১মাসে চর্মরোগ দূর করুন
এলার্জি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ? কিছুতেই এলার্জি সেরে উঠছে না? অ্যালার্জি জন্য ব্রণ উঠছে চুলকানি হচ্ছে তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য আজকের এই পোস্টে এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করব।
এলার্জি নিম পাতা অনেক কার্যকরী। নিমপাতা হাজারো ঔষধি গুনাগুনে ভরপুর যা অ্যালার্জি দূর করতে সাহায্য করে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন।
পেজ সূচিপত্র
ভূমিকা: ১৫ দিনে এলার্জি দূর করুন
আপনি কি জানেন এলার্জি কি আর কেন হয়? অ্যালার্জি হল আমাদের শরীরের একটি গুরুতর অবস্থা।প্রত্তকেটি মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে বা ইমিউন সিস্টেম থাকে যখন সে ইমিউন সিস্টেমে কোন পরিবর্তন হয় বা কম বেশি হয় তখন শরীরে অ্যালার্জি দেখা দেয়। এলার্জি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে অনেকের খাবার অ্যালার্জি থাকে কিংবা অনেকের ধুলাবালি অথবা
আরো পড়ুন: ডেইলি ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত
পানিতে এলার্জি থাক। অ্যালার্জি অনেক সময় মারাত্মক হতে পারে। অনেকের এলার্জিতে হাত পা চুলকাতে চুলকাতে লাল হয়ে গোল গোল আকার ধারণ করে। আবার অনেকের সকাল হলেই যেন হাচ্ছির পাহাড় জমে যায়। এগুলোই মূলত অ্যালার্জি অনেকের এলার্জির ফলে শ্বাসকষ্ট সমস্যাও দেখা দিতে পারে আপনিও কি এমন এলার্জি নিয়ে কঠিন সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে আর চিন্তা নেই আজকের
এই পোস্টে আমরা এলার্জি থেকে রেহাই পাওয়ার এমন কিছু টিপস দিব যে টিপস গুলো অবলম্বন করলে আপনি খুব দ্রুত এলার্জি থেকে রেহাই পাবেন।বিশেষজ্ঞরা বলেন যে নিম এমন একটি গাছ যার শিকড় থেকে শুরু করে ফল পাতা কান্ড প্রত্যেকটি জিনিসই হাজারো ওষুধে গুণাগুনে ভরপুর এতে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও আন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা শরীরের বিভিন্ন রোগবালাই
দূর করতে সাহায্য করে এলার্জির জন্য নিম অনেক কার্যকরী। নিম পাতা এলার্জি থেকে শুরু করে ব্রন ও চুলকানি তৈলাক্ত ত্বক দাউদের জন্য অনেক বেশি উপকারী। আপনি যদি জানতে চান যে এলার্জিতে আক্রান্ত ব্যক্তি কিভাবে নিম পাতা ব্যবহার করবে এবং কখনই পাতা ব্যবহার করবে তাহলে নিচে দেখুন
এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার
এলার্জি অনেক কঠিন রোগ এটি আস্তে আস্তে বয়সের সাথে বৃদ্ধি পায়।ঝাড়ু দিচ্ছেন অথবা ঘর পরিষ্কার করছেন সে ধুলাবালি থেকে হাচ্ছি হচ্ছে? তারপর হাচ্ছি থেকে কিছুক্ষণ পর শ্বাসকষ্ট সমস্যা দেখা দিচ্ছে? এটি অ্যালার্জি এলার্জি অনেক ধরনের হয়। অনেক এলার্জির খাওয়া-দাওয়ার মাধ্যমে হয় যেমন গরুর গোশত ইলিশ মাছ চিংড়ি মাছ এগুলো খেলে হঠাৎ হাত পা প্রচুর চুলকাতে শুরু করে।
এলার্জির হাজারো ধরণ রয়েছে তবে সমাধান কিন্তু একটাই নিমপাতা নিমপাতাতে রয়েছে হাজারও ঔষধি গুনাগুন নিমিষেই দূর করতে পারে। আপনার যেকোনো ধরনের এলার্জি থাকুক না কেন আপনি যদি একমাস নিয়মিত নিম পাতা ব্যবহার করেন তাহলে আপনার অ্যালার্জি সমস্ত গোড়া থেকে সেরে যাবে। নিম পাতায় আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ও
এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান মিমি সেই এলার্জি দূর করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। শরীরে যখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার স্বল্পতা দেখা দেয় তখন শরীরে অ্যালার্জি হয়। নিম পাতায় আছে হাজারো উপাদান যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আপনি যদি জানতে চান নিম পাতায় কি কি বৈশিষ্ট্য অথবা পুষ্টিগুণ উপাদান আছে তাহলে নিচে দেখুন নিম পাতার বৈশিষ্ট্য
