ডেঙ্গু মশা কতদিন বাঁচে - ডেঙ্গু মশা চেনার উপায়

মোবাইল দিয়ে ২০০০০ টাকা ইনকাম

বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহতা সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকেই জানি।কিন্তু আপনি কি জানেন ডেঙ্গু মশা কতদিন বাঁচে আর ডেঙ্গু মশা চেনার উপায় কি? যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য।

ডেঙ্গু মশা কতদিন বাঁচে ডেঙ্গু মশা চেনার উপায়

ডেঙ্গুর জীবাণু বাহি মশাকে এডিস মশা বলে। এই এডিস মশা কামরানোর ফলে হাজার হাজার মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে আমাদেরকে অবশ্যই ডেঙ্গু মশা সম্পর্কে জানতে হবে অনেকের মনে এডিস মশা ও ডেঙ্গু মশা নিয়ে নানান ভুল ভাবনা রয়েছে তাই আজকের এই পোস্টে আমরা ডেঙ্গু মশা নিয়ে খুঁটিনাটি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।ডেঙ্গু মশা কতদিন বাঁচে এবং ডেঙ্গু মশা চেনার উপায় কি কি।

পেজ সূচিপত্র

   ভূমিকা   

ডেঙ্গু মশা যা কোন ভয়াবহ মহামারী থেকে কোন অংশে কম নয় যদিও এই মশাটির নাম এডিস মশা তবে এই মশাটি যেহেতু ডেঙ্গুজ্বর সৃষ্টি করে তাই মানুষের মাঝে এই মশাটি ডেঙ্গু মশা নামে পরিচিত। মূলত ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী মশাকে এডিস মশা বলা হয়। আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে বর্তমান সময়ের ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে আপনি যদি ডেঙ্গু জ্বর থেকে রেহাই পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডেঙ্গু মশা সম্পর্কে জানতে হব।

আরো পড়ুন: কোন গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায় নগদে?

ডেঙ্গু মশা নিয়ে মানুষের মনে নানান প্রশ্ন রয়েছে ডেঙ্গু মশার নাম কি ডেঙ্গু মশা কত দিন বাঁচে? আজ আমরা সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিব। ডেঙ্গু মশা সম্পর্কে খুঁটিনাটি সবকিছু জানতে নিচে দেখুন

ডেঙ্গু মশার নাম কি?

ডেঙ্গু মশার নাম হল এডিস মশা এডিস এক প্রকার প্রজাতির নাম। এই মশাটি কামড়ানোর ফলে ডেঙ্গু জ্বর সৃষ্টি হয় যার কারণে মানুষকে ডেঙ্গু মশা বলে চিনে কিন্তু এর নাম হলো এডিস মশা এই মশাটি অন্যান্য মশাদের থেকে দেখতে একটু আলাদা এর পায়ে সাদা ও কালো ডোরকাটার মত। এই মশাটি মারাত্মক রোগ বহন করতে পারে ডেঙ্গু ও পিত জ্বর থেকে শুরু করে হলুদ জ্বর ,চিকুনগুনিয়া ও ওয়েস্ট নাইন জ্বর সৃষ্টি করে।

এজন্য অবশ্যই আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে ডেঙ্গু মশার নাম কি এবার চলুন আমরা জেনে আসি ডেঙ্গু মশা কোথায় জন্মায়?

ডেঙ্গু মশা কোথায় জন্মায়

বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু মাসে ভয়াবহতা সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই জানেন। এই ডেঙ্গু বাসা থেকে বাঁচতে চাইলে ডেঙ্গু মশার অবস্থান সম্পর্কে জানতে হবে অর্থাৎ ডেঙ্গু মশা কোথায় জন্মায় মূলত ডেঙ্গু মশা নোংরা স্থান গুলোতে জন্মায় যেমন ড্রেনের কিনারা, ফেলে দেওয়া খেলনা, ফুলের টব, পুরনো ময়লা জুতা,পূরণ তাগকৃত বাসা,পড়ে কাচের গ্লাস,ডাবের খুরি এবং মাঠে নষ্ট হওয়া বল এর মধ্যে, জন্মাতে পারে। আপনি লক্ষ্য করবেন

