খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন


আপনি কি খেজুর খেতে খুব ভালোবাসেন? তাহলে তো আপনাকে অবশ্যই খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে হবে। আজকের এই পোস্টে আমরা খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত, রমজানে খেজুর কেন খাবেন, অতিরিক্ত খেজুর খেলে কি হয় এবং সকালে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য উপকারী হতে চলেছে তাই মনোযোগ সহ সম্পূর্ণ পোস্টটি দেখতে থাকুন।
খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আমাদের প্রিয় ফল খেজুর। খেজুর ফলটির সাথে পরিচিত নয়, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল। কারণ যেহেতু আমরা বাংলাদেশী আর বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খেজুর চাষ করা হয়। এক্ষেত্রে আমরা প্রত্যেকে খেজুরের সাথে পরিচিত এবং খেজুরের স্বাদ ও গন্ধ দুটোই জানি। আমরা প্রত্যেকেই তো খেজুর খাই কিন্তু অনেকেই খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানি না। তাই আমরা আজকের এই পোস্টে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা খেজুর ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত এবং অতিরিক্ত খেজুর খেলে কি হয় সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

পেজ সূচিপত্র

      ভূমিকা      

আমাদের দেশি ফল খেজুর এই ফলটি খেতে যেমন হাজারো পুষ্টিগুণ ভিটামিনের ভরপুর। বিশেষ করে রমজানের দিনে খেজুরের চাহিদা অনেকাংশ বেড়ে যায় কারণ এই সময় আমরা ইফতারিতে এবং সেহরিতে খেজুর খাই। খেজুর খাওয়ার উপকারিতা এক দুই লাইনে বলে শেষ করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাঠে ঘাটে খেজুর গাছ দেখা যায়। আমরা প্রত্যেকেই এই ফলটির সাথে পরিচিত তবে অনেকেই এই ফলটির উপকারিতা সম্পর্কে জানি না।

তাই আজকে আমরা জানবো খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। এছাড়াও আজকের এই পোস্টে আমরা আরও আলোচনা করব যে, খেজুর ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি এবং সকালে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা কি সাথেই দিলে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত?  চলুন তাহলে আমরা ঝটপট জেনে আসি খেজুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে। অর্থাৎ খেজুরে কি কি পুষ্টিগুণ উপাদান বিদ্যমান।

খেজুরের পুষ্টি উপাদান

আপনি কি খেজুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে জানতে চান? খেজুরে হাজারো পুষ্টিগুণ ও খনিজ উপাদান রয়েছে। একটি খেজুর আপনার শরীরের সারাদিনের ধকল নিমিষেই মেটাতে পারে। বিশেষ করে যারা অতিরিক্ত ওজন থেকে রেহাই পেতে চাচ্ছেন অথবা অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই ফলটি সেরা হবে। খেজুর খেলে দ্রুত গতিতে ওজন কমতে থাকে। চলুন এবার আমরা ঝটপট জেনে নেই খেজুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে।

  • শর্করা
  • ভিটামিন এ
  • ভিটামিন বি এক
  • ফাইবার
  • ভিটামিন বি ২ 
  • ভিটামিন বি ৩ 
  • ভিটামিন বি ৫ 
  • ভিটামিন বি ৬ 
  • ভিটামিন বি ৯ 
  • জিংক
  • ভিটামিন ই 
  • ভিটামিন সি 
  • ক্যালসিয়াম 
  • পটাশিয়াম
  • সোডিয়াম 
  • ফসফরাস 
  • ম্যাঙ্গানিজ 
  • লোহ 
  • আর প্রচুর পানি

থেকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার সহ ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় তাই আপনারা যারা ক্যালসিয়ামের ঘাটতিতে ভুগছেন তারা বেশি বেশি খেজুর খাবেন এবং কোষ্ঠকাঠিনের সমস্যা থাকলেও খেজুর খেতে হবে। প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন খেজুরের পুষ্টি উপাদান গুলো কি কি। খেজুরের পুষ্টি উপাদান ১২ লাইনে বলে শেষ করা সম্ভব না কারণ খেজুরের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন শর্করা ও খনিজ উপাদান রয়েছে। এবার চলুন আমরা জেনে আসি খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ওপরে আমরা এতক্ষণ জানলাম খেজুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম সহ ভিটামিন সি ভিটামিন ই ভিটামিন কে এবং ফাইবার। আমরা প্রত্যেকেই খেজুর খেতে ভালবাসি কিন্তু অনেকেই খেজুরের উপকারিতা সম্পর্কে জানি না। বন্ধুরা খেজুরে হাজারো পুষ্টিগুণ ও ভিটামিন রয়েছে। খেজুরে ঔষধি গুনাগুন রয়েছে। একটি খেজুর আপনার শরীরের সমস্ত রোগ বালাইকে দূর করতে পারে। 