নিম পাতার বৈশিষ্ট্য
নিম পাতায় আছে হাজারো ওষুধি গুনাগুন যার কারণে নিম পাতা কে বিজ্ঞান এটা বলেন এক অলৌকিক পাতা।নিম পাতায় রয়েছে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ,ফ্লাভনয়েড, আয়োডিন ,ভিটামিন সি, কার্বোহাইড্রেট, ফসফরাস, ক্যারোটিন, প্রোলাইন, গ্লুট্যামিক অ্যাজডিরেকটিন ও ফ্যাটি এসিড। এই উপাদান গুলো এলার্জি থেকে শুরু করে চোখের জন্য
হার্ট এর জন্য ডায়াবেটিসের জন্য ইমিউনিটি বৃদ্ধির জন্য অনেক বেশি কার্যকরী। শুধুমাত্র একটি ভেষজ উপাদানে এতসব গুণাগুণ থাকায় একে আয়ুর্বেদিক পাতা বলে। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে নিম পাতায় কি কি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি এলার্জিতে নিমপাতা কিভাবে কাজ করে অথবা নিম পাতার ব্যবহার
পাঠক এলার্জির ভয়াবহতা সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই জানেন এলার্জি থাকলে ডিম, হাঁসের ডিম, গরুর মাংস ,চিংড়ি মাছ, বেগুন, কচু ,আলু ,পুইশাক ,মিষ্টি কদু ,পালং শাক ,কলাই ডাল, মসুর ডাল, মাংস লতি এগুলো সব খাবার থেকে এড়িয়ে চলতে হয়।এইসব খাবার গুলো এলার্জি আক্রান্ত মানুষ খেলে তার শরীরে অ্যালার্জির প্রভাব আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে। তাই আপনি যদি এলার্জি থেকে বাঁচতে চান
তাহলে আজ থেকে নিমপাতা ব্যবহার করুন নিমের রয়েছে হাজারো উপকারিতা নেমে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও আন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে বৃদ্ধি করে এবং শরীর থেকে এলার্জি দূর করে। নিম পাতা শুধু এলার্জি দূর করে এমনটা কিন্তু নয় অ্যালার্জি থেকে সৃষ্ট ত্বকের চুলকানি কিংবা রেশগুলো নিম পাতা ব্যবহার করলে দূর হয়। আপনি যদি নিম পাতা বেটে সেটি আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখেন তাহলে খুব দ্রুত চুলকানি অথবা রেস থেকে আপনি রেহাই পাবেন।
নিম পাতা কিভাবে এলার্জি দুর করে?
নিম পাতায় বিদ্যমান হাজারের ঔষধি গুনাগুন এলার্জি দূর করতে সাহায্য করে। নিম পাতার স্বাদ তেতো হলেও এর উপকারিতা অনেক মিষ্টি। এলার্জিতে আক্রান্ত কোন ব্যক্তি যদি নিয়মিত নিম পাতা ব্যবহার করে তাহলে এক মাসের মধ্যে সে অ্যালার্জি থেকে রেহাই পাবে।
১. এলার্জি থেকে রেহাই পেতে নিয়মিত নিম পাতার শরবত/জুস বানিয়ে খেতে হবে।এতে রয়েছে হাজারো এলার্জি নাশক উপাদান যা দ্রুত এলার্জি দুর করতে সাহায্য করবে। আপনার যদি ডাস্ট এলার্জি থাকে অর্থাৎ রোজ সকালে উঠলে হাচ্ছি অথবা ধুলাবালি লাগলে হাচ্ছির সমস্যা থাকে তাহলে নিয়মিত সকালে উঠে এক গ্লাস নিমপাতার শরবত জুস খেয়ে নিবেন।
২. নিম পাতার গুড়া বানিয়ে খেলে নিম পাতার পরিপূর্ণ উপকার লাভ করা সম্ভব। নিম পাতার এক চামচ গুড়ায় রয়েছে হাজারো উপকারিতা যা আপনার অ্যালার্জি কে দূর করার পাশাপাশি শরীরের ডায়াবেটিক্সকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। অনেকে আছে যারা ডায়াবেটিসের ঔষধ খেতে চায় না তাদের জন্য নিম পাতা সেরা।তারা যদি রোজ সকালে এবং রাত্রে নিম পাতার গুড়া বানিয়ে খায় তাহলে
তাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে। নিমপাতা গুলোকে রোদে শুকিয়ে গুড়া করে আপনি একটি বোতল অথবা পাত্রে সংরক্ষণ করতে পারবেন রোজ সকালে এবং রাত্রে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম পানির মধ্যে দুই থেকে তিনটা চামচ নিম পাতার গুড়া তার সাথে স্বাদ বৃদ্ধির জন্য এক থেকে দুই চা চামচ মধু ব্যবহার করতে পারেন এতে আপনার শরীর থেকে খুব দ্রুত এলার্জি দূর হবে।