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডেঙ্গু মশা ড্রেনের কিনারায় জন্মায়। আপনি যদি এমন কোন জায়গায় ডেঙ্গুর আবাসস্থল দেখেন তাহলে অবশ্যই সেখানে আগুন অথবা কয়েল জ্বালিয়ে দিবেন এতে মশার আবাসস্থল নষ্ট হয়ে যাবে। কেননা এই ডেঙ্গু মশার জন্য বাংলাদেশে হাজার হাজার মানুষ ডেঙ্গু জ্বরের শিকার হচ্ছেন। তাই ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাঁচতে অবশ্যই ডেঙ্গু মশার প্রতিরোধ করতে হবে আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে

ডেঙ্গু মশা কোথায় জন্মায় এবার চলুন আমরা জেনে আসি যে ডেঙ্গু মশা কোথায় ডিম পারে

ডেঙ্গু মশা কোথায় ডিম পাড়ে

ডেঙ্গু মশা তার আবাসস্থলে ডিম পাড়ে। যেমন: জমে থাকা পানি ,ডাবের খুরী, ফেলে দেওয়া খেলনা, ফেলে দেওয়া ভাঙ্গা চেয়ার অথবা ভাঙ্গা পাত্র, রাস্তায় পড়ে থাকা কাচের বাটি ও ড্রানের কিনারায় এরা ডিম পাড়ে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জমে থাকা পানির মধ্যে ডেঙ্গু মশলা ডিম পাড়ে এই অবস্থায় জমে থাকা পানিগুলো ফেলে দিলেই ডিমগুলো নষ্ট হয়ে যায়। ডেঙ্গু মশা অনেক ভয়াবহ আঘাত ধারণ করতে পারে এই মশা কামড়ানোর পরে

চিকুনগুনিয়া থেকে শুরু করে ডেঙ্গু জ্বর হলুদ জ্বর ও ওয়েস্ট নাইন হতে পারে। ডেঙ্গু মশা করোনা মহামারী থেকে কোন অংশে কম নয়, আমরা যদি এখন থেকে সতর্ক না হই আর যদি ডেঙ্গুর প্রতিরোধ না করি তাহলে এটি করণার আকার ধারণ করতে বেশি সময় নিবে না এই জন্য এখন থেকেই আমাদেরকে সতর্ক হতে হবে এবং ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধ করতে হবে।তবে প্রতিরোধ করার জন্য আপনাকে ডেঙ্গু মশা সম্পর্কে জানতে হবে।
আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন ডেঙ্গু মশা কোথায় ডিম পারে এবার চলুন আমরা জেনে আসি ডেঙ্গু মশা চেনার উপায় কি

ডেঙ্গু মশা চেনার উপায়

প্রত্যেকটি মশা দেখতে প্রায় একই রকম হয় তাই ডেঙ্গু বসেছে না খুবই মুশকিল। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা এমন কিছু টিপস শেয়ার করব যে টিপস গুলোর মাধ্যমে আপনি সহজেই ডেঙ্গু মশা চিনতে পারবেন যদিও প্রত্যেকটি ভাষা দেখতেই একরকম হয় তবে ডেঙ্গু মশাগুলো একটু আলাদা হয় এর সাইজ মাঝারি আকারের হয় এবং এর গায়ের সাদা ও কাটা ডোরাকাটা দাগ হয়। শুধু ডেঙ্গু মশাই নয় অনেক মশার

গায়ে সাদা ও কালো ডোর কাটা দাগ হয় তবে আপনি লক্ষ্য করবেন ডেঙ্গু মশার পায়ের দিকে ডেঙ্গু মশার পায়ের দিকেও নিচে সাদা ও কালো ডোরাকাটা দাগ থাকে।যা শুধুমাত্র ডেঙ্গু মশার ক্ষেত্রেই দেখা যায় এই দাগ দিকে সহজেই বোঝা যায় যে এটি ডেঙ্গু মশা। আর ডেঙ্গু মশার মাথার ওপর দুইটি এন্টেনার মত থাকে ডেঙ্গুর ছেলে মশাদের এন্টিনাটি অনেক লম্বা ও সরু হয় এবং ডেঙ্গু মে মশার এন্টিনাটি মোটা ও ছোট হয়।

