এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখার নিয়ম - প্রথম পেজে ১০০% রেঙ্ক হবে
আপনি কি আপনার আর্টিকেল কে প্রথম পেজে রেঙ্ক করাতে চাচ্ছেন? তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখার নিয়ম সম্পর্কে কিভাবে আর্টিকেল লিখলে প্রত্যেকটি আর্টিকেল প্রথম পেজের র্যাংক করবে।
আর্টিকেল কে প্রথম পেজে র্যাংক করানর জন্য এক দুই লাইন পড়ে কিন্তু আপনি কখনোই এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে পারবেনা এর জন্য আপনাকে প্রচুর প্র্যাকটিস করতে হবে। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের এমন কিছু টিপস বলবো যেই টিপস গুলো অনুসরণ করে আপনি খুব সহজে আপনার পোস্টকে প্রথম পেজে রেঙ্ক করাতে পারবেন।
পেজ সূচিপত্র
ভূমিকা
আপনি নিশ্চয় জানেন, যেই পোস্ট গুলোতে খুব ভালো ভাবে এসইও করা হয় গুগল সেসব পোস্ট গুলোকেই সবার উপরে টপে রাখে যে পোস্টগুলো সম্পূর্ণ এসইও ফ্রেন্ডলি হয়।তাই গুগলে রেংক করার জন্য এসইও ফ্রেন্ড আর্টিকেল লেখা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ এর জন্য আপনাকে প্রচুর প্র্যাকটিস করতে হবে। আজকের এই পোস্টে আমরা Seo Friendly Article লিখার কিছু কার্যকরী কৌশল বলবো
আরো পড়ুন : প্রতিমাসে ২০০০০ হাজার টাকা ইনকাম করার উপায়
যে কৌশল গুলোর সাহায্যে আপনারা খুব দ্রুত আপনার পোস্টকে রাঙ্ক করাতে পারবেন। ব্লগারে কোন আর্টিকেল যদি ৫০% ইউনিক হয় তবুও তার এসইও যদি ভালোভাবে করা হয় তাহলে গুগল সেই সব পোস্টগুলো কে সবার আগে টপ এ রাখে এজন্য চেষ্টা করুন আপনার পোস্টকে এসইও ফ্রেন্ডলি করার তাহলে খুব সহজে আপনি আপনার পোস্টকে google এ প্রথম পেজে রাঙ্ক করাতে পারবেন।
আর প্রথম পেইন করলে আপনি জানেন যে প্রচুর ভিজিটর এবং ইম্প্রেশন আসে ফলে অনেক বেশি ইনকাম হয়। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল সম্পর্কে জেনে আসি।
এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল
আপনার সাথে নিশ্চয়ই অনেক সময় এমনটা হয়েছে যে আপনার পোস্টগুলো টপ পেজে থাকা দূরের কথা সেগুলো সার্চ ইঞ্জিনে খুজেই পাওয়া যায় না অর্থাৎ পোস্টগুলো অনেক নিচে থাকে।সেই পোস্টগুলো পাঠক কখনও এত নিচে যেয়ে পড়ে না এতে আপনার ভিজিটর কম ও ইমপ্রেশন কম হয় ফলে ইনকামের হার খুবই কম হয়। এর একটি কারণ হল
আরো পড়ুন: অনলাইন থেকে প্রতিমাসে ১২০০০ টাকা ইনকাম
আপনার পোস্টগুলো ঠিকভাবে এসইও করা হয়নি।আপনি যদি ঠিকভাবে আপনার পোস্টগুলো কে অপটিমাইজ করেন তাহলে আপনার পোস্টগুলো অবশ্যই টপ পেজে থাকবে। আমাদের আজকের এই পোস্টে অনেকগুলো নিয়ম নিয়ে এসেছি যে নিয়মগুলো আপনি অনুসরণ করলে আপনার পোস্টগুলো খুব দ্রুত র্যাঙ্ক করবে। এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল কি? জানতে নিচে দেখুন।
এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল কি?
এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল হলো যে আর্টিকেল গুলো এসইও এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে অপটিমাইজ করা হয়। এসইও এর পূর্ণরূপ হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন optimization। কোন পোস্টকে যখন আমরা এসইও ফ্রেন্ডলি ভাবে তৈরি করি তখন সেই পোস্টটি গুগলে রেঙ্ক করার চান্স ৮০ থেকে ৯০% বেড়ে যায়। এইজন্য প্রত্যেকটি আর্টিকেল রাইটারের উচিত তাদের আর্টিকেলগুলোকে এসইও ফ্রেন্ডলি ভাবে তৈরি করার।
আপনার পোস্ট যদি 100% ইউনিক হয় কিন্তু এসইও ফ্রেন্ডলি না হয় তাহলেও দেখা যায় পোস্টটি রেঙ্ক করতে দেরি হয়।SEO Friendly আর্টিকেল তৈরি করলে ওয়েবসাইটে অর্গানিকভাবে ভিজিটর বৃদ্ধি পায়। এবার যদি আপনি জানতে চান এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখার পদ্ধতি সম্পর্কে তাহলে নিচে দেখুন এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখার নিয়ম দেওয়া রয়েছে।
এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখার নিয়ম
আপনি যদি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন আজকের পোস্টে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল সম্পর্কে খুঁটিনাটি সবকিছু বিস্তারিত আলোচনা করবো।
এসইও দুই ধরনের হয়,
- অন পেজ এসইও
- অফ পেজ এসইও
আমরা আমাদের পোস্ট কে রেংক করানোর জন্য পোস্টের ভিতরে যেসব সেটিং কিংবা কৌশল অবলম্বন করে থাকি এগুলোকে বলা হয় অন পেজ এসইও।
আর অন্য দিকে পোস্ট কে গুগলে রাঙ্ক করানোর জন্য বাইরে যেসব কাজ আমরা করে থাকি তাকে অফ পেজ এসইও বলে।সহজ ভাষায় বলি অনেকে নিজের ওয়েবসাইটকে প্রচার করার জন্য কিংবা রাঙ্ক করানোর জন্য যে ব্যাকলিংক নিয়ে থাকে তাকেই অফ পেজ এসইও বলে।কিন্তু এখানে একটা প্রশ্ন হল আপনি যে আপনার পোস্টে অন পেজ এসইও করছেন এটা গুগল বুঝবে কিভাবে?
আপনি যখন আপনার পোস্টকে রেঙ্ক করানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের কৌশল অথবা টিপস অবলম্বন করবেন এবং আপনার পোস্ট ঠিকভাবে র্যাংক করবে তখন তাকে বলা হবে এসইও ফ্রেন্ডলি পোস্ট।এবার বলুনতো একটি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেলে কি কি থাকে? একটি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেলে প্রথমে Keyword থাকে ,Title,Permalink,Text Image Heading Tag ইত্যাহি থাকে।
এগুলো বিষয়ে সমন্বয়ে তৈরি হয় একটি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল। এবার এই সমস্ত বিষয়ে সমন্বয় কিভাবে একটি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল তৈরি করতে হয় চলুন জেনে আসি।
এসইও আর্টিকেল লেখার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি কিওয়ার্ড বেছে নিতে হবে।
কীওয়ার্ড কি?
একটি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার জন্য আপনাকে আগে কীওয়ার্ড বেছে নিতে হবে।আপনি জানেন কীওয়ার্ড কি? কীওয়ার্ড হলো এমন একটি শব্দ যা মানুষ সার্চ দেয়। এমন একটি কীওয়ার্ড বেছে নিতে হবে যে কীওয়ার্ড টি সবচেয়ে বেশি গুগলের সার্চ দেয়। কিন্তু প্রশ্ন হল যে এখন আপনি কিভাবে বুঝবেন যে কোন কীওয়ার্ড টি মানুষ সবচেয়ে বেশি গুগলে সার্চ দেয়? চিন্তার বিষয় নেয়।
কিওয়ার্ড রিসার্চ করার কিছু উপায় নিয়ে আমরা আজকে আলোচনা করব যে উপায় গুলোর সাহায্যে আপনি খুব সহজেই জানতে পারবেন এবং বুঝতে পারবেন যে ফোন কিওয়ার্ডগুলো দিয়ে মানুষ সবচেয়ে বেশি গুগলের সার্চ দেয় এবং সে অনুসারে পোস্ট লিখে আপনি খুব সহজে আপনার পোস্টকে রেংক করাতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে আসি কিভাবে কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে হয়
কিভাবে কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে হয়
কীওয়ার্ড রিসার্চ করার সবচেয়ে অন্যতম উপায় হলো ক্রোম ব্রাউজারে যে কোন একটি বিষয় নিয়ে সার্চ দিয়ে সেখানে আপনি ক্লিক করলে দেখতে পারবেন মানুষ কোন কোন বিষয় নিয়ে সার্চ দেয়
একটি বিষয় নিয়ে সেটি সার্চ দেয়ার পর আপনি অনেকগুলো অপশন দেখতে পারবেন এই অপশন গুলোই মূলত কিওয়ার্ড।এই কিওয়ার্ড গুলা নিয়ে আর্টিকেল লিখলে আপনি খুব দ্রুত আপনার পোস্ট র্যাঙ্ক করাতে পারবেন। এছাড়াও আরো একটি উপায় রয়েছে কেউ আর রিসার্চ করার সেটি হল ahref keyword generator এই ওয়েবসাইট থেকে আপনি কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন
এবং কোন কীওয়ার্ড ব্যাবহার করে গুগলে সবচেয়ে বেশি আর্টিকেল লিখা হয়েছে আপনি সবকিছু এই ওয়েবসাইট থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আশা করছি কিভাবে কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে হয় আপনি সেই সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
কীওয়ার্ড ইন টাইটেল
আপনি যে কীওয়ার্ড টি বেছে নিয়েছেন সে কীওয়ার্ড টি আপনার টাইটেল অবশ্যই রাখতে হবে। কোন পোস্টের অথবা আর্টিকেলের টাইটেল যত বেশি আকর্ষণীয় হবে তার ভিজিটর তত বেশি হবে। পাঠক যখন কোন কিছু নিয়ে গুগলের সার্চ দেয় তখন তার প্রথমেই নজর যায় টাইটেলের উপর।টাইটেল যদি আকর্ষণীয় না হয় তাহলে কিন্তু পাঠক কখনোই আপনার আর্টিকেলটি পরবে না এজন্য প্রথমেই আপনাকে একটি সুন্দর টাইটেল বেছে নিতে হবে তারপর সেই টাইটেলে আপনার কীওয়ার্ডটিকে বসাতে হবে।
কীওয়ার্ড ইন মেটাডিসক্রিপসন
টাইটেলের নিচের অংশটিকে বলা হয় মেটা ডিসক্রিপশন। মেটা ডিসক্রিপশন যত বেশি আকর্ষণীয় হবে পাঠক তত মনোযোগ সহকারে আপনার পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়বে। এইজন্য আর্টিকেলের শুরুতে সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে পাঠকের সামনে তুলে ধরতে হবে। আর মেটা ডিসক্রিপশনে অবশ্যই কীওয়ার্ড টিকে রাখতে হবে।
ইন্টার্নাল লিংক কি?
