কানাডায় পড়াশোনার খরচ কত? বিস্তারিত জানুন

আপনি কি কানাডায় পড়াশোনা করতে চাচ্ছেন? তাহলে এই পোষ্টটি আপনার জন্য।কানাডায় পড়াশোনা করার জন্য কানাডায় পড়াশোনার খরচ কত সে সম্পর্কে জানতে হবে। আজকের এই পোস্টে আমরা কানাডায় পড়াশোনার খরচ ও কানাডায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
কানাডায় পড়াশোনার খরচ কত
আমাদের প্রত্যেকের নিশ্চয়ই বিদেশ থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ইচ্ছা রয়েছে তবে আর্থিক সংকট এর কারণে  সেই ইচ্ছাটি পূরণ হয় না। তাই কম খরচে কিভাবে কানাডায় পড়াশোনা করা যায় আজ সেই সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। কানাডায় পড়াশোনার খরচ ও কানাডা স্কলারশিপ পাবার উপায় সম্পর্কে জানতে পোস্ট টি সম্পূর্ণ পড়ুন।

পেজ সূচিপত্র

   ভূমিকা   

উত্তর আমেরিকার উত্তরঅঞ্চলে অবস্থিত এই শহরটি দেখতে যেমন সুন্দর ও রোমান্টিক হয় সাথে উন্নত বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা চেক কানাডার শিক্ষাব্যবস্থা অনেকাংশে উন্নত। তার কারণে স্টুডেন্টদের কাছে কানাডা এত বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।আপনিও কি কানাডায় পড়াশোনা করতে যাচ্ছেন? তাহলে এই বলছি সম্পূর্ণ পড়ুন আজকের এই পোস্টে আমরা কানাডায় পড়াশোনার খরচ কত? কানাডায় বসবাসের খরচ কত ?


কানাডায় খাওয়া দাওয়ার খরচ কত? আজ সেই সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।

কানাডায় পড়াশোনার খরচ কত

বেশি হাজার হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে যাদের স্বপ্ন কানাডা পড়াশোনা করার কানাডা থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার। কানাডার শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক বেশি উন্নত যার কারণে প্রত্যেকেই আকর্ষণ কানাডা ইউনিভার্সিটি গুলো। অনেকে আছে যারা আর্থিক সংকটের কারণে পড়াশোনা করতে পারেনা, আবার অনেকে কানাডায় পড়াশোনার কথা ভাবলেই মনে করে অনেক টাকা পয়সার ব্যাপার ভেবে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে।

তবে তাদের ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল কারণ মানুষের মধ্যে যদি ইচ্ছা থাকে তাহলে কোন কিছুই অসম্ভব নয় কানাডায় পড়াশোনার তীব্র ইচ্ছা থাকলে আপনি চাইলে স্কলারশিপ নিয়েও কানাডা বিনামূল্যে পড়াশোনা সুযোগ পাবেন। তবে স্কলারশিপ ছাড়া কানাডায় পড়াশোনা করতে চাইলে খরচ একটু বেড়ে যেতে পারে। যেমন

পাসপোর্ট
প্রথমে কানাডায় আসার জন্য আপনাকে পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশে কানাডার পাসপোর্ট করতে খরচ হতে পারে প্রায় ৪৫০০-৫০০০ টাকা। তারপর প্রয়োজন হবে কানাডিয়ান ভিসার।

কানাডার ভিসা
কানাডার ভিসা তৈরি করার জন্য আপনার প্রায় খরচ হতে পারে ১৫০ কানাডিয়ান ডলার অর্থাৎ প্রায় ১১ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসা তৈরি করেন তাহলে আপনার খরচ হবে শুধুমাত্র ৫০০০ টাকা। তবে স্টুডেন্ট ভিসা তৈরি করার জন্য আপনাকে আগে থেকেই আবেদন করতে হবে। স্টুডেন্ট ভিসা তৈরি করা থাকলে সহজেই এবং কম খরচে কানাডায় যাওয়া যায়।
তারপর প্রয়োজন হবে IELTS যোগ্যতা

