ফাইবারে কোন ধরনের কাজ বেশি পাওয়া যায় ?

দৈনিক ১০০০ টাকা ইনকাম অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে ফাইবারে কোন ধরনের কাজ বেশি পাওয়া যায় তাহলে আপনাকে বলি আর্টিকেল রাইটিং , ভিডিও এডিটিং ট্রান্সলেশন ও এসইও অপটিমাইজেশন এর কাজগুলো ফাইবারে বেশি পাওয়া যায়।আপনি কি ফাইবার থেকে ইনকাম করতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন আজ এই পোস্টে fiverr ফাইবার কি? এবং ফাইবারে কোন ধরনের কাজ বেশি পাওয়া যায় সেই সমস্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

ফাইবারে কোন ধরনের কাজ বেশি পাওয়া যায় - ভূমিকা

একটি বহু জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস যেখানে ফ্রিল্যান্সাররা অনলাইনে কাজ করে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন।ফাইবারে কাজ করার আগে জানতে হবে যে ফাইবারে কোন ধরনের কাজ বেশি পাওয়া যায় অর্থাৎ কোন কাজগুলো চাহিদা বেশি তাহলে আপনাকে বলি ফাইবারে প্রুফ রিডিং লোগো ডিজাইন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এই কাজগুলোর চাহিদা অনেক বেশি।এই কাজগুলো সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে নিচে দেখুন।

ফাইবার কি?

ফ্রিল্যান্সিং জগতে বৃহত্তম প্লাটফর্ম হলো ফাইবার Fiverr যেখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া যায় যেমন: আর্টিকেল রাইটিং, ভিডিও এডিটিং, ট্রান্সলেশন, এসইও অপটিমাইজেশন, টি-শার্ট ডিজাইন,
বুক কভার ডিজাইন , ট্রান্সক্রিপ্ট, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং, প্রোগ্রামিং।এই মার্কেটপ্লেসটি ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত বা শুরু হয়েছিল।এটি মূলত একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হিসেবে পরিচিত।
ফ্রিল্যান্সিং জগতের প্রত্যেকেই এই মার্কেটপ্লেসটির সাথে পরিচিত।যারা নতুন ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন তাদের জন্য এই ওয়েবসাইটটি সেরা কারন এই ওয়েবসাইটে খুব সহজে ও দ্রুত কাজ পাওয়া যায়

এবং আপনার ইচ্ছা অনুসারে এই ওয়েবসাইটে মূল্য এবং সময়সূচী নির্ধারণ করতে পারবেন।হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে এই ফাইবার থেকে।
ফাইবারের Fiverr বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া যায়।আপনি চাইলে বিভিন্ন উপায়ে কাজ করে ফাইবার থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।ফাইবারে হাজার হাজার ক্লায়েন্ট রয়েছে

যারা নতুন ফ্রিল্যান্সার নিয়োগের জন্য খুঁজছেন।আপনিও এই ওয়েবসাইটে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে পারবেন।ফাইবারে কাজ পাওয়ার জন্য সেভাবে কোন বড় বড় দক্ষতার প্রয়োজন নেই।
আপনি শুরুতে ছোটখাটো কাজের মাধ্যমে ফাইবারে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।তবে এই মার্কেটপ্লেসে টিকে থাকার জন্য আপনাকে আরও অনেক স্কিল নিজের মধ্যে ডেভলপ করতে হবে।

এবার বলি ফাইবারে কাজ কিভাবে পাওয়া যায়, ফাইবারে কাজ পাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি সুন্দরভাবে প্রোফাইল তৈরি করতে হবে তারপর একটি গিগ বানাতে হবে।

গিগ মানে মূলত ক্লাইন্টকে অফার করা।তাই গিগ অনেক আকর্ষণীয় ভাবে তৈরি করতে হবে।সেই গীগে আপনি কোন সার্ভিস দিবেন সেই সার্ভিসের সংক্ষিপ্ত বিবরণ এবং মূল্য সহ সব কিছু তুলে ধরতে হবে।

তারপর আপনার অফারটি যদি কোনো ক্লায়েন্টের পছন্দ হয় তাহলে সে আপনাকে তার কাজের জন্য বেছে নিবে। এভাবেই শুরু হবে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার।

অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের তুলনায় ফাইবারে খুব দ্রুত এবং সহজে কাজ পাওয়া যায় এই জন্য যার নতুন ফ্রিল্যান্সিং করছেন অথবা শিখছেন তারা প্রথমে ফাইবারে কাজ করতে চান।

ফাইবারে কোন ধরনের কাজ বেশি পাওয়া যায় ?

