রোজা না রাখতে পারলে করনীয় কি? জানুন সত্য হাদীস
আপনি কি জানেন রোজা না রাখতে পারলে করনীয় কি? না জানলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন আমরা আজকের এই পোস্টে রোজা না রাখতে পারলে করণীয় কি এবং রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ কি কি সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। যেহুতু আমরা মুসলিম সেক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেকের এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা উচিত যে রোজা না রাখতে পারলে করণীয় কি।পবিত্র রমজান মাসের রোজা রাখা আমাদের প্রত্যেক মুসলিম ভাই বোনদের উপর ফরজ করা হয়েছে সেক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই রোজা রাখা উচিত তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় কিছু সমস্যার কারণে রোজা রাখতে পারি না এই সময় রোজা না রাখতে পারলে করণীয় কি সেই বিষয়ে জানতে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। রোজা রাখতে না পারলে হাদিস কি বলে? সত্য হাদিস সম্পর্কে জানতে এই পোস্টটি সম্পন্ন করতে থাকুন।
পেজ সূচিপত্র
ভূমিকা
আমরা প্রত্যেকে জানি আগামী ১২ই মার্চ পবিত্র রমজান শুরু হতে চলেছে এবং রমজান মাসে আমাদের প্রত্যেকের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে সেক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেকের উচিত রোজা রাখা। নিশ্চয়ই পবিত্র রমজান মাসে অন্যান্য মাসে তুলনায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং বরকতপূর্ণ একটি মাস রমজান মাসের ফজিলত অনেক। আপনি যদি সৎ উদ্দেশ্যে আল্লাহতালার কাছে এই রমজান মাসে কোন কিছু চান তাহলে আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই আপনার মনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবেন।
যেন এই মাসটিতে উচিত বেশি বেশি রোজা রাখা নামাজ পড়া কোরআন তেলাওয়াত করা এবং সূরা পাঠ করার সাথে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া চাওয়া। আল্লাহ তাআলা এই রমজান পেজ তার কোন বান্দার আশা আকাঙ্ক্ষাকে অপূরণ রাখেন না। এইজন্য রমজান মাসে আমাদেরকে বেশি বেশি সূরা পাঠ করতে হবে এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া চাইতে হবে আর সব সময় তসবিহ তেলাওয়াত করতে হবে। তবে অনেক সময় দেখা যায় আমাদের কিছু সমস্যার কারণে আমরা রমজান মাসেও রোজা রাখতে পারি না।
এই ক্ষেত্রে আমাদের কি করা উচিত? এই বিষয়ে হাদীস কি বলে? বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে শোনা যায় নিজের অজানা করতে পারলে অন্যকে দিয়ে রোজা করিয়ে নেওয়া যায়। এই বিষয়টি কতটুকু যৌক্তিক জানতে এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন। আমরা আজকের এই পোস্টে রোজা না রাখতে পারলে করনীয় কি এবং হাদীস কি বলে সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। নিচে দেখুন রোজা না রাখতে পারলে করনীয় কি।
রোজা না রাখতে পারলে করনীয় কি
কুরআন ও হাদিসের আমাদের প্রত্যেক মুসলিম ভাইবোনদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে সে ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেকের উচিত রোজা রাখা। তবে রোজা না রাখলে যে পাপ হবে ব্যাপারটা কিন্তু এমন নয়। যেহেতু পবিত্র রমজান মাসটি আমাদের মুসলিম ভাই বোনদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সে ক্ষেত্রে আমরা বেশি বেশি আমল করার জন্য চেষ্টা করি প্রত্যেকটা রোজা রাখার এবং সাথে নামাজ পড়ার তারাবি নামাজ পড়ার কুরআন তেলাওয়াত করার সাথে দোয়া পাঠ করি।
