দুধ কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - দুধ কলা খেলে শ্বাসকষ্ট
আপনি কি দুধ ও কলা একসাথে খেতে পছন্দ করেন তাহলে আজকের এই পোস্টটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। আপনি যদি দুধ কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন আজকের এই পোস্টে আলোচনা করব দুধ কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
আমরা ছোট থেকে দুধের উপকারিতা সম্পর্কে শুনে আসছি। দুধ না খেলে হবে না ভালো ছেলে।এই প্রবাদটি নিশ্চয় আপনি শুনেছেন।দুধে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা শরীরের শক্তি জোকার এবং কলাই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি৬ যা শরীরে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে। তবে এই দুধ ও কলা একসাথে খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায় আমরা আছে সমস্ত বিষয়ে আলোচনা করব আপনি যদি জানতে চান দুধ কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি কি তাহলে পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন।
দুধ কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আপনি যদি দুধ কলার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমি আপনাকে বলব দুধ কলা খাওয়ার উপকারিতা কম এবং অপকারিতাই বেশি। দুধ এবং কলা এই দুইটি উপাদানে অনেক পুষ্টিগুণ ও ভিটামিন রয়েছে। তবে এই দুইটি যখন একসাথে মিশিয়ে খাওয়া হয় তখন তার পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায় আরো দেহের ক্ষতি হয়। দেহের হজম শক্তিতে সমস্যা দেখা দেয়, গ্যাস তৈরি হয় এবং ওজন বৃদ্ধি পায় সাথেই হৃদরোগের সমস্যা দেখা দেয়।
তাই আপনি যদি দুধ কলা একসাথে খাওয়া পছন্দ করেন তাহলে আজ থেকে এই অভ্যাসটি বাদ দিন কারন এটি আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। নিয়মিত দুধ ও করা একসাথে খাওয়ার ফলে বুকে কফ জমতে পারে। আপনি যদি দুধ কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চান তাহলে নিচে দেখুন
দুধ কলা খেলে ত্বক ফর্সা হয়
দুধ কলা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টি আছে যা ত্বককে ফর্সা,ব্রণ মুক্ত ও দাগহীন করে তোলে। আপনার ত্বকে যদি ব্রণ অথবা ব্রোনো জাতীয় কাজের দাগ থাকে তাহলে আপনি নিয়মিত দুধ কলা মিশিয়ে খাবেন এতে খুব দ্রুত আপনার ত্বক থেকে ব্রণ ও দাগ দূর হবে। এছাড়াও কলা স্কিনের জন্য অনেক বেশি উপকারী আপনি যদি কলার সাথে হলুদ এবং মধু মিশিয়ে আপনার ত্বকে ব্যবহার করেন তাহলে আপনি খুব দ্রুত ভালো ফলাফল পাবেন।
দুধ কলা খেলে প্রচুর ক্যালরি পাওয়া যায়
দুধ কলা খেলে প্রচুর ক্যালরি পাওয়া যায় । প্রত্যেকটি কলায় প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম পরিমান ক্যালরি পাওয়া যায় আর দুধে থাকে ৮০ থেকে ৯০ গ্রাম ক্যালরি। দুইটি যখন একত্রে মিলিয়ে খাওয়া হয় তখন আপনি প্রচুর ক্যালরি লাভ করতে পারবেন। আপনি যদি ভাল ফল পেতে চান তাহলে প্রতিদিন তিন থেকে চারটি কলার সাথে এক কাপ দুধ খেয়ে নেবেন এতে আপনি খুব দ্রুত ভালো ফলাফল লাভ করবেন।
দুধ কলা খেলে চুল পরা কমে
অতিরিক্ত চুল পড়া নিয়ে চিন্তিত ? কোন কিছুতেই চুল পড়া কমছে না? তাহলে নিয়মিত দুইবার দুধ ও কলা একসাথে খাবেন।দুধ ও কলা একসাথে খেলে চুল পড়া কমে এবং দাঁত চকচকে ও সাদা হয়। দুধ কলা খেলে শুধু চুল পড়া বন্ধ হয় এমনটা কিন্তু নয় দুধ কলা খেলে চুল পড়ার বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি আপনার স্কিন নরম ও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। আপনার ত্বকে যদি করে ব্রণ অথবা ব্রোন জাতীয় দাগ থাকে সেগুলো খুব দ্রুত দূর হয়। আশা করছি আপনি দুধ কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এবার চলুন আমরা জেনে আসি দুধ কলা খাওয়ার অপকারিতা গুলো কি কি।