ফাইবার Fiverr ফ্রিল্যান্সিং জগতে বৃহত্তম একটি প্লাটফর্ম হিসেবে পরিচিত।এই প্লাটফর্মে বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া যায়। হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা ফাইবারে কাজ করে
লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন।বর্তমান সময় প্রযুক্তি এতো উন্নত হয়েছে যে আপনি ঘরে বসে ইনকাম করার সুযোগ পাচ্ছেন হাতে থাকা একটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আপনি ফাইবারে কাজ করতে পারবেন।উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে ফাইবার কি এবার আপনাকে বলবো ফাইবারে কোন ধরনের কাজগুলো বেশি পাওয়া যায়।
প্রুফরিডিং এবং এডিটিং
প্রুফ রিডিং এডিটিং এর জন্য ফাইবার একটি দুর্দান্ত মার্কেটপ্লেস। আপনার যদি ব্যাকরণ,বানান এবং পানচুয়েশন সম্পর্কে ভালো দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি এই কাজটি ফাইবারে করতে পারেন।

আপনি যদি আরো বেশি কলেইন্টকে আকৃষ্ট করতে চান মতাহলে আপনি যা করতে পারেন তা হলো আপনার দক্ষতা প্রচার করার জন্য আপনার কাজের একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা 

অথবা নমুনা সবার সামনে তুলে ধরতে হবে। এবার যদি আমরা মূল্যের কথা বলি তাহলে আপনার অভিজ্ঞতা যত বেশি হবে আপনি তত বেশি টাকা চার্জ করতে পারবেন।আপনার কাজের উপর ভিত্তি করে আপনার ইনকাম হবে।

সাধারণত প্রুফরিডারদের ১০০ শব্দের জন্য ফাইবারের ০.৩৩ডলার থেকে ১ডলার দেওয়া হয়। অর্থাৎ আপনি যদি ১০০০০ শব্দ লেখেন তাহলে আপনাকে ৩৩ থেকে ১০০ ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
লোগো ডিজাইন (Logo Design)
বিভিন্ন কোম্পানির রয়েছে যারা তাদের ব্যবসা আরো উন্নত করার জন্য আকর্ষণীয় ও সুন্দর লোগো পেতে ফাইবার ব্যবহার করে।এইজন্য ফাইবারে Fiverr লোগো ডিজাইনার চাহিদা অনেক বেশি।

লোগো ডিজাইন করার জন্য বিশেষ কোনো দক্ষতার প্রয়োজন নেই।আপনার শুধু সৃজনশীলতা লাগবে নতুন নতুন সুন্দর লোগো তৈরি করার জন্য সৃজনশীল হতে হবে এবং ফটোশপ ব্যবহার করা জানতে হবে।

আপনি চাইলে ভালো করে ইনস্টিটিউট থেকে লোগো ডিজাইন এর কোর্স করতে পারেন।এতে আপনার লোগো ডিজাইন করার দক্ষতা আরও বাড়বে তারপর আপনি ফাইবারে

লোগো ডিজাইন করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফাইবারের লোগো কেনার জন্য ক্লায়েন্টরা প্রচুর পরিমাণে অর্থ ব্যয় করে থাকে।ফাইবারে প্রত্যেকটি লোগোর জন্য ৮০ থেকে ১০০ ডলার দেওয়া হয়।

তবে একজন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি নিশ্চই ৮০ থেকে ১০০ ডলারে লোগো তৈরি করবে না। এইজন্য আপনাকে বলি অনলাইনে সব সময় ইনকামের হার আপনার অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে হবে অর্থাৎ আপনার অভিজ্ঞতা অথবা দক্ষতা যত বেশি হবে আপনার ইনকাম তত বেশি হবে।

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স(Artificial intelligence)

ফাইবারে হাজার হাজার ক্লায়েন্ট রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সার নিয়োগের জন্য খুঁজছেন।ফাইবারে প্রত্যেকটা কাজের অনেক চাহিদা।আপনি ফাইবারে কাজ করতে চাচ্ছেন তাহলে আপনাকে বলি ফাইভের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স(AI) কাজটির বর্তমান সময়ে অনেক চাহিদা রয়েছে।

ফাইবারের উচ্চ চাহিদা সম্পন্নের মধ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স(AI) একটি। প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করে তোলা কেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI)বলে।তাই একজন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনিও এই ফাইবারে অংশগ্রহণ করতে পারেন।নিচে কিছু (AI) পরিষেবা দেওয়া হলো;