IELTS যোগ্যতা
কানাডায় পড়াশোনার জন্য সবার আগে আপনাকে ইংরেজি জানতে হবে অর্থাৎ ইংরেজি ভাষায় ভালো দক্ষতা থাকতে হবে। আইইএলটিএস এর জন্য ভালো ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হতে হবে কিংবা আপনি চাইলে কোন কোচিং সেন্টার থেকেও আইইএলটিএস কমপ্লিট  করতে পারবেন। আইইএলটিএস কমপ্লিট করতে আপনার মোট খরচ হবে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। আর খেয়াল রাখবেন আইইএলটিএস এর ন্যূনতম পয়েন্ট ৭ থেকে ৮ হতে হবে।

আপনার পয়েন্ট যদি ৭ থেকে ৮ হয় তাহলে আপনি কানাডায় পড়াশোনার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তারপর আইইএলটিএস এর পরীক্ষা ফি প্রায় ১৯-২০২৫০  টাকা। তারপর আপনার আইইএলটিএস এর পয়েন্ট যদি ৭ থেকে ৮ হয় তাহলে কানাডায় পড়াশোনার জন্য ন্যূনতম তিন থেকে চারটি ইউনিভার্সিটিতে তে আবেদন করতে হবে।কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটিতে আবেদন

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটিতে আবেদন

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটিতে চান্স পেতে হলে অবশ্যই তিন থেকে চারটি ইউনিভার্সিটির আবেদন করতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য প্রত্যেকটি ইউনিভার্সিটিতে ১০০ থেকে ১৫০ ডলার এর প্রয়োজন হবে যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১২-১৫০০০ টাকা। এই ক্ষেত্রে তিন থেকে চারটি ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করার জন্য প্রায় খরচ হতে পারে ৫০ থেকে ৬০০০০ টাকা। আপনি যে বিষয়গুলোতে পড়তে চান সেই

বিষয়গুলো নির্ধারণ করার পর চার থেকে পাঁচটি কলেজে আবেদন করে দিবেন তাহলে কোনো না কোনো কলেজ আপনাকে নিশ্চয়ই অফার লেটার পাঠিয়ে দিবে। আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর অবশ্যই একটি সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপ্ট এর প্রয়োজন হবে।

সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপ্ট
আপনার যদি আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যায় এবং আপনি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি তে পড়ার সুযোগ পেয়ে যান তাহলে সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপ্ট গুলো কুরিয়ার পদ্ধতির মাধ্যমে ইউনিভার্সিটিতে পাঠাতে হবে এক্ষেত্রে আপনার খরচ হতে পারে প্রায় সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। তারপর একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর প্রয়োজন হবে।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
বাংলাদেশ থেকে একটি।পুলিশ ক্লিয়ারেন্স তুলতে হবে।বনাগলাদেশ ব্যাংক অথবা সোনালী ব্যাংক থেকে  ৫০০ টাকা দিয়ে চালান দিয়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স তুলতে হবে। তারপর আপনার প্রত্যেকটি ডকুমেন্টগুলোকে নোটারি করতে হবে।

নোটারি ও অ্যাসেট ভালিউশন
নিজের প্রত্যেকটি ডকুমেন্টকে নোটারি করতে হবে সাথেই বাবা মার অ্যাসেট ভ্যালুয়েশনের টোটাল খরচ হবে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।

বায়োমেট্রিক
আপনি যদি কানাডায় পড়াশোনা করতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই বায়োমেট্রিকের প্রয়োজন হবে। এই ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিকের জন্য প্রায় সাত থেকে আট হাজার টাকা খরচ হবে।

ট্যাক্স 
কানাডায় আবেদন করার জন্য অবশ্যই ট্যাক্স দিতে হবে। ট্যাক্স এর জন্য সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকা খরচ হতে পারে। তবে ট্যাক্স এর সর্বনিম্ন খরচ ৩০০০ টাকা।