দুধ কলা খাওয়ার অপকারিতা
দুধ কলা খাওয়ার উপকারিতা হচ্ছে এ দুধ কলা খাওয়ার অপকারিতা অনেক বেশি যদিও দুধ ও কলা এই দুটি হাজারো পুষ্টিগুণ ও ভিটামিনের ভরপুর তবুও যখন এই দুইটি একসাথে মিশিয়ে খাওয়া হয় তখন মানব শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। আপনার যদি দুধ কলা পছন্দের খাবার হয় তাহলে আজ থেকে এই খাওয়াএটি বাদ দিন কারণ এটি খেলে আপনার শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন হজম শক্তিতে সমস্যা ,পেটে সমস্যা এবং গ্যাস। দুধ কলা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে নিচে দেখুন
দুধ কলা খেলে গ্যাস হয়
যেকোনো ফলের সাথে দুধ মিশিয়ে খেলে বুকে কফ জমে যায়।এইজন্য দুধের সাথে কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।দুধ এমনি অনেক উপকারী ও পুষ্টিগুণে ভরপুর কিন্তু যখন দুধ কলার সাথে মিশানো হয় তখন এটির পুষ্টিগুণ নষ্ট হয় এবং খাওয়ার ফলে পেটে গ্যাস হয়।
দুধ কলা খেলে বদ হজম হয় এবং পেট ফুলে যায়
দুধ ও কলা মিশিয়ে খেলে সেটি হজম করতে সমস্যা হয়।সহজে হজম হতে চাই না ফলে পেটে সমস্যা দেখা দেয়।এতে পেট ফুলেও থাকতে পারে।এইজন্য দুধ ও কলা একসাথে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
দুধ কলা খেলে বুকে কফ জমে যায়
নিয়মিত দুধ কলা খেলে বুকে কফ জমে যেয়ে সেটি সর্দি ও কাশিতে পরিণত হয়।এতে তীব্র মাথা ব্যাথা অনুভব হতে পারে। বিশেষ করে যখন আপনি রাতের দুধ ও কলা খাবেন তখন আপনার তীব্র মাথাব্যথা অনুভূত হতে পারে।
দুধ কলা খেলে অ্যালার্জি দেখা দেয়
দুধ কলা একসাথে মিশিয়ে খেলে শরীরে অ্যালার্জি জাতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে।হঠাৎ হাথ অথবা পায়ে চুলকানি সৃষ্টি হতে পারে।এইজন্য আজ থেকে দুধ ও কলা একসাথে খাওয়া বাদ দিন।
দুধ কলা খেলে শ্বাসকষ্ট হয়
দুধ ও কলা একসাথে খেলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।আপনি যদি নিয়মিতো দুধ ও কলা একসাথে খান তাহলে বুকে কফ জমে যাবে তারপর পরবর্তী সময়ে সেটা শ্বাসকষ্ট রূপান্তরিত হবে এই জন্য আপনার যদি দুধ কলা নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস থাকে থাকে তাহলে আজ থেকে এই অভ্যাসটি বাদ দিন।
আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন দুধ ও কলা খাওয়ার অপকারিতা গুলো কি কি।এবার চলুন জেনে আসি পাকা কলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে
পাকা কলার উপকারিতা ও অপকারিতা
পাকা কলার উপকারিতা এক দুই লাইনে বলে শেষ করা সম্ভব নয় পাকা কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ যে আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ফাঁকা করে ছোট বাচ্চাদের জন্য খুবই উপকারী বাচ্চাদের হাড় গঠনে হার মজবুত ও স্ট্রং করতে সহায়তা করে।
এই জন্য এখন থেকে নিয়মিত বাচ্চাদের বেশি বেশি পাকা কলা খাওয়াবেন।পাকা কলাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ,প্রোটিন ,ফ্যাট ,ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেট, রিভোফ্লাভিন, ভিটামিন সি ,নিয়াসিন, কপার, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম এই উপাদানগুলো শরীরের বিভিন্ন রোগ বালায় দূর করে।
এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ,হার্টকে সুস্থ রাখে ,কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর করে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় হার ও পেশীকে আরো বেশি শক্ত করে এবং চোখের জ্যোতি আরো বৃদ্ধি করে।কলা আল্লাহর দেওয়া এক অপূর্ব নেয়ামত।
কলা খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি হাজারো পুষ্টিগুণ ও ভিটামিন ভরপুর। আপনি যদি পাকা কলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত সবকিছু জানতে চান তাহলে নিচে এক নজর দেখে নিন।
১ পাকা কলা খেলে হজম শক্তির ভালো হয়।পাকা কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আপনার হজম শক্তিকে আরো উন্নত করে তোলে এছাড়াও পাকা কলা শরীর থেকে অতিরিক্ত ফ্যাট অথবা চর্বি এবং কোলেস্টরেল দুর হয়।
২ আপনি যদি অতিরিক্ত অজন নিয়ে চিন্তিত হন তাহলে নিয়মিত ৩-৪ টি পাকা কলা খাবেন।পাকা কলা খেলে খুব দ্রুত ওজন কমানো যায়।পাকা কলাই বিদ্যমান বিভিন্ন উপাদান শরীরের অতিরিক্ত চর্বি গুলোকে দুর করতে সাহায্য করে।
৩ পাকা কলা খেলে হার্ট সুস্থ থাকে। পাকা কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং হার্টকে সুস্থ রাখে। আপনার যদি হার্টের সমস্যা থাকে তাহলে নিয়মিত ৩ থেকে ৪টি কলা খাবেন।
৪ আপনি কি জানেন নিয়মিত ২-৩ টি কলা খাওয়ার মাধ্যমে আপনার কিডনি রোগের আশঙ্কা প্রায় ৫০% কমে যায়?কিডনি সুস্থ রাখতে চাইলে নিয়মিত ২-৩ টি কলা খাবেন।
বন্ধুরা কলার উপকারিতার কোনো শেষ নেয়।কলা হাজারো গুনাগুন ও উপকারে পরিপূর্ণ। আর গলার উপকারিতা কথা বললে যেহেতু কলা ঠান্ডা জাতীয় ফল তাই এই শীতকালে নিয়মিত কলা খেলে ঠান্ডা লাগতে পারে।এইজন্য সকলে যখন রোদ উঠবে তখন কলা খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আমরা আজকের এই পোস্টে দুধ ও কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করেছি। দুধ ও কলা এ দুটি ভরপুর ভিটামিন ওখানে কিছু উপাদান পাওয়া যায় এবং এই দুটি খাদ্য যখন একত্রিত করা হয়।
তখন এদের ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ যেন আরো দশ গুণ বেশি বৃদ্ধি পায় এদের প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ভিটামিন বি ফাইবার কার্বোহাইড্রেট ক্যালসিয়াম ভিটামিন সি পাওয়া যায়। ভিটামিন সি আমাদের শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মত কাজ করে যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করার পাশাপাশি সুন্দর রাখতে সহায়তা করে ।
সাথেই রয়েছে পটাশিয়াম যা হার্টের যাবতীয় সমস্যা কি দূর করে। এক গ্লাস দুধ ও কলা আপনার শরীরের সমস্ত ধকলকে নিমিষেই দূর করতে পারে এছাড়াও নিয়মিত দুধ কলা খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের শক্তি ও এনার্জি আসবে এতে আপনি কাজে শক্তি বল পাবেন।
নিয়মিত রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধ কলা আপনার ঘুম কে সুন্দর করবে। পাকা কলা থেকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায় যে কোষ্ঠকাঠিন্যের মধ্যে সমস্যা কি নিমিষেই দূর করতে পারে সাথেই দূর থেকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা আপনার হাঁটুর ও হাতের গিরাই গিরায় ও জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথাকে দূর করবে ।
এবং আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে এজন্য এখন থেকে নিয়মিত এক গ্লাস দুধ ও কলা খাওয়ার চেষ্টা করবেন আশা করছি আজকের এই পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে এই পোস্টটি ভাল লেগে থাকলে অবশ্যই পোস্টটিতে একটি কমেন্ট করে জানাবেন।
ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url