জমির খতিয়ান বের করার নিয়ম ২০২৩।আপনি চাইলে অনলাইনে জমির খতিয়ান বের করতে পারবেন সেই খতিয়ান এর সার্টিফায়েড কপির জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং সেই কপি ডাউনলোড করে রাখতে পারবেন। আপনি যদি কোন ভেন্ডার দিয়ে আপনার জমির খতিয়ান এর সার্টিফায়েড কপি বের করতে চান তাহলে আপনার ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা খরচ হতে পারে আর যদি আপনি অনলাইনে এটি করতে চান তাহলে আপনি বিনামূল্যে আপনার জমির খতিয়ান বের করতে পারবেন।জমির পর্চা যাচাই
জমির খতিয়ান বের করার নিয়ম ২০২৩ - জমির পর্চা যাচাই : ভূমিকা
জমি কেনাবেচা করতে গেলে সবার আগে জমির খতিয়ানের প্রয়োজন হয় এছাড়াও জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য জমির খতিয়ান এর প্রয়োজন হয়। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব জমির খতিয়ান বের করা নিয়ম ২০২৩ সম্পর্কে।এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার পর আপনি খুব সহজেই অনলাইন থেকে জমির খতিয়ান বের করতে পারবেন এবং খতিয়ান এর সার্টিফাইড কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।
খতিয়ান ও পর্চা কি ?
সহজ ভাষায় খতিয়ান হচ্ছে একটি পাকা বই যেখানে জমি সংক্রান্ত সমস্ত বিবরণ দেওয়া রয়েছে।বিবরণ অর্থাৎ মালিকানার নাম , ঠিকানা,ভূমির পরিমাণ ,খাজনা দাগ নম্বর ,পিতার নাম,স্বামীর নাম,মোবাইল নম্বর।অর্থাৎ মালিকের ভু-সম্পত্তির সমস্ত বিবরণ সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে তৈরি করা হয় তাকেই খতিয়ান বলে।
প্রতিমাসে ১২০০০ টাকা ইনকাম করুন
আর চূড়ান্ত খতিয়ান তৈরি করার আগে ভূমির মালিকদের খসড়া খতিয়ানের যে অনুলিপি তাকে পর্চা বলে। জমির যেকোনো প্রকার কাজ সম্পাদনের জন্য জমির খতিয়ানের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি কারণ জমির খতিয়ান ছাড়া জমির কাজ কখনোই সম্পূর্ণ করা যায় না। জমি কেনা বেচা থেকে শুরু করে যে কোন কাজ সম্পাদনের জন্য সবার আগে খতিয়ান এর প্রয়োজন হয়।
আরো জানুন : ডেলি ৫০০ টাকা ইনকাম করার সেরা ২০ টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
খতিয়ান বের করার জন্য যেসব তথ্যের প্রয়োজন
বর্তমান সময় প্রযুক্তি এত বেশি উন্নত হয়েছে যে আপনি আপনার বাসাতে বসেই এন্ড্রয়েড ফোনের সাহায্যে খতিয়ান বের করতে পারবেন।জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ সম্পাদনের জন্য খতিয়ানের প্রয়োজন হয়।তাই আপনার কাছে যদি খতিয়ান না থাকে অথবা যদি আপনার খতিয়ান হারিয়ে যায় তাহলে আপনি খুব সহজেই অনলাইন থেকে খতিয়ান বের করতে পারবেন।
অনলাইন থেকে খতিয়ান যাচাই করার জন্য যেসব তথ্যের প্রয়োজন হবে তা নিচে দেওয়া হলো;
- পর্চার নাম জানতে হবে
- জমির দাগ নাম্বার জানতে হবে
- ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার জানতে হবে
- জন্ম তারিখে জানতে হবে
- মোবাইল নাম্বার জানতে হবে
- জমির স্থান,বিভাগ,জেলা,উপজেলা এবং মৌজা সম্পর্কে জানতে হবে
আপনার কাছে যদি এই তথ্যগুলো থাকে তাহলে আপনি খুব সহজে অনলাইন থেকে বিনামূল্যে জমির খতিয়ান যাচাই করতে পারবেন এবং খতিয়ানের সার্টিফাইড কপি বের করতে পারবেন।
জমির খতিয়ান বের করার নিয়ম ২০২৩ - জমির পর্চা যাচাই
আপনি কি জমির খতিয়ান বের করতে চাচ্ছেন অথবা জমির পর্চা যাচাই করতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন আজকে আপনাদের বলব কিভাবে আপনি অনলাইন থেকে বিনামূল্যে জমির খতিয়ান বের করতে পারবেন।৫ মিনিটে জমির খতিয়ান বের করে নিন
খতিয়ান বের করার পদ্ধতি বা নিয়ম
আপনি যদি জমির দাগ এবং খতিয়ান নাম্বার জানেন তাহলে আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলের ব্রাউজারে সার্চ দিন
eporcha.gov.bd তারপর এই ওয়েবসাইটটি ওপেন করুন।ওপরে মেনুবার থেকে খতিয়ান অপশনটি সিলেক্ট করুন এবার তারপর আপনি নিচে দেখতে পারবেন দুইটি অপশন রয়েছে সার্ভে খতিয়ান এবং নাম জারি খতিয়ান