মেডিক্যাল ফি
কানাডায় যাওয়ার জন্য আপনাকে মেডিকেল ফি দিতে হবে। কানাডায় সরকার নির্ধারিত বাংলাদেশ কয়েকটি হসপিটাল রয়েছে। হসপিটালে আপনাকে কিছু টেস্ট করা হবে, সে টেস্টের জন্য খরচ হবে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা।

বিমান ভাড়া
কানাডা যাওয়ার জন্য অবশ্যই বিমান ভাড়া দিতে হবে কারণ বিমান ছাড়া আপনি কখনো ট্রেন অথবা বাসে কারণে যেতে পারবেন না তাই না? কানাডা যাওয়ার জন্য বিমান ভাড়া প্রায় ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। এক্ষেত্রে দ্রুত টিকিট কাটলে আপনি বিমান ভাড়া কমাতে পারবেন আর যদি আপনি দেরি করে টিকিট কাটেন তাহলে আপনার বিমান ভাড়া আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে।

খাওয়া দাওয়া
কানাডায় অনেক রেস্টুরেন্ট রয়েছে যেখানে বাংলাদেশী খাবার পাওয়া যায়। আপনি চাইলে সেখান থেকে খাবার খেতে পারবেন এছাড়াও আপনি যদি চান তাহলে মাসিক চাল ডাল ও মাছ মাংস কিনে রাখতে পারেন।এক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে প্রতি মাসে প্রায় ৪৫ থেকে ৫০০০ টাকা। কানাডায় এক কেজি চাউলের দাম প্রায় ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। এবং এক কেজি মুরগির দাম প্রায় ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা।

কেনাকাটা
আমাদের বাংলাদেশ ৮ থেকে ১০ মাসের গরম থাকে আর ২ থেকে ৪ মাস শীত থাকে কিন্তু কানাডাতে সারা বছরই ঠান্ডা থাকে।এই জন্য সেখানে অবশ্যই গরম কাপড় কিনতে হবে। এছাড়াও গরম কাপড় বাদে আরো কিছু কেনাকাটা থাকে তাই কানাডায় কেনাকাটার জন্য এক্সট্রা ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা রাখতে হবে।


থাকার জায়গা
কানাডায় পড়াশোনা করার জন্য সবার আগে ভাবতে হবে আপনি থাকবেন কোথায় কারণ কারণে পড়াশোনা করার জন্য আবার পর্যন্ত অবশ্যই রয়েছে তাইনা একটি হোস্টেল অথবা বাসা ভাড়া নিতে হবে। কানাডায় হোস্টেল ভাড়ার বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে।যেমন অনেক হোস্টেলের প্রতি সপ্তাহে বিল দিতে হয় আবার অনেক হোস্টেলে প্রতি মাসে আবার প্রতি বছরে। কানাডার এক একটি হোস্টেলে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ ডলার বিল দিতে হয়

যা বাংলাদেশি টাকায় ১২০০০ টাকা। তবে হোস্টেল ভেদে বিলের তারতম্য রয়েছে।

টিউশন ফি
কানাডার টিউশন ফি সিস্টেম একটু আলাদা। কানাডায় পড়াশোনার জন্য আগেই অগ্রিম টিউশন ফি দিতে হয়। প্রথম সেমিস্টারের জন্য প্রায় তিন লক্ষ টাকা টিউশন ফি। তবে ইউনিভার্সিটি ভেদে টিউশন ফি এর তারতম্য রয়েছে। কিন্তু যারা মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির বাচ্চা রয়েছো, তোমরা যদি কানাডায় পড়াশোনা করতে চাও তাহলে তোমাদের জন্য রয়েছে স্কলারশিপ এর সুযোগ। স্কলারশিপ এর মাধ্যমে কানাডায় বিনামূল্যে পড়াশোনা করতে পারবা।

