মোশন সিকনেস দূর করার উপায় এবং গাড়িতে বমি না করার ঔষধ

গাড়িতে উঠলে বমি বমি ভাব মাথাব্যথা দেখা দেয়? আপনি জানেন গাড়িতে উঠলে বমি হয় কেন? আর বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত ?যদি না জানেন তাহলে পোস্টটি আপনার জন্য।মোশন সিকনেস দূর করার উপায় এবং যাত্রাপথে বমির ঔষধ সম্পর্কে জানতে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

মোশন সিকনেস দূর করার উপায় এবং গাড়িতে বমি না করার ঔষধ

বাসে তীব্র গন্ধ ঝাঁকুনির জন্য মাথা ঘোরা ও বমি ভাব দেখা দেয়।তাই কি করলে অথবা কি খেলে মোশন সিকনেস দুর হয় আজ আমরা সেই বিষয়ে আলোচনা করবো। প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা মোশন সিকনেস দূর করার উপায় এবং মোশন সিকনেস কারণ সম্পর্কে খুঁটিনাটি সবকিছু আলোচনা করবো।

খালি পেটে বেল খেলে কি হয়

পেজ সূচিপত্র

গাড়িতে উচলেই বমি হয়?

বর্তমান সময়ে মোশন সিকনেস একটি সাধারণ সমস্যা।এটি যেকোনো বয়সে যেকোনো কারোর হতে পারে।আপনার যদি মোশন সিকনেস থাকে ভ্রমণ আপনার জন্য নয়।মোশন সিকনেস জাহাজে ,বাইকে ,বাসে ,ট্রেনে অথবা লিফটেও হতে পারে। এখন আপনার মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন আসছে যে আসলে এই মোশন সিকনেস কি? মোশন সিকনেস হল শরীরের এমন এক অবস্থা

আরো পড়ুন: এড দেখে টাকা ইনকাম পেমেন্ট বিকাশে

যখন আমাদের শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয় তখন আমাদের হঠাৎ মাথা চক্কর দিয়ে উঠে এবং বমি বমি ভাব হয় এই অবস্থাকে বলা হয় মোশন সিকনেস। বর্তমান সময়ে এটি একটি সাধারণ সমস্যা। ঘরে ঘরে এখন প্রত্যেকের মোশন সিকনেসের সমস্যা রয়েছে। কথাটি তেতো লাগলেও সত্যি যে ভ্রমণ তাদের জন্য নয় ,যারা মোশন সিকনেস সমস্যায় আক্রান্ত ভ্রমণ।

আরো পড়ুন: বসে না থেকে এই অ্যাপস দিয়ে ডেইলি ৩০০ টাকা ইনকাম করুন

কারণ মোশন সিকনেস সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা লিফটে চরলেও তাদের মাথা ঘোরা এবং বমি বমি ভাব দেখা দেয়। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে মোশন সিকনেস কি এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি গাড়িতে উঠলে বমি বমি ভাব দেখা দেয় কেন।

গাড়িতে উঠলে বমি হয় কেন

আপনি যখন গাড়িতে উঠেন গাড়িতে ½ ঘন্টা কাটানোর পর আপনার বমি আসে কিংবা মাথা ঘুরে এবং গা গুলিয়ে আসে? এর কারণ হলো মোশন সিকনেস. মোশন সিকনেসের সমস্যা থাকলে এই সমস্যাগুলো দেখা দেয় গাড়িতে উঠলে হঠাৎ মাথার চক্কর দেওয়া অথবা বমি আসা। বাসের ঝাঁকুনি এবং ডিজেল,পেট্রোলের তীব্র গন্ধের জন্য এমন হয় বমি এবং মাথা ঘোরা।

বাসে উঠলে প্রথম কিছুক্ষণ ঠিক থাকে তার পর যেন মনে হয় গা গুলিয়ে আসছে এবং অনেক বমি হয় বমি হওয়ার ফলে শরীরের পানির ঘাটতি দেখা দেয় ফলে ডিহাইড্রেশন হয়। এজন্য আপনাকে জানতে হবে যে মোশন সিকনেস কিভাবে দূর করতে হয় তা না হলে বাস জার্নি আপনার জন্য নয় আর মোশন সিকনেস সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা শুধু বাসে উঠলেই যে বমি হয় এমনটা কিন্তু নয়

