১ মাসে চুল লম্বা ও ঘনো
অতিরিক্ত চুল পড়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন? তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য।আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব কিভাবে চুল পড়া বন্ধ করা যায় এবং চুলের যত্নে জটামাংসী কতটুকু কার্যকরী
আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব কিভাবে চুল পড়া বন্ধ করা যায়। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ফলে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়।তাই আজকে আমরা আলোচনা করব কিভাবে জটামাংসী এর সাহায্যে চুলের যত্ন নিবেন এবং ১সপ্তাহে চুল পড়া বন্ধ করবেন।
পেজ সূচিপত্র
চুলের যত্নে জটামানসী
ধুলাবালি মানসিক চাপ ,অনিদ্রা,পুষ্টির অভাব,দুশ্চিন্তা এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার এর কারণে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। বর্তমান সময়ের চুল পড়ার সমস্যা নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল কারণ আমরা সবাই এই সমস্যার ভুক্তভোগী। তাই আমি আজ আপনাদের মাঝে এমন একটি টিপস নিয়ে এসেছি যে টিপসটি অনুসরণ করলে খুব দ্রুত আপনি চুল পড়া বন্ধ করতে পারবেন এটি ১০০% কার্যকারী টিপস।
আরো পড়ুন: গেম খেলে টাকা ইনকাম করুন পেমেন্ট বিকাশে নিন
জটামাংসী ভেষজ উপাদান এটি একটি এমন গাছ যা এক সপ্তাহের মধ্যে চুল পড়া বন্ধ করতে পারে। এই ভেষজ উপাদানে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে এবং চুলের গোড়া কে আরো বেশি মজবুত করে। তাই প্রিয় পাঠক আপনি যদি জানতে চান যে জটামাংসী গাছ কিভাবে চুলের যত্নে নেয় এবং চুল পড়া বন্ধ করে তাহলে নিচে দেখুন
চুলের যত্নে জটামাংসী
এই গাছটি বিরল অঞ্চলে পাওয়া যায় বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলেও এই গাছটির দেখা মিলে।জটামাংসীতে রয়েছে হাজারো ওষুধে গুণাগুণ যা চুল পড়া বন্ধ করার পাশাপাশি মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে এবং বিষন্নতা ও দুশ্চিন্তা দূর করে। চুলের যত্নে জটামাংসী এর গুরুত্ব অনেক বেশি কারণ জটামাংসী এর সাহায্যে এক সপ্তাহের মধ্যে চুল পড়া বন্ধ করা সম্ভব।
চুল বিভিন্ন কারণে পড়তে পারে অপরিষ্কার ও নোংরা পানি মাথায় দিলে চুল পড়তে পারে কিংবা অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন অথবা অস্বাস্থ্যকর খাবারের কারণে চুল পরতে পারে। বর্তমান সময় বাংলাদেশের সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা হল চুল পড়া কারণ প্রায় 90% মানুষ চুল পড়ার সমস্যার আক্রান্ত।আপনিও কি চুল পড়ার সমস্যায় অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন?তাহলে নিচে দেখুন কিভাবে জটামাংসীর সাহায্যে চুল পড়া বন্ধ করতে হয়
উপায় ১
জটামাংসী গাছের শিকড়ে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা চুল পড়া রোধে ম্যাজিক এর মত কাজ করে।তাই জটামাংসী গাছের শিকড় ছোট ছোট করে কেটে নিতে হবে তারপর সেটি খাঁটি নারকেল তেলের সাথে গরম করে মাথার স্ক্যাল্পে ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে চুল পড়া রোধে মাসাজের চেয়ে বেশি উপকারী আর কিছুই নেই এর জন্য বেশি বেশি ম্যাসাজ করতে হবে
তাহলে মাথার রক্ত সঞ্চালন বাড়বে এবং চুল পড়া বন্ধ হবে।
উপায় ২
