বেল পাতার উপকারিতা
প্রিয় পাঠক আপনি কি খালিপেটে বেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য আজকের এই পোস্টটা আমরা আলোচনা করবো খালি পেটে বেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
বেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার যা আপনার হজম শক্তিকে উন্নত করে এবং সমস্ত রোগ বালাই দুর করে। আপনি যদি ক্যান্সার ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে রোজ খালি পেটে বেল খাবেন। খালি পেটে বেলের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন।আজকের এই পোস্টে খালি পেটে বেল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
বেল খাওয়ার উপকারিতা
বেল যেমন খেতে সুস্বাদু তেমনি হাজারো পুষ্টিগুণ ও ভিটামিনের ভরপুর। বেলের উপকারিতা এক দুই লাইনে বলে শেষ করা যাবেনা বেলের হাজার উপকারীতা রয়েছে।উপকারের পাশাপাশি এক গ্লাস বেলের শরবত সারাদিনের ধকল ও কাজের চাপ নিমিষেই দূর করে দেয়।এছাড়াও বেল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ,দীর্ঘমেয়াদী আমাশয় ও ডায়রিয়া দুর হয় এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।আপনি যদি বেলের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে জানতে চান তাহলে নিচে দেখুন বেলের পুষ্টি উপাদান
বেলের পুষ্টি উপাদান
বেলে রয়েছে হাজারো পুষ্টিগুণ ও ভেষজ উপাদান।বিজ্ঞানীরা বলেন বেলের চেয়ে বেশি পুষ্টিকর ফল আর কিছুই নেই।বেলে রয়েছে আমিষ (২.৫০গ্রাম),পানি (৬০গ্রাম),শর্করা (৩০গ্রাম),স্নেহ পদার্থ (০.২-০.৩০গ্রাম), ক্যারোটিন (৫৫মিলিগ্রাম), রিবোফ্ল্যাবিন (১.১৮ মিলিগ্রাম) নিয়ামিন (১.১মিলিগ্রাম), থায়ামিন (০.১৩মিলিগ্রাম), টারটারিক অ্যাসিড (২.১১ মিলিগ্রাম) ও এসকর্বিক অ্যাসিড (৮-৬০ মিলিগ্রাম)
আরো পড়ুন : গুগল এডসেন্স থেকে প্রতিমাসে ৫০০০০ টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত
এই উপাদান গুলো দেহের বিভিন্ন রোগবালাই দূর করে।আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্য , আমাশয় অথবা ডায়াবেটিস থাকে তাহলে নিয়মিত সকালে উঠে এক গ্লাস শরবত খেয়ে নেবেন এতে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য ডায়াবেটিস এবং আমাশয় খুব দ্রুত সেরে যাবে।বেল শরীরের হজম শক্তিকে অনেক বেশি উন্নত করে। পেটের যাবতীয় সমস্যার সমাধান হলো বেল। আপনি যদি বেলের উপকারিতা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে নিচে দেখুন
বেলের উপকারিতা
বেল অনেক পরিচিত এবং সুস্বাদু একটি ফল পাশাপাশি এতে রয়েছে হাজারো উপকারিতা। আপনি শুধুমাত্র বেল খেয়ে আপনার শরীরের সম্পন্ন রোগবালাই দূর করতে পারবেন।আমার কথা শুনে খুব অবাক করছেন তো? প্রিয় পাঠক , বেল আমরা মাঝে মাঝেই খেয়ে থাকি।বেলের সাথে আমরা সকলেই পরিচিতি।কিন্তু বেলের যে কত উপকারিতা আমরা সেই বিষয়ে কিন্তু কিছুই জানি না।বেল হাজারো পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ভেষজ উপাদান
যা আমাদের শরীরের রোগ বালাই দূর করে এবং শরীরকে সুস্থ ও সক্রিয় রাখে।পাকা বেল খাওয়ার উপকারিতা অনেক।পাকা বেল খাওয়ার উপকারিতা কি কি চলুন জেনে আসি;
বেল ব্লাড প্রেসার কমাতে সাহায্য করে
বেল শরীরের প্রদাহ কমায় ফলে শরীরে ব্লাড প্রেসার ও ডায়াবেটিসের আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়।আর যদি আপনার আগে থেকে ব্লাড প্রেসার থাকে তাহলে নিয়মিত এক গ্লাস বেলের সরবত খাবেন তাহলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। বেল শুধু আপনার ব্লাড প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণে রাখেনা আপনার রক্তের মেটাবলিজমের হাড়কে বৃদ্ধি করে এবং শরীরে এনার্জি যোগায়।
বেল অ্যাথ্রাইটিস এর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে
আপনার যদি অ্যাথ্রাইটিস এর সমস্যা থাকে অর্থাৎ পায়ের গীরাই গীরাই অথবা জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা থাকে তাহলে নিয়মিত এক গ্লাস বেলের শরবত খাবেন এতে আপনি খুব দ্রুত অ্যাথ্রাইটিস থেকে রেহাই পাবেন।
বেল আমাশয় দুর করে / আমাশয়ে বেলের উপকারিতা
পেটের সমস্যায় ভুগছেন?ওষুধ খেয়েও আমাশয় দুর হচ্ছে না? তাহলে আজ থেকে সকালে উঠে খালি পেটে বেলের সরবত খাবেন। আমাশয়ে বেলের উপকারিতা অনেক। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আপনার পেট সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে।স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ফলে পেটে সমস্যা দেখা দেয় যা পরবর্তী সময়ে আমাশয় হয়।এমন অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত বেল খাবেন।আমাশয়ে বেলের উপকারিতা অনেক।
বেল শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি করে
বেল শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি করে আপনার শরীর যদি দুর্বল হয় তাহলে নিয়মিত এক গ্লাস বেলের সরবত খাবেন।বেলের প্রচুর ক্যালোরি পাওয়া যায় যা শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি করে। এছাড়াও বেলে রয়েছে ভিটামিন সি যা ব্লাড প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং আপনার ত্বককে সুন্দর করে।
বেল ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
ডায়াবেটিসের সমস্যা নিয়ে চিন্তিত? তাহলে আজ থেকে প্রতিদিন সকালে বেলের শরবত খান।বেল রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যা আপনার ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি আপনার শরীরের দুর্বলতা দূর করে এবং এনার্জি বৃদ্ধি করে।
বেল আলসার থেকে রেহাই দেয়
আপনার কি আলসারের সমস্যা রয়েছে? তাহলে আজ থেকে বেলের শরবত অথবা বেলের চাটনি খাওয়া শুরু করুন।কারণ বেল রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা পেট সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যা দূর করে এবং আপনার হজম শক্তিকে আরও বেশি উন্নত করে তোলে ফলে আলসারের সমস্যা থেকে খুব দ্রুত রেহাই পাওয়া সম্ভব।
বেল ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
বেলে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি প্রলেফিরেটিভ ও অ্যান্টি মুটাজেন যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।আপনি যদি ক্যান্সার নামক কঠিন ব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে নিয়মিত বেলের শরবত খাবেন।
বেল পেটের সমস্ত সমস্যা দুর করে
পেটের সমস্ত সমস্যার একটি সমাধান সেটি হল বেল।বেলে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, শর্করা ,আমিষ, স্নেহ পদার্থ ও রিবোফ্ল্যাবিন।আপনার যদি পেটে গ্যাস অথবা হজম শক্তির সমস্যা থাকে তাহলে নিয়মিত বেল খাবেন এতে খুব দ্রুত আপনি রেহাই পাবেন।বেল পেট সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যার জন্য অনেক বেশি উপকারী।বেল এত সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি এতে এত পুষ্টিগুন ও ভিটামিন রয়েছে যা আপনার শরীরের সমস্ত রোগবালাই দূর করতে পারে এই জন্য আজ থেকে নিয়মিত এক গ্লাস শরবত কিংবা বেলের চাটনি খেয়ে নেবেন।
আশা করছি আপনি বেলের উপকারিতা সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। এবার চলুন জেনে আসি খালি পেটে বেল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে
খালি পেটে বেল খাওয়ার উপকারিতা
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন বেল খেলে আলসার ,ক্যান্সার, ডায়াবেটিস উচ্চ রক্তচাপ ও এথরাইটিস এর মতো কঠিন রোগ গুলো দূর করা সম্ভব। সঠিক ও স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে নিয়মিত বেল খাবেন গ্রীষ্মকালের ফল বেল।বেল বাজারে সল্প দামে পাওয়া যায়। দাম কম হওয়ার পাশাপাশি বেলে হাজারও ঔষধি গুনাগুন রয়েছে।আপনি যদি সকালে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস শরবত খান