তারা লিফটে অথবা নৌকা কিংবা প্লেনে উঠলেও তাদের এমন বমি হয় এবং মাথা ঘোরা দেখা দেয়। এমনটা বিশেষ করে তখন হয় যখন আপনি পিছের অথবা লাস্টের ছিটে বসবেন বাসের লাস্ট ছিটে বসলে বাসের ঝাঁকুনি এবং তীব্র গন্ধ, ডিজেলের গন্ধ ,পেট্রোলের গন্ধ বেশি অনুভূত হয় এতে মোশন সিকনেসের হার ৫০% পার্সেন্ট বেড়ে যায়। তাই যখন আপনি গাড়িতে ভ্রমণ করবেন
তখন সবসময় প্রথম অথবা দ্বিতীয় ছিট বেছে নিবেন। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে গাড়িতে উঠলে বমি কেন হয়। এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি গাড়িতে বমি হলে করণীয় কি।

গাড়িতে বমি হলে করণীয়

বাসে অথবা ট্রেনে পুরো ফ্যামিলি মিলে কোথাও যাওয়ার কিন্তু মজাটাই আলাদা কিন্তু এর মধ্যে যদি আপনার মোশন সিকনেসের সমস্যা থাকে তাহলে তো পুরো মজাটাই মাটি হয়ে যায়। বাসের ডিজেলের ও পেট্রোলের তীব্র গন্ধ এবং বাসের ঝাঁকুনিতে যেন জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। যার কারণে অনেকে দূরের আত্মীয়দের কথা শুনলেই যেন ভয় পেয়ে যায় যে এই বুঝি বাসের সফর শুরু হবে।

ভয় পাওয়ার কিছু নেই আজকের এই পোস্টে আমরা এমন কিছু কার্যকরী টিপস নিয়ে এসেছি যে টিপস গুলো অনুসরণ করলে আপনি এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারবেন। বাসে বমি উঠলে করণীয় কি বাসে বমি উঠলে এক টুকরো আদা, দাঁতে চিবিয়ে খেয়ে নিবেন এতে আপনি বমি বমি ভাব ও মাথা ঘোরা থেকে রেহাই পাবেন। আদা খেলে সহজে মাথাব্যথা দূর হয়

এবং বমি বমি ভাব ও গা গুলিয়ে যাওয়া দূর হয়। আপনি লক্ষ্য করবেন যখনই আমরা বলি যে আমাদের মাথা ঘুরছে তখনই আমাদেরকে  "মা " এসে বলে যে আদা চা বানিয়ে দিয়ে কারণ আদা চায়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটো নিউট্রিয়েন্টস ও ফাইটো কেমিক্যাল যা মাথা ব্যথা ও বমি বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করে। তাই এখন থেকে বাস ভ্রমণের আর কোন চিন্তা নেই।
আপনি যদি জানতে চান যে আরো কোন খাবারগুলো খেলে বাসে অথবা গাড়িতে বমি হবে না তাহলে নিচে দেখুন, বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত দেওয়া রয়েছে

গাড়িতে বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত

বাসে উঠলেই প্রচুর বমি বমি ভাব হয় আর মাথা ব্যথা করে? এইজন্য দূরের যাত্রা পথে যাওয়া হয় না যে বাসে উঠলেই আবার বুঝি বমি হবে? তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য উপর তো আলোচনার মাধ্যমে আপনি এসে বুঝতে পেরেছেন যে বমি বাসে অথবা গাড়িতে উঠলে বমি কেন হয় চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি বমি হলে কি খাবার গুলো খাওয়া উচিত অর্থাৎ কোন খাবারগুলো খেলে তাৎক্ষণিকভাবে গাড়িতে রেহাই মিলবে।

