কমলার খোসার ৪৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়

আপনি কি জানেন যে এক টুকরা কমলার খোসা দিয়ে শরীরের সমস্ত রোগবালাই দূর করা সম্ভব? কমলার খোসার উপকারিতা ও অপকারিতা  সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আজকের এই পোস্টে কমলার খোসার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কমলার রস দিয়ে রূপচর্চা করার উপায় নিয়ে আলোচনা করব।

কমলার খোসার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

কমলার ফেলে দিয়ে অংশ দিয়ে ত্বক থেকে ব্রণ, কালচে দাগ দূর করার পাশাপাশি আপনার চুলকে সুন্দর ও লম্বা করতে পারবেন।সাথেই শরীর থেকে বিভিন্ন রোগবালাই দূর করতে পারবেন। হ্যাঁ বন্ধুরা অনেকেই জানে না কমলার খোসার উপকারিতা সম্পর্কে।কমলার খোসায় রয়েছে ভরপুর ভিটামিন সি যা আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকারী তাই কমলার খোসার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

পেজ সূচিপত্র

   ভূমিকা   

লেবু প্রজাতির ফল কমলা, এর স্বাদ ও ঘ্রাণ দুটোই যেন অমৃত।কমলা পছন্দ করেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল।আমরা প্রত্যেকেই কমলা খেতে পছন্দ করি।কিন্তু কমলার খোসাটি ঠিকই ছুঁড়ে ফেলি।কিন্তু আপনি কি জানেন ? কমলার খোসার অনেক অজানা উপকারিতা রয়েছে। কমলার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকেই তো জানি  কিন্তু কমলার খোসার উপকারিতা ও গুনাগুন সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা।

আরো পড়ুন: কোন গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায়? জানুন এই পোস্টে 

তাই আজকের এই পোস্ট জুড়ে আমরা কমলার খোসার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব, যে কমলার খোসায় কি কি পুষ্টিগুণ রয়েছে এবং কমলার খোসার উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো কি কি।

কমলার খোসার গুণাগুণ

কমলার খোসাকে ভিটামিন সি এর উৎস বলা যায়। কারণ কমলার খোসা থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। সাথেই ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফ্লাভনয়েড ,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ,ভিটামিন এ  এবং ভিটামিন বি ৬ উপাদান যা ত্বক ও চুল সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। কমলার খোসা শুধু ত্বকের জন্য উপকারী এমনটা কিন্তু নয় ত্বকের পাশাপাশি

শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী।কমলার খোসা কোষ্ঠকাঠিন্য ও দীর্ঘদিনের আলসার দূর করতে সহায়তা করে। আপনি যদি কমলার খোসার উপকারিতা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চান তাহলে নিচে দেখুন।

কমলার খোসার উপকারিতা

শীতকালীন ফল কমলা।যদিও এটি শীতকালীন ফল তবুও বাংলাদেশে এখন বারোমাসই কমলা পাওয়া যায়।কারণ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কমলা চাষ করা হয়। বাংলাদেশে কমলা পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল কারণ আমরা প্রত্যেকেই কমলা খেতে খুবই পছন্দ করি আর কমলা থেকে ভরপুর ভিটামিন সি পাওয়া যায়। যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ত্বককে উজ্জ্বল ও সুন্দর

করতে সহায়তা করে।তবে আমরা কমলা খাওয়ার পর কমলার খোসাকে কিন্তু ঠিকই ফেলে দিই কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন যে কমলা ফলের চেয়ে কমলার খোসার অনেক বেশি উপকারিতা রয়েছে। কমলার খোসায় রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি ,ভিটামিন এ, ফ্লাভনয়েড, এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার উপাদান যা ত্বক ও চুল সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর করার পাশাপাশি শরীরকে সুস্থ রাখে এবং শরীরে রোগ বালাই দূর করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কমলার খোসা

আপনার কি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রয়েছে? দীর্ঘদিন যাবত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাতে ভুগছেন? তাহলে আজ থেকে নিয়মিত এক গ্লাস কমলার খোসার জুস পান করুন।কমলার খোসার রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা নিমিষে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো কঠিন রোগকে দূর করতে সহায়তা করে। কোষ্ঠকাঠিন্য অনেক জটিল রোগ।কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে পরবর্তী সময়ে পাইলসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আরো পড়ুন: ফ্রি লটারি খেলে টাকা ইনকাম করুন 

