চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার - ১মাসে গোড়া থেকে দুর করুন

১৫ দিনে এলার্জি দূর করুন

আপনি কি চর্মরোগে আক্রান্ত কোনো কিছুতেই যেন এলার্জি চুলকানি এবং চর্মরোগ দুর হচ্ছে না? তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব চর্ম রোগের নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে।

চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার - ১মাসে গোড়া থেকে দুর করুন

বর্তমান সময়ের চর্মরোগ অনেক সাধারণ একটি রোগ বাংলাদেশের প্রাইস আশি পারসেন্ট মানুষের চর্মরোগে আক্রান্ত প্রত্যেকের চর্ম রোগী আলাদা আলাদা তবে অনেক ক্ষেত্রে চর্মরোগ মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে তাই এখন থেকে সতর্ক হোন এবং চর্মরোগ প্রতিরোধ করার চেষ্টা করুন তাই আপনি যদি ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমে নিম পাতা ব্যবহার করে চর্মরোগ দূর করতে চান তাহলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্র

      ভূমিকা      

বর্তমান সময়ের চর্ম রোগের সাথে পরিচিত নয় এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কিন্তু খুবই মুশকিল আমরা সবাই কোন না কোন প্রকার চর্ম রোগের ভুক্তভোগী চর্মরোগ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে কারোর চুলকানি কারোর জ্বালাপোড়া কারণ হাত পা ফুলে যায়। আমার উপর বিভিন্ন ধরন রয়েছে তবে প্রত্যেকটা ধরার নিচে সাধারণ এমনটা কিন্তু নয় অনেকটা শরীরে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে

আরো পড়ুন: কিভাবে অনলাইনে প্রতিমাসে ২০০০০ টাকা ইনকাম করা যায়

এমনকি আপনার জীবন পর্যন্ত হুমকির মুখে পড়ে যেতে পারে। তাই এখন থেকেই সতর্ক হোন। চর্মরোগ অনেক ক্ষেত্রে শুষ্ক আবহাওয়ার হওয়ার জন্য হয়। অন্ত শীতকাল এখন আবহাওয়ার সুস্থ থাকবে এটাই স্বাভাবিক এইজন্য শীতকালে চর্ম রোগের প্রভাব আরো বেশি বৃদ্ধি পায় তবে চর্মরোগ কেন হয়?

চর্মরোগ কেন হয়?

চর্মরোগ হবার বিশেষ কোনো কারণ নেই তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন দুইটি কারণে চর্মরোগ হতে পারে এক হয়তো শুষ্ক আবহাওয়ার জন্য দুই ধুলাবালির জন্য । বাবা মায়ের জ্বীন থেকে চর্মরোগের আশঙ্কা খুবই কম হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে শুষ্ক আবহাওয়া অথবা ধূলাবালির জন্য শরীরে চর্মরোগ দেখা দেয়। আপনি লক্ষ্য করবেন বেশিরভাগ মানুষ যখন বাচ্চা থাকে তখন কিন্তু তাদের চর্মরোগ জাতীয় কোন সমস্যা থাকে না

কিন্তু যখন তারা আস্তে আস্তে বড় হয়ে ওঠে পরিবেশের ধুলাবালি এবং শুষ্ক আবহাওয়ার জন্য শরীরে চর্মরোগ দেখা দেয়। চর্মরোগ কিন্তু একটি ছোঁয়াচে রোগ অন্যের সংস্পর্শ থেকে নিজের মধ্যেই জন্ম নেয়। চর্মরোগ মানে হাত পা চুলকানি অনেক সময় ঢুকাতে চুলকাতে ফেটে রক্ত বের হয়। এমন অবস্থা থেকে আপনি যদি রেহাই পেতে চান তাহলে নিয়মিত এখন থেকেই নিম পাতার রস খেতে হবে। 