তাহলে সারাদিন কাজ কর্মে মন বসবে এবং এটা অনেক এনার্জি আসবে। তবে এখন যেহুতু শীতকাল যাদের ঠান্ডার সমস্যা আছে তারা বেল থেকে এড়িয়ে চলুন।কারণ বেল ঠান্ডা খাবার এটি এই শীতকালে খাওয়ার ফলে আপনার ঠান্ডা আরো বেড়ে যেতে পারে। তাহলে আর দেরি না করে আমরা জেনে আসি খালি পেটে বেল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
1. বিজ্ঞানীরা বলেন বেল ভরা পেটে বেল খাওয়ার চেয়ে খালি পেটে বেল খাওয়ার উপকারিতা বেশি।সকালে উঠে খালি পেটে বেল খেলে সারাদিন কাজ কর্মে মন বসে এবং কাজে অনেক এনার্জি পাওয়া যায় এজন্য চেষ্টা করুন সকালে উঠে খালি পেটে বেল খাওয়ার।
2. আপনি যদি সকালে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস শরবত খান তাহলে আপনার খুব দ্রুত ডায়রিয়া সেরে যাবে।সকালে উঠে বেলের শরবত খেলে সেটি দ্রুত শরীরে কাজে লাগে এবং শরীর কর্মক্ষম হয়।
3. খালি খাওয়ার আরেকটি উপকারিতা হলো বেল রক্তকে পরিশোধন করে। সকালে উঠে খালি পেটে বেল খেলে শরীর ডেটক্স হয় ফলে লিভারের কার্যক্ষমতা আরো বেশি উন্নত হয়।
বেলের পরিপূর্ণ উপকার পেতে চান ? তাহলে চেষ্টা করবেন খালি পেটে বেল খাওয়ার। কারণ খালি পেটে বেল খাওয়ার উপকারিতা অনেক। আশা করছি আপনি খালি পেটে বেল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন এবার চলুন আমরা জেনে নেই কাঁচা বেল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
কাঁচা বেল খাওয়ার নিয়ম
বেল কাঁচা হক বা পাকা দুটিই অনেক উপকারিতা।কাঁচা বেলে ভিটামিন সি পাওয়া যায় যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরে এনার্জি যোগায় উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন বেল হাজারো পুষ্টিগুণে ভরপুর বেল খেলে আমাদের বিভিন্ন রোগ বালাই দূর হয় তবে বেলের এইসব উপকারিতা পাওয়া সম্ভব তখনই যখন আপনি বেল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানবেন বেল খাওয়ার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে
যে নিয়মে খেলে আপনি উপকার পাবেন।আপনি যদি বেল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে নিচে দেখুন আমরা কাঁচা বেল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
কাঁচা বেল খাওয়ার নিয়ম জানেন?
নিয়ম ১.কাঁচা বেল পানিতে সিদ্ধ করলে পাকা বেলের মত সুগন্ধি পাওয়া যায়।কাঁচা বেল খাওয়ার অন্যতম নিয়ম বেলের চাটনি বানিয়ে খেতে পারবেন। কাঁচা বেলের চাটনি বানানোর জন্য প্রথমে বেলকে ভালো ভাবে সিদ্ধ করে আস গুলো বের নিবেন তারপর তার মধ্যে পেঁয়াজ কুচি ,মরিচ কুচি ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে খেয়ে নিবেন।এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি দেহের জন্য উপকারী।
নিয়ম ২. কাঁচা বেলের সরবত বানিয়েও খাওয়া যায়।কাঁচা বেল সিদ্ধ করে তার মধ্যে গরম পানি,পরিমাণ মতো চিনি ও একটু লবণ দিয়ে শরবত বানিয়ে ফেলবেন।
নিয়ম ৩.আমার মতে বেল খালি মুখে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়।বেল যখন সিদ্ধ করা হয় তখন তার মধ্যে থেকে অনেক পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায় তাই পরিপূর্ণ উপকার তখনই পাওয়া যাবে যখন আপনি বেল খালি মুখে খাবেন।
আশা করছি আপনি কাঁচা বেল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।বাজারে সবসময় পাকা বেল পাওয়া যায় না।এইজন্য অনেকে বাসায় কাঁচা বেল নিয়ে সংরক্ষণ করেন বেল পাকানোর জন্য।আপনি চাইলে কাঁচা বেল উপরোক্ত উপায় গুলোর মাধ্যমেও খেতে পারবেন।বেল কাঁচা হক বা পাকা দুটির উপকারিতা অনেক বেশি।এবার আসুন আমরা জেনে নেই বেল খাওয়ার সঠিক সময় গুলো