জটামাংসী গাছের পাতা ভালোভাবে পানি দিয়ে প্রথমে পরিষ্কার করে নিতে হবে তারপর সেটি পাটাই বেটে মাথার স্ক্যাল্পে ও চুলে আলতোভাবে লাগাতে হবে।এতে চুল অনেক মসৃণ ও সিল্কি হবে। অনেকেই চুল মসৃন করার জন্য অতিরিক্ত কন্ডিশনার ব্যবহার করেন যা চুলের জন্য অনেক ক্ষতিকর।কন্ডিশনার একদিকে যেমন উপকার তেমনি অন্যদিকে অপকারীও। কন্ডিশনার অতিরিক্ত ব্যবহার করলে
চুল পাতলা হয়ে যায় এতে চুল পড়ার আশঙ্কা আরো ৪০ % বেড়ে যায়। তাই আজ থেকে অতিরিক্ত কন্ডিশনার বাদ দিয়ে ঘরোয়া পদ্ধতি মাধ্যমে চুল সিল্কি ও মসৃণ করার চেষ্টা করুন। আর কন্ডিশনার নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চুলকে সিল্কি ও মসৃণ রাখে।পরবর্তী সময়ে কন্ডিশনার ব্যবহার না করলে আবার চুল আগের মত রুক্ষ হয়ে যায়।আর আপনি যদি ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমে
জটামাংসী অথবা অ্যালোভেরা ব্যবহার করেন তাহলে আপনার চুল ভিতর থেকে মসৃন হবে। আপনি যদি সপ্তাহে তিন দিন জটামাংসী এবং এলোভেরা চুলে ব্যবহার করেন তাহলে আপনি কন্ডিশনারের মতো ফলাফল পাবেন।
উপায় ৩
একটি পাত্রের মধ্যে কিছু পানি নিন তার মধ্যে জটামাংসী এর ডাল ও শিকড় তার মধ্যে সারা রাতের জন্য চুবিয়ে রাখুন আপনি চাইলে এর মধ্যে এলোভেরা টুকরো চুবিয়ে রাখতে পারেন তারপর সকালে উঠে সেই পানি চুলে ব্যবহার করবেন এতে আপনি খুব দ্রুত চুল পড়া বন্ধ করতে পারবেন। চুল পড়া রোধের ডাল এবং শিকড় ম্যাজিক এর মত কাজ করে বিশ্বাস না হলে বাসায় একবার ট্রাই করে দেখুন
উপায় ৪
প্রতি রাতে মাথা বেশি করে ম্যাসাজ করুন। চুলের জন্য ম্যাসাজের চেয়ে বেশি উপকারী আর কিছুই নেই ঠিক ভাবে ম্যাসাজ না করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে না।আর রক্ত সঞ্চালন না বাড়ালে এতে চুল পড়ার সমস্যা ও রোধ হবে না এইজন্য বেশি বেশি মাথা ম্যাসাজ করুন। রাতে ঘুমানোর আগে ৩০ মিনিট মাথা ভালোভাবে ম্যাসাজ করবেন হাতের আঙ্গুলের নরম অংশের সাহায্যে মাথার স্কেলপে ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করবেন।
আবার দিনে গোসল করার পর ভিজা চুল একবার ম্যাসাজ করবেন এতে খুব দ্রুত আপনি চুল পড়া থেকে রেহাই পাবেন এবং আপনার চুল লম্বা ও ঘন হবে কারণ ব্লাড সার্কুলেশন যত বাড়বে আপনার চুল তত বেশি লম্বা হবে। এজন্য আজ থেকে নিয়মিত মাথা বেশি বেশি ম্যাসাজ করুন।
উপায় ৫
মাথায় তেলের চেয়ে বেশি পুষ্টিকর আর কিছুই নেই এই জন্য বেশি বেশি তেল ব্যবহার করতে হবে তবে আজকালকার যুগে মেয়েরা মাথায় তেল ব্যবহার করতে চায় না বলে মাথায় তেল দিলে নাকি চুল চিপ চিপ এবং আঠালো লাগে। তাদের উদ্দেশ্যে বলি আপনি যদি মাথায় তেল একটু গরম করে দেন তাহলে আর চুল আঠালো লাগেনা।আর মাথায় তেল দিয়ে তিন - চারদিন রাখার কোন দরকার নেই
এখন বিজ্ঞানীরা বলেন মাথায় তেল দুই থেকে তিন ঘন্টার রাখলেই তেল থেকে চুলে যা পুষ্টি লাগার তা লেগে যায়। তাই তেল দেওয়ার ২ থেকে ৩ ঘন্টা পর আপনি চাইলে মাথা ধুয়ে ফেলতে পারেন। তবে আপনি কি জানেন যে কোন তেল ব্যবহার করলে খুব দ্রুত আপনার চুল পড়া রোধ হবে এবং চুল ও লম্বা ? অবশ্যই খাঁটি নারকেল তেল। খাঁটি নারকেল তেলে এমন সব পুষ্টি উপাদান আছে
যা আপনার চুলকে খুব দ্রুত লম্বা ও ঘন করতে সাহায্য করে।তবে আপনি যদি খাঁটি নারকেল তেলের মধ্যে একটু মেথি, একটু পেঁয়াজ কুচি এবং একটু জটামাংসী মিশিয়ে সেটি চুলায় ভালোভাবে গরম করে নেন তাহলে এর পুষ্টিগুণ আরো ১০০গুণ বেশি বেড়ে যায় যা নিমিষেই চুল পড়া রোধ করে এবং খুব দ্রুত লম্বা ও ঘন করতে সাহায্য করে।
উপায় ৬
