প্রতিমাসে ২০০০০ টাকা
ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা করতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য আজকের এই পোস্টে আমরা ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা ও অপকারিতা,ড্রাগন ফলের খোসার ব্যবহার,ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা এবং ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক
আমি নিশ্চিত আপনি যদি আজকের এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়েন তাহলে আপনি ড্রাগন ফলের অবিশ্বাস্য উপকারিতা গুলো জানতে পারবেন সাথেই ড্রাগন ফলের ফেলে দেওয়া খোসা দিয়ে উপকৃত হতে পারবেন।ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা,ড্রাগন ফলের খোসার ব্যবহার এবং ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে নিচে দেখুন
পেজ সূচিপত্র
ভূমিকা
ড্রাগন ফল যদিও এটি বিদেশি ফল হিসেবে পরিচিত তবুও আজকাল বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ড্রাগন চাষ করা হয় ড্রাগন ফলের দাম একটু বেশি হওয়ায় অনেকে ড্রাগন ফল কিনতে চাই না তবে আপনি জানলে অবাক হবেন যে ড্রাগন ফলসহ ড্রাগন ফলের খোসা রয়েছে অবিশ্বাসের উপকারিতা। ড্রাগন ফলে রয়েছে হাজারো পুষ্টিগুণ ও ভিটামিন। যেমন ভিটামিন সি, ভিটামিন এ ,ভিটামিন বি ৬, ফাইবার ,ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম
ম্যাগনেসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোটিন,গ্লুটামিন এবং থায়ামিন। যা মানবদেহের সমস্ত রোগবালাই দূর করতে সহায়তা করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে বৃদ্ধি করে সাথেই ওজন কমাতে সহায়তা করে যারা নিজের অতিরিক্ত ও চিন্তিত রয়েছেন তারা নিয়মিত ড্রাগন ফল খাবেন ড্রাগন ফল থেকে প্রচুর ফাইবার পাওয়া যায় যাদের সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর করে ড্রাগন ফলের উপকারিতা এক দুই লাইনের বলে শেষ করা সম্ভব না।
ড্রাগন ফলের সাথে ড্রাগন ফলের খোসার অবিশ্বাস্য উপকারিতা রয়েছে। আজকের এই পোস্টে আমরা ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা জানতে নিচ দেখুন।
ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা
অনেকেই না জেনে ভুল করে ড্রাগন ফলের খোসা গুলো ফেলে দেন কিন্তু এখন থেকে একদম ফেলবেন না।এই খোসা আপনার অনেক উপকারে আসতে পারে। ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে আপনার ত্বক সুন্দর ও আকর্ষণীয় করা সম্ভব সাথেই চুল পড়া বন্ধ করতে পারবেন। ড্রাগন ফলের খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা নিমিষেই কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো জটিল রোগ দূর করে সাথেই ত্বকে সুন্দর রাখতে সহায়তা করে
আপনি জানলে অবাক হবেন যে ড্রাগন ফলের পাশাপাশি ড্রাগন ফলের ফেলে দেওয়া খোসাতেও রয়েছে হাজারো উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ ড্রাগন ফলের খোসার পুষ্টিগুণ জানতে নিচে দেখুন
ড্রাগন ফলের খোসার পুষ্টিগুণ
ড্রাগন ফলের খোসা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট,ভিটামিন এ ,ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি ৬, গ্লুটামিন,থায়ামিন, নয়াসিন। যা শরীরের রোগ বালাই কে দূর করে এবং শরীরের শক্তি যোগায় সাথেই ত্বককে সুন্দর রাখে।আসা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে ড্রাগন ফলের খোসার পুষ্টিগুণ গুলো কি কি ।এবার চলুন আমরা জেনে আসি ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা সম্পর্কে।
ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়