চর্মরোগ একবার হলে সেটি প্রতিরোধ করতে অনেক সময় লাগে আর ওষুধ সেবনের ফলে চর্মরোগ দ্রুত হয় কিন্তু সেটি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তারপর আবার চর্মরোগ ফিরে আসে এই জন্য ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমে চর্মরোগ প্রতিরোধ করার চেষ্টা করবেন এতে শরীরের ভেতর থেকে চর্মরোগ দূর হবে আপনি যদি নিয়মিত নিম পাতার রস পান করেন এতে আপনার শরীরের ভেতর থেকে

চর্মরোগ আস্তে আস্তে প্রতিরোধ হবে। পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও আন্টি উপাদান যা চর্ম রোগের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে কাজ করে এবং শরীর থেকে চর্মরোগকে দূর করে। আপনি যদি চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চান তাহলে নিচে দেখুন

চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার

চর্ম রোগের জন্য নিম পাতা অনেক বেশি কার্যকারী কারণ নিম পাতা আছে হাজার ঔষধি গুনাগুন যার চর্ম রোগের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে কাজ করে এবং চর্মরোগকে দূর করতে সাহায্য করে।আপনার যদি চর্ম রোগের সমস্যা থাকে তাহলে নিয়মিত আপনি নিম পাতার রস পান করবেন এবং সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার চর্ম রোগে আক্রান্ত স্থানে নিম পাতার বেস্ট লাগিয়ে রাখবেন এতে আপনি খুব দ্রুত  চর্মরোগ থেকে রেহাই পাবেন।

যদিও বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের প্রায় 80 শতাংশ মানুষের চর্ম রোগী আক্রান্ত। হতে পারে চর্মরোগ অনেক সাধারণ সমস্যা তবুও এটি অনেক অস্বস্তিকর এবং কষ্টকর। চর্ম রোগ হওয়ার দুটি কারণ উপরে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন একটি শুষ্ক আবহাওয়া ও ধুলাবালি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ধুলাবালির জন্য শরীরের চর্মরোগ বাসা বাঁধে এই জন্য চেষ্টা করবেন সবসময় নিজেকে পরিষ্কার রাখার

এবং আপনার বাচ্চাদেরকে পরিষ্কার রাখার এতে চর্মরোগ আপনার ফ্যামিলিতে বাসা বাঁধতে পারবে না। চর্মরোগ একটি ছোঁয়াচে রোগের মত যা একজন থেকে আর একজনের কাছে ছড়িয়ে যায়। প্রত্যেকটি চর্মরোগ যে সাধারণ এমনটা কিন্তু নয় অনেক চর্মরোগ মারাত্মক হয় যেখানে জীবনের ঝুঁকি অব্দি রয়েছে তাই এখন থেকেই সতর্ক হোন এবং চর্মরোগ প্রতিরোধ করার চেষ্টা করুন। চর্মরোগ দূর করার জন্য সবচেয়ে সেরা ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে একটি হলো নিমপাতা।

নিম পাতার সাহায্যে আপনি অনায়াসেই চর্ম রোগ দূর করতে পারবেন নিমপাতা এমন সব ঔষধি গুনাগুন রয়েছে যা ব্যবহার করে আপনি খুব দ্রুত চর্মরোগ, চুলকানি, এলার্জি ,ব্রন  এসব সমস্যা দূর করতে পারবেন।কয়েকটি নিমের পাতা নিয়ে ভালোভাবে পরিস্কার করে সেটি পাঠায় পেটে পেস্ট বানিয়ে আক্রান্ত স্থানে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখবেন এভাবে যদি আপনি

সপ্তাহে তিন থেকে চার বার আক্রান্ত স্থানগুলোতে লাগিয়ে রাখেন তাহলে আপনি এক মাসের মধ্যে চর্ম রোগ থেকে রেহাই পাবেন। সাথেই রোজ সকালে নিম পাতার রস অথবা শরবত খেয়ে নিবেন তাহলে আপনার শরীরের ভেতর থেকে চর্মরোগ দূর হবে। নিম পাতা হাজারো গুনাগুনে ভরপুর একটি ভেষজ উপাদান। আপনি যদি নিম পাতার বৈশিষ্ট্য গুলো জানতে চান তাহলে নিচে দেখুন