চুল পড়া বন্ধ করতে চাইলে বেশি বেশি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গুলো খেতে হবে কারণ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গুলো চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে শরীরে পুষ্টি গুণের অভাব দেখা দিলেও চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। তাই বেশি বেশি শাকসবজি এবং প্রোটনের সময় তো খাবার খেতে হবে। প্রত্যেকটি শাকসবজি খেলেই যে চুল পড়া বন্ধ হবে এমনটা কিন্তু নয়।ব্রকলি ফুলকপি পাতাকপি,
পালং শাক এবং ভেন্ডি খেতে হবে এই শাকসবজি গুলো খেলে আপনার চুল পড়ার সমস্যা নিমিষেই দুর হবে। আজকাল মেয়েরা ডায়েটে এত বেশি কেয়ারফুল যে তারা পুষ্টিকর শাকসবজি খাওয়া ভুলেই গেছে যার ফলে দেখা দেয় চুল পড়ার সমস্যা। আপনার শরীরে যদি ঠিক ভাবে পুষ্টি না থাকে তাহলে আপনি যতই চুল পড়ার ওষুধ সেবন করেন না কেন চুল পড়া কখনোই কমবে না।
এইজন্য বেশি বেশি ফলমূল এবং শাকসবজি খেতে হবে তাহলে চুল পড়া খুব দ্রুতই রোধ করতে পারবেন। প্রশ্ন আসে যে কোন ফল গুলো খেলে চুল পড়া বন্ধ হবে? স্ট্রবেরি, ড্রাগন, অ্যাভোকাডো ,কমলালেবু , বিট্রুট এবং পেয়ারা আপনি যদি নিয়মিত আপনার খাবার তালিকায় এই ফলগুলো রাখেন তাহলে আপনি খুব দ্রুত চুল পড়া সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন এবং
আপনার চুল খুব দ্রুত লম্বা ও ঘন হয়ে উঠবে। চুল পড়া রোধ করতে চাইলে আপনাকে একটি নিয়মিত খাদ্য তালিকা তৈরি করতে হবে এবং খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে যে সকালে আপনি ডিম অথবা দুধ খাবেন তারপর দুপুরে শাকসবজি ,বিকালে ফলমূল এবং রাতে দুধ ও ডিম সাথেই কিছু সিদ্ধ শাকসবজি। এভাবে আপনি যদি একটি খাদ্য তালিকা তৈরি করেন তাহলে আপনি খুব দ্রুত আপনার চুল পড়া রোধ করতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে কাজ কাম ,পড়াশোনা এবং নিজে ক্যারিয়ার পিছে ছুটতে ছুটতে ,নিজের প্রতি একদম খেয়াল রাখা হয় না পরে দেখা দেয় শরীরে নানান সমস্যা তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো চুল পড়া। আজ থেকে নিজের প্রতি একটু যত্ন নিন এবং উপরোক্ত টিপস গুলো অনুসরণ করুন তাহলে আপনি খুব দ্রুত চুল পড়া সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে চুলের যত্নে কিভাবে জটামাংসী কাজ করে। জটামাংসী শুধু চুল পড়া রোধ করে এমনটা নয় চুল পড়া রোধ করার পাশাপাশি চুলের গোড়াকে অনেক মজবুত করে এবং চুলকে মসৃণ ও সিল্কি করে তোলে। চুল পড়া বর্তমান সময়ে একটি সাধারণ সমস্যা যা প্রত্যেকটি ঘরে ঘরেই রয়েছে তবে এই সমস্যাটি আপনি কিভাবে
সমাধান করবেন সেই সম্পর্কে আমরা আলোচনা করলাম।আপনি যদি উপরোক্ত প্রত্যেকটি টিপস অনুসরণ করেন তাহলে আপনি খুব দ্রুত চুল পড়া সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন। জটামাংসী ভেষজ উপাদানটি চুল পড়া রোধের পাশাপাশি শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী আপনার শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য ,উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে এছাড়াও জটামাংসী ত্বকের জন্যও অনেক বেশি উপকারী
ত্বকের এলার্জি ব্রন অথবা রেশ জাতীয় সমস্যা নিমিষেই দূর করে। প্রিয় পাঠক আশা করছি আজকের এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট হয়ে জানাবেন আর হ্যাঁ আপনি যদি এমন টিপস আরো পেতে চান তাহলে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।
ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url