দীর্ঘদিন যাবত কষ্টকাঠিন্যতে ভুগছেন? কোন কিছুতেই কোষ্ঠকাঠিন্য সেরে উঠছে না? তাহলে আজ থেকে নিয়মিত ড্রাগন ফলের খোসার জুস পান করতে হবে। ড্রাগন ফলের খোসার জুসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। যা নিমিষেই আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য কে দূর করতে পারে বিশ্বাস হচ্ছে না তো? তাহলে আজকেই এক গ্লাস ড্রাগন ফলের কৌশল জুস পান করুন আর হাতেনাতে প্রমাণ নিন
ত্বক থেকে ব্রণ ও কালচে দাগ দূর করে
তো কালচে দাগ ও ব্রণে ভরে গেছে? মেয়ে হোক অথবা ছেলে প্রত্যেকের সুন্দর ও লাবণ্যময় ত্বক পেতে চাই তাকে ব্রণ কালচে দাগ থাকলে মোটেও দেখতে ভালো লাগে না তাই আজকে আপনাদের সাথে এমন ইলেকট্রিক শেয়ার করব যার মাধ্যমে আপনারা সহজেই ত্বক থেকে ব্রণ ,সানবার্ন ও কালচে দাগ দূর করতে পারবেন। ড্রাগন ফলের খোসায় আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যার ত্বক থেকে ব্রণ ও কালচে দাগ দূর করে
এবং তাকে টানটান করতে সহায়তা করে তাই আজ থেকেই নিয়মিত এক গ্লাস ড্রাগন ফলের খোসার জুস পান করতে হবে। এক গ্লাস ড্রাগন ফলের খোসার জুস আপনার ত্বক সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর করতে সক্ষম।
দীর্ঘদিনের আলসার কে দূর করতে সহায়তা করে
দীর্ঘদিন থেকে আলসারে ভুগছেন? তাহলে আর চিন্তা নেই আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে এমন একটি ক্রিস শেয়ার করব যার মাধ্যমে আপনারা সহজে আলসার থেকে রেহাই পাবেন আলসার অনেক কঠিন রোগ এজন্য এখন থেকে সতর্ক হতে হবে এবং আলসার প্রতিরোধ করতে হবে আলসার প্রতিরোধ করতে নিয়মিত ড্রাগন ফলের খোসার জুস পান করতে হবে।
ড্রাগন ফলে রয়েছে আশ্চর্যজনক সব উপকারিতা। ঘরোয়া উপার মাধ্যমে আলসার দূর করতে চাইলে এখন থেকে নিয়মিত ড্রাগন ফলের খোসার জুস পান করবেন এক গ্লাস ড্রাগন ফলের খোসার চুষে রয়েছে অফুরন্ত ফাইবার যার নিমিষেই আপনার দীর্ঘদিনের আলসারকে দূর করতে পারে।
চুলের যত্নে ড্রাগন ফলের খোসা
চুল লম্বা ও ঘন করতে চাচ্ছেন ? কিন্তু কোনোভাবেই চুল লম্বা আর ঘন হচ্ছে না ? চুল দিন দিন পাতলা হয়ে যাচ্ছে? তাহলে এখন থেকেই সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার মাথাতে ড্রাগন ফলের খোসার পেস্ট ব্যবহার করুন। ড্রাগন ফলের খোসা থেকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়।আর প্রোটিন সরাসরি চুলের গোড়াকে শক্ত করে এবং চুল পড়া বন্ধ করে।সাথেই চুলকে লম্বা ও ঘন করতে সহায়তা করে এইজন্য এখন থেকেই চুলের যত্নে নিয়মিত ড্রাগন ফলের খোসা ব্যবহার করুন।
বর্তমান সময় আমরা প্রত্যেকেই একই সমস্যা ভুক্তভোগী। চুল পরে না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া , কিন্তু খুবই মুশকিল আমাদের প্রত্যেকেরই চুল পড়ে। এই চুল পড়ে যেন কোন কিছুতেই থামার নয়। তাই যারা আমার মত চুল পড়ার সমস্যাই রয়েছেন তারা নিয়মিত ড্রাগন ফলের খোসা ব্যবহার করুন।
এই সমস্ত উপকরণগুলো একটি পাত্রে নিয়ে ৩০ মিনিট লো আগুনে সিদ্ধ করুন তারপর পানি যখন হলুদ বর্ণ ধারণ করবে তখন সে পানিটি ঠান্ডা করে রাতে ঘুমানোর আগে মাথার স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন। আপনার সুবিধার্থে চাইলে একটি স্প্রে বটলে সংরক্ষণ করতে পারবেন। ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ট্রাই করবেন।
হার্ট কে সুস্থ রাখতে ড্রাগন ফলের খোসা
আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের মধ্যে একটি হল হার্ট।শরীরের সমস্ত বিষাক্ত পদার্থ গুলোকে বর্জ্য পদার্থতে রূপান্তরিত করে তাই হার্টের যত্ন নেওয়া আবশ্যক। কিন্তু হার্টের যত্ন কিভাবে নিবেন? হার্টের যত্ন নিতে নিয়মিত ড্রাগন ফলের খোসার জুস পান করবেন। ড্রাগন ফলের ফেলে দেওয়া খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম।যা হার্টকে সুস্থ রাখে এবং হার্টের কার্যক্ষমতা কে বৃদ্ধি করে তাই এখন থেকে ড্রাগন ফলের খোসা ফেলে না দিয়ে
তার জুস বানিয়ে পান করুন এতে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে। এছাড়াও নিয়মিত ড্রাগন ফলের খোসার জুস পান করলে পাইলসের মতো রোগ সেরে যায়।
কিডনির কার্যক্ষমতা কি বৃদ্ধি করতে ড্রাগন ফলের খোসা
কিডনি আমাদের শরীরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিডনি কোন ভাবে অকেজো হয়ে গেলে অথবা তার কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেললে , আমাদের শরীর অচল হয়ে পড়ে এর জন্য কিডনির যত্ন অবশ্যই নিতে হবে। আর কিডনির যত্ন নিতে নিয়মিত ড্রাগন ফলের খোসা জুস পান করতে হবে। এক গ্লাস ড্রাগন ফলের খোসার জুসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ ও ভিটামিন যা আপনার কিডনির কার্যক্ষমতাকে বৃদ্ধি করবে
এবং কিডনিকে সুস্থ রাখবে। কিডনি আমাদের শরীরের পানি নিষ্কাশন করে এইজন্য কিডনি যত্ন নেওয়া আবশ্যক।
ত্বকের যত্নে ড্রাগন ফলের খোসা
ছেলে হোক অথবা মেয়ে প্রত্যেককেই কিন্তু সুন্দর ত্বক পেতে চাই সুন্দর ত্বক প্রত্যেককে আকর্ষিত করে আপনি যতই ফর্সা হন আপনার ত্বক যদি সুন্দর না হয় তবে অনেক থাকে তাহলে কিন্তু দেখতে মোটেও ভালো লাগবে না তাই সুন্দর ত্বক পেতে নিয়মিত ড্রাগন ফলের খোসার জুস পান করতে হবে ড্রাগন ফলের খুশি থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। যা ত্বককে সুন্দর রাখে ত্বক থেকে ব্রণ ও কালচে দাগ দূর করে এবং ত্বককে টানটান করে।
সাথেই ত্বক থেকে বয়সের ছাপ দূর করে অর্থাৎ ত্বক সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার সমাধান হল ড্রাগন ফলের খোসা অথচ আমরা না জেনে কতই না ড্রাগন ফলের খোসা ফেলে দিয়েছি।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে ড্রাগন ফলের খোসা
ডায়াবেটিস নিয়ে চিন্তিত? বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের প্রায় 60% মানুষই প্রায় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তাই আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে এমন একটি টিপস শেয়ার করব যার মাধ্যমে আপনারা সহজে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ আনতে পারবেন। "ড্রাগন ফলের খোসা" ড্রাগন ফলের খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করে।
আমাদের শরীরে যখন ইনসুলিনের মাত্রা কমে যায় , তখন ডায়াবেটিস নামক রোগটি দেখা দেয় এই সময় নিয়মিত ড্রাগন ফলের জুস পান করলে আনা সম্ভব।
চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি হতে ড্রাগন ফলের খোসা
বর্তমান সময়ের ছোট ছোট বাচ্চাদের চোখে এই বড় বড় চশমা দেখা যায় তারা অল্প বয়সে খিন দৃষ্টি শক্তি শিকার হচ্ছে এর পিছনে রয়েছে নানান কারণ। যেমন : দীর্ঘ রাত অব্দি মোবাইল অথবা ল্যাপটপ ব্যবহার করা অথবা অতিরিক্ত পড়াশোনা চাপ। নানান কারণে দেখা দিতে পারে চোখের জ্যোতিষ সমস্যা। তাই ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করতে
নিয়মিত ড্রাগন ফলের খোসার জুস পান করতে হবে। ড্রাগন ফলের খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ যা চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এছাড়াও চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির জন্য ওমেগা থ্রি ফ্যাট যুক্ত সামুদ্রিক মাছ খেতে হবে। ওমেগা থ্রি ফ্যাট চোখের জ্যোতি দ্রুত বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