খেলে অ্যালার্জি তো দূর হয় তবে সে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তারপর আবার সেটি ফিরে আসে কিন্তু আপনি যদি নিয়মিত এক থেকে দেড় মাস নিমপাতা ব্যবহার করেন তাহলে চিরতরে আপনি এলার্জি থেকে রেহাই পাবেন।প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে নিমপাতার সাহায্যে এলার্জি কিভাবে দুর হয়।বার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
উপরোক্ত এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে নিম পাতার হাজার উপকারীতা রয়েছে নিমপাতা হাজারও পুষ্টিগুণ ওষুধি গুণাগুনে ভরপুর একটি ভেষজ উপাদান। নিম পাতার উপকারিতা এক দুই লাইনে বলে শেষ করা সম্ভব নয় নিম পাতাতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ,প্রোটিন ,আয়োডিন, ক্যারোটিন, ফ্লাভনয়েড ,ভিটামিন সি
কার্বোহাইড্রেট ও ফসফরাস যা শরীরের চুল পড়া রোধ থেকে শুরু করে ব্রণ দূর করে , এলার্জি দুর করে,চুলকানি দূর করে, ত্বক থেকে তৈলাক্ত ভাব দূর করে, চর্মরোগ দূর করে ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চান তাহলে নিচে দেখুন
ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার
ত্বকের ব্রণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন? ব্রণ থেকে কালচে দাগ হয়ে গেছে? ত্বকের ব্রণের জন্য কোথাও বাইরে যেতে পারছেন না? তাহলে আজ থেকে চিন্তা দূর করুন এবং নিম পাতা ঘরে আনুন কারণ নিম পাতায় রয়েছে হাজারও ঔষধি গুনাগুন।. নিম পাতা ব্যবহার করলে নিমিষেই আপনার ব্রণ দূর হয়ে যাবে কারণ নিপাতায় রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
ব্রণ দূর করার জন্য ব্যবহৃত হাজারো আয়ুর্বেদিক উপাদান তৈরি করা হয়নি নিমপাতা দিয়ে। আপনি নিশ্চয়ই নাম শুনেছেন নিম ফেসওয়াশ, নিম ফেসপ্যাক, নিম মসচারাইজার ও নিম সুথিং জেল। এই উপাদানগুলো নিয়ম দিয়ে তৈরি নিম ত্বকের জন্য অনেক উপকারী উপাদান আপনি যদি ডিমের পরিপূর্ণ উপকার পেতে চান তাহলে এইসব ফেসপ্যাক মশ্চারাইজার বাদ দিয়ে আজ থেকে শুধু
নিমপাতা ত্বকে ব্যবহার করুন। এতে আপনি এসব কসমেটিক্সের চেয়ে ১০০ গুণ বেশি উপকার পাবেন। কোন প্রোডাক্ট যতই নিম দিয়ে তৈরি হোক না কেন তাতে অবশ্যই কোন না কোন কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় আর কেমিক্যাল ত্বকের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর স্কিনের চামড়াকে পাতলা করে দেয় এবং স্ক্রিনের ক্ষতি করে তাই এইসব দোকানের কসমেটিক্স উপাদান থেকে বিরত থাকুন
এবং প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপাদানে ব্রণ দূর করুন। আপনি যদি ব্রণে থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রেহাই পেতে চান তাহলে নিম্নোক্ত উপায় গুলো অনুসরণ করুন
- রোজ সকালে ১ গ্লাস নিম পাতার শরবত পান করতে হবে।
- সপ্তাহে ৩-৪ বার ত্বকে নিম পাতার পেস্ট লাগাতে হবে। নিম পাতা ভালো ভাবে পরিষ্কার করে পাটায় বেটে পেস্ট করতে হবে। আপনি চাইলে তার মধ্যে হলুদ বাটা এড করতে পারেন।
- দৈনিক ২-৩ লিটার পানি পান করতে হবে
- ত্বক ভালো ভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
- দিনে ২-৩ বার ফেসওয়াশ করতে হবে।তবে ৩ বারের বেশি ত্বকে সাবান অথবা ফেস ওয়াস ব্যাবহার করা যাবে না।