খেজুর আপনার শরীরের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি আপনার শরীরে শক্তি ও এনার্জি যোগাবে সাথে পানি শুন্যতা দূর করবে, কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করবে, ত্বককে সুন্দর রাখবে, চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করবে, পেট সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা কে দূর করবে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চান তাহলে নিচে দেখুন খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।

গীরায় গীরায় অথবা জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যাথা দূর করবে

আপনার কি গিরায় গিরাই অথবা জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা রয়েছে? তাহলে এখন থেকে নিয়মিত খেজুর খাবেন। খেজুরের প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। নিয়মিত ক্যালসিয়াম জাতীয় খাদ্য গ্রহণের ফলে আপনার জয়েন্টে জয়েন্টে এবং গীরায় গীরায় ব্যথা দূর হবে। বয়স ৪০ এর উপরে গেলেই হাঁটুতে জয়েন্টে জয়েন্টে অথবা গীরায় গীরায় ব্যথা হয়। এইজন্য এখন থেকে বেশি বেশি খেজুর খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।আপনি যদি নিয়মিত খেজুর খান তাহলে আশা করছি দ্রুত এই সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।

চোখের জ্যোতি উন্নত করবে

আপনাকে দূরের অথবা কাছের জিনিস গুলো দেখতে অসুবিধা হয়? অকালেই ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তির  শিকার হচ্ছেন? আমাদের অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জন্য আমরা অকালেই ক্ষীন দৃষ্টিশক্তির শিকার হচ্ছে এর পিছনে রয়েছে নানান কারণ। গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোন অথবা ল্যাপটপ ব্যবহার করা, গভীর রাত পর্যন্ত পড়াশোনা করা, আবার পুষ্টিহীনতার কারণে ও চোখের জ্যোতির সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেকোনো বয়সে চোখের যদি সমস্যা হতে পারে। বর্তমান সময়ে ছোট ছোট বাচ্চাদের চোখেও বড় বড় চশমা দেখা যায়।

এর কারণ হলো তাদের অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন। তাই ক্ষীন দৃষ্টিশক্তি থেকে রেহাই পেতে এবং চোখের যদি উন্নত করতে এখন থেকে নিয়মিত খেজুর খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। খেজুরের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। যা সরাসরি আপনার চোখের জ্যোতিকে উন্নত করবে। চোখের যদি কে উন্নত করতে বেশি বেশি ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাদ্যগুলো গ্রহণ করতে হবে। ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার যেমন: ছোট মাছ, সামুদ্রিক মাছ খেতে হবে। সাথেই খেজুর খেতে হবে।

ত্বককে সুন্দর রাখবে 

সুন্দর ত্বক পেতে চাই না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল। কারণ আমরা প্রত্যেকেই সুন্দর ত্বকের প্রতি আকৃষ্ট হয়। ছেলে হোক অথবা মেয়ে প্রত্যেকেই  সুন্দর ত্বক চাই। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে সুন্দর ত্বকের কিছু রহস্য শেয়ার করব। যার মাধ্যমে আপনারা সহজেই বাসায় বসে আপনাদের ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর করে তুলতে পারবেন। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে যা সুন্দর করতে সহায়তা করে।

আমরা অনেকেই সুন্দর ত্বক পাওয়ার জন্য বাজারের বিভিন্ন ক্ষতিকারক নাইট ক্রিম গুলো ব্যবহার করি কিন্তু এগুলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সুন্দর করবে কিন্তু পরবর্তী সময় আবার আগের মতই কালো করে ফেলবে সাথেই স্কিনকে ভেতর থেকে ডেমেজ করবে এই জন্য সময় থাকতে এখনো সাবধান হোন এবং ঘরোয়া উপায় গুলোর মাধ্যমে সুন্দর করার চেষ্টা করুন। প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর করতে চাইলে  নিয়মিত সকালে উঠে একটা খেজুর খেয়ে নিবেন।