এই মাসটির উসিলায় আপনি আপনার পূর্বের সমস্ত পাপ ও গুনাহকে মুছে ফেলতে পারবেন। পরম দয়ালু আল্লাহ তায়ালা এই মাসের উসিলায় আমাদের পূর্বের সমস্ত পাপ ও গুনাহকে মাফ করে দেন। যার কারণে আমরা প্রত্যেকে এই মাসে বেশি বেশি আমল করি। তবে অনেক সময় দেখা যায় অনেকে অসুস্থতা অথবা বাধ্যবাধকতার জন্য রোজা রাখতে পারে না। এক্ষেত্রে কি করণীয়? হাদিসে দেওয়া আছে অনেকের অসুস্থ থাকলে কিংবা বিশেষ কোনো কারণে রোজা রাখতে না পারলে এক্ষেত্রে কোন পাপ হবে না।
তবে এর বদলে আপনি চাইলে ফিদিয়া দিতে পারেন। হাদিসে রয়েছে কোন বিশেষ কারণে যখন আপনি রোজা রাখতে পারবেন না তখন আপনাকে ফিদিয়া দিতে হবে। অর্থাৎ গরিব দুঃখীদের মধ্যে কিছু দান করতে হবে। কিংবা গরিবদের দুখিদের কে খাওয়াতে হবে। অসহায়দেরকে সাহায্য করতে হবে।সূরা আল বাকারা আয়াত ১৮৫ তে বলা রয়েছে নিজেদের বিশেষ কোনো সমস্যার কারণে রোজা রাখতে সক্ষম না হলে গরীব দুঃখী অথবা অসহায়দের কে খাওয়াতে হবে।
আশা করছি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন রোজা না রাখতে পারলে করণীয় কি। বিশেষ কোনো কারণে রোজা রাখে না পারলে ফিদিয়া দিতে হবে। তবে যেহেতু আমাদের প্রত্যেক মুসলিমের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। আমাদের প্রত্যেকের উচিত রোজা রাখা আর যদি আপনি বিশেষ কোনো কারণ রোজা রাখতে না পারেন অর্থাৎ আপনি রোজা রাখতে অক্ষম হোন সেক্ষেত্রে আপনাকে ফিদিয়া দিতে হবে। এবার চলুন আমরা জেনে আসি ফিদিয়া কখন দিতে হবে।
ফিদিয়া কখন দিতে হবে
রমজান মাসে আমাদের প্রত্যেককে রোজা রাখতে হয়। এই বিষয়ে আমরা নিশ্চয়ই প্রত্যেকেই জানি। রমজান মাস টি হাজারো বরকতে ভরপুর একটি মাস নিশ্চয়ই এই মাসটি অন্যান্য মাসের তুলনায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং বরকতময়। ইতি মধ্যেই আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে রমজান মাসে রোজা না রাখতে পারলে এক্ষেত্রে আমাদেরকে ফিদিয়া দিতে হয়। তবে ফিদিয়া কখন দিতে হবে? যদি আপনি অসুস্থ হয়ে থাকেন এক্ষেত্রে যদি ডাক্তার আপনাকে রোজা রাখতে মানা করে।
সেক্ষেত্রে রোজা রাখার কোন প্রয়োজন নেই। রমজান শেষে ফিদিয়া দিয়ে দিলেই হবে। আর যদি আপনি রমজান শেষে সুস্থ হয়ে ওঠেন। অর্থাৎ আপনি রোজা রাখতে সক্ষম হন সে ক্ষেত্রে কাজা রোজা আদায় করতে হবে এক্ষেত্রে ফিদিয়ার প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ যদি কোন সুযোগ থাকে কাজে রোজা আদায় করার সেক্ষেত্রে ফিদিয়ার প্রয়োজন নেই। রমজান শেষে প্রতিটি কাজ রোজা আদায় করে নিলেই হবে আর যদি রমজানের পরবর্তী সময়েও আপনি অসুস্থ থাকেন কিংবা রোযা রাখতে অক্ষম সে ক্ষেত্রে ফিদিয়া দিতে হবে।
প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন ফিদিয়া কখন দিতে হবে ফিদিয়া মূলত রমজানের শেষে দিতে হবে যখন আপনি কাজা রোজা আদায় করতে অক্ষম হবেন তখন ফিদিয়ার প্রয়োজন আর যদি কাজা রোজা আদায় করতে পারেন সে ক্ষেত্রে ফিদিয়ার কোন প্রয়োজন নেই। আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন ফিদিয়া কখন দিতে হবে এবার চলুন আমরা জেনে আসি ফিদিয়া কাকে দিতে হবে
ফিদিয়া কাকে দিতে হবে