নিম পাতার বৈশিষ্ট্য

নিম পাতায় রয়েছে হাজারো পুষ্টিগুণ ও ঔষধি গুণ উপাদান যেমন কার্বোহাইড্রেট ক্যালসিয়াম ফ্লাভনয়েড ক্যারোটিন, প্রোটিন ফসফরাস ভিটামিন সি আয়োডিন  ও প্রোলামিন যা চর্মরোগ দূর করতে সাহায্য করে ,চুল পড়া রোধ করে, ব্রণ দূর করে, চুলকানি দূর করে ,ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে, উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায় এবং অ্যালার্জি দুর করে। শুধুমাত্র একটি ভেষজ উপাদানে এতসব ঔষধি গুনাগুন ও পুষ্টিগুণ

থাকায় বিজ্ঞানীরা একে বলে এক অলৌকিক পাতা যা শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জন্য উপকারী এবং শরীরে সমস্ত রোগ বালাই দূর করতে সাহায্য করে পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরো বৃদ্ধি করে। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে নিম পাতার বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা কি কি। আপনি যদি চর্ম রোগ থেকে রেহাই পেতে চান তাহলে চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার একনজর দেখে নিন
চর্মরোগ নিম পাতা কিভাবে ব্যাবহার করবো?
আপনার কি চর্মরোগ রয়েছে? চর্মরোগ যদিও এটি কোন গুরুতর রোগ নয় তবুও এটি অনেক অস্বস্তিকর আর প্রত্যেকটি চর্ম রোগী যে গুরুতর রোগ নয়, এটা ঠিক তবে অনেক চর্মরোগ শরীরের জন্য মারাত্মক হতে পারে এই জন্য একটু সতর্ক হোন এবং চর্মরোগ প্রতিরোধ করার চেষ্টা করুন। আপনি চাইলে ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমে চর্মরোগ দূর করতে পারবেন। নিমপাতা এটি এমন একটি অলৌকিক পাতা

এতে রয়েছে হাজার ঔষধি গুনাগুন জানিয়েমি সেই আপনার চর্মরোগ দূর করতে পারে। এতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা চর্ম রোগের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে কাজ করে এবং চর্মরোগকে দূর করে।কিন্তু চর্ম রোগ থেকে রেহাই পেতে নিমপাতা কিভাবে ব্যবহার করবেন ? চলুন জেনে আসি
  • আপনার যদি চর্মরোগ থাকে তাহলে নিয়মিত এক গ্লাস নিম পাতার রস পান করবেন আপনি চাইলে স্বাদ বৃদ্ধির জন্য তার মধ্যে এক থেকে দুই চা চামচ মধু এড করতে পারেন।
  • সপ্তাহে তিন থেকে চার বার নিম পাতার পেস্ট বানিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখবেন ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট পর সেটি হালকা  গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।
  • আপনি চাইলে নিম পাতার পেস্ট এর মধ্যে কাঁচা হলুদ বাটা এড করতে পারেন কাঁচা হলুদ চর্ম রোগের জন্য কার্যকরী।
  • নিম পাতার বোরিও খেতে পারবেন নিম পাতার বড়ি খেলে পরিপূর্ণ উপকার পাওয়া সম্ভব। নিম পাতার বরিশালে চর্মরোগ দূর হওয়ার পাশাপাশি শরীর থেকে সমস্ত রোগ বালাই দূর হয়।যেমন; বাতের ব্যথা উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস।
উপরোক্ত নিয়মগুলো অনুসরণ করলে আপনি শুধুমাত্র এক মাসের মধ্যেই চর্ম রোগ থেকে পরিপূর্ণভাবে রেহাই পেতে পারবেন। আশা করছি আমি আপনাকে বোঝাতে পেরেছি যে চর্মরোগে নিম পাতা কিভাবে ব্যবহার করতে হয় এবার চলুন তাহলে আমরা নিম পাতার আরো সব উপকারিতা সম্পর্কে জেনে আসি।