আপনি যদি এমন কোন মশা দেখেন তাহলে নিঃসন্দেহে ধরে নিবেন এটি ডেঙ্গু মশা। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন ডেঙ্গু মশা চেনার উপায় কি এবং চলুন আমরা জেনে আসি ডেঙ্গু মশা কখন কামড়ায়

ডেঙ্গু মশা কখন কামড়ায়

পৃথিবীতে বহু প্রজাতির মশা রয়েছে তারা বিভিন্ন সময় কামড়ায় সকালে রাতে বিকালে কিন্তু ডেঙ্গু মশা শুধুমাত্র সকালে কামড়ায়। এই মাস আগে রাত্রে বেলা কখনো দেখা যায় না এরা দিনের বেলা এদেরকে দিনের বেলা দেখা যায় এবং এরা দিনের বেলাতে মানুষকে কামড়ায়। এটি ডেঙ্গু মশার এক বৈশিষ্ট্যের মতো অর্থাৎ এটি শুধুমাত্র দিনের বেলা কামড়ায় আর দিনের বেলা আপনি সহজেই ধরে ফেলতে পারবেন যে

এটি ডেঙ্গু মশা নাকি সাধারণ মানুষের যেহেতু ডেঙ্গু মশার পায়ে ও শরীরে সাদা ও কালো ডোর কাটার দাগ হয় তাই আপনি নিঃসন্দেহেই ডেঙ্গু মশা চিনতে পারবেন এবং বুঝতে পারবেন। বর্তমান সময় ডেঙ্গু মশার ভয়াবহতা দিন দিন বেড়েই চলেছে তাই এই সময় আমাদেরকে অবশ্যই ডেঙ্গু মশা সম্পর্কে জানতে হবে ডেঙ্গু মশার ধরন সম্পর্কে জানতে হবে তাহলে আমরা ডেঙ্গু জ্বর থেকে রেহায় পেতে পারবো। আশা করছি আপনি

বুঝতে পেরেছেন যে ডেঙ্গু মশা কখন কামড়ায় এবার চলুন আমরা জেনে আসি ডেঙ্গু মশা কোথায় কামড়ায় অর্থাৎ শরীরের কোন অংশে ডেঙ্গু মশা কামড় দেয়।

ডেঙ্গু মশা কোথায় কামড়ায়

সাধারণ মাসে তার শরীরের যে কোন অংশ দিয়ে কামড়াতে পারে তাই না? কিন্তু ডেঙ্গু মশা শুধুমাত্র পায়ে কামরায় ,পায়ের নিচের অংশে। যদিও এই বিষয়টি কতটুকু যৌক্তিক তা এখনো সঠিক জানা সম্ভব হয়নি কিন্তু ডেঙ্গু মশা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পায়ের নিচের অংশে কামড়ায়। আপনি লক্ষ্য করবেন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগ রোগীদের পায়েই ডেঙ্গু মশার কামড়ের দাগ রয়েছে কারণ বেশিরভাগ ডেঙ্গু মশাই

মানুষের পায়ে কামড়াতে পছন্দ করে। এইজন্য এখন থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধ করতে হবে বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু মশা কোন মহামারী থেকে কোন অংশে কম নয় এজন্য আমাদেরকে অবশ্যই ডেঙ্গু মশা সম্পর্কে জানতে হবে এবং ডেঙ্গু ভাষা প্রতিরোধ করতে হবে আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে ডেঙ্গু মশা কোথায় কামড়ায় এবার চলুন আমরা জেনে আসি ডেঙ্গু মশা কতদিন বাঁচে?

ডেঙ্গু মশা কতদিন বাঁচে

অনেকেরই মনে প্রশ্ন থাকে যে ডেঙ্গু মশা কতদিন বাঁচে তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব যে ডেঙ্গু মশা কত দিন বাঁচে ডেঙ্গু মশা সর্বোচ্চ ১৬ থেকে ৩৮ দিন বাঁচে। একজন পূর্ণবয়স্ক ডেঙ্গু মাসের বয়স ১৬ থেকে ৩৮ দিন। ডেঙ্গু মশার আয়ু নির্ভর করে তাপমাত্রার উপর তাপমাত্রা যত বেশি হয় ডেঙ্গু মশা তত দ্রুত মারা যায় এবং তাপমাত্রা যত কম হয় ডেঙ্গু  মশার আয়ু  তত বৃদ্ধি পায়। এখনতো শীতকাল , শীতকালে ডেঙ্গু মশার আয়ুর বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে

বংশবিস্তার এর হাড় হ্রাস পায়। অর্থাৎ মশার বংশ বিস্তারের হাড় যত বেশি হয় মশার আয়ু তত বেশি হ্রাস পায় এর জন্য গরমকালে মশার বংশবিস্তার বেশি হয় এবং তারা দ্রুত মারা যায়। সাধারণ মশা সর্বোচ্চ ৭ থেকে ৮ দিন বেঁচে থাকে সেক্ষেত্রে ডেঙ্গু মশা সর্বোচ্চ ১৬ থেকে ৩৮ দিন বেঁচে থাকে। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন কতদিন বাঁচে এবার চলুন আমরা জেনে আসি ডেঙ্গু মশা খালি চোখে দেখা যায়? 

ডেঙ্গু মশা খালি চোখে দেখা যায়?

সাধারণ মশার তুলনায় ডেঙ্গু মশার সাইজ আকারে একটু বড় হয় অর্থাৎ এ মশাগুলো মাঝারি সাইজের যার ফলে এই মশাগুলোকে সহজে চিহ্নিত করা যায় যে এটি এডিস মশা।এডিস মশা দেখার জন্য কোন অণুবীক্ষণ যন্ত্রের প্রয়োজন হয় না। অ্যাডিস মশা সহজেই খালি চোখে দেখা যায়।এডিস মশার গায়ে সাদা ও কালো ডোর কাঁটা দাগ হয় যা দেখে সহজে চিহ্নিত করা সম্ভব আর এডিস মশা সাধারণ মশার তুলনায় আকারে একটু বড় হয়।

যা আপনি সহজেই খালি চোখে দেখে চিহ্নিত করতে পারবেন যে এটি এডিস মশা আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে ডেঙ্গু মশা খালি চোখে দেখা যায় নাকি এবার চলুন আমরা জেনে আসি ডেঙ্গু মশা কতবার কামড়ায়

ডেঙ্গু মশা কতবার কামড়ায়

ডেঙ্গু মশা কতবার কামড়ায় আপনি কি জানেন? মশার কামড় খায়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল কারণ আমাদের দেশে প্রায় লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মশা রয়েছে। এমন কোন মানুষ নেই যে মশার কামড় খায়নি কিন্তু আপনি কি জানেন যে একটি মশা কতবার কামড়ায়? সাধারণ মশা তো একটি জায়গায় বারবার কামড় দেয় কিন্তু ডেঙ্গু মশা শুধুমাত্র ৫ থেকে ৬ বার কামড় দেয়। তবে ডেঙ্গু মশার কামড় সাধারণ মশার তুলনায় একটু যন্ত্রণাদায়ক হয়।

 যেহেতু ডেঙ্গু মশার এন্টিনা সাধারণ বাসা থেকে মোটা এবং লম্বা এইজন্য ঘুম আসে কামড় দিলে একটু ব্যাথা অনুভূত হয়। পরবর্তী সময়ে গায়ের জ্বর আসে যাকে বলা হয় ডেঙ্গু জ্বর বর্তমান সময়ে আমরা প্রত্যেকেই ডেঙ্গুজের ভয়াবহতা সম্পর্কে জানি ডেঙ্গু জ্বরের আক্রান্ত হয়ে হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে তাই এখন থেকেই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ডেঙ্গু মশা থেকে দূরে থাকতে হবে এবং ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধ করতে হবে

আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে ডেঙ্গু মশা কতবার কামরায় এবার চলুন আমরা জেনে আসি ডেঙ্গু জ্বর কি ছোঁয়াচে রোগ?