ফিদিয়া কাকে দিতে হবে? ফিডিয়া অর্থাৎ দান করা এক্ষেত্রে অবশ্যই গরীব দুঃখী অসহায়দের মধ্যে দান করতে হবে। যারা যাকাতের যোগ্য তাদেরকে ফিদিয়া দান করতে হবে। আমাদের আশেপাশে এমন অনেক গরীব দুঃখী অসহায় মানুষ থাকে যারা যাকাতের যোগ্য তাদেরকে অবশ্যই দান করতে হবে। কিংবা একবেলা তাদেরকে ভালোভাবে পেট ভরে খাওয়াতে হবে। এবং তাদের থেকে বেশি বেশি দোয়া নিতে হবে শুধু ফিদিয়ার জন্যই নয়, বরং চেষ্টা করবেন এই রমজান মাসে আমাদের আশেপাশে যারা অসহায় গরীব দুঃখী রয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়ানোর।
অবশ্যই এই রমজান মাসটি অন্যান্য মাসে তুলনায় অনেক বেশি ফজিলত সম্পন্ন এবং গুরুত্বপূর্ণ এই জন্য এই মাসটিতে আমাদের বেশি বেশি আমল করতে হবে বেশি বেশি দান করতে হবে, সদকা দিতে হবে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া চাইতে হবে। এই মাসটির অনেক ফজিলত আমরা প্রত্যেকেই জানি আগামী ১২ই মার্চ আমাদের পবিত্র রমজান হতে চলেছে সে ক্ষেত্রে প্রত্যেক মুমিনদের জানা উচিত ফিদিয়া সম্পর্কে। আশা করছি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি ফিদিয়া কাকে দিতে হবে সে বিষয় বুঝতে পেরেছেন।
পাঠক আশা করছি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি ক্লিয়ার বুঝতে পেরেছেন যে রোজা রাখতে না পারলে করণীয় কি রোজা রাখতে না পারলে অবশ্যই ফিদইয়া দিতে হবে। তবে হ্যাঁ তখনই ফিরিয়ে দিতে হবে যখন আপনি রোজা রাখতে অক্ষম হবেন অর্থাৎ রমজান মাস শেষে যদি আপনি রোজা রাখতে সক্ষম না হন, সেই ক্ষেত্রে ফিদিয়া দিতে হবে। আর যদি আপনি রমজান শেষে সুস্থ হন কিংবা রোজা রাখতে সক্ষম হন, সে ক্ষেত্রে কাজা রোজা আদায় করতে হবে। আশা করছি উপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন রোজা রাখতে না পারলে করণীয় কি। চলুন আমরা জেনে আসি রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ সম্পর্কে অর্থাৎ রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি।
রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি
উপরে এতক্ষণ আলোচনা করলাম রোজা রাখতে না পারলে করণীয় কি এবার আমরা জানবো রোজা ভাঙার কারণসমূহ সম্পর্কে। যেহেতু আগামী ১২ই মার্চ আমাদের প্রথম রোজা হতে চলেছে সেক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেককে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা উচিত। রোজা সঠিকভাবে পালন করার জন্য রোজা ভঙ্গের কারণ গুলো আমাদেরকে জানতে হবে অনেক সময় আমাদের ছোটখাট কিছু ভুলের কারণে রোজা ভেঙে যেতে পারে। আর যেহেতু রোজা আমাদের উপর ফরজ করা হয়েছে।
সে ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেকটি রোজা সুন্দরভাবে এবং সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। উপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন যে রমজান মাসে আমাদের প্রত্যেকের উচিত রোজা রাখা এবং সালাত আদায় করা। এক্ষেত্রে সঠিকভাবে রোজা সম্পন্ন করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ সম্পর্কে। আপনি যদি জানতে চান রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি তাহলে নিচে দেখুন রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ।
মিথ্যা কথা বলা
রোজা রাতে অবশ্যই কেউ যদি মিথ্যা কথা বলে তাহলে তার রোজা ভেঙে যায়। এক্ষেত্রে আমাদেরকে অবশ্যই রোজা থাকা অবস্থায় মিথ্যা কথা থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়াও শুধু রোজা থাকা অবস্থাতেই নয় বরং সবসময় চেষ্টা করবে মিথ্যা থেকে বিরত থাকার। কারণ মিথ্যা বললে একদিকে যেমন আমাদের গুনাহের কথা বৃদ্ধি পায়। আরেকদিকে আল্লাহ তায়ালা কখনোই আমাদেরকে পছন্দ করেন না। এইজন্য সবসময় চেষ্টা করবেন মিথ্যা কথা থেকে বিরত থাকার।