এবার আপনি যে খতিয়ান টি বের করতে চাচ্ছেন তার ওপর ক্লিক করুন তারপর আপনার সামনে একটি খতিয়ান পেজ ওপেন হবে। এবার আপনি যদি নামজারি খাতিয়ান বের করতে চান তাহলে আপনার জেলা উপজেলা এবং খাতিয়ানের নাম্বার এখানে দিতে হবে তাহলে আপনি আপনার খতিয়ান বিনামূল্যে দেখতে পারবেন। এছাড়াও আরো একটি অপশন রয়েছে সার্ভে খতিয়ান আপনি যদি সার্ভে খতিয়ান বের করতে চান তাহলে
এখানে আপনার বিভাগ ,জেলা উপজেলা এবং খতিয়ানের ধরন বেছে নিতে হবে তারপর আপনার উপজেলা অনুযায়ী একটি মৌজা বেছে নিতে হবে, তারপর সেই মৌজা অনুসারে আপনার সামনে একটি খতিয়ানের তালিকা আসবে সেখানে আপনি খতিয়ানের নাম্বার এবং মালিকের নাম দিয়ে আপনার খতিয়ান বের করতে পারবেন।
খতিয়ান এর সার্টিফায়েড কপি
সঠিকভাবে খতিয়ান যাচাই করা হয়ে গেলে আপনি জমির দাগ নম্বর এবং মালিকানা গুলো দেখতে পাবেন আপনি যদি এখন খতিয়ানার সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করতে চান তাহলে নিচের "আবেদন করুন" নামক অপশনে ক্লিক করতে হবে। আপনার সামনে একটি পেয়ে যাবেন আপনি সেখানে আপনার ব্যক্তিগত তথ্যগুলো দিতে হবে অর্থাৎ আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার,
জন্ম তারিখ ঠিকানা মোবাইল নাম্বার ইমেইল আইডি নাম্বার। তারপর সঠিকভাবে টাকা পরিশোধ করতে হবে। খেয়াল রাখবেন আপনি খতিয়ান অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে চাচ্ছেন নাকি খতিয়ান সার্টিফায়েড কপি ডাউনলোড করতে চাচ্ছেন।আপনি যদি খতিয়ান অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে কোন টাকা প্রদান করতে হবে না আপনি বিনামূল্যে এটি ডাউনলোড করতে পারবেন
আর যদি আপনি খতিয়ান সার্টিফায়েড কপি ডাউনলোড করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে ৪০-৬০ টাকা প্রদান করতে হবে। আপনি এভাবে খুব সহজেই অনলাইন থেকে খাতিয়ান সার্টিফাইড কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।মনে রাখবেন আপনি কিন্তু খতিয়ান অনলাইন কপি সার্টিফায়েড কপি হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে খতিয়ান সার্টিফায়েড কপি আপনি জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় ব্যবহার করতে পারবেন।
অনলাইনে জমির মালিকানা বের করার উপায় - জমির পর্চা যাচাই
আপনি যদি আপনার জমির দাগ এবং খতিয়ান নাম্বার জানেন তাহলে আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইলের ফোনের মাধ্যমেই পর্চা যাচাই করতে পারবেন।অনলাইনে জমির মালিকানা বের করার জন্য প্রথমে আপনার মোবাইল ফোন থেকে ব্রাউজার ওপেন করুন তারপর সার্চ দিন
land.gov.bd তারপর এই ওয়েবসাইটি ওপেন করার পর নিচে স্ক্রোল করুন স্ক্রোল করে
স্মার্ট ভূমি রেকর্ড ও ম্যাপ নামক এই অপশনে ক্লিক করুন। এখানে ক্লিক করার পর চারটি অপশন আসবে তার মধ্যে দুইটি হল সার্ভে খতিয়ান ও নামজারি খতিয়ান। আপনি যদি সার্ভে করতেন বের করতে চান তাহলে সার্ভে খতিয়ানের উপর ক্লিক করে সেখানে আপনার বিভাগ জেলা উপজেলা মৌজা এবং খতিয়ানের ধরন বেছে নিতে হবে তাহলে আপনি আপনার সার্ভিস খতিয়ান বের করতে পারবেন। সার্ভে খতিয়ান বের করার জন্য খতিয়ানের দাগ নাম্বার এবং মালিকানার নাম জানতে হবে।এভাবে আপনি খুব সহজে এই জমির মালিকানা বের করতে পারবেন।
জমির মালিকানা বের করার উপায় - শেষ কথা
আজকের এই পোস্টে জমির মালিকানা কিভাবে বের করতে হয় এবং অনলাইনে খতিয়ানের সার্টিফাইড কপি কিভাবে বের করতে হয় তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম।আশা করি আজকের এই পোষ্টটি আপনার ভালো লেগেছে ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন আর হ্যাঁ এমন পোস্ট আরো পেতে নিয়মিত এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন ধন্যবাদ
ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url