এজন্য এখন থেকে সতর্ক হোন এবং কমলার খোসার রস নিয়মিত পান করুন।

হার্টকে সুস্থ রাখতে কমলার খোসা

হার্ট শরীরের সবচেয়ে বড় অঙ্গের মধ্যে একটি। হার্ট আমাদের শরীরের বিষাক্ত পদার্থ গুলোকে বর্জ্য পদার্থের রুপান্তরিত করে।তাই হার্টের যত্ন নেওয়া আবশ্যক। হার্টের যত্ন নিতে অথবা হার্টকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত কমলার খোসা খেতে হবে।কারণ কমলার খোসা থেকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম পাওয়া যায় যা সরাসরি হার্ট কে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে এবং হার্টের কার্যক্ষমতা কে বৃদ্ধি করে।

কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কমলার খোসা

কিডনি মানব শরীরের ছাঁকনির মত কাজ করে। তাই কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নিয়মিত কমলার খোসার রস পান করতে হবে। কমলার খোসার রসে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ।যা কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। তাই আজ থেকে কিডনির যত্ন নিতে নিয়মিত কমলার খোসার রস পান করতে হবে।

ক্যানসার প্রতিরোধ করতে কমলার খোসা

ক্যান্সারের ভয়াবহতা সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকেই জানি ক্যান্সার এটি মারাত্মক ব্যাধি যার সঠিক চিকিৎসা এখনো তৈরি হয়নি। তবে এটি খুবই আশ্চর্যজনক ব্যাপার যে কমলার ফেলে দিয়ে অংশের সাহায্যে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব। কমলার খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্লাভনয়েড যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

আলসার দূর করতে কমলার খোসা

দীর্ঘদিন যাবৎ আলসারে ভুগছেন? তাহলে আর চিন্তা নয় ।আজ থেকে নিয়মিত কমলার খোসার এক গ্লাস জুস পান করবেন।কমলার খোসা থেকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায় যা নিমিষেই আপনার আলসার দূর করতে সহায়তা করে। কমলার খোসা আলসার দূর করার পাশাপাশি পেট সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।

ওজন কমাতে কমলার খোসা

অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত ? অতিরিক্ত পাতলা হলে দেখতে যেমন খারাপ লাগে ,তেমনি অতিরিক্ত ওজন হলেও খারাপ লাগে। তাই আজ থেকে অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত এক গ্লাস কমলার খোসা রস পান করবেন। কমলার খোসা থেকে প্রচুর ফাইবার পাওয়া যায়। যা আপনার শরীরের অতিরিক্ত চর্বি গলাতে সাহায্য করবে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কমলার খোসা

শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে নানান রোগ দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।এই জন্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নিয়মিত কমলার খোসার রস পান করতে হবে। বিশেষ করে এই শীতকালে আমরা বিভিন্ন রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পড়ি এই জন্য এই শীতকালে বেশি বেশি কমলার খোসার রস পান করতে হবে এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে এবং আমাদের শরীর সুস্থ থাকবে।

ব্রণ ও কালচে দাগ দূর করতে কমলার খোসা

আপনার ত্বকে কি প্রচুর ব্রণ ও কালচে দাগ রয়েছে? ত্বকে ব্রণ ও কালচে দাগ থাকলে ত্বকের সৌন্দর্যটা নষ্ট হয়। প্রত্যেকেই সুন্দর ও দাগহীন ত্বক চাই।তাই সুন্দর ও দাগহীন ত্বক পেতে নিয়মিত ত্বকে কমলার খোসা ব্যবহার করতে হবে। কমলার খোসা ত্বকের জন্য ওষুধের মত কাজ করে।কমলার খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা ত্বক সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে ল।সাথেই ত্বককে সুন্দর ,উজ্জ্বল ও দাগহীন করে তোলে।কমলার খোসা দিয়ে রূপচর্চার উপায় জানতে একনজর নিচে দেখুন

কমলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা

সুন্দর ,উজ্জ্বল ও লাবণ্যময় ত্বক পেতে চাচ্ছেন? ছেলে হোক অথবা মেয়ে প্রত্যেকের সুন্দর ত্বক পেতে চাই।সুন্দর ও ফর্সা ত্বক পেতে চায় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল। যদিও আমাদের রং ও ত্বক দুটোই আল্লাহর দেওয়া তবুও সমাজ যেন মানুষের ওপরিভাগের সাদা রং ও সুন্দর ত্বককেই বেশি প্রাধান্য দেয় যার কারণে সমাজে কালো ও ফর্সা মানুষের এত বেশি ভেদাভেদ। এজন্য অনেকেই সুন্দর ও ফর্সা ত্বক পেতে