বর্তমান সময় আমরা নানা কারণে অকারণে, বিভিন্ন কাজে, নিজের স্বার্থে মিথ্যা কথা বলে থাকি। আপনার মধ্যেও যদি এমন কোন বদ অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে আজ থেকে এই অভ্যাসটি বাদ দিন। বিশেষ করে রমজানের দিনে একদম মিথ্যা কথা বলবেন না আর রোজা থাকা অবস্থায় আপনি যদি ভুল করে মিথ্যা কথা বলে থাকেন তাহলে সাথে সাথে আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেবেন কারণ মিথ্যা কথা বললে আপনার সারাদিনের রোজাটি এক নিমিষে নষ্ট হয়ে যাবে।
থু থু খেয়ে ফেলা
আমরা অনেকেই ভুল করে থুতু খেয়ে ফেলি এতেও আমাদের রোজা ভেঙ্গে যেতে পারে। মূলত আমাদের প্রত্যেকের এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত, রোজা ভঙ্গের কারণ গুলো কি কি। কারণ আমাদের ডেইলি লাইফে ছোট ছোট কিছু কারণের জন্য অনেক সময় আমাদের রোজা ভেঙে যায় এবং বুঝতেও পারি না এই জন্য আমাদের প্রত্যেককে জানতে হবে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে। থু থু খেয়ে ফেলার ফলেও যা ভেঙ্গে যেতে পারে অনেক সময় দেখা যায় আমাদের মুখে থুথু আসে।
এবং এটি ভুল করে গিলে ফেলি এতে আমাদের রোজা ভেঙ্গে যাবে এজন্য যখনই আপনার থুথু আসবে সেটি সাথে সাথে ফেলে দিবেন। কখনোই রোজা থাকা অবস্থায় থুথু গিলে ফেলবেন না। এতে রোজা ভেঙে যেতে পারে। আবার অনেক সময় দেখা যায় অনেকে গড়গড়ে কুলি করতে যেয়ে হালকা পানি খেয়ে ফেলে এতেও রোজা ভেঙে যাবে এই জন্য রোজা থাকা অবস্থাতেই গড়গড় করে কুলি করা থেকে বিরত থাকবেন। আপনি যদি রমজান মাসের সম্পূর্ণ বরকত পেতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই এই বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে।
ধূমপান অথবা মদ্যপান
রোজা থাকা অবস্থাতেই কখনো ধূমপান অথবা মদ্যপান করা যাবে না এতে অবশ্যই আমাদের রোজাটি ভেঙ্গে যাবে এমনকি ধূমপান ও মদ্যপান এই দুটি জিনিস আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এইজন্য চেষ্টা করবেন ধূমপান এবং মদ্যপান থেকে বিরত থাকতে। রোজা থাকা অবস্থাতে আপনি যদি ভুল করে একটু মদ্যপান অথবা ধূমপান করেন তাহলে সেই মুহূর্তে আপনার রোজাটি ভেঙ্গে যাবে। এর জন্য চেষ্টা করবেন পুরো রমজান মাসে ধূমপান এবং মদ্যপান থেকে দূরে থাকতে।
বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ ছেলেরাই যা করে সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারি শেষে ধূমপান এবং মদ্যপানে বসে যাই। কিন্তু এতে রোজা হালকা হয়ে যায় এজন্য চেষ্টা করবেন পুরো রমজান মাসই ধূমপান এবং মদ্যপান থেকে দূরে থাকার আর শুধু রমজান মাসের জন্যই নয় চেষ্টা করবেন সবসময় ধূমপান এবং মদ্যপান থেকে এড়িয়ে চলার কারণ এই দুটি জিনিস আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। অতিরিক্ত ধূমপান এবং মদ্যপান করলে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
নাকে অথবা কানে তরল পদার্থ ব্যাবহার করা
নাকে অথবা কানে পদার্থ ব্যবহার করলে রোজা ভেঙে যাবে অনেক সময় দেখা যায় আমাদের নাকে অথবা কানে কিছু সমস্যার কারণে ড্রপ ব্যবহার করতে হয় এক্ষেত্রে আপনি যদি না খেয়ে অথবা কানের রোজা থাকা অবস্থায় এই ড্রপ ব্যবহার করেন তাহলে আপনার রোজা ভেঙ্গে যাবে কারণ আমাদের নাকের এবং কানের নালির সাথে গলার নালীর সম্পর্ক রয়েছে এতে আপনি যখন ড্রপটি আপনার নাকে অথবা কানে ব্যবহার করবেন তখন এটি আপনার গলা পর্যন্ত পৌঁছাবে।