কোচিং ফি
কানাডায় প্রত্যেকটি সাবজেক্টের জন্য আলাদা আলাদা কোচিং সেন্টার রয়েছে।সেখানে বিশেষ অভিজ্ঞ শিক্ষকদের মাধ্যমিক ক্লাস নেয়া হয়।আপনি যদি ভাল ফল পেতে চান তাহলে কোচিং সেন্টারে ভর্তি হতে হবে। কোচিং সেন্টারে প্রতি মাসে ২০০-২৫০ C$ ডলার ফি দিতে হয় যা যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ২০৫০০ টাকা।

হাথ খরচ
বাংলাদেশে পড়াশোনা করুন আর কানাডায় হাত খরচে পর্যন্ত আছেই তাই না? জীবনধারণের জন্য আমাদের দৈনিক কোনো না কোনো কিছুর প্রয়োজন তো হয়ই। সেভাবেই কানাডায় হাথ খরচের জন্য প্রতি মাসে প্রায় এক্সট্রা ৭০-৮০ হাজার টাকা রাখতে হবে।

আশা করছি উপরে তো আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে কানাডায় পড়াশোনা খরচ কত। এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি কানাডায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় কি অর্থাৎ কিভাবে কানাডাতে স্কলারশিপ পাওয়া যায়।

কানাডায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়

কারাতে পড়াশোনা করতে চাচ্ছেন? আমাদের অনেকের স্বপ্ন থাকে কানাডায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার কারণ বাংলাদেশের যে কানাডা অনেক বেশি সাথে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আছে কানাডা শিক্ষাব্যবস্থা অনেক বেশি উন্নত যার কারণে আমরা প্রত্যেকে কারো শিক্ষাবর্ষের প্রতি এত বেশি আকৃষ্ট এছাড়াও কানাডার সৌন্দর্যতা ও শালীনতা আমাদের মুগ্ধ করে। প্রতিবছর প্রায় হাজার হাজার শিক্ষার্থী কানাডায় পড়াশোনার জন্য আবেদন করে।

কিন্তু আমরা প্রত্যেকেই তো জানি যে কানাডায় পড়াশোনা করার জন্য প্রচুর টাকার প্রয়োজন।তাহলে কি নিম্নবিত্ত ও মধ্যবৃত্ত ঘরের শিক্ষার্থীরা কানাডায় পড়াশোনা করতে পারবে না? অবশ্যই পারবে মানুষের মনে যদি ইচ্ছা থাকে তাহলে সবকিছুই সম্ভব দা ন্যাচারাল সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কাউন্সিল অব কানাডা ঘোষণা দেন যে প্রতি বিদেশির থেকে বৃত্তি আবেদন গ্রহণ করা হবে। ২০২৩ ও ২০২৪ সাল থেকে প্রত্যেকেই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।

ও আবেদন করার জন্য অবশ্যই ৩ ডিসেম্বরে আগে পড়াশোনা শেষ করতে হবে এবং ১ এ ডিসেম্বরের মধ্যে বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হবে। একে ডিসেম্বরের মধ্যে এই বৃত্তির আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যায়।যারা বিনামূল্যে কানাডায় পড়াশোনা করতে চাচ্ছেন আর দেরি না করে এখনই ঝটপট বৃত্তির জন্য আবেদন করে ফেলুন।তবে বৃত্তির জন্য আপনার কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হবে সে যোগ্যতাগুলো নিজে এক নজর দেখে নিন।স্কলারশিপ এর যোগ্যতা

স্কলারশিপ এর যোগ্যতা

১. স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আবেদন করার এক বছর আগে থেকে অবশ্যই কানাডায় থাকতে হবে।
২. ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যেই পড়াশোনা শেষ করতে হবে।
৩. আর আগে থেকেই কোন স্কলারশিপ পেয়ে থাকলে পরবর্তী সময় আর স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন করার কোন প্রয়োজন নেই।
৪. উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির অনুমতি পেপার।
৫. আর প্রত্যেকটি রেজাল্ট অবশ্যই ভালো হতে হবে এবং
৬. আইইএলটিএস এর ন্যূনতম পয়েন্ট ৭ থেকে ৮ হতে হবে।