আরো পড়ুন: দ্রুত ধনী হওয়ার হালাল ২২টি উপায় জানুন

বাজারের বিভিন্ন ক্ষতিকারক নাইট ক্রিম গুলো ব্যবহার করে ত্বকের ত্বকের ক্ষতি করে বলছেন বাজারের ক্ষতিকর নাইট ক্রিম গুলো ত্বকে ফর্সা করলেও সেটি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফর্সা করে তারপর আপনার তো আবার কালো হয়ে যাবে এবং ত্বকে নানান সমস্যা দেখা দিবে এর জন্য এখন থেকেই সাবধান হন এবং ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমে রূপচর্চা করুন।

কমলার খোসায় প্রচুর সাইট্রিক অ্যাসিড রয়েছে যার নিমিষেই আপনার ত্বককে উজ্জ্বল ও ফর্সা করতে সহায়তা করে। এছাড়াও আপনার ত্বকে যদি প্রচুর ব্রণ ও ব্রণ জাতীয় কালচে দাগ থাকে তাহলে নিয়মিত কমলার খোসার রস ব্যবহার করার ফলে ব্রণ কালচে দাগ ব্ল্যাকহেডস হোয়াইহেডস সহ সমস্ত সমস্যা দুর হবে। রূপচর্চার জন্য কমলার খোসার রস অনেক বেশি উপকারী।কমলার খোসা দিয়ে রূপচর্চার জন্য অনেক প্রোডাক্ট তৈরি করা হয়।

তাই আপনি চাইলে ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমে কমলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করতে পারেন। কমলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা যেভাবে করবেন

১. কমলার খোসায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া ও আন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান ত্বক থেকে ব্রণ ও ছত্রাক জনিত সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে তাই রোজ সকালে উঠে ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে ত্বকে কমলার খোসার রস ১৫-২০ মিনিট ম্যাসাজ করবেন।তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলবেন। এতে রক্ত সঞ্চালন গতি বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বকের উজ্জ্বল হবে।

২. কমলার খোসা পাটাই বেটে তার রস বের করে তার মধ্যে মসুরের ডাল বাটা ও মধু মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করবেন তারপর সেটি শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন তাহলে আপনি ইনস্ট্যান্ট পরিবর্তন দেখতে পারবেন। আপনার ত্বক থেকে ব্রণ ও কালচে দাগ দূর হবে। মধু ও কমলার খোসার রস দুটোই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

৩. কমলার খোসা কুচি কুচি করে কেটে সেটি পাটাই পেস্ট বানিয়ে তার মধ্যে এক ফোঁটা লেবুর রস ১ থেকে ২ চা চামচ মধু ও আলুর রস মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করবেন। আলুর রস ত্বক থেকে যাবতীয় দাগ দূর করতে সহায়তা করে।সাথেই মধু ও কমলার রস ত্বকের উজ্জ্বলতাকে বৃদ্ধি করে এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে আপনার ত্বক দ্রুত উজ্জ্বল ও ফর্সা হবে।

এছাড়াও আপনি চাইলে বাজার থেকে দামি দামি ফেসপ্যাক না কিনে কমলার খোসার ফেসপ্যাক ব্যাবহার করতে পারেন। কমলার খোসার ফেসপ্যাক ব্যবহার করার ফলে দ্রুত আপনার ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা হবে সাথেই ত্বক থেকে ব্রণ ও কালচে দাগ দূর হবে এবং ত্বক দাগ হীন হয়ে উঠবে।কমলার খোসার ফেসপ্যাক যেভাবে বানাবেন

কমলার খোসার ফেসপ্যাক

ত্বককে দ্রুত দাগহীন, লাবণ্যময় ,উজ্জ্বল ও ফর্সা করতে সপ্তাহে তিন থেকে চারবার এই ফেসপ্যাকগুলো ব্যবহার করবেন

১. কয়েকটি কমলার খোসা ভালোভাবে পরিষ্কার করে সেটি পাটায় পেটে পেস্ট করে নিন তারপর তার মধ্যে ২ চা চামচ মধু এক চা চামচ লেবুর রস ও এক চা চামচ কফি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন তারপর সেটি ত্বকে 15 থেকে 20 মিনিট ম্যাসাজ করতে থাকুন। তারপর শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ত্বক ভিতর থেকে ফর্সা ও উজ্জ্বল হবে সাথে ত্বক থেকে দাগ দূর হবে।