ইন্টার্নাল লিংক হল আর্টিকেলে অন্য একটি পোস্ট এর লিংক প্রবেশ করানো অর্থাৎ আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখছেন সে বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আপনারই অন্য কোন একটি পোস্টে লিঙ্ক নতুন পোস্টে দেওয়া।আর্টিকেলে অবশ্যই একটি ইন্টার্নাল লিঙ্ক ব্যবহার করতে হবে। একটি পোস্টে আপনি যত বেশি ইন্টার্নাল লিংক ব্যবহার করবেন সার্চ ইঞ্জিনে আপনার পোস্টের ভ্যালু তত বেশি বাড়বে এবং খুব দ্রুত সেই পোস্টটি রাঙ্ক করবে। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন ইন্টার্নাল লিংক কি এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি এক্সটার্নাল লিঙ্ক কি
এক্সটার্নাল লিংক কি?
এক্সটার্নাল লিঙ্ক হল অন্য কোন ওয়েবসাইটের পোস্টের লিঙ্ক আপনার আর্টিকেলে ব্যবহার করা। তবে সেই পোস্টের সাথে আপনার আর্টিকেলের অবশ্যই সামঞ্জস্য থাকতে হবে। কোন আর্টিকেল কে প্রথম পেজে রেঙ্ক করানোর জন্য এক্সটার্নাল লিংকের গুরুত্ব অনেক বেশি। এক্সটার্নাল লিঙ্ক ব্যবহার না করলে কোন ব্যক্তি যতই তার পোস্টকে ইউনিক করুক না কেন তারপরও কখনোই তার আর্টিকেল প্রথম পেজে রাঙ্ক করবে না। আশা করছি আপনি এক্সটার্নাল লিঙ্ক এর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন এবার চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি ইমেজ টেক্সট সম্পর্কে।
ইমেজ টেক্সট কি?
আপনি কি জানেন আর্টিকেলকে এসইও করার পাশাপাশি ইমেজ কেউ এসইও করা যায়? হ্যাঁ প্রিয় পাঠক আপনি চাইলে আপনার ইমেজ কেউ এসে করতে পারবেন এতে আপনার পোস্ট খুব দ্রুত গুগলের প্রথম পেজে র্যাংক করবে।এছাড়াও ইমেজ টেক্সট এর মাধ্যমে অনেক বেশি ভিজিটর পাওয়া সম্ভব।কিন্তু প্রশ্ন আসে ইমেজ টেক্সট কি আর কিভাবে বেবহার করতে হয়?
এসইও এর গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো ইমেজ টেক্সট এর মাধ্যমে শুধু আর্টিকেল নয় ইমেজও রেঙ্ক করানো সম্ভব।মনে প্রশ্ন আসছে কিভাবে? আর্টিকেল এ পিকচার অ্যাড করার সময় নিচে All Text এবং Titel Text নামক অপশনে আপনার কীওয়ার্ড টিকে বসাতে হবে।তারপর পোস্ট করে দিবেন।আপনি বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে ইমেজ টেক্সট এড করতে হয়।
আপনি যদি উপরের সমস্ত টিপস গুলো অনুসরণ করে আর্টিকেল লিখেন তাহলে আপনি খুব দ্রুত আপনার পোস্টগুলোকে প্রথম পেজের র্যাঙ্ক করাতে পারবেন।মূলত পোস্ট রেঙ্ক করানোর সবচেয়ে কার্যকারী উপায় হলো এসইও। পোস্ট ইউনিক না হলেও ভালোভাবে এসইও করলে দ্রুত পোস্ট কে প্রথম পেজের রেংক করানো সম্ভব। আপনি যদি আপনার পোস্টকে প্রথম পেজের র্যাঙ্ক করাতে চান তাহলে অবশ্যই উপরোক্ত প্রতিটা নিয়ম মেনে পোস্ট লিখবেন।
ডিজিটাল লাইফ স্টাইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url