জন্য রোজা থাকা অবস্থায় নাকে অথবা কানে কোন প্রকার এই তরল পদার্থ কিংবা ড্রপ ব্যবহার করা যাবে না চেষ্টা করবেন ইফতারি শেষে অথবা সাহরীর সময় নাকে অথবা কানে ঔষধ ব্যবহার করার। আর যদি নাকে অথবা কানে ড্রপ ব্যবহার করা অতি জরুরি হয় সেক্ষেত্রে আপনি সেই দিনের রোজাটি বাদ দিতে পারেন। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে নাকে অথবা কানে কোন প্রকার তরল পদার্থ ড্রপ ব্যবহার করলে রোজা ভেঙে যাবে।
রক্ত বের হওয়া
অনেক সময় দেখা যায় কাজ করতে যেয়ে অনেক সময় হাত অথবা পা যেয়ে রক্ত বের হয়। এই ক্ষেত্রে কি রোজা হবে? অনেকের মনে এই প্রশ্ন থাকে যে রক্ত বের হলে কি রোজা ভেঙে যায় নাকি রোজা হবে? রক্ত বের হলে রোজা ভেঙ্গে যায় এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। হাত পা কেটে গেলে চেষ্টা করবেন রক্ত বন্ধ করার এবং ব্যান্ডেজ করবেন। তবে হ্যাঁ রক্তের পরিমাণ যদি অনেক বেশি হয় এবং সেই রক্তটা যদি গড়িয়ে পড়ে সেক্ষেত্রে আপনার রোজা ভেঙে যেতে পারে। আর রক্তের পরিমাণ যদি কম হয় সে ক্ষেত্রে রোজা হবে।
তবে অনেক সময় দেখা যায় রোজা অবস্থায় অনেকে গুরুতর আহত হয় এক্ষেত্রে রক্তের পরিমাণ যদি অনেক বেশি হয় তাহলে রোজাটি ভেঙ্গে যাবে আর আমার মতে আহত অবস্থায় রোজা না রাখাই উত্তম এই সময় আমাদের শরীর অনেক বেশি দুর্বল থাকে আর এই সময় মেডিসিন নিয়ে বিশ্রাম করা উচিত। তবে রক্তের পরিমাণ যদি খুব অল্প হয় সেক্ষেত্রে এটি সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভরশীল আপনি যদি রোজা রাখতে সক্ষম হন, তাহলে রাখতে পারেন আর যদি আপনি রোজা রাখতে অক্ষম হন তাহলে রোজাটি ভেঙে দিতে পারেন এতে কোন পাপ নেই।
দাঁত দিয়ে রক্ত বের হওয়া
আমাদের অনেকের মনে এই প্রশ্নটি থাকে যে দাঁত দিয়ে রক্ত বের হলে কি রোজা ভেঙে যায়? রোজা থাকা অবশ্যই হঠাৎ দাগ দিয়ে রক্ত বের হলে রোজা ভেঙে যায় না। তবে রক্তের পরিমাণ যদি অনেক বেশি হয় এবং সেই রক্তে যদি আপনার থু থু সমান অথবা অধিক হয় তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। আর হ্যাঁ অনেক সময় দেখা যায় হঠাৎ করে আমাদের দাগ দিয়ে রক্ত বেরোতে শুরু করে এই অবস্থায় যদি আপনার রক্তের পরিমাণ অল্প হয় তাহলে দ্রুত গুলি করে ফেলবেন এতে রোজা হবে।
আর আরেকটি বিষয় কেউ যদি জোর করে অর্থাৎ ইচ্ছা কৃত ভাবে দাঁত দিয়ে রক্ত বের করার চেষ্টা করে তাহলে রোজা ভেঙে যাবে এজন্য রোজা থাকা অবস্থায় কখনো ইচ্ছাপূর্বক ভাবে তার দাঁত দিয়ে রক্ত বের করার চেষ্টা করা যাবে না কিংবা হাত অথবা পা কোথাও ক্ষত সৃষ্টি করা যাবে না এতে রোজা টি ভেঙে যাবে। এই জন্য রোজা থাকা অবস্থায় এখন থেকে কখনোই এমন কিছু করবেন না যাতে আপনার রোজাটি ভেঙ্গে যায়।
যৌন মিলন
রোজা থাকা অবস্থায় যৌন মিলন কিংবা শারীরিক মিলনের ফলে রোজা ভেঙে যায় এ বিষয়ে আমরা প্রত্যেকেই জানি। তবে যদি কেউ ভুল করে রোজা থাকা অবস্থায় যৌন মিলন করে ফেলে এই ক্ষেত্রে কি রোজা টি হবে? কেউ যদি ভুল করে শারীরিক মিলন করে ফেলে তার যদি রোজার কথা মনে পড়ে তাহলে দ্রুত আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে এবং রোজাটি কন্টিনিউ করতে হবে আর এই অবস্থায় যদি কেউ ভেবে থাকে যে যৌন মিলনের ফলে রোজা তো ভেঙ্গে গেছে,
তারপর সে যদি যৌন মিলন বন্ধ না করে কন্টিনিউ করে তাহলে রোজাটি ভেঙ্গে যাবে। পাঠক আমাদের ইসলাম খুবই সহজ যদি আপনি ভুল করে শারীরিক মিলনের লিপ্ত হয়ে পড়েন এই অবস্থায় যদি আপনার রোজার কথা মনে পড়ে তাহলে আপনি যদি দ্রুত আল্লাহতালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তাহলে রোজা হবে। অনেক সময় দেখা যায় ভুল করে এমন হয়ে যায় এক্ষেত্রে উচিত আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং বেশি বেশি সূরা পাঠ করা। এতে আমাদের রোজা হবে।