ডেঙ্গু জ্বর কি ছোঁয়াচে রোগ

অনেকেই বলেন অথবা ভাবেন যে ডেঙ্গু জ্বরের কিছু আছে রোগ এটি স্পর্শের মাধ্যমে ছড়িয়ে যায় যার কারণে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সবসময় আলাদা রাখা হয়। কিন্তু এই ধারণাগুলো সম্পূর্ণ ভুল কারণে বুঝার কোন প্রকার ছোঁয়াচে রোগ নয়, এটি ডেঙ্গু ভাইরাসের মাধ্যমে ছড়ায়। যখন কোন ব্যক্তির শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাস বহনকারী এডিস মশা কামড় দেয় তখন তার শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়িয়ে যায় এতে ডেঙ্গু জ্বর হয়।

এছাড়া ডেঙ্গু জ্বরের আক্রান্ত ব্যক্তিকে স্পর্শের মাধ্যমে কখনো ডেঙ্গু জ্বর ছড়ায় না। ডেঙ্গু জ্বর কোন প্রকার ছোঁয়াচে রোগ নয়। তবে আমাদের সমাজে অনেকেই ভাবে যে করোনা যেমন ছোঁয়াচে রোগ তেমনি ডেঙ্গু জ্বরও ছোঁয়াচে রোগ অর্থাৎ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে স্পর্শের মাধ্যমে অথবা তার সাথে মেলামেশা করার ফলে ডেঙ্গু জ্বর ছড়িয়ে যেতে পারে। কিন্তু এ ধারণা গুলো সম্পন্ন ভুল ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত কোন ব্যক্তির সাথে

মেলামেশা করলে অথবা একই জামা কাপড় পরিধান করলে ডেঙ্গু জ্বর ছড়ায় না। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে ডেঙ্গু জ্বর ছোঁয়াচে রোগ নাকি এবার চলুন আমরা জেনে আসি এডিস মশা কামড় দিলে ডেঙ্গু জ্বর হয়?

এডিস মশা কামড় দিলে ডেঙ্গু জ্বর হয়

এডিস মশা দেখতে কেমন সেই বিষয়ে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে এডিস মশার শরীরে সাদা ও কালো ডোর কাটা দাগ থাকে সাথেই তার পায়ে এমন ডোর কাটার দাগ লক্ষণীয় এমন মশা দেখলেই ধরে নিবেন যে এটি এডিস মশা কিন্তু এই এডিস মশা কামড় দিলে কি ডেঙ্গু জ্বর হয়? অনেকেই ভাবে যে এডিস মশা কামড় দিলেই ডেঙ্গু জ্বর হয়।কিন্তু না, এডিস মশা কামড় দিলেই ডেঙ্গু জ্বর হয় না

যখন কোন এডিস মশা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত কোন ব্যক্তিকে কামড় দেয় এবং তার রক্ত গ্রহণ করে সে সময়ে অন্য কোন সাধারণ ব্যক্তিকে কামড় দেয়ার ফলে ডেঙ্গু জ্বর হয় তাছাড়া সাধারণ এডিস মশা কামড় দিলে ডেঙ্গু জ্বর হয় না। তবুও আপনি কিভাবে বুঝবেন যে এডিস মশা ডেঙ্গু ভাইরাস বহনকারী নাকি সাধারণ? অবশ্য সতর্ক থাকতে হবে।এডিস মশা দেখলেই তাকে তাৎক্ষণিক মেরে ফেলতে হবে অথবা পালিয়ে যেতে হবে।

কারণ এটি সাধারণ মানুষের পক্ষে এডিস মশা ডেঙ্গু ভাইরাস বহন করছে নাকি এটি বোঝা খুবই মুশকিল এই জন্য অবশ্যই এডিস মশা থেকে সতর্ক থাকতে হবে। আশ করছি উপলব্ধ আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে এডিস মশা কামড় দিলে ডেঙ্গু জ্বর হয় নাকি।

ডেঙ্গু মশা কামড়ালে করণীয়

ডেঙ্গু মশা অনেক মারাত্মক।বর্তমান সময় ডেঙ্গু মশার ভয়াবহতা সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই জানেন বাংলাদেশে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে ডেঙ্গু মশার কামড় খেয়ে এই ডেঙ্গু মশা অতি সাধারণ হলেও এটি ডেঙ্গু ভাইরাস বহন করে যার ফলে মানব শরীরের চিকুনগুনিয়া থেকে শুরু করে হলুদ জ্বর, ডেঙ্গু জ্বর ও ওয়েস্ট নাইট জ্বর সৃষ্টি হয়। এগুলো অনেক মারাত্মক।যেন অবশ্যই আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে ।