দীর্ঘদিনের কোষ্ঠকাঠিন্য এর সমস্যা দূর করবে

আপনার কি দীর্ঘদিন যাবৎ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে? কোন কিছুতেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হচ্ছে না? তাহলে এখন থেকে নিয়মিত খেজুর খাওয়া শুরু করুন খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার অথবা আশ  যা পেট সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যাকে দূর করে সাথে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কেউ দূর করে। এই জন্য আপনার যদি দীর্ঘদিন যাবৎ কোষ্ঠকাঠিনের সমস্যা থেকে থাকে, তাহলে এখন থেকে নিয়মিত খেজুর খাওয়া শুরু করুন। আপনি যদি নিয়মিত খেজুর খান তাহলে তিন থেকে চার দিনের মধ্যেই আপনার সমস্যা দূর হবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য যদিও এটি কোন গুরুতার রোগ নয় তবে আপনি যদি দীর্ঘদিন এটিকে অবহেলা করতে থাকেন তাহলে এটি পরবর্তী সময়ে অনেক ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে এজন্য প্রিয় পাঠক সময় থাকতে এখনই সাবধান হোন এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করুন আর হ্যাঁ কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে নিয়মিত খেজুর খান কারণ খেজুর থেকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। যা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা কি দূর করার পাশাপাশি আপনার পেট সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যাকে নিমিষেই দূর করতে সহায়তা করবে।

দুর্বল হজম শক্তিকে উন্নত করবে

আপনি কি দুর্বল হজম শক্তি নিয়ে চিন্তিত? খাবার গ্রহণের পর সঠিক ভালোভাবে হজম হয় না যার কারণে পেটে নানান সমস্যা দেখা দেয়? তাহলে আর চিন্তা নয় বন্ধুরা এখন থেকে আপনাকে নিয়মিত খেজুর খেতে হবে। কারণ খেজুরের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। যা সরাসরি আপনার দুর্বল হজম শক্তিকে উন্নত করতে সহায়তা করবে। এই জন্য দুর্বল হজম শক্তি থেকে রেহাই পেতে এবং দুর্বল হজম শক্তিকে উন্নত করতে এখন থেকে নিয়মিত খেজুর খাওয়া শুরু করুন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে

শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে আমরা সহজেই যেকোনো রোগ আক্রান্ত হয়ে পড়ি। এর ফলে শরীর ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে। এই জন্য এই অবস্থায় আমাদের উচিত শরীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। কিন্তু কিভাবে? শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চাইলে আমাদেরকে বেশি বেশি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারগুলো গ্রহণ করতে হবে। ভিটামিন সি শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মত কাজ করে এতে দ্রুত শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার কোনগুলো? ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বলতে বোঝায় যেমন কমলালেবু, কমলা, স্ট্রবেরি, ড্রাগন, তেতুল, খেজুর ,কলা, পেঁপে, আতা। এই সমস্ত ফল থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায় তবে সবচেয়ে বেশি কমলা লেবু থেকে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। খেজুর থেকে প্রায় ০.০৪ মিলি গ্রাম ভিটামিন সি পাওয়া যায়। তাই আপনি যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চান, সে ক্ষেত্রে নিয়মিত খেজুর খাওয়া শুরু করুন।

প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন খেজুর খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি। খেজুর খাওয়ার উপকারিতা দুই লাইনে বলে শেষ করা কখনই সম্ভব নয় কারণ খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন এবার আমরা জানবো খেজুর খাওয়ার অপকারিতা গুলো কি কি। চলুন তাহলে ঝটপট জেনে আসি অতিরিক্ত খেজুর খেলে কি হয়।

অতিরিক্ত খেজুর খেলে কি হয়

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা অনেক। তবে কেউ উপকার লাভ করার আশায় অতিরিক্ত পরিমাণে খেজুর খায় তাহলে তার শরীরে উল্টো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। যেহুতু খেজুরে উচ্চমাত্রায় ক্যালসিয়াম ও রাইবোফ্লাবিন রয়েছে সেক্ষেত্রে আর কেউ যদি অতিরিক্ত পরিমাণে খেজুর খায় তাহলে তার শরীরে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। কোথায় আছে না অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয় তেমনি আপনি যদি উপকার লাভের আশায় অতিরিক্ত খেজুর খান তাহলে আপনার যে সমস্যা গুলো দেখা দিবে,