পাঠক আশা করছি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি সেই সম্পর্কে। রোজা ভঙ্গের প্রথম কারণ হলো মিথ্যা কথা বলা মিথ্যা কথা বললে রোজা ভেঙে যায় দ্বিতীয়তঃ ধূমপান অথবা মদ্যপান রোজা থাকা অবস্থায় ধূমপান কিংবা মদ্যপানে লিপ্ত হলে রোজা ভেঙে যায়। এজন্য আমরা সবাই চেষ্টা করব ওপরের কাজগুলো এড়িয়ে চলার আপনি যদি সঠিকভাবে সুন্দরভাবে আপনার রোজা সম্পন্ন করতে চান সে ক্ষেত্রে উপরের উপায় গুলো মেনে চলবেন। এবার চলুন আমরা জেনে আসি রোজা ভঙ্গের ২০ টি কারণ সম্পর্কে।
রোজা ভঙ্গের ২০ টি কারণ সমূহ
উপরের আলোচনার মাধ্যমে আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন রোজা ভঙ্গের কারণ সম্পর্কে এবার আমরা আরও বেশ কিছু কারণ নিয়ে আলোচনা করব অর্থাৎ রোজা ভঙ্গের ২০ টি কারণ সমূহ। আমাদের ডেইলি লাইফের বেশ কিছু ভুল ভ্রান্তির কারণে অনেক সময় দেখা যায় রোজা ভেঙে যায় এবং আমরা সেটি বুঝতেও পারি না যার কারণে আমাদের প্রত্যেকের জানা উচিত এই কারণগুলো সম্পর্কে অর্থাৎ রোজা ভঙ্গের ২০ টি কারণ কি কি।
যেহেতু আগামী ১১-১২ মার্চ থেকে পবিত্র রোজা হতে চলেছে সেক্ষেত্রে আমাদেরকে এই বিষয়গুলোকে খুঁটিয়ে জানতে হবে যে রোজা ভঙ্গের কারণ কি কি এবং সেই কারণগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে যেন আমাদের রোজাটি সুন্দরভাবে সম্পূর্ণ হয়। যেহেতু আমাদের প্রত্যেকের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে সেক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব এবং কর্তব্য সঠিকভাবে রোজা সম্পন্ন করা। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে রোজা ভঙ্গের ২০ টি কারণ সম্পর্কে আলোচনা করবো।
- ইচ্ছাকৃত ভাবে বমি করলে রোজা ভেঙ্গে যায়
- ইচ্ছাকৃতভাবে হাতে অথবা পায়ে কোথাও ক্ষত সৃষ্টি করলে রোজা ভেঙ্গে যায়।
- বমি অল্প পরিমাণ গিলে ফেললে রোজা ভেঙে যায়।
- মিথ্যা কথা বললে রোজা ভেঙে যায়।
- থুথু গিলে ফেললে রোজা ভেঙে যায়।
- গীবত করলে রোজা ভেঙে যায়।
- নাকে অথবা কানের তরল পদার্থ কিংবা ড্রপ ব্যবহার করলে রোজা ভেঙ্গে যায়।
- গড়গড়ে ভাবে কুলি করলে রোজা ভেঙে যায়।
- হঠাৎ করে মুখ ভোরে বমি করলে রোজা ভেঙ্গে যায়।
- দাঁত দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়লে রোজা ভেঙে যায়।
- হাত পা কেটে আহত হলে এবং রক্তের পরিমাণ অনেক বেশি হলে রোজা ভেঙ্গে যায়।
- ইচ্ছা করে রোজাদার ব্যক্তিকে জোরপূর্বক খাওয়ালে রোজা ভেঙে যায়।
- ইফতারের আগে কিছু খেয়ে ফেললে রোজা ভেঙে যায়।
- রোজা রত অবস্থায় ওযুর সময় নাকে অথবা কানে পানি ঢুকে গেলে পানির পরিমাণ বেশি হলে রোজা ভেঙ্গে যায়।
- বৃষ্টির পানি মুখে গেলে রোজা ভেঙে যায়।
- রোজা থাকা অবস্থায় শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হলে রোজা ভেঙে যায়।
- রোজা থাকা অবস্থায় ভুলবশত কিছু খেয়ে ফেললে রোজা ভেঙে যায়।
- রোজা থাকা অবস্থায় ঔষধ সেবনের ফলে রোজা ভেঙে যায়।
- রোজা থাকা অবস্থায় ধূমপান করলে রোজা ভেঙে যায়।
- রোজা থাকা অবস্থায় মদ্যপানে লিপ্ত হলে রোজা ভেঙে যাবে।
ওপরের এই ২০ টি কারণের জন্য আপনার রোজা ভেঙে যেতে পারে। এই জন্য রোজা থাকা অবস্থায় কখনোই উপরের এই কাজগুলো করবেন না মূলত আমরা ভুল করে অনেক সময় রোজা থাকা অবস্থায় কিছু খেয়ে ফেলি কিংবা শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে যায় এই সময় আমাদের উচিত আল্লাহতালার কাছে ক্ষমা চাওয়া। এবং বেশি বেশি দোয়া পাঠ করা আল্লাহ তাআলা অবশ্যই আমাদেরকে ক্ষমা করে দিবে এবং আপনার রোজাটি হবে। এই জন্য আপনার দ্বারা কোন ভুল হয়ে গেলে অবশ্যই সাথে সাথে আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।