 দুঃখের বিষয় হলো বাংলাদেশে ডেঙ্গু মশার এখনো কোন সঠিক চিকিৎসা তৈরি হয়নি যার কারণে ডেঙ্গু মশা কামড় দিলে বাঁচার কোন উপায় নেই। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের ডেঙ্গু মশার ছোঁয়াচে রোগের মতো হয়ে গেছে মূলত একজন থেকে আর একজনের মধ্যে স্থানান্তর হচ্ছে। ডেঙ্গু মশার এই ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে অবশ্যই আপনাকে ডেঙ্গু মশা সম্পর্কে জানতে হবে এবার চলুন আমরা জেনে আসি

 ডেঙ্গু মশা কামড়ালে করনীয় কি?ডেঙ্গু মশা কামড়ালে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে কারণ ডেঙ্গু মশা কামড় দিলে সেই ডেঙ্গু ভাইরাসটি সরাসরি আমাদের রক্তের সাথে মিশে যায় এতে আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হয় ফলে শরীরে নানান সমস্যা দেখা দেয়।ডেঙ্গু মশা কামড় দেওয়ার ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যেই গায়ে প্রচুর জ্বর আসে। এই জ্বর কে বলা হয় ডেঙ্গু জ্বর। তবে ডেঙ্গু মশা কামড় দিলে প্রাথমিক অবস্থায় আপনাকে যা করতে হবে,

১. আক্রান্ত স্থান ভালোভাবে সাবান দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
২. ৫ থেকে ৬ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
হলুদ বাটা ও লবণ আক্রান্ত স্থানের উপর ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে।
৩. প্রচুর পানি পান করতে হবে।
৪. আক্রান্ত স্থান টি কাপড় দিয়ে বেধে রাখতে হবে।
৫. এবং যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর পর আপনাকে প্রাথমিক অবস্থায় ভালোভাবে ডিটারজেন্ট বা সাবান দিয়ে আক্রান্ত স্থান পরিস্কার করতে হবে এতে ডেঙ্গু ভাইরাসটি অনেক অংশে দূর করা সম্ভব হবে। ডেঙ্গু ভাইরাসের ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে অবশ্যই আমাদেরকে সতর্ক হতে হবে এবং ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধ করতে হবে। ডেঙ্গু মশা থেকে বাঁচতে প্রতিদিন সকালে কয়েল অথবা গুড নাইট জ্বালিয়ে রাখতে হবে কারণ

ডেঙ্গু মশা সকালে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে। উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে ডেঙ্গু মশা কামড়ালে করণীয় কি।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করলাম যে ডেঙ্গু মশা কত দিন বাঁচে। ডেঙ্গু মশা সর্বোচ্চ ১৬ থেকে ৩৮ দিন বেঁচে থাকে যেখানে সাধারণ মশার আয়ু শুধুমাত্র ৭ থেকে ৮ দিন। সাধারণ মশার চেয়ে ডেঙ্গু মশার আকার ও অনেকাংশে বড় বর্তমান সময়ের ডেঙ্গু জ্বর ও ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে আমাদেরকে অবশ্যই ডেঙ্গু মশা সম্পর্কে জানতে হবে আর ডেঙ্গু মশা সম্পর্কে জানতে অবশ্যই এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন।

 আজকের এই পোস্টে আমরা ডেঙ্গু মশা সম্পর্কে খুঁটিনাটি সবকিছু আলোচনা করেছি যে ডেঙ্গু মশা কামড়ালে কি হয় ডেঙ্গু মশা কত দিন বেঁচে থাকে ডেঙ্গু মশা কোন সময় বেশি সক্রিয় থাকে এবং ডেঙ্গু মশা কোথায় জন্মায়। আশা করছি আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনি সহজেই ডেঙ্গু মশা ও সাধারণ মশার মধ্যে তফাৎটা বুঝতে পারবেন।আশা করছি আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন।

আজকের এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন আর হ্যাঁ আপনি যদি এমন পোস্ট আরো পেতে চান তাহলে এই ওয়েবসাইটটি থেকে নিয়মিত ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url