কানাডার ইউনিভার্সিটি গুলোতে দুই ধরনের পড়াশোনার ব্যবস্থা রয়েছে একটি গবেষণা ভিত্তিক ও একটি কোর্সবিষয়ক। দুঃখের বিষয় হলো কানাডায় কোর্স বিষয়ক ক্ষেত্রে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির কোন সুযোগ সুবিধা নেই তবে গবেষণা ভিত্তিক পড়াশোনায় আপনি বৃত্তি অর্জন করতে পারবেন। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে কানাডায় পড়াশোনার খরচ কত এবার চলুন আমরা জেনে আসি 
কানাডায় স্কলারশিপ এর সুযোগ সুবিধা

কানাডায় স্কলারশিপ এর সুযোগ সুবিধা

বাংলাদেশ থেকেই নয় বাইরের বিভিন্ন দেশ থেকে কানাডায় স্টুডেন্টরা পড়াশোনার জন্য আসেন। কারণ কানাডার পড়াশোনার ব্যবস্থা অনেক বেশি উন্নত। এছাড়াও কানাডায় অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। কানাডায় জবের অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি ছোটখাটো পার্ট টাইম জব করে নিজের খরচ নিজে চালাতে পারবেন। এছাড়াও কানাডায় একবার স্কলারশিপ পেয়ে গেলে আপনার পড়ালেখার টিউশন ফি অনেকাংশে কমে যাবে

সাথেই আবাসস্থলও পেয়ে যাবেন। কানাডার অনেক ইউনিভার্সিটি রয়েছে যেখানে বিনামূল্যে পড়াশোনা সুযোগ রয়েছে।২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের নতুন আইন জারি হয়েছে যে বিদেশী প্রত্যেকটি স্টুডেন্ট ভিত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আগে অনেকে ভাবতো যে শুধুমাত্র উচ্চ ও প্রভাবশালী ব্যক্তির মেয়ে অথবা ছেলেরাই বিদেশে পড়াশোনা করে।কিন্তু ব্যাপারটি সম্পন্ন ভুল। কারণ এখন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত ঘরের বাচ্চারাও কানাডায় পড়াশোনা করার সুযোগ পাচ্ছেন।

এর অন্যতম কারণ হলো স্কলারশিপ। কানাডার স্কলারশিপ এর মাধ্যমে বিনামূল্যে এবং কম খরচেই কানাডায় পড়াশোনা করার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে সাথেই ফ্রি আবাসস্থল।এত ভালো সুযোগ হাতছাড়া না করে আবেদন করে ফেলুন। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে কানাডায় স্কলারশিপ এর সুযোগ সুবিধা গুলো কি কি। চলুন তাহলে এবার আমরা জেনে আসি কানাডায় পার্ট টাইম জব সম্পর্কে

কানাডায় পার্ট টাইম জব

কারে পড়াশোনা করতে চাচ্ছেন পড়াশোনার পাশাপাশি হাত খরচ চালানো কঠিন মনে হচ্ছে? তাহলে চিন্তা করা বাদ দিন এবং পার্টটাইম জব শুরু করুন পার্ট টাইম জবের মাধ্যমে আপনি অনায়াসে আপনার নিজের খরচ গুলো নিজে চালাতে পারবেন। সব সময় পরিবারের উপর নির্ভরশীল থাকাটা কিন্তু মোটেও ভালো অভ্যাস নয় এই জন্য চেষ্টা করুন এখন থেকেই আত্মনির্ভরশীল হওয়ার কানাডাতে পার্টটাইমের অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে বিশেষ করে স্টুডেন্টদের জন্য

যারা স্টুডেন্ট রয়েছেন তারা পার্ট টাইম জব করে নিজে খরচ নিজেই চালাতে পারবেন। যেমন ওয়েটার।

ওয়েটার
পড়াশোনার পাশাপাশি আপনি যদি পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টার কোন রেস্টুরেন্ট ওয়েটারের কাজ করেন তাহলে আপনি 5 থেকে 6 ঘন্টার মধ্যেই প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৮০০০ থেকে ১৫ হাজার টাকা।