গিরাই গিরায় ব্যথা দূর করতে ড্রাগন ফলের খোসা
আপনার কি গিরাই গিরায় অথবা জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা রয়েছে? বয়স যখন ৪০ এর ওপরে যায় তখন শরীরে নানান রোগ বালাই দেখা দেয়। তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো গিরায় গিরাই অথবা জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা। হাড় ক্ষয় হলে অথবা শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে হাত ও পায়ের গিরায় গিরায় অথবা জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা করে। এই সময় যদি প্রতিদিন ড্রাগন ফলের খোসার রস পান করা যায়
তাহলে দ্রুত ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয় এবং গিরায় গিরায় ও জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা দূর হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ড্রাগন ফলের খোসা
আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম? অথবা আপনাকে অনেক দুর্বল? শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে সহজেই শরীর নানান রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পড়ে যার ফলে আমাদের শরীর ধিরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে। এই জন্য আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অবশ্যই নিয়মিত ড্রাগন ফলে খোসার জুস পান করতে হবে। ড্রাগন ফলের খোসার জুস থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়
যা নিমিষেই রোগবালাই দূর করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে এজন্য আজ থেকেই নিয়মিত এক গ্লাস ড্রাগন ফলের খোসার রস পান করবেন।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে ড্রাগন ফলের খোসা
ক্যান্সার ভয়াবহতা সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই জানেন ক্যান্সার এমন একটি ব্যাধি যার সঠিক চিকিৎসা একজন নির্ধারণ করা হয় নি। তবে আপনি চাইলে ড্রাগন ফলের খোসার মাধ্যমে আপনার সারা জীবনের ক্যান্সারের ঝুঁকি দূর করতে পারেন।হ্যাঁ বন্ধুরা ড্রাগন ফল এমন সব পুষ্টিগুণ উপকারিতা রয়েছে যা ক্যান্সার নামক ব্যাধির আশঙ্কা ৮০% কমিয়ে দিতে পারে।উপরোক্ত এতো আলোচনার মাধ্যমে আশা করছি
আপনি বুঝতে পেরেছেন যে ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা গুলো কি কি । ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা এক দুই লাইনে বলে শেষ করা সম্ভব নয়। ড্রাগন ফলের পাশাপাশি ড্রাগন ফলের খোসা থেকেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় আমাদের শরীরের সমস্ত রোগ বালাইকে দূর করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখে। এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা সম্পর্কে
ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা
সুন্দর ও আকর্ষণীয় ত্বক পেতে কে না চায়? ছেলে হোক অথবা মেয়ে প্রত্যেকেই কিন্তু সুন্দর ফর্সা ত্বক পেতে চাই। আর সুন্দর ফর্সা থেকে রহস্য হলো ড্রাগন ফলের খোসা। কথাটি শুনে খুব আজব লাগছে তাই না? ড্রাগন ফলের খোসায় রয়েছে এমন সব পুষ্টিগুণ ও ভিটামিন যা ত্বক সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা নিমিষেই দূর করতে পারে এবং ত্বককে সুন্দর ও লাবণ্যময় করে তুলে তাই আজ থেকে ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা করা শুরু করুন।
কিভাবে করবেন ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা?