পুদিনা পাতার রস
পুদিনা পাতায় আছে স্যালিশিলিক অ্যাসিড এবং বহু পাঁচক এনজাইম রস যা হজম শক্তিতে সাহায্য করে ফলে বমি হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। এইজন্য গাড়িতে উঠলে আপনার যখনই বমি আসবে তখনই আপনি পুদিনা পাতার রস খেয়ে নেবেন এই জন্য ভ্রমণে যাওয়ার সময় ব্যাগে অবশ্যই পুদিনা পাতার রস নিতে ভুলবেন না।
আদার টুকরো
আদাতে রয়েছে প্রচুর ফাইটো নিউট্রন ও ফাইটো কেমিক্যাল মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এইজন্য আপনার যখনই গাড়িতে উঠলে বমি আসবে কিংবা মাথা ব্যথা করবে তখনই আদার এক টুকরো চিবিয়ে খেয়ে নিবেন। এতে আপনি তাৎক্ষণিকভাবে মাথাব্যথা থেকে রেহাই পাবেন মাথাব্যথা কিন্তু আদার উপকারিতা অনেক। কিংবা আপনার যদি কাঁচা আদা খেতে ভালো না লাগে তাহলে
বাসা থেকে আদা চা বানিয়ে ব্যাগে সংরক্ষণ করে নিয়ে যাবেন ফলে যখন আপনার গাড়িতে বমি পাবে তখন এক গ্লাস আদার চা খেয়ে নিবেন।
লেবু পানি
মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব থেকে রেহাই পেতে লেবুর ভূমিকা অনেক। লেবু তো রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা বমি বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করে এবং মনকে উৎফুল্ল রাখে বাস ভ্রমণের আগে মনে করে ব্যাগে অবশ্যই লেবু পানি নিবেন। আর গাড়িতে ভ্রমণের সময় মনে করে সবসময়ই জানালার ধারে বসার চেষ্টা করবেন এতে বাইরের স্বচ্ছ হওয়া আপনার মনকে প্রশান্তি দিবে এবং বমি বমি ভাব ও মাথা ঘোরা দূর করবে
ডাবের পানি
ডাবের পানি মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব দূর করতে ঔষধের মতো কাজ করে। ডাবের পানিতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি ,অ্যামাইনো এসিড যা বমি বমি ভাব ও মাথা ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে এই জন্য বাস ভ্রমণের আগে ব্যাগে এক বোতল ডাবের পানি অবশ্যই নিয়ে নেবেন। ডাবের পানি মাথাব্যথা ও বমি বমি ভাব দূর করার পাশাপাশি মনকে প্রশান্তি দেয়।

ডাবের পানি ঠান্ডা পানিও যা আপনার মনকে উৎফুল্ল রাখে। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে বাসে বা গাড়িতে বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত। এবার চলুন তাহলে খাবার খাওয়ার পাশাপাশি কি কি কাজ করলে মোশন সিকনেস দূর হবে সে উপায়গুলো জেনে আসি।

মোশন সিকনেস দূর করার উপায়

বাসে উঠলে প্রচুর মাথা ব্যথা করে মাথা যেন যন্ত্রণায় ফেটে যাচ্ছে সাথেই রয়েছে আবার বমি। কিন্তু কেন হয় এমন ? একটি স্বাভাবিক সুস্থ মানুষ যখন বাসে উঠে তখন তার হঠাৎ এই সমস্যাগুলো দেখা যায় আপনি কি জানেন এর পিছনে আসল কারণ কি? এর আসল কারণ হলো মোশন সিকনেস। মোশন সিকনেস সমস্যা থাকলে এমন হয় অর্থাৎ বাসে অথবা গাড়িতে উঠলে হঠাৎ
যেন মাথা ঘুরে উঠছে এবং গা যেনো গুলিয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে কি কি করতে হবে চলুন জেনে আসি অর্থাৎ মোশন সিকনেস দূর করার উপায় গুলো জানতে নিচে দেখুন;