প্রিয় পাঠক আশা করছি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন রোজা ভঙ্গের ২০ টি কারণ সম্পর্কে। আপনি যদি উপরের এই ২০ টি কারণ কে এড়িয়ে চলেন তাহলে আপনার রোজাটি সম্পূর্ণভাবে সঠিক হবে। যেহেতু আর ৪/৫ দিন পর থেকে রোজা শুরু হবে এক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেকের এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। মানুষের জানার কোন শেষ নেই। আশা করছি আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন এবং আপনি বুঝতে পেরেছেন কি কি কারণে রোজা ভেঙে যেতে পারে।
পাঠকদের কিছু প্রশ্ন
রোজা না রাখতে পারলে করণীয় কি?
রোজা রাখতে না পারলে ফিদিয়া দিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় আমাদের অক্ষমতার জন্য কিংবা অসুস্থতার জন্য চিকিৎসকরা আমাদেরকে রোজা রাখতে মানা করেন এই সময় আপনার উচিত রমজান পর্যন্ত অপেক্ষা করা রমজান শেষ হয়ে যাওয়ার পর যদি আপনি সুস্থ হন সে ক্ষেত্রে আপনি কাজের রোজা আদায় করতে পারেন আর যদি রমজান শেষ হওয়ার পরেও আপনি সুস্থ না হন সে ক্ষেত্রে আপনাকে ফ্রি দিয়ে দিতে হবে অর্থাৎ গরিব দুঃখী কিংবা অসহায়দের মধ্যে দান করতে হবে কিংবা তাদেরকে এক বেলা পেট ভরে খাওয়াতে হবে।
রোজা কত বছরে ফরজ?
অনেকের মনে এই প্রশ্নটিই থাকে যে রোজা কত বছরে ফরজ হয়? সাধারণত ছেলেদের ক্ষেত্রে রোজা 13 থেকে 15 পাথরের মধ্যে ফরজ হয় অর্থাৎ আপনার ছেলের বয়স যদি ১৩ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে হয় সেক্ষেত্রে এখন থেকে তার ওপর রোজা ফরজ হয়েছে। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে রোজা ১১ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে ফরজ হয় অর্থাৎ তারা 11 থেকে 13 বছরের মধ্যেই রোজা রাখা শুরু করতে পারবে।
মাসিক অবস্থায় কি রোজা রাখা যাবে?
যেহেতু ইসলামী শরীয়তের বিধি-বিধানে মাসিক চলাকালীন অবস্থায় রোজা রাখতে মানা করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে আপনি পিরিয়ড চলাকালীন সময় রোজা রাখতে পারবেন না। এক্ষেত্রে আপনি যা করবেন মাসিক অবস্থায় বেশি বেশি তেলাওয়াত করবেন এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া পাঠ করবেন মনে মনে আমল করতে থাকবেন। আর হ্যাঁ মাসিক সম্পূর্ণরূপে ভালো না হওয়া পর্যন্ত কখনোই রোজা করবেন না অর্থাৎ আপনার মাসিক যদি ৪ - ৫ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয় সেক্ষেত্রে পাঁচ দিনের পরের দিন অর্থাৎ ৬ম দিন থেকে রোজা রাখতে পারবেন।
পিরিয়ডের কতদিন পর রোজা রাখা যাবে?
পিরিয়ড সম্পূর্ণরূপে ভালো না হওয়া পর্যন্ত আপনি রোজা রাখতে পারবেন না ইতিমধ্যে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে রোজা রাখলে এতে আমাদের প্রচুর পাপ হবে। পিরিয়ড চলাকালীন সময়টি শুধুমাত্র আমাদের বিশ্রামের জন্য যেহেতু এই সময়টি মেয়েদের শরীর অনেক বেশি দুর্বল থাকে তাই এই সময়টি আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে বিশ্রামের জন্য দিয়েছেন। আপনার পিরিয়ড যদি তিন থেকে চার দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয় সে ক্ষেত্রে ৫ম দিন থেকে পাক পবিত্র হয়ে আপনি রোজার জন্য নিয়ত করতে পারবেন।
রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি?