নিম পাতার উপকারিতা

উপরোক্ত এত সব আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে নিম পাতার সাহায্যে নিমিষেই চর্মরোগ এলার্জি দূর করা সম্ভব তবে নিম পাতা কিন্তু আরও হাজারো উপকারিতা রয়েছে নিম পাতা হাজারো পুষ্টি কোন ভিটামিন এ ভরপুর একটি ভেষজ উপাদান যদিও এর স্বাদ একটু তিতা তবুও এর উপকারিতা গুলো কিন্তু অনেক মিষ্টি। নিম পাতার মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম আপনার হাড় ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে

এবং শরীরে এনার্জি ও শক্তি যোগায় এছাড়াও নিম পাতায় রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ব্রণর সাথে কঠোরভাবে লড়াই করে ব্রণকে দূর করতে সাহায্য করে। নিম পাতার আরো হাজারো উপকারিতা রয়েছে যা এক দুই লাইনে বলা সম্ভব নয়। নিম গাছের ছাল শিকড় থেকে শুরু করে কান্ড ডাল ফুল ফল প্রত্যেকটি জিনিসের হাজার হাজার পুষ্টিগুণ ঔষধি গুণে ভরপুর আপনি যদি নিম পাতার আরো উপকারিতা
সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে নিজে দেখুন আমরা নিম পাতা সমস্ত উপকারিতা গুলো সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেছি।

ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার

আপনার ত্বকে ব্রণ রয়েছে ব্রণ থেকে কালচে দাগ সৃষ্টি হয়েছে ? কোন কিছুতেই ব্রণ দূর হচ্ছে না? অনেক কসমেটিক্স প্রোডাক্টস ব্যবহার করেছেন তবুও ব্রণ দূর হচ্ছে না ? ব্রনও আজকাল আমাদের সবারই এই সমস্যা রয়েছে আমরা সবাই এই সমস্যাটির ভুক্তভোগী নানান কারণে তাকে ব্রণ দেখা দেয় একটু ধুলাবালি লাগলে ত্বক চুলকাতে চুলকাতে সেখানে ব্রণের সৃষ্টি হয় ব্রণ যদিও কোন গুরুতর রোগ নয় তবুও এটি অনেক কষ্টকর

কারণ উঠলে যেমন ব্যথা হয় তেমনি নানান মানুষের নানান কথা শুনতে হয় তাই আজকে আপনাদের সাথে নিম পাতার এমন একটি টিপস শেয়ার করব যার মাধ্যমে আপনি তিন থেকে চার দিনের মধ্যে ব্রণ দূর করতে পারবেন। আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন নিম ফেসওয়াশ নিম মশ্চারাইজার। নিম ব্রণ দূর করতে অনেক কার্যকারী ভেষজ উপাদান।এইজন্য নিম দিয়ে অনেক প্রোডাক্ট তৈরি করা হয়

যেগুলো ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে তবে এই প্রোডাক্ট এর থেকে নিমপাতার ত্বকে ব্যবহার করলে ১০০ গুণ বেশি উপকার পাবেন। নিমে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান যা ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন যেখানে ব্রণ রয়েছে তার ওপর নিম পাতার পেস্ট লাগিয়ে রাখবেন 30 মিনিট। হালকা ভাবে ত্বকে ম্যাসাজ করবেন তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে

ধুয়ে ফেলবেন এতে আপনি তিন থেকে চারদিনের মধ্যে ভালো ফলাফল পাবেন। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে।

এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার

এলার্জি দূর করতে নিম পাতার অনেক কার্যকারী নিম পাতায় রয়েছে হাজারো প্রাকৃতিক ঔষধি গুনাগুন যা অ্যালার্জি নিমেষেই দূর করতে পারে।আপনার যদি অ্যালার্জি সমস্যা থাকে তাহলে আপনি নিয়মিত নিম পাতা ব্যবহার করবেন। শরীরে যখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতি দেখা দেয় তখন শরীরে অ্যালার্জি নামক সমস্যাটি হয়। বাংলাদেশ প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষই এলার্জিতে আক্রান্ত এটি 