জানালার ধারে বসতে হবে
যাদের মোশন সিকনেস এর সমস্যা রয়েছে তারা সব সময় মনে করে জানালার ধারে বসবেন কারণ জানালার ধারে বসলে বাইরের স্বচ্ছ হওয়া মনকে প্রশান্তি দেয় এবং বমি বমি ভাব ও মাথা ঘোরা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।তাই প্রত্যেকটি বাস অথবা ট্রেন  ভ্রমণের জানালার ধারে বসুন এবং প্রকৃতি সৌন্দর্যতাকে অনুভব করুন এতে চোখ এবং মন দুটিই ভালো থাকবে।
বাসের বা গাড়ির প্রথম অথবা ২য় ছিটে বসতে হবে
যাদের মোশন সিকনেস এর সমস্যা রয়েছে তারা সবসময় গাড়ির প্রথম অথবা দ্বিতীয় সিটে বসবেন এতে গাড়ির ঝাকুনি এবং বাজে দুর্গন্ধ কম অনুভূত হয়। গাড়ির যত পিছের দিকে আপনি বসবেন বাসের ঝাকুনি এবং পেট্রোল ও  ডিজেল এর গন্ধ বেশি অনুভূত হবে ফলে আপনার বমি বমি ভাব ও মাথা ঘোরার হার ৮০% বেশি বেড়ে যাবে। তাই এখন থেকে প্রত্যেকটি বাস অথবা ট্রেন ভ্রমণে গাড়ির প্রথম অথবা দ্বিতীয় সিটে বসবেন এবং সেটি জানালার ধারে।

হালকা খাবার খেয়ে ভ্রমণে যেতে হবে
ভ্রমণে যাওয়ার আগে অবশ্যই হালকা কিছু খাবার খেতে হবে খালি পেটে ভ্রমণে যাওয়া যাবে না এতে পেটে এসিডিটিও সমস্যা দেখা দিবে ফলে বমি ও মাথা ঘোরা বেড়ে যাবে। হালকা খাবার বলতে যেমন পাউরুটি স্যান্ডউইচ সাথে ডিম।এইজন্য ভ্রমণে যাওয়ার সময় সবসময় হালকা কিছু খাবার খেয়ে নেবেন তবে ভারী খাবার খাওয়া যাবে না কিন্তু।ভারী খাবার বলতে অতিরিক্ত খাবার।
বেশি বেশি পানি পান করতে হবে
ভ্রমনে যাওয়ার সময় অতিরিক্ত বমির জন্য শরীর থেকে অনেক পানি বের হয়ে যায় ফলে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। এ অবস্থায় বেশি বেশি পানি পান করতে হবে।আপনি যত বেশি পানি পান করবেন আপনার মাথা ব্যথা ও বমি বমি ভাব তত কমতে থাকবে। আপনি নিশ্চই জানেন যে একটি শরীরে পানির উপকারিতা কত বেশি ,তিনভাগের মধ্যে দুই ভাগই প্রায় মানব শরীর পানি দিয়ে গঠিত।তাই পানির শরীরের জন্য অপরিহার্য।

স্যালাইন পানি পান করতে হবে
ভ্রমণে অতিরিক্ত বমি হলে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয় এ অবস্থায় সবচেয়ে ভালো হবে যদি আপনি স্যালাইন পানি পান করেন। কারণ শুধু পানির চেয়ে স্যালাইন পানি অনেক বেশি উপকারী।স্যালাইনে রয়েছে হাজারও পুষ্টিকর ও ভিটামিন উপাদান যা শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করে।এইজন্য বাস অথবা ট্রেন ভ্রমণের আগে ব্যাগের স্যালাইনের প্যাকেট ও পানির বোতল নিতে ভুলবেন না।

আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে মোশন সিকনেস দূর করার উপায় কি কি। আপনি যদি উপরোক্ত এ নিয়মগুলো মেনে চলেন তাহলে আপনি নিশ্চিন্তে এবং অনায়াসেই যেকোনো জায়গায় বাস অথবা ট্রেন ভ্রমন করতে পারবেন। আচ্ছা অনেকক্ষণ থেকেই আমরা মোশন সিকনেস নিয়ে কথা বলছি কিন্তু কেনো হয় মোশন সিকনেস।মোশন সিকনেস কারণ গুলো জানতে নিচে দেখুন