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে ব্রণের জন্য নিম পাতার কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। তাহলে আমরা জেনে আসি চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে।
চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার
আপনি কি চর্ম রোগে ভুগছেন হাত-পায়ে চুলকানি ? চুলকানি থেকে শ্বাসকষ্ট তৈরি হয়েছে? বর্তমানে কিন্তু চড়ম্বর অনেক সাধারন তবে এটি কিন্তু ভয়াবহ আমরা যদিও এটি নিয়ে সতর্ক নই। চর্মরোগ অনেক সময় শরীরে মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। এইজন্য আপনার যদি চর্মরোগ জাতীয় কোন সমস্যা থাকে তাহলে এখন থেকে সতর্ক হোন এবং প্রতিদিন নিম পাতা ব্যবহার করুন। নিম পাতায় আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল
ও আন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা চর্ম রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে চর্মরোগকে দূর করে আপনি যদি চর্ম রোগ থেকে রেহায় পেতে চান তাহলে নিয়মিত সকালে উঠে এক গ্লাস নিমপাতার শরবত অথবা জুস পান করবেন। নিম পাতার রস এ রয়েছে হাজারো প্রাকৃতিক ঔষধি গুনাগুন যা চর্মরোগ দূর করতে সাহায্য করে আপনার হাতে অথবা পায়ে যদি কোথাও চুলকানি অথবা গোল গোল ফোলা ভাব থাকে
তাহলে সেখানেও নিম পাতার পেস্ট বানিয়ে লাগিয়ে রাখবেন এতে খুব দ্রুত আপনি চুলকানি থেকে রেহাই পাবেন। পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে চর্ম রোগে নিম পাতার ব্যবহার কিভাবে করতে হয় সবচেয়ে কার্যকারী একটি ভেষজ উপাদান।
নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
আপনি কি জানেন যে নিমপাতা ব্যবহার করে স্কিনকে ভেতর থেকে ফর্সা করা সম্ভব? নিম পাতায় রয়েছে এমন সব গুনাগুন যা আপনার স্কিনকে ভেতর থেকে চকচকে ও ব্রাইট করে তুলবে। স্কিন টা একটু সুন্দর ও ফর্সা করার জন্য বাইরের ক্ষতিকর নাইট ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বক কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফর্সা হয় কিন্তু পরবর্তীতে স্কিন আগের চেয়ে আরো বেশি কালো এবং স্কিনে অনেক দাগ
যুক্ত হয় যা দেখতে খুবই বিশ্রী লাগে। তাই এখন থেকেই এসব বাইরের ক্ষতিকর নাইট ক্রিম বাদ দিন এবং নিয়মিত ত্বকের নিম পাতা ব্যবহার করুন। গোসল করার আগে নিম পাতার সাথে একটু কাঁচা হলুদ বেটে মুখে লাগিয়ে রাখবেন এতে ত্বক থেকে সমস্ত কালচে দাগ ও ব্রন দূর হবে এবং স্কিন ভেতর থেকে ব্রাইট ও ফর্সা হবে। ত্বকের জন্য নিমপাতা অনেক বেশি কার্যকারী ত্বকের যে কোন সমস্যার
সমাধানে রয়েছে নিমপাতা। মুখে নিম পাতা অনেকভাবে ব্যবহার করা যায় আপনি চাইলে মুখে নিম পাতার ফেসপ্যাক বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। নিম পাতার ফেসপ্যাক বানানোর জন্য প্রথমে কয়েকটি পাতা নিন সেটি ভালোভাবে পরিস্কার করে পাটায় বেটে নিন তার মধ্যে কাঁচা হলুদ ,একটু দুধ ,টক দই ,কফি ও মধু মিশিয়ে ফেস এ ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে
মুখটি ধুয়ে ফেলুন এভাবে এক মাস ফেসে নিম পাতার ব্যবহার করে দেখুন আপনি আশানুরূপ ফলাফল পাবেন। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে নিমপাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় কি এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
আপনার কি হাত পায়ে চুলকানির সমস্যা রয়েছে? এলার্জি জাতীয় কোন খাবার যেমন ডিম ,হাঁসের ডিম ,গরুর মাংস ,চিংড়ি মাছ, কচু ,আলু, মসুর ডাল খেলেই হাত পা চুলকাতে চুলকাতে লাল লাল হয়ে ফুলে যায়? এগুলো এলার্জি। এলার্জির জন্য নিম পাতা অনেক উপকারী। নিম পাতায় এমন সব ঔষধি গুনাগুন রয়েছে যা নিমিষেই অ্যালার্জি ও চুলকানি সমাধান করতে পারে। আপনার যদি চুলকানির