২. দুই চা চামচ টক দই কমলার খোসার পেস্ট ও মধু ভালোভাবে মিশিয়ে নিন কমলার খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও আন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা ত্বক থেকে ব্রণ ও ছত্রাক দূর করতে সাহায্য করে। এই ফেসপ্যাকটি ৩০ মিনিট তোকে লাগিয়ে রাখুন তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এতে ত্বক থেকে দ্রুত ব্রন দূর হবে ও ত্বক ভেতর থেকে ফর্সা হবে।

আরো পড়ুন: বাংলা লেখালেখি করে টাকা ইনকাম করুন - আর্টিকেল লিখে ইনকাম

৩. কমলার খোসার গুঁড়োর সাথে চন্দন গুড়ো ,১ চা চামচ লেবুর রস, ২ চা চামচ মধু মিশিয়ে ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন।এতে ত্বক হাইড্রেট ও ময়শ্চেরাইজ থাকবে, এই শীতকালের শুষ্ক আবহাওয়ায় আমাদের ত্বক অনেক বেশি উস্কো শুষ্ক হয়ে যায়।এই জন্য শীতকালে এই ফেসপ্যাকটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।শীতকালে নিজের ত্বককে সুন্দর ও মশ্চারাইজ রাখতে নিয়মিত এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করবেন।

৪. রাতে ঘুমানোর আগে ১ চা চামচ লেবুর রস ও কমলার খোসার রস মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করবেন। লেবুর রস ত্বকের ভেতর থেকে ময়লা দূর করতে সাহায্য করে এবং কমলার রস ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এভাবে প্রতি রাতে কমলার রস ও লেবুর রস ত্বকে মাসাজ করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বক সুন্দর থাকবে।

৫. কয়েকটি কমলার খোসা পাটায় পেস্ট করে তার মধ্যে আলুর রস ও অ্যালোভেরা মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক অনেক বেশি চকচকে ও হাইড্রেট হয়। অ্যালোভেরা ত্বকের ত্বকে মসৃণ করতে সহায়তা করে আর আলুর রস টকে থেকে দাগ ও ব্রণ দূর করতে সহায়তা করে। তাই তোকে সুন্দর ও উজ্জ্বল করতে এই ফেসপ্যাকটি সপ্তাহে তিন থেকে চারবার ব্যবহার করবেন।

ত্বকের জন্য কমলার খোসার উপকারিতা এক দুই লাইনে বলে শেষ করা সম্ভব নয়।কারণ ত্বক সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার সমাধান হলো কমলার খোসা। কমলার খোসাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও পুষ্টিগুণ রয়েছে যা নিমিষেই আপনার ত্বক সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যাকে দূর করতে সহায়তা করে তাই ত্বককে সুন্দর ও উজ্জ্বল করতে আজ থেকে কমলার খোসা ব্যবহার করুন। কমলার খোসার ফেসপ্যাক বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে বুঝতে পারলে নিচে কমলার খোসা দিয়ে সিরাম তৈরির উপায় দেখুন

কমলার খোসা দিয়ে সিরাম

উপরোক্ত এত আলোচনার মাধ্যমে কমলার খোসার উপকারিতা সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কমলার খোসা ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী। কমলার খোসা দিয়ে ফেসপ্যাক বানানোর পাশাপাশি ,কমলার খোসা দিয়ে সিরাম তৈরি করা সম্ভব।নিয়মিত কমলার খোসা দিয়ে সিরাম ব্যবহার করার ফলে ত্বক সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর হয় এবং ত্বক দ্রুত ফর্সা ও লাবণ্যময় হয়। কমলার খোসায় এমন সব ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ রয়েছে

যা ত্বক উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে চলুন তাহলে আর দেরি না করে কমলার খোসা দিয়ে সিরাম তৈরির উপায় জেনে আসি

১. কমলার খোসা ভালোভাবে বেটে তার রস বের করতে হবে সেই রসের মধ্যে এক থেকে দুই চা চামচ লেবুর রস,১ চা চামচ রোজ ওয়াটার, ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে একটি স্প্রে বোতলে সংরক্ষণ করতে হবে। প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে এই সিরামটি ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। এতে তার সুন্দর ও লাবণ্যময় হবে এছাড়াও প্রত্যেকটি ত্বকের জন্য সিরাম অনেক বেশি উপকারী।সিরাম ত্বককে তরতাজা ও সুন্দর রাখতে সহায়তা করে।