বেল খাওয়ার সঠিক সময়
বেল খাওয়ার সঠিক সময় হল দুপুরে অথবা সকালে এই দুইটি সময় বেল খাওয়ার জন্য অনেক বেশি উপযুক্ত। সকালে খালি পেটে বেল খেলে বেলের পরিপূর্ণ উপকার পাওয়া সম্ভব। অথবা আপনি চাইলে দুপুরে ভরা পেটেও বেল খেতে পারেন এই দুইটার সময় বেল খাওয়ার জন্য অনেক উপযুক্ত। সকালে বেল খেলে সারাদিনে কাজে মন বসে এবং শরীরে এনার্জি যোগায় আর দুপুরে ভরা পেটে বেল খেলে সারাদিন কাজের ধকল দূর হয়।
এইজন্য এই দুইটা সময় বেল খাওয়ার জন্য উপযুক্ত। রাতে ঘুমানোর আগে কখনোই বেল খাবেন না বেল যদিও অনেক উপকারী তবুও এটি ঠান্ডা উপাদান। রাতে বেল খেলে বুকে কফ জমতে পারে কিংবা ঠান্ডা লেগে যেতে পারে এই জন্য রাতে ঘুমানোর আগে কখনোই বেল খাবেন না চেষ্টা করবেন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে বেল খাওয়ার অথবা দুপুরে ভরা পেটে।আশা করছি আপনি বেল খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন এবার চলুন আমরা জেনে আসি বেলশুট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
বেলশুট খাওয়ার নিয়ম
বেলের কচি টুকরোকে রৌদ্রে কুটমুট করে শুকিয়ে তাকে বলা হয় বেলশুট। বেলশুটে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ভিটামিন এ ক্যালসিয়াম ফসফরাস ও পটাশিয়াম পাওয়া যায় যা ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী এটি ত্বকের সুন্দর ও চকচকে করে।ত্বকের জন্য উপকারী হওয়ার পাশাপাশি আপনার শরীরের জন্যও অনেক বেশি উপকারী এটি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করে পাশাপাশি হাড় ক্ষয় রোধ করে।
তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করবো বেলশুট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনি যদি বেলশুট খাওয়ার নিয়ম না জেনে থাকেন তাহলে নিচে একবার দেখে নিন
বেলশুট খাওয়ার নিয়ম কি কি?
বেলশুট খাওয়ার কাছে নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে তা হল বেলশুট হল বেলের কচি টুকরো কে রৌদ্রে শুকনো। এটি রোদে শুকিয়ে গুড়ো আপনি সংরক্ষণ করতে পারবেন। বেল তো সবসময় বাজারে পাওয়া যায় না তা আপনি চাইলে এটি গুড়া করে সংরক্ষণ করতে পারবেন তারপর ৩-৪ চা চামচ গুড়োর মধ্যে হালকা গরম পানি দিয়ে শরবত বানিয়ে খেতে হবে।স্বাদ বৃদ্ধির জন্য আপনি চাইলে এর মধ্যে এক থেকে দুইটা চামচ মধু মিশাতে পারেন।
বেলে যেমন হাজার গুনাগুন রয়েছে তেমনি বেলশুট এ অনেক ভিটামিন রয়েছে।বেলশুট খেলে পাইলস, কোষ্ঠকাঠিন্য ,কৃমি ,জন্ডিস, সর্দি ও হৃদরোগ দূর হয়। পাশাপাশি বেল স্যুট খেলে ত্বকে যাবতীয় সমস্যা দূর হয় যেমন ব্রণ ও ব্রণ জাতীয় কালচে দাগ, এলার্জি ,রেশ, হোয়াইহেডস,ব্ল্যাকহেডস।আশা করছি আপনি বেলশুট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
লেখকের শেষ কথা
গ্রীষ্মকালের এই ফলটি যেমন সুস্বাদু তেমনি হাজারো পুষ্টিগুণ ও ঔষধি গুণে ভরপুর। বাজারে খুব স্বল্পমূল্যে পাওয়া যায় তাই আপনি চাইলে নিয়মিত সকালে উঠে খালি পেটে বেল খেতে পারেন এবং আপনার বাচ্চাদের খাওয়াতে পারেন এটির উপকারিতা সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। বেলের উপকারিতা এক দুই লাইনে বলা সম্ভব নয় বেলে রয়েছে হাজারও ঔষধি গুন যা আপনার সমস্ত রোগবালাই দূর করতে পারে। আজকের এই পোস্টে আলোচনা করলাম বেলশুট খাওয়ার নিয়ম ,বেল খাওয়ার সঠিক সময়, বেল খাওয়ার নিয়ম,আমাশয়ে বেলের উপকারিতা, খালি পেটে বেল খাওয়ার উপকারিতা ও কাঁচা বেল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। আশা করছি আজকের এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন আর হ্যাঁ এমন পোস্ট আরো পেতে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।
ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url