কোন বড়সড় রোগ নয় তবুও এটি অনেক অস্বস্তিকর।অ্যালার্জির জন্য হাত পায়ে চুলকানি সৃষ্টি হয় অনেক সময় শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় প্রত্যেকটি এলার্জি যে সাধারণ তেমনটা কিন্তু নয় অনেক অ্যালার্জি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এইজন্য এখন থেকে সাবধান হন এবং এলার্জির দূর করার চেষ্টা করুন আপনি যদি ঘরোয়া উপায় 

মাধ্যমে অ্যালার্জি দূর করতে চান তাহলে নিমপাতা হবে সেরা উপায় কারণ নিম পাতার মাধ্যমে এক মাসের মধ্যেই আপনি অ্যালার্জি দূর করতে পারবেন। কোথায় রয়েছে এমন সব গুনাগুন যা অ্যালার্জির বিরুদ্ধে কঠোরভাবে কাজ করে এবং এলার্জিকে দূর করে। এলার্জি থেকে রেহাই পেতে নিয়মিত এক গ্লাস নিমপাতার রস অথবা শরবত খেতে হবে। অথবা আপনি চাইলে নিম পাতার গুঁড়ো এক গ্লাস গরম 
পানির মধ্যে গুলিয়েও খেতে পারবেন। করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি চুলের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার।

চুলের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার

চুল ঝরে পড়ছে ? চুল পড়া কোন কিছুতেই কমছে না? আজকাল এই সমস্যাটি সবারই রয়েছে। চুল পড়ার সমস্যা নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল কারন আমরা সকলেই এই চুল পড়া সমস্যার ভুক্তভোগী বিভিন্ন কারণে পড়তে পারে অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন ও স্বাস্থ্যকর খাবার অথবা নোংরা পানি দিয়ে গোসল করার ফলে চুল পড়তে পারে।তৈলাক্ত খাবার কোন খাবার খেলে চুল 

পড়তে পারে যেমন ফাস্টফুড জাঙ্ক ফুড এগুলো খাবার ফলে চুল পড়ার পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন ক্ষতি হয়। তাই আপনি যদি আপনার চুল পড়াকে রোধ করতে চান তাহলে আজ থেকেই নিমপাতা ব্যবহার করুন। নিম পাতায় রয়েছে হাজারো পুষ্টগুন যা অনায়াসে চুল পড়া রোধ করতে পারে তাই চুলের যত্নে আজ থেকেই নিম পাতার ব্যবহার করুন। নিম পাতা শুধু চুল পড়া রোধ করে এমনটা কিন্তু নয়।

চুল পড়া রোধ করা পাশাপাশি চুলকে ঝলমলে ও প্রাণ উজ্জ্বল করে তুলে পাশাপাশি আপনার মাথায় যদি কোন উকুনের সমস্যা থাকে তাহলে উকুন দূর করে। নিমত্তে তো ভাগে মাথা থেকে উকুন দূর হয়। এছাড়াও মাথার স্কেলপে যদি কোন ব্যাকটেরিয়া জাতীয় সমস্যা থাকে তাহলে সেই সমস্যাও দূর হয় কারণ নিম পাতায় রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন
চুলের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে

নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

ত্বকে ফর্সা করতে চাচ্ছেন ? প্রিয় পাঠক প্রত্যেকটি মেয়ের কিন্তু ইচ্ছা থাকে নিজের ত্বককে ধবধবে  ফর্সা  এবং দাগহীন করার। তাই অনেকেই দোকানের নাইট ক্রিম গুলো ব্যবহার করেন তবে সেই নাইট ক্রিম গুলো কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আপনার স্কিনকে ফর্সা করে কিন্তু পরবর্তী সময়ে আপনার স্কিন আগের চেয়ে আরো বেশি কালো হয়ে যায় এবং ত্বকে অনেক দাগ যুক্ত হয় সাথে স্কিনের চামড়া কে 