চ্যাট জিপিটি অপারেটর (Chat GPT Operator)
আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্ট চালিত পরিষেবা গুলোর সাথে ক্লায়েন্টদের সংযুক্ত করাকে চ্যাট জিপিটি অপারেটর বলে।
ফেক্ট চেকিং (Fact Checking)
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স চালিত সঠিক ফ্যাক্ট-চেকিং পরিষেবা দেওয়াই হলো ফ্যাক্ট চেকিং।
আই কনটেন্ট এডিটিং ( I Content Editing)
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স চালিত এডিটিং দিয়ে কনটেন্ট এর মান কে আরো উন্নত করাই হলো আই কন্টেন্ট এডিটিং।
এআই ভিডিও তৈরি (AI Vido Creation)
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স চালিত ভিডিও তৈরির পরিষেবা দেওয়াকেই এআই ভিডিও ক্রিয়েশন বলে।
এআই চ্যাটবট ডেভলমেন্ট (AI Chatbot Development)
গ্রাহকদের ব্যস্ততা আরও বাড়ানোর জন্য যে চ্যাটবট তৈরি করা হয় তাকেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স চ্যাটবট ডেভেলপমেন্ট বলে।
বুক কভার ডিজাইন (Book Cover Design)
ফাইবারে কাজ করার জন্য আপনার প্রয়োজন শুধু ভালো দক্ষতার।ভালো দক্ষতা থাকলে আপনি খুব সহজেই ফাইবারে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

বুক কভার ডিজাইন করার জন্য ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইন এর দক্ষতা থাকা লাগবে।আপনার যদি ভালো গ্রাফিক ডিজাইনের দক্ষতা থাকে এবং আপনি যদি দারুন ভাবে বুক কভার

ডিজাইন করতে পারেন তাহলে আপনি ফাইবারে সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন।ফাইভারে হাজার হাজার ক্লায়েন্ট রয়েছে যারা বুক কভার ডিজাইন করিয়ে ১০০ থেকে ২২০ ডলার

পর্যন্ত দিয়ে থাকে। বুক কভার ডিজাইন করার জন্য আপনাকে ফটোশপ সম্পর্কে জানতে হবে।ফাইবারে বুক কভার ডিজাইন করে ভালো টাকা আয় করার সুযোগ রয়েছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing)
ডিজিটাল মার্কেটিং এর শব্দটি নিশ্চয়ই আপনার অচেনা নয়।বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং মানেই হল সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েব এপ্লিকেশন ইমেইল এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন

ইত্যাদির মাধ্যমে তাদের পণ্য অথবা সেবা গুলোকে প্রচার করা।বর্তমানে আমরা সবাই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি আমরা যখনই ফেসবুক অথবা ইউটিউব ওপেন করি তখনই আমরা কোনো না কোনো পণ্য

অথবা সেবার বিজ্ঞাপন দেখে থাকি আসলে এগুলোকে বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং।আপনি চাইলে এভাবে ফাইবারে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য অথবা সেবা গুলোকে প্রচার করে

টাকা ইনকাম করতে পারবেন।বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা এত বেশি বেড়ে গেছে যে বাংলাদেশে হাজার হাজার বেকার মানুষ ডিজিটাল মার্কেটিং কে নিজের একক পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং করে প্রচুর টাকা ইনকাম করা সম্ভব প্রতিবছর এই কাজের চাহিদা বেড়েই চলেছে।আপনি চাইলে একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে ফাইবারে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।
ভিডিও এডিটিং (Video Editing)
ফাইবারের সবচেয়ে লাভজনক কাজগুলোর মধ্যে একটি হলো ভিডিও এডিটিং।ভিডিও এডিটিং করে প্রচুর পরিমানে টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

কেননা মানুষ বিষয়বস্তু পড়ার চেয়ে ভিডিও দেখার দিকে নজর বেশি দেয়।তবে ভিডিও এডিটিং করার জন্য আপনাকে সৃজনশীল হতে হবে,বিভিন্ন ধরনের অ্যানিমেশন অথবা

ভূমিকা তৈরি করতে হবে, ভিডিওতে দারুন সব গ্রাফিক্স ব্যবহার করতে হবে, ভয়েস কার্ড ব্যবহার করতে হবে তাহলে আপনার ভিডিওটি আরো বেশি আকর্ষণীয় হবে।

ফাইবারে প্রত্যেকটি ভিডিওর জন্য ক্লায়েন্টরা ৫ থেকে ১০ ডলার পর্যন্ত দিয়ে থাকে।ফাইবারে টাকা ইনকাম করার সেরা একটি উপায় হলো ভিডিও তৈরি করা।তাই আপনার

যদি ভিডিও এডিটিং এর ভালো দক্ষতা অথবা অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে আপনি ফাইবারের ভিডিও এডিটিং করে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।

ফাইবারে কোন ধরনের কাজ বেশি পাওয়া যায় - শেষ কথা

আজকের এই পোস্টে ফাইবার কি? এবং ফাইবারে কোন ধরনের কাজ বেশি পাওয়া যায় অর্থাৎ ফাইবারে কোন কাজগুলো চাহিদা অনেক বেশি সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশা করি এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে।ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন আর হ্যাঁ এমন পোস্ট আরো পেতে এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url