২. ৪-৫ চা চামচ আলুর রস ,২ চা চামচ অ্যালোভেরার রস ও কমলার খোসার রস একসাথে মিশিয়ে বোতলের সংরক্ষণ করবেন। এটি আপনি টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে ভালোভাবে টোনারটি ব্যবহার করবেন এতে ত্বক থেকে কালচে দাগ দূর হবে এবং ত্বক উজ্জ্বল হবে ত্বকের টোনার ব্যবহার করার ফলে ত্বকের পিএইচ এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এতে ত্বকে ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়

৩. কয়েকটি কমলার খোসা গরম পানিতে ভালোভাবে সিদ্ধ করে সেই পানি একটি বোতলে সংরক্ষণ করে রাখবেন। তারমধ্যে দুই চা চামচ চিনি ও এক চা-চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করার ফলে ত্বক টানটান হয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে কমলার খোসা দিয়ে সিরাম কিভাবে তৈরি করতে হয়।কমলার খোসা শুধু ত্বকের জন্য নয় চুলের জন্যও অনেক বেশি উপকারী।কমলার খোসা চুলের যত্নে জানতে নিচে দেখুন

কমলার খোসা চুলের যত্নে

বর্তমান সময়ে আমাদের প্রত্যেকের জীবনেয় চুল পড়ার সমস্যা রয়েছে।কোন কিছুতেই যেন চুল পড়া বন্ধ হয় না।তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব যে চুল পড়া কিভাবে বন্ধ করতে হয় অর্থাৎ কমলার খোসা চুলের যত্নে কিভাবে ব্যবহার করতে হয় কমলার খোসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং প্রোটিন যা চুল পড়া রোধ করে এবং চুলকে দ্রুত লম্বা ও ঘন করতে সাহায্য করে। চুল পড়া বন্ধ করতে চাচ্ছেন? তাহলে নিচে দেখুন

কমলার খোসা চুলের যত্নে ব্যাবহার করুন
১. কমলার খোসা পানিতে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন তারপর কে পানি ভালোভাবে থেকে গোসল করার আগে মাথায় ও চুলে ব্যবহার করুন। এতে চুল পড়া দ্রুত বন্ধ হবে এবং চুল হবে খুশকি মুক্ত ও সুন্দর।

২. কমলার খোসা ভালোভাবে বেটে পেস্ট তৈরি করুন। তার মধ্যে কয়েকটি মেথি বাটা এলোভেরার রস ও ডিমের কুসুম মিশিয়ে মাথার স্কেলপে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। এতে চুল পড়া দ্রুত বন্ধ হবে ডিমের কুসুম থেকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়।সাথেই কমলার খোসাতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এই সবমিলিয়ে আপনার চুল পড়া দ্রুত বন্ধ হবে।

৩. গোসল করার আগে শ্যাম্পুর সাথে কমলার খোসার পেস্ট ভালো ভাবে মিশিয়ে মাথায় শ্যাম্পু করুন এতে চুল হবে খুশকি মুক্ত এবং নরম। অনেকেই চুলকে স্ট্রাইড ও নরম করার জন্য পার্লারের সেবা নেন। কিন্তু আপনি চাইলে পার্লারে না যেয়ে বাসাতে বসে কমলার খোসার সাহায্যে চুলকে নরম ও সিল্কি করতে পারবেন।

৪. কমলার খোসার রসের সাথে পেঁয়াজের রস ও লেবুর রস মিশিয়ে মাথার স্কেল্পে ম্যাসাজ করুন এতে চুল পড়া অনেকাংসে কমে যাবে সাথেই সুন্দর ও প্রাণ উজ্জ্বল হবে।পেঁয়াজের রস চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে এবং চুল দ্রুত লম্বা ও ঘনো করে।