কোন সমস্যা থাকে তাহলে আক্রান্ত স্থানে নিম পাতা বেটে লাগিয়ে রাখবেন এতে আপনি খুব দ্রুত চুলকানি থেকে রেহাই পাবেন। আর রোজ সকালে এক গ্লাস নিম পাতার রস অথবা শরবত খেয়ে নিবেন। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার কিভাবে করতে হয় কিভাবে নিমপাতা ব্যবহার করলেন দ্রুত চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বাট চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি নিম পাতার অপকারিতা গুলো কি কি
নিম পাতা শরীরে যেসব মারাত্মক ক্ষতি করে
উপরোক্ত এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে নিম পাতা হাজারো পুষ্টিগুণ ঔষধি গুনাগুনের ভরপুর একটি ভেষজ উপাদান এর হাজার উপকারীতা রয়েছে মানব শরীরে নিম পাতার উপকারিতা অনেক যা এক দুই লাইনে বলে শেষ করা সম্ভব নয় চুল থেকে শুরু করে শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জন্য নিম পাতা অনেক কার্যকারী তবে আপনি কি জানেন অনেক সময় নিম পাতা
ব্যবহার করলে শরীরে অ্যালার্জি দেখা দেয় এই অবস্থায় যদি কোন ব্যক্তির নিম পাতা ব্যবহার করা বন্ধ না করে তাহলে তার গুরুতর অসুবিধা অথবা রোগ দেখা দিতে পারে। এছাড়াও যদি কোন নারী গর্ভাবস্থায় নিম পাতার রস নিয়মিত পান করে তাহলে তার গর্ভপাত অব্দি হতে পারে তাই যারা বিবাহিত নারী পুরুষ বাচ্চা নিতে চাচ্ছেন তারা কখনো ভুলেও নিম পাতার রস পান করবেন না এতে
আপনার শরীরে মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে নিম পাতা একদিকে যেমন উপকারী তেমনি গর্ভ অবস্থায় নারীর শরীর এবং বাচ্চার জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। প্রিয় পাঠক আশা করছি আমি আপনাকে বোঝাতে পেরেছি যে নিম পাতার অপকারিতা গুলো কি কি। নিম পাতার সম্পূর্ণ উপকারিতা পেতে উপরোক্ত টিপস গুলো অনুসরণ করবেন আর গর্ব অবস্থায় ভুলেও কখনো নিম পাতার রস পান করবেন না।
লেখকের শেষ কথা
আজকের এই পোস্টে আমরা নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করলাম। আপনি যদি এলার্জি চুলকানি ব্রণও থেকে রেহাই পেতে চান তাহলে নিয়মিত এক গ্লাস নিম পাতার রস অথবা শরবত পান করবেন এবং আক্রান্ত স্থানে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার নিম পাতার পেস্ট লাগাবেন এতে আপনি খুব দ্রুত এলার্জি ব্রনও কিংবা চুলকানি থেকে রেহাই পাবেন।
এছাড়াও প্রিয় পাঠক আপনি যদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে নিম পাতার গুড়া খাবেন এতে আপনার ডায়াবেটিক্স ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তার আরো একটি গুন আছে তা হল নিম পাতার চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে বর্তমান সময়ে আমরা সকলেই কিন্তু এই সমস্যার ভুক্তভোগী কোন কিছুতেই যেন চুল পড়া থেকে রেহাই পাচ্ছিনা তাই আপনারও যদি এই একই সমস্যা
থেকে থাকে তাহলে আজ থেকে এই নিয়মিত মাথার স্কেলপে নিম পাতার পেস্ট লাগিয়ে ম্যাসাজ করবেন এতে খুব দ্রুত আপনি চুল পড়া থেকে রেহাই পাবেন আর আপনার মাথায় যদি উকুন জাতীয় কোন সমস্যা থাকে তাহলে উকুন দূর হবে। আশা করছি আজকের এই পোস্টে আমি আপনাকে নিম পাতার সমস্ত গুনাগুন সম্পর্কে বুঝাতে পেরেছি যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন আর হ্যাঁ আপনি যদি এমন পোস্ট পরবর্তীতে আরো পেতে চান তাহলে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।
ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url