রূপচর্চা ১
কয়েকটি ড্রাগন ফলের খোসা ভালোভাবে পরিষ্কার করে পাটাই পেস্ট বানিয়ে নিন তারপর এর মধ্যে টারমারিক পাউডার এক চা চামচ লেবুর রস ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে ৩০ মিনিট এর জন্য ত্বকে রেখে দিন। তারপর শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এতে আপনার ব্রণ ও কালচে দাগ দূর হবে সাথে ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল ও ফর্সা হবে।
রূপচর্চা ২
কয়েকটি ড্রাগন ফলের খোসা, পানিতে ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিন তারপর পানি গোলাপি বর্ণ ধারণ করলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করুন তার মধ্যে কয়েক চা চামচ রোজ ওয়াটার মিশিয়ে একটি স্প্রে বটলের সংরক্ষণ করুন। তারপর প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে স্প্রে করে হালকা করে ম্যাসাজ করুন। এতে আপনার ত্বক এর পিএইচের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং ত্বক টানটান হবে সাথেই ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল হবে।
আরো পড়ুন: কোন গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায় নগদে
রূপচর্চা ৩
ড্রাগন ফলের খোসা ভালোভাবে পরিষ্কার করে পাটায় পেস্ট বানিয়ে নিন। তার মধ্যে টক দই, টারমারিক পাউডার ,চালের গুঁড়ো ও কফি পাউডার মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিটে ম্যাসাজ করুন। এতে আপনার ত্বক থেকে ব্রণ ব্ল্যাকহেডস হোয়াইটহেডস ও ছোপ ছোপ দাগ দূর হবে। সাথে 8 ত্বক টানটান এবং গ্লোয়িং হবে।
বাসায় বসে ফেসিয়ালের মতো ত্বক পেতে নিয়মিত ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা করতে হবে ড্রাগন ফলের সাথে এমন সব জাদুকরি উপকারিতা রয়েছে যা আপনার ত্বককে নিমিষেই ফর্সা উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে তাই ত্বক সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার সমাধানে আজ থেকে ড্রাগন ফলের খোসা ব্যবহার করবেন। করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা করতে হয়।এবার চলুন জেনে আসি ড্রাগন ফলের খোসার ব্যবহার সম্পর্কে।
ড্রাগন ফলের খোসার ব্যবহার
ড্রাগন ফলের খোসার ব্যবহার। ড্রাগন ফলের খোসা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়। ড্রাগন ফলের পাশাপাশি ড্রাগন ফলের খোসায় রয়েছে হাজারো উপকারিতা। যেমন ফাইবার, প্রোটিন ,ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ,ভিটামিন বি , ভিটামিন বি ৬, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ,সোডিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতে সমস্যা দূর করে, ত্বক সুন্দর রাখে ,চুল পড়া বন্ধ করে ,হার্টকে সুস্থ রাখে, কিডনির কার্যক্ষমতা কে বৃদ্ধি করে
এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা এক দুই লাইনে বলে শেষ করা সম্ভব নয় আপনি যদি ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে উপরে দেখুন আমরা ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এছাড়াও আজকের এই পোস্টে আলোচনা করব যে ড্রাগন ফলের খোসার ব্যবহার কিভাবে করতে হয় ড্রাগন ফলের খোসা বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা যায়।
অনেকে ড্রাগন ফলের খোসা রোদে কটমোটা করে শুকিয়ে তার গুড়ো বানিয়ে ব্যাবহার করে। আবার অনেকেই ড্রাগন ফলের খোসা পানিতে সিদ্ধ করে তার রস পান করে এছাড়াও ড্রাগন ফলের খোসা পাটায় পিষে পেস্ট বানিয়ে সেটি ত্বকে ও চুলে ব্যবহার করা যায়। ড্রাগন ফলের পরিপূর্ণ উপকার পেতে নিয়মিত এক গ্লাস ড্রাগন ফলের খোসার জুস পান করবেন এতে আপনার শরীরের সমস্ত রোগ বালাই দূর হবে এবং
শরীর সুস্থ থাকবে এতদিন আমরা না জেনে অনেক ড্রাগন ফলের খোসা ফেলে দিয়েছি কিন্তু আর নয় এখন থেকে ড্রাগন ফলের খোসার পরিপূর্ণ ব্যবহার করতে হবে।আশা করছি আপনি ড্রাগন ফলের খোসার ব্যবহার সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
পাঠকদের কিছু প্রশ্ন
চেষ্টা করব পাঠকদের প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার
ব্রণ দূর করার উপায় কি?