বারটেন্ডার
অল্প সময়ে বেশি টাকা ইনকাম করার অন্যতম একটি কাজ হল বারটেন্ডার। আপনি জানলে অবাক হবেন যে শুধুমাত্র এক সপ্তাহ কাজ করেই আপনি ২০০০C$ ইনকাম করতে পারবেন যা ১ লক্ষ ৬৫ হাজার। কি অবাক হচ্ছেন তো? সত্যি যে বার্টেনের কাজ করে শুধুমাত্র এক সপ্তাহের মাধ্যমেই ২০০০ ডলার ইনকাম করা সম্ভব তাই আপনি চাইলে কানাডায় পড়াশুনার পাশাপাশি বারট্রেন্ডার হিসেবে পার্ট টাইম জব করতে পারেন।

হ্যান্ড ক্রাফট
কানাডায় হ্যান্ড ক্রাফটের অনেক চাহিদা আপনি চাইলে বিভিন্ন জিনিসপাতি বানিয়ে কানাডায় বিক্রি করতে পারেন কিংবা আপনার ইউনিভার্সিটি আশেপাশে বিক্রি করতে পারেন এভাবে আপনি প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ ডলার ইনকাম করতে পারবেন।

সঙ্গীত শিক্ষক অথবা গুরু
আপনার যদি সংগীতের ভালো অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি চাইলে আপনার ইউনিভার্সিটির পাশেই একটি সংগীত সেন্টার খুলতে পারেন আপনি চাইলে সেই সংগীত সেন্টার থেকেও প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ ডলার ইনকাম করতে পারবেন।

ফিটনেস সহায়ক
এছাড়াও আপনি চাইলে বিভিন্ন জিম সেন্টারে ফিটনেস সহায়ক হিসেবেও কাজ করতে পারবেন বিশ্বাস করুন ফিটনেস সহায়ক হিসেবে ৩-৪ ঘন্টা কাজ করে আপনি প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ ডলার ইনকাম করতে পারবেন। যা প্রায় ১৫০০০ টাকার কাছাকাছি।

আশা করছি উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারছেন যে কানাডায় পার্ট টাইম জব কিভাবে করতে হয় এবং কানাডায় কোন কাজের চাহিদা বেশি।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করলাম যে কানাডায় পড়াশোনার খরচ কত আপনি যদি কারনে পড়াশোনার কথা ভেবে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন।  আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে একটি ইচ্ছা থাকে যে বাইরে থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার কিন্তু পরিবারের আর্থিক শঙ্করের কারণে অনেকেই নিজের ইচ্ছাকে সেখানে মাটি চাপা দেন। অনেকেই ভাবে যে বিদেশে পড়াশোনা শুধুমাত্র উচ্চ ও প্রভাবশালী মানুষদের জন্য

মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের জন্য বাংলাদেশের পড়াশোনায় যথেষ্ট। কিন্তু ব্যাপারটি সম্পূর্ণ ভুল। চাইলে আপনিও কানাডায় পড়াশোনা করতে পারবেন ২০২৩ ও ২৪ সালের পর নতুন আইন জারি হয়েছে যে বিদেশি প্রত্যেকটি স্টুডেন্টটি বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।শুধু বাংলাদেশের স্টুডেন্ট নয় বাইরের প্রত্যেকটি স্টুডেন্টের মধ্যেই স্বপ্ন থাকে যে কানাডা ইউনিভার্সিটিগুলোতে পড়াশোনা করার।করণ কানাডার  ইউনিভার্সিটি গুলোতে অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে

সাথেই রয়েছে স্কলারশিপ।স্কলারশিপ এর মাধ্যমে বিনামূল্যে পড়াশোনা করতে পারবেন। তাই এই সুযোগ হাতছাড়া না করে স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন করুন তবে স্কলারশিপের জন্য কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন সে যোগ্যতা প্রয়োজন। আশা করছি আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন আজকের এই পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন আর হ্যাঁ আপনি যদি এমন পোস্ট আরো পেতে চান তাহলে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url