোস্ট আরো পেতে চান তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটিকে নিয়মিত একবার ভিজিট করবেন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url