আপনি কি রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি সেই বিষয়ে জানতে চান? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন আমরা আজকের এই পোস্টে রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ কি কি এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। রোজা ভাঙ্গে প্রথম কারণ হলো মিথ্যা কথা বলা আপনি যদি রোজা থাকা অবস্থায় মিথ্যা কথা বলেন তাহলে নিমিষেই আপনার রোজাটি ভেঙ্গে যাবে তারপর দ্বিতীয়ত হল ধূমপান করা অর্থাৎ রোজা থাকা অবস্থায় যদি আপনি ধূমপান করেন তাহলে আপনার রোজা ভেঙে যাবে।
ইচ্ছাকৃতভাবে জোর করে বমি করলে কিংবা রক্ত বের হলে রোজা ভেঙ্গে যাবে।এছাড়া আপনি যদি রোজা ভঙ্গের আরো সব কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে উপরে দেখুন আমরা রোজা ভাঙে সমস্ত কারণে আলোচনা করেছি আপনি যদি এই কারণগুলোকে এড়িয়ে রোজা করতে পারেন তাহলে আপনার রোজা সম্পূর্ণরূপে সঠিক হবে।
রক্ত পড়লে কি রোজা হবে?
অনেক সময় দেখা যায় কাজ করতে গিয়ে আমাদের হাত অথবা পায়ে কেটে যায় এক্ষেত্রে রক্ত পড়তে শুরু হয়। এক্ষেত্রে রোজা রক্তের পরিমাণ এর উপর নির্ভর করছে। অর্থাৎ যদি রক্তের পরিমাণ অনেক বেশি হয় এবং রক্ত যদি গড়িয়ে পড়ে তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। আর যদি অল্প রক্ত পড়ে এবং আপনি যদি তাৎক্ষণিক হাত ধুয়ে ব্যান্ডেজ করে ফেলেন তাহলে আশা করছি আপনার রোজা টি হবে।
লেখকের শেষ কথা
পাঠক আমরা আজকের এই পোস্টের রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি এবং রোজা না রাখতে পারলে করণীয় কি সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। অনেক সময় দেখা যায় আমাদের শারীরিক অবস্থা ভালো থাকে না এতে ডাক্তার আমাদেরকে রোজা রাখতে মানা করেন এক্ষেত্রে এই অবস্থায় আপনার রোজা না করে উত্তম তবে যেহেতু রমজান মাসে আমাদেরকে রোজা করতে হয় সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে এই রোজা টি রমজান মাসের পর কাজা রোজা হিসেবে তুলে নিতে পারেন।
তবে রমজান মাসের পরবর্তী সময়ও যদি আপনার শরীর ভালো না থাকে কিংবা আপনি রোজা রাখতে অক্ষম হন সে ক্ষেত্রে আপনাকে ফিদিয়া দিতে হবে। অর্থাৎ গরিব দুখী এবং অসহায় মানুষদের মধ্যে দান করতে হবে কিংবা তাদেরকে একবেলা পেট ভরে খাওয়াতে হবে। আর শুধু রোজার জন্য নয় বরং সব সময় চেষ্টা করবেন আমাদের আশেপাশে থাকা অসহায় গরীব দুঃখী মানুষদের মধ্যে দান করতে এবং তাদেরকে পেট ভরে খাওয়াতে।
লক্ষ্য করবেন আপনার আশেপাশে এমন অনেকে রয়েছে যারা পেট ভরে দুই বেলা খেতে পায় না। যদি তাদের পাশে যেয়ে দাঁড়ান তাহলে এতে আপনার রোজার চেয়ে বেশি নেকি আদায় করতে পারবেন। আশা করছি আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে রোজা না রাখতে পারলে করণীয় কি। এছাড়াও আমরা আজকের এই পোষ্টের রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি সেই বিষয়েও আলোচনা করেছ
অর্থাৎ আপনি যদি সঠিকভাবে প্রতিটি রোজা সম্পন্ন করতে চান সেক্ষেত্রে উপরের এই কারণগুলোকে এড়িয়ে চলতে হবে কারণ আমাদের ডেইলি লাইফে ছোটখাটো কিছু ভুলের কারণে অনেক সময় দেখা যায় আমাদের রোজাটি ভেঙ্গে যায় কিন্তু আমরা বুঝতেও পারি না। এই জন্য আপনি যদি উপরের রোজা ভঙ্গের কারণ গুলো দেখে নেন তাহলে আশা করছি আপনি উপকৃত হবেন।
ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url