আপনি যদি উপরোক্ত এই টিপসগুলো নিয়মিত অনুসরণ করেন তাহলে আপনার চুল পড়া খুব দ্রুত বন্ধ হবে এবং চুল দ্রুত লম্বা ও ঘনো হবে। এছাড়াও আপনি চাইলে ঘরোয়া পদ্ধতির পাশাপাশি হেয়ার গ্রোথ শ্রীরাম ব্যবহার করতে পারেন হেয়ার গ্রোথ সিরাম ব্যবহার করার ফলে চুল পড়া দ্রুত বন্ধ হয় এবং চুল এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে দ্রুত লম্বা হয়।আসা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন কমলার খোসা চুলের যত্নে কিভাবে ব্যাবহার করতে হয়।

এবার চলুন আমরা জেনে আসি কমলার খোসা গুড়া করার উপায় সম্পর্কে

কমলার খোসা গুড়া করার উপায়

উপরোক্ত এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি কমলার খুশি সম্পর্কে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। কমলা ফলের চেয়ে কমলার ফেলে দিয়ে খোসার মধ্যে অনেক উপকারিতা রয়েছে। খোসা দিয়ে ভরপুর ভিটামিন সি ফ্লাভনয়েড,ফাইবার, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম রয়েছে যা চুল ও ত্বক থেকে শুরু করে পুরো শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। তবে কমলার খোসার উপকারিতা গুলো আপনি তখনই পাবেন যখন আপনি কমলার খোসা গুড়া করার উপায় জানবেন।কমলার খোসা গুড়া করার উপায় গুলো নিচে দেখে নিন

উপায়

কমলার খোসা ঘুরা করার জন্য প্রথমে কয়েকটি কমলা ভালোভাবে পানিতে পরিষ্কার করে নিন তারপর সেটি একটি পাত্রে নিয়ে রৌদ্রে শুকোতে দিন। যতক্ষণ না অব্দি কমলার খোসা গুলো কটমোটে ভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ অপেক্ষা করুন। কটমট এভাবে কমলার খরচে বলে শুকিয়ে গেলে সেটি পাটায় ভালোভাবে পিষে গুঁড়ো করে নিন। তারপর একটি পাত্রে সেটি সংরক্ষণ করুন। আমরা প্রতিদিন তো আর কমলা খাই না

তাহলে প্রতিদিন খোস কোথায় পাব তাই না? এইজন্য আপনি চাইলে কমলার খোসা গুলো খোসা গুলোকে সবগুলো গুঁড়ো করে কোন পাত্রে সংরক্ষণ করতে পারেন। এভাবে সংরক্ষণ করলে আপনি প্রতিদিন কমলার খোসার গুড়ো ব্যবহার করতে পারবেন কমলার খোসার গুঁড়ো থেকে প্রচুর পুষ্টিগুণ ও ভিটামিন পাওয়া যায়। যা ত্বককে সুন্দর রাখে চুল পড়া রোধ করে এবং শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী।

আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে কমলার খোসা গুড়া করার উপায় কি। এবার চলুন আমরা জেনে আসি কমলার খোসার অপকারিতা সম্পর্কে।

কমলার খোসার অপকারিতা

কমলার খোসার হাজারো উপকারিতার পাশাপাশি একটু অপকারিতাও রয়েছে কমলার খোসা টক ও চুল থেকে শুরু করে সমস্ত শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে বৃদ্ধি করে তবে কোন ব্যক্তি যদি অতিরিক্ত কমলার খোসা খেয়ে ফেলে তাহলে তার শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে সেই সমস্যাগুলো জানতে এই নিচে দেখুন

১. কমলার খোসা যেহেতু ঠান্ডা জাতীয় তাই অতিরিক্ত কমলার খোসার রস অথবা কমলার খোসার গুড়ো খাওয়ার ফলে বুকে কফ জমে যেতে পারে এতে গলা ব্যথাও সৃষ্টি হতে পারে।

২. অতিরিক্ত কমলার খোসা খাওয়ার ফলে কিডনিতে পাথর  হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কারণ কমলার খোসাতে উচ্চ ক্যালসিয়াম রয়েছে যার ফলে অতিরিক্ত কমলার খোসা খেলে কিডনিতে পাথর হতে পারে।

৩. কমলার খোসা সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের এলার্জি জাতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে এতে ত্বক লাল হয়ে যেতে পারে।

কথায় আছে কোন কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়।সবকিছু পর্যাপ্ত পরিমাণেই ঠিক থাকে এইজন্য কমলার খোসা অতিরিক্ত ব্যবহার করলে শরীরে সমস্যা তো দেখা দিবেই। এইজন্য আপনি যদি কমলার খোসার পরিপূর্ণ উপকারিতা পেতে চান তাহলে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যবহার করবেন অথবা খাবেন কমলার খোসা নিয়মিত খাওয়ার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং হাড় সুস্থ থাকে সাথে ও এনার্জি আসে।

এইজন্য  কমলার খোসার পরিপূর্ণ উপকার পেতে আজ থেকে নিয়মিত কমলার খোসা ব্যবহার করবেন।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করলাম কমলার খোসার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। কমলার খোসায় রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ যেমন ক্যালসিয়াম ,পটাশিয়াম ,ভিটামিন সি ,ফ্লাভনয়েড, ফাইবার ও ভিটামিন এ উপাদান। যা ত্বক থেকে ব্রণ ও কালচে দাগ দূর করে চুল পড়া রোধ করে চুলকে লম্বা ঘন করতে সাহায্য করে সাথেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে এবং হার্টকে সুস্থ রাখে।

এছাড়াও নিয়মিত কমলার খোসার রস পান করলে গিরায় গিরায় ব্যথা দূর হয়। কমলার খোসায় রয়েছে হাজারো উপকারিতা যা আমরা অনেকেই জানিনা কিন্তু আজকের এই পোস্টটি পড়ার পর আপনি নিশ্চয়ই কমলার খোসার উপকারিতা সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। তাই এখন থেকে কমলার খোসা কখনোই আর ফেলে দিবেন না। এই ফেলে দেওয়া কমলার খোসা থেকে আপনি পেতে পারেন হাজারো উপকারিতা।

এছাড়াও আজকের এই পোস্টে আমরা কমলার খোসার সিরাম ও ফেসপ্যাক সম্পর্কে আলোচনা করলাম। আপনি যদি উপরোক্ত ফেসপ্যাক ও সিরাম গুলো ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বক দ্রুত ভেতর থেকে ফর্সা ও উজ্জ্বল হবে।ত্বক সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা সমাধান হলো কমলার খোসা।কমলার খোসার সাহায্যে নিমিষেই আপনি আপনার ত্বকে সুন্দর ও উজ্জ্বল করতে পারবেন। তবে আপনি যদি অতিরিক্ত কমলার খোসার রস

পান করে ফেলেন তাহলে আপনার শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।এই জন্য আমার মতে পর্যাপ্ত পরিমাণে কমলার খোসা ব্যবহার করতে হবে তাহলে কমলার খোসার পরিপূর্ণ উপকারিতা লাভ করা সম্ভব। আশা করছি আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন আজকের এই পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন আর হ্যাঁ আপনি যদি এমন পোস্ট আরো পেতে চান তাহলে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।

পাঠকদের কিছু প্রশ্ন

কমলার রস দিয়ে রূপচর্চা করা যায়?

হ্যাঁ , কমলার খোসায় রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ও ভিটামিন সি উপাদান যা ত্বক থেকে ব্রণ ও কালচে দাগ দূর করে সাথেই ত্বককে উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে।

কমলার খোসা দিয়ে সিরাম তৈরি করবো কিভাবে?

কমলার খোসার ভালোভাবে বেটে তার রস বের করে তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ,আলুর রস ও অ্যালোভেরার রস মিশিয়ে সিরাম তৈরি করতে পারবেন।

কমলার খোসার অপকারিতা গুলো কি কি?

কমলার খোসার অপকারিতা নেই বললেই চলে তবে কোন ব্যক্তি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কমলার খোসা খেয়ে ফেলে তাহলে তার শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কমলার খোসা চুলের যত্নে কিভাবে?

চুলের যত্ন নিতে এবং চুল থেকে খুশকি দূর করতে নিয়মিত কমলার খোসা ব্যবহার করতে হবে। গোসল করার সময় শ্যাম্পুর সাথে কমলার খোসার রস মিশিয়ে শ্যাম্পু করলে চুল থেকে খুশকি দূর হয় এবং চুল নরম হয়।

কমলার খোসা দিয়ে টোনার কিভাবে বানাবো?

কমলার খোসা গরম পানিতে ভালো ভাবে ফুটিয়ে সেই পানির মধ্যে দুই থেকে তিন চা চামচ লেবুর রস ও আলুর রস মিশিয়ে আপনি টোনার ব্যবহার করতে পারবেন।

কমলার খোসা গুড়া করার উপায়

কমলার খোসা গুড়া করার উপায় হল কমলার খসাকে ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে সেটি পাটায় গুঁড়ো করতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url