মোশন সিকনেস কারণ

মোশন সিকনেস যে শুধুমাত্র একটি কারণে হয় এমনটা কিন্তু নয় মোশন সিকনেস বিভিন্ন কারণে হতে পারে। আমরা যখন বাসের দীর্ঘ সময় যাবত একইভাবে বসে থাকি তখন আমাদের এমন মোশন সিকনেস দেখা দিতে পারে কিংবা বাসের ঝাঁকুনির কারণে শরীর ভারসাম্য হারায় ফলে মোশন সিকনেস দেখা দেয় অনেক সময় বাসের তীব্র গন্ধের কারণেও এমন মোশন সিকনেস দেখা দিতে পারে

মোশন সিকনেস মানে হল হঠাৎ মাথার চক্কর দেওয়া অথবা মাথা ঘোরা এবং সাথে বমি বমি ভাব। বিশেষ করে যখন আপনি বাসের লাস্ট অথবা শেষ সিটে বসবেন তখন মোশন সিকনেসের ভাব বেশি দেখা দেয় কারণ বাসের শেষ সিটে বসলে বাসের ঝাঁকুনি টা বেশি হয় এবং বাসের গন্ধটাও অনেক তীব্র হয় এতে মোশন সিকনেশের হার আর ৫০% বেড়ে যায়।

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে মোশন সিকনেস এর কারণ কি এবং কেন হয় এই সমস্যা। চলুন তাহলে এবার আমরা জেনে আসি গাড়িতে বমি না করার ওষুধ সম্পর্কে, অর্থাৎ কোন ওষুধ সেবন করলে গাড়িতে বমি হবে না।

গাড়িতে বমি না করার ঔষধ

আপনিও কি মোশন সিকনেসের জ্বালায় অতিষ্ঠ? গাড়িতে উঠলেই বমি আসে আর মাথা ঘোরায়? এজন্য দূরে কোথাও ভ্রমণ করতে পারছেন না? তাহলে আজকের এই পোস্টে জেনে নিন গাড়িতে বমি না করার ওষুধ গুলো সম্পর্কে কোন ওষুধ গুলো খেলে গাড়িতে বমি হবে না এবং মাথা ঘোরাবে না।ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চই বুঝতে পেরেছেন যে গাড়িতে উঠলে মাথা কেন ঘোরায় এবং মোশন সিকনেস এর কারণ কি।
এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি গাড়িতে বমি না করার ঔষধ গুলো কি কি
ঔষধ ১
এই ট্যাবলেটটি সম্পন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া আপনার বমি বমি ভাব কে দূর করবে। এই ট্যাবলেটটি সেবন করার পরে বাসে উঠলে আর বমি হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই। আপনি নিশ্চিন্তে এই ওষুধটি সেবন করতে পারেন। বমি বমি ভাব থেকে রক্ষা পাওয়ার ওষুধ তো অনেক আছে তবে আমার মতে এই ওষুধটি সবচেয়ে ভালো হবে যার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে গাড়িতে উঠলে কোন ঔষধ খেলে আর বমি হবে না। আশা করছি আপনি গাড়িতে চড়ে বমি কেন হয় গাড়িতে বমি হলে করনীয় কি এবং মোশন সিকনেস চিকিৎসা ও দূর করার উপায় সম্পর্কে আমরা খুঁটিনাটি আপনাকে বুঝাতে পেরেছি।

লেখকের শেষ কথা

এই পোস্টে আমরা আলোচনা করলাম মোশন সিকনেস দূর করার উপায় ও গাড়িতে বমি না করার ঔষধ গুলো নিয়ে আশা করছি আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার পর আপনি নিশ্চিন্তে এখন থেকে বাস ও ট্রেন জার্নি করতে পারবেন। বাস ও ট্রেন ভ্রমণের মজা অনেক কিন্তু যদি সমস্যা থাকে মোশন সিকনেস এর তাহলে তো আর কথাই নেই পুরো মজাটা সেখানে মাটি হয়ে যায়। তাই আশা করছি এখন থেকে আপনি নিশ্চিন্তে বাস কিংবা ট্রেন ভ্রমন করতে পারবেন।আজকের এই পোস্টটি দ্বারা যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন অথবা আজকের এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে প্রিয় পাঠক অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন আর হ্যাঁ এমন পোস্ট যদি আপনি আরো পেতে চান তাহলে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url