  • হজম শক্তিতে সমস্যা দেখা দিবে
  • গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দেখা দিতে পারে
  • কিডনিতে পাথর দেখা দিতে পারে
  • পেট ফুলে যেতে পারে
  • ওজন হুর হুর করে বেড়ে যেতে পারে
আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে খেজুর খাওয়া শুরু করেন তাহলে আপনার শরীরে ওপরের এই সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে অতিরিক্ত পরিমাণে খেজুর খেতে থাকলে হজম শক্তিতে সমস্যা দেখা দেয়। এতে খাবার ঠিকভাবে হজম হয় না। ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় আবার অতিরিক্ত পরিমাণে খেজুর খাওয়ার ফলে কিডনিতে পাথর দেখা দিতে পারে। যেহেতু খেজুরে উচ্চ মাত্রায় ক্যালসিয়াম রয়েছে, সেক্ষেত্রে আপনি যদি অতিরিক্ত খেজুর খেতে থাকেন তাহলে কিডনিতে পাথর দেখা দিতে পারে সাথেই ওজন হুর হুর করে বেড়ে যেতে পারে।

প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন অতিরিক্ত খেজুর খেলে কি হয় এবং খেজুর খাওয়ার অপকারিতা গুলো কি কি। খেজুর খাওয়ার একদিকে যেমন হাজারো উপকারিতা রয়েছে আরেক দিকে খেজুর খাওয়ার অপকারিতা ও রয়েছে তবে আপনি যদি অপকারিতা থেকে বাঁচতে চান এবং খেজুর খাওয়ার পরিপূর্ণ উপকারিতা লাভ করতে চান, তাহলে পর্যাপ্ত পরিমাণে খেজুর খেতে হবে। যেমন দিনে দুই থেকে তিনটা খেজুর খাওয়া যায়।

পাঠকদের কিছু প্রশ্ন 

অতিরিক্ত খেজুর খেলে কি হয়?
অতিরিক্ত খেজুর খেলে ওজন দ্রুত হারে বাড়তে থাকে সাথে কিডনিতে পাথর দেখা যেতে পারে যেহেতু খেজুরের প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে সেক্ষেত্রে চেষ্টা করবেন পর্যাপ্ত পরিমাণে খেজুর খাওয়ার। কথায় আছে না অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়।

খেজুর ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা কি?
ভিজিয়ে খেলে দ্রুত গতিতে ওজন বাড়তে থাকে সাথেই হজমশক্তির সমস্যা দূর হয়। আপনারা যারা অতিরিক্ত পাতলা হওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তারা খেজুর ভিজিয়ে খাবেন খেজুর ভিজিয়ে খেলে আপনারা দ্রুত আপনাদের ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন এবং হজম শক্তিও উন্নত করতে পারবেন।

দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত?
সারাদিনের দুই থেকে তিনটা খেজুর খাওয়া উচিত এর চেয়ে বেশি খেলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাথেই দুর্বল হজম শক্তি শিকার হতে পারেন।

খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা কি?
আপনি কি খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন। আমরা আজকের এই পোস্টে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাই আপনারা যারা খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তারা এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহ দেখতে থাকুন।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আমরা আজকের এই পোস্টে অতিরিক্ত খেজুর খেলে কি হয় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। বর্তমান সময়ে খেজুর পছন্দ করে না অথবা খেজুর খায় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল কারণ আমরা প্রত্যেকেই খেজুর খেজুর খেতে খুব ভালোবাসি বিশেষ করে রমজান মাসে আমাদের মুসলিম ভাই বোনদের খেজুর ছাড়া যেন চলেই না। সেক্ষেত্রে আমাদেরকে অবশ্যই জানা উচিত খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।

তাই আজকের এই পোস্টে আমরা খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম খেজুর খেলে একদিকে যেমন আপনার চোখের দৃষ্টি শক্তি উন্নত হয় আরেকদিকে আপনার হজম শক্তি উন্নত হবে এবং আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিনের মধ্যে কোন সমস্যা থেকে থাকে, তাহলে সেটিও দূর হবে সাথে ত্বক ভেতর থেকে সুন্দর ও উজ্জ্বল হবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান,

তাহলে উপরে দেখুন আমরা খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এছাড়াও আমরা আজকের এই পোস্টে অতিরিক্ত খেজুর খেলে কি হয় সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। অর্থাৎ খেজুর খাওয়ার অপকারিতা গুলো কি কি। খেজুর খাওয়ার যেমন হাজারো উপকারিতা রয়েছে তেমনি একটু অপকারিতাও রয়েছে। কেউ যদি অতিরিক্ত পরিমাণে খেজুর খায় তাহলে তার হজম শক্তিতে সমস্যা দেখা দিবে। পাশাপাশি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে সাথে অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url