অনেক বেশি পাতলা করে দেয় তাই এখন থেকে সতর্ক হোন এবং এই নাইট ক্রিম গুলো বাদ দিন। এগুলো ত্বকের জন্য অনেক বেশি ক্ষতি হয়। আপনি চাইলে ঘরোয়া কথাটির মাধ্যমে নিজের স্কিনকে ভেতর থেকে ফর্সা করতে পারবেন। নিমপাতা এমন একটি ভেষজ উপাদান যা ত্বক থেকে সমস্ত দাগ দূর করে এবং ত্বকে ভেতর থেকে চকচকে ও ব্রাইট করতে সাহায্য করে নেমে রয়েছে হাজার ঔষধি 

গুনাগুন যা ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী আপনি লক্ষ করবেন ডিম দিয়ে হাজারো প্রোডাক্ট তৈরি করা হয় তবে সেইসব প্রডাক্টের চেয়ে আপনি যদি তাকে নিমপাতা ব্যবহার করেন তাহলে ১০০ গুন বেশি উপকার লাভ করবেন কারন প্রোডাক্টে যতই নিম পাতা ব্যবহার করুক না কেন তার মধ্যে কোন না কোন কেমিক্যাল নিশ্চয়ই তারা মিক্স করে আর এই কেমিক্যাল গুলো আপনার স্কিনের ক্ষতি করে।

তাই আপনি যদি আপনার স্কিনকে ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমে ফর্সা ও দাগহীন করতে চান তাহলে সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ বার ত্বকের নিম পাতার পেস্ট ব্যবহার করবেন চাইলে নিম পাতার সাথে কাঁচা হলুদ বেটে ত্বকে লাগাতে পারেন। ত্বকে লাগানোর 30 মিনিট পর সেটি হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন এতে আপনার স্কিন দ্রুত চকচকে ও ব্রাইট হয়ে উঠবে। মুখে নিম পাতার ব্যবহার করলে খুব 

দ্রুত ত্বক থেকে ব্রণ ও দাগ দূর হয় আপনার ত্বকে যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে মুখে নিম পাতার ব্যবহার করবেন। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করলাম চর্ম রোগে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে আজকের এই পোস্ট আশা করছি আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি খুব দ্রুত আপনার চর্মরোগ প্রতিরোধ করতে পারবেন। প্রিয় পাঠক প্রত্যেকটি চর্ম রোগী কিন্তু সাধারণ নয় অনেক চর্মরোগ মারাত্মক হতে পারে আর চর্মরোগ কিন্তু বয়সের সাথে আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতে থাকে তাই এখন 

থেকেই সাবধান হন এবং চর্মরোগ প্রতিরোধের চেষ্টা করুন। চর্ম রোগের প্রতিরোধ না করলে সেটি বয়সের সাথে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। চর্মরোগ কিন্তু এটা ছোঁয়াচে রোগ এটি আপনার সাথে আপনার পরিবারের মধ্যেও ছড়িয়ে যেতে পারে এজন্য এখন থেকেই চর্মরোগ দূর করার চেষ্টা করুন।ওষুধ খাওয়ার ফলে চর্মরোগ কমে কিন্তু সেটি শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পরবর্তী সময় 

আবার শরীরে চর্মরোগ দেখা দিতে পারে এই জন্য চেষ্টা করুন ঘরোয়া পদ্ধতি মাধ্যমে চর্মরোগকে গোড়া থেকে দূর করার। চর্মরোগ দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি মধ্যে সেরা উপায় হল নিমপাতা।নিম পাতার সাহায্যে আপনি অনায়াসে চর্মরোগকে দূর করতে পারবেন নিম পাতায় এমন সব পুষ্টিগুণ ও ঔষধি গুনাগুন রয়েছে যা চর্ম রোগের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে কাজ করে চর্মরোগকে দূর করতে সাহায্য করে।

আশা করছি আমি আপনাকে বোঝাতে পেরেছি যে চর্ম রোগে নিমপাতার কিভাবে ব্যবহার করা হয় এবং চর্ম রোগের উপকারিতা গুলো কি কি আজকের এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন আর হ্যাঁ আপনি যদি এমন পোস্ট আরো পেতে চান তাহলে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url