ত্বকে প্রচুর ব্রণ রয়েছে? তাহলে আজ থেকেই নিয়মিত ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা শুরু করুন। ড্রাগন ফলের খোসা ব্যবহারে ব্রণ দ্রুত দূর হবে।
গালে ব্রণ দূর করার উপায় কি?
গালে প্রচুর ব্রণ থাকলে নিয়মিত ড্রাগন ফলের খোসার সাথে এক চা চামচ কফি ,এক চা চামচ মধু ও একটা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ম্যাসাজ করুন এতে গাল থেকে ব্রণ দ্রুত দূর হবে।
ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক কি?
আমার মতে ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক নেই বললেই চলে। তবে অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে পেটে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কিভাবে ড্রাগন ফলের খোসার ব্যবহার করবো?
ড্রাগন ফলের খোসা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যায় অনেকে ড্রাগন ফলের খোসার গুড়া বানিয়ে ব্যবহার করেন। অনেকে ড্রাগন ফলের খোসা জুস বানিয়ে পান করেন।
ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা কিভাবে করবো?
ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা করতে ওপরে দেখুন আমরা ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা সম্পর্কে আলোচনা করেছি।
লেখকের শেষ কথা
আজকের এই পোস্টে আমরা ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা এবং ড্রাগন ফলের খোসার ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। ড্রাগন ফলের খোসায় রয়েছে আশ্চর্যজনক সব উপকারিতা। অনেকেই আমরা এতদিন না জেনে অনেক ড্রাগন ফলের খোসা ফেলে দিয়েছি কিন্তু এখন থেকে ড্রাগন ফলের খোসায় পরিপূর্ণ ব্যবহার করতে হবে কারণ একটি মাত্র ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে
শরীরের সমস্ত রোগবালাই দূর করা সম্ভব। নিয়মিত সকালে এক গ্লাস ড্রাগন ফলের খোসা জুস পান করলে ত্বক সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর হয় ,চুল পড়া বন্ধ হয় চুল লম্বা ও ঘন হয় , সাথে হার্ট সুস্থ থাকে এবং কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় সাথেই কোষ্ঠকাঠিন্যের মধ্যে সমস্যা দূর হয়।এতসব উপকারিতা থাকার পরেও অনেকে ড্রাগন ফলের খোসা ফেলে দেয়।তাই তাদের উদ্দেশ্যে আমার আজকের এই পোস্টটি
আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে ড্রাগন ফলের খোসায় কি কি উপকারিতা রয়েছে। এখন থেকে আর ড্রাগন ফলের খোসা ফেলে না দিয়ে ড্রাগন ফলের খোসার পরিপূর্ণ ব্যবহার করবেন। তাহলে আপনি অনেক উপকৃত হবেন। আশা করছি আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আজকের এই পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন।আর হ্যাঁ আপনি যদি এমন পোস্ট আরো পেতে চান তাহলে এই